গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক পর্ব-০২

0
2493

গল্প : গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক

লেখক : Farhan Ahmed Sajjad

পর্ব : ২

হঠাৎ একটা ছবির দিকে চোখ আটকে গেলো!!
কারন এইটা সেই মেয়ের ছবি যাকে আমি কিছুক্ষন আগে হসপিটালে ভর্তি করে রেখে আসলাম!!

আমার হাত থেকে সিগারেট পড়ে গেলো!!
ভাবতে লাগলাম ঐ মেয়ের ছবি এখানে কি ভাবে আসলো!!

কিছুক্ষন আগে যখন মেয়েটাকে কোলে করে হসপিটালের বেডে রেখে আসলাম!!

তখন হালকা এক নজর মেয়েটার দিকে তাকিয়েই বুঝতে পেরে গিয়েছিলাম!!
এটা হয়তো ভালো ফ্যামিলির এক মেয়ে, বাট তাড়াহুড়া করে চলে আসলাম, তাই চেহারা টা ভালো ভাবে দেখতে পায়নি!!
বাট ছবি দেখে ত্রুাশ খেলাম!!

কাল সকালে হসপিটালে যাবো ”
মেয়েটাকে দেখতে ”

যেই কথা সেই কাজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়েই!!
বাইক নিয়ে হসপিটালের দিকে চলে গেলাম!!

ডাক্তার মেয়েটার রুম দেখিয়ে দিলো!!
আমি রুমে যেতেই মেয়েটা আমার দিকে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো!!

মেয়েটা : আপনাকে নিশ্চয় আমার আব্বু পাঠিয়েছে তাই নাহ্!!

আমি : মানে কি! আপনার আব্বু আমাকে পাঠাবে কেনো??

মেয়েটা : কেননা আমি কাল রাতে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি,
আর রাতে একটা লম্পট ছেলের বাইকের সাথে এক্সিডেন্ট করেছি!!
এরপর আর কিছু মনে নেই,
আর তাই এসব কিছুর খুজ পেয়ে আব্বু আমাকে নিয়ে যেতে আপনাকে পাঠিয়েছে তাই না??

আমি : যদি বলি, না!!
মেয়েটা : তাহলে আপনি কে??

আমি : আমিই কাল আপনাকে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি!!

মেয়েটা : ও এই ব্যাপার, আচ্ছা ঐ লম্পট ছেলেটা কে দেখেছেন!!

( এখন যদি বলি আমিই সেই ছেলে তাহলে ঝামেলা করতে পারে!! তাই না করে দিলাম)

আমি : নাহ্ চিনি না বাট কেনো??
মেয়েটা : ছেলেটাকে মেরে একদম মর্গে পাঠিয়ে দিবো আমাকে আধমরা করে রেখে গিয়েছিলো!!
আমিত পুরোপুরি মরতে চাই!!

মেয়েটার কথা শুনে আমি পুরো অভাক হয়ে গেলাম!!
বলে কি এই মেয়ে!!

আমি : কেনো মরতে চান কারন টা যানতে পারি!!

মেয়েটা : আমাকে বাসা থেকে বিয়ে দিয়ে দিবে বাট আমি বিয়ে করবো নাহ্ তাই আমার কিছু ছবি ফারহান নামের এক ছেলে কে পাঠিয়েছে!!

মনে মনে ভাবলাম মেয়েটা আমার নাম যানে অথচ আমাকে চিনে না!!

আমি : ফারহান তো আপনাকে পছন্দ নাও করতে পারে??

মেয়েটা : কে বলছে পছন্দ করবে না!
১০০% পছন্দ করতে হবেই!!

আমি : এত কনফিডেন্স

মেয়েটা : হুম আর আমি খুজ নিয়ে দেখেছি ফারহান ছেলেটা নাকি অনেক খারাপ ঝগড়া মারপিট করে!!

আমি : হুম আমিও শুনেছি ফারহান ছেলেটা খুব খারাপ!! আচ্ছা আপনার নাম কি?

মেয়েটা : আপনাকে আমার নাম বলার প্রয়োজন মনে করি না তবুও আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসছেন সে জন্য বলছি আমি নীলা!!

আমি : হুম সুন্দর নাম!! আচ্ছা এখন হসপিটাল থেকে কোথায় যাবেন??

নীলা : যানি না!!
আমি : যানেন না মানে? বাসায় যাবেন না?

নীলা : নাহ্ বাসায় যাবো না!!
আমি : তাহলে আমাদের বাসায় চলেন!!

নীলা : না তাও যাবো না ” আমি বাসায় ই চলে যাবো আপনার আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না আর আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ এখন আপনি আসতে পারেন!!

আমি হসপিটাল থেকে চলে এলাম!!
বাট নীলা মেয়েটাকে আমার খুব মনে ধরেছে!!

মেয়েটার চেহারা যেমন সুন্দর,
তেমন ভয়েস টা কলিজায় লাগার মত,
সব থেকে ভালো লেগেছে নীলার ঠোঁটের নিচের তিল টা!!

বাসায় এসে আম্মুকে নীলার কথা বললাম :- মেয়েটা কে আমার ভালো লাগছে বাট আমি কিছু না বলা পর্যন্ত তুমরা কিন্ত নীলার বাসায় বা নীলা কে কিছু যানাবে নাহ্ ওকে!!

আম্মু খুশি হয়ে বলল ওকে!!

আমি বাসা থেকে বের হয়ে ভার্সিটির দিকে যাবো এমন সময় জিসা আমার পিছু লাগলো আমার সাথে যাবে বলে!!

সাবিহা আপুর অনুরোধে জিসা কে বাইকের পিছনে বসিয়ে ভার্সিটির দিকে যাচ্ছি!!

রাস্তায় দেখতে পেলাম,
নীলা কে নীলার বাবা বাসায় নিয়ে যাচ্ছে!!
নীলার বাবা আমাকে দেখতে না পেলেও নীলা আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলো!!

নীলা হয়তো ভেবেছে জিসা আমার গার্লফ্রেন্ড ”
সো ভার্সিটি আসছি এক বিচারে বসতে!!

আমি না গেলে আমাদের পোলাপান নিজেদের দূর্বল ভাবে!!

আমি ভার্সিটির গেইট দিয়ে ঢুকতেই সব পোলাপান খুশিতে হৈচৈ করে উঠলো!!

পিছন থেকে জিসা বলে উঠলো : এই তুমি কে গো?? তুমাকে দেখে সবাই ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্ছার মত লাফালাফি করছে!!

আমি : তুমার মত কিউট মেয়ে আমার পিছনে বসেছে তো তাই ” ( আগলা প্রশংসা)

জিসা : ওমা তাই ”

জিসা ওর ব্যাগ থেকে আয়না বের করে মেকআপ ঠিক করতে লাগলো!!

সো বিচারে বসলাম ” জিসা আমার সাথেই বসলো !!

বিচার টা হলো এক ছেলে ভার্সিটির এক মেয়েকে গত কদিন যাবত ট্রিস করতেছে!!

প্রভাবশালীর ছেলে বলে কেও কিছু বলেনি বাট আজ আমাদের ভার্সিটির প্রধানের সামনে পরেছিল তাই বিচার ডেকেছে!!

ছেলেটাকে বলা হলো ওরা বাবা কে ফোন করে ডেকে আনতে!!

কিন্তু ছেলেটা বলল : টাকার হিসাব টা বলেন আমিই দিয়ে যাচ্ছি আব্বু কে ফোন করে ডাকার কি প্রয়োজন!!

ছেলেটার কথা শুনেই মেজাজ টা হায় লেভেলের গরম হয়ে গেলো!!

আমি ছেলেটাকে ভালো ভাবে বললাম তুমার আব্বুকে ফোন লাগাও!!

জবাবে ছেলেটা বললো : ফোন দিবো না তো??

তখন আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারলাম নাহ্!!
ভার্সিটির স্যারদের সামনে ছেলেটাকে প্রথমে চেয়ার দিয়ে মারতে মারতে রুম থেকে বের করলাম!!
আমার দেখাদেখি আমার ফ্রেন্ড গুলাও মারতে শুরু করলো!!

কিছুক্ষন পর ছেলেটার কাকা ভার্সিটিতে আসলো!!

এসে আমাকে বললো : তুমি কার শরিরে হাত তুলেছো তুমি যানো??
আর আমি কে সেটা কি যানো??

আমি বললাম : কে আপনি?
লোকটা : চিনো না আমাকে?

আমি : আরে কাকু চিনি না বলেই তো জিজ্ঞেসা করছি কে আপনি??

লোকটা : সময় হলে ঠিক’ই চিনবে!!

এরপর ছেলেটাকে নিয়ে চলে গেলো!!

আমি বলে দিলাম : এই ছেলের নামে যদি এরপর এমন রিপোর্ট আসে তাহলে কিন্ত এই ছেলে এটা হারাবেন!!

জিসা আমার এসব কাহিনি দেখে থ হয়ে গেলো!!

বাসায় আসার সময় জিসা আমার পিছনে বসার সাহস পাচ্ছে নাহ্!!

আমি জিসা কে বললাম : যা দেখেছ সব এখানেই ভুলে যাও!!

বাসায় যেনো এসব কথা বলতে না শুনি কেমন!!

জিসা মাথা নেড়ে হ্যা বললো!!

#চলবে???