Marriage_With_Benefits Part-27+28

0
5314

#Marriage_With_Benefits
#Part_27
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
দুষ্টামি শিখেছো অনেক তাই না?(আভিও দৌড়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে)

আভির দৌড় দেখে আমিও দৌড় দিলাম।কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ও আমাকে পিছন থেকে ধরে এক টানে এনে আমাকে কোলে তুলে নিলো। ও আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ঘুরাতে লাগল।আমিও খুব জোড়ে জোড়ে হাসছি।আজ যেনো আমার খুশির কোনো সীমা নেই।আভিও আমার সাথে মন খুলে হাসছে।হটাৎ তাল না মিলাতে পেরে আমরা দুজনই পানিতে পড়ে গেলাম।
কিন্তু পরেও একে অপরের দিকে পানি ছুটোছুটি করতে শুরু করলাম।অনেকক্ষণ দুইজন পানির মধ্যে খেলাকরে ভিজে টিজে এখন পাড়ে বসে আছি।

আভি আর আমি সমুদ্র পানে চেয়ে আছি।কি সুন্দর লাগছে সমুদ্রটা।সত্যিই আভি সমুদ্র সৈকত বলে ভালোই করেছে।সমুদ্র ততটাও খারাপ না।আমি যতটা ভেবেছিলাম।

আস্থা চলো।হোটেলে ফিরে যাই(আভি)

কেনো?একটু বসি না।প্লিজ।(আমি কিউট ফেস করে)

না চলো।ভিজে শরীরে বসে থাকলে ঠান্ডা লাগবে।(আভি)

একটু বসলে কিছুই হবে না।বসি না একটু।আচ্ছা এই দশ মিনিট প্লিজ।(আমি)

ইদাইং খুব বায়না করা শিখে গেছো?(আভি ভ্রু উচুঁ করে)

কারণ ঈদাইং কেউ আমার সব ইচ্ছা পূরণ করা শুরু করে দিয়েছে।(আমি আভির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম)

আভি আর কিছু বললো না।এসেই আমার পাশে বসে গেলো।

আমি চেয়ে চেয়ে সমুদ্রের শান্ত ঢেউ গুলো দেখছি।

অন্যদিকে আভি
আমি তোমার মুখে এই হাসিটাই দেখতে চাই সারাজীবন।তার জন্য যদি আমাকে সারাজীবন এইভাবে বসে থাকতে হয় তাই হবে।তবুও আস্থা তোমার মুখের হাসির কাছে আমার অপেক্ষা কিছুই না।
আভি আস্থার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছিলো তখনই পাশে থাকা কয়েকটা ছেলে আস্থা দেখে বললো
ভাই।ওই মেয়েটাকে দেখ।কি সেক্সী লাগছে।তাই না?(একটা ছেলে)

হো ভাই।ভিজে কাপড় কি ভাবে লেপ্টে আছে।শরীরের পুরো ভাঁজ বোঝা যাচ্ছে।(দ্বিতীয় ছেলে)

একবার যদি এই মেয়ের সাথে পানি ওয়ালা ডান্স দিতে পারতাম।বুকটা ঠান্ডা হয়ে যেতো।(তৃতীয় ছেলে)

আরো বাজে কথা ওরা আস্থাকে উদ্দেশ্য করে বলছে।

আভি ছেলেদের কথা শুনে মাথায় রক্ত উঠে গেলো।কিন্তু এখন এখানে অনেক মানুষ আছে কিছু করা যাবে না।কিন্তু এদের ছেড়ে দেওয়া যাবে না।তবে এখন না।(আভি মনে মনে)

আভি ওর গায়ে থাকা জ্যাকেটটা আস্থার গায়ে জড়িয়ে দিয়ে বললো
আস্থা চলো!

দশ মিনিট হয়ে গেছে?(আমি অবাক হয়ে)

হুম।আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে।আর এখানে বসে থাকলে চলবে আরো কত কিছু আছে দেখার।ওই গুলো কখন দেখবে?(আভি)

হুম।তাও ঠিক।আচ্ছা চলো।(আমি)

আভি আর আমি হাত ধরে হোটেলের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।হোটেলে ঢুকতেই আভি বললো
আস্থা।তুমি রুমে যাও।আর এই নাও রুমের চাবি।আমি একটু আসছি।
বলেই আভি চলে গেলো।আমাকে জিজ্ঞেস করার সময়ও দিলো না কোথায় যাবে?

আমি রুমের ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।


অন্যদিকে আভি
তোমাদের আমি তিনটা ছেলে দেখিয়ে দিচ্ছি।ওদের এমন ভাবে ধরে আনবে যাতে কেউ টের না পায় আর এমন জায়গায় রাখবে যাতে ওদের কেউ সহজে খুঁজে না পায়।মনে রাখবে আমি না আশা পর্যন্ত টর্চার করবে কিন্তু একটাও যাতে মারা না যায়।কারণ শেষ শাস্তি আমি ওদের দিবো।মনে থাকবে!(আভি)

জ্বি স্যার।(আভির বডিগার্ডরা)


আশার আগেই আভি ওর বডিগার্ডদের সাথে করে নিয়ে এসেছে ছিলো।কিন্তু এইটা আভি ছাড়া কেউ জানে না এমন কি নিহাল আর আস্থাও না। ও ভেবে ছিলো আরমান চৌধূরী কোনো প্ল্যান করবে।আর ও যাতে আরমান চৌধূরী কোনো প্ল্যান করলে তার ব্যাক আপ দিতে পারে তার জন্য বডিগার্ড আনা।কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার আরমান চৌধূরী না…কিছু বখাটে ছেলেরা আস্থাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে।যা আভির একদম সহ্য হয়নি।তাই ও ওর বডিগার্ডদের দিয়ে ছেলে গুলোকে ধরে নিয়ে শাস্তি দিবে।


অন্যদিকে আভি হোটেলে ঢুকে দেখলো আস্থা রুমের দরজা খোলা রেখেই ওয়াশ রুমে ঢুকে গেছে।
এই মেয়েকে নিয়ে আর পারি না।দরজা বন্ধ করলে কি দোষ হয়ে যেতো। এখন আমার বদলে যদি অন্য কোনো কেউ আসতো তাহলে কি হতো?এমনি ওই ছেলে গুলো নজর দিয়েছে।এখন তো দেখছি আমার এই মেয়ের বডিগার্ড হয়ে থাকতে হবে!(আভি)

কার সাথে কথা বলছো?
আমি ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে চুল মুছতে মুছতে।

কার সাথে আবার আমার কপালের সাথে।আচ্ছা দরজাটা একটু লাগিয়ে দিলে কি দোষ হয়?(আভি)

আমি দরজা লাগিয়ে দিলে তুমি কি করে ঢুকতে বলো?(আমি নিজের দোষকে ঢাকার চেষ্টা করে)

হইছে।এখন আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করতে হবে না।(আভি)

আপনি আবার আমার কথা বলছেন?আপনি ধীরে ধীরে একদম আমার মত হয়ে যাচ্ছেন।(আমি খুশি হয়ে)

হইছে আপনার?এখন তো আপনি অনেক খুশি?আমি আপনার মতো হচ্ছি!এখন অন্তত ওয়াশ রুমে ঢুকতে দেন না হলে আমার শরীরে হানিমুনের বাতাসের বদলে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাবে।(আভি)

ও হ্যা হ্যা যান।
বলেই আমি সাইড হয়ে গেলাম।

আভি ওয়াশ রুমে ঢুকতেই আমি হেসে দিলাম। মি:কোবরা এখন মি: সুইট হয়ে গেছে।কে জানত রাগী মুখোশের আড়ালে এতো হাসি খুশি মানুষ লুকিয়ে আছে।আর একদিনই এই হাসি খুশি মানুষ তাকে আমায় ছেড়ে চলে যেতে হবে এইটাই এই সম্পর্কের অবনতি।যা চাইলেও আমি আটকাতে পারবো না।

আমি আমাদের সম্পর্কের কথা ভাবছি তখনই আভি আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বললো
সমুদ্র সৈকত না দেখে আমার জামা বের করে দাও।লক্ষী বউ।

আমি ভয়ে লাফ দিয়ে উঠে পিছনের দিকে তাকালাম

উনি আমার ভয় পাওয়া চেহারা দেখে খুব হাসলো
আস্থা।তুমিও ভয় পাও তাহলে।কি আশ্চর্য!

এতে আশ্চর্য কি?আমি মানুষ আমিও তো ভয় পেতেই পারি!(আমি ভেংচি দিয়ে)

তাই নাকি!দ্যা গ্রেট আস্থা ভয়ও পায়।
বলেই আবার এক গাল হেসে উঠলো।

হয়েছে।হয়েছে।আর আপনি আবার খালি গায়ে ঘুরছেন?(আমি)

হুম।ঘুরছি। তো কি করবো? আমার জামা তো ম্যাম আপনি জানেন।কারণ আপনি প্যাক করছেন।(আভি)

দাড়ান আমি বের করে দিচ্ছি।
বলেই আমি উনার ব্যাগ থেকে জামা বের করতে করতে বললাম
আপনার না কিছু হবে না।আমি না থাকলে কি করবেন আপনি?

আমার এই কথা শুনেই উনি আবার আমার কাছে এসে ফিসফিস করে বললো
তুমি যেখানে যাবে সেখানে থেকে তুলে নিয়ে আসবো।কারণ আমাকে ছাড়া তুমিও অচল।we get benefits from each other।
বলেই উনি আমার হাত থেকে কাপড়টা নিয়ে চেঞ্জ করতে চলে গেলো।
আমি সেখানেই বসে আছি।আমরা কি শুধু বেনিফিটস্ এর জন্য এক সাথে আছি।এই ছাড়া কি আর আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই?বেনিফিটস্ তো ফুরিয়ে যায় আর ভালোবাসা তো সারাজীবন থাকে।উনাকে কেনো বলতে হবে আমরা বেনিফিটস্ কাপল আর আমারই বা কেনো এই কথা শুনলে খারাপ লাগে?
অনেকক্ষণ এই আলতো ফালতু কথা ভেবে অবশেষে নিজের মনকে সংযত করলাম।
না আস্থা।নিজের ভাবনাকে কাবু করতে হবে কিছুতেই নিজের মনকে মস্তিষ্ক থেকে উপরে উঠতে দেয়া যাবে না।(আমি মনে মনে)

আস্থা কই?তুমি তৈরি হয়েছো!আমার কিন্তু খুব ক্ষুদা লাগছে।(আভি)

হ্যা।আমি তো অনেক আগেই তৈরি।
বলেই এক গাল হাসি দিলাম।

আভি আমার হাত ধরে বাহিরের দিকে পা বাড়ালো।আমিও উনার হাত শক্ত করে ধরলাম।কেনো জানি মনে হয় এই হাত জুটলে অনেক দূরে চলে যাব।

কি হলো?ভয় হয় জুটে দূরে চলে যাবে?(আভি আমার হাত শক্ত করে ধরে)

কই না তো।(আমি অন্যদিকে মুখ দিয়ে)

চিন্তা করো না।আমি এই হাত সহজে ছাড়বো না।আর সহজে কি,,,ভুলেও ছাড়বো না।
বলেই আমাকে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো আভি।

আমি জানি না ভবিষ্যত কেমন হবে!তবে এইটা বলতে পারি যে যেটুকু বর্তমান আছে তাই প্রাণ খুলে কাটাতে চাই। হাত ধরে হাঁটার যেটুকু তৌফিক আছে সেটুকু পুরোটা উপভোগ করতে চাই।

সেদিন সারাদিন খাওয়া আর ঘুরার মধ্যে দিয়ে গেলো। আমার খুব ভালই গেলো দিনটা।এক সাথে সূর্য ডুবা দেখলাম।আভিকে নতুন করে জানতে পারলাম।যতই জানছি ততই যেনো ডুবে যাচ্ছি আভিতে।


রাতে খাওয়ার পর আভি কোথায় যেনো যাবে বলে বেরিয়ে গেলো।আসতে দেরি হতে পারে।তাই আমাকে বললো আমি যেনো বেডেই ঘুমাই।কিন্তু কাল তো আমি সোফায় ঘুমাতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমি উঠলাম বেডে।এই ঘটনা আভিকে জিগ্যেস করতেই আভি উল্টা পাল্টা যুক্তি দিতে শুরু করলো।অবশেষে তা আমার কাছে রহস্যই রয়ে গেল।আমি আর ওইসব না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম।আভি চাবি নিয়ে গেছে তাই কোনো সমস্যা নেই।


অন্যদিকে
কি যেনো বলেছিলি?মেয়েটাকে খুব সেক্সী লাগছে তাই না?
আভি হাতে একটা ছুরি নিয়ে বসে আছে।

না ভাই ভুল হয়ে গেছে আর হবে না।(প্রথম ছেলেটি)

আর কিছু হাওয়ার চান্স দিলে তো করবি?আর তোরা কি যেনো বলেছিলি পানি ওয়ালা ডান্স দিবে তাই না?(আভি)

না ভাই।মাফ করে দেন এইভাবে মতো!(ছেলে তিনটা)

আমি কাউকে মাফ করি না।যাদের যা প্রাপ্য তা তাদের বুঝিয়ে দেই।

বলেই আভি ওদের মধ্যে একটি জিহ্বা কেটে দিলো।ছেলেটা চিৎকার করতে শুরু করলো।একে একে তিনটা ছেলেরই জিহ্বা কেটে দিলো।

যেই মুখ দিয়ে তোরা আমার স্ত্রীর নামে বাজে কথা বললি।আজকের পর থেকে তোরা সেই মুখ দিয়ে আর কিছু বলতে পারবি না।

আর তোমরা(বডিগার্ড) এদের এমন হাল করো যাতে এরা আর কোনো মেয়েকে কখনও বাজে কথা না বলতে পারে।(আভি)

আমি মানুষকে সহজে মারি না।কারণ সে এক বার মারা গেলো তো শান্তি পেয়ে গেলো।আমি ওদের এমন হাল করি যাতে ওরা মৃত্যুর জন্য হাত পাতে।
বলেই আভি বেরিয়ে গেলো।


হোটেল রুমে
আস্থা শান্তিতে ঘুমাচ্ছে।কিন্তু আজ আর আভি রিস্ক নিতে চায় না।

না ভাই।আজ আর কাছে গিয়ে কিছু বলবো না।যদি মশা ভেবে আবার থাপ্পড় দিয়ে বসে।এই মেয়ের ভরসা নেই।
বলেই আভি গিয়ে আস্থার পাশে ঘুমিয়ে পড়লো।


এতদিন আমরা অনেক মজা অনেক ঘুরো ঘুড়ি করলাম।কাল সকালেই চলে যাবো।তাই ভাবলাম আজ সকালে সবার জন্য শপিং করবো।আভি না করে দিয়েছে কারো জন্য কিছু নিয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।কিন্তু আমি শুনি ওর কথা আমি সবার জন্য নিবো তো নিবোই।আর অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের জন্যও নিলাম।গিফট গুলো অনেক।আমি কিনছি আর আভি সেগুলো নিয়ে গাড়িতে রাখছে।সবার জন্য শপিং করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।আমি আর আভি হোটেলে ঢুকার সময় জানতে পরলাম আজ নাকি কিসের মেলা।


হোটেল রুমে
আভি চলো না মেলায় যাই।(আমি বায়না ধরে)

না।কালকেই আমরা চলে যাবো আজ কোথাও যাওয়ার দরকার নেই।(আভি)

কাল চলে যাবো বলেই তো আজ যেতে চাইছি!(আমি)

তোমার ইচ্ছে হলে তুমি যাও।আমার অফিসের কিছু কাজ আছে।(আভি)

আভি আমরা হানিমুনে আসছি কাজে না।তুমি কেনো বুঝতে পারছো না!(আমি)

আস্থা।প্লিজ কাজটা জরুরী।(আভি)

আমার থেকে বেশি জরুরী?(আমি)

হ্যা।হইছে।এখন যাও তুমি একাই মেলায় যাও তো!(আভি)

আমি মন খারাপ করে মেলাতে চলে গেলাম।


অন্যদিকে আভি ফোনে
স্যার আপনি যা যা বলেছেন সব তৈরি।(ক্যামেরাম্যান)

আপনি আমি যেইভাবে বলেছিলাম।ছবি গুলো সেইভাবে ফ্রেম করে নিয়ে এসেছেন?(আভি)

জ্বি।স্যার।এখন?(ক্যামেরাম্যান)

নিয়ে আসুন রুমে।
বলেই আভি ফোনটা কেটে দিলো।
আজ আস্থা ওর এই কয়দিনের সুন্দর মুহূর্তের ছবি গুলো দেখলে খুব খুশি হবে।

তখনই দরজায় টোকা পড়লো।
আভি গিয়ে দরজা খুললো।
কোথায় এনেছেন?(আভি)

এইযে স্যার।
লোকটা ছবির ফ্রেম গুলো এগিয়ে দিয়ে।

থ্যাঙ্ক ইউ।আর এই নেন আপনার প্রেমেন্ট।(আভি)

থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।
বলেই ক্যামেরাম্যান চলে গেলো।

আভি আস্থার ছবি গুলোতে হাত বুলাতে বুলাতে বললো
যখন দেখলাম তোমার ছবি তুলতে এতো ভালো লাগে তখন উনাকে ভাড়া করলাম।যেই কয়দিন আমরা এখানে থাকবো উনি আমাদের কাপল পিক তুলে দিবেন কিন্ত সেইটা তোমাকে না জানিয়ে।যখন তুমি এই ছবি গুলো দেখবে আমি শিউর তুমি চমকে উঠবে।আর অনেক খুশি হবে।আর তোমার সেই হাসি মাখা মুখ দেখতেই এতো কিছু করা আস্থা।

তখনই কেউ একজন কল দিলো।ফোন বের করতেই আভি দেখো আস্থার নাম আর সাথেই আস্থার ছবি।

এই দেখো।নাম নিতেই তোমার ফোন।হাজার বছর বেচেঁ থাকবে তুমি।
আভি মনে মনে কথা গুলো বলে ফোনটা রিসিভ করলো
হ্যাল্লো আস্থা।আমি এতো ক্ষন তোমার কথাই ভাবছিলাম।কখন আসবে তুমি?(আভি)

ও তাহলে ভিক্টিমের নাম আস্থা।(ওপাশ থেকে এক পুরুষ কণ্ঠ)

ভিকটিম মানে?(আভির হাত পা কাপছে)

আসলে এখানে একটা মেয়ে অ্যাকসিডেন্ট করেছেন! বোধহয় আর বেঁচে নেই। বডি সিটি হসপিটালে নেওয়া হচ্ছে।যদি বেচেঁ থাকে আর কি!কিন্তু আমার মনে হয়না বেচেঁ আছে।তারপাশে আমরা এই ফোনটা পেলাম।আর সবার প্রথমে আপনার নম্বর ছিলো তাই কল দিলাম।ফোনটা কার?(লোকটা)

আ,,,আমার ওওয়াইফের।আপনি কে?(আভি কাপা কন্ঠে)

আমি এই এলাকার ওসি।আপনি প্লিজ ভেঙ্গে পড়বেন না।আপনি সিটি হসপিটলে এসে দেখে যান উনি আপনার ওয়াইফ কিনা?আর যদি হয় তাহলে ফর্মালিটি পূরণ করে মৃতদেহ নিয়ে যান।
বলেই ফোনটা কেটে গেলো।

আভির যেনো চারপাশে সব কিছু অন্ধকার হয়ে গেলো।আভি মাটিতে বসে পড়লো
আস্থা।আস্থা তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না।আমি
কেনো তোমাকে একটা ছাড়তে গেলাম।
বলেই আভি চিৎকার করে কাদতে শুরু করলো।


চলবে,,,,
#Marriage_With_Benefits
#Part_28
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
আভি আস্থার ছবি নিয়ে কান্না করতে শুরু করলো।বাচ্চাদের খুব পছন্দের খেলনা ভেঙ্গে গেলে যেইভাবে হাউমাউ করে কান্না করে আভিও সেই রকম করে বরং তার চেয়ে বেশি কান্না করছে।
আস্থা।তুমি আমাকে ছাড়তে পারো না।আমাদের marriage with benefits এখনও পূরণ হয় নি।আমি এখনও তোমাকে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেইনি।আস্থা আমি কলি আন্টি আর জিসান আঙ্কেলকে কি জবাব দিবো।উনারা যাকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেছে আমি তারই রক্ষা করতে পারলাম না।আমি এতো অপদার্থ!আস্থা তুমি যেতে পারো না আমি এখনও বলি নি আমি তোমাকে ভালোবাসি।খুব খুব ভালোবাসি আস্থা তুলির থেকেও বেশি।তোমাকে ছাড়া আমি একা কি করে থাকবো।আমি পাগল হয়ে যাবো আস্থা তুমি ফিরে এসো।

পরেই আভি উঠে পড়লো।
চোখ মুখ মুছে
না না।এখনও আমি জানি না ওইটা আস্থা নাকি অন্য কেউ।আমি আগেই কেনো এইসব খারাপ কল্পনা করছি।হতেও তো পারে আস্থার ফোন হারিয়ে গেছে।আর ঘটনাক্রমে সেখানে পৌঁছে গেছে।এতে তো আর আহামরি কিছু না।আমি শুধু শুধু এইসব কথা ভাবছি।আস্থার কিছু হবে না আমার আস্থার কিছু হবে না।
বলেই আভি পাগলের মতো হসপিটালের উদ্দেশ্য রওনা দিলো।


অন্যদিকে আস্থা
ওসি।সাহেব।আমাকে এই হসপিটালে আসতে বলেছিলো তাই না?(আমি এদিকে ওদিকে তাকাতে তাকাতে)

অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও যখন ওসি সাহেবকে দেখতে পেলাম না। অবশেষে রিসেপশনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
আচ্ছা।আজকে যে একটা অ্যাকসিডেন্ট কেস এনেছিলো।ওসি স্যার।কোথায়?(আমি)

উনি মর্গে গেছে।যিনি মারা গেছেন উনার হাসব্যান্ড এসেছে।মনে হয় উনার হাসবেন্ড উনাকে অনেক ভালোবাসে।যেইভাবে হাউমাউ করে জন্য করছে বলার বাহিরে।এমন ভালোবাসার মানুষ ভাগ্য করে পাওয়া যায়।ছেলেটার বয়সও বেশি না এই অল্প বয়সে উনি ভালোবাসার মানুষ হারালো।এখন কি যে হবে?(রিসেপশনিস্ট)

মনে হচ্ছে ছেলেটা ভালোবাসার মানুষ হারানোর কষ্ট সইতে পারবে না।নির্ঘাত কিছু একটা করে বসবে।দেখলি না কি অবস্থা করলো ডক্টরদের সাথে(পাশেই দাড়িয়ে থাকা একটা নার্স)

এক্সকিউজ মি।একটু বলবেন উনি কি করেছে?(আমি কৌতূহল নিয়ে)

আরে বইলেন না।ডক্টর যখন বলছে উনারা চেষ্টা করেও উনার ওয়াইফ কে বাঁচাতে পারে নি।তখন উনি ডক্টরদের মারতে শুরু করলো।কেনো বাঁচাতে পারলো না তাই?(নার্স)

তাই নাকি!অনেক ভালোবাসে মনে হচ্ছে।(আমি)

আরে অনেক না পাগলের মত ভালোবাসে।যেভাবে কান্না করছিলো তুমি দেখলে তোমারও কান্না পেতো।কোনো ছেলে যে কোনো মেয়েকে এতো ভালোবাসতে পারে তা শুধু উনাকে দেখলেই বুঝা যায়।(রিসেপশনিস্ট)

আচ্ছা।আমার না উনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।আপনি প্লিজ বলবেন উনি এখন কোথায়?(আমি)

উনি এখন ওসির সাথে মর্গে গেছে উনার স্ত্রীর লাশ দেখতে!(নার্স)

উনি এখনও উনার স্ত্রীর লাশ দেখেননি?(আমি বেশ অবাক হয়ে)

না।উনি এসেই ডক্টরকে জিজ্ঞেস করছে উনার স্ত্রী কোথায়?যখন ডক্টর বললো উনার স্ত্রী মারা গেছে তখনই উনি ডক্টরকে মারতে শুরু করলো।তারপর ওসি উনাকে ছুটতেই উনি ফ্লোরে বসে হাউমাউ করে কান্না করতে শুরু করলো।এখন ওসি উনাকে মর্গে নিয়ে গেছে স্ত্রীর মৃত্যু দেহ দেখাতে।এখন লাশ দেখে ঠিক আছে কি না কে জানে?(নার্স)

আচ্ছা।আমাকে বলবেন মর্গটা কোনদিকে?(আমি)

সোজা গিয়ে বাঁদিকের শেষ মাথায়।(নার্স)

ধন্যবাদ।
বলেই আমি মর্গের দিকে যাওয়া শুরু করলাম।
আমরাও অনেক কৌতূহল হচ্ছে।কে এই লোক যে তার স্ত্রীকে এতো ভালোবাসে।সত্যিই মহিলা খুব ভাগ্যবান এমন স্বামী পেয়ে।সব মেয়েরই স্বপ্ন দেখে এমন মেয়ের।
আমি মর্গের দরজা খুললাম।খুলেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।একটা ছেলে একটা লাশ জড়িয়ে ধরে কান্না করছে কিন্তু সেটা আমার অবাক হওয়ার বিষয় না আমার অবাক হাওয়ার বিষয় হলো সে ছেলেটার পিছন আমার দিকে আর ওর এই পিছন দিক থেকে আমি দেখতে পেলাম আভির মত ছেলেটা।
ছেলেটা কান্না করতে করতে বলতে শুরু করলো
আস্থা।কেনো তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে?

কিহ!আস্থা?ওই মিয়া আমি এখনও বাইচা আছি।(আমি মনে মনে)

আমি এখন কি করবো তোমাকে ছেড়ে?আমি কি নিয়ে থাকবো এখন আস্থা প্লিজ ফিরে এসো!(আভি)

ও আভি।এক মিনিট আমার ফোন মহিলার কাছে পাওয়া গেছে বলে আভি ভাবছে মহিলাটা আমি!আর আমিই মারা গেছি।আর আভি আমার জন্য এমন কান্না আর পাগলামি করছে।তারমানে আভি আমাকে ভালোবাসে।
এইসব ভাবতেই আমার মনে খুশি হতে শুরু করলো।আমি মারা গেলে আভির কি হবে তা আমি এখনই আভিকে দেখে বুঝতে পারছি। ও সইতে পারবে না।

আস্থা প্লিজ ফিরে এসো!প্রমিজ করছি আমি তোমার সব কথা রাখবো।(আভি কান্না করতে করতে)

তাই নাকি?ঠিক প্রমিজ করছো তো?(আমি পিছন থেকে)

ওসি পিছনে তাকালো কিন্তু আভি সেই লাশের ওপর কান্না করতে করতে
আমার এখনও মনে হচ্ছে তুমি আমার সাথে কথা বলছো!(আভি)

ওই মিয়া।পিছনে তাকান।মনে হচ্ছে না।আমি সত্যিই আপনার সাথে কথা বলছি।(আমি)

আভি পিছনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো তুমি আস্থা নাকি আস্থার ভুত?(আভি)

আমি আস্থা।আস্থার ভুত হলে এতক্ষণে আপনার ঘাড় মটকে দিতাম।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তাহলে এ কে?যাকে ধরে এতো ক্ষন কান্না করলাম।(আভি)

আমি কি জানি?আপনি পর্দা সরিয়ে দেখবেন না আমি না অন্য কেউ?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তোমাকে এই অবস্থায় দেখার আমার সাধ্য নেই।(আভি মাথা নিচু করে)

আভির চোখে আমাকে হারানোর ভয় দেখতে পেলাম।

এই জন্য।না দেখেই আমাকে মেরে ফেললেন।(আমি)

আমার এই কথা শুনেই আভি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো
আর মরার কথা বলবে না।

আমিও উনাকে জড়িয়ে ধরে বলি
হুম।

পরে আবার আভি আমার চোখ মুখ চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিলো। পাগলের মত চুমু খেতে লাগল আমার মুখে।আমিও অবশেষে পরে গেলাম এই পাগলে প্রেমে।


আই অ্যাম রিয়েলি সরি। মি:আভি চৌধূরী।আমাদের ভুল হয়েছিল!(ওসি)

না।থাক আপনাকে সরি বলতে হবে না।আপনার একটা ভুলে আমাদের জীবনে করার বড়ো ভুলের সমাধান হয়ে গেছে।(আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে)

হুম।আভি একদম ঠিক বলেছে।আপনাকে আমাদের ধন্যবাদ দেয়া উচিত।কারণ আপনার কারণের আমি জানতে পারলাম আভি আমার জন্য কি ফিল করে!(আমি আভির কাধে মাথা রেখে)

দোয়া করি আপনাদের ভালোবাসা এমনই থাকুক।(ওসি)

ধন্যবাদ।(আভি)

আর ম্যাম।আপনি প্লিজ হারিয়ে যাবেন না। কোথাও গেলে উনাকে বলে যাবেন না হলে উনি কিন্তু সব কিছু উলোট পালোট করে দিবে!(ওসি)

হুম। তা তো দেখতেই পেলাম।পুরো হসপিটাল কি করে উলোট পালোট করে দিচ্ছে!(আমি আভির দিকে তাকিয়ে)

তুমি যে এতো ক্ষন আমার পৃথিবী উলোট পালোট করে দিচ্ছ!ওইটা কে বলবে?শুধু দোষটা আমার তাই না?(আভি)

কে বলেছে তোমার দোষ?আমি কি বলছি?(আমি)

আচ্ছা আচ্ছা।আপনাদের খুনসুটি ঝগড়া থাকুক।আমি বরং এখন আসি।(ওসি)

আচ্ছা।খোদা হাফেজ।(আভি ওসির সাথে হ্যান্ডসেক করে)

ওসি বেরিয়ে গেলো এই মহিলাকে তা খুঁজে বের করতে।আর আমারও বেশিক্ষণ হসপিটালে থাকলাম না।বেরিয়ে গেলাম হোটেলের উদ্দেশ্য।সারা রাস্তা আভি আমাকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে।ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে ও অনেক ভয় পেয়ে আছে।যাক কেউ অন্তত আমাকে হারানোর ভয় পায়।এখন তো আমারও ভয় হয় আমি হারিয়ে গেলে আভি নিজেকে সামলাতে পারবে তো?


হোটেলে আভি আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে
আস্থা।তোমার ফোন সেখানে কি করে গেলো?(আভি)

আসলে মেলায় আমার ব্যাগ চুরি হয়ে গেছিলো।আর যে চুরি করেছে সেই ওই মেয়েটা।কিন্তু চুরি করার পরই উনার অ্যাকসিডেন্ট হয়ে গেলো।(আমি)

খারাপ কাজ করার ফল পেলো।তুমি জানো আমি কতো টেনশনে ছিলাম?।(আভি শক্ত করে আমাকে চেপে ধরে)

এইভাবে বলো না।উনি যা থাকলে তো আমরাও মিলতে পারতাম না।আমি তো জানতামই না তুমি আমাকে এত্তো ভালোবাসো।(আমি)

তা অবশ্য ঠিক।কারণ আমিও বুঝতে পারতাম না আমি তোমাকে এতো ভালোবেসে ফেলেছি।(আভি)

আভি সত্যিই আমাকে তুমি ভালোবাসো তো!আমাকে ছেড়ে কখনও চলে যাবে না তো!(আমি)

ভুলেও না।কখনও তোমাকে ছেড়ে যাবো না।(আভি)

আমি চুপ করে আভির বুকে মাথা শুয়ে আছি।

আচ্ছা।শুনো!(আভি)

হুম বলো।(আমি মাথা উঁচু করে)

আমরা হানিমুন করবো না?(আভি টিটকারি করে)

তো এখন কি করছি শুনি?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আরে হানিমুনে ওইসব করে না?ওইটা করবো না আমরা?(আভি)

ওইটা কি?(আমি ভ্রু উচুঁ করে)

দাড়া দেখাচ্ছি।
বলেই আভি আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো।আর সাথে সাথেই পূর্ণ পেলো আমদের ভালোবাসা।


খুব ভোরে আমার চোখ খুলতেই আমি নিজেকে আভির বুকে আবিষ্কার করলাম।আমার ওর দিকে তাকাতেই আমাদের প্রথম দেখা,কিডন্যাপ করা,ঝগড়া করা,,উনাকে বিরক্ত করা,,পাঁচ লাখ টাকা,,অনাথ আশ্রমে উনাকে দেখে পালানো,,আমার পারফরম্যান্স দেখে আমাকে সাবাশি দেয়া,,আবার কিডন্যাপ,,অতঃপর marriage with benefits,, তারপর আমাদের ভালোবাসা।সম্পূর্ণ যাত্রাটা একটা স্বপ্নের মত আমার কাছে।সব কিছু যেনো এই কয়েকদিনের মধ্যেই ঘটেছে।কিন্তু ভয় হয় ঘুম ভেঙ্গে গেলে তো স্বপ্নও ভেঙ্গে যায়।আমারও এই ঘুম ভেংগে গেলে তো আমার স্বপ্নও ভেঙ্গে যাবে।আর আমি চাইনা আমার এই স্বপ্ন ভাঙুক।আমি আভিকে ছাড়তে পারবো না।কখন আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি জানি না!কিন্তু আমি এখন ওকে ছাড়া নিজের জীবন কল্পনাও করতে পারবো না।যতো লড়াই করতে হয় করবো তবুও ওকে ভালোবেসে যাবো।
আমি একাধারে আভির দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছিলাম তখনই আভি চোখ বন্ধ করে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো
আসুমনি। কালরাতের হানিমুনটা কি আরো চাই?

ইস।মুখে লাগাম একটুও নাই(আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম)

কি করবো?লাগাম টানার কাজ তো এখন আমি আমার বউকে দিয়ে দিয়েছি।এখন উনি যেদিকে লাগাম ধরবে আমিও সেদিকে যাবো।(আভি আমাকে দুই হাত দিয়ে আরো ভালো করে জড়িয়ে ধরে)

হইছে।এখন ছাড়ো তো আমি ফ্রেশ হয়ে নেই!(আমি আভির কাছ থেকে ছুটার চেষ্টা করে)

এক শর্তে ছাড়বো!(আভি)

কি শর্তে?(আমি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

আমরা এক সাথে ফ্রেশ হবো।(আভি)

কি? ভুলেও না!ছাড়ো আমাকে এক্ষুনি।
বলেই নিজেকে ছাড়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম আমি।

তোমার মনে হয় আমাকে ছাড়াতে পারবে?(আভি)

হুম।দাড়াও ছাড়াচ্ছি।
বলেই ছুটার চেষ্টা করলাম।

এখনই সব এনার্জি শেষ করলে।রাতে কি করবে শুনি?(আভি টিটকারি করে)

আমি ছুটেই ছাড়বো!
বলেই আবার চেষ্টা করতে লাগলাম।

অনেকক্ষণ এই ব্যার্থ চেষ্টা করার পর আর বের হতে পারলাম না আভির হাত থেকে।অবশেষে রাজি না হয়ে আর পারলাম না।আভি তো অনুমতি পেয়ে সেই খুশি।না পারে নাচতে।

অনেক জ্বালা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে ফ্রেশ হলাম।কিন্তু আভি সেই খুশি আমাকে জ্বালাতন করতে পেরে।আর উনার কি লাগে?


আভি আমরা এখন যাবো তাই না?(আমি)

নাহ।আমরা রাতের ফ্লাইট নিয়ে যাবো!(আভি)

কেনো?তাহলে গাড়ি কে নিবে?(আমি)

নিহাল।আসবে ও নিয়ে যাবে!(আভি)

তাহলে এখন আমরা কি করবো?(আমি)

আমরা আজ ডেট এ যাবো।মানুষ বিয়ের আগে যায় আর আমরা বিয়ের পড়ে যাবো। ইন্টারেস্টিং না?(আভি)

খুব ইন্টারেস্টিং!(আমি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

ওকে তাহলে তৈরি হয়ে নাও।আর হ্যা তোমার ব্যাগ এ একটা প্যাকেটে নীল রঙের গোল জামা আছে ওইটা পরে নিও।(আভি)

ওকে।
বলেই নীল জামাটা পরে নিলাম।

ওয়াও।আমার আসুমনিকে কি সুন্দর লাগছে।আজ থেকে তুমি আমার আসুমনি।আমি তোমাকে আসুমনি বলেই ডাকবো।(আভি আমার কোমর ধরে কাছে টেনে নিয়ে)

কিন্তু তুমি আমার মি:কোবরা ছিলে!এখনও মি:কোবরাই থাকবে!বুঝলা?(আমি আভির নাকে নাক ঘষে)

যথা ইচ্ছা।আমার আসুমনি।
বলেই আভি আমার কপালে চুমু দিল।


আমি আর আভি হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছি।আজ আভি নীল পাঞ্জাবি পরেছে।আমরা নীল কাপল হয়ে গেছি।এক আলাদাই শান্ত আভির সাথে হাঁটা।সারা জীবন ওর হাট ধরেই হেঁটে যেতে চাই।

আভি এইখানে?(আমি অবাক হয়ে)

হুম।এই মেলাই তো তুমি কালকে আসতে চেয়েছিলে তাই না?(আভি)

হুম।কিন্তু আজ তুমি নিয়ে আসলে যে!(আমি)

কারণ কাল তোমার সাথে আসতে পারি নি।তাই আজ এসেছি।আজ মেলাটা ঘুরবো আমরা দুইজনে।(আভি)

সত্যিই আভি?(আমি এক্সসাইটেড হয়ে)

হুম।এখন এখানেই দাড়িয়ে থাকবে নাকি যাবে?(আভি)

তা আর বলতে চলো।
বলেই আভিকে টেনে নিয়ে মেলাতে চললাম।


চলবে…