এক খণ্ড কালো মেঘ পর্ব-০৫

0
399

#এক_খণ্ড_কালো_মেঘ
#পর্ব_৫
#নিশাত_জাহান_নিশি

“ওকে ফাইন খেয়ো না। তবে আমি শুনেছিলাম চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রীম নাকি তোমার খুব পছন্দের?”

থমকালো অয়ন্তী। সন্দেহজনক দৃষ্টি ফেলল রাফায়াতের ভাবশূন্য মুখমণ্ডলে। এক রাশ কৌতূহল নিয়ে একটুখানি ঘুরে বসল রাফায়াতের দিকে। মাথাটা রাফায়াতের দিকে খানিক ঝুঁঁকিয়ে সন্দিহান গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“এই আপনি কী আমার পিছনে গোয়ান্দাগিরি করছেন হ্যাঁ? এত শত খবর আপনি আমার সম্পর্কে রাখেন কীভাবে হ্যাঁ? কে আপনি বলুন?”

ক্রুর হাসল রাফায়াত! অয়ন্তীর ক্ষোভ জড়ানো দৃষ্টিতে রহস্যময় দৃষ্টি ফেলল। নাক টেনে বাঁ দিকের ভ্রু টা কেমন উঁচালো। হেয়ালী গলায় বলল,,

“এখনি আমাকে চেনাটা কী খুব বেশি জরুরি ম্যাম? এত ইন্টারেস্ট কেন আমাকে নিয়ে হ্যাঁ? গোপনে কিছু ভাবছেন নাকি আমার বিষয়ে? এমনিতেও হ্যান্ডসাম ছেলে দেখলে মেয়েদের মাথা ঠিক থাকেনা! কথাটা আমি না। আমার ফ্রেন্ডরা বলে।”

চটে বসল অয়ন্তী। রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করল রাফায়াতের দুষ্টুমি ভরা মুখমণ্ডলে। ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ল অয়ন্তী। জবাবে কিছু বলার পূর্বেই আলিজা পাশ থেকে অয়ন্তীর ডান হাতটা জোর করে টেনে ধরল। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অয়ন্তীর কানে ফিসফিসিয়ে বলল,,

“এই? কী করছিস কী তুই হ্যাঁ? হিংস্র বাঘটাকে এভাবে রাগাচ্ছিস কেন? তাছাড়া তোদের দুজনকে দেখে মনে হচ্ছে তোরা আগে থেকেই পরিচিত! এর আগে কথা হয়েছিল নাকি তোদের মধ্যে?”

অত্যধিক রাগের বশবর্তী হয়ে অয়ন্তী গড়গড় করে সব বলে দিচ্ছিল! রাগ হলে তখন মাথা ঠিক থাকে নাকি? ভুলভাল তো অহরহ হয়েই যায়। শর্ত ভুলে অয়ন্তী এক নিমিষেই বলে দিলো,,

“তুই জানিস? কাল রাত থেকে এই ছেলেটা আমার পিছনে পড়ে আছে! গলাও চেপে ধরে…

তৎক্ষনাৎ রাফায়াত উচ্চশব্দে গলা খাঁকালো! মাঝপথে অয়ন্তীকে থামিয়ে দিলো। দাঁতে দাঁত চেপে অয়ন্তীর কর্ণতলে গুনগুনিয়ে বলল,,

“পিকচারগুলো সেন্ড করব নাকি অনিককে হুম? তুমি হয়ত এটাই চাচ্ছ তাইনা?”

দমে গেল অয়ন্তী। সঙ্গে সঙ্গেই মুখ সামলে নিলো। ভীতিকর দৃষ্টি ফেলল রাফায়াতের আগ্রাসী দৃষ্টিতে। মুখে আঙুল চেঁপে অসহায় ভাব ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালো। ইশারায় বলল,,

“প্লিজ কিছু করবেন না। এই যে মুখ বন্ধ করে নিলাম আমি।”

ব্যগ্র হাসল রাফায়াত। আইসক্রীমটা অয়ন্তীর দিকে এগিয়ে দিলো। শুকনো ঢোঁক গিলে অয়ন্তী সঙ্গে সঙ্গেই আইসক্রীমটা হাতে তুলে নিলো। ইতোমধ্যে আইসক্রীমটায় কামড়ও বসিয়ে দিলো। পাশ থেকে আলিজা নির্বোধ স্বরে অয়ন্তীকে শুধালো,,

“এই অয়ন্তী? কী হলো ব্যাপারটা হুম? তুই হঠাৎ থেমে গেলি কেন? কী যেন বলছিলি ঐসময়?”

তড়িঘড়ি করে আইসক্রীমটায় দ্বিতীয় কামড় বসালো অয়ন্তী। জোরপূর্বক হেসে মুখে থাকা আইসক্রীমটা গপাগপ গিলে বলল,,

“কই কিছুনা তো! কী বলছিলাম?”

এরমধ্যেই হঠাৎ একটা বখাটে ছেলে এসে অয়ন্তীর মুখোমুখি দাঁড়ালো। মুহূর্তের মধ্যেই ছোঁ মেরে অয়ন্তীর হাত থেকে আইসক্রীমটা কেড়ে নিলো! সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরিত হয়ে অয়ন্তী এবং আলিজা বসা থেকে ওঠে দাঁড়ালো। সেদিনের সেই আরিফ ছেলেটিই অয়ন্তীর হাত থেকে আইসক্রীমটি কেড়ে নিয়েছিল। আইসক্রীমটিতে কামড়ও বসালো। ঠোঁটের কোণে কুৎসিত হাসি ফুটিয়ে তুলল সে। কদাকার গলায় বলল,,

“কী জান? কী খবর তোমার? ফ্রেন্ডের হয়ে তো আর কিছু বুঝাতে এলেনা আমাকে!”

কথাটা বলে কিঞ্চিৎ দমও নিতে পারলনা আরিফ! আলিজার হাতের গরম চড় পড়ল আরিফের নরম গালে! তৎক্ষনাৎ পরিস্থিতি গরম হয়ে উঠল। আলিজার আক্রমনাত্নক ভাব দেখে মুখ হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল রাফায়াত! নির্বোধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আলিজার দিকে। বিড়বিড়িয়ে বলল,,

“ওত্তেরি! এ কী দেখলাম আমি? সিরিয়াসলি? আলিজা ঐ ছেলেটার গালে চড় মেরেছে?”

অয়ন্তীর দৃষ্টিও অবাকের চরম শীর্ষে। রসগোল্লার মত চোখ করে সে তাকিয়ে রইল আলিজার দিকে। এই প্রথম আলিজাকে সে এতটা রণরঙ্গিনী রূপে দেখছে। আরিফ প্রখর ক্ষুব্ধ হয়ে আলিজার দিকে তেড়ে আসার পূর্বেই আলিজা হিংস্র বাঘের ন্যায় গর্জন করে উঠল! গালে হাত দিয়ে হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আরিফকে সে আঙুল উঠিয়ে কড়া গলায় বলল,,

“এই? তুই আমাদের পেয়েছিসটা কী হ্যাঁ? পেয়েছিসটা কী? তোর মত লম্পট একটা ছেলেকে ভালোবেসে ভুল করেছিলাম আমি বুঝেছিস? সেই ভুলের মাসুল কী এখন আমার ফ্রেন্ডের জীবন দিয়ে শোধ করতে হবে? যেখানে সেখানে তুই আমার ফ্রেন্ডকে ডিস্টার্ব করতে চলে আসিস? তাকে হিউমিলেইট করার চেষ্টা করিস? শুধু তাই নয়, আমাকে যেখানে সেখানে থ্রেড দিতে চলে আসিস। তোর প্রবলেমটা কী হ্যাঁ? প্রবলেমটা কী?”

আশেপাশের লোকজন এসে জড় হয়ে গেল ঘটনাচক্রে৷ আরিফের ভয়ে তারাও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারলনা এই জায়গায়। ক্ষিপ্ত আরিফকে দেখে সবাই লেজ গুটিয়ে পালালো। অপমানে, লজ্জায়, ঘৃণায় আরিফ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। হাত উঠিয়ে যেইনা আলিজার গালে চড় বসাতে গেল অমনি রাফায়াত এসে খপ করে আরিফের হাতটা চেপে ধরল! এতটাই শক্তভাবে চেপে ধরল যে আরিফের সর্বশক্তি তার শক্তির কাছে হার মেনে গেল। মনে হলো যেন আরিফের হাতটা ভেঙে দেওয়া তার বাঁ হাতের খেলা! আরিফের আর্ত মুখমণ্ডল দেখে ফিক করে হেসে দিলো রাফায়াত। আরিফের গোলন্দাজ দৃষ্টিতে দৃষ্টি ফেলে বলল,,

“লাইক সিরিয়াসলি ব্রো? তুই আমার সামনে আমার বোনকে এবং তার ফ্রেন্ডকে হুমকি দিবি, তাদের মারতে যাবি, ধরতে যাবি আর আমি পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখব? ইজ দিস পসিবল ম্যান?”

পাশ থেকে অয়ন্তী এবং আলিজা ভ্যাবলার মত তাকিয়ে রইল রাফায়াতের দিকে। চক্ষু তাদের চড়কগাছ। মুখটাও কেমন হা প্রায়। তাদের ভোলাভালা মুখখানি দেখে মনে হচ্ছে যেন সপ্ত আসমান থেকে এইমাত্রই টপকে পড়েছে তারা! রাফায়াতের এই তীব্র প্রতিবাদ একদমই আশা করেনি তারা। সঙ্গে সঙ্গেই হুংকার দিয়ে উঠল আরিফ। নাক ফুলিয়ে ক্ষিপ্ত গলায় বলল,,

“এই কে তুই হ্যাঁ? কে তুই? আমার এলাকায় এসে আমার সাথেই মা’স্তা’নি করছিস? সাহস তো কম না তোর!”

হু হা শব্দে হেসে উঠল রাফায়াত। ব্যঙ্গ করে বলল,,

“যেখানে তোর এলাকার মেয়েরাই তোর গালে ধুপধাপ চড় বসিয়ে দেয় সেখানে তুই আমার থেকে এরচেয়ে ভালো কী এক্সপেক্ট করিস হ্যাঁ? তোর তো ভাগ্য ভালো রে ভাই রাফায়াতের পাগলা মাথা এখনও হিট হয়নি৷ একবার যদি রাফায়াতের মাথা গরম হয়ে যায়না? তখন রাফায়াত তার বাপের কথাও শুনেনা!”

আরিফ মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে নিলো রাফায়াতের গাঁয়ে হাত তোলার। পরিবেশ এখন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। অয়ন্তী এবং আলিজা ভয়ে সিঁটিয়ে রইল। একে অপরের হাত ধরে কাঁপাকাঁপি করছে প্রায়! রাফায়াতের কঠোর মুখভঙ্গি, তার এটিটিউড, কথাবার্তার ধরণ দেখে আরিফ কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছে রাফায়াত তার বাপেরও বাপ হবে! কোনো সাধারণ মানুষ সে নিশ্চয়ই হবেনা। আপাতত রাফায়াতের সাথে পাঙা নেওয়া মানেই হলো পাকভর্তি লোকজনদের তার সামনে মান-সম্মান খুঁইয়ে বসা! এমনিতেও সে সিঙ্গেলে এসেছে। আগেপাছে কেউ নেই। একা রাফায়াতকে সামলানো তার সম্ভব হবেনা। পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে চাইল আরিফ। রাফায়াত যেন তার হিংস্র চক্ষু দ্বারা আরিফকে খাবলে খুবলে খেয়ে নিচ্ছে! ঝট করে রাফায়াতের হাত থেকে হাতটা ছাড়িয়ে নিলো আরিফ। বেশ ভাবসাব নিয়ে নেতিয়ে যাওয়া শার্টের কলারটা সোজা করল সে। আঙুল উঁচিয়ে ক্ষুব্ধ গলায় রাফায়াতকে বলল,,

“তোকে আমি দেখে নিব!”

দৃষ্টি ঘুরিয়ে আরিফ এবার পাশে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অয়ন্তী এবং আলিজার দিকে গরম দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। আঙুল নাচিয়ে তাদের দুজনকেও শাসিয়ে বলল,,

“তোদের দুজনকেও দেখে নিব। পাখা খুব গজিয়েছে না তোদের? সেই পাখা আমি ভেঙে দিব!”

উগ্র হয়ে উঠল রাফায়াত। রূঢ় গলায় আরিফকে বলল,,

“আরেহ্ ভাই। দেখিস পরে। ভাঙিসও পরে! আগে যে আইসক্রীমটা তুই নষ্ট করেছিস সেই আইসক্রীমটা এখন কিনে দিয়ে যাহ্! আমার টাকার দাম আছে বুঝেছিস? তাছাড়া জেনেবুঝে কারো ক্ষতি করলে সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে দিতে হয়। যা ভাই কিনে নিয়ে আয়। আমরা ওয়েট করছি। ওকে? আমি আবার বেশিক্ষণ ওয়েট করতে পারিনা। ইউ নো, খিচকিচ হয়।”

আরিফকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাফায়াত দোকানের দিকে নিয়ে এলো! হাতিয়ে টাতিয়ে তার পকেট থেকে টাকা বের করল। অয়ন্তীর পছন্দের চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রীমটা নিলো। আরিফ শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে সব দেখছিল। বুনো সাপের মত ফোঁস ফোঁস করছিল। ফণা তোলার মত অবস্থা তার প্রায়! নিজের এলাকায় অন্য একটা ছেলের রাজ সে সহ্য করতে পারছেনা। দোকানদারও কেমন বেকুব হয়ে তাকিয়ে রয়েছে আরিফের দিকে। বাঘকে যেন মাথায় নুইয়ে গুহায় ঢুকতে দেখছে উনি! আজ আরিফ একা বলে বিপরীতে কিছু করতে পারছেনা সে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্যাবলাকান্তের মত সব শুধু সহ্য করতে হচ্ছে। আইসক্রীমটা হাতে নিয়ে রাফায়াত ক্রুর হেসে ঘুরে দাঁড়ালো আরিফের দিকে। শক্ত হাত রাখল আরিফের কাঁধে। ঠাণ্ডা মাথায় শান্ত স্বরে বুঝিয়ে শুনিয়ে বলল,,

“দেখ ভাই। তোর সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। না আমি তোকে চিনি, না তুই আমাকে চিনিস। কিন্তু অপরিচিত হয়েও তোর সাথে আজ আমার রুড বিহেভ করতে হচ্ছে। কারণটা খুব সিম্পল। তুই আমার বোনের গাঁয়ে হাত তুলতে চেয়েছিস। ভাই হয়ে কীভাবে মেনে নিই বল?”

দাঁতে দাঁত চাপল আরিফ। নাকের ডগা লাল করে চোঁয়াল উঁচিয়ে বলল,,

“কাঁধ থেকে হাতটা সরা।”

কাঁধ থেকে হাতটা সরিয়ে নিলো রাফায়াত। হাতটা ঝেড়ে স্বাভাবিক স্বরেই বলল,,

“ওকে সরিয়ে নিলাম। এবার তুই যেতে পারিস ভাই। তবে তোকে একটা থ্যাংকস দেওয়ার বাকি আছে! কারণটা এখনি বলবনা! পরের বার দেখা হলে নিশ্চয়ই বলব!”

কদাচিৎ হেসে রাফায়াত শার্টের কলার ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে আরিফের সম্মুখ থেকে প্রস্থান নিলো। তৎক্ষনাৎ আরিফ তার মাথার চুল টেনে ধরল। বিধ্বস্ত অবস্থায় সে জায়গা পরিত্যাগ করল। সিদ্ধান্ত নিলো এক্ষণি সে ছেলেফেলে নিয়ে এসে রাফায়াতের মাথা ফাটাবে! হিরোদের মত বেশ ভাবসাব নিয়ে রাফায়াত এগিয়ে এলো থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকা অয়ন্তী এবং আলিজার দিকে। তাদের মুখ থেকে যেন কোনো কথাই বের হচ্ছে না। রাফায়াতের এই নতুন রূপ তাদের দুজনকে যতটা না অবাক করেছে এরচেয়ে বেশী তাদের ইমপ্রেস করেছে। বিশেষ করে অয়ন্তীকে! ঐসময় অয়ন্তী একদমই ভাবতে পারেনি রাফায়াত এভাবে তাদের হয়ে রুখে দাঁড়াবে। তাদের প্রটেক্ট করবে। আলিজা ঘাবড়ে ওঠে এই প্রথমবারের মত রাফায়াতের বাঁ হাতটা টেনে ধরল। ভরসা করতে লাগল রাফায়াতকে। ভয়ার্ত গলায় বলল,,

“ভাইয়া এটা তুমি কী করলে হ্যাঁ? ঐ আরিফের পেছনে কেন লাগতে গেলে? তুমি জানো আরিফ কে?”

রাফায়াত গাঁ ছাড়া ভাব নিলো। অয়ন্তীর দিকে আইসক্রীমটা এগিয়ে দিলো। শান্ত দৃষ্টিতে আলিজার ভয়ার্ত মুখের দিকে তাকালো। আলিজাকে সাহস যুগিয়ে বলল,,

“কুল আলিজা। বি কুল। এত ভয় পাচ্ছ কেন হুম? তুসি জানো? তুমি কতটা সাহসী মেয়ে? বিলিভ মি, আমার খুব প্রাউড হচ্ছে তোমাকে নিয়ে। কতটা সাহসী হলে একটা মেয়ে একটা ছেলের গাঁয়ে হাত তুলতে পারে বলো? তাছাড়া আরিফ বাঘ না ভাল্লুক? যে আমি তাকে ভয় পাব? তোমাদেরও ভয় পাওয়ার কিছু নেই ওকে? আমি যতক্ষণ তোমাদের পাশে আছি তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।”

আইসক্রীমটা হাতে তুলে নিলো অয়ন্তী। কাঠ কাঠ গলায় রাফায়াতকে বলল,,

“ভয় পাওয়ার আছে মিস্টার রাফায়াত। অনেক কিছু আছে ভয় পাওয়ার। আপনি জানেন না আরিফ আলিজার সাথে কী করতে চেয়েছিল! কত বড়ো ক্ষতি করতে চেয়েছিল তার! প্লিজ আপনি চলুন এখান থেকে। আ’ম ড্যাম শিওর আরিফ এখন তার চ্যালাফ্যালা নিয়ে আসবে আমাদের অ্যাটাক করতে!”

অয়ন্তী এবং আলিজার তোপের মুখে পড়ে পুরোপুরি কথা না শুনেই রাফায়াত বাধ্য হলো পার্ক থেকে বের হতে। আলিজা এবং অয়ন্তীকে নিয়ে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। এসবের মাঝে রাফায়াত একটা জিনিস লক্ষ্য করল, অয়ন্তী কিছুটা হলেও তার সাথে স্বাভাবিক হচ্ছে! রাফায়াতকে নিয়ে বেশ কনসার্ন মনে হচ্ছে!

#চলবে…?