ডিভোর্স
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ২৬
বাহ বাবা বাহ আমাকে তোমারা বলে আসলে ডাক্তার এর কাছে যাচ্ছো আর তোমারা এখানে আসছো….
।
সাঈদঃ মায়া এখানে কী করে দরজাটা তো ভিতর থেকে লক করা ছিলো তাহলে ভিতরে আসলো কীভাবে…
।
নাহ সিরিয়াস মনে হচ্ছে এই মেয়েটা কোনো সাধারন মেয়ে না নিশ্চয়ই কোন ভুত পেত্নী ধরেছে…
।
।
স্নেহার বাবাঃ তুই ভিতরে আসলি কীভাবে…
।
মায়াঃ যেভাবেই আসি না কেনো তোমারা আমাকে মিথ্যা কথা বলে আসছো কেনো আর তা ছাড়া ভালোই হয়েছে আমার লোক গুলো এদের পুরো শহরটা পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে আর এরা এখানেই লুকিয়ে বসে আছে…
।
।
সাঈদঃ নিজের লিমিট ক্রস করে ফেলেছো তুমি মায়া..
।
মায়াঃ হা হা হা হা ? লিমিট তো আমি অনেক আগেই ক্রস করে ফেলেছি সেটা আবার নতুন করে করার দরকার কী…
।
সাঈদঃ ভুল করতেছো এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যাও না হলে এর ফল কিন্তু ভালো হবে না…
।
।
স্নেহাঃ ওর এসবের যোগ্য না আর তুমি ওর সঙ্গে এমন ভাবে কেনো কথা বলছো ওরসঙ্গে ওর ভাষায় কথা বলতে হবে…
।
।
মায়াঃ বাহ্ যে মেয়ের মুখ থেকে আগে কথাই বেড় হতো না সে তো এখন ভালোই বকবক করতেছে….
।
।
স্নেহার মাঃ মায়া তুই এসব কীসের জন্য করতেছিস ও তো তোর নিজের বোন হয়
।
মায়াঃ তো ওকে বলো বাসাটা আমার নামে লিখে দিতে
।
স্নেহাঃ কথা গুলো শুনে প্রচন্ড রাগ উঠে গেলো নিজেকে কন্ট্রোল না করতে পেরে
দুই গালে দুটো থাপড় বসিয়ে দিলাম
।
কী ভাবিস নিজেকে হ্যা খুব বড় গুন্ডা নাকি ডাকাত…
।
আদিখ্যতা দেখো এই বাসা টা ওর নামে লিখে দিতে হবে তোর মতো মেয়ে এই বাসার যোগ্য না
।
।
মায়াঃ তুই আমার গায়ে হাত তুললি তোর এত বড় সাহস…
।
সাঈদঃ একবার কেনো হাজার বার গায়ে হাত তুলবে কী করবে তুমি…
।
।
মায়াঃ আমাকে একলা পেয়ে যাই ইচ্ছে তাই করতেছো না… এটা মনে রেখো আমি এই প্লেনের মাস্টার মাইন্ড আমি এখানে একলা আসি নি আমার সাথে কাদের নিয়ে এসেছি দেখতে চাও তাহলে দেখো…
।
।
ভিতরে আয় তোরা…
।
সাঈদঃ মায়া যেই কথাটা বললো চারজন হাতে বন্দুক নিয়ে ভিতরে চলে আসলো…
।
।
স্নেহাঃ এই খেলনা বন্দুক নিয়ে আমাদের কী ভয় দেখাতে আসছো…
মায়াঃ তাহলে খেলনা বন্দুক একটা খেয়ে দেখ কেমন লাগে…
।
।
স্নেহার মাঃ মায়া কী করছিস এসব তুই স্নেহাকে মারার আগে তোকে আমাকে মারতে হবে…
।
।
মায়াঃ মা সামনে থেকে সরে যাও স্নেহা মরে গেলে এই বাসাটা টা আমাদের হয়ে যাবে তার পর স্নেহার যতো গুলো প্রোপার্টি রয়েছে সব আমাদের হয়ে যাবে…
।
।
সাঈদঃ এমন তো অবস্থায় কী করবো কিছুই মাথায় আসছে না এদের সঙ্গে শক্তিতে পারা যাবে না তাহলে এখন কী করবো মাথাটা ঠান্ডা করে ভাবতে শুরু করলাম…
।
।
আচ্ছা এই লোক গুলো তো টাকার লোভে এসব করতেছে যখন কাটা দিয়ে কাটা তুলে তখন টাকা দিয়ে টাকাকে তুলতে হবে…
।
।
সাঈদঃ দেখ ভাই তোরা টাকার জন্য এসব করতেছিস তো…
।
এই মেয়েটা তোদের কত টাকা দিবে আমাদের মেরে ফেললে ৫ কোটি আমি তোদের এই মুহূর্তে ১০ কোটি টাকা দিবো যদি তোরা এই মেয়েটাকে মেরে ফেলতে পারিস ভেবে দেখ লাভ তোদের…
।
।
।
।
লোকগুলোঃ কথাটা কিন্তু ঠিকি এদের গুলি করে মেরে ফেললে আমাদের ১৬ লাখ টাকা দিবে তাতে ভাগ হবে ৪৫ টা কিন্তু আমরা চার জন মিলে যদি এই মেয়েটাকে মেরে ফেলি তাহলে এক জনে আড়াই কোটি করে পাবো সারা জীবন বসে খাবো…
।
।
।
।
লোকগুলোঃ ঠিক আছে আপনি টাকা রেডি রাখেন আমরা এখনি এই মুহূর্তে এই মেয়েটাকে গুলি করে ছাড়খার করে দিচ্ছি কিন্তু তোর কথার কোনো নড়চড় হবে না তো পরে…
।
।
সাঈদঃ সাঈদের কথা কখনো নড়চড় হয় না…
।
।
লোকগুলোঃ বন্দুক গুলো মায়ার দিকে ঘুরিয়ে…
।
।
মায়াঃ এই তোরা কী করছিস আমি তোদের বস আমাকেই মেরে ফেলতে চাচ্ছিস…
।
।
স্নেহার বাবাঃ মেরে ফেলুন একে এর মতো মেয়ের বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই যে কী না টাকার লোভে নিজের বোনকে মেরে ফেলতে পারে যে কারো বোন হতে পারে না…
।
।
মায়াঃ পরিস্থিতি এখন আমার বিপরীতে কয়দা করে পালাতে হবে না হলে সত্যি সত্যি আমাকে মেরে ফেলবে…
।
।
একজনের হাত থেকে বন্দুক টা কেড়ে নিয়ে স্নেহার মাথায় ঠেকিয়ে…
।
।
আমাকে যেতে দাও না হলে স্নেহাকে এখনি মেরে ফেলবো…
।
সাঈদঃ মায়া ওকে ছেড়ে দাও…
।
।
মায়াঃ পিছনে যা না হলে পিছনে যাবি না তো একটা গুলি হাতে করে দিলাম….
।
।
সাঈদঃ নাহ এটা কী করললে…
।
।
স্নেহার মাঃ মায়া কী করলি এটা তুই…
।
।
মায়াঃ যেতে দাও না হলে এর পরে গুলিটা সোজা মাথায় করবো…
।
।
সাঈদঃ এই সবাই সাইডে যা ..
।
মায়াঃ গুড সুযোগ বুঝেই দৌড়ে বেড়িয়ে এসে গাড়িতে চড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসলাম…
।
।
সাঈদঃ স্নেহা এই স্নেহা কথা বলতেছো না কেনো…
।
।
স্নেহার বাবাঃ ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে হবে…
।
।
সাঈদঃ হুম রাস্তায় একটা থামিয়ে স্নেহাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলাম.
।
।
।
কিছু খন পর
।
।
ডাক্তারঃ she is out of Danger গুলিটা সামন্য সাইডে আসলে বুকের ঠিক মাঝ খানে লেগে যেতো আমরা তখন চাইলেও বাচাতে পারতাম না…
।
।
সাঈদঃ tnx doctor…
.
।
ডাক্তারঃ its ok..
।
।
স্নেহার মাঃ খেয়ে না খেয়ে টাকা জমিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করালাম এই দিন দেখার জন্য…
।
।
স্নেহার বাবাঃ এমন কুলাঙ্গার মেয়েকে গলা চিপে মরে ফেলা উচিত যদি জানতাম যে এমন হবে জন্মের আগেই বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতাম..
।
।
সাঈদঃ যা হবার তা হয়ে গেছে আপনারা এখন চাইলে স্নেহার সঙ্গে দেখা করতে পারেন…
।
।
স্নেহার বাবাঃ এই মুখ নিয়ে ওর সামনে যেতে পারবে না তুমিই ওর কাছে গিয়ে বসে তাতেই ওর ভালো লাগবে…
।
।
।
সাঈদঃ হুম…
।
।
।
স্নেহার মাঃ আমাদের গ্রামে ফিরে যাওয়া দরকার এখন…
।
।
স্নেহার বাবাঃ হুম তার পর বাসে করে গ্রামের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লাম…
।
।
কয়েক ঘন্টা পর গ্রামে চলে আসতেই যা দেখলাম তা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না…
।
।
স্নেহার মাঃ মায়া এখানে নীলাদ্রির সঙ্গে…
।
।
মায়াঃ মা তোমাদের আসতে এতখন লাগে ডাক্তার কী বললো বাবার কী হয়েছে…
।
।
স্নেহার বাবাঃ কথা গুলো শুনে আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা…
।
।
স্নেহার মাঃ তোকে আমার মেয়ে বলে বলতে লজ্জা লাগতেছে এত বড় অঘটন ঘটিয়েও শান্তি পেলি না নিজের বোনকেই শেষে গুলি করলি…
।
।
মায়াঃ তোমারা কী বলেতেছো আমি কখন কোথায় আর কোন বোনকে গুলি করলাম..
।
।
খালা মা এসব কী বলছে..
।
স্নেহার মাঃ কিছু খন আগে কোথায় ছিলিস…
।
।
মায়াঃ খালার সঙ্গে পুকুরে গোসল করতেছিলাম…
।
।
স্নেহার খালাঃ ও তো সকাল থেকে আমার সঙ্গেই আছে এক মুহূর্তের জন্যও কোথায়ও যায় নি…
।
।
চলবে…