#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 21
বিশাল আর ভাবিন কিছুক্ষণ পরে এসে আমাদের সাথে বসলো।আমি তাদের জন্য নুডুলস অর্ডার দিলাম।তারপর আমি ইশারায় জিজ্ঞাসা করলাম যে কাজ হয়েছে কিনা।ওরাও ইশারায় বলল যে হয়েছে।
(আসলে বিশাল আর ভাবিন পুরা ক্যম্পাস দেখতে গিয়েছিল।যে কয়জায়গা দিয়ে বের হয়া যায়।এরপর সবগুলা পরিত্যক্ত জায়গা দেখে এসেছে।তারপর কোন কোন জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে সেগুলা দেখতে গিয়েছিল।তারপর প্রত্যেক জায়গায় ছোট ছোট ক্যামেরা লাগিয়েছে।যাতে করে সব কিছু আমরা দেখতে পাই।)
আমিঃআচ্ছা ওরা কি পরিষ্কার করতে পেরেছে?
বিশালঃআচ্ছা এবার তো আমাদের বল যে তোর আর রুদ্রের মধ্যে কি চলছে?
ভাবিনঃহুম বল।
রুশাঃবল বল আমরাও আবার শুনি।
মেহেকঃহুম।আমিও শুনবো
আমিঃআচ্ছা আমি বলছি।
তারপর আমি বিশাল আর ভাবিনকে সব বললাম শুধু মাইরের কথাটা ছাড়া।কারন ওরা যদি জানে যে রুদ্র আমাকে এভাবে মেরেছে তাহলে রুদ্রর সাথে অনেক বড় ঝামেলা করে ফেলবে।আর রুদ্রের রাগ সম্পর্কে যেহেতু আমি অবগত আর যেহেতু ও একজন ভ্যাম্পায়ার কিং সুতরাং বিশাল আর ভাবিন কখনো তার সাথে পেরে উঠবে না।তাই ওদের কথা ভেবেই আমি বললাম না।
আমার গল্পের অর্ধেক কাহিনী শুনেই রুশা আর মেহেক রুদ্রের কাছে গেলো। তারপর আমি বিশাল আর ভাবিনকে পুরা কাহিনী বললাম।
পুরা কাহিনী শুনার পর বিশাল আর ভাবিন আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
তারপর জোরে জোরে হেসে দিল আর বলল
বিশালঃযেই মেয়ে কোন ছেলে প্রপোজ করলে তার হাত পা ভেঙে দেয় সে মেয়ে কিনা এতো কিছু সহ্য করলো।ভাবা যায়😳😳😳😳
ভাবিনঃএটা মজা করার বিষয় না রুদ্র যে একটা ভ্যাম্পায়ার তুই সেটা জেনেও কিভাবে ভালোবাসলি??
বিশালঃআর তুই কিভাবে বুঝলি যে রুদ্র ভ্যাম্পায়ার?
আমিঃরুদ্রের দুইটা সরু দাত,তার চোখের কালার এরপর তার হিংস্রতা দেখে আমি বুঝতে পারি।আর তোরা তো জানিস যে আমি ভ্যাম্পায়ারদের নিয়ে অনেক গবেষণা করি তাই আমার বুঝতে বেশি সময় লাগে না।আর দুইটা বিষয় থেকে আমি পুরাপুরি শিওর হলাম যে রুদ্র ভ্যাম্পায়ার।
বিশালঃকি সেই বিষয়??
আমিঃআমাদের বাড়ীতে এতো সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও রুদ্র অনায়াসে আমার রুমে চলে আসা এরপর চোখের পলকেই গায়েব হয়ে যাওয়া।আর আমি যখন রুদ্রের মা মানে কথা খান কে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম তখন তিনি খুবই শান্তভাবে আমাকে বললেন যে আমাকে পরে সবকিছু বলবে ঠিক তখন আমি শিওর হলাম যে আমার সন্দেহ ঠিক। রুদ্রের পরিবারের সবাই ভ্যাম্পায়ার।শুধু ভ্যাম্পায়ার না ভ্যাম্পায়ারের রাজার বংশ।
বিশালঃযদি রুদ্র কখনও তোর কোন ক্ষতি করে দেয়?
আমিঃকরবে না কারন আমার ভালোবাসার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে।
বিশালঃআর আমাদের তোর প্রতি বিশ্বাস আছে।
ভাবিনঃভাইয়ারা জানে?
আমিঃহয়তো জানে আবার হয়তো জানে না।
বিশালঃতার মানে রুশাও ভ্যাম্পায়ার?
আমিঃশুধু রুশা না মেহেকও ভ্যাম্পায়ার।
ভাবিনঃকি বলছিস😳😳😳😳
আমিঃহুম।
বিশালঃতার মানে বড়ভাইয়াও একটা ভ্যাম্পায়ারের প্রেমে পরছে!!!!
ভাবিনঃবাহ বাহ বাহ তোরা দুই ভাইবোন ভ্যাম্পায়ারের প্রেমে পরলি শেষ পর্যন্ত।
আমিঃহইছে।এবার চল গিয়ে দেখি ওইদিকে কি হচ্ছে?
ভাবিনঃনা রে তোরা থাক আমি বাসায় যাই।
বিশালঃআমিও যাবো। আজকে অনেক কাজ করে ফেলেছি।তাই আর ভালো লাগতাছে না।
আমিঃঅলসের দল।যা ভাগ কুত্তা।
বিশালঃআজকে যাই বল আর শক্তি নাই।
ভাবিনঃআমরা আসি জানু।
আমিঃআচ্ছা যা।
বিশালঃহুম।রাতে আমরা রুদ্রের ব্যাপারে কথা বলব।
আমিঃহুম।
এই বলে বিশাল আর ভাবিন চলে গেলো। আর আমি রুদ্রদের কাছে গেলাম।
গিয়ে দেখি সবাই পরিষ্কার করে সবাই ক্লান্ত হয়ে কোমরে হাত দিয়ে বসে আছে আর রুশা আর মেহেক সবাইকে পানি খাওয়াচ্ছে।
আমি গিয়ে জোরে জোরে হেসে দিলাম।
রুদ্র আমার দিকে রাগিভাবে তাকিয়ে আছে।
আর সবাই অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে।
রুদ্র এবার উঠে আমার হাত ধরে টেনে একটা ফাকা রুমে নিয়ে আসলো।
রুদ্রঃতা রানি সাহেবা খুব তো হাসছিলে!এখন হাসো।(দাতে দাত চেপে)
আমার হাসি এবার মিলিয়ে গেলো।
আমি এবার ভ্রু কুচকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম
আমিঃএখানে আমাকে এভাবে নিয়ে আসার মানে কি?(গম্ভীর সুরে)
রুদ্রঃমানে খুবই সোজা। তুমি বুঝতে পারছো না আমি তোমাকে কেন এখানে নিয়ে এসেছি?(বাকা হেসে)
আমিঃদেখুন আমার অনেক কাজ আছে।আমি আসছি।
আমি চলে যেতে নিলেই রুদ্র আমার হাত ধরে তার কোলে বসিয়ে দেয়।
তারপর আমার চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিয়ে বলল
রুদ্রঃতোমার চুলের গন্ধ এতো সুন্দর কেন?
আমিঃআমি যে dove শ্যাম্পু ব্যবহার করি তাই।
আমার এই কথা শুনে রুদ্র আমার দিকে রাগিভাবে তাকালো
রুদ্রঃদিলে তো মুডের ১২ টা বাজিয়ে।যাও এবার তো তোমাকে শাস্তি পেতেই হবে। ভাবছিলাম একটু রোম্যান্স করবো কিন্তু তা আর হলো না।তাই এবার শাস্তি ভোগ কর।
আমিঃকি কি শাস্তি।
রুদ্রঃবেশি কিছু না আমার হাত পা গুলা টিপে দিবে।
আমিঃআচ্ছা।কিন্তু তার জন্য তো আমাকে আপনার কোল থেকে উঠতে হবে।
রুদ্রঃঠিকাছে।
যেই না রুদ্র আমাকে ছেড়ে দিল আমি এক দৌড় দিলাম।
রুদ্র কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে তারপর বাকা হেসে বলল
রুদ্রঃযাও যাও এখন তো ছাড়া পেয়ে গেলে কিন্তু রাতে কি হবে?
অন্য দিকে
in Bangladesh airport
অজানাঃঅনেক বছর পর আজকে দেশে আসলাম।
লোকঃস্যার গাড়ি চলে এসেছে চলুন।
অজানাঃহুম চল
লোকঃস্যার আমরা এখন কোথায় যাবো?
অজানাঃচল আমাদের বাড়ীতেই চল।
লোকঃওকে স্যার।
তারপর অজানা আর লোকটা গাড়িতে উঠে চলল।
অজানাঃআচ্ছা ভার্সিটিতে নতুন কোন স্টুডেন্ট আসছে নাকি একটু খোজ নাও তো।
লোকঃজ্বি স্যার।
অজানাঃযে বা যারা আমার সাথে পাংগা নিয়েছে তাদের তো আমাকে ধরতেই হবে।
কে হতে পারে।এরা অনেক চালাক না হলে প্রিন্সিপালকে এতো সুন্দরভাবে মেরে ফেলতে পারতো না।আমাকে জানতেই হবে কারা এসব করছে?
লোকঃস্যার খবর নিয়েছি।বিশাল,ভাবিন আর সৃস্টি নামে তিনজন নতুন এসেছে।
অজানাঃসৃস্টি নামটা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে।
লোকঃস্যার এটা একটা কমন নাম আপনি মনে হয় কোনজায়গায় শুনেছেন।
অজানাঃহতে পারে।শুনো তিনজনের ওপরই নজর রাখো।
লোকঃহুম।
চলবে………
#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 22
আমি বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।তারপর বড়ভাইয়ার রুমে গেলাম।
গিয়ে দেখি ভাইয়া মা বাবার ছবি নিয়ে বসে আছে।আমি গিয়ে ভাইয়ার পাশে বসলাম।তারপর ভাইয়ার কাধে মাথা রাখলাম।
আমিঃমন খারাপ করছে বাবা মার জন্য?
বড়ভাইয়াঃনা রে পাগলি।তোরা থাকতে আমার মন খারাপ হতেই পারে না।
আমি কিছু না বলে মুচকি হাসলাম।
আমিঃভাইয়া একটা কথা জিজ্ঞেস করবো??
বড়ভাইয়াঃ পারমিশন নেওয়া কবের থেকে শুরু করলি?
আমি মুচকি হেসে বললাম
আমিঃআচ্ছা ভাইয়া তুমি কি আমাদের সম্পর্কে আমাদের থেকে কিছু লুকাচ্ছো??
ভাইয়া আমার কথায় থতমত খেয়ে গেলো। তারপরও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
বড়ভাইয়াঃহঠাৎ এই কথা বললি যে???(ঘাবড়ে গিয়ে)
আমিঃনা আসলে মাঝেমধ্যে আমার না কেমন জানি লাগে।মনে হয় আমি কোন ভিন্ন জগতে আছি।মাঝেমধ্যে আমার না রক্ত দেখলে কেমন কেমন জানি লাগে। মনে হয় আমি মানুষ না।
বড়ভাইয়াঃকি বলছিস এসব!!!!আমাকে আগে বলিস নি কেন এসব??(ভয় পেয়ে উত্তেজিত গলায়)
শুধু মিস্টির না আমারও এমন হয় ভাইয়া।
আমরা দরজার কাছে তাকিয়ে দেখি ছোটভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।
ভাইয়া এবার আমাদের সাথে এসে বসলো।
আমিঃআমাদের সব কিছু বল ভাইয়া।আমার মনে হচ্ছে আমরা কোন সাধারণ মানুষ না।
ছোটভাইয়াঃপ্লিজ ভাইয়া আমাদের কাছে কিছু লুকিয়ো না।
বড়ভাইয়াঃশুন তাহলে।
এই বলেই ভাইয়া বলতে শুরু করলো।
বড়ভাইয়াঃআমরা তিনভাইবোন মানুষ কিন্তু পুরা মানুষ না।আমরা অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক ভ্যাম্পায়ার।আমাদের মা ভ্যাম্পায়ার ছিল আর বাবা মানুষ ছিলো তাই আমরা অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক ভ্যাম্পায়ার। তাই তোদের মতো আমারও এমন হয়।
আমি আর ছোটভাইয়া অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
ছোটভাইয়াঃতুমি এসব কথা আমাদের বল নাই কেন??(অবাক হয়ে)
আমিঃতুমি কেন আমাদের থেকে এসব কথা লুকালা?(কিছুটা রেগে)
বড়ভাইয়াঃআমি তোদেরকে আর কিছুদিন পরে এমনিতেই বলে দিতাম।
ছোটভাইয়াঃতাহলে কি আমরা কোন মানুষকে বিয়ে করতে পারব না??(ঠোট উল্টো করে)
এই কথা শুনে আমি আর বড়ভাইয়া হেসে দিলাম।
বড়ভাইয়াঃতা তোর কি কোন মানুষ মেয়েকে পছন্দ হয়েছে নাকি?
আমিঃআমি মনে হয় জানি….
ছোটভাইয়া আমার দিকে রাগিভাবে তাকিয়ে আছে। কিন্তু আমি তো আমিই। আমিও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বসে আছি।
বড়ভাইয়াঃতা শুনি কে সেই মেয়ে??
আমিঃভাইয়া তুমি চিনো তাকে
ছোটভাইয়াঃতুই থামবি??(রাগিভাবে)
আমিঃতুমি চুপ থাক ভাইয়া।আমাকে বলতে দাও।
বড়ভাইয়াঃতাই!!আমিও চিনি?তা কে সেই রমনি?
আমিঃরুশায়ায়ায়া(চিল্লিয়ে)
ছোটভাইয়া কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।
বড়ভাইয়া অবাক হয়ে ছোটভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বড়ভাইয়া জোরে জোরে হেসে দিল।
ছোটভাইয়া কিছুই বুঝতে পারলো না।
বড়ভাইয়াঃতাহলে ঠিকই আছে।
আমিঃএকদম।কারন রুশাও তো ভ্যাম্পায়ার আর মেহেকও।
দুইভাইয়াই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
বড়ভাইয়াঃতুই এসব জানলি কি করে?
ছোটভাইয়াঃহুম।তুই জানলি কি করে?
আমিঃইয়ে মানে ওই আরকি।(ঘাবড়ে গিয়ে)
বড়ভাইয়াঃকিভাবে জানলি সেটা বল।
আমি অসহায় ভাবে তাদের দিকে তাকালাম।
ছোটভাইয়াঃএভাবে তাকিয়ে লাভ নাই।তারাতারি বল।
তারপর আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভাইয়াদেরকে সব বললাম।শুধু রুদ্রের অত্যাচারের কথা আর রাতে আসার কথা ছাড়া আর সব বললাম।
আমার কথা শুনে বড়ভাইয়া মুচকি হাসলো আর ছোটভাইয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
বড়ভাইয়াঃআমার টুকুও বড় হয়ে গেছে।কি সুন্দর রুদ্রের অত্যাচারের কথা গুলা আমাদের কাছে লুকিয়ে গেলো।কিন্তু আমার বোনকে মারার শাস্তি আমি তোমাকে দিবই।কিন্তু সেটা এখন না।আমার বোন আমার কলিজার টুকরো।সেই কলিজার টুকরোকে তুমি ব্যথা দিয়েছো তার শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। আর সেই শাস্তি আমি তোমাকে সরাসরি দিব না।বোনকে কস্ট দিলে যে ভাইয়ের কতটা কস্ট হয় তা তুমি এবার বুঝবে এখন শুধু তোমার বোন আর আমার বিয়ে হওয়ার অপেক্ষা। (মনে মনে)
আমিঃবড় ভাইয়া কি ভাবছো?
বড়ভাইয়াঃকিছু না।আচ্ছা অনেক রাত হয়েছে ঘুমাতে যা।
আমি আর ছোটভাইয়া চলে আসলাম।
আমি এসে আমার রুমে ঘুমিয়ে পরলাম।
রুদ্রের কথা মনেও পরল না আমার।
রাত ৩ঃ৩০
রুদ্র আমার রুমে এসে আমার মাথার কাছে বসে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু অবাক করার কারন হচ্ছে আজ আমার ঘুম ভাঙল না।
রুদ্রঃআজ তোমাকে আমি মন ভরে দেখবো ময়নাপাখি।আজ তুমি আর ঘুম থেকে উঠবে না।আচ্ছা ময়নাপাখি তুমি এতো সুন্দর কেন?জানো ভাবছিলাম আজকে তোমাকে শাস্তি দিব কিন্তু না আজকে কেন জানি তোমাকে সারাক্ষণ দেখতে ইচ্ছা করলো। তাই তো আজকে তোমার ঘুম না ভাঙিয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।আমার তো মন চাইছে তোমাকে এভাবেই দেখে থাকতে।কেন বলতো তুমি আমার জীবনে আগে আসলে না।
রুদ্র আর কোন কথা না বলে আমার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিল।তারপর আমার পাশে শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে লাগলো। তাকিয়ে থাকতে থাকতে রুদ্র জানি কখন ঘুমিয়ে গেলো।
in khan vila
আরমানঃআমি তোমাকে বলেছিলাম না নিহাল রুদ্র ওইদিন রাতে ফারিয়ার ওপর অনেক অত্যাচার করেছিলো আর তার শোধ ফারিয়ার ভাইয়ারা নিবেই।
নিহালঃআমারও এমন সন্দেহ হচ্ছিলো। কারন ফারিয়া তার দুইভাইয়ের খুবই আদরের।
কথাঃতা এখন কি করবো?ফারদিন কথা শুনে তো আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
আরমানঃবুঝেও আর কিছুই করতে পারবো না আমরা।কারন ওরা তিন ভাইবোন অর্ধেক মানুষ হলেও তাদের ক্ষমতা অনেক।
এখন কথা হচ্ছে ওরা কিভাবে জানলো আমার বড়ভাইয়ার মনের কথা।কি তাই তো?
শুনুন তাহলে রুদ্রের দাদুভাই,রুদ্রের বাবা আর রুদ্রের মায়ের কাছে একটা আয়না আছে।ওই আয়নাতে আমরা তিনভাইবোন কি করছি,মনে মনে কি বলছি তারা সব শুনতে পায়।আর এভাবেই তারা আমার ভাইয়ার মনের কথা জানতে পারলো।
এবার সব কিছু মনে করি ক্লিয়ার হয়ে গেছে।
চলবে……
আমি নিজেও জানি না আমি কি লিখছি।তাই ভুল হলেও ক্ষমা করে দিবেন।