Mental Lover Part-18+19

0
265

#Mental_Lover
পর্ব:১৮
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
______________________________
সাবিনা: ইশিতা, তুই আরিয়ানের শ*ত্রু বাড়ালি। এবার তোর যে কি হবে,, (দাঁ*তে দাঁ*ত চেপে )।



আরিয়ান:শুন,,, তানজিম এর ব*ডি যাতে কেউ খুঁজে না পায় ।
নিরব:পাবে না,, কেউ খুঁজে পাবে না।

আরিয়ান: আমি অনেক বার বলেছি ইশিতার থেকে দূরে থাকতে, কিন্তু ওর কানে যায়নি, এখন পালা সাবিনার।

ইশিতা: আরিয়ান,,,।
আরিয়ান: হুম,,,,,,,,কি হয়েছে
আরিয়ান:কই, কিছু না তো,, এদিকে এসো।
আরিয়ান ইশিতাকে টেনে নিজের কোলে বসায়,,নিরব মুচকি হেসে উপরে চলে যায়।
ইশিতা:যদি, কিছু না হয় তাহলে আপনারা কি নিয়ে কথা বলছেন।

আরিয়ান: তোমার আর আমার বিয়ের কথা বলছি।
ইশিতা: হুঁ,,,,,।
_______________________________________
বিকেলে আরিয়ান আর ইশিতা গাড়ি করে বিয়ের কেনাকাটা করতে যাচ্ছে,,,, ইশিতা খুব খুশি, কিন্তু আরিয়ানের উপর একটু রা*গ আছে ।সব কিছু তৈরি আরিয়ান ইশিতা কে সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাবে আর ওখানেই সবসময়ের জন্য থাকবে,,,।নিরব আর নিশা ওদের সাথে যাচ্ছে, আরিয়ান ইশিতার বোনের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে,,। কিছুটা জায়গা যাওয়ার পর হঠাৎ কয়েক জন লোক গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরিয়ান আর ইশিতা।

আরিয়ান:এরা আবার কারা ।
আরিয়ান গাড়ি থেকে নামে ।
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ একটা আরিয়ান এর মাথায় কিছু একটা দিয়ে আ*ঘা*ত করে।
আরিয়ান পিছনে তাকিয়ে দেখে, সাবিনা।

আরিয়ান: সাবিনা,,,,,,,,,।
ইশিতা: আরিয়ান,,, (চিৎ/কার করে)।

ইশিতা দৌড়ে গাড়ি থেকে নেমে, আরিয়ানের কাছে যায়।
সাবিনা: আমি বলেছিলাম, কিন্তু আমার কথা শুননি এখন দেখ কি কি হয়।

ইশিতা: আরিয়ান,,( কাঁদতে কাঁদতে)।
সাবিনা ইশিতার চু*লের মু*ঠি ধরে বলল।
সাবিনা:তোর জন্য আজকে এই সব কিছু হয়েছে,,,,তুই আমার ভাইয়ের হ*ত্যা*কা*রী। তুই যদি আমার কথা শুনে চলতি, তাহলে আজ এসব হত না।

ইশিতা:মামুনি ছাড়,,,,।
আরিয়ান অনেক ক*ষ্ট করে উঠে দাড়ালো,,,,,,,,।
আর সব গুলো লোক কে একে একে মা*র*তে থাকে।

সাবিনা: ঠিক করে দাঁড়াতে পারছে না, তবুও ওর তে*জ কমে না।
আরিয়ান: তুই ভু*ল করেছিস,,,,, আরিয়ান কে এখনও ঠিক করে চিনতে পারলি না,,।তোর সাথের সবাই তো শেষ এবার তোর কি হবে।

সাবিনা: আমার কি হবে সেটা বাদ দে,আগে দেখ তোর ইশিতার কি হয়।
হঠাৎ কেউ একজন ইশিতার পে*টে ছু*রি ঢুকিয়ে দিল।

আরিয়ান: ইশিতা,,,,,( চিৎ/কার করে)।
ইশিতা:আ,,,,,আরিয়,,,,,।

আরিয়ান:নেত্রা তুমি।
ইশিতার পিছন থেকে নেত্রা সামনে এসে দাঁড়ালো।
নেত্রা: হ্যা আমি,,,,।

ইশিতা সব কিছু ঝা”পসা ঝা*পসা দেখছে কিছু দেখতে পাচ্ছে না ঠিক করে,,, মাটিতে লু*টিয়ে পড়ে গেল।
আরিয়ান: ইশিতা,,,,,,।
নেত্রা: তুমি আমার ভাই সৈকত কে মে*রে দিয়েছ মনে আছে।তাও আবার কার জন্য,,,,,এই মেয়েটার জন্য,, আমি তোমাকে কিছু করব না,,এই মেয়ে কে ছাড়ব না,,,।

আরিয়ান হাঁটু গেড়ে বসে যায়,,, আরিয়ানের চোখের সামনে ইশিতা লু*টিয়ে পড়ে আছে,,, মাটিতে। নিরবের গাড়ি আসতে দেখে সাবিনা আর নেত্রা তাড়াতাড়ি ওই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে পড়ে। দেখতে দেখতে আরিয়ান কিছুক্ষণ পর নিজের জ্ঞা*ন হারিয়ে ফেলে।
________________________________
**দুই মাস পর**

আরিয়ান:কি হচ্ছে এসব,,, তোমরা কি ঠিক করে একটা কাজও করতে পার না,,,, ইশিতার ছবি এখানে কে রেখেছে (চিৎ/কার করে)। তোমাদের সব গুলোর চাকরি শেষ,,,,

নিরব দৌড়ে আরিয়ানের কাছে আসে।
নিরব: কি হয়েছে তোর,, এভাবে রা*গা*রা*গী করছিস কেন।,,এই তোমরা যাও।

সার্ভেন্টরা নিজের নিজের কাজে চলে যায়।
নিরব: তুই কি করছিস,,,,তুই কি ভু*লে যাচ্ছিস যে ইশিতা বেঁ*চে নেই আর।
আরিয়ান: চু*প,,,,,আর একবার যদি, তুই এসব বলিস ,, তাহলে কিন্তু।

নিরব: আচ্ছা ঠিক আছে,,আর বলব না এবার তুই একটু শান্ত হ।

আরিয়ান: ইশিতা সবসময় আমার ছিল আর থাকবে,,,,যাই হোক অফিসে চল।
আরিয়ান আর নিরব অফিসে চলে গেল।

নিশা: ইশিতা,চলে যাওয়ার পর থেকে ভাইয়ের অবস্থা দিনে দিনে খুব খা*রা*প হয়ে যাচ্ছে।কি করব,,,।
___________________________________
“”এই যে অটো ভাই, দেখুন এটা কিন্তু চি*টিং,,””

অটোওয়ালা:আরে কিসের চি*টিং,, আমি তো ন্যায্য মূল্য বলছি।
“”জে না,, আপনি বেশি টাকা নিচ্ছেন,, দিন, আমার দশ টাকা ফেরত দিন।
অটোওয়ালা:আরে ছাড় না,,,,।
“”ছাড়ব কেনো ,,।

হঠাৎ একটা গাড়ি এসে, মেয়েটির উপর কাঁদা ছিটিয়ে চলে,, যায়।

“”আবে,,,, চোখে কি দেখ,,নাকি নিজের বাবার রাস্তা মনে কর “”।

অটোওয়ালা: আমি পালাই বাবা,,না হলে আবার দরবে।
“”আরে অটো ভাই।সব কিছু হয়েছে ওই গাড়িটার জন্য। ধুর, পুরো কাঁদা ছো*ড়া*ছু*ড়ি হয়ে গেল,,এই বার ও আমার চাকরি টা গেল “”

আরিয়ান:ড্রাইভার গাড়ি থামাও।
নিরব: কেনো, কি হয়েছে।

আরিয়ান: ইশিতা,,,,।
নিরব: এখানে কোথা থেকে আসবে।

ড্রাইভার গাড়ি থামায়,, আরিয়ান গাড়ি থেকে নেমে আশে পাশে খুঁজতে শুরু করে।
আরিয়ান: ইশিতা,,,,, (চিৎ/কার করে)।

“”মনে হল, আমাকে কেউ ডাকল,,, ধুর এটা আমার মনের ভু*ল,,,, এখানে আবার কে আমাকে ডাকবে,,যাই হোক যেতে হবে “”।

নিরব: আরিয়ান কি করছিস,,তুই ভু*ল দেখেছিস,, ইশিতা নেই এখানে।

আরিয়ান: আমি স্প*ষ্ট ওর গলা শুনেছি।
নিরব: পাগ/লামি বাদ দে আর চল, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে……………..।

#Mental_Lover
পর্ব:১৯
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
______________________________
আরিয়ান: তোমাদের কেনো রাখা হয়েছে,, (চিৎ/কার করে). ঠিক করে কোনো কাজ করতে পার না,, কোম্পানির এর ল*স হচ্ছে ।মাহি তুমি কোনো কাজের না Get out ,।নিরব নতুন পিএ চাই,,,যে কাজের হবে,,, ফা*ল*তু মানুষ নয়।

নিরব: আচ্ছা ঠিক আছে,কাল একটা ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করছি ।
_____________________________
“”ধুর ভালো লাগে না,কাল আবার একটা নতুন চাকরি খুঁজতে হবে “” রিয়া,, এদিকে আয়
রিয়া: হুম,আপ্পি,,বল।
“”তুই আজকে স্কুলে গেলি না কেন।””
রিয়া:আপ্পি,, সবাই আমাকে নিয়ে মজা করে,, বলে, আমি ঠিক করে স্কুলের বেতন দিতে পারি না, সবাই ম*স্ক*রা করে আমায় নিয়ে ( কাঁদতে কাঁদতে)।
“”রিয়া সবাই অনেক কিছু বলে তাতে কি তুই এভাবে কান্না করবি, ওদের কথা শুনে তুই স্কুলে যাবি না,, না না এটা তো ঠিক নয়,,দেখ আমি খুব তাড়াতাড়ি একটা জব পেয়ে যাব ,,কাল থেকে আবার স্কুলে যাবি, ঠিক আছে।
রিয়া: হুম,,,।
“”Very good,যাই হোক না কেন আমাকে খুব তাড়াতাড়ি জব খুঁজতে হবে ( মনে মনে)।
______________________________
সন্ধ্যা বেলায় ছাদে একা একা দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান,, দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল হবে, নিঃসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কাউকে একটা প্রয়োজন, কিন্তু যাকে প্রয়োজন সে যে আজকে তার পাশে নেই।
নিশা আরিয়ানের কাছে আসে।

নিশা: ভাইয়া,,,।
আরিয়ান: হুম,,,।
নিশা: ভাইয়া,,, তুমি কান্না করছ।
আরিয়ান: হুম,,,, কিন্তু আফসোস এই চোখের জল মুছে দেওয়ার মানুষ টা আমার কাছে নেই।
নিশা:প্লীজ ,, ভাইয়া তুমি এভাবে ভে*ঙে পড় না। (কেঁদে কেঁদে )।

আরিয়ান: ধু*র পা/গলি এভাবে কান্না করিস কেন,যা অনেক রাত হয়ে গেছে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
নিশা: হুম,,,,।
আরিয়ান ও নিজের রুমে চলে গেল, গিয়ে ইশিতার একটা ছবি হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে পরল।

আরিয়ান: কোথায় তুমি,, আমি জানি তোমার কিছু হয়নি,, তুমি এখনও বেঁ*চে আছ, আমার বিশ্বাস,আর আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে খুঁজে বের করব ।
________________________________
“”আরে, বাহ্, চাকরির খবর।””
মহিনি: কি রে কি হয়েছে।
“”দেখ মনি চাকরির খবর,,,যদি এই চাকরি টা আমি পেয়ে যাই,।””
মহিনি: কি চাকরি এটা।
“”পিএ লাগবে।””
মহিনি:ও আচ্ছা, কিন্তু তোকে কি এই চাকরিটা দেবে।
“”কেনো দিবে না,,, আমি স্মার্ট, তা হলে তো চাকরি পেতেই পারি।””।

মহিনি: হুম,,,।
“”যদি নাও পাই, তবুও চেষ্টা করে দেখতে দো*ষ কি “।
মহিনি: আচ্ছা ঠিক আছে।

মহিনি রান্না ঘরে চলে গেল।
“”যে করেই হোক চাকরি টা আমার চাই মানে চাই,,, না হলে””।
__________________________________
“”মনি,, আমি যাচ্ছি “”।
মহিনি:আরে,, তুই তো কিছু না খেয়েই যাচ্ছিস,, কিছু একটা খেয়ে যা।
“”আরে না,, এখন খেতে গেলে দেরি হয়ে যাবে, এসে খাব,,।

মহিনি:আরে, দাঁড়া,,যা চলে গেল,এই মেয়ে টা না,,,,,।
__________________________________
আরিয়ান: সব কিছু তৈরি।
নিরব: হ্যা,,, তুই বললে ইন্টারভিউ শুরু হবে।
আরিয়ান: ঠিক আছে,,তা, তাহলে এক এক জন করে ভেতরে পাঠা।

কিছুক্ষণ এর মধ্যে ইন্টারভিউ শুরু হয়,একে একে অনেকেই ইন্টারভিউ দিয়ে যায়, কিন্তু কেউ আরিয়ান যেমন চাইছে তেমন পাচ্ছে না।

আরিয়ান:আর কেউ নেই।
নিরব: না,, কিন্তু যারা ছিল তুই সবাই কে রিজেক্ট করেছিস।
আরিয়ান:তো কি করব,,কেউ এমন নয় যেমনটা চাচ্ছি।
হঠাৎ বাইরে থেকে চেঁচামেচি শুনা যায়।

আরিয়ান: বাইরে আবার কি হলো।
নিরব: তুই থাক আমি দেখে আসি।
আরিয়ান: হুম,,।

নিরব: কি হয়েছে ওখানে।
রাফিক:আসলে, একটা মেয়ে লেট করে এসেছে এখন বলছে ইন্টারভিউ দিবে,আমরা না বলেছি, যে রুলস আছে, এখন এটা নিয়ে ত*র্ক করছে।

নিরব : আচ্ছা, ঠিক আছে আমি আরিয়ানের সাথে কথা বলে আসি।
রাফিক:জ্বী স্যার।

নিরব আরিয়ান কে সব কিছু খুলে বলে।
আরিয়ান: আচ্ছা ঠিক আছে,পাঠা ভেতরে দেখি, কেমন।
নিরব: হুম,।
________________________________

“”আসি স্যার,,,,””।
আরিয়ান: হুম, আসুন,,, (নিচের দিকে তাকিয়ে )।
মেয়ে টি,, টেবিলের সাথে ধাক্কা খায় ফলে,, কয়েকটি ফাইল নিচে পড়ে যায়।

“”সরি স্যার,, আমি তুলে দিচ্ছি।””
আরিয়ান: ওকে, ওকে। মেয়েটির গলা খুব চেনা চেনা লাগছে। (মনে মনে)।
“”””এই নিন,, আপনার ফাইল “”।

আরিয়ান মেয়েটি কে দেখে পুরো চমকে উঠে।
আরিয়ান:ই,,, ইশিতা,,।

“”আপনি আমার নাম জানেন,, কিন্তু কি করে, আমি না আমার ফাইল না নিজের পরিচয় দিয়েছি, তাহলে “”।
আরিয়ান কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না,থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
“”কি হলো “”।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে……………..।