Marriage_With_Benefits Part-43

0
4053

#Marriage_With_Benefits
#Part_43
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
রাইসা তুলির গলা টিপে ধরে

তুমি নিজের ইচ্ছে আভির কাছে ধরা দিয়েছো। ভেবেছো আমি জানি না?তোমার এক একটা স্টেপ আমার জানা।তবে তোমার এই দুঃসাহসের জন্য তোমাকে ক্ষমা করলাম।কারণ এই কারণে আভি আর আস্থার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলো।দেখি এই দূরত্ব বিশ্বাসের ভিত্তিকে হারাতে পারে কি না?
রাইসা তুলির গলা ছেড়ে দিয়ে।

তুলি কাশতে কাশতে
আপনি আমাকে মেরে ফেলতে চাইছেন?

আভি যদি আমার প্ল্যানের কিছু জানতে পারে তাহলে এইটার থেকে আরো বড়ো কিছু তোমার সাথে হবে।
বলেই রাইসা তুলির গাল টিপে ধরলো।

বুঝতে পেরেছো?(রাইসা)

হুম।হুম।আমি আভিকে কিছু বলবো না।(তুলি ভয়ে ভয়ে)

নাও।গেট লস্ট।(রাইসা)

কি ভয়ানক মহিলা রে বাবা!এর থেকে দূরে থাকাই ভালো।এর থেকে বাঁচতে হলে আগে আভিকে বশ করতে হবে।(তুলি মনে মনে)

খুব ভালো আভি।কিন্তু এই ডিভোর্সটা কি নাটক না আসল তাই খোঁজে বের করতে হবে।আর দেখি কতো দিন ডিভোর্সের নাটক চলে।(রাইশা মনে মনে)


আজ এক মাস পার হয়ে গেল আমি আর আভি আলাদা থাকি।আমার বেবিটাও ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে।ডক্টর জয় বলছেন ওর গ্রোথ নাকি ভালোই হয়েছে।আমি খান বাড়িতেই থাকি কলি মা আর জিসান বাবার সাথে।মা অনেক ক্ষেপে গিয়েছিলো আভি আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে।এখন তারাই আমার আর আমার বেবির খেয়াল রাখে।তারা কাউকে কিছু জানায়নি আমার বাচ্চার ব্যাপারে আমিই না করেছি।আমি এখনও চৌধূরী বাড়ির কাউকে মা হওয়ার ব্যাপারে কিছু জানাই নি।জানি না এই কথাটা লুকিয়ে আমি ঠিক করছি না ভুল?কিন্তু মনে হয় ওরা জানলেই আমি আমার বাচ্চাটাকে হারিয়ে ফেলবো।আভিকে হারিয়ে ফেলেছি বাচ্চাটাকে হারাতে চাই না।এই এক মাস আমি কারো সাথে দেখাও করি নি।নিজের রুম থেকেই বের হই না আমি।মাঝে মাঝে খুব ভোরে একটু বাগানে হাটি।হাটাহাটি করা নাকি বেবির জন্য ভালো।কিন্তু সূর্য উঠার আগেই রুমের ভিতরে চলে আসি।আয়ুশ,,আরশি,,নিহাল ভাইয়া,,ডালিয়া,,রোহান চাচু,,দাদু,,আরিফ,,মিস সাবিনা আর মাঝে মধ্যে ঈশানি চাচীও এসেছিলো।কিন্তু আমিই কারো সাথে দেখা করি নি।উনারাও আমাকে জোর করেনি দেখা করার জন্য।এখন কলেজেও খুলে ফেলেছে কিন্তু আমি কলেজেও যায়নি।ভাবছি কলেজে ড্রপ করবো।নিজেকে একটা রুমে বন্ধী করে ফেলেছি।মুখে হাসি না থাকলেও এখন জোর করে হাসতে হয় আমায় শুধু মাত্র কাছের মানুষ গুলোর জন্য।না খেতে চাইলেও খেতে হয় শুধু মাত্র বাচ্চাটার জন্য মনে হচ্ছে নিজের জন্য বাঁচাই শেষ করে দিয়েছি আমি।তবুও মনের কোণে একটু আশা ছিলো যে আভি এইসব হয়তো ইচ্ছে করে করছে না।আমার মন এখনও চায় ওকে বিশ্বাস করতে কিন্তু ধীরে এই বিশ্বাসও নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।এক সপ্তাহ আগে আভি এসেছিল ভেবেছিলাম আমি কেমন আছি দেখতে এসেছে কিন্তু না উনি এসেছিলো উনার আর তুলির এনগেজমেন্ট এর কার্ড দিতে।আমার কথা একবারও জিজ্ঞেস করেনি।বাবার সাথে একটা রুমে গিয়ে কথা বললো।জানি না কি কথা?।আর আমিও বাবাকে জিজ্ঞেস করি নি।মা আভির সাথে একটা কথাও বলেনি।

আজ ওদের এনগেজমেন্ট আমি ঠিক করেছি যাবো।হয়তো আভিকে মুভ অন করতে দেখলে নিজেও মুভ অন করার শক্তি পাবো।কিন্তু এইখানে বাঁধ সাজলো মা।উনি নিজেও যাবে না আর বাবা তো ওই বাড়িতে পা রাখবেই না।আর আমাকেও যেতে দিবে না।তাই অনেক কষ্ট করে আমি আর বাবা রাজি করলাম।কিন্তু এখন বলছে আমাকে একা যেতে দিবে না।তাই উপায় না পেয়ে ডক্টর জয়কে সাথে নিয়ে নিলাম।ডক্টর জয় আমার জন্য ঢিলাঢালা গোল জামা নিয়ে এসেছে।যাতে আমি প্রেগনেন্ট যে তা কেউ না বুঝতে না পারে।


অবশেষে
আমি আর ডক্টর জয় বের হলাম চৌধূরী বাড়িতে বাড়িতে যাবো বলে।
আস্থা তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।(জয়)

আপনার পছন্দ অনেক ভালো।খুব সুন্দর একটা গোল জামা বেছে এনেছেন।(আমি মুচকি হেসে)

সত্যিই আমার পছন্দের তুলনা হয় না (জয় বিড়বিড় করে)

কিছু বললেন ডক্টর জয়?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

না কিছু না।
বলেই ডক্টর জয় গাড়ি চালাতে মনোযোগ দিলো।


কি হয়েছে তোমার?(কলি রেগে)

কি হবে?(জিসান কনফিউজ হয়ে)

আমি আসুকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আমাকে কেনো ফোর্স করলে?(কলি রেগে)

জিসান একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। ড্রয়ের থেকে একটা কাগজ বের করে কলির কাছে দিলো।
কলি কাগজটা হাতে নিয়ে দেখে কাদতে কাদতে বসে পড়লো।

আস্থা,,,আস্থা আমার মেয়ে।(কলি কাদতে কাদতে)

হুম।আসু আমাদের সেই মেয়ে।আমাদের মেয়ে মারা যায় নি। বেচেঁ আছে আর সে হলো আসু।(জিসান কলিকে জড়িয়ে ধরে)

কিন্তু তুমি জানতে পারলে কি করে যে আসুই আমাদের সেই মেয়ে?(কলি কৌতূহল নিয়ে)

আমাকে আভি বলছে।(জিসান)

আভি কি করে জানে?(কলি অবাক হয়ে)

যখন আভি ওর আর তুলির এনগেজমেন্ট কার্ড দিতে এসেছিলো তখন,,,,


অতীত
কি হলো?তোমার সাথে আমার একা কোনো কথা নেই।তুমি কি চাও এখন?আমার মেয়ের মন ভেঙ্গে তোমার শান্ত হয় নি।(জিসান রাগে)

যদি বলি তোমার মেয়ে বেচেঁ আছে?তাহলে কি তুমি এখনও রেগে থাকবে আমার উপর আঙ্কেল?(আভি)

কি যা তা বলছো?আমার মরা মেয়েকে নিয়ে।ওকে আমি নিজের হাতে কবর দিয়েছি।আর তুমি তাকে টানছ?(জিসান চিৎকার করে)

তোমার মেয়ে বেচেঁ আছে ও মারা যায়নি আঙ্কেল।আর সেই মেয়েই আস্থা।(আভি চিৎকার করে)

কি?কি বললে তুমি?আস্থা আমার সেই মরা মেয়ে?(জিসান অবাক হয়ে)

হ্যা।আস্থাকে যেদিন ওর পালিত বাবা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায় সেদিনই তোমার মেয়ে মারা যায়।আর যেই হসপিটাল থেকে আস্থাকে আনা হয় সেই হসপিটালে সেইদিন মাত্র পাঁচটা বাচ্চা হয়েছিল।যার মধ্যে শুধু তোমারই মেয়ে ছিলো।আর তোমার মেয়েই মারা যায়।তাহলে কি করে আস্থার বাবা ওই হসপিটাল থেকে মেয়ে বাচ্চা আনে।যদি সেখানে একটা মেয়ে বাচ্চা হয়ে থাকে আর তা মৃত্যু।তার মানে নিশ্চয়ই তোমার মেয়েকেই উনি এনে বাঁচিয়েছেন।কারণ তোমার মেয়ে ছাড়া ওই হসপিটালে কোনো মেয়ে বাচ্চা ছিলো না।(আভি)

কিন্তু আমাকে তো আমার মেয়ের লাশ দেখানো হয়েছিলো।(জিসান কাদতে কাদতে)

ও অন্য হসপিটাল থেকে এনে তোমার কোলে দেয়া হয়েছিল।যাতে তুমি ভাবো তোমার মেয়ে মারা গেছে।এই নাও আস্থা আর তোমার DNA test পেপার।(আভি)

তাহলে আস্থার পালিত বাবা আস্থাকে কি করে পায়?(জিসান পেপারটা হাতে নিয়ে)

পরেই আভি জিসানকে আস্থার মাটিতে কবর,,কবর খুলে উদ্ধার করার কথা সব খুলে বলে।

এতো ভয়ানক কাজ।তাও একটা নবজাতক বাচ্চার সাথে কে করতে পারে?(জিসান অবাক হয়ে)

রাইসা!(আভি)

কি?রাইশা এইসব করছে?শুধু মাত্র বদলা নিতে?(জিসান রাগে)

হ্যা।রাইসাই করেছে।আমি রাইসার ছবি দেখিয়েছি আস্থার পালিত বাবাকে আর উনিই বলেছেন রাইসাই নাকি ডক্টরকে টাকা দিয়েছে।আর উনিই নাকি আস্থাকে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলো।আজ আমি কার্ড দেয়ার বাহানা করে তোমার কাছে এসেছি যাতে রাইসা সন্দেহ না করে।(আভি)

আমি ওকে খুন করে ফেলবো।ওর কারণে আমার মেয়ে এতো বছর কষ্ট করেছে।ওর কারণে আমার মেয়ে বেচেঁ থেকেও আমাদের কাছ থেকে দূরে ছিলো।ওকে তো মেরে ফেলা উচিত।ওর কারণে আমি আর কলি কতো কষ্ট করেছি।(জিসান রাগে)

আঙ্কেল শান্ত হও।এখনও ওর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।ওকে শাস্তি দিতে গেলে আমাদের আরো প্রমাণ দরকার হবে।(আভি)

দরকার নেই আমার কোনো প্রমাণের।ওকে আমি নিজের হাতে শাস্তি দিবো।(জিসান)

ওকে মেরে নিজের হাত নষ্ট করবে কেনো?ওকে আমরা এক সাথে মিলে শান্তি দিবো।কিন্তু তা আইন অনুযায়ী।(আভি)

তুই যা ভালো মনে করিস কর।(জিসান শান্ত হয়ে)

পরেই আভি ওর সব পরিকল্পনা জিসানকে বললো।আর জিসানও ওর সাথে রাজি হয়ে গেলো।

আমি তোর সাথে আছি।(জিসান)

আস্থার খেয়াল রেখো।আমি ওকে অনেক ভালোবাসি।ওর নিরাপত্তা এখন তোমার হাতে।(আভি)


বর্তমান
এই পেপারটা হলো আসুর DNA test পেপার।(কলি কাদতে কাদতে)

হুম।(জিসান)

আমি এখন সবাইকে বলবো দেখো আমার মেয়ে জীবিত।(কলি খুশি হয়ে)

না।ভুলেও না।ভুলেও এটা করতে যেও না।(জিসান কলিকে আটকিয়ে)

কেনো?(কলি অবাক হয়ে)

কারণ আমাদের মেয়ে হওয়ার কারণে আস্থাকে জন্মের পরই মেরে ফেলতে চেয়েছিলো রাইসা।এখন যদি ও জানতে পারে আস্থা আমাদের মেয়ে আর ও মারা যায় নি।তাহলে ওকে আবার মারার চেষ্টা করতে পারে।তখন সফল না হতে পারে যদি এখন সফল হয়ে যায়!আর এখন তো আস্থা আভির স্ত্রীও আর ওর গর্ভে আভির সন্তানও আছে।ভাবতে পারছো কি হবে?(জিসান)

না না।আমি কাউকে বলবনা।কিন্তু তুমি কি আভিকে বলেছো ও বাবা হতে চলেছে?(কলি)

নাহ।আস্থাকে আমি কথা দিয়েছি।কথার খেলাপ করতে পারবো না।(জিসান)

তাও ঠিক।আস্থাই জানালে ভালো।আচ্ছা আস্থা জানে আমরাই ওর বাবা মা?

নাহ।আভি না করছে জানাতে।আস্থা জানলে জিজ্ঞেস করবে আমরা কি করে জানলাম আর যদি বলি আভি বলেছে তখন ও বুঝে যাবে আভি নাটক করছে।পড়ে ও যেই জেদী মেয়ে নিজেই নেমে পড়বে রাইসার বিরুদ্ধে।আর এই অবস্থায় ওকে এই সব না জানানোই ভালো।ভালো হবে সব কিছু ঠিক হলেই ওকে জানানো।(জিসান)

সব কিছু ঠিক হওয়ার চিন্তা করতে করতে সব কিছু না আবার বেঠিক হয়ে যায়।সব কিছু আবার এলোমেলো হয়ে যায়।(কলি চিন্তিত হয়ে)

তুমি চিন্তা করো না।এমন কিছুই হবে না(জিসান কলিকে জড়িয়ে ধরে)

যাই হোক না কেনো।আভি আর ওর পরিবারের কারণে আমার মেয়ের এতো কষ্ট।এই জন্য ওদের কিছুতেই ক্ষমা করবো না আমি।যদি একটা সুযোগও পাই আভি আর আস্থাকে আলাদা করার আমি সেই সুযোগ হাত ছাড়া করবো না।আমার মেয়েকে আর কষ্ট পেতে দিবো না।(কলি মনে মনে)


আমরা পৌঁছে গেলাম এনগেজমেন্টের জন্য।
আমি গাড়ি থেকে নামবো তখনই ডক্টর জয় আমাকে সাহায্য করলো এইটা আনার দূর থেকে কেউ খুব ভালো করে খেয়াল করছে।

খুব ভালো আসুমনি।এক মাসেই এতো ফাস্ট তুমি?ওকে কি বলবো আমার বউটাই এতো মিষ্টি মাছি তো ভনভন করবেই।একবার এইসব শেষ হতে দাও।তোমাকে এমন ভাবে বেধে রাখবো তুমি আমাকে ছেড়ে যেতেই পারবে না।তবে এই একমাস তোমাকে অনেক মিস করেছি।রোজ সকাল সন্ধ্যায় তোমার বাড়ির নিচে দাড়িয়ে থাকতাম শুধু তোমাকে একটু দেখার জন্য কিন্তু কপাল আমার এতই খারাপ ছিল তোমার একটু দেখাও পেতাম না।বেলকনিতে তাকিয়ে থাকবে তুমি একটু আসবে কিন্তু তুমি তাও আসতে না।রোজ তোমার কলেজেও যেতাম কিন্তু সেখানে জানতে পড়লাম তুমি নাকি আর কলেজে পড়বে না।তবে এখন এক মাস পরে দেখে মনে হচ্ছে তুমি একটু মোটা হয়ে গেছো।চোখে মুখে শুকনো ভাব।নিরস হয়ে গেছে মুখটা।হয়তো অনেক চিন্তায় আছো তুমি।আর কয়েকটা দিন পরেই চিন্তা শেষ।

আভি একাধারে আস্থাকে দেখছে।আস্থা সবার সাথে কথা বলছে মুখে শুকনো হাসি।

ভাবী।তোমাকে কতদিন পড়ে দেখলাম।কেমন আছো?
বলেই আরশি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

আলহাদুলিল্লাহ।তুমি কেমন আছো?(আমি জোরপূর্বক হাসি)

তোকে ছাড়া ভালো থাকা যায়।আসু(দাদু)

দাদু।কেমন আছো?(আমি)

তোমাকে ছাড়া কেউই ভালো নেই।আস্থা ম্যাম।(আরিফ)

আমিও যে ভালো নেই।(আমি)

ভাবী।আমি তোমাদের বাসায় চলে আসি।আমার একটুও ভালো লাগে না এই বাড়িতে।(আয়ুশ)

আমিও যাবো তোর সাথে ভাই।এখানে থাকতে আমারও ভালো লাগে না।(আরশি)

সাথে এই বুড়ো কেও নিয়ে যাস!(দাদু)

স্যারের সাথে আমি ফ্রী।(আরিফ হাত তুলে)

আমি এইবার ফিক করে হেসে দিলাম।
সত্যিই তোমাদের খুব মিস করছি।(আমি)

আমরাও তোমার এই হাসি মুখ খুব মিস করছি।(আয়ুশ)

আচ্ছা নিহাল ভাইয়া আসে নি?(আমি)

না।নিহাল আভি ভাইয়ার সাথে সম্পর্ক শেষ করে ফেলেছে।(আয়ুশ)
আমি আর এই ব্যাপারে কিছু বললাম না। সবার সাথে কথা বলতে বলতে আভি আর আমার চোখে চোখ পড়ে যায়।

দাদু আমি গিয়ে কাপল দের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসি।(আমি)

যা।আমার তো এদের দেখতেই মন চায় না।(দাদু বিরক্ত হয়ে)

পরেই আমি আর ডক্টর জয় গেলাম আভি আর তুলির কাছে।
আমাকে ডক্টর জয় ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
আস্থা কেমন আছো?(তুলি)

আলহাদুলিল্লাহ।অনেক সুখেই আছি।(আমি মুচকি হেসে)

তা তো দেখতেই পারছি!(তুলি)

হুম। ব্যয় দা ওয়ে। congratulations মি: আভি চৌধূরী।
আমি হাত বাড়িয়ে।

Thank you।
বলেই আভি আমার সাথে হাত মিলালো।ভাবতেই অবাক লাগে নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারো হাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা দিচ্ছি আমি।

ইন্টারেস্টিং।(হাতে ড্রিংকস নিয়ে রাইসা আভি আর আস্থার দিকে তাকিয়ে আছে)

তোমাকেও তুলি।(আমি)

ধন্যবাদ। তোমাকেও congratulation।(তুলি)

কেনো?(আমি অবাক হয়ে)

কারণ তুমি আর উনি(ডক্টর জয়)।কবে করছো?(তুলি)

খুব শীঘ্রই।আমাদের চার হাতও এক হবে।(আমি)

আভি হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে ফেললো।আস্থা তুমি শুধু আমার।(আভি মনে মনে)

আস্থা চলো অন্য দিকে গিয়ে বসা যাক।(ডক্টর জয়)

চলো।
বলেই ডক্টর জয়ের হাত ধরে আমি চলে গেলাম।

আর তা আভিকে অনেক রাগিয়ে তোলে।

লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান।আজ আপনাদের এখানে আসার অনেক অনেক ধন্যবাদ।আমার আর আমার ভালোবাসার মানুষের এনগেজমেন্ট আর একটু পরেই শুরু হবে তার আগে আমার প্রাক্তন স্ত্রীর মুখে একা গান হয়ে যাক। ও অনেক সুন্দর গান গায় তাই না আস্থা।(আভি)

আস্থা তোমার সাথে আমার সম্পর্ক কি সবাই জানুক।তুমি আমার স্ত্রী ছিলে।যে কেউ চাইলে তোমার আর আমার মধ্যে আসতে পারবে না(জয়কে উদ্দেশ্য করে আভি মনে মনে)

আস্থা উঠে এসে আভির কানের কাছে ফিসফিস করে বললো
স্ত্রী থেকে প্রাক্তন স্ত্রী হয়ে গেলাম একটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মি আভি।
আমার চোখ ছল ছল করছে।

আর তা দেখে আভি অবাক হয়ে গেলো
আস্থা।আমি,,,

আমি গান গাইবো।চিন্তা করবেন না।(আমি)

শিট।মাথা গরম করে আমি আস্থাকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম।ওকে এতো বড় কথা বলে ফেললাম।(আভি অনুতপ্ত হয়ে)


চলবে,,,,