💔#Divorce💔
Writer: Tahmina Toma
Part: 28
আরাভঃ ওহ্ ,,,, তাহলে চলুন অন্তরার সাথেও দেখা হয়ে যাবে,,,,,।
হৃদয়ঃ ন,,নাহ,,, আমার এখন যেতে হবে,,, আর একদিন আসবো,,, আসছি এখন,,,
আরাভঃ কিন্তু,,,,
(হৃদয় আরাভের কথা না শুনেই গাড়িতে ওঠে গেলো,,,, আর চলে গেলো,,)
আরাভঃ যাহ্ বাবা এর আবার কী হলো,,,?? যা ইচ্ছে হোক,,,,
(আরাভ এসব বলতে বলতেই বাড়ি ভেতরে ঢুকে গেলো,,,, কলিংবেল বাজালে অন্তরা দরজা খুলে দিলো,,,)
অন্তরাঃ একা একা কী বকবক করছিস,,,??
আরাভঃ আর বলিস না,,, বসের ছোটভাই দেখি আমাদের বাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে আছে,,,, আসতে বললাম চলে গেলো,,,
অন্তরাঃ কে,,,,??
আরাভঃ হৃদয় চৌধুরী,,,, আমার বস রিয়াদ চৌধুরীর ছোট ভাই,,,
অন্তরাঃ এখন গেলো,,,,??
আরাভঃ হ্যাঁ,,,, কেন তুই জানতিস নাকি এদিকে এসেছে,,, তোকে চিনে বললো,,,
অন্তরাঃ ন,,,না আমি কীভাবে জানবো,,,?? তুই ফ্রেস হয়ে আয়,, আমি মাকে খাবার দিতে বলছি,,,
আরাভঃ ঠিক আছে,,,,
(অন্তরা ওর মাকে আরাভের খাবার দিতে বলে রুমে চলে গেলো,,)
অন্তরাঃ ভাইয়া তাহলে রিয়াদ ভাইয়ার অফিসেই জব করে,,,,, হৃদয় কিছু করবে না তো,,,?? না না উনি কী করবে,,,?? উনি কারো ক্ষতি করতে পারে না,,, কী করবো আমি,,,?? উনি কেন বুঝতে পারছে না,,,?? উনি যা চাইছে তা হতে পারে না,,,,। আবেগ শেষে সামনে থাকবে নিষ্ঠুর বাস্তব,,,,,। হয়তো আফসোস করবে এই ভুলের,,,,
,,,,
(জ্যোতি বাড়ি ফিরে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো,,)
মাঃ কী হলো জ্যোতি,,,?? দরজা বন্ধ করলি কেন,,,?? ফ্রেস হয়ে আয় খাবার দিচ্ছি,,,
জ্যোতিঃ আমি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি,,,, মাথা ধরেছে ঘুমাবো,,, আর ডেকো না,,
মাঃ তোর গলা এমন কেন লাগছে,,,??
জ্যোতিঃ ও,,ঐ আইসক্রিম খেয়েছি একটু,,,, ভালো লাগছে না মা,,,, আমি ঘুমালাম,,,,,
মাঃ ঠিক আছে,,,,, (এ মেয়েতো রাত একটা বাজলেও ঘুমায় না,,, আজ এতো আগে ঘুমাতে চাইছে,,,) তোর কী শরীর খারাপ লাগছে,,?? ডাক্তার ডাকবো,,,?? দরজা খোল দেখি,,,
জ্যোতিঃ মা বিরক্ত করো না তো,,,, ঘুমাতে দাও,,,,
মাঃ ঠিক আছে,,,, বেশি খারাপ লাগলে বলিস,,,,
জ্যোতিঃ ঠিক আছে,,,, এখন ঘুমাতে দাও,,,
(সবার জীবন কেমন এলোমেলো হয়ে গেছে,,,, আরিয়ান চেষ্টা করছে অন্তরার সাথে দেখা করার,,,, কিন্তু কিছুতেই অন্তরার কাছে পৌছাঁতে পারছে না,,, অন্তরা বাড়ি থেকে বের হয় না,,, জ্যোতি নিজেকে ঘরবন্দী করে নিয়েছে,,, জ্যোতির বাবা-মা মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে,,,, কী হয়েছে বুঝতে পারছে না,,,,?? রিয়াদ আরো বেশী গম্ভীর হয়ে গেছে,,,, তনয় কোথায় আছে আর খবর নেই,,, সবকিছুর মধ্যে হৃদয় রহস্যময় আচরণ করছে,,, তার কোন হেলদোল নেই,,,,। হৃদয়ের মা হৃদয়কে দেখে কিছুই বুঝতে পারছে না,,,)
অন্তরাঃ কী ব্যাপার মা,,, বাড়িতে কী কেউ আসবে,,?? এতো আয়োজন কীসের,,??
মাঃ হুম,,,,
অন্তরাঃ কে আসবে,,,,??
মাঃ আরাভের অফিসের লোকজন নাকি আসবে,,??
অন্তরাঃ ওহ্,,,,, তো ভাইয়া কোথায়,,??
মাঃ রুমেই আছে,,, আজ নাকি অফিস যাবে না,,,,
অন্তরাঃ ওহ্,,,, আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলে আসছি,,,,
মাঃ ঠিক আছে,,, যা,, আর জিজ্ঞেস করে আয় তো কখন আসবে,,,??
অন্তরাঃ ঠিক আছে,,,,,(ভাইয়ার রুমের সামনে গেলাম) ভাইয়া আসবো,,,??
আরাভঃ হ্যাঁ আয়,,,, কিছু বলবি,,??
অন্তরাঃ হুম,,, কারা আসবে রে ভাইয়া,,,,??
আরাভঃ রিয়াদ স্যারে ছোট ভাই আর তার মা নাকি আসবে,,,,
অন্তরাঃ কীহ্,,,,,??
আরাভঃ হ্যাঁ
অন্তরাঃ তারা কেন আসবে,,,??
আরাভঃ সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না,,,, হৃদয় সাহেব কাল ফোন করে বললো একটু বাসায় থাকতে,,,, তার মা আর সে নাকি আসবে,,,, কী কথা আছে বললো,,,??
অন্তরাঃ ত,,,তোর সাথে তাদের কী কথা আছে,,,??
আরাভঃ সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না,,,, টেনশনে আছি,,, আমি তো অফিসে কিছু করিনি,,, আর অফিসে কিছু হলে তো রিয়াদ স্যারই বলতে পারতো,,, নাকি আরিয়ানের সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য কিছু বলবে,,,??
অন্তরাঃ আরিয়ান,,,,??
আরাভঃ (ধূর এই জানোয়ার টার নাম কেন নিলাম,,??)
অন্তরাঃ আরিয়ান কী করেছে আবার,,,??
আরাভঃ না তেমন কিছু না,,,, অফিসে একটু ঝামেলা হয়েছিলো,,,, তুই কিছু চিন্তা করিস না আমি সামলে নেবো,,,
অন্তরাঃ কিন্তু,,,,
আরাভঃ তুই এখন একটু যা,,, আমার একটু কাজ আছে,,,
অন্তরাঃ ঠিক আছে,,,,(ভাইয়ার রুম থেকে বের হয়ে আসলাম,,,, কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না,,,, কেন আসছে হৃদয় আর তার মা,,,?? আমার জন্য,,,?? না না সেটা হতে পারে না,,,?? হৃদয়ের মা আমাকে মেনে নিতে পারে না,,,, তাহলে কী আরিয়ানের জন্য,,,?? ভাইয়ার চাকরিতে কোন সমস্যা হবে না তো,,,?? আমি আর ভাবতে পারছি না,,,, চরম অস্থিরতায় সারাদিন পার করলাম,,, হৃদয় আর তার মা এলো বিকেলে,,,, আমি রুম থেকেই বের হলাম না,,,)
অন্তরার বাবাঃ এসব আপনি কী বলছেন,,,?? এটা কীভাবে সম্ভব,,?
হৃদয়ের মাঃ কেন সম্ভব নয়,,,?? আমাদের যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়,,,??
অন্তরার বাবাঃ আজ আপনাদের সমস্যা নেই,,, কাল সমস্যা হবে না তার কী নিশ্চয়তা আছে,,,?? এমন মেয়ে কেউ নিজের অবিবাহিত ছেলের জন্য মানতে পারে না,,,, অন্তরা কোনোদিক থেকে আপনার ছেলের যোগ্য নয়,,,,
হৃদয়ের মাঃ আমার জায়গায় অন্যকেউ হলে হয়তো মেয়ে নিতো না,,,, আমি কেন মানতে পারছি জানেন,,?? অন্তরা আর আমি একই সমাজের স্বীকার,,,,
অন্তরার বাবাঃ মানে,,,,??
হৃদয়ের মাঃ আমিও ডিভোর্সি,,,,
হৃদয়ঃ মা,,,,(রাগ করে)
হৃদয়ের মাঃ হৃদয় এখানে তোমার কোন কথা নেই,,?? মায়ের কাছে তুমি জীবনে প্রথম কিছু চেয়েছো,,, সেটা তোমাকে দিতে পারি কিনা সেটা দেখো,,,, তোমার থেকে আর একটা কথাও যেন না শুনি,,,
(হৃদয় নিজের রাগ চেপে বসে রইলো,,,,)
হৃদয়ের মাঃ সমাজ আমাকে ছেড়ে দেয়নি,,,, জীবনের সাথে লড়াই করে আজ এখানে পৌঁছাতে পেরেছি,,, আমার পাশে ছিলো আমার বাবা আর আমার দুই সন্তান,,,, অন্তরার পাশে যদি দাঁড়াতে পারি সেটা সৌভাগ্য,,,, অন্তরার কষ্ট আপনাদের থেকে আমি হয়তো বেশি জানি,,,,
অন্তরার মাঃ অন্তরা কখনো মা হতে পারবে না,,, সেটা জানেন আপনারা,,,
হৃদয়ের মাঃ জানি,,,,,
অন্তরার মাঃ এর পরও আপনাদের কোন আপত্তি নেই,,,??
হৃদয়ের মাঃ না,,, নেই,,,, কারণ আমার কাছে আমার ছেলের চাওয়াই বড়,,,
অন্তরার বাবাঃ আপনাদের কোন আপত্তি না থাকলে আমাদের কিছু বলার নেই,,, কিন্তু অন্তরা এখন বিয়ে করতে চায় না,,,,
হৃদয়ঃ অন্তরাকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার,,,
আরাভঃ আমার কিছু বলার আছে,,,
হৃদয়ের মাঃ হ্যাঁ বলো,,,
আরাভঃ আপনাদের কীভাবে বিশ্বাস করবো আমরা,,,?? আমার বোন অনেক কেঁদেছে,,, আমি আর এক ছোঁটা পানিও দেখতে পারবো না ওর চোখে,,,
হৃদয়ের মাঃ রিয়াদকে নিশ্চয়ই চেনো তুমি,,,, সিয়াকে কেমন ভালোবাসে তার প্রমাণও নিশ্চয়ই এতোদিনে পেয়েছো,,,হৃদয় রিয়াদেরই ভাই,,, আমার ছেলেরা নারীকে সম্মান করতে জানে,,, আর আমাদের ফ্যামিলির সম্পর্কেও হয়তো জানো,,,, আরিয়ান আর তার পরিবারের সাথে কোন মিল আছে বলে মনে হয় কী তোমার,,,?? আমরা মানুষ আরাভ,,,,, পশু নই,,,
আরাভঃ(সত্যি তো,,, আরিয়ান আর তার পরিবারের সাথে কোন মিল নেই উনাদের সাথে,,, নারীদের সম্মান করতে জানে উনারা,,, অফিসের প্রত্যেকটা মানুষ উনাদের সুনাম করে,,,, শুধু হৃদয় সম্পর্কে একটু খোঁজ নিতে হবে,,,) ঠিক আছে,,, অন্তরার মতামত জেনে নেই আমরা,,,, একবার জোর করা হয়েছে ওর সাথে,,, এবার ও না করলে আমাদের কিছু করার নেই,,, আমরা ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবো না,,,
হৃদয়ের মাঃ তাহলে আমরা আজ আসছি,,,,,,
হৃদয়ের মাঃ আপনারা কিছুই মুখে দিলেন না,,,??
হৃদয়ের মাঃ সুখবর পেলেই নাহয় খাবো,,,?? আসছি,,,
(হৃদয় আর হৃদয়ের মা চলে গেলো,,, অন্তরার পরিবারের সবাই কী করবে বুঝতে পারছে না,,?? মন চাইছে হৃদয়কে বিশ্বাস করতে,,,কিন্তু মস্তিষ্ক বলছে ঠিক হবে তো বিশ্বাস করা,,,)
অন্তরাঃ উনি এতো দূর যেতে পারে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না,,,। উনি কী এসব জেদের বসে করছে,,,?? যার এক ইশারায় হাজার মেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে যাবে,,,তাকে রিজেক্ট করলে জেদ চাপতেই পারে মাথায়,,, তবে কী সব জেদের বসেই করছে হৃদয়,,,??
চলবে,,,
💔#Divorce💔
Writer: Tahmina Toma
Part:29
অন্তরাঃ তবে কী সব জেদের বসেই করছে হৃদয়,,,??
(দুদিন হয়ে গেছে হৃদয়রা এসেছিলো,,,, কিন্তু অন্তরার সাথে কথা বলার সাহস হচ্ছে না কারো,,, যদি আবার বাড়ি থেকে চলে যেতে চায়,,,, রাতে খাবার পর সবাই শুতে চলে গেছে,,, অন্তরার মা তখন অন্তরার রুমে গেলো,,,,)
মাঃ অন্তরা,,,,,,
অন্তরাঃ হ্যাঁ মা,,,,
মাঃ আসবো,,,,
অন্তরাঃ হ্যাঁ এসো,,,,,(শুয়ে ছিলাম,,, মার কথা শুনে উঠে বসলাম,,মা এসে আমার পাশে বসলো,,)
মাঃ তুই কী রাজি অন্তরা,,,?? এবার আর জোর করবো না,,,, হৃদয়কে তুইও চিনিস,,,,
অন্তরাঃ হ্যাঁ মা,,,, হৃদয়কে আমি চিনি,,, তার মতো মানুষ হয়না,,,, কিন্তু মা এটা কীভাবে মেনে নিবো,,,? উনার মতো একটা ছেলে আমার মতো মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছে,,,, যেখানে আমার থেকে হাজার গুন ভালো মেয়ে সে ডিজার্ভ করে,,,, এখন আবেগের বসে এসব করছে,,, যখন বাবা ডাক শোনার জন্য ছটফট করবে কিন্তু আমার কিছু করার থাকবে তখন নিজের ভুলের আফসোস করবে,,,, সেটা আমি কীভাবে দেখবো,,,?? তখন নিজের চোখে ছোট হয়ে যাবো মা,,,
মাঃ তুই ভালো থাকবি অন্তরা,,,
অন্তরাঃ নিজের ভালোর জন্য অন্যের ক্ষতি আমি করতে পারবো না,,
মাঃ তুই যা চাস,,,,,,
অন্তরাঃ (মা রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো,,,)
মাঃ অন্তরা মানা করে দিয়েছে,,,
আরাভঃ মা,,, আগের বার আমি মানা করেছিলাম,,, কিন্তু এবার আমি বলছি,,, হৃদয়ের মতো ছেলে কখনো পাবো না অন্তরার জন্য,,,, আমি অনেকভাবে খোঁজ নিয়েছি,,, হৃদয়ের মতো ছেলেই হয় না,,,
মাঃ সেটা বুঝতে পারছি,,, কিন্তু কী করবো বল,,,?? অন্তরাও কিছু ভুল বলেনি,,,, ছেলেটা অবিবাহিত,,,, আর অন্তরা কখনো মা হতে পারবে না,,,, একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন যেমন মা ডাক শোনা তেমনই একটা ছেলেরও একটা বড় স্বপ্ন বাবা ডাক শোনা,,,,, আজ আবেগের বসে এসব করছে কাল আফসোস করবে না তার কী নিশ্চয়তা,,,??
আরাভঃ (সত্যি তো সব ছেলেই বাবা ডাক শুনতে চায়,,, এর জন্য ভবিষ্যতে আবার হয়তো অশান্তি হবে অন্তরার জীবনে,,,) ঠিক আছে,,, তুমি বাবাকে বলো রিয়াদ স্যারের মাকে ফোন করে না করে দিতে,,,, আমি আসছি,,,,
মাঃ ঠিক আছে,,,,
(আরাভ নিজের রুমে চলে গেলো,,, অন্তরার বাবাকে অন্তরার মা বললো কল করে না করে দিতে,,,)
ক্রিংক্রিংক্রিং
হৃদয়ের মাঃ আসসালামু আলাইকুম,,,
অন্তরার বাবাঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,, আমি অন্তরার বাবা বলছিলাম,,,,
হৃদয়ের মাঃ হ্যা বলুন,,, আপনাদের ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম,,,, কেমন আছেন আপনারা,,??
অন্তরার বাবাঃ জী আলহামদুলিল্লাহ,,, আপনারা কেমন আছেন,,,??
হৃদয়ের মাঃ সুখবর না দিলে ভালো কীভাবে থাকবো,,,,??
অন্তরার বাবাঃ মাফ করবেন আমাকে,,,, অন্তরা রাজি নয়,,৷
হৃদয়ের মাঃ কিন্তু,,,,
অন্তরার বাবাঃ মাফ করবেন,,,, আমরা আর ওর সাথে জোর করতে পারবো না,,, ভালো থাকবেন,,, আল্লাহ হাফেজ,,,
হৃদয়ের মাঃ আল্লাহ হাফেজ,,, (এটা এখন হৃদয়কে কীভাবে বলবো আমি,,,,?? অনেক রেগে যাবে,, কিন্তু আমারই বা আর কী করার আছে,,,??)
হৃদয়ঃ একটা কল করতে দুদিন পার হয়ে গেলো,,, এই জন্যই বলি এই মেয়ে এতো ঢিলা কেন,,?? যেমন বাবা-মা তেমন মেয়ে,,,
হৃদয়ের মাঃ হৃদয়,,,,,
হৃদয়ঃ হ্যাঁ মা,,,,,
হৃদয়ের মাঃ ঘুমিয়ে পড়ছিস,,,,
হৃদয়ঃ না,,, কিছু বলবে,,,??
হৃদয়ের মাঃ অন্তরার বাবা কল করেছিলো,,,,
হৃদয়ঃ সত্যি,,, কী বলেছে,,,??
হৃদয়ের মাঃ অন্তরা রাজি নয়,,, মানা করে দিয়েছে অন্তরার বাবা,,,,
হৃদয়ঃ (অনেক করে ফেলেছো অন্তরা,,, অনেক দেখে নিয়েছি তোমার কাহিনি,,, এবার দেখো আমি কী করি,,,?? সোজা আঙ্গুলে কাজ না হলে আঙ্গুল বাকাতে জানি আমি,,,,) ঠিক আছে মা,,,,
হৃদয়ের মাঃ তুই ঠিক আছিস,,,??
হৃদয়ঃ yeah,,, i am fine,,, আমার আবার কী হবে,,??
হৃদয়ের মাঃ ঠিক আছে,,, সিয়াম একা আছে,, আমি আসছি,,,
হৃদয়ঃ ওকে,,,,,
হৃদয়ের মাঃ (এতো সহজে মেনে নেওয়ার ছেলে তো হৃদয় নয়,,, কী চলছে ওর মাথায়,,??)
,,,,,
জ্যোতিঃ মা,,,,
মাঃ হ্যাঁ বল,,,,
জ্যোতিঃ তোমরা বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারো,,, এবার আর কিছু করবো না,,,
মাঃ তোর মাথা ঠিক আছে,,,,?? কী বলছিস এসব,,??
জ্যোতিঃ তখন মাথা খারাপ ছিলো,,, তাই পাগলামি করেছি,,, এবার আর ভুল হবে না,,,,।
মাঃ কী হয়েছে তোর জ্যোতি,,,? কয়েকদিন ধরে রুম থেকেই বের হচ্ছিস না,,,, জবও ছেড়ে দিয়েছিস,,
জ্যোতিঃ এটাই তো চেয়েছিলে যেন বিয়ে করে নেই,,,, এখন এতো প্রশ্ন কেন করছো,,,??
মাঃ কিন্তু,,,,,
জ্যোতিঃ এতো কথা ভালো লাগছে না মা,,,, আমার যা বলার ছিলো আমি বলে দিয়েছি,,, তোমাদের করার ইচ্ছে হলে করো নাহলে না করো,,,,
মাঃ জ্যোতি আমার কথা শুন,,,
(জ্যোতি আবার নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো,,,)
,,,,,
হৃদয়ঃ আমি আসছি,,,,,
হৃদয়ের মাঃ কোথায় যাচ্ছিস,,,??
হৃদয়ঃ কাজ আছে,,,,
হৃদয়ের মাঃ কী কাজ,,,??
হৃদয়ঃ এসে বলবো,,,,
(হৃদয় আর কোনো কথা না বলে বের হয়ে গেলো,,)
ক্রিংক্রিংক্রিং
অন্তরাঃ যা বলার বাবা গতকাল রাতে বলে দিয়েছে,,,
হৃদয়ঃ দুমিনিট সময় দিচ্ছি নিচে এসো,,,,
অন্তরাঃ আমি কোথাও যাবো না,,,,
হৃদয়ঃ যদি নিজের ভাইকে চাকরি হারিয়ে রাস্তায় নামতে না দেখতে চাও তাহলে আমার কিছু করার আগে এসো,,,,,
অন্তরাঃ আপনি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছেন,,,??
হৃদয়ঃ তোমার সময় শুরু হয়ে গেছে,,,,,
অন্তরাঃ আপনি কিন্তু বাড়াবাড়ি করছেন,,,,
হৃদয়ঃ বাড়াবাড়ি তুমি করেছো,,, আমি নই,,, সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে,,,, তোমার পরিবার পথে নামাতে আমার একটা ফোন যথেষ্ট,,,,
অন্তরাঃ আপনি এমন,,,?? আমি কল্পনাও করতে পারছি না,,,,
হৃদয়ঃ তোমার হাতে আর ৯০ সেকেন্ড সময় আছে,,,।
অন্তরাঃ(না না আমার জন্য পরিবারের ক্ষতি হতে পারে না,,,, উনি আমার ক্ষতি করবে না,,,, এটুকু বিশ্বাস আমার আছে,,,,, ওড়না ভালো করে বেঁধে বাড়ির বাইরে এলাম,,,,) কেন এমন করছেন,,??
হৃদয়ঃ চলো,,,,
অন্তরাঃ কোথায়,,,,??
হৃদয়ঃ গেলেই দেখতে পাবে,,,
অন্তরাঃ আমি কোথাও যাবো না,,,,,,??
হৃদয়ঃ ওকে,,, নিজের পরিবারের ধ্বংস দেখার জন্য তৈরি হও,,,,,
অন্তরাঃ আপনি এতটা নিচে নামতে পারবেন,,,??
হৃদয়ঃ কী করবে তুমি ঠিক করো,,,,??
অন্তরাঃ(গাড়ির দরজা খোলে ভিতরে গিয়ে বসলাম,,,)
হৃদয়ঃ(আমিও ওঠে গাড়িতে গিয়ে বসলাম,,)
(গাড়ি নিজ গতিতে চলছে,,, দুজনই চুপচাপ,,)
অন্তরাঃ কেন এমন করছেন,,,,?? কেন বুঝতে চাইছেন না,,,??
হৃদয়ঃ,,,,,,,
অন্তরাঃ আমি আপনার সাথে কথা বলছি,,,,,
হৃদয়ঃ,,,,,,,,,,
অন্তরাঃ শুনতে পাচ্ছেন না,,,?? (চিৎকার করে,,)
হৃদয়ঃ নামো,,,,,
অন্তরাঃ মানে,,,,??
হৃদয়ঃ নামতে বলেছি,,,,,,
অন্তরাঃ(এ যেন আমার কথাই শুনতে পাচ্ছে না,,, গাড়ি থেকে নেমে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো,,,,) কাজি অফিস,,,,,,,,???
হৃদয়ঃ ভেতরে চলো,,,,,,,,
অন্তরাঃ কেন যাবো এখানে,,,??
হৃদয়ঃ এখানে মানুষ কেন আসে,,,,??
চলবে,,,