#Marriage_With_Benefits
#Part_46
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
কয়েক মাস পর
আজ কয়েক দিন হলো আমার বাচ্চা নয় মাসে পা দিলো।এখন হাঁটা চলা খুব কষ্ট হয়ে উঠছে।ডক্টর বলেছেন যমজ বাচ্চা।আর বাচ্চাগুলোর গ্রোথ খুব ভালো হয়েছে।তবে তাদের জন্য আমি একটুতেই ক্লান্ত হয়ে যাই।এতো দিন বাড়ির বাহিরেই যাই নি।যা চেক আপ করার বাসায় করা হয়েছে।আজ ডেলিভারির কথা আর বাকি কিছু চেক আপ করার জন্য এসেছি।সাথে মা বাবা,,দুজন বডিগার্ড আর হসপিটালে তো ডক্টর জয় আছেই।
।
।
আভি রাইসার বিরুদ্ধে সব প্রমাণ জোগাড় হয়ে গেছে।এখন শুধু ওকে ধরার পালা।কিন্তু ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।মনে হচ্ছে ও বড়ো কিছু করার প্লানিং করছে।(নিহাল)
তুই আর আয়ুশ ওকে খুঁজে বের কর আমি আস্থার কাছে যাচ্ছি।যা করার আজই কর কিছু দিন পরেই আস্থার ডেলিভারি।আমি আর তর সইতে পারছি না। ও আজ হসপিটালে যাবে।সাথে তুলিকেও
নিয়ে যাচ্ছি যাতে ও পালাতে না পারে।(আভি)
ঠিক আছে।ভাই ভাবীর খেয়াল রাখিস(আয়ুশ আভির কাধে হাত রেখে)
হুম।তোরাও।
বলেই আভি বেরিয়ে গেলো সাথে তুলিকেও নিয়ে গেলো।
।
।
আমি চেক আপ করিয়ে নিচে নামলাম বাসায় যাবো বলে।বাবা ফোন দিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি আনতে বলেছে।আমি,,মা আর বাবা গাড়ির জন্য দাড়িয়ে আছি।তখনই দেখি আভি আর তুলি।
কেমন আছো আস্থা?(তুলি)
কেমন আছি তা তোমাকে প্রয়োজন মনে করছি না বলার।(আমি বিরক্ত হয়ে)
আমি আর আভি বিয়ে করে ফেলেছি(তুলি)
তো?(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
আমি এখন প্রেগনেন্ট।(তুলি)
Congratulations। তো?(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
তোমার কিছু ফিল হচ্ছে না।(তুলি অবাক হয়ে)
আমি তুলি সামনে দাঁড়িয়ে
কি ফিল করাতে চাও?আমার মধ্যে কোনো অনুভূতি থাকলে তো অনুভব করবো।
আমি আর তুলি দাড়িয়ে তর্ক করছি।আভি গেছে মা আর বাবার সাথে কথা বলতে ততক্ষনে একটা গাড়িতে কয়েকটা গুন্ডা এসে আমাকে আর তুলিকে ধরে ফেললো।ওরা নাকি পাশের ব্যাংক লুট করে এসেছে।পিছনে পুলিশ ধাওয়া করছে।এর থেকে বাঁচার জন্য আমাকে আর তুলিকে ধরেছে।যাতে আমাদের বন্দী করে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
তুলি চিৎকার করে উঠলো।আমি অবাক।আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি।কিন্তু পারছি না।
এই ছাড় ওদের!(আভি)
আস্থা।(কলি যেতে নিলেই জিসান আটকে)
এই কেউ আসলেই।এদের মেরে ফেলবো।এই বডিগার্ড পিছনে যা।আর এই হিরো পিছনে যা।(গুন্ডা গুলো)
কিন্তু বডিগার্ড গুলো কথা না শুনে আমাদের বাঁচানোর জন্য এগুতেই ওদের উপর গুলি করে দিলো।
যাবি কিনা পিছনে বল?(গুন্ডা)
দেখ।ভালোয় ভালোয় ওদের ছেড়ে দে(আভি রেগে)
তোর খুব চিন্তা ওদের নিয়ে তাই না।এক কাজ কর তোকে একটা অপশন দেই।এদের মধ্যে যেকোনো একজনকে আমি ছেড়ে দিবো।আর সে যে হবে তা তুই সিদ্ধান্ত নিবি।(গুন্ডা)
ছাড় বলছি ওদের না হলে তোর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।আমার দুইজনকেই চাই।
বলেই আভি এগুতে নিলেই ওরা তুলির গলায় চাকু দিয়ে আঁচড় মারে।
আহহ।(তুলি)
আভি।আভি যেও না।ওরা আস্থাকে কিছু করে ফেললে।(জিসান)
কিন্তু আঙ্কেল কিছু না করলেও ওরা ক্ষতি করে ফেলবে।(আভি রাগে)
আপনার আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দিন(কলি কান্না করতে করতে)
আমি তো বলছি যেই ছেলে যাকে ছাড়তে বলবে আমি তাকেই ছাড়বো।(গুন্ডা)
সত্যিই আমি যাকে বলবো তাকেই ছাড়বি।(আভি)
হুম।বলেই দেখ।(গুন্ডা)
আস্থাকে ছেড়ে দে।আমি চাই আস্থাকে ছাড়।(আভি)
আস্থা কে?(গুন্ডা)
এই যে।(আমি)
আভি তুমি তুলিকে বাঁচাতে আমার নাম নিয়েছো তাই না?আমি জানি।কিন্তু অন্তত আমার বাচ্চাগুলোর কথা ভাবতে।(আমি হতাশ চোখের পলক ফেলে)
গুন্ডা মুচকি হাসি দিয়ে।
সরি বস।তুই এই মেয়েকে বেছে নিয়েছিস তার মানে এই মেয়ে অনেক স্পেশাল।আমদের বাঁচার জন্য এই মেয়েই লাগবে।
বলেই তুলিকে আভির কাছে ধাক্কা দিয়ে আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেলো।
আভি।আমি জানতাম তুমি আমাকে বাঁচাতে আস্থার নাম নিয়েছো।(তুলি আভি কে জড়িয়ে ধরে)
কি তুমি তুলিকে বাঁচাতে আস্থার নাম নিয়েছো যাতে ওরা ওকে নিয়ে চলে যায়?এতো জঘন্য তুমি আভি?(কলি কাদতে কাদতে)
আভি হেচ্কা মেরে তুলিকে সরিয়ে
যা বলার পড়ে বলেন।এখন আস্থাকে বাঁচাতে হবে বলেই আভি যেতে নিলো।ততক্ষনে গুন্ডাদের গাড়ি কিছু দূর যেতেই গাড়ি ব্রেক ফেল করে উল্টে গেলো।
রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছি। মুখের বিভিন্ন জায়গাতে জ্বালা করছে হয়তো কেটে গেছে। পেটে ধিরে ধিরে প্রচন্ড ব্যাথা করতে শুরু করছে।যথা সম্ভব বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছি। পেটে তেমন লাগে নি।কিন্তু মাথায় মনে হয় কেউ বোম মেরে দিয়েছে।খুব ব্যাথা করছে মাথা।আর খুব নিঃশক্তি হয়ে যাচ্ছে শরীরটা।শুধু মনের জোরে টিকে আছি।আর তা আসছে আমার বাচ্চাগুলো থেকে।খোদা ওদের পৃথিবীতে আনার পর যেনো আমাকে নেয় শুধু এই দোয়া টুকু করছি।তবে
আমি এই টুকু বুঝতে পারছি আমার দিন শেষ।খুব কষ্ট হচ্ছে আমার কিন্তু তার থেকে বেশি ভয় হচ্ছে। সবার কথা গুলো শুনে যা বুঝলাম গুন্ডাগুলো সেখানেই মারা গেছে।শুধু আমিই বেচেঁ আছি।ঐযে বলে রাখে আল্লাহ মারে কে?কে জানতো ওই ভয়ানক অ্যাকসিডেন্টে কি করে বেচেঁ থাকবো?।হয়তো যতক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চাগুলো আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই পৃথিবীর অতিথি।
।আভি আমাকে কোলে করে নিয়ে অ্যাকসিডেন্ট স্পট থেকে হসপিটালে নিয়ে গেল।হসপিটাল কাছেই হওয়ায় ভালোই হয়েছে।কিন্তু যখন আভি আমাকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছিলো আমি ওর চোখে আবার সেই হারানোর ভয় দেখতে পেলাম।আমাকে হারানোর ভয় নাকি বাচ্চাদের আর নাকি আমাদের সবারই?কিন্তু ও কেনো ভয় পাবে?ওর সাথে তুলির বিয়ে হয়েছে।ওদের বাচ্চাও হবে।আমার আর আমার বাচ্চাদের কি দরকার ওর?নাকি বেনিফিটস্ স্ত্রী বলে দয়া দেখাচ্ছে?কিন্তু শেষ মুহূর্ত ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকার সুখই আলাদা।
আভি?(আমি আস্তে আস্তে)
চুপ।বেশি কথা বলো তুমি?(আভি কাদতে কাদতে আমাকে নিয়ে হসপিটালে দৌড়াচ্ছে)
তুমি কাদঁছো কেনো?(আমি ওর গালে হাত রেখে)
এখন কি তোমার কথা বলাটা খুব জরুরী?(আভি কাদতে কাদতে)
আভি?একটা কথা রাখবে?(আমি কাদতে কাদতে)
তুমি সুস্থ হয়ে উঠ সব কথা রাখবো।(আভি)
আমার বাচ্চাদের কখনও আমার চেহারা দেখিও না।ওদের কখনও বলবে না আমি কেমন ছিলাম?(আমি মুচকি হেসে)
আভি আমাকে হসপিটালের বেডে শুইয়ে
মানে?(অবাক হয়ে)
মানে!ওদের কখনও বলবে না আমি কেমন ছিলাম,,দেখতে কেমন ছিলাম?ওরা জানলে ওদের আমার জন্য আফসোস হবে।আমি চাইনা আমার বাচ্চা আফসোস করুক।যেমন সব সময় আমি করতাম।আফসোস খুব খারাপ।মানুষকে সব সময় নিরাশ করে তুলে।আর আমি মারা গেলে আমার বাচ্চারা কখনই যাতে আমাকে নিরাশ হয়ে মনে না করে।এর চেয়ে ভালো যাতে ওরা আমার সম্পর্কে না জানে?(আমি হাসি মুখে)
কি যা তা বলছো?তুমি মারা যাবে মানে?তুমি কিছুতেই মরবে না। এখনও অনেক কিছু আছে আমরা এক সাথে করবো।আমাদের সন্তানের খেয়াল রাখবো এক সাথে।আমি ওদের একা সামলাতে পারবো না।তুমি না থাকলে ওরা বেপরোয়া হয়ে উঠবে।(আভি আমার হাত ধরে কাদতে কাদতে)
আমি এখনও হাসছি।ওর কথা গুলো যেনো আমার অনুভূতি গুলোকে নাড়া দিতে পারছে না।এখনও আভির করা বিশ্বাসঘতকতা ভুলতে পারছি না।ডক্টর জয় আমাকে নিয়ে অপরেশন থিয়েটারে ঢুকলো।কিন্তু আভি সেই আগের মত কান্না করছে।আমার জ্ঞান থাকার সময় ডক্টর জয়কে রিকোয়েস্ট করেছি সে যেনো আমার বাচ্চাদের বাঁচায়।উনিও কাদতে কাদতে আমাকে প্রমিজ করে আমার বাচ্চাদের বাঁচাবেন।আমিও হাসি মুখে পৃথিবীকে বিদায় জানানোর জন্য চোখ বুজে নিলাম।চোখ বুঝতেই আভির সেই হাসি মাখা মুখ দেখলাম।কি হাস্যকর না?ওই বিশ্বাসঘাতকের চেহারাই মৃত্যুর সময় দেখলাম।
।
।
অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে
কলি কান্না করছে।জিসানও কলির কান্না থামানোর বদলে নিজে কান্না করছে।
আভি তখনই কাউকে ফোন দিলো
নিহাল।তুলি,,ঈশানি,,আর রাইসাকে যেখান থেকে পারিস ধরে নিয়ে আয়।(আভি রক্ত চক্ষু দিয়ে)
আভি।আস্থা কেমন আছে?(নিহাল কৌতূহল হয়ে)
তোকে যেটুকু করতে বলছি কর।(আভি রাগে)
আচ্ছা।
বলেই নিহাল ফোন কেটে দিলো।
আভি অপরেশন থিয়েটারের দিকে তাকিয়ে
আস্থা।চলো একসাথে এই যুদ্ধ করি।আর জিতে আসি।আমাদের সন্তানের জন্য।
বলেই আভি চোখ মুখ মুছে রাইসার কাছে চলে গেলো।
।
।
অন্ধকার রুমে
আভি।এখন কি করবে?আস্থা তো আর নেই।আমি আমার বদলা নিতে পেরেছি এখন মেরে ফেলো আমার কোনো দুঃখ নেই।(রাইশা পাগলের মতো হাসতে হাসতে)
তারমানে ওই গুন্ডা গুলো তোমার ছিলো?(আভি শান্ত গলায়)
হ্যা।ওই গুন্ডা গুলো আমার পাঠানো ছিলো।ব্যাংক লুট তো একটা বাহানা ছিলো।যাতে ওর মার্ডার ধামাচাপা দেয়া যায়।ঠিক যেমন ওই ড্রাইভার জানতো না কে মরবে?আর ওই চোর জানতো না ও মারা যাবে।ঠিক তেমন ওই গুন্ডা গুলোও জানতো না।যখন ওরা গাড়ি স্টার্ট দিবে তখন গাড়ি ব্রেক ফেল করবে আর ওরাও মারা যাবে আর সাথে আস্থাও।আর কেউ বুঝতেও পারবে না।এইটা একটা মার্ডার।সবাই ভাববে অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে।তুমি যদি আস্থার জায়গাতে তুলিকেও বেছে নিতে মরতো আস্থাই।কিন্তু এতো নাটক কেনো জানো।কারণ বেচারা আস্থা মরার আগেও জানতে পারলো না।তুমি ওকে বাঁচানোর জন্য এইসব করেছো।ও তো মরতে মরতেও তোমাকে ভুল বুঝে গেলো।
বলেই হা হা করে হাসতে শুরু করলো রাইসা।
বলা শেষ হয়ে গেছে তোমার?(আভি শান্ত)
মানে?(রাইশা অবাক হয়ে)
আয়ুশ রেকর্ড হয়েছে?(আভি)
জ্বি।ভাই সব রেকর্ড হয়েছে।(আয়ুশ ঈশানির দিকে তাকিয়ে)
ঈশানি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে।
এই রেকর্ডার দিয়ে কি হবে?(রাইশা চিন্তিত হয়ে)
তোমাকে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে!(নিহাল)
রাইসা আবার হাসতে শুরু করলো
কি আমাকে?জেলের ভাত?পারবে না।আমাকে আটকাতে পারবে না তোমরা।আমি ঠিক ছাড়া পেয়ে যাবো।(রাইসা)
কি বলছে তোমাকে জেলে দিবো?(আভি অনুভূতিহীন চোখে)
মা,,, মানে?(রাইশা কিছুটা ভয় পেয়ে)
মানে,,,?(আভি দাড়িয়ে) মানে তোমাকে আমি নিজের হাতে মারব।তোমার বিরুদ্ধে এখন সব প্রমাণ আমার হাতে।তুমি যে আস্থার পালিত বাবাকে মেরেছো তোমার সাথে যে কেয়ারটেকার ছিলো সে এখন আমাদের হাতেই আর সে তোমার মার্ডারের ভিডিও করেছে।শুধু মাত্র ওই ভিডিওটার জন্য এতো দিন চুপ করে ছিলাম।কিন্তু এখন এতো প্রমাণ পেয়েও তোমাকে পুলিশে দিবো না।কারণ তোকে আমি নিজের হাতে মারবো(আভি নিজের রক্ত চক্ষু দিয়ে তাকিয়ে)
আভি,,? (নিহাল অবাক হয়ে)
ভাই,,?(আয়ুশ অবাক হয়ে)
কি তোরা এতো অবাক হচ্ছিস কেনো?তুই জানিস আমি ভেবেছিলাম আমি ওকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিবো।এই জন্য কি না করছি আমি!আস্থার মনের নিজের জন্য ঘৃণা বাড়িয়ে দিলাম,,ওর সামনে তুলিকে আপন করার নাটক করলাম,,ওকে এত কষ্ট দিলাম যে ও আমাকে বাবা হবার এতো বড় খুশির খবর আমাকে দিলো না।ওই মেয়েকে বাঁচাতে আমি এতো কিছু করলাম আর আজ মেয়েটাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারলাম না।আর সব চেয়ে বড় কথা কি জানিস! ও এখনও ভাবছে যাকে ও এতো ভালোবাসে সেই ওর মৃত্যুর সাথে লড়াই করার কারণ।যখন ওর আমাকে দরকার ছিলো আমি কিছু করতে পারি নি।ওর সাথে থাকতে পারি নি।শুধু মাত্র রাইসার জন্য।(আভির চোখ থেকে পানি পড়ছে আর সেই চোখেই বেরিয়ে আসছে বদলা নেওয়ার নেশা)
আভি তুই যা করেছিস সবই তো আস্থার জন্য।আর তোর পরিবারের জন্য(নিহাল আভির কাধে হাত রেখে)
কিন্তু কি বলতো?যখন জানতে পারলাম যে সব কিছুর পিছনে রাইসা তখনই আমার ওকে মেরে ফেলা উচিত ছিল।যদি ওকে তখনই মেরে ফেলতাম তাহলে আর আস্থার এতো কষ্ট হয় না(আভি চেয়ারে বসে)
ভাই।তুমি তো চেয়েছিলে ওকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে কিন্তু কে জানতো এরমধ্যে এইসব হয়ে যাবে?(আয়ুশ)
আভি।এখন তাহলে কি করবি?(নিহাল)
আভি একটা বন্দুক নিয়ে রাইসার কপাল বরাবর ঠেকালো
ভাবছিলাম আমার উপর করা সকল অন্যয়ের কারণে তোমাকে জেলে দিয়ে একটা সুযোগ দিবো ভালো হওয়ার কিন্তু তুমি সেই সুযোগ হাত ছাড়া করেছো।বোধ হয় আমি একটু বেশীই ভালো ছিলাম তোমার প্রতি।ভালো থেকে ফুপি।
আ,,আভি(রাইসা আর কিছু বলার আগেই আভি রাইসার কপালে গুলি চালিয়ে দিলো)
রাইসা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।
আভি হাঁটু গেড়ে নিচে থপ করে বসে পড়লো।
আস্থা।সরি তোমাকে রক্ষা করতে পারলাম না।
ভাই এদের(ঈশানি আর তুলি) কি হবে?(আয়ুশ)
আমি পুলিশের কাছে ধরা দিবো আর সব শিকার করে নিবো।আর যদি তোমরা চাও তাহলে আমাকেও মেরে ফেলতে পারো।আমি কিছু বলবো না।কারণ আমি আমার কাজে অনুতপ্ত।(ঈশানি মাথা নিচু করে)
চাচীকে পুলিশের হাতে তুলে দে।(আভি শান্ত গলায়)
আয়ুশ ওর মাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে তখনই ঈশানি আভির দিকে ফিরে বললো
রাইসা কথায় কেউ জানবে না। পুলিশ জানবে রাইসা পালিয়ে গেছে।
থ্যাঙ্ক ইউ চাচী(আভি)
ঈশানি আর কিছু বললো না।চলে গেলো।
আর এর(তুলি) কি করবি?(নিহাল)
একে পাগলা গারতে পাঠা।আর সেখান থেকে যাতে না আসতে পারে।(আভি)
আভি আমি তোমার বাচ্চার মা হতে চলেছি।(তুলি কাদতে কাদতে)
আমি জানি তুই কার বাচ্চার মা হতে চলেছিস।(আভি তুলির গাল চেপে ধরলো)
মানে?(তুলি ভয়ে ভয়ে)
অন্যর পাপ আমার ঘাড়ে চাপাবি?আর বুঝবো না ভাবলি কি করে?একে নিয়ে যা আমার সামনে থেকে(আভি)
পরেই তুলিকে মেন্টাল হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
।
।
হসিপটালে
জিসান আঙ্কেল,,আসু কোথায়?(আভি দৌড়ে এসে)
আভির সাথে,,দাদু,,আরিফ,,আরশি,,আয়ুশ,,রোহান,,মিস সাবিনা,,ডালিয়া,,নিহাল সবাই এসেছে।সবাই এখন সব কিছু জেনে গেছে।এখন শুধু আস্থার ঠিক হওয়ার পালা।আস্থা ঠিক হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু আভি জিসানের কাছে গিয়ে আস্থার কথা জিজ্ঞেস করতেই জিসান চুপ হয়ে বসে পরলো।
।
।
চলবে,,,,