you are only my queen part-19+20

0
3771

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 19

in varsity

আমি,বিশাল আর ভাবিন গেইট দিয়ে ডুকলাম।আমরা গেইট দিয়ে কথা বলতে বলতে মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম।
ঠিক এমন সময় একটা ছেলে আমার কাছে এসে গোলাপ ফুল নিয়ে আমার সামনে বসে পরল।আমি চমকে উঠলাম।বিশাল আর ভাবিন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
বিশালঃএই কেরে এভাবে সামনে এসে হুমরি খেয়ে পরল?
ভাবিনঃভাই কে আপনি?
ছেলেঃআসলে আমি তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছি ওইদিনই তোমার প্রেমে পরে গেছি।আমি জানি না কি বলবো তোমায় বলবো।!
আমিঃকি বলবেন?(মুচকি হেসে)
ছেলেঃi love youu
আমিঃi love u tooo
দূর থেকে রুদ্র এসব দেখে রাগে চলে গেলো।
বড়ভাইয়াঃi love u three
ছোটভাইয়াঃi love u four…
পিছনে ফিরে দেখি ভাইয়ারা দাঁড়িয়ে আছে।
আমি মুচকি হাসলাম।ছেলেটাও দাঁড়িয়ে গেলো।তারপর ভাইয়ারা আমার কাছে আসলো।তারপর আমরা চারজনই জোরে জোরে হেসে দিলাম।
বিশাল আর ভাবিন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।ওরা কিছুই বুঝতে পারছে না।
জনি ভাইয়া(ছেলে)ঃকি কেমন চমকে দিলাম বল।
আমিঃআমিও কেমন নাটক করলাম বল।
বিশালঃআমরা কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমিঃআরে এটা আমার আরেক ভাইয়া। তা ভাইয়া ভাবি আর পুচকু কই।
-এই তো আমরা।
পিছনে তাকিয়ে দেখি শাড়ি পরা একটা মেয়ে আর পিচ্ছি একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি গিয়ে ওদের জড়িয়ে ধরলাম।

আচ্ছা আপনারা কি কিছুই বুঝতে পারছেন না?
আচ্ছা চলুন বুঝিয়ে বলি
(ছেলেটার নাম হলো সাফিন রহমান জনি।শাড়ী পরা মেয়েটা হলো তার বউ আর পিচ্ছি টা হলো তাদের একমাত্র ছেলে। জনি ভাই হচ্ছে আমার ভাইয়ার বন্ধু।ভাইয়ার পুলিশ বন্ধু।এখানে ভাইয়াই ওনাকে ডেকেছে আমাদের হেল্প করার জন্য। আর জনি ভাইয়া এতক্ষন আমার সাথে মজা করছিলো।আসলে জনি ভাইয়া আর ভাবি আমাদের সাথে লন্ডনে থাকতো।আমাদের আসার ২ মাস আগে বাংলাদেশে চলে আসে বাচ্চাসহ।আর এখানে এসে পুলিশের ACP পদে চাকরি নিয়েছে।)

এবার বুঝলেন তো কাহিনী কি??বুঝা শেষ হলে চলুন গল্পে যাওয়া যাক।

ভাইয়ারা জনি ভাইয়া কে জড়িয়ে ধরলো।

অন্যদিকে

রুদ্র যেই দেখলো জনি ভাই আমাকে প্রপোজ করেছে সেই মুহুর্তেই মাঠ থেকে অডিটোরিয়ামে চলে আসলো।আর এসেই ভাংচুর শুরু করে দিল।
কিন্তু আকাশ ভাইয়া মাঠে দাঁড়িয়ে সব দেখলেন।তাই তিনি রুদ্রকে জানানোর জন্য।
রুদ্র সব কিছু ভেঙে একজায়গায় বসে আছে আর হাত থেকে রক্ত পরছে।আকাশ ভাইয়া রুদ্রকে এই অবস্থায় দেখে দৌড়ে গেল। গিয়ে রুদ্রের সামনে বসে জড়িয়ে ধরল।
আকাশ ভাইয়া আবার দৌড়ে গিয়ে ফাস্ট এইড বক্স এনে রুদ্রের হাতে ব্যন্ডেজ করে দিল।
আকাশঃপাগল হয়ে গেছিস নাকি?(রেগে)
রুদ্রঃ………………
আকাশঃকি হল বল??(চিল্লিয়ে)
রুদ্রঃফারিয়াকে তো এর জন্য শাস্তি পেতেই হবে। (চোখ মুখ হিংস্র করে)
আকাশঃআরে তুই আগে শুন আমার কথা
তারপর আকাশ রুদ্রকে সবকিছু বললো।
সবকিছু শুনে রুদ্রের মুখে হাসি ফুটে উঠল।
রুদ্রঃযাই হোক আমার বেগমকে তো শাস্তি পেতেই হবে। (বাকা হেসে)
আকাশঃতুই সত্যি একটা পাগল।ফারিয়া জানি কেমনে তোরে সামলাইবো আল্লাহই জানে!!
রুদ্রঃসেটা আমার বেগমেই বুঝবে তোকে বুঝতে হবে না।আচ্ছা চল ক্লাস এ যাই।যা হবার রাতেই হবে।(বাকা হেসে)
আকাশ ভাইয়াও আর কিছু বলল না।তারা ক্লাস এ চলে গেলো।

ভাইয়ারা জনি ভাইকে আগেই সব কিছু বলেছে।আর জনি ভাই আর ভাবি এখানে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল।আসলে পুচকুকে খুব মিস করছিলাম তাই তারা পুচকুকে নিয়ে এসেছিল।আর এখন ভাইয়াদের সাথে আমাদের বাসায় গিয়েছে।আর আমি,বিশাল আর ভাবিন ক্লাস এ চলে গেলাম।
ক্লাসএ গিয়ে দেখি রুশা আর মেহেক মুখ ভার করে বসে আছে।বিশাল আর ভাবিন আজকে অন্যজায়গায় গিয়ে বসলো আর আমি আজকে রুশাদের সাথে বসলাম।
আমিঃরাগ করার কারন কি?
রুশাঃ…………….
মেহেকঃ……………….
আমিঃকথা বলবি না?
রুশাঃ……………….
মেহেকঃ………………..
আমিঃআচ্ছা বাবা সরি।এই যে দেখ কানে ধরলাম।
এবার রুশা আর মেহেক আমার দিকে তাকালো
আমিঃ সরি বললাম তো।
রুশাঃতোকে আমি তারাতারি আসতে বলেছিলাম।আর তুই এখন এলি।
মেহেকঃতোর সাথে আমাদের কথা না বলাই উচিত।
আমিঃআচ্ছা বাবা সরি।
রুশাঃ এবারের মতো মাফ করলাম।
মেহেকঃহুম শুধু এবারের মতো।
আমিঃউফ বাবা বাচলাম।
তারপর স্যার ক্লাস এ এসে ক্লাস করাতে লাগলো।কিন্তু আমার মন ক্লাস এ বসছেই না।শুধু রুদ্রের কথা ভাবছে।
স্যার ক্লাস করিয়ে চলে যেতেই আমি রুশাকে বললাম
আমিঃরুশা তোর ভাই কি আজকে আসে নাই।
রুশা আর মেহেক আমার কথা শুনে ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকালো।
আমিঃকি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?(হালকা হাসার চেষ্টা করে)
রুশাঃআমার ভাইকে দিয়ে তোর কাজ কি?
আমিঃনা মানে এমনিই।
রুশাঃতার মানে তুই আমার ভাইয়ার প্রেমে পরেই গেলি।তুই আসলেই একটা কিউট মেয়ে।তুই আসাতেই আমার ভাইয়াকে এতো হাসিখুশি দেখি।জানিস আমার ভাইয়া কোনদিন রাতে ঘুমাইনি।কিন্তু তুই আসার পর থেকে ভাইয়াকে আমি রাতে শান্তিতে ঘুমাতে দেখি।আগে কথায় কথায় ভাইয়া রাগ করতো।এখন আর করে না।তুই আসাতে আমার ভাইয়ার জীবন পাল্টে গেছে।(মনে মনে)
আমিঃকিরে কি ভাবছিস?
রুশাঃকিছু না।চল অডিটোরিয়ামে যাই।
আমিঃকেন?
মেহেকঃতুই ভুলে গেলি!!!
আমি হালকা ভাবে আমার মাথায় বারি মেরে বললাম
আমিঃসরি রে একদম ভুলে গিয়েছিলাম
রুশা আর মেহেক আমার দিকে আবারও ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।
আমিঃচল
আমি,রুশা,মেহেক,বিশাল আর ভাবিন অডিটোরিয়াম দিকে গেলাম।
গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার রাগ সপ্তম আসমানে উঠে গেলো।

চলবে……..

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 20(extra)

আমরা সবাই অডিটোরিয়ামে গিয়ে দেখি রুমের অবস্থা একদম খারাপ আর রুমের মাঝখানে রুদ্র আর তার দল বসে আছে।আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এগুলা ওদেরই কান্ড।আমার রাগ একদম সপ্তম আসমানে উঠে গেলো। কারন আমি অগোছালো জিনিস দেখতে পারি না।
রুশাঃকি অবস্থা করেছে এই রুমের?
মেহেকঃএকটু পরই স্যাররা আসবে।এসে যদি দেখে এই অবস্থা তখন কি হবে?
আমিঃআচ্ছা চল গিয়ে জিজ্ঞাসা করি এ অবস্থা কে করেছে।
বিশালঃহুম। চল
ভাবিনঃচল
তারপর আমরা সবাই রুদ্রদের কাছে গেলাম।
ওরা আমাদের দেখেও না দেখার ভান করল।
আবার রিধি মেয়েটা রুদ্রের সাথে চিপকে আছে।যা আমার রাগকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রাগে আমার চোখ মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে।বিশাল আর ভাবিন আমার চোখ মুখ দেখে
ভয় পেয়ে গেলো।
রুশাঃরুমের এই অবস্থা করেছে কে?
রাজঃআমরা করেছি কেন?
মেহেকঃতারাতারি পরিষ্কার করো একটু পরই স্যাররা চলে আসবে।
রিধিঃপরিষ্কার তো করবে তোমরা।
আমিঃতাই নাকি?
রিধিঃ অ অ অবশ্যই।(ঘাবড়ে গিয়ে)
আমিঃও আচ্ছা।
এই বলেই আমি রুদ্রের কাছে গেলাম।
আমিঃতা আপনি কি বলেন?পরিষ্কার কি আমরাই করবো?
রুদ্রঃঅবশ্যই।
আকাশঃফারিয়া এতো সহজে মানার মেয়ে না।মনে মনে নিশ্চয়ই কিছু পাকাচ্ছে।(মনে মনে)
বিশালঃজানু এতো শান্ত আছে তার মানে নিশ্চয়ই বড় কোন ধামাকা হবে।(ফিস্ফিস করে ভাবিনের কাছে)
ভাবিনও ফিসফিস করে বলল
ভাবিনঃহুম আমিও তাই ভাবছি।
রুশাঃভাইয়া এসব কি বলছো!!!!
মেহেক কিছু বলল না।
আমি এবার রুদ্রের কাছে গেলাম তারপর রুদ্রের কানের কাছে গিয়ে বললাম।
আমিঃতা আকাশ ভাইয়া ছাড়া আর কেউ কি জানে যে তুমি মানুষ না ভ্যাম্পায়ার???(ফিসফিস করে)
রুদ্র আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো।
আমি বাকা হেসে বললাম
আমিঃএভাবে তাকাচ্ছন কেন রাজা মশাই।আপনারই তো রানি আমি।(এক চোখ মেরে)
আমিঃআমার দিকে এভাবে তাকিয়ে না থেকে পুরা রুম তারাতারি পরিষ্কার করে ফেল জানু।
রুদ্র আমার দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে।
আকাশ ভাইয়া রুদ্রের এই ফেস দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।
বিশাল,ভাবিন,রুশা আর মেহেক ও হাসছে।
আমি এবার জোরেই বললাম।
আমিঃতা রুদ্র ভাইয়া আমরা তাহলে সব কিছু পরিষ্কার করা শুরু করে দেই।
রুদ্রঃথাক তোমাদের আর করতে হবে না আমরাই করবো।(দাতে দাত চেপে)
তারপর আমার কাছে এসে ফিসফিস করে বলল
রুদ্রঃরাতে সব শোধ তুলবো।যাই হোক শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলে যে তুমি আমার রানি।(মুচকি হেসে)
আমিঃউম।ভ্যাম্পায়ার রাজার রানি।(মুচকি হেসে)
বিশাল আর ভাবিন আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।
আমি বুঝতে পেরে ইশারায় বললাম যে পরে সব বলবো।
রুশা আর মেহেক আমাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে।
রাজঃরুদ্র এসব কিছু আমরা করবো!!!!!
রুদ্রঃহুম।চল কাজে লেগে পরি।
আমিঃতা আপু ভাইয়ারা ভালো করে পরিষ্কার করবা।
রুদ্র আমার দিকে রাগি চোখে তাকালো।
আমিঃআসি আমরা।
এই বলেই আমরা চলে আসলাম।
এসে আমরা সবাই হাসতে হাসতে শেষ।
আমিঃকি কেমন দিলাম!!(ভাব নিয়ে)
রুশাঃএকদম।
বিশালঃযা দিলি না।
মেহেকঃএই আমার না খুব খুদা লাগছে।চল খেয়ে আসি।
বিশালঃজানু তোরা যা আমার আর ভাবিনের একটু কাজ আছে।
আমিঃআচ্ছা যা তোরা।
রুশাঃচল ক্যান্টিনে যাই।
মেহেকঃহুম।
এই বলেই আমরা ক্যান্টিনে চলে আসলাম।
আমি শুধু একটা কফি দিতে বললাম।
আর রুশা আর মেহেক কতোগুলা খাবার অর্ডার করলো।
ওদের খাওয়া দেখে আমি অবাক।
আমি আর কিছু না বলে কফি খেতে লাগলাম।
রুশাঃপাস্তা টা যা হয়েছে না। মামা কি বলবো।
মেহেকঃযা বলেছিস.
বলেই আবার খেতে শুরু করেছে।
আমিঃআচ্ছা তোরা ভ্যাম্পায়াররা যে এতো খাস তোদের কোন ক্ষতি হয় না।(কফির দিকে তাকিয়ে)
আমার কথা শুনে মেহেক আর রুশার মুখ থেকে খাবার পরে গেলো আর তারা কাশতে লাগলো।
আমি তারাতারি পানি দিলাম।
রুশাঃ তুই কি করে জানলি?(অবাক হয়ে)
মেহেকঃহুম তুই কি করে জানলি?
আমিঃআমাকে কি তোদের গাধা মনে হয়।তোরা কেন বার বার ভুলে যাস আমি লন্ডনের টপ বিজনেসম্যানের বোন।ওদের কিছু বুদ্ধি তো আমার মাথায় থাকতেই পারে।
রুশাঃতা কিভাবে বুঝলি?
আমিঃতা না হয় অজানাই থাক।
তারা আর কিছু বলল না।

অন্যদিকে

রুদ্র তার জীবনে এতো কাজ আগে কখনোই করে নাই।সবারই অবস্থা খারাপ।কারন তারা সবাই আগে কখনও এতো কাজ করে নাই।
রুদ্রঃএই মেয়ে তো খুব ভয়ানক।আমি কি করে এই মেয়েকে সামলাবো।(মনে মনে)
সবাই কোমরে হাত দিয়ে বসে পরল।
অনিলঃসব হয়েছে রুদ্রের জন্য।
রিধিঃএইসব কাজ কোনদিন করি নাই।
নিলাঃযা বলেছিস।
রাজঃআর পারতাছি না।
সাদঃযা বলেছিস।
আকাশঃবসে থাকলে চলবে না। দেখ এখনও কোন কাজই হয় নাই।
রুদ্রঃতোরা সবাই বেশি বেশি করছিস না?(রাগিভাবে তাকিয়ে)
রুদ্রের রাগি চোখ দেখে সবাই কোন কথা না বলে চুপচাপ কাজে লেগে পরল।
রুদ্র ও কোন কথা না বলে কোমরে হাত দিয়ে ঝাড়ু দিতে লাগলো।
রুদ্রঃআমাকে মজা দেখানোর মজা তোমাকে বোঝাব আজ রাতে।ফাযিল মেয়ে একটা।

চলবে………….