Mental Lover Part-16+17

0
291

#Mental_Lover
পর্ব:১৬
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
______________________________________
সন্ধ্যা বেলা তানজিম ইশিতা কে সাফিত এর হোটেলে নিয়ে যাও জন্য তৈরি হতে বলে।
ইশিতা: আমি যাব না মামা,প্লীজ,, আমাকে ছেড়ে দাও।
তানজিম:দেখ তুই যদি নিজের বোনের ভালো চাস তাহলে চুপচাপ যা এত নাটক না করে।
তানজিম ইশিতা কে রেখে চলে যায়।
আরিয়ান: কোথায় যাবেও।

ইশিতা আর তানজিম পিছনে তাকিয়ে দেখে আরিয়ান।

ইশিতা: আরিয়ান আপনি,,,।
তানজিম:এই ছেলে তুই এখানে কি করছিস,চল

আরিয়ান: চুপ,,,, ইশিতা কোথায় যাচ্ছে ,,।
তানজিম:সাফিত এর কাছে কেনো তোর কোনো সমস্যা।
আরিয়ান:সাফিত কোথায়।
তানজিম:ওর হোটেলে ।
আরিয়ান:তোর সাহস হলো কি করে ওকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার।
বলেই আরিয়ান তানজিম কে কি*ল ঘু*ষি মা*র*তে শুরু করে।
ইশিতা:আরে কি করছেন আপনি, ছাড়ুন ওনাকে, প্লীজ।

আরিয়ান কোনো কথা পাত্তা দেয় না অনেক সময় ধরে তানজিম কে পি*ঠ*তে থাকে।
ইশিতা: আরে ছাড়ুন,,,।
আরিয়ান: তুই চু*প কর ।আজ তুই আমার সাথে যাবি,চল।

বলে আরিয়ান ইশিতাকে টানতে টানতে নিয়ে নিজের বাড়িতে যায়। নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

আরিয়ান: আমি তোকে বলেছিলাম যে আমি তোকে ভালবাসি, তবুও তুই ওই ছেলের কাছে যাস, (দাঁতে দাঁত চে*পে)।

ইশিতা:যা করেছি বেশ করেছি, আপনার তাতে কি,কে আপনি যে আমাকে এত কিছু বলছেন।

আরিয়ান:তোর স্বামী,,,,তোর যা যা চাই সব কিছু আমি দেব,বল কি চাই যাতে তুই আমার হবি।

ইশিতা: আমি কারো হতে চাই না,, আমার শুধু টাকা চাই,, টাকা পেলে আমি সব কিছু করব। এখন সাফিত যদি আমাকে টাকা দেয় তাহলে ও যা বলবে তাই হবে।

আরিয়ান:যা বলবে তাই করবি, ঠিক আছে এখন আমি তোকে অনেক টাকা দেব।

আরিয়ান ইশিতার কাছে আসতে লাগলো।
ইশিতা: কি করছেন আপনি,,,।

আরিয়ান নিজের শার্ট খুলতে শুরু করে।
ইশিতা:এই,,এটা কি করছেন আপনি ।

আরিয়ান: তোমার তো টাকা চাই তাই না, আচ্ছা চল এখন সাফিত এর যা যা করার কথা সব কিছু আমি করব আর তুমি টাকা পাবে।

ইশিতা: আরিয়ান প্লীজ আপনি এমন করবেন না ।

আরিয়ান:সরি বে*বি।

আরিয়ান ইশিতাকে নিজের কাছে টেনে নিল।
ইশিতা:আরি,,,,,,।

আরিয়ান ইশিতার ঠোঁ*টে ঠোঁ*ট মিলিয়ে দেয়।
। ইশিতা আরিয়ান কে ধাক্কা দেয় সরানুর জন্য কিন্তু এক চুলও নড়তে পারে না । আরিয়ান ইশিতা কে নিজের সাথে পুরোপুরি ভাবে মিশিয়ে নিল। ইশিতা অনেক চেষ্টা করে আরিয়ান কে আটকাতে,,,, কিন্তু আরিয়ান থামে না।

ইশিতা: আরিয়ান,প্লীজ ছাড়ুন আমায়,,(, কাঁদতে কাঁদতে) আমি ব্যাথা পাচ্ছি।

আরিয়ান: আমি আজকে তোমার চাওয়া পাওয়া পূরণ করে দেব ।

অনেক সময় পর আরিয়ান শান্ত ভাবে শুয়ে আছে, ইশিতা অন্য দিকে মুখ করে বসে আছে। তারপর উঠে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। আরিয়ান নোটিশ করে ইশিতা অনেকক্ষণ ধরে ভেতরে আছে,বের হবার নাম গন্ধ নেই। আরিয়ান উঠে ওয়াশরুমের কাছে যায়।
আরিয়ান: ইশিতা,,,এই ইশিতা,কি করছ বের হও।
ইশিতা কোনো সাড়া শব্দ নেই।
আরিয়ান:দেখ আমার মাথা গরম করবি না,,,।
ইশিতা দরজা খুলে দেয়। আরিয়ান তাকিয়ে দেখে ইশিতা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।

আরিয়ান: কি হয়েছে এত সময় লাগে,,কি করছ তুমি,হ্যা,,যানো কত টেনশন হচ্ছিল।

ইশিতা শব্দ করে কেঁদে উঠলো।
আরিয়ান: ইশিতা,,,,,,,।
ইশিতা:আ,,,,, আরিয়ান,,ওই।
আরিয়ান: কি হয়েছে তোমার।
ইশিতা : র*ক্ত,,,,,।
আরিয়ান: কি,,,,,,,,।
আরিয়ান তাকিয়ে দেখে ইশিতা পুরো জামাকাপড় র*ক্তে লাল হয়ে গেছে । আরিয়ান ইশিতাকে জড়িয়ে ধরে।
আরিয়ান:আই এম সরি,,,।
ইশিতা: আমি আপনাকে ঘৃ*ণা করি।
আরিয়ান: আমি ভালোবাসি,,,,।
________________________________

ইশিতা ঘুমিয়ে আছে, আরিয়ান ওর পাশে বসে আছে।
আরিয়ান: আমি কি করছি এসব,,,এটা কি ভালোবাসা না পাগ/লামি, আমি জেনে বুঝে ওকে ক*ষ্ট দিয়েছি,, না না আমি আর ওকে ক*ষ্ট দিতে চাইনা,,,।
আরিয়ান ইশিতার কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়।
ঘুম থেকে উঠে ইশিতা তাকিয়ে দেখে পুরো রুম জুড়ে শুধুই গোলাপের পাপড়ি,,, ইশিতা টেবিলের উপর দেখে একটা বক্স রাখা, ওইটা খুলে দেখে একটা সট ড্রেস রাখা,, আছে।
ইশিতা: আরিয়ান,,এসব কি করছে ।
,,,,,,,,,,,,,
চলবে……………।

#Mental_Lover
পর্ব:১৭
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম

ইশিতা: কি হচ্ছে এসব, আরিয়ান আমাকে ক*ষ্ট দেয়, আবার এখন এসব,,,,।
ইশিতার ফোনে ম্যাসেজ আসে।
আরিয়ান: সোনা আমার প্লীজ তৈরি হয়ে নিচে এসো ।
ইশিতা: কি,,,, আরিয়ান,, আমাকে এসব পড়তে দিয়েছে , আমি এসব কিছু পড়তে পারব না ,।

বলে ইশিতা আলমারি খুলতে যায়।
ইশিতা :আরে,এটা খুলছে না কেন।

ইশিতা তাকিয়ে দেখে আলমারি লক করা।
ইশিতা: উনি,এসব করছেন। (দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)।

আরিয়ান:জান আজকে তোমাকে প্রপোজ করব,আর পারব না, থাকতে তোমাকে ছাড়া,আর কাল রাতের পর তো পারবই না। তোমাকে ওই ড্রেসে দেখার খুব ইচ্ছে।
ইশিতা ড্রেস পরে,,এতটাই সট ড্রেস যে ইশিতার হাঁটুর উপর পর্যন্ত দেখা যায়।

ইশিতা:এটা কি,এটা পড়ে আমি কি করে যাব, আরিয়ান এসব ইচ্ছে করে করছে,। এমনিতেই ও আমার সাথে কাল রাতে যা করছে, তার পর, ওনার সাথে আমি কথাও বলতে চাই না (কাদু কাদু গলায় )।
ইশিতার ফোনে আবার ম্যাসেজ আসে।
আরিয়ান: ওই তাড়াতাড়ি আয়।

ইশিতা: আরিয়ান,,( দাঁতে দাঁত চেপে)।
__________________________________
ইশিতা,, সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দেখে পুরো বাড়ি যেনো বাড়ি না ফুলের দোকানে পরিনত হয়েছে। ইশিতা শুধু ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান ইশিতাকে দেখে টাস্কি খেয়ে যায়। এদিকে ইশিতার অবস্থা খারাপ ,খালি ড্রেস নিচের দিকে টানছে, এটা দেখে আরিয়ান মুচকি হেসে বলল।

আরিয়ান: আমি তো জানতামই না,যে, ইশিতা আহমেদ মায়া কে এতটা সুন্দর লাগে,সট ড্রেসে ।

ইশিতা: আপনি,, কিন্তু।
আরিয়ান: ইশশ্, come with me, আজকের দিন শুধু তোমার জন্য।

ইশিতা:মানে,,,,,?
আরিয়ান ইশিতাকে নিচে নামিয়ে আনে।ড্রয়িং রুম পুরো টা বেলুন দিয়ে সাজিয়েছে, রুমের মাঝে একটা টেবিলে খাবার সাজানো আছে।

আরিয়ান:সো মিসেস ইশিতা আরিয়ান চৌধুরী আপনার জন্য এই ছোট্ট আয়োজন।

ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে হেসে ফেলে।
আরিয়ান: অনেক দিন পর ইশিতা কে হাসতে দেখছি,,আশা করি ওর মুখে যেনো সবসময় এই হাসির রেখা টা থাকে,,( মনে মনে)।

আরিয়ান চেয়ার টেনে দিল,,, ইশিতা বসে।

Hum Tere Bin Ab Reh Nahi Sakte
Tere Bina kya Wajood Mere
Hum Tere Ab Reh Nahi Sakte
Tere Bina kya Wajood Mere
Tujhae Juda Gar Ho Jaayenge
Toh Khud Se Hi Ho Jaayenge Judaa
Kyunki Tum Hi Ho
Zindagi Ab Tum Hi Ho….
Chain Bhi ,Mere Dard Bhi
Mere Aashiqui Ab Tum Hi Ho…..

ইশিতা: আপনি এসব কেনো করছেন।
আরিয়ান: আপনার জন্য,,,, না।
ইশিতা: আমার জন্য না, তাহলে কার জন্য।

আরিয়ান: এদিকে এস , দেখাচ্ছি।
আরিয়ান ইশিতাকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল।

আরিয়ান:দেখ।
ইশিতা: কি?দেখব।

আরিয়ান:ওই যে আয়নার ভেতর যে মেয়েটি কে দেখা যাচ্ছে,ওর জন্য এই সব কিছু।
ইশিতা: হুম,,, বুঝতে পারলাম।
আরিয়ান: কি, বুঝতে পারলে।
ইশিতা:এটাই যে, আপনি পা/গল হলেন।

আরিয়ান: এই টা ঠিক, আমি পা/গল হয়েছি, কিন্তু সেটাও তোমার জন্য। আচ্ছা ঠিক আছে এখন শুনো,, তাড়াতাড়ি নিজের সব কিছু গুছিয়ে নেও।
ইশিতা: মানে,,, কোথায় যাব আমরা।

আরিয়ান: সুইজারল্যান্ড।
ইশিতা: কি,,, কেন।
আরিয়ান: তুমি এখানে থাকবে না,,, ওখানে আমার আর তোমার বিয়ে হবে।

ইশিতা: কিন্তু,,নেহা।
আরিয়ান:ওর জন্য চিন্তা কর না,, নিরব অলরেডি ওর সব কিছু ঠিক করে দিয়েছে।আর আমিও সব কিছু জেনে গেছি,যে সাবিনা তোমাকে তোমার বোনের ভ*য় দেখাচ্ছে।

ইশিতা: আপনি কি করে জানলেন ।
আরিয়ান: তুমি এসব কথা বাদ দাও,আর তৈরি হতে চাও।কাল বিকেলে আমাদের ফ্লাইট।

ইশিতা উপরে চলে যায়।
______________________________

সাবিনা: আমি জানি,ওই আরিয়ান তানজিম কে কিছু করেছে,, আমার ভাইয়ের কিছু হলে ইশিতা কে আমি ছাড়ব না, কখনো না।

সাবিনা কে কেউ একটা ফোন করে।
সাবিনা:হ্যালো
**তোমাকে দিয়ে তো কোনো কাজ হয়নি,, আমি কিছু জানি না আমি শুধু বলেছি আরিয়ান কে শিক্ষা দিতে**

সাবিনা : আমি ইশিতা কে ছাড়ব না, কারণ,,,।
**কারন ইশিতার জন্যই ওইসব কিছু হয়েছে,, আমি জানি এখন নিজের কাজ করুন ঠিক করে।**
,,,,,,,,,,,,,
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,

চলবে…………..।