গল্প : গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক
লেখক : Farhan Ahmed Sajjad
পর্ব : ১
রাতের আধারে পুলিশ যখন পিছু লাগে!!
মেজাজ টা একদম হট হয়ে যায়!!
বাইক আর কত স্পিডে টান দিবো!!
চোখে তো কিছু দেখা যাচ্ছেই না!!
হঠাৎ কিসের সাথে যেনো ধাক্কা লেগে বাইক সহ রাস্তার পড়ে গিয়ে,,
পাশে ছোট ঝোপের মধ্যে চলে গেলাম!!
আমার পাশ দিয়ে পুলিশ চলে গেলো আমাকে দেখতে পায়নি!!
কারন মোড় ঘুড়ার সময় পরে গিয়েছি!!
তাই হয়তো দেখতে পায় নি!!
সো পুলিশ চলে গেলো আমি আসতে আসতে উঠে দাঁড়ালাম!!
কিসের সাথে ধাক্কা খেলাম এটা খুজার জন্য আশেপাশে খুজতে শুরু করলাম!!
হঠাৎ দেখতে পেলাম ” এক মেয়ে ঝুপড়ি থেকে একটু দূরে আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে!!
আমার বাইকের পিছনে আমার
এক ফ্রেন্ড অভি ছিলো ”
অভি কে খুজে পাচ্ছি নাহ্!!
হঠাৎ পিছন থেকে কে যেনো আমার কাদেঁ হাত রাখলো!!
আমি হুট করে পকেট থেকে খোড় বের করলাম!!
খোড় দিয়ে পোস দিবো এমন সময় ”
অভি বলল : আরে ফারহান কি করছিস আমি অভি!!
আমি : চোরের মত চুপচাপ থাকছ কেনো!!
অভি : বাদ দে তো, সামনে মাল টা দেখ!!!
আমি : কোন মাল!!
অভি : আরে ভাই তুই অন্ধ নাকি, দেখছিস না সামনে এক মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে রয়েছে!!
আমি : হুম দেখেছি আমাদের জন্যই এসব হয়েছে!!
বাট পুলিশ থেকে বেচেঁ গিয়েছি এই মেয়ের জন্যই!!
অভি : সে যাইহোক মেয়েটা সেই জিনিস আয় কাজ টা সেরে আসি!!
আমি : কাজ সারবি মানে, কি বুঝাতে চাইছিস,
মেয়েটাকে ধর্ষন করার চিন্তা করছিস তাই না!!
অভি : হুম ঠিক তাই!!
আমি : দেখ তোকে আগেও বলেছি এখনো বলছি আমার কিন্তু এসব পছন্দ না!!
আর আমার অপছন্দের কোন কাজ করলে কিন্তু পরিণাম ভালো হয় নাহ্!!
অভি : এত কিছু যানি না আমি গেলাম!!
এইবলে অভি মেয়েটার কাছে গিয়ে,
মেয়েটার বুক থেকে উড়না সড়িয়ে,
মেয়েটার উপরে শুতে যাবে!!
তখনি আমি অভির বুকে লাফি মেরে ফেলে দিলাম!
এরপর খোড় দিয়ে অভির গলায় এক পোস দিতেই!!
অভি ছিটকে পড়ে ছটছট করতে করতে বললো :- এটা তুই কি করলি!!
আমি : সরি,, কি বললি বুঝতে পারেনি,
হাহা, তোকে তো বলেই ছিলাম এগুলা আমার পছন্দ না ” তুই চিনিছ না আমাকে, আমার মনে মায়া দয়া কম যানিছ না!!
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এই বলে অভির গলায় পা দিয়ে চেপে ধরতেই!!
অভি উপরে চলে গেলো!!
অভি যদি আমার বোন কে এমন অবস্থায় পেতো,
তাহলে আমার বোন কেও ধর্ষন করতে একবারো ভাবতো নাহ্!!
সো এমন ফ্রেন্ড থাকার চেয়ে না থাকাটা অনেক ভালো!!
আমি মেয়েটার কাছে গিয়ে উড়না টা ঠিক করে দিয়ে সেখান থেকে চলে আসতে লাগলাম!!
খেয়াল করলাম আমার হাত কেটে গিয়েছে সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে!!
আমি মেয়েটার উড়না থেকে কিছুটা কাপড় কেটে আমার হাতে ব্যান্ডেজ করে!!
সেখান থেকে চলে আসতে লাগলাম!!
হঠাৎ ভাবলাম মেয়েটা কে এখানে রাখা নিরাপদ না!!
তাই অনেক কষ্টে মেয়েটাকে কোলে উঠিয়ে,
বাইকের সামনে বসিয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলাম!!
হসপিটালে ভর্তি করিয়ে সব খরচ বিল ডাক্তার দের বুঝিয়ে দিয়ে!
আমি সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম!!
আমার ফ্যামিলি তে, আম্মু আর আপু,, আব্বু বাহিরে থাকেন!!
আপুর বিয়ে হয়ে গিয়েছে!!
তাই বাসায় শুধু আম্মু আর আমি!!
বাট গতকাল আপু এসেছে সাথে দুলাভাইের এক পাড়াপড়শি বোন কে নিয়ে এসেছে!!
সাবিহা আপু যাকে নিয়ে আসছে তার নাম জিসা!!
সো বাসায় এসে চুপিচুপি রুমে ডুকছি!!
এমন সময় আপু আমার কান ধরে জিসার সামনে টানতে লাগলো!!
আমি : কি করছিস ছাড় বলছি!!
আপু : এত রাতে কোথা থেকে আসলি!!
আমি : প্রথমে ঝড়গা করছিলাম এমন সময় পুলিশ তাড়া করলো পরে একটা মেয়ে সাথে ধাক্কা লাগলো, এরপর মেয়েটাকে ধর্ষনের হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য একটা মার্ডার করলাম!!
তারপর মেয়েটাকে হসপিটালে ভর্তি করে বাসায় ফিড়লাম!!
আমার এসব কথা শুনে আপু আমার দিকে অভাক দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো!!
এরপর হাসতে শুরু করলো!!
আপু : তুই করবি এসব, আর তোর পিছনে পুলিশ তাড়া করবে!! হাহাহা!! আমি বিশ্বাস করিনা!! ( হাসতে হাসতে)
আমি যানতাম আপু এমন কথা কখনো বিশ্বাস করবে না,
কারন সবাই যানে আমি ভদ্র একটা ছেলে সো আমার দ্বারা এসব পসিবল নাহ্!!
তাই আপু কে সত্যি কথাই বলেছি!!
বিশ্বাস না করলে আমার কি!!!
এমন সময় জিসা বলে উঠলো : আপু ফারহান এসব কাজ করেছে আমি বিশ্বাস করেছি!!
আপু : কেমন করে??
জিসা : এমন অনেক ছেলে আছে যাদের দেখা যায় ভদ্র, যেনো ভাজা মাছ উলটে খেতে যানে নাহ্!!
অথচ তাদেন কাজ কর্মের কথা শুনলে শিহরিত হয়ে যাবেন!!
আপু : আহে নাহ্, আমার ভাই সত্যি ভাজা মাছ উলটে খেতে যানে নাহ্!!
কারন ফারহান তো মাছ ” ই খায় নাহ্!!
আপুর কথা শুনে আমি হাসতে হাসতে বললাম : আপু জিসা কে বলে দিছ ” আমি জিসার বড় সো আপনি করে বলতে বলবি, আর কখনো যেনো নাম ধরে না ডাকে??
আপু : ওহ্ আচ্ছা তাই??
আমি : হুম তাই!!
আপু : তাহলে আমি তোর ছোট নাকি,
যে আমাকে তুই,, তুই করে বলিছ!!
আমি : উফফ!! ভালোবাসা বুঝো নাহ্ নাকি??
জিসা না, আমাকে ভালোবাসে, না আমি জিসা কে ভালোবাসি সো তুই তুখারী কেনো হবে??
জিসা : ফারহান আমি তুমাকে ভালোবাসি ” ( হাসতে হাসতে)
আমি : তুমাদের দুজনের মাথা নষ্ট হয়েছে বুঝতে পারছি??
এইবলে আমি রুমে চলে আসলাম!!
শীতের দিন ছিলো তাই কাপড় দিয়ে হাতের কাটাঁ টা ডেকে রেখেছিলাম!!
আপু কিছু বুঝতে পারেনি!!
রুমে এসে দেখি আমার টেবিলে পিছু ছবি রাখা!!
ছবি গুলো মেয়েদের,
একে একে সব মেয়ের ছবি দেখতেছি!!
এমন সময় আম্মু এসে বললো ”
তোর বিয়ের জন্য মেয়ে খুজ চলছে, দেখতো কতগুলো ছবি রেখেছি সেখান থেকে কোন মেয়েকে মনে ধরে কি ‘না!!
আমি : আম্মু আমি বিয়ে করবো নাহ্!!
আম্মু : আমার কষ্টটা কি বুঝবি না,
দেখছিস না কাজ করতে পারি না, শরীর টা অসুস্থ থাকে প্রায় সময়!!
আর তোর বোন সাবিহা ও আর কদিন এই বাসায় পড়ে থাকবে ওর ও তো সংসার আছে !!
আমি : কাজের ভুয়া রাখতে কি সমস্যা!!
আম্মু : কাজের ভুয়া রেখেছিলাম বাট ২,১ দিন কাজ করার পর চলে যায়!!
আমি : উফফ!! কি এক জ্বালা আচ্ছা তুমি যাও আমি ছবি গুলো দেখে যানাবো!!
আম্মু চলে গেলো!!
আমি একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ছবি গুলো দেখতে শুরু করলাম!!
হঠাৎ একটা ছবির দিকে চোখ আটকে গেলো!!
কারন এইটা সেই মেয়ের ছবি যাকে আমি কিছুক্ষন আগে হসপিটালে ভর্তি করে রেখে আসলাম!!
আমার হাত থেকে সিগারেট পড়ে গেলো!!
ভাবতে লাগলাম ঐ মেয়ের ছবি এখানে কি ভাবে আসলো!!
#চলবে????