#Mental_Lover
পর্ব:১৩
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
__________________________
আরিয়ান: ইশিতা,,,,(চেঁচিয়ে) ইশিতা,।
সাবিনা: এভাবে চিৎকার করছ কেন,,,।
আরিয়ান: ইশিতা কোথায়।
সাবিনা: এভাবে চিৎকার করছ কেন।
আরিয়ান: ইশিতা কোথায় (দাঁতে দাঁত চেপে)।
সাবিনা:ও যখন ওর বাড়িতে এসেছে তাহলে তো বাড়িতেই থাকবে।
আরিয়ান:ডাকুন ওকে,,,,, আমি ওকে নিয়ে যেতে এসেছি।
সাবিনা:ও যাবে না।
আরিয়ান:যাবে কি না আমি বুঝে নেব এখন ডাকুন ওকে।
সাবিনা: ঠিক আছে,যদি তোমার বিশ্বাস না হয়, তাহলে কথা বল। ইশিতা এদিকে আয় তো।
ইশিতা বাইরে আসে,, এসে আরিয়ান কে দেখে খুব খুশি হয়,, কিন্তু মনে মনে ভয় পায় যদি সে এখন আরিয়ানের সাথে চলে যায়, তাহলে এর ফল নেহা ভোগ করতে হবে।
ইশিতা: হুম,বল মামুনি।
আরিয়ান: ইশিতা,, চল আমার সাথে।
ইশিতা: কোথায় যাব।
আরিয়ান: তোমাকে এখানে থাকতে হবে না।
ইশিতা: না,,, আমি কোথাও যাবো না, আমি এখানেই থাকব।
আরিয়ান: আমি বললাম যেতে তার মানে যাবে।
ইশিতা:কে আপনি,,যে আপনার কথা শুনতে হবে আমাকে।
আরিয়ান ইশিতার কথা শুনে প্রচন্ড বিব্রত হয়ে যায়।
আরিয়ান: কি বলছ তুমি এসব।
ইশিতা: ঠিক বলছি,, আমি কেন আপনার সাথে যাব।
আরিয়ান: ইশিতা,,,,।
সাবিনা: শুনেছেন,,,ও যাবে না,, ইশিতা তুই ভেতরে যা।
ইশিতা ভেতরে চলে গেল।
আরিয়ান: আপনি ওকে নিশ্চয়ই ভয় দেখিয়েছেন, আমি কিন্তু ছাড়ব না, ইশিতা আমার আর ওকে আমি ঠিক নিয়ে যাব।
সাবিনা: আমিও দেখে নেব।
আরিয়ান রেগে চলে যায়,,,। আরিয়ান এখানের খুব বড় একটা হোটেলে উঠে,,এত সহজে তো ইশিতা কে রেখে যাবে না
সকালে ইশিতা আর নেহা হাঁটতে বের হয়।
নেহা:আপু,, তুমি আসলে কেন,,ওই ভাইয়া কিন্তু তোমাকে মনে হয় পছন্দ করে।
ইশিতা: এটা তো আমি জানি।
নেহা: তাহলে গেলে না কেন গেলে না।
ইশিতা:তোর জন্য।
নেহা: আমার জন্য,,,,,।
ইশিতা: না কিছু না চল এখন বাড়িতে ফিরে যাই।
নেহা:আরে না,,এত তাড়াতাড়ি যাব না মাত্র বের হলাম।
তখন হঠাৎ একটা বড় গাড়ি সামনে এসে দাঁড়ালো, গাড়ি থেকে আরিয়ান নেমে আসে।
ইশিতা: অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
নেহা:Wow কি এন্ট্রি দিল ভাবা যায়, একদম হিরোদের মত।
ইশিতা: চুপ কর না।
আরিয়ান: আচ্ছা নেহখ তুমি আমার কাছে ওই লম্বা চুল ওয়ালি মেয়ে টা কে পাঠাতে পারবে।
নেহা: কেনো না,,,,,।এই আপু যা,,।
আরিয়ান: আপনি দয়া করে যদি আসেন,,,একটু।
ইশিতা দু পা করে এগিয়ে আসে।
আরিয়ান: গাড়িতে বস।
ইশিতা: আমি কিন্তু কোথাও যাব না বলে দিলাম।
আরিয়ান: নিয়ে যাব না তোমাকে এবার বস
ইশিতা: কিন্তু নেহা।
নেহা: তুই যা, আমি একটু ঘুরে আসি।
ইশিতা গাড়িতে বসে। আরিয়ান গাড়ি চালাতে শুরু করে কিছু রাস্তা যাওয়ার পর আরিয়ান গাড়ি থামায়।
আরিয়ান ইশিতার দিকে তাকায়,, দেখে ইশিতা মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে। আচমকা আরিয়ান এক কান্ড করে বসলো। ইশিতা কে নিজের দিকে টেনে নিয়ে ওর ঘাড়ে খুব জো/,রে বাইট করে। ইশিতা আরিয়ান এর শার্ট খামচে ধরে বসে আছে,ওর চোখ দিয়ে টুপটাপ জল গড়িয়ে পড়ছে। কিছুক্ষণ পর নিজেই সরে বসে।
আরিয়ান: তোমার সমস্যা কি ।যেতে চাইছ না কেন।
ইশিতা: কেমন আছেন আপনি সেটা বলুন।
আরিয়ান: ভালো আছি।
ইশিতা: খাওয়া দাওয়া করেছেন।
আরিয়ান: হুম,,।
দেখে বুঝা যাচ্ছে না যে আপনি খেয়েছেন কি না।
আরিয়ান:তাই, তুমি তো দেখছি সব কিছু এখন বুঝতে পার, আমার মনের কথা বুঝতে পার না।
ইশিতা কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে কোথাও একটা যায়।
আরিয়ান:আরে কোথায় যাচ্ছ।
কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে, বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে।
ইশিতা:নিন,খেয়ে নিন।
আরিয়ান:পারব না,,,,,,,,।
ইশিতা প্যাকেট খুলে নিজের হাতে খাবার আরিয়ানের সামনে তুলে ধরে।
আরিয়ান খাওয়া শুরু করে, কিন্তু ইশিতা যত বার আরিয়ান এর মুখে খাবার দেয় আরিয়ান ততো বার ওর হাতে বাইট করে। তবুও ইশিতা চুপচাপ আরিয়ান কে খাইয়ে দেয়। খাওয়া শেষে ইশিতা আরিয়ান কে বলে বাড়িতে যাওয়ার কথা।
ইশিতা: এখন আমাকে যেতে হবে, আপনি বাড়িতে ফিরে যান।
আরিয়ান আচমকা জড়িয়ে ধরে বলল।
আরিয়ান: তোমাকে না নিয়ে এখান থেকে যাব না।
ইশিতা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল।
ইশিতা: কোনো লাভ নেই,, আপনি বলেছেন আমি যাতে আপনার থেকে দূরে থাকি।
আরিয়ান: তখন তোমাকে ওইসব কথা ভাবা উচিত ছিল, কিন্তু এখন তো আর সম্ভব না, কারণ তুমি এখন অনেক কাছে চলে এসেছ।
ইশিতা: আপনি পা/গল হয়ে গেছেন।
আরিয়ান: হুম,,আর এটার কারণ তুমি।
__________________________________
তানজিম:দিদি,,,ওই মিস্টার সাফিত আসছে ইশিতা কে নিতে।
সাবিনা: তুই যে বলে দিলি,, কিন্তু জিজ্ঞেস করেছিস কি কত টাকা দিবে।
তানজিম: অনেক টাকার মালিক ও আর ইশিতার জন্য যত লাগবে ততো দিবে বলেছে।
সাবিনা: তাহলে তো ঠিক আছে।
আরিয়ান: ঠিক নেই।
সাবিনা আর তানজিম পিছনে তাকিয়ে দেখে আরিয়ান।
সাবিনা: তুমি আবার।
আরিয়ান: হুম,,যত বার আমার জানের ক্ষ*তি করার চেষ্টা করবে আমাকে তো আসতেই হবে।
তানজিম:ওই ছেলে কে রে তুই,,,,যে এভাবে কথা বলিস।
আরিয়ান:তোর বাপেরও বাপ।
তানজিম:এই মুখ সামলে কথা বল।
আরিয়ান: তুই আর তোর বোন ঠিক হয়ে যা তাহলে আমি মুখ সামলে কথা বলব।তা আমার জান পাখি টা কই দেখছি না তো।
সাবিনা:কে জান পাখি,,ও এখন অন্য কারো জান হবে।
আরিয়ান:তাই নাকি,,, দেখা যাক,,তা সাবিনা তুমি তো আমার বড় কিন্তু নাম ধরে বলছি,, কারণ সম্মান এর যোগ্য না তুমি। তোমার মেয়ে তো এসব কিছুই জানে না তাই তো আচ্ছা যদি সব কিছু জেনে যায়, তখন কি হবে।
সাবিনা: আমাকে হু*ম*কি দিচ্ছো নাকি।
আরিয়ান:যা ইচ্ছে ভাবতে পার।যাই হোক তোমাদের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট না করে আমার জানের সাথে একটু দেখা করে আসি।
বলে আরিয়ান ইশিতার রুমে চলে গেল।
তানজিম:আরছ দিদি তুই কিছু বললি না,ওই ছেলের তো দেখা যায় খুব সাহস।
সাবিনা: সময় আসুক,, এখন যত ইচ্ছে দেখা করুক।
আরিয়ান ইশিতার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, ইশিতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ইশিতা: আপনি এখানে (ভয়ে ভয়ে)।
আরিয়ান দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
,,,,,,,,,,,,,,,,
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে…………….।
#Mental_Lover
পর্ব:১৪+১৫
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
_____________________________
আরিয়ান দরজার সামনে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
ইশিতা: আপনি,, কেন এসেছেন।
আরিয়ান: তোমাকে মিস করছি।
ইশিতা:,মিস,, (চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে), কিন্তু কেন।
আরিয়ান: কাছে এসো বুঝি দেব।
আরিয়ান এক পা দু’পা করে ইশিতার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
ইশিতা: দেখুন, আপনি যান। না হলে কিন্তু,,,,।
আরিয়ান ইশিতার চুলের খোঁপা টান দিয়ে খুলে ফেললো।
আরিয়ান: তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে করছে তাই চলে এলাম।
ইশিতা:সরুন,,,,।
আরিয়ান ইশিতাকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
আরিয়ান:পারব না,,,ভালোবাসি,,,,, তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি,,।
ইশিতা: আপনাকে ভালোবাসি না,,,।
আরিয়ান: কি বললি (ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে)।
ইশিতা: আমি আপনাকে ভালোবাসি না,,আর আপনি প্লীজ চলে যান এখান থেকে।
আরিয়ান: তাহলে এতদিন ওইসব কিছু কি ছিলো।
ইশিতা: আপনি আমার সাথে জোর করছেন এত দিন।
আরিয়ান: কি,,,,( দাঁতে দাঁত চেপে )।
ইশিতা:হরতাল,,চলে যান,, প্লীজ।
আরিয়ান ইশিতার হাত শক্ত করে চেপে ধরে বলল।
এবার তুই দেখবি জোর করা কাকে বলে।
এটা বলে আরিয়ান অনেক রেগে গাড়ি নিয়ে কোথাও চলে যায়।
__________________________________
সাবিনা: এত সহজে তো আমি এত টাকা হাত ছাড়া করতে পারব না। যত ইচ্ছে এখন আরিয়ান ইশিতাকে টানাটানি করুক, কিন্তু ইশিতা যেতে পারবে না।
।
।
।
।
আরিয়ান সন্ধ্যা বেলায় গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে , দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে, একেরপর এক খেয়েই যাচ্ছে,,,নিরব আরিয়ান কে ফোন করে।
আরিয়ান: হুম,বল।
নিরব: কি অবস্থা ওখানে কবে আসবি তুই।
আরিয়ান:আর বলিস না ভাই,, এখন এই ইশিতা উল্টো পাল্টা কথা বলছে।
নিরব:দেখ আরিয়ান তুই রাগ করিস না শান্ত হ,,ও একটু অবুঝ তোকে ওকে বুঝিয়ে আনতে হবে, কিন্তু এখন তুই যদি এমন করিস তাহলে তো ও আসবে না।
আরিয়ান: আচ্ছা ওখানে সব ঠিক আছে তো।
নিরব:হ্যা, আমি এদিকে সব কিছু সামলে নিছি,,আর তোর বোনের জন্য চিন্তা করিস না ওর জন্য তো আমি আছি।
আরিয়ান: হ্যা, তুই তো আছিস ।
দুজনে কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফোন রেখে দেয়। পরের দিন সকালে আরিয়ানের সাথে ইশিতার দেখা হয়, ইশিতা আরিয়ান কে ইগনোর চলে যেতে চায় কিন্তু আরিয়ান ও তো এত সহজে ছাড়ার পাত্র না, আবার ইশিতার সামনে দাঁড়াল।
ইশিতা: কি চাই আপনার,।
আরিয়ান: আপনাকে চাই,,,,।
ইশিতা: কখনো না।
আরিয়ান:যদি আমার না হও,টুক করে উ*প*রে পাঠিয়ে দেবো।
ইশিতা: কি,,,,যাই হোক আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না, তাহলে।
আরিয়ান: কি,, (দাঁতে দাঁত চেপে)।
আরিয়ান পাশের পুকুরে হঠাৎ ইশিতা কে ধা*ক্কা দিয়ে ফে*লে দেয়
ইশিতা:আ,,,,,আরে, বাঁচাও,,( কাশতে কাশতে)। আ,, আমি সাঁ*তা*র জানি না।
আরিয়ান:আগে বল ভালোবাসবি কি না।
ইশিতা: না না না,,।
আরিয়ান: তাহলে থাক, আমি যাই।
ইশিতা: না,বাসব ,তুলেন আমাকে।
আরিয়ান পানিতে নেমে ইশিতা কে তুলে। ইশিতা পানিতে হাবুডুবু খেয়ে খুব খারাপ অবস্থা।
ইশিতা: সত্যি,,,যদি কিছু হয়ে যেত ।
আরিয়ান: আমি থাকতে কি হবে
ইশিতা:দেত আপনার পুরো ভিজে গেছি।
,,,,,,,,,,,,,
চলবে………..।
#Mental_Lover
পর্ব:১৫
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
______________________________
ইশিতা:দেত,, আপনার জন্য পুরো ভিজে গেছি।
আরিয়ান নিজের জ্যাকেট খুলে ইশিতা কে পড়িয়ে দিল।
ইশিতা:সরুন প্লিজ বাড়িতে যাব।
আরিয়ান: হুম,,যাও কিন্তু একদিন আমার বাড়িতে আসতে হবে।
ইশিতা মুখ ভেং/চি কেটে চলে গেল।
আরিয়ান:হায়রে।
_____________________________________
বিকেলে সাবিনা এক প্রকার জোর করে ইশিতা কে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে, কারণ আজকে সাফিত আসবে ইশিতা কে দেখতে।
সাবিনা:দেখ,, আমি তোকে প্রথমেই বলেছি,, আজকে কোনো নাটক করবি না।
ইশিতা:মামুনি,, তুমি এমন করছো কেন।
সাবিনা:তোর তো দেখা যায় খুব সাহস বেড়েছে এখন তো ভ*য়ও পাস না । নাকি এখন তোমার রোমিও এর জন্য এসব হচ্ছে।দেখ আমি সুজা বলছি,, তুই যদি উল্টো পাল্টা কিছু ভাবিস তাহলে ভুলে যা,না হলে আমি কিন্তু নেহা কে।
ইশিতা: চুপ কর,,,, আমি যাব কোথায় এখন শান্তি।
ইশিতা রুমে যায়।
তানজিম:দেখ দিদি আমার এই মেয়ে কে একদম সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না কখন কি করে বুঝতে পারব না।
সাবিনা: ঠিক বলেছিস,,,,শহরে গিয়ে খুব বেশি সাহস বেড়ে গেছে কিন্তু বেশি সময় না,, আজকে পারলে ওকে সাফিত এর সাথে পাঠিয়ে দেবো।
তানজিম:আর ওই আরিয়ান,,,,,।
সাবিনা:ও যদি কিছু করে না,, আমার থেকে খা/রাপ কেউ হবে না,,।
____________________________________
নিরব নিশা কে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। নিশা নিরবের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
নিরব: তোমার ভাই যদি দেখে তাহলে তোমার কি হবে।
নিশা: জানি না,,।
নিরব: তাহলে কি জানো, তুমি।
নিশা: শুধু জানি এখন আপনি আমার কাছে আছেন,আর আপনার বুকে মাথা রেখে শান্তি লাগছে।
নিরব:ও আচ্ছা,,
নিশা: আমার আপনার সাথে থাকতে ভালো লাগে। আপনার আশেপাশে থাকলে এক অন্য রকম শান্তি পাই।
নিরব:আর আমার তো আপনার মাঝেই শান্তি,, খুঁজে পাই।
নিশা: মিথ্যা কথা।
নিরব :আরে,নাহ,সব সত্যি
নিশা:যদি সত্যি হত তাহলে তো আপনি আমাকে কবে নিজের করে নিতেন।
নিরব:ও আচ্ছা,,এই ব্যাপার,, ঠিক আছে, এবার তোমার ভাই আসুক, আসলে তোমাকে বিয়ে করে নিয়ে চলে যাব।
নিশা মুচকি হেসে,নিরব নিশা কে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
।
।
।
।
।
।
।
।
সাফিত ইশিতার দিকে একপর্যায়ে হা করে তাকিয়ে আছে। এটা ইশিতার একদম পছন্দ হচ্ছে না। নিজের উপর খুব রা/গ হচ্ছে।
সাবিনা: তো আপনার মেয়ে পছন্দ হয়েছে।
সাফিত: একদম,, কিন্তু যদি একটু আলাদা কথা বলি তাহলে আরও একটু সুবিধা হত।
সাবিনা:আরে কেন নয়।যান আপনারা কথা বলে নিন।যা ইশিতা।
ইশিতা: আমি যাব না,,।
তানজিম:দেখ ইশিতা,,দিদি আগেই বলেছেন, কোনো নাটক না করতে (ফিসফিস করে )।
সাফিত:আরে,চল কোনো সমস্যা নেই।
বলে সাফিত ইশিতার হাত ধরে।
আরিয়ান:আরে, বাহ্,, আমার অজান্তে আমার বউ কে এভাবে দেখানো হচ্ছে ।
আরিয়ান অনেক রাগী দৃষ্টিতে ইশিতার হাতের দিকে তাকায়।
সাবিনা: তোমার বউ মানে,,।
সাফিত: কি আজেবাজে কথা বলছ,,ওকে আমি নিয়ে যেতে এসেছি।
আরিয়ান: তাই নাকি,, আমি থাকতে তুমি এসে আমার পাখি কে নিয়ে চলে যাবে,,,।
সাফিত:এই,,,ও আমার চল বের হও।
আরিয়ান:ওর হাত ছাড়।
সাফিত: না ছাড়লে,,।
আরিয়ান নিজের রি*ভ*ল*বা*র বের করে।
আরিয়ান: এটা চিনিস,,,,,। পাঁচ মিনিট সময় দেব যাওয়ার জন্য।
সাফিত এক মুহুর্ত না দাঁড়িয়ে চলে যায়।
ইশিতা এ সব কিছু দেখে দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল।
তানজিম: এই ছেলে,, তুই এসব করিস কোন সাহসে।
আরিয়ান:ওই,,, (চিৎকার করে) তোদের পুলিশের কাছে আমি দিতেই পারি,, কিন্তু শুধু ইশিতার জন্য,,ও অনেক বেশি সরল,তাই কখনো কিছু বলতে পারবে না তোদের ব্যাপারে কিছু বলতে,,, কিন্তু আমি যদি একবার রেগে যাই তোদের কি হবে বুঝতে পারছিস না,, এখনও সময় আছে শুধরে যা।
বলে আরিয়ান ইশিতার কাছে যায়।
সাবিনা:এই ছেলে টা কে কি করব,,,।
____________________________________
আরিয়ান ইশিতাকে ঠা*স করে একটা চ*ড় মে”রে দেয় ।
আরিয়ান: আমি বলেছিলাম না,যে অন্য কারো কাছে না যেতে।
ইশিতা: ছাড়ুন আমায়,,কূ আপনি যে আমি আপনার কথা শুনব।
আরিয়ান: তুই স্বামী।
ইশিতা: না,,,,, আপনি কেউ না,,,,।
আরিয়ান: তুই শুধু আমার,,,,,এটা মাথায় ঢুকিয়ে নে।
বলে আরিয়ান চলে যায়।
সাবিনা আসে।
সাবিনা: তোকে দিয়ে কিছু হবে না,,,, আমার এবার নেহা কে রেডি করতে হবে।
ইশিতা: প্লীজ তুমি এমন কর না,,,।
সাবিনা: তাহলে আমি যেমন বলছি তাই কর।সাফিত এর সাথে ওর হোটেল যাবি।
ইশিতা: কি,,,,।
,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,
চলবে……………..