you are only my queen part-40 and last part

0
4048

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 40

এভাবে কেটে গেলো নয় মাস।

এই নয় মাসে রুদ্র আমাকে একটুও কাছ ছাড়া করে নি।আমার ভাইয়ারা আমাকে এসে দেখে আবার চলে গেছে।

আজকে সকাল থেকেই শরীরটা খারাপ লাগছে।কেন জানি একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে।বিকালের দিকে আমার প্রচুর ব্যাথা উঠল।আমি রুদ্র রুদ্র বলে ডাকতে লাগলাম।

আমার ডাক শুনে সবাই আমার রুমে চলে আসল।রুদ্র তারতারি আমাকে কোলে করে গাড়িতে নিয়ে গেল।
রুদ্রঃজানপাখি তোমার কিছু হবে না।(কান্না করে)
আমি ব্যাথায় কথা বলতে পারছি না।তাও বললাম।
আমিঃরুদ্র আমার কিছু হয়ে গেলে আমার বাচ্চাকে দেখ।(কান্না করে)
রুদ্রঃতুমি চুপ কর।এসব কথা বলবা না।তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না।ফারিয়াকে ছাড়া রুদ্রের কোন অস্তিত্ব নেই।
আমি আর কোন কথা বললাম না।

রুদ্রের দাদু আদিপিতাকে স্মরণ করলো।
আআদিপিতাঃআমাকে স্মরণ করার প্রয়োজন নেই।আজকে আমি এমনিতেই আসতাম।
রুদ্রের দাদুঃআদিপিতা কিছু একটা উপায় বলুন।(কান্না মিশ্রিত সুরে)
আদিপিতাঃতুমি রুদ্রকে বল যে ফারিয়াকে সম্পুর্ন রুপে ভ্যাম্পায়ারে পরিনত করতে।তাহলেই ফারিয়া বেচে ফিরবে কিন্তু……
দাদুভাইঃকিন্তু কি আদিপিতা???
আদিপিতাঃকিন্তু ফারিয়ার যদি পূর্ণ ভ্যাম্পায়ার হয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে সে না ও বাচতে পারে।
দাদুভাই ধপ করে চেয়ারএ বসে গেল।
আর চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো।
আদিপিতাঃএখন কান্না করার সময় নয়।রুদ্রকে বল যা করার তারাতারি করতে।না হলে ফারিয়া মারা যাবে।
এই বলেই আদিপিতা চলে গেলেন।

রুদ্রকে সব বলা হল।সবকিছু শুনে রুদ্র শক্ত গলায় বলল
রুদ্রঃফারিয়াকে বেচে ফিরতেই হবে।ফারিয়ার এত সাহস নেই যে আমার ভালোবাসা আমার থেকে কেড়ে নিবে।
এই বলেই রুদ্র আমার কেবিনে গেল।
গিয়ে আমার হাত ধরে কি জানি পড়ে আমার গাড়ে একটা জোরে কামড় দিল।যার ফলে আমি জ্ঞান হারালাম।

চোখ খুলে দেখি আমার চারপাশে সবাই দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃকি হয়েছে আমার।
রুদ্র কিছু না বলে আমার হাতে আমাদের বাচ্চাকে তুলে দিল।
রুদ্রঃআমাদের ছেলে।
আমি কোলে নিয়েই কান্না করে দিলাম।
আমিঃআমার সোনা ছেলে,আমার কলিজা।
আচ্ছা রুদ্র আমার কি হয়েছিলো??
রুদ্রঃসেটা তোমার না জানলেও চলবে।
আমি আর কোন কথা বললাম না।

বর্তমান

ফারানঃকিন্তু মা বাবা তোমাকে পরে আর বলে নি?
আমিঃনা রে ওইদিন কি হয়েছিল আমি আর জানি না।তোর বাবাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু প্রত্যেক বারেই আমাকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।তাই আমিও আর জিজ্ঞাসা করি না।
রুদ্রাণীঃআচ্ছা মা আমরা দুইজন কি তাহলে ভ্যাম্পায়ার?
আমিঃহুম মা।কিন্তু তোমাদের সব শক্তি তোমাদের ১৮ বছর পর প্রকাশ পাবে।
ফারানঃতোমার আর বাবার প্রেমকাহিনী খুবই মজাদার।
আমিঃহয়েছে এবার চল তোর বাবার আসার সময় হয়ে গেছে।

ফারান আর রুদ্রাণী তাদের রুমে চলে গেল।আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।হঠাৎ করে মনে হল কেউ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল।
আমিঃতুমি কখন এলে???
রুদ্রঃএইমাত্রই এলাম।
আমিঃযাও ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি।
রুদ্রঃউহুম।আমি তো এখন তোমার সাথে প্রেম করবো।
আমি কিছু না বলে মুচকি হাসলাম।
রুদ্রঃআচ্ছা ময়নাপাখি তোমার কি মনে হয় না যে আমাদের বাসায় একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ দরকার।
আমি রুদ্রের দিকে তাকালাম।
আমিঃতোমার মতিগতি ঠিক লাগছে না রাজা মশাই।
রুদ্রুঃময়না পাখি আমার না আরেকটা বাবু লাগবে।
আমিঃবুইরা বয়সে ভীমরতিতে ধরছে তোমার।
রুদ্রঃআমরা ভ্যাম্পায়াররা কখনো বুইরা হমু না গো ময়নাপাখি।তাই আমার আরেকটা বাবু লাগবেই।
আমি কিছু বলার আগেই রুদ্র আমাকে কোলে তুলে নিল।
আমিঃতুমি ফ্রেশ হয়ে আসো আমি খাবার দিচ্ছি।
রুদ্রঃহুম।

এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের জীবন। ফারান,রুদ্রাণী,বাবা,মা আর আমার রাজামশাইকে নিয়ে খুব সুন্দরভাবেই আমাদের সংসার চলতে থাকে।

রুদ্রের রাগও এখন আমার কাছে ভাল লাগে।আর আমার মনে হয় আমার রাজা মশাইকে রাগ করলেই ভাল লাগে।তাই মাঝেমধ্যে একটু ইচ্ছা করেই রাগাই।

আর আমার ভাইয়ারাও লন্ডনে ভালো আছে।রুশা আর ছোটভাইয়ার একটা মেয়ে আছে।আর মেহেক আর বড়ভাইয়ার একটা ছেলে।

বিশাল আর ভাবিনও সারা আর সামিয়াকে নিয়ে সুখে আছে।তারা এখন লন্ডনে থাকে।
বিশালদের একটা ছেলে আর ভাবিনের একটা মেয়ে আছে।

এভাবেই ভালোবাসায় চলতে থাকলো ৫ জুটি।শত বাধা পেরিয়ে ভালোবাসারই জিত হল।ভালোথাকুক সবার ভালোবাসার মানুষগুলো।

সমাপ্ত ।