My sweetheart Part-05 And Last Part

0
5011

#My_sweetheart
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#part_05 [ End ]

সানিয়া :হুম কাল ওর মামী আর মামা এসে ছিল,ভার্সিটিতে ওনারে এসে আপনাকে ওর সাথে কথা বলতে দেখেছে।ওর মামী তো এমনি ওকে বেশী পছন্দ করে না,মেয়েটা অনেক কষ্ট করে পড়ছিল,এখন তো আর পড়তে দেবে না। ওকে বিয়ে দিয়ে দেবে যার সাথে ওর বিয়ে ঠিক ছিলি
ফারদিন :বিয়ে ঠিক ছিল মানে😡😡
সানিয়া :হ্যা
ফারদিন রেগে বলতে লাগল
ফারদিন :আর এটা এখন পযন্ত আমি জানি না, ও বলে নিই তুমি তো বলতে পারতে
সানিয়া :কি করব ও না করে ছিল বলতে।আপনি যদি পারেন ওকে সাহায্য করুন, ওর মামী অনেক লোভী,টাকা দেখে ওকে একটা বাজে ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায়
ফারদিন : Address দেও
সানিয়া :কার
ফারদিন :ওর মামার বাড়ীর
সানিয়া :দিচ্ছি

অন্য দিকে,,,,,,,,ইতি একটা রুমে বসে আছে,ওখানে ওর মামী এসে ওর দিকে একটা শাড়ি ছুড়ে মেরে বলল
ইতির মামী :এই নেয়, কাল এই শাড়িটা পড়বি,ওই ছেলের পরিবারের মানুষ আসবে।তোকে দেখে তো ওই ছেলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে।
ইতি :মামী দয়া কর, বিশ্বাস কর আমি কোনো কিছু করি নিই।আমার পড়াশোনা টা আটকে দিও না,আর ওমন একটা বাজে ছেলেকে আমি কিভাবে বিয়ে করব
ইতির মামী :আহারে তুই কোথাকার নবাব নন্দিনী রে, তুই মনে হয় অনেক ভালো।ওই ছেলের অনেক টাকা পয়সা আছে,শুধু ছেলেটার নামে কয়েকটা মামলা আছে,ধর্ষনের আর ওই নকল ঔষধ সাপ্লাই দেয় এই আর কি
ইতি :তোমার ও তো মেয়ে আছে,তুমি কি তাকেও এমন একটা লোকের কাছে বিয়ে দেবে
ইতির মামী :বেশী কথা বলবি না,যা বলেছি তা কর কাল এটা পড়বি আর সুন্দর করে সাজবি

বলেই ইতির মামী চলে গেল।ইতি ফ্লোরে বসে বসে কাদতে লাগল
ইতি : সরি ফারদিন আপনার কথা আমি রাখতে পারলাম না,আমিও যে খুব ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে।

কিছুখন পর ওর মামা রুমে আসলো
ইতি :মামু সাহায্য কর আমাকে, দয়া কর
ইতির মামু ইতির মাথায় হাত রেখে বলল
ইতির মামু :মা আমার যে কিছুই করার নেই,কিন্তু আমি চাই না ওমন একটা বাজে ছেলের সাথে তোর বিয়ে হক,তুই আর কাদিস না আমি দেখছি কি করা যায়

পরের দিন, ইতিকে শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে বসিয়ে রেখেছে,কিছুখন পর ছেলেরা আসবে।ইতি রুমে বসে আছে তখনি দরজার খুলার আওয়াজ আসলো,ইতি আয়নার সামনে বসে আছে নিচের দিকে তাকিয়ে তখনি একটা আওয়াজ শুনে অবাক হয়ে তাকালো
ফারদিন :Sweetheart
ইতি অবাক হয়ে তাকালো ফারদিনের দিকে
ইতি :আপনি😨
ফারদিনের মুখে হাসি থাকলেও দু চোখে জ্বলন্ত আগুন।এতোটা রেগে তাকিয়ে আছে যে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই ভষ্স করে দেবে।

ফারদিন ইতির কাছে গিয়ে ওর গালে আলতো করে হাত ছুড়িয়ে বলল
ফারদিন :আজ আমার sweetheart কে অসাধারণ লাগছে, চোখ ফিরাতে ইচ্ছে করছে না।
বলেই গাল চেপে ধরে বলল
ফারদিন :ঠিক সেভাবে রাগটাকেও কন্ট্রোল করতে পারছি না।সাহস হয় কি করে আমার কাছ থেকে এত বড় একটা বিষয় লুকানোর😡
ইতি :আমার গাল ছাড়ুন লাগছে আমার।
ফারদিন ইতিকে ছেড়ে দিয়ে বলল
ফারদিন :বল কেন আমাকে বল নিই
ইতি :আপনি এখানে কিভাবে আসলেন,কেউ দেখে নিই তো
ফারদিন :সবাই দেখেছে,সবার সামনেই এসেছি
ইতি :কি, মামি না জানি কি করবে
ফারদিন :এই মেয়ে এই, তোর কি মাথা ঠিক আছে।তুই ভাবলি কি করে আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়া কথা।তুই ভাবলি কিভাবে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা।আর একটু দেরি করলে তো সারা জীবনের জন্য হারিয়ে ফেলতাম তোমাকে
বলেই ফারদিন কান্না করে দিল,তারপর ইতিকে জোরিয়ে ধরে বলতে লাগল
ফারদিন :আমি ভালো থাকব কিভাবে তোমাকে ছাড়া,তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না, পারব না থাকতে তোমাকে ছাড়া।
ইতিও ফারদিনকে জোরিয়ে ধরে বলতে লাগল
ইতি :আমিও যে পারব না,আপনাকে ছাড়া থাকতে।আপনি আমার একটা প্রতি দিনের অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছেন।কিন্তু
ফারদিন :কোনো কিন্তু না,চল বাহিরে
ইতি :না না যাব না,না জানি মামী আর কি কি বলবে আমাকে
ফারদিন :চল আমার সাথে

বলেই ইতিকে বাহিরে বের করলো।ইতি বাহিরের অবস্থা দেখে একদম অবাক,সবাই ওদের দিকে হেসে তাকিয়ে আছে।ফারদিন ইতিকে সোফায় নিয়ে বসালো,ইতির মামী কিছু বলছে না,ইতির মামা সামান্য হেসে তাকিয়ে আছে,পাশেই ফারদিনের দাদু বসে আছে, আর কিছু জন আর একটা লোক,ওরা ওখানে যেতেই ফারদিনের দাদু লোকটাকে বলল
ফারদিনের দাদু : কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করেন
ইতি অবাক হয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আছে।

কিছুখনের মাঝে ইতি আর ফারদিনের বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলো,তারপর ইতিকে ফারদিনের বাড়ীতে নিয়ে গেল।
ফারদিনের দাদু :ইতি তোমাদের বিয়েটা তো হুট করে করিয়ে ফেললাম,আসলে পরিস্থিতিই এমন ছিল।সামনে একটা বড় করে অনুষ্ঠান করব তোমাদের বিয়ের জন্য
ফারদিন :ওকে দাদু
ফারদিনের দাদু : আমি একটু অফিসে যাই
ফারদিন : ওকে দাদু,রিমা
রিমা : কন ভাইয়া
ফারদিন :কিছু রান্না কর খুব খিদে পেয়েছে,
রিমা : ঠিক আসে
ফারদিন : Sweetheart চল রুমে যাই

ইতি আর ফারদিন রুমে গেল।
ফারদিন : কি হলো এমন চুপ হয়ে আছ কেন
ইতি ফারদিনের দিকে ঘুরে বলল
ইতি :এটা কি বাস্তব নাকি কল্পনায় আছি,না না এটাও একটা কল্পনা, কিন্তু এটা যদি কল্পনা হয়ে থাকে তাহলে আমি আর এই কল্পনা থেকে বের হতে চাই না।
ফারদিন ইতিকে জোরিয়ে ধরে ওর কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুড়িয়ে বলল
ফারদিন : না এটা কোনো কল্পনা না, সারা জীবনের জন্য আমরা একে অপরের হয়ে গিয়েছি।
ইতি ও ফারদিনকে জোরিয়ে ধরে বলতে লাগল
ইতি :ভেবে ছিলাম আর কখন দেখতে পাব না, খুব ভালোবাসি
ফারদিন : আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি, my sweetheart,
ইতি :কিন্তু এসব হলো কি ভাবে
ফারদিন :আমি আর দাদু গিয়ে দেখি তোমার মামা মামী ওই ছেলের জন্য অপেক্ষা করছে,আমি আর দাদু গিয়ে বাধা দিলাম, তোমার মামা না করে নিই,কিন্তু তোমার মামী প্রথমে মানতে চায় নিই,পরে যখন জানতে পারলো ওই ছেলেদের থেকে আমার অবস্থা আর ভালো সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল।যাই হক এখন সব ঠিক আছে,তুমি আমার কাছে আছ,এবার কাপড় চ্যান্জ করে নিই
ইতি :আমার তো কোনো কাপড়ই আনা হয় নিই
ফারদিন :দাড়াও
বলেই আলমারির সামনে গিয়ে, আলমারিটা খুলে বলল
ফারদিন :এই শাড়ি গুলো তোমার পছন্দ হয়েছে
ইতি :এত শাড়ি
ফারদিন :আমি এনেছি,আমার শাড়ি খুব পছন্দ, আর শাড়িতে তোমাকে খুব সুন্দর দেখায়
ইতি :ঠিক আছে, আর তুমিও অফিসে যাওয়া শুরু করে দেও
ফারদিন :কি
ইতি :দাদু একা সামলাতে পারে না,
ফারদিন :ঠিক আছে
ইতি :আমাকে একটু সানিয়ার সাথে কথা বলতে হবে
ফারদিন :হুম খুব ভয় পেয়ে ছিল তোমার জন্য।

রাতের দিকে,,,,,,,,,,,
ইতি বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশের পানে চাহিয়া আছে।তখনি পিছন থেকে ফারদিন এসে জোরিয়ে ধরলো
ফারদিন :My sweetheart কি দেখচ্ছ
ইতি :আজ আকাশটা খুব সুন্দর না,মনে হচ্ছে আকাশে তারার ভির পড়েছে,মাঝের চাঁদ টা এই অন্ধকারকে ডুবিয়ে নিজের আলো ছড়াচ্ছে। এই ফুল গুলোর গন্ধে চার পাশ মেতে উঠেছে।
ফারদিন :ঠিক বলেছ, খুবই সুন্দর একটা মুহুর্ত
ইতি :এই শোনো
ফারদিন : বল sweetheart
ইতি :একটা গান গাও না
ফারদিন :ঠিক আছে কেমন গান শুনতে চাও
ইতি :শান্ত সুন্দর এই মুহুর্ত টার সাথে মিলিয়ে
ফারদিন :ওকে

বলেই ফারদিন ইতিকে জোরিয়ো ধরে, দুজন আকাশের দিকে তাকালো,তারপর ফারদিন গান গাইতে শুরু করলো।

ফারদিন : ♪♪♪♪♪♪এই রাত তোমার আমার♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪এই চাঁদ তোমার আমার♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪শুধু দুজনের♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪এই রাত শুধু যে গানের♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪এই ক্ষণ এ দুটি প্রানের ♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪কুহু কুজনের♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪এই রাত তোমার আমার♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪অনুভবে তোমারে যে পাই♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪তুমি আছো আমি আছি তাই♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪অনুভবে তোমারে যে পাই♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪শুধু দুজনের♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪এই রাত তোমার আমার♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪এই চাঁদ তোমার আমার♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪শুধু দুজনের♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪

গান শেষ করো ফারদিন ইতির দিকে তাকালো,ইতি মিষ্টি হেসে বলল
ইতি :খুব ভালোবাসি তোমায়
ফারদিন : আমিও খুব ভালোবাসি তোমায়, my sweetheart
বলেই দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরে, পরম শান্তিতে নিজেদের খেয়ালের দুনিয়া হারিয়ে গেল।

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন