#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 37
🍁🍁🍁
মধ্যাহ্নের শেষ ভাগ সূর্যের আলো পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার আর কিছুক্ষণ বাকি বাইরের প্রকৃতি এখনো আগ্নেয়গিরির ন্যায় উত্তপ্ত সূর্যের তীর্যক আলোয় একেক টা গাছের পাতা পুড়ে যাওয়ার অবস্থা নদীর পানি পুরো গরম হয়ে আছে মাহির বেডে বসে অফিসের কাজ করছে যতদিন না মাহিরের মা-বাবা ফিরবে ততদিন মাহির বাড়ি থেকেই কাজ করবে খুব দরকার না পড়লে অফিসে যাবে না শ্রাবণী নিচে থালা-বাসন ধুয়ায় ব্যস্ত। এরই মাঝে কলিংবেলের শব্দে মাহির বিরক্ত হয় বেশ এই অবেলায় কে আসতে পারে এটাই বুঝতে পারছে না মাহির কোল থেকে ল্যাপটপ টা বেডে রেখে নিচে দিকে অগ্রসর হয় সিঁড়ির কাছে আসতেই সোফায় বসে থাকা দুইজন কে দেখে মাহিরের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে মাহির হেসে নিচে নামে মাহিরকে দেখে শুভ আদিত্য উঠে এসে দুইটা কিল দিয়ে বলে
শুভঃ শা/লা বউ পেয়ে বন্ধু ভুলে গেলি এখন তো আগের মতো যোগাযোগই রাখিস না
মাহিরঃ তোরা আমার অস্তিত্বের একটা ইম্পর্ট্যান্ট অংশ তোদের ভুলি কি করে বল আসলে আব্বু নেই অফিসে কাজে চাপ প্রচুর তাই সময় হয়ে উঠে না কেমন আছিস তোরা আর রাহা কেমন আছে আমাদের পুচকু কেমন আছে
আদিত্যঃ আরে থাম থাম ধীরে ধীরে বল ভাবীর চরিত্র ধারণ করছিস নাকি
শুভঃ এতো কুয়েশ্চন কোনটা রেখে কোনটার এন্সার দেবো বল
মাহিরঃ ওহ সরি আচ্ছা চল বসে কথা বলি রুমে আয়
আদিত্যঃ এখানেই ঠিক আছি এখন আর হাঁটতে পারবো না বাইরে কি গরম রে ভাই তুমি তো রুমে বউয়ের আঁচলের নিচে বসে আছো
মাহিরঃ শা/লা অলস আর আমার বউ শাড়ী পড়ে না বুঝলি
শুভঃ হাহাহা
মাহিরঃ আচ্ছা বল আমাদের পুচকু সোনা কবে আসছে
শুভঃ ডেলিভারি ডেট এই মাসেরই চব্বিশ তারিখ
আদিত্যঃ ওহহহ ভাবী এদিকে আসুন কাজ পরে ও করতে পারবেন
শ্রাবনী হাতে ট্রে নিয়ে আসে তিন গ্লাস শরবত মিষ্টি ফল নিয়ে টেবিলে রেখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে
শ্রাবনীঃ কেমন আছেন ভাইয়া আপনারা
শুভঃ ভালো আছি তুমি কেমন আছো
শ্রাবনীঃ হনুমানের সাথে থেকে যেমন থাকা যায় তেমনই আছি ( আড়চোখে মাহিরের দিকে তাকিয়ে)
শ্রাবনীর কথায় শুভ আদিত্য মুখ চেপে হাসে মাহির ভ্রু কুঁচকে শ্রাবনীর দিকে তাকায়
শ্রাবনীঃ আরে ভাইয়া ঠান্ডা শরবত খান পরে গরম হয়ে যাবে
মাহিরঃ ভাই খাস না জীবনেও তাহলে এখনি হসপিটালে দৌড়াতে হবে রাহার ডেলিভারি না হয়ে তোর ডেলিভারি হবে
শ্রাবনীঃ ওয়াট ডু ইউ মিন
মাহিরঃ তুমি যা জগন্য রান্না করো কেউ খেলে হার্ট অ্যাটাক করবে
শ্রাবনীঃ এক্সকিউজ মি এটা রান্না করিনি চোখে খাটো নাকি মিষ্টি ফ্রিজ থেকে দিয়েছি আর শরবত আমি বানাতে পারি ওকে চুপ করে থাকুন
প্রতিত্তোরে মাহির ভেংচি কাটে শুভ আদিত্য এখনো ওদের টম&জেরির মতো লেগে থাকতে দেখে হেসে দেয়।
বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে শুভ আদিত্য চলে যায় সূর্য ও ততক্ষণে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে মাহির শুভদের বেশ কিছুটা এগিয়ে দিয়ে আসে ।
রিহিঃ নীর
নীরঃ হুমম বলো
রিহিঃ এখনো তোমার মুড অফ হয়ে আছে সেদিনের জন্য
নীরঃ আরে নাহহ ( হেসে) ইশান আর হিয়া কোথায়
এশাঃ ওদের নাম নেবে না ছেলে-মেয়ে দুটোই আস্ত বদের হাড্ডি হয়েছে এখনো পর্যন্ত খাওয়াতে পারলাম না
এশার কথায় নীর কিছু টা শব্দ করে হেসে দেয়
নীরঃ আমাকে দাও আমি খাইয়ে দেয়
রিহিঃ পারবে তুমি উল্টো মাথা গরম হয়ে যাবে
নীরঃ দেখি তো
নীর খাবার নিয়ে ড্রয়িংরুমে যায় ইশান আর হিয়া পড়া ছেড়ে টিভির কাছে এসে হা করে কাটুন গিলছে নীর গিয়ে ইশান আর হিয়ার মাঝে বসে পড়ে খাবার টা ট্রি টেবিলে রেখে হিয়া আর ইশান দুজনই নীরকে জড়িয়ে ধরে দুই গালে দুইটা পাপ্পি দিয়ে পুনরায় টিভির দিকে তাকায় নীর দুজনকে দুদিক থেকে আগলে মুচকি হেসে বলে
নীরঃ ইশান আর হিয়া মামনি শুনো একটা গল্প শুনবে
হিয়াঃ কি গল্প ছোট মা
নীরঃ শুনবে
ইশানঃ হুমমম
নীরঃ কিন্তু আমি তো বলবো না
হিয়াঃ কেনো
নীরঃ কারণ এই গল্প টা শুনতে হলে খেতে হয় কিন্তু তোমরা তো সেই কোন সময় খেয়েছো এখন রাত বাজে আটটা কিছুই খাওনি তাই শুনানো যাবে না এখন যদি তোমরা গল্প টা শুনতে চাও তাহলে তো খেতে হবে কিন্তু তোমরা তো খাবে না
ইশানঃ নাহ নাহ আমরা খাবো তো তুমি বলো
হিয়াঃ হুমমম ছোট মা খাবো তো আমরা তুমি গল্প টা বলবে তো
নীরঃ এই তো আমার লক্ষ্মী ছেলে-মেয়ে তাহলে হা করো
ইশান হিয়া দুজনই হা করে নীর ভাত মাখিয়ে প্রথমে ইশানের মুখে দ্যান হিয়ার মুখে দেয় ওরাও খেয়ে নেয়।
নীরঃ একদেশে এক রাজকন্যা ছিলো দেখতে পুরো পরীর মতো মা-বাবার একমাত্র মেয়ে খুব সুখেই ছিলো রাজকন্যার জীবন হঠাৎ একদিন এক রা/ক্ষসের নজরে রাজকন্যা পড়ে তখন কি হয়েছে জানো
ইশানঃ কি হয়েছে
নীরঃ তখন রা/ক্ষস রাজার রাজকন্যার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলো কিন্তু রাজকন্যার বাবা তো কিছুতেই রাজকন্যাকে এই রা/ক্ষসের হাতে তুলে দেবে না তাই তিনি না করে দিয়েছিলো তাতে রাক্ষস খুব ভয়ানক ক্ষেপে যায়
হিয়াঃ তারপর
নীরঃ তারপর রাজকন্যা একদিন একটা পুকুরপাড়ে বসে বান্ধবী দের সাথে গল্প করছিলো তখনই ওই রা/ক্ষস টা এসে রাজকন্যা কে উঠিয়ে নিয়ে যায় রাজকনার বান্ধবী রা তৎক্ষনাৎ রাজকন্যার মা-বাবা কে জানায় রাজকন্যার মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে অন্যদিকে রাজকন্যাকে নিয়ে রা/ক্ষস বিয়ের আসরে বসায় রাজকন্যা অনেক কান্না কাটি করে কিন্তু রা/ক্ষসের মন একটুও গলে না রাজকন্যাকে কবুল বলতে বলা হলে রাজকন্যা না করে তাই রা/ক্ষস টা সপাটে চড় মারে রাজকন্যা কেঁদে দেয় তখনই ওখানে একটা সুদর্শন রাজপুত্র এসে রাজকন্যাকে তুলে নিয়ে আকাশপথে উড়ে চলে যায় রা/ক্ষস আর কোথাও রাজকন্যা কে পায় না অন্যদিকে রাজপুত্র রাজকন্যার মা-বাবার সম্মতি তে রাজকন্যাকে বিয়ে করে তারপর থেকে তারা খুব সুখে-শান্তিতে বাস করতে থাকে এখানেই রাজকন্যা রাজপুত্রর গল্পের ইতি টানা হয়।
গল্প শোনায় এতোই মশগুল ছিলো ইশান আর হিয়া এদিকে নীর ওদের সম্পূর্ণ ভাত খাইয়ে দেয় রিহি আর এশা অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকায় সায়নরা অফিস থেকে এসে সবাই নীরের পেছনেই দাঁড়িয়ে ইশান&হিয়ার মুখের ভঙ্গিমা দেখছিলো হঠাৎ হিয়া সচকিত হয়ে বলে উঠে
হিয়াঃ ছোট চাচ্চুর মতো সুপারম্যান ছোট চাচ্চু যেমন যেমন তোমাকে নিয়ে আকাশে উড়ে চলে গিয়েছিলো
হিয়ার কথায় নীরের বিয়ের দিন মনে পড়ে যায় অজান্তেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে নীর দুজনকে জড়িয়ে বলে
নীরঃ হুমম মা তোমার ছোট চাচ্চুর মতো সুপারম্যান
নীরের কথায় সায়ন নিঃশব্দে হেসে দেয়।
মাহিরঃ এটা কি করলে তুমি ( রেগে চেঁচিয়ে)
মাহিরের রাগ দেখে শ্রাবণী ভয় পেয়ে যায় সামনেই মাহির রক্তচক্ষু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেডে পড়ে আছে কিছু কাগজ তারমধ্যে পানি পড়ছে সবগুলে কাগজ পুরো ভিজে একাকার অবস্থা কিছুক্ষণ আগেই মাহির শ্রাবনীর কাছে পানি চেয়েছিলো শ্রাবনী পানি দিতে অসাবধানতায় মাহির গ্লাস ধরার আগেই শ্রাবনী গ্লাস ছেড়ে দেয় যার ফলস্বরূপ পুরো পানি মাহিরের ইম্পর্ট্যান্ট কিছু কাগজে পড়ে যায় তারপরই মাহির রেগে যায়
মাহিরঃ একটা কাজ ঠিক মতো করতে পারো না না পারলে না করতে আমার কত বড় ক্ষতি করেছো বুঝতে পারছো তুমি সারাদিনের পরিশ্রম টায় বৃথা গেলো
শ্রাবনীঃ আ আসলে আমি বু বুঝতে পারিনি
মাহিরঃ বুঝতে পারিনি এই একটা কথায় কি আমার সবগুলো কাগজ ঠিক হয়ে যাবে ইউজলেস একটা কোনো কাজের না লাইফ টা হেল করে দিলে আমার
মাহিরের কথায় শ্রাবণীর চোখে পানি চলতি আসে না বুঝে না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছে যদিও এতে মাহিরেরও দোষ নেই সারাদিন পরিশ্রম করে এখন এটা নষ্ট হলে যে কেউই রাগ করবে তাই বলে ইউজলেস শ্রাবনীর বেশ খারাপ লাগে মাহিরের মতো ব্যবহার এর আগে শ্রাবনীর সাথে কেউ করেনি শ্রাবনী আর থাকবে না এখানে আজ রাতেই চলে যাবে আর কখনো এই বাড়িতে আসবে না। শ্রাবনীকে চুপ থাকতে দেখে মাহির আরো রেগে যায় রাগে কাঁচের গ্লাস টা মেঝেতে ছুড়ে মারে মুহুর্তেই গ্লাস টা ভেঙ্গে শত শত টুকরা হয়ে যায় গ্লাস ভাঙার শব্দে শ্রাবনী কেঁপে উঠে মাহির রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায় শ্রাবণী চোখের পানি মুছে ভাঙা কাচঁ গুলো তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
রাত বাজে দশ টা মাহির এখনো রুমে আসেনি শ্রাবনী কাবার্ড থেকে নিজের কয়েক টা ওড়না বের করে বেলকনিতে চলে যায় ওকে যেভাবেই হোক পালাতে হবে এখানে থাকলে মাহিরের রাগে জ্বলে পুড়ে ভস্ম হতে হবে তাই শ্রাবনী পালাতে ওড়নার একটা কোনার সাথে আরেক টা কোনা বাধঁতে শুরু করে এভাবে কয়েক টা ওড়না বেঁধে বেলকনির কাপড় মেলার দড়িতে ওড়না টা শক্ত করে বেঁধে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দেয় গায়ের ওড়না টা কোমড়ে বেঁধে বিড়বিড়িয়ে বলে
শ্রাবনীঃ হুদাই আমাকে বকা দেওয়া না হয় একটু আধটু ভুল করি তাই বলে বকবি আজ থেকে কাকে বকি আমি আর তোর কাছে থাকবো না আজই পালাবো হুহহ
বলেই শ্রাবনী বেলকনির বাইরে এক পা বের করে ওড়না টা ধরে আরেক পা বের করার জন্য পা উঁচু করতেই হাতের বাহুতে হেঁচকা টানে শ্রাবনী হুমড়ি খেয়ে পেছন ঘুরে যায় মাহির দাঁতে দাঁত চেপে বলে
মাহিরঃ বুদ্ধি পুরো হাঁটুর নিচে তোমার এতো বড় শরীরের ভার এই সামান্য দড়ি বইতে পারবে নিজেও মরতে দড়ি টা ও ছিড়তো মিনিমাম কমনসেন্স টুকুও নেই তাই না আর এভাবে পালিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছো আমি খুব অত্যাচারী আমার অতঢ়াচারে জর্জরিত হয়ে তুমি পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করেছো
শ্রাবনীঃ ছাড়ুন বলছি আমার হাতে লাগছে
মাহিরঃ এখন তো সামান্য হাতে লাগছে আমি ঠিকসময় না আসলে হাতে না পুরো শরীরেই লাগতো
শ্রাবনীঃ আপনি সারাক্ষণ আমাকে শুধু বকেন একটুও ভালোবাসেন না আমি আপনাকে কত ভালোবাসি কিন্তু আপনি সারাদিন আমার সাথে এমন করেন কেনো করেন এমন আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি তখন কি আমি ইচ্ছে করে পানি ফেলেছিলাম আমাকে কতগুলো কথা শুনালেন আমার বুঝি কষ্ট হয় না আমাকে বিয়ে না করতে চাইলে পালিয়ে যেতেন তবুও এমন করেন কেনো এখন আমার খুউব কষ্ট হয় আমার সাথে এর আগে কেউ এমন করেনি আমি তো আপনাকে কত ভালোবাসি তুই আমাকে একটু ভালোবাসতে পারিস না আমি কি খুউব খারাপ আমাকে ভালোবাসা যায় না টুকটুক
শ্রাবনীর কথায় মাহির থমকে যায় হার্টবিট দ্রুত বাউন্স করতে শুরু করে পুরো শরীর দিয়ে শীতল হাওয়া বয়ে যায় শ্রাবণী চোখে পানি চিকচিক করছে মাহির নিজেকে ধাতস্থ করে শান্ত গলায় বলে
মাহিরঃ তুমি আমাকে ভালোবাসো
শ্রাবনীঃ হুমমম খুউব
মাহিরঃ কবে থেকে কিভাবে
শ্রাবনীঃ কবে থেকে জানি না তবে আমি শুধু এটা জানি আমি তোকে ভালোবাসি বেস্টুও বুঝেছিলো আমি তোকপ ভালোবেসে ফেলেছি তাই বেস্টু আমাকে বুঝ দেওয়ার জন্য বলেছিলো তুই আমাকে আগে তো সারাদিন বকতি তার রিভেঞ্জ নেওয়ার জন্য বিয়ে করে নিতে কিন্তু আমি ঠিকই বুঝেছিলাম বেস্টু চেয়েছিলো আমি তোকেই বিয়ে করি তাই ও আমাকে এভাবে বলেছে যেনো আমি রাজি হয়ে যায় জানিস বেস্টু আমার না বলা সব কথা বুঝে যায় আমি যা বুঝতে অক্ষম বেস্টু তা বুঝে যায় যেমন তোর বিষয় টা ও বুঝে গেছে আমাকে বেস্টু সবসময় আগলে রেখেছে যেই মেয়ে আমার জন্য জীবন বাজি রাখতে পারে সেই মেয়ে কখনো আমার খারাপ চাই না এটা আমি বুঝি জানিস গায়ে হলুদের রাতে আমি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বেস্টু এসেছিলো অনেকক্ষণ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলো কেদেওছিলো ও ভেবেছে আমি এসব জানি না ও আমাকে ভার্সিটির লাস্ট দিন বলেছিলো আমি আমার লাইফে সবথেকে বেস্ট গিফট হিসেবে তোকে পেয়েছি আমিও এটাই ভাবতাম কিন্তু তুই তো আমাকে সহ্যই করতে পারিস না ভালো কিভাবে বাসবি আমার বেস্টু জানলে অনেক কষ্ট পাবে আমি আগে বেস্টু কে কিছু না বলে থাকতে পারতাম না সারাক্ষণ পেটভার হয়ে থাকতো এই আমিই এখন বেস্টুর থেকে কত কথা লুকায় বেস্টু তো আমার ভালোর জন্য এমন করেছে কিন্তু তুই আমাকে একটু ও ভালোবাসিস না শুধু কষ্ট দিস কেনো টুকটুক কি দোষ আমার আমি না হয় একটু বাচ্চা টাইপের এটাই আমার সমস্যা যখন এই আমি টা হারিয়ে যাবো অন্য আমি আসবো তখন এই আমি টা কে খুব মিস করবি বাচ্চা স্বভাবের মেয়েগুলো সবার ভাগ্যে থাকে না বুঝলি সময় থাকতে মূল্য বুঝতে শেখ হারিয়ে গেলে খুঁজে ও পাবি না
শ্রাবনী প্রতিটা কথায় আজ মাহিরের প্রতি তীব্র অভিমান প্রকাশ করছে মাহির স্মিত হেসে বলে
মাহিরঃ আমার শিশু বউ টা ধীরে ধীরে খুব বড় হয়ে যাচ্ছে নিজের কষ্ট ও লুকাতে শিখে গেছে এতো বড় কবে হলে
শ্রাবনীঃ আরো বড় হবো দেখিস তখন আর এই আমি টা কে পাবি না
মাহিরঃ এতো ভালোবাসো কেনো আমি তো তোমার চোখের দুনিয়ার খারাপ
শ্রাবনীঃ হ্যাঁ তুই পঁচা খুউব খারাপ তবুও আমি তোকেই ভালোবাসি
শ্রাবনী মাহিরকে জড়িয়ে ধরে
চলবে,,,,,,
( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধনিয়া পাতা)