#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….18
রিমান,,,,, সেটাই বলছি আর কোথাও যাতে না যায়।
চলো মাহুয়া।
রিমান মাহুয়াকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়। আর ফারহান রিমিকে নিয়ে ছাদে চলে যায়।
মাহুয়া বসে, আছে রিমান ড্রাইভ করছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,তোমার মনে হয়না তুমি একটু বেশিই অত্যাচার করছো ফারহানের উপর।
রিমান,,,,,,,, অত্যাচার,, এটা একটু বেশি হয়ে গেলো না।
,,,,,, না মানে অত্যাচার না তাও,,
,,,,,,,, একটু তো কঠোর হবোই ছোট বোন বলে কথা।আর তোমার কি মনে হয় ফারহান আমার কথা শুনে রিমিকে চুপচাপ বাসায় দিয়ে আসবে।
,,,,,,,, দিয়ে আসবে না (কনফিউজড হয়ে)
,,,,,,,, হুহহ আরাব,আর ফারহানের চেহেরা দেখে বুঝতে পারি ওদের মনে কি চলছে। ফারহান নিশ্চয়ই রিমিকে নিয়ে কথা বলছে। সারা দিন কথা বলার সময় পায়নি। আমি চাইলে রিমিকে বাসায় দিয়ে আসতে পারতাম, কিন্তু এতে ফারহানের মন খারাপ হয়ে যেতে তাই শুধু বলে আসলাম।
,,,,,,,,,,, হাও সুইট।
,,,,,,,,,
রিমি,,,,,,,, ফারহান তুমি আমাকে ছাদে নিয়ে আসলে কেনো। তাও আবার তোমাদের ছাদে।
,,,,,,,,,,, কিছু দিন ধরে ভালো করে কথাও বলতে পারি না, তাই নিয়ে আসলাম, আর আমাদের ছাদে কেও নেয়, আরামে তোর সাথে কথা বলতে পারবো।
,,,,,,,,,,, এই ছাদে এতো অন্ধকার কেনো। লাইট কোথায়।
,,,,,,, জানি না লাইট হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে, তাছাড়া চাঁদনি রাতে সব তো দেখা যাচ্ছে।
,,,,,,,,,, চারপাশে তাকিয়ে দেখো কতো অন্ধকার, আমরা বরং অন্য কোথাও কথা বলি (ভয়ে মুখ ভার করে)
,,,,,,,,,, কিরে তুই কি ভয় পাচ্ছিস। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,,, একদমি না, কে ভয় পায়।
,,,,,,,,,,,,, ঐ দেখ তোর পিছনে কি এইটা (হঠাৎ জোরে বলে)
রিমি ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে ফারহানের পিছনে গিয়ে, ফারহানকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে। চোখ বন্ধ করে রাখে। ফারহান হাসতে হাসতে বলে,,,,, আমার সাহসী জানেমান তাকিয়ে দেখ কিছুই নেয়, আমি তো মজা করেছি।
রিমি আস্তে আস্তে চোখ খুলে, খুলে দেখে কিছুই নেয়, আর ফারহান হাসছে। রিমি ফারহানকে ছেড়ে দিয়ে, মুখ ফুলিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায়।
ফারহান,,,,,,,, আচ্ছা এতো দূরে গিয়ে যে দাঁড়ালি, এখন যদি আমাদের মাঝখানে কোনো জ্বীন-ভূত এসে পড়লে তো তুই দৌড়ে আমার কাছেও আসতে পারবি না।
রিমি কিছুটা ভয়ে আশেপাশে দেখে একটু ফারহানের কাছে আসে, এসে অন্য দিক করে মুখ ফুলিয়ে থাকে।
ফারহান,,,,,,,,,, আমার জানেমান রাগ করেছে, কতোটা রাগ করেছিস।
,,,,,,, অনেক রাগ করেছি।
,,,,,,, কি করে ভাঙবে।
,,,,,,,, হুহহ জানি না।
ফারহান রিমির সামনে এসে, দুটো কান ধরে বলে,,,,, সরি আর করবো না, এবার রাগ কমেছে।।
রিমি এক পা পিছিয়ে গিয়ে বলে,,,,, কিছুটা।
ফারহান,,,,,,,, কিছুটা,,পুরোটা কিভাবে কমবে।
রিমি,,,,,,,, যদি আমাকে ঘুরাতে নিয়ে যাও তাহলে।
,,,,,,,,ঠিক আছে চল।
,,,,,,, এখন,,,আরে এখন না কালকে। অনেক দিন হলো কোথাও যায় না।
,,,,,,,,,ঠিক আছে,কাল রেডি থাকিস বিকালে তোকে নিয়ে যাবো৷
,,,,,,,,, প্রমিজ (হাত বাড়িয়ে)
ফারহান রিমির হাত ধরে টান দিয়ে ঘুরিয়ে, রিমিকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে, রিমির কাঁধে থুঁতনি রেখে বলে,,,,, প্রমিজ।
রিমি,,,,,,,,, ফারহান
,,,,,,,হুমম
,,,,,,,, উমম একটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে (লজ্জায় নিজের দিকে তাকিয়ে)
,,,,,,,,, কি কথা।
,,,,,,,, অ উম আসলে (লজ্জায়)
ফারহান রিমিকে নিজের দিকে ঘুরায়, রিমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
,,,,,,,,, কিরে বল, কি এমন বলবি যার কারনে এতো লজ্জা পাচ্ছিস।
,,,,,,,,,, না কিছু না ছেড়ে দাও।
,,,,,,,,,, এখন শুনতেই হয়, বল না হলে সারা রাত এখানেই দাঁড় করিয়ে রাখবো। আচ্ছা পিল্জ বল। তোর চেহেরায় আজ অন্য রকম লজ্জা দেখতে পারছি।
,,,,,,,,, আসলপ আজ না তোমাকে অনেক শক্ত করে জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে। (অনেক তাড়াতাড়ি বলে কথাটা, নিচের দিকে তাকিয়ে)
ফারহান এটা শুনে হাসে,, রিমি চোখ তুলে ফারহানের দিকে তাকাতেই ফারহান এক টানে রিমিকে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলে। আর শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
ফারহান,,,,,,,,, হঠাৎ এরকম শোক হলো যে।
,,,,,,,, জানি না কেনো, তবে খুব ইচ্ছে করছিলো।
,,,,,,,,,, তোকে খুব ভালোবাসি, কোনো দিন আমার থেকে দূরে যাওয়ার কথা ভাবলেও কিন্তু মেরে ফেলবো।
,,,,,,,,, আমি কোথাও যাবো না, আর বার বার এই যাওয়ার কথা বলবে না। আমার খুব ভয় করে।তোমাকে ছাড়া জীবন ভাবা যায় না।
,,,,,,,,,, এখন তো মরার সময় হয়ে গেছে। (ভয়ে)
,,,,,,, মানে
ফারহান কে ছেড়ে দিতে নেয়, ফারহান আরো শক্ত করে ধরে।
,,,,,,, নড়িস না, তোদের ছাদ থেকে তোর বাবা, আমাদের ছাদে আমাদেরি দেখছে।
,,,,,,,,, কিহহহ, এখন কি হবে।
,,,,,,,, চিন্তা করিস না, ভালো ভাবে দেখার চেষ্টা করছে, তার মানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না।
ফারহান রিমিকে নিয়ে ছাদে পানির টানকির পিছনে লুকিয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,, আআ এখন কি হবে, আমার তো খুব ভয় করছে।
,,,,,,,, তোর ওড়নাটা দে।
,,,,,,,,, না, আমার ওড়না দিয়ে কি করবা।
,,,,,,,,, আরে তাড়াতাড়ি দে৷
রিমি অন্য দিকে ফিরে ওড়না দেয়। রিমির ওড়নাটা ছিলো সাদা৷ ফারহান এটা তার মাথার উপরে দেয়, যা নিচ পর্যন্ত নেমেছে। ফারহান এভাবে টানকির পিছন থেকে বের হয়৷
অন্ধকারে সাদা কাপড় বেশ ভালো করেই দেখা যায়। সাদা কাপড় পড়ে ফারহান এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা দেখে রিমির বাবা রিয়াদ খান ভয়ে চিৎকার করে ছাদ থেকে নেমে যায়।
ফারহান হাসতে হাসতে রিমির কাছে যায়, রিমি ফারহানকে দেখে চিৎকার করে উঠে। ফারহান তার উপর থেকে ওড়নাটা সরায়।
ফারহান,,,,,, আরে আমি, তুই ও কি ভয় পাচ্ছিস।
রিমি ভয়ে ভয়ে ফারহানের পায়ের দিকে তাকায়।
ফারহান,,,,,,, কি দেখছিস পা সোজা নাকি উল্টো।
রিমি,,,,,,,,, (কান্নার মতো করে) পিল্জ এ সময় এমন কথা বলো না ভয় করে। আমি আর এখানে থাকবো না।
ফারহান,,,,,,,, এখন এখানে থাকা উচিত ও না। তুই তাড়াতাড়ি বাসায় যা।
,,,,,,,, না আমি একা যাবো না৷ ভয় করে।
,,,,,,, এখান থেকে এখানে আর তোর ভয় করে। চল আমি দিয়ে আসছি।
,,,,,,,হুমম
ফারহান রিমিকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসে।
,,,,,,,,
মুন আর আরাব একি বিছানায় শুয়ে আছে, মুন বার বার জোরে জোরে নড়ছে, আরাব ও কম না সেও এক বার এদিক করছে একবার ঐদিক। মুলত দুজনে এটা ইচ্ছে করে এমন করছে।
বেশ অনেক ক্ষন হয়ে গেলো দুজনে এমনি করছে৷ কিছু ক্ষন পরে দুজনি উঠে বসে।
মুন,,,,,,, আপনি ইচ্ছে করে এমন করছেন তাই না।
,,,,,,,,,, আমার কথা কি বলছো তুমিও তো ইচ্ছে করেই করছো।
,,,,,,,,, এভাবে তো কেও ঘুমাতে পারবো না।
,,,,,,,,, এক কাজ করো, তুমি তোমার মতো, তোমার সাইডে ঘুমাও আর আমি আমার মতো। কেও এখন কোনো দুষ্টুমি করবে না। ডিল।
,,,,,,,,, ওকে ডিল।
,,,,,,,হুমম শুয়ে পড়ো।
,,,,,,,, হ্যাঁ তার আগে আমি এই শাড়িটা খুলে ফেলে।
,,,,,,,,,, হেহহহ শাড়ি খুলবে মানে (অভাক হয়ে)
,,,,,,,,,, কিছু উল্টা পাল্টা ভাববেন, মানে আমি শাড়ি চেঞ্জ করে, অন্য কিছু পড়ে নিয়। এটা পড়ে ঘুমাতে পড়বো না।
,,,,,,, অন্য কিছু কি পড়বে, গেনজি আর প্লাজো। (হেসে)
,,,,,,,, কেনো কোনো সমস্যা আছে।
,,,,,,,,এদমি না, পিল্জ পড়ে আসুন।
,,,,,,, আমার দিকে বেশি নজর না দিয়ে, নিজের উপর দিন। হুহহ
মুন ওয়াস রুমে গিয়ে চেন্জ করে আসে। এসে নিজের জায়গা শুয়ে পড়ে৷ আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে থাকে। এতে মুনের বেশ অসুবিধে হচ্ছে।
,,,,,,,,আপনি পিল্জ অন্য দিকে তাকাবেন।
,,,,,,,,,, আমার চোখ আমি যে দিক ইচ্ছে তাকাবো। তোমার কি।
,,,,,,,, ঠিক আছে আমারে চোখ আছে আমিও আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবো।
,,,,,,,,, থাকো।
মুন আরাব দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মুনের সব রাগ আরাবের চোখের দিকে তাকিয়ে চলে গেছে।
মুন,,,,,,,,,,(ওনার চোখ সত্যি খুব আকর্ষণীয়, ওনি যে এতো এট্রাকটিভ দেখতে আগে খেয়াল করিনি। মনে হচ্ছে আরো কাছে গিয়ে দেখি। চোখের পাতা গুলো ছুঁয়ে দিয়।)
,,,,,,,,,, (আমি কি মুনের দিকে দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। সে আমার এতো কাছে আছে তাও দূূরে মনে হচ্ছে। ইচ্ছে করে আরেকটু কাছে যেতে। না আর তাকিয়ে থাকা যাবে না)
আরাব অন্য দিকে ঘুড়ে যায়, মুন ও অন্য দিক হয়ে জোর করে চোখ বন্ধ করে রাখে।
,,,,,,,,,
মাহুয়া,,,,,,,, আমার বাসা এসে গেছে।
রিমান,,,,,,,, হুমম(গাড়ি থামিয়ে)
,,,,,,,, ধন্যবাদ।
,,,,,,,কেনো।
,,,,,,,,তুমি আমার জীবনে না আসলে আমি কখনো এতো আনন্দ, এতো মজা করতে পারতাম না। সো থেংক ইউ।
,,,,,,,, ধন্যবাদ তো উল্টো আমার বলা উচিত, আমার জীবনে আসার জন্য। সো ধন্যবাদ আমার জীবনে আসার জন্য, আমার রাতের ঘুম হারাম করার জন্য।
,,,,,,,,welcome, welcome
,,,,,,,, এখন তো যেতে হবে৷
,,,,,,,,,,, হুমম
দুজনেই চুপ কিছু ক্ষন বসে থাকে। তারপর রিমান মাহুয়ার দিকে ঝুঁকে, মাহুয়ার সাইডে হাত দিয়ে গাড়ির দরজা খুলার জন্য হাত দেয়। হঠাৎ করে রিমান এমন কাছে এসে পড়ায়, মাহুয়া চমকে যায়। রিমানের চোখে দিকে তাকায়। রিমান ও মাহুয়ার চোখের দিকে তাকায়।
মাহুয়া চোখ বন্ধ করে দেয়। মাহুয়া মনে করে রিমান তাকে কিস করার জন্য কাছে এসেছে, সে খেয়াল করেনি যে, রিমানের হাত তার পিছনে না গাড়ির দরজায় ছিলো।
মাহুয়ার চোখ বন্ধ করে দেয় দেখে, রিমান কিছু বলে না, সে দরজা থেকে হাত সরিয়ে মাহুয়ার গালে রেখে কিস করতে থাকে। দুজনে ঠোঁটে কিস করতে থাকে। কিছু ক্ষন পর দুজনে আবার ঠিক হয়ে বসে, কিছু ক্ষন দুজনে চুপচাপ বসে থাকে। তার পর নিরাবতা ভেঙে মাহুয়া বলে,,,,,,, আমার এখন যাওয়া উচিত।
,,,,,,,,হুমম
মাহুয়া দরজা খুলে বের হয়ে রিমানকে বাই বলে সোজা চলে যায়। রিমান কিছু ক্ষন বসে মুশকি মুশকি হাসতে থাকে। তারপর আরাব গাড়ি চালু করে চলে যায়।
সকালে,,,,,,,,,,
আরাব নিজের শরীরের উপর কিছু একটা রাখা আছে, এমন অনুভব হচ্ছে। আরাব চোখ খুলে, তাকিয়ে দেখে মুনের মাথা আরাবের বুকে, হাত দিয়ে জরিয়ে রেখেছে, আবার উপরে পা ও দিয়ে রেখেছে। আরাব হাত দিয়ে মাথার চুল গুলো সরিয়ে দেয়। তাকিয়ে দেখে সকাল ১০ টা বেঝে গেছে।
আরাব উঠতে নেয় কিন্তু পারেনা, মুন আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে।
আরাব,,,,,,,,, ভেবেছিলাম লজ্জায় ফেলবো না,কিন্তু এখন আমিও দেখতে চাই তুমি নিজেকে এমন ভাবে দেখে কি করো। আরাব মুনকে ডাক দেয়। কিন্তু মুনের কোনো সারা শব্দ নেয়। তারপর আরাব মুনের কপালে দরজা টুকা দেওয়ার মতো টুকা দিয়ে ডাকতে থাকে,,,,,, মুন এই মুন।
মুন মিটমিট করে মৃদু ভাবে তাকায়, তারপর কোথায় আছে সেটা জানার জন্য মাথাটা একটু উঠায়। উঠিয়ে দেখে আরাব ঠিক তার সামনেই আছে। কি হয়েছে সেটা বুঝার চেষ্টা করছে মুন। তাই কিছু ক্ষন আরাবের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর আরাব মুশকি হেঁসে বলে,,,,,, হাই মেম
মুন,,,,,,,,, হ্যালো।
তারপর হঠাৎ মনে পড়লে, আরাবকে ধাক্কা দিয়ে উঠে যায়।
মুন,,,,,,,,,, কি হলো আপনি আমাকে জরিয়ে ধরে আছিলেন কেনো।
আরাব,,,,,,,,,,,,, কিহহ, আমার হাত দুটো বিছানায় ছিলো,তুমি আমাকে জরিয়ে ধরে ছিলে, নিজের পাও আমার উপর রেখে ঝাপটে ধরে ছিলে।
মুন,,,,,,,,, আ আ আপনি আমার সাইডে কেনো এসেছেন, তাই তো আমি ধরেছি।
আরাব,,,,,,,,, মহতোরমা একটু আপনার পিছনের এলাকায় তাকিয়ে দেখেন। (এক সাইড হয়ে শুয়ে, কনুই বালিশের উপরে রেখে হাতের উপর মাথা রেখে)
মুন পিছনে তাকায়, তাকিয়ে দেখে তার পিছনে বিছানায় অনেক জায়গা পড়ে আছে, সে আরাবের জায়গা এসেছে।
আরাব,,,,,,,, সারা রাত ঘুমাতে পারিনি তোমার কারনে,বার বার আমার উপরে চলে এসেছো, বার বার আমি সরিয়েছি, আর না পেরে বিছানার এক কোনায় এসেছি তাও সেখানে শান্তি দাওনি। আমাকে জরিয়ে ধরার এতো যখন ইচ্ছে তখন বলো আমি এখনি ধরছি (মুনকে ধরতে নিয়ে)
মুন,,,,,,,, একদম না,, জরিয়ে ধরবেন না আমাকে। আমার শোয়া ভালো না এই জন্যই বলেছিলাম আপনাকে সোফায় শুতে। এখন থেকে সোফায় থাকবেন আর কোনো সমস্যা হবে না, হুমম।
আরাব,,,,,,, কেনো সোফায় থাকবো, আমি তোমাকে আর সরাবো না, এখন থেকে তুমি আমাকে জরিয়ে ধরলে, আমিও জরিয়ে ধরবো।
,,,,,,, এ্যাঁ কেনো মামার বাড়ির আবদার নাকি।
,,,,,,,, হ্যাঁ, তুমি আমাকে ধরতে পারলে আমি কেনো পারবো না। তোমার জন্য আমি আর আমার ঘুম নষ্ট করতে পারবো না। সো আমাকে জরাতে আসলে বাঁধা তো দূরে থাক উল্টো আমি আরো জরিয়ে ধরবো।
,,,,,,,,,, তাহলে রাতে আমি ঘুমাবোই না, সারা রাত জেগে থাকবো, তখন না আপনি আমাকে ধরতে পারবেন না আমি।
,,,,,,,,, ওকে অলদাবেস্ট।
আরাব এটা বলে বিছানা থেকে উঠে, দরজা খুলে বাহিরে চলে যায়। মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে ভেঙাতে থাকে৷
আরাব নিচে যাওয়ার জন্য সিরিতে এক পা দিতেই ফারহান আর রিমান দৌড়ে চলে আসে।
আরাব,,,,,,,, তোরা এতো সকালে কেনো।
ফারহান,,,,,,,,,, ১০ টার বেশি বাঝে হুহহ
রিমান,,,,,,,,,, তোকে ডাকার জন্য এসেছিলাম। ডাকার আগেই উঠে গেলি।
রিমান আরাবকে ভালো করে দেখে। রিমান আরাবের মুখ ধরে এদিক সেদিক করে গলা গাঢ় এসব ভালো করে দেখে।
ফারহান,,,,,,, কিরে তোর শরীরে কালকের পড়ানো, শার্ট প্যান্ট কেনো। আবার গোসল ও করিস নি, মাথাও চুল ও শুকনো।
আরাব,,,,,,,,,, পাগল নাকি, এতো সকাল সকাল কেনো গোসল করবো আমি।
রিমান আর ফারহান হাত কমরে রেখে আরাবের দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকায়।আরাবের এখন মনে পড়ে।
আরাব,,,,,,,, ও সরি আমার প্রথম বার তো তাই ভুলে গেছি, আমি এখনি গোসল করে আসছি।
আরাব দৌড় দিতে নেয়, ফারহান পিছনে থেকে শার্টের কলার ধরে ফেলে।
রিমান,,,,,,, দাঁড়াও দোস্ত দাঁড়াও। একটা কথা সত্যি বল, তোদের মধ্যে আদোও কিছু হয়েছে নাকি ঝগড়া হয়েছে শুধু।
আরাব,,,,,,,, দূরর বাসর রাতে ঝগড়া কে করে।
রিমান,,,,,,,,, ঝগড়া হয়নি তাহলে।
আরাব,,,,,,, না, একদমি না (মিথ্যা হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,,, তাহলে কি হয়েছে। (সন্দেহের নজরে তাকিয়ে)
আরাব,,,,,,,,, যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে।
রিমান,,,,,,,,,, এ আরাব রে আমাদের সাথে মিথ্যা বলিস না, আমাদের দোস্তির বাস্তা বল সত্যিটা বল।
আরাব কয়েকটা কাশি দিয়ে বলে,,,,, হয়নি কিছু,,,
রিমান,,,,,,,, আমি জানতাম এ পারবো না, এর সমস্যা আছে কিছু করতে পারে না।
আরাব,,,,,,,,, সমস্যা আছে মানে, পারি না মানে,,আয় তোকে দেখায় পারি না পারি না (রিমানের হাত ধরে টেনে)
রিমান,,,,,,, দেখ ফারহান দেখ এর মতলব ভালো না। নির্ঘাত এর হরমনে প্রবলেম আছে, তাই আমাকে ধরে টানছে।
আরাব রিমানকে একটা লাথি মারে।,,,,, শালা আমার হরমন একদম ঠিক আছে।
ফারহান,,,,,,,, তহলে অন্য কোনো সমস্যা থাকলে বল আমাদের, আজ কাল অনেক ভালো ভালো ডক্টর আছে।
আরাব এবার ফারহানকে একটা লাথি দেয়,,,,,,, আমি একদম ঠিক আছি। আমার কোনো প্রবলেম নেয়,সময় হলে আমরাও এক হবো।
রিমান,,,,,,,,, কবে।
আরাব,,,,,,,,, এখন এটা আমি কিভাবে বলি, যখন হওয়ার কথা তখন হবে।
রিমান,,,,,,,,, আমি তোকে আজকার রাতটা টাইম দিলাম, আজকে বস কিছু না হলে, কাল যা হবে তার জন্য আমাদের কিছু বলতে পারবা না।
আরাব,,,,,,,, তোদের হুমকিতে আমি ভয় পায় নাকি, যা করার করিস,এখন আমি যায় গোসল করে পরেই নীচে আসি, না হলে সবাই তোদের মতো সন্দেহ করবে।
বলে আরাব চলে যায়।
রিমান,,,,,,,,, যেটা ভাবছি সেটা না করলে দেখা যায় আর কোনো উপায় নেয়।সরি দোস্ত
ফারহান,,,,,,,,, তুই সরি কেনো বলছিস, তুই যেটা করছিস সেটা আমার সাথে করলে ধন্যবাদ দিতাল।
রিমান ফারহানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,, তুই নিজের ফিলিং আমার সাথে বলতে এসো না। চল চুপচাপ, নিচে যায়, মামনি মনে হয় ভালো ভালো রান্না করছে, অনেক ভালো গ্রান আসছে।
,,,,,,,,
আরাব গিয়ে দেখে মুন অলরেডি ওয়াস রুমে ঢুকে গেছে। আরাব শুয়ে গুয়ে মোবাইল টিপছে। বেশ কিছু ক্ষন পর মুন গোসল করে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে আসে।
আরাব মুনের দিকে তাকায়,তাকিয়ে লুকিয়ে তার মোবাইল দিয়ে মুনের কয়েকটা ছবি তুলে। মুন তাকাতেই আরাব মোবাইল সরিয়ে ফেলে।
আরাব,,,,,, এতো ক্ষন লাগে গোসল করতে।
,,,,,,, আমার এতো ক্ষনই লাগে।
আরাব ভিতরে যায়, গিয়ে গোসল করে সাদা একটা টোয়াল পড়ে বের হয়। মুন খাটের কোনায় নিচে বসে, লাগেজে কিছু একটা খুঁজছে। কি করছে দেখার জন্য আরাব মুনের পিছনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচে করে দেখছে।
আরাবের চুলের কয়েক ফোটা পানি মুনের গাড়ে পরতেই মুন ভয়ে সামনে ফিরে দাঁড়িয়ে যায়।
মন ভয়ে তার দুটো হাত আরাবের খালি বুকে রেখেছে, সে দিকে কোনো খেয়াল নেয় মুনের।আরাব মুনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে, আর মুন ও আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে। মুনের কেমন জানি আরাবকে দেখে যেতেই ইচ্ছে করছে। চুল দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে, সাদা গায়ে, মুখে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে,গোলাপি ঠোঁট দুটো ভিঝা।
মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে গবীর পর্যবেক্ষণ করতে ব্যস্থ। আরাব মুনের থেকে বেশ লম্বা তাই, আরাবের চুলের পানির কয়েক ফোটা মুনের কপালে গালে পড়তেই সে আবারবের থেকে হাত সরিয়ে,তাড়াহুড়ো করে অন্য দিকে যেতে নেয় আর পা পিছলে আরাবকে নিয়ে বিছানায় পড়ে যায়।
মুন আরাবের উপরে, তাদের ঠোঁট লেগে গেছে, আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে আছে, মুন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আবার উঠে যেতে নেয়৷ কিন্তু আরাব মুনের পিঠে ধরে মুনকে উঠতে দেয় না। সে চোখ বন্ধ করে মুনকে কিস করতে থাকে।
মুনের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, তার কোনো ইচ্ছে করছে না আরাবকে বাঁধা দিতে। আরাব মুনকে কিস করতে করতে মুনকে নিচে দিয়ে সে মুনের উপরে উঠে যায়। দুজনে কিস করতে ব্যস্থ, তখন দরজায়,টুকা পড়ে, দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে, আলাদা হয়ে বসে।
একজন সার্বেন্ট দরজার ওপাড় থেকে নলে, তাদের সবাই ডাকছে।
আরাব, মুন বসে বসে হাঁপাচ্ছে, কিছু ক্ষন পর মুন দৌড়ে নিচে চলে যায়। আরাব মুশকি হেসে সেও রেডি হয়ে নিচে যায়। নিচে গিয়ে দেখে সবাই খাবারের টেবিলে তার জন্য বসে অপেক্ষা করছে। মুন নিচের দিকে তাকিয়ে চামচ নাড়াচ্ছে। আরাব একবার মুনের দিকে তাকিয়ে, আবার মুনের পাশে বসে।
রিমান,,,,,,,, পেটে ক্ষুধায় ঢোল বাজাচ্ছে আর তুই এতো লেইট করে আসলি। তোর জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করছি। আচ্ছা একটা কথা আমরা না হয় তোর জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু বাবা তো অপেক্ষা করার লোক না। তাও আবার আজকে এতো চুপচাপ, বাবা কি হয়েছে একটু বলো তো।
ফারহান আর রিমি একটু নড়েচড়ে বসে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, কাল আমি কি দেখেছি তোরা বললে বিশ্বাস করবি না।
ফারহান,,,,,,,, তাহলে বলে লাভ নেয় যেটা বিশ্বাস করবো না সেটা বলে কি হবে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, আরে শুন, কাল রাতে আমি একটু ছাদে গিয়েছিলাম। তখন আমি আমাদের ছাদ থেকে ফারহানের ছাদে কিছু একটা দেখতে পায়, ভালো করে দেখার জন্য একটু এগিয়ে যেতেই দেখি সাদা কাপড় পড়া একটা ভুত বেরিয়ে আসে।
ফারহান,,,,,, (জোর করে হেঁসে) আংকেল আপনি ভুল দেখেছেন। রাতে কি দেখতে কি দেখেছেন।
রিয়াদ খান,,,,,,, সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো, চাঁদনি রাত ছিলো।
আরাব,,,,,,, আরে ভুত টুত কিছু হয়না।
ফারহান,,,,,,,, আরে হ্যাঁ হ্যাঁ ভুল দেখেছো।
রিমান,,,,,,,,,,, ঠিক কয়টার দিকে দেখেছো,ফারহানের ছাদে ভুত।
রিয়াদ,,,,,,,,, ১২ টার আরেকটু আগে হবে।
রিমান,,,,,,,,,, সাদা কাপড় ওয়ালা ভুত (রিমির কাপড়ের দিকে তাকিয়ে)
রিমান হেঁসে হেঁসে ফারহানের দিকে তাকায়।ফারহান তাকাতেই রিমান বড় একটা হাসি দেয়। ফারহান ইশারায় রিমানকে সরি বলে। রিমান ফারহানকে ইশারায় একটা গালি দেয়।
আরাব,,,,,,, ভুত টুত কিছু হয় না, ভায় পাওয়ার কিছু নেয়।
রিমান,,,,,,,, ভুত হয়না কিন্তু জ্বীন তে হয়। বাবা তুমি নিশ্চয়ই জ্বীন দেখেছো কালকে।
রিয়াদ খান,,,,,,, কি বলিস (ভয়ে)
রিমান,,,,,,,, জ্বীনরা রাতে একা একা গুড়ে,যদু এ অবস্থায় তাদের কেও দেখে ফেলে তখন তাদের নজর পড়ে যায় তার উপর।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, সর কি বলিস এগুলো(ভয়ে)
রিমান,,,,,,, হ্যাঁ বাবা, তুমি এখন থেকে সাবধানে থাকবে, হতে পারে জ্বীন তোমার কোনো ক্ষতি করতে চাইবে। হতেই পারে জ্বীন এখন তোমার পিছনে আছে।
রিয়াদ খান ভয় পেয়ে পিছনে তাকায়।
রিয়াদ খান,,,,,,,, চুপ এসব উল্টা পাল্টা কথা বলবি না একদম। আমি চলে গেলাম এখান থেকে।
রিয়াদ খান একা যেতে নেয়,আবার ফিরে এসে, জোর করে আরাবের বাবাকে সাথে নিয়ে যায়। আর সবাই হাসতে থাকে।
মুন,,,,,,, আমার ভয় করছে, সত্যি ফারহানের ছাদে এমন কিছু আছে।
ফারহান,,,,,,,, আরে না, রিমান মজা করছে।
রিমান,,,,,,,, এমন কিছু হলে আমি জীবনে ফারহানের বাসায় যেতাম না।
কালকে গল্প পোস্ট করার সময় কিভাবে যেনো ডিলেট হয়ে যায়।তাই আবার লিখে গল্প পোস্ট করা সম্ভব হয়নি, তাই আজ সকাল সকাল উঠে আপনাদের জন্য গল্প লিখেছি।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,