#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ১৯…
√-সকালে ঘুম ভাঙ্গলো আমার মুখে বউয়ের ভেজা চুলের ছুঁয়াতে…
বউয়ের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম…
আমিঃ এই রিতু তুমি এটা কি করছো..??
রিতুঃ কোথায় আবার কি করলাম..??
আমিঃ পাগলী বউ আমার, কি করছে রে এটা..
রিতুঃ কচু করছি। বলো এমন কি করছি.??
আমিঃ তাই বলে নতুন বউ হয়ে ভোর বেলা গোসল করবে..? ?
রিতুঃ নতুন বউ বলেই তো ভোর বেলা গোসল করলাম। যেনো সোয়ামী আমায় আরো বেশি ভালোবাসা দেয়।
আমিঃ তোমার সোয়ামী তো এমনিতেও অনেক ভালোবাসা দিবে। তাই বলে ভোর বেলা গোসল করবে?? যানো নতুন বউ ভোর বেলা গোসল করলে বাকিরা মুচকি হাসে??
রিতুঃ হেএএএ… কেনো গো সোয়ামী?
আমিঃ তোমার এতো জানতে হবে না তো। এখন থেকে আর ভোরে গোসল করবে না ওকে…
রিতুঃ আচ্ছা সোয়ামী আর করবো না।
আমিঃ ভালোবাসা বাড়ায় তাহলে এখন.. ?
রিতুঃ চুপ সয়তান, আগে যাও ব্রাশ করে নাস্তা করো।
আমিঃ আরে আসো তো তুমি, ঘুম থেকে উঠে স্বামী স্ত্রী ১০ মিনিট জরিয়ে ধরে রাখলে ভালোবাসা বাড়ে (জোর করে জরিয়ে ধরতে ধরতে)
রিতুঃ ছাড় সয়তান আমায় ছাড়…
~ পাগলী বউ আমার, নিজেই বার বার ছাড়তে বলছে, আবার নিজেই জরিয়ে ধরে রাখছে। আমিও সুযোগ পেয়ে বউকে মিষ্টি আদর করে নিলাম। বউকে ছেড়ে দিয়ে ব্রাশ নিয়ে বাথরুমে ঢুকে দেখি আমার গোসলের জন্য পানি রাখা। রিতু পিছনে পিছনে গিয়ে বললো~
রিতুঃ ওই তো পানি গরম করে রাখছি, এখনি গোসল করে নেও…
আমিঃ এখনি গোসল কেনো?
রিতুঃ আমায় এখন ঘুরতে নিয়ে যাবে..
আমিঃ এই ভোর বেলা ঘুরতে যায় কেউ?
রিতুঃ হুমম যায়। ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগাতে। আমিও যাবো, নিয়ে যাবে তো…
আমিঃ ওমা, তাই বুঝি?
রিতুঃ হি হি হুমম তাই…
~ ব্রাশ করে গোসল করে রুমে এসে কাপড় চ্যান্স করছি। এমন সময় ভাবির আগমন ~
ভাবিঃ কি ব্যাপার, রাতে বউয়ের ওমা গো বলে চিৎকার, আবার সকাল সকালে দুইজনের গোসল করে নেওয়া, ব্যাপার টা কি হুমমম??
আমিঃ না ভাবি। আপনি যেমন ভাবছেন তেমন কিছু না…
ভাবিঃ হুমম বুঝি তো সব, আমি তো আর ফিটার খায় না, হা হা…
আমিঃ সত্যি ভাবি তেমন কিছু না…
ভাবিঃ যদি ওমন কিছু না হতো, তাহলে রিতু ওমন করছে কেনো?
~ রিতুর দিকে তাকিয়ে দেখি সে মুখ চেপে ধরে হাসি দিচ্ছে। পাগলী বউটাও আমার বুঝে না, কখন হাসতে হবে ও কখন রাগ হতে হবে। পাজির জন্য কিছু না করেও আজ দেখি অপরাধী হয়ে যাবো দেখি ~
আমিঃ ওই পিচ্চি, এমন করে হাসছো কেনো? জানো ভাবি কি আজেবাজে জিনিস ভেবে নিচ্ছে ?
~ রিতুর হাসি আরো বেড়ে গেলো ~
ভাবিঃ ওই দেবরজী, বলো না গো বিড়াল মারতে কেমন লাগলো..?? হা হা…
আমিঃ রিতু বোন আমার, এই বার তো হাসি থামা, ভাবি কি বলছে দেখছো??
~ রিতু এমন ভাবে হাসি দিচ্ছে যে ভাবির সন্দেহ ঠিক। কি বিপদে পড়ছি পিচ্চি বউ নিয়ে ~
ভাবিঃ তুমি শুভ খুব পঁচা, আমায় বলতে চাচ্ছো না। পঁচা ছেলে একটা…
আমিঃ ওই পাগলী তুমি হাসি দিয়ে বিপদে ফেললে তো, সুযোগ আসলে আমিও তোমাকে এমনি লজ্জায় ফেলবো বলে দিলাম ?
~ রিতু ও ভাবি হাসতে লাগলো ~
???????????
আমি ও রিতু তৈরি হয়ে ঘুরতে চলে গেলাম নদীর ধারে। এখানে ছোট একটা নদী আছে, সকালে ও বিকালে মানুষ হাটাহাটি করে নদীর পাড়ের রাস্তা দিয়ে, যাদের ডায়বেটিস আছে তারা। কিছু মানুষ এমনি ঘুরতেও যায়। অনেক মানুষ হাটাহাটি করছে…
রিতুঃ ওই মোটা মহিলা ওই ভাবে দৌড়াচ্ছে কেনো?
আমিঃ এক কাজ করি, ওনাকে ডাক দিয়ে বলি “এই মোটা মহিলা আপনি এই ভাবে দৌড়াচ্ছেন কেনো, আমার বউ জানতে চাই ” হা হা…
রিতুঃ কত বড় সয়তান তুমি। আমায় বুঝি বকা শুনাবে…???
আমিঃ হুমম শোনাবো…
রিতুঃ বলো না গো সোয়ামী, ওমন করছে কেনো ওনি?
আমিঃ আরে পাগলী, দেখছো তো সে মোটা হয়ে গিয়েছে। তাই দৌড়ায় ওজন কামাচ্ছে। তোমাকেও একদিন ওজন কমাতে দৌড়াতে হবে এই ভাবে …
রিতুঃ নেকা, আমি মোটা হলে তো দৌড়াবো। আমি চিকন থাকবো বুঝলে…
আমিঃ তোমায় চিকন থাকতে দিলে তো। মোটা করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার…
রিতুঃ কিভাবে ??
আমিঃ আদর করে ☺
রিতুঃ চুপ সয়তান..
~ আমি ও রিতু নদীর ধারের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি সামনের দিকে। খুব মিষ্টি ঠান্ডা বাতাস বইছে। মাঝে মাঝে রিতুকে রেখেই দৌড় দিচ্ছি সামনের দিকে, রিতু তো মিষ্টি মিষ্টি রেগে যাচ্ছে ~
রিতুঃ বাবু আমার ঠান্ডা লাগছে তো…
আমিঃ গরম চা খাবে…??
রিতুঃ হুমম খাবো।
~ ফ্লাক্সে করে একজন ভদ্রলোক চা বিক্রি করছে। তাকে ডাক দিয়ে চা ও সাথে বিস্কুট দিতে বললাম আমাদের। আমি ও রিতু চা পান করছি। চা পান করা শেষ হলে আবার হাটতে শুরু করলাম। ১ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে হাঁটছি ~
রিতুঃ বাবু আর পারছি না তো, আমায় কোলে নেও…
আমিঃ এতো মানুষের মধ্যে আমি পারবো না।
রিতুঃ খুদা লাগছে তো খুব আমার…
আমিঃ চলো তাহলে খাওয়া দাওয়া করি হোটেলে…
রিতুঃ আবার সেই হোটেলে যাবে? আমার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করা ভালো লাগে না। চুপচাপ শুধু খেতে হয়, প্রেম করা হয় না…
আমিঃ চলো আজ তোমায় নতুন একটা হোটেলে খেতে নিয়ে যাবো। বাংলার সেরা রেস্তোরাঁ…
রিতুঃ প্রেম হবে তো ওখানে?
আমিঃ অবশ্যই হবে।
~ নদীর উপর বাঁশ দিয়ে মাচা করে ছোট একটা খাবার হোটেল করা। যারা সকাল বেলা হাঁটতে বের হন, অনেকে ওখানে খাওয়া দাওয়া করে আবার পাশে একটা কলেজের ছাত্র ছাত্রী গুলোও সকালের নাস্তা করেন ওখানে। এই হোটেলের আরেকটি গুন হলো, নদীর ধারে ঘাসের উপর বসে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কলেজের ছেলে মেয়ে গুলো জোরাই জোরাই বসে খাবার খাচ্ছে। রিতু তো দেখে অবাক ~
রিতুঃ এই আমরা কোথায় বসে খাওয়া দাওয়া করবো?
আমিঃ কেনো এই ঘাসের উপর..
রিতুঃ হেএএএ…
আমিঃ হুমম, বসো খুব মজা হবে খেতে এখানে বসে।
~ রিতু আর আমি বসলাম নদীর ধারে ঘাসের উপর। হোটেলের কর্মী ভাইকে ইশারা করলাম ২ প্লেট খাবার। কিছুক্ষণ পর দিয়ে গেলেন দুই জনের খাবার। রিতু তো দেখে হা করে আছে ~
রিতুঃ হা হা, এখানে কি কি আছে গো সোয়ামী?
আমিঃ ভুনা খিচুড়ি, ইলিশ মাছের টুকরো ভাজা, বেগন ভাজা ও আমার পিচ্চি বউয়ের মত ঝাল ঝাল শুটকি মাছের ভর্তা…
রিতুঃ আমার তো সোয়ামী জিহ্বায় পানি চলে এসেছে ?
আমিঃ তাহলে চলো খাওয়া শুরু করি…
রিতুঃ কিন্তু শুটকি মাছের ভর্তা খেলে যদি ঝাল লাগে??
আমিঃ তাতে কি হয়েছে? আমিতো আছি মিষ্টি খাওয়াইয়ে ঝাল কমিয়ে দিবো…
রিতুঃ সয়তান একটা, সব সময় শুধু পঁচা কথা। আমি পানির কথা বলছি, পানি কোথায়?
আমিঃ এখনি দিয়ে যাবে। শুরু করো খাওয়া।
~ খাওয়া শুরু করলাম দুই জন। রিতু বার বার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে। হয়তো লজ্জা পাচ্ছে এখানে খোলা জায়গায় বসে খেতে। খাওয়া শেষ হলে রিতু আর আমি বাসায় চলে আসলাম।
রিতু আবদার করতে শুরু করলো আবার দুপুরে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। পাগলীটা যে কত ঘুরতে পারে আল্লাহ জানে। আমি অনেক বুঝিয়ে বললাম, সন্ধ্যায় নিয়ে যাবো ঘুরতে, কারন আজ জবের জায়গায় যেতে হবে। খুব প্রয়োজনীয় একটু কাজ আছে। বাসার থেকে বের হওয়ার সময় রিতুকে পাপ্পি দিয়ে বের হলাম। রিতু বলে দিলো, বিকালের মধ্যে না আসলে খবর আছে। পাপ্পিতে আর কাজ হবে না।
সারাদিন কাজ করে বাসায় ফিরতে রাত হয়ে গেলো। প্রায় ৮ টা বাজে। রিতুতো মুখ ফুলিয়ে লাল টমেটো করছে রাগে। আমি বার বার বলছি রেডী হতে, কিন্তু সে এখন আর যাবে না বলে দিলো। পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিলো সে আর এখন আমায় ভালোবাসে না। তার ভালোবাসা সে ফিরিয়ে নিয়েছে।
আমিঃ চলো লক্ষী বউ আমার, রাগ করো না সোনা…
রিতুঃ তুমি আমার মন টাকে যেই ভাবে ভেঙ্গে ফেলছো, একা আর জোরা লাগালো যাবে না… ?
আমিঃ কখন?
রিতুঃ ???
~ আমি রুমের মধ্যে কিছু একটা খুজার অভিনয় করতে লাগলাম ~
রিতুঃ কি খুজছো ওভাবে?
আমিঃ তুমি তো বললে মন ভেঙ্গে গিয়েছে, তাই খুজতেছিলাম মন কতটুকু ভাঙ্গছে দেখবো…
রিতুঃ ওই সয়তান, মন কি ওখানে থাকে?
আমিঃ তাহলে কোথায় থাকে শুনি?
রিতুঃ তোমার সেটা জেনে লাভ নেই। আমি বলছি যখন যাবো না, যাবো না, তো যাবোই না…
আমিঃ আচ্ছা না গেলে, আমি ঈশা ডার্লিং কে নিয়ে যাচ্ছি ☺
রিতুঃ ওই সয়তান কি বললে তুমি, ঈশা তোমার ডার্লিং, এত বড় সাহস পেলে কোথায় আমার বোনকে ডার্লিং বলার..??
আমিঃ আচ্ছা বলবো না তাহলে তোমার বোনকে ডার্লিং। কিন্তু আমার শুবশ্রী ডার্লিং কে নিয়ে যাচ্ছি…
রিতুঃ কত বড় সয়তান, ঈশাকে কেউ ডার্লিং বললে আমার কিছু আশে যায় না। কিন্তু তুমি কাউকেই ডার্লিং বলবে না ওকে। নাহলে খুন করে ফেলবো…
আমিঃ আচ্ছা বলবো না। আমি যাচ্ছি ঈশাকে নিয়ে ঘুরতে…
রিতুঃ পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দিবো কিন্তু বলে দিলাম। টিভির রুমে গিয়ে বসো, আমি আসছি এখনি…
~ আমি গিয়ে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর রিতু ও মায়া আসলো ~
রিতুঃ এই দেখো মায়া যেতে যাচ্ছে না, ওকে যেতে বলো প্লিজ…
আমিঃ দুই পাগলীকে একসাথে কিভাবে কন্ট্রোল করবো হুমম ?
রিতুঃ চুপ… তোমাকে দিয়ে আমি একটুও বিশ্বাস পাই না। রাস্তায় যদি আমার সাথে কিছু উল্টো পাল্টা করার চেষ্টা করো, তাই সাথে আমার ননদ কে নিয়ে যাচ্ছি হি হি..
আমিঃ পাগলী একটা, আচ্ছা চলো।
~ রিতু, মায়া ও আমি রিক্সায় করে পাশের এলাকায় একটা বড় ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে, ওখানে নিয়ে গেলাম। রিতুকে বললাম ওয়াজে যা যা বলবে মন দিয়ে শুনতে, আমি পরে সব শোনবো। তাদের বাদাম, বুট ভাজা কিনে দিয়ে মহিলাদের বসার জায়গায় বসিয়ে দিলাম ওখানে।
রাত সাড়ে ১১ টায় ওয়াজ শেষ হলো..রিতু ও মায়া বের হয়ে আসলো। লিস্ট দিলো বিশাল, ওখানে ছোট মেলা বসছে, ওখান থেকে কিনে নিতে সব । সব কিনে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসার দিকে রওনা হলাম, রিক্সা না পেয়ে ~
আমিঃ বলো এবার কি কি শুনলে ওয়াজে??
রিতুঃ সব স্বামীর উচিত তার স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করা ☺
আমিঃ আর আর??
রিতুঃ স্বামীর উচিত তার স্ত্রীর কাজে সাহায্য করা ☺
আমিঃ আর আর?
রিতুঃ স্বামীর উচিত তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ☺
আমিঃ আরে এটা না, ওই যে ওটা বললো, ওটা বলো ? ☺
রিতুঃ হুমম ও ওটা, তা হলো স্বামীর উচিত স্ত্রীকে কখনো মারধর না করা…
আমিঃ পাগলী, সব শুধু তোমার পক্ষের শোনছো তাই না??
রিতুঃ হুমম। বাকি গুলো ভুলে গিয়েছি ☺
আমিঃ একটা পুরুষ ৪ টা বিয়ে করা যায়, হি হি….
ধরো,,, স্ত্রী হলো ঘরের লাইটের মতো, এক স্ত্রী মানে ১ লাইটের আলো, তাহলে ভাবো ঘরে আরো মোট ৪ স্ত্রী মানে ৪ টা লাইটের আলো, মানে অনেক অনেক আলো, পরো ঘর আলোকিত । তুমি কি চাও ঘরকে আমি অনেক অনেক আলোকিত করি ☺☺
রিতুঃ ওখানে আরো শুনছি, স্বামী যদি অপচয় করতে যায় স্ত্রীর উচিত অপচয় না করতে দেওয়া। ৪ লাইট মানে বেশি বিদ্যুৎ বিল হবে। এটা আমি কখনো করতে দিবো না ?
আমিঃ যদি একটু ভেবে দেখতে?
রিতুঃ চুপ সয়তান, সোয়ামী তুমি কিন্তু আরেকটা বিয়ের নাম মুখে নিলে খুন করবো ?
আমিঃ ??
রিতুঃ এই তো ভদ্র ছেলে ☺
~ এই ভাবে গল্প করতে করতে বাসায় চলে এলাম। মাঝ রাস্তায় একটু কোলেও নিতে হয়েছিল, নাহলে সে লোক ডেকে বলবে আমি তার সাথে নোংরামি করছি রাস্তায় একটা পেয়ে। পিচ্চি হয়েছে তাই কি? খুব বুদ্ধি তার মাথায় ~
বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে আছি বউয়ের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ পর রিতু আসলো রুমে…
আমিঃ রিতু সোনা, আজ কিন্তু অনেক রোমান্স হবে ?
রিতুঃ তাই?
আমিঃ হুমম তাই ☺
রিতুঃ তাহলে আমি ননদের কাছে যায় ?
আমিঃ এই না না, আমিতো মাত্র মজা করছি।
রিতুঃ এতো মজা করা ঠিক না গো সোয়ামী, জানো তো আমি অসুস্থ (বলতে বলতে আমার বুকের মধ্যে এসে শুয়ে পড়লো)
~ কি কপাল আমার, না পারি বলতে, না পারি সইতে ~
আমিঃ ঠিক বলছো। আমি বার বার ভুল করে ফেলি। সরি সোনা…
রিতুঃ এইতো আমার লক্ষী বাবু.. উম্মা…
আমিঃ তাহলে কি আমি আর কখনো আদর পাবো না?
রিতুঃ পাবে তো বাবু…
আমিঃ কবে তাহলে?
রিতুঃ বাসর রাতে…
আমিঃ এই পিচ্চি, আমাদের তো বাসর রাত হয়ে গিয়েছে। আবার বাসর রাত আসবে নাকি?
রিতুঃ একবার হয়েছে তাই কি? আবার হবে। তুমি চাইলে আগামী কাল ও হতে পারে… ?
আমিঃ সত্যি? আচ্ছা তাহলে আগামী কাল হবে কিন্তু হুমম ☺
রিতুঃ হুমম। কিন্তু শর্ত আছে…
আমিঃ কি শর্ত..??
রিতুঃ আমি অনেক সুন্দর করে সাজবো, সব আত্মীয় স্বজনরা আসবে আমাদের বাসায় দাওয়াত খেতে এবং এই রুমটা খুব সুন্দর করে সাজাতে হবে বাসর ঘরের মত…
আমিঃ পিচ্চি বউ আমার, এগুলো করতে বুঝি লজ্জা লাগবে না?
রিতুঃ আমি জানি না, করলে আদর পাবে নাহলে নাই…
আমিঃ আচ্ছা কাল দেখা যাবে, এখন আসো পাপ্পি দেই…
রিতুঃ এই না কিন্তু…
আমিঃ প্লিজ একটু দেই।
রিতুঃ না বলছি..
আমিঃ প্লিজ বাবু একটু…
রিতুঃ না তো না ?
আমিঃ আচ্ছা দিবো না (বলে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম)
রিতুঃ ওই সয়তান, মানা করছি বলে মেনে নিলে, জোর করে বুঝি দেওয়া যায় না?? ?
আমিঃ হা হা, তাই (বলে পাপ্পি দিয়ে ধরলাম)
??????
সকালে ঘুম ভাঙ্গলো বউয়ের পাপ্পি খেয়ে।
রিতুঃ এই তাড়াতাড়ি বাজার করে আনো যাও, আজ বাসরের কথা ভুলে গেলে..?
আমিঃ……………… ~ গল্প চলবে ~