তিলকপুরের মিঞ বাড়ি পর্ব-১৩ এবং শেষ পর্ব

0
306

#তিলকপুরের_মিঞ_বাড়ি
SuMon Al-Farabi
#শেষ_পর্ব
– কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন!
– স্যার ( আমার গলা শুকিয়ে আসছে)
– আরে বাবা মেয়েটাকে এই প্রশ্ন টা করেছিলে কি না সেটা জিজ্ঞেস করলাম। তুমি কি মনে করছো আমি তোমাকে বলছি!
– আপনি তো ভয় পাইয়ে দিয়েছেন আমায়।
– বোকা ছেলে।
– স্যার ,
– হ্যাঁ বলো।
– আমার শরীর টা আগের থেকে অনেক বেশি সুস্থ মনে হচ্ছে। তাছাড়া অনেক দিন বাসার বাইরে আপনাদের জ্বালাচ্ছি। আমি ভেবেছি কাল চলে যাবো।
– কালকেই চলে যাবে!
– হ্যাঁ।
– ঠিক আছে তাহলে। তাছাড়া এই মামলার সাথে তোমার তো কোনো সম্পর্ক নেই। আমিই শুধু শুধু তোমায় এখানে নিয়ে এসে তোমায় বিপাকে ফেলে দিয়েছি। আমি কাল তোমায় তোমায় স্টেশনে রাখতে যাবো। এখন ঘুমাও।
-আমি তো চলেই যাচ্ছি। আমার একটা শেষ ইচ্ছা আছে।
– কি ইচ্ছে!
– আমি নিজের হাতে আপনাকে এক কাপ চা বানিয়ে খাওয়াবো।
– আচ্ছা কালকে খাব এখন ঘুমাও।
– আমার এখন ইচ্ছে করছে প্লিজ স্যার না বলবেন না।
– আচ্ছা ঠিক আছে যাও নিয়ে আসো।
আমি বিছানা থেকে উঠে চা বানাতে চলে গেলাম। এরপর চা বানিয়ে এসে স্যার আর আমি দুজনে মিলে কিছুক্ষণ চা খেতে খেতে গল্প করলাম। এর মাঝেই স্যারে ঘুমিয়ে পড়ে।

পরের দিন সকালে প্রায় দশটার দিকে থানা থেকে দুজন পুলিশ স্যারের বাসায় আসে। স্যার তখনও ঘুমাচ্ছে। ভাবি স্যারকে ডেকে তুললেন।
স্যার পুলিশ গুলোর মুখে রাইয়ানের হ*ত্যার খবর শুনে দ্রুত বেরিয়ে পড়লেন। রাইয়ানের মৃ*ত্যুর কথা শুনে লুবা চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিলো। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে রাইয়ানের মৃ*ত দেও মিঞা বাড়িতে পাওয়া যায় নি। রাইয়ানের দেও জঙ্গলের মাঝে ওর যে বাড়িটা আছে সেখানে পাওয়া যায়।
আমি নিজের ব্যাগ গুছিয়ে রেডি হচ্ছি। রুহী তখন আমার রুমে এসে আমার কাজে সাহায্য করছে।
– আপনি হঠাৎই আজকেই চলে যাচ্ছেন যে!
– এখানে আসার তো অনেক গুলো দিন পেরিয়ে গেলো। তাছাড়া আমারও তো কাজ আছে তাই না।
– কিন্তু আজ যে একজন মা*রা গেলো। ভাইয়া তো আপনাকে যেতে দিবে না।
– কেন দিবে না! আমি তো গতকাল সারা রাত স্যারের সাথেই ছিলাম।
– ভাইয়ের মৃ*ত্যু সংবাদ শোনার পর থেকেই মেয়েটা কেঁদেই যাচ্ছে।
– এমনটা হওয়ারই ছিলো। ওর ভাই অন্যের বোন কে মে*রে তার ভাইদের কাঁদিয়েছে। এটা তারই প্রতিফলন।
– আচ্ছা আপনার কি মনে হয় এগুলো কে করছে!
– সত্যি বলবো!
– অবশ্যই। মিথ্যা কেন বলবেন!
– এদিকে আসুন কানে কানে বলছি। নয়তো কেউ শুনে নিবে।
রুহী খুব আগ্রহ নিয়ে আমার দিয়ে কান এগিয়ে দিয়ে বললো- এখন বলুন।
– আমি মেরেছি সবাইকে।
আমার কথা শুনে রুহি বললো- আমি ভাবলাম কত্তো সিরিয়াস কিছু বলবেন। যাই হোক বাসায় গিয়ে আবার ভুলে যাবেন না তো!
– আপনাকে কি করে ভুলি বলুন ! আপনি আমার এত সেবা যে করলেন! তবে যদি বেঁচে থাকি কখনো না কখনো অবশ্যই দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
– আচ্ছা দেখা যাবে।

দুইজন মহিলা পুলিশ এসে লুবা কে নিয়ে গেলো ভাইয়ের মৃ*ত দেহ শেষ বার দেখাতে।
এখন প্রায় সন্ধ্যা আমজাদ স্যার বাসায় আসলেন। বাসায় এসেই উনি আমার রুমে আসলাম।
– তোমার সব কিছু গোছানো হয়েছে!
– হ্যাঁ স্যার।
আমার দিকে একটা টিকিট এগিয়ে দিয়ে বললেন- এই নাও তোমার টিকেট।
– আমি তো অনলাইনে টিকিট কেটে রেখেছি।
– ও আচ্ছা। তাহলে চলো এখন বেরিয়ে পড়ি অনেক দূরের রাস্তা।

বাসায় সবার থেকে বিদায় নিয়ে স্যার এবং আমি বেরিয়ে পড়লাম।
পুরো রাস্তা দুজনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। হঠাৎ স্যার বলল – এই এলাকা এখন জানো*য়ার মুক্ত হল।
– কিভাবে মা*রা হয়েছে সে বিষয়ে কি কিছু জানতে পারলেন ।
– একজন পশুকে যেভাবে মা*রা হয় ঠিক সেভাবে মা*রা হয়েছে।
– মানে! বুঝলাম না!
– খুবই ভয়ংকর একটা মৃ*ত্যু এরকম মৃ*ত্যু সচরাচর পশুদেরও দেখতে পাওয়া যায় না।
– ও আচ্ছা। কে মারলো সে বিষয়টি কিছু আন্দাজ করতে পারলেন!
– কে আবার মারবে! ওর পাপেই ওকে শেষ করে দিল।
– মানে!
– মানে আবার কি! ভূতেই ওকে শেষ পর্যন্ত হ*ত্যা করলো।
– আপনিও বিশ্বাস করেন ভূত এসব করেছে!
– না করার কি আছে! এখন তো শুধু আমি না, সমগ্র তিলকপুর বিশ্বাস করে মিয়া বাড়িতে ভূত আছে আর সেই ভূতেই এদের সবাইকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে। তবে সব থেকে আশ্চর্যজনক বিষয় কি জানো মিয়া বাড়িতে খু*ন হলো তিনজন কিন্তু ভূত হয়ে আসলো মাত্র একজন সেটা শুধু মেয়েটা মাঝে মাঝে এটা একটু আমায় ভাবায়। তোমার কি মনে হয় বাকি দুজন ভূত হয়ে আসলো না কেন !
– বাকি দুজনের বয়স বেশি হয়েছিল না তাই তারা রেস্ট করছে হয়তো!
আমার এ কথা বলার পরেই দুজনেই হাসতে শুরু করলাম। যেহেতু তিলকপুর স্টেশনের ট্রেন থামে না তাই দূরের একটি স্টেশনে আসলাম।
স্যার আর আমি দুজনে স্টেশনের এক কোন একটা বেঞ্চে বসে আছি। দুজনে আনমনে বাদাম খাচ্ছি। দুজনেই চুপচাপ। হঠাৎ স্যার আমার দিকে একটা ঘড়ি এগিয়ে দিয়ে বললেন -এই নাও তোমার ঘড়ি। এটা তুমি ফেলে এসেছিলে।
– এটা আপনি কোথায় পেলেন! সকাল থেকে খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছিলাম না।
– এটা রাইয়ানের বাসায় ছিল। একটু র*ক্ত লেগেছিল পরিষ্কার করেছি পানি দিয়ে তাই হয়তো ঘড়ির ভেতরটা জ্যাম লেগে গেছে। বাসায় ফিরে কোন মেকারকে দেখিও।
আমি স্যারের দিকে কিছুটা সময় অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলাম – সেদিন আমায় ওর বাসায় নিয়ে গিয়েছিল হয়তো সেখানেই রেখে এসেছিলাম।
– হবে হয়তো। আমি যে টিকিটটা দিয়েছিলাম সেটা দেখেছিলে ভালো করে। তোমার গন্তব্য ঠিকানা ঠিক আছে কিনা।
– আপনি তো জানেনই দেখার কি আছে।
– তারপরেও একবার চেক করে নাও।
স্যারের কথায় পকেট থেকে টিকিটটা বের করে চেক করলাম – ঢাকা! আপনি আমাকে ঢাকার টিকিট কেন দিলেন?
– তোমার বাসা তো ঢাকাতেই তাই না! আমি কি ভুল টিকেট দিয়েছি! তুমি তো এখন ঢাকাতেই যাচ্ছ।
– আপনি কি করে জানলেন।
– এই মামলাটা নিয়ে আমি কারো উপরে বিশ্বাস রাখতে পারছিলাম না। তাই এই মামলার সাথে জড়িত সকলের উপর আমার কড়া দৃষ্টি ছিল। তোমার ব্যাপারে সব ধরনের খোঁজ খবর নিয়েছি তুমি কোথায় থাকো কি কর, সব কিছু।
– তাহলে তো আপনি এটাও জানবেন যে এখানে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার সাথে কে জড়িত।
– সেটা জানার জন্যই তো তোমার সাথে স্টেশন পর্যন্ত আসলাম। গতকাল রাতের প্রশ্ন খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলে তাই না! আমিও গভীর একটা শক পেয়েছিলাম যখন জানতে পারলাম তুমি এখন পর্যন্ত আমাকে সবকিছু মিথ্যা বলেছ । কিভাবে আমার সাথে থেকেই এত কিছু করলে! আমি কিছু বুঝতেও পারলাম না।
– মিয়া বাড়িতে যে তিনটি লা*শ পাওয়া যায় সেখানে রে*প হওয়া মেয়েটি হাসনাহেনা ছিলনা। মেয়েটি ছিল আমার ছোট বোন নীলা। হাসনানেনার সাথে প্রায় বছর খানেক আগে আমার বিয়ে ঠিক হয়। ওর দাদুর সাথে বাবার পরিচয় ছিলো। কথা ছিলো রমজানের ঈদের পরেই আমাদের বিয়ে হবে। তাই আমার ছোট বোন নিজের পছন্দের সব কিছু দিয়ে ভাবীকে সাজাবে বলে এখানে আসে। যেহেতু ঈদের আগে সব জায়গায় অনেক মানুষ থাকবে নিজের মতো করে শপিং করতে পারবে না তাই অনেক আগেই আসে।
– সেই রাতে হাসনাহেনা আমার সাথে সাথে কথা বলতে অন্য রুমে যায়। ঠিক তখনই শয়তান গুলো বাসায় ঢোকে। আপনি জানেন না স্যার নিজের কানে আমার বোনের মৃ*ত্যু চিৎকার শুনেছি আমি। আমাদের ছেলেদের প্রথম ইমোশন হয় মা এবং বোন। যাদের জন্য আমরা নিজের সব কিছু উজাড় করতে পারি। সেই বোনের মৃ*ত্যু চিৎকারে আমি নিরবে হজম করেছি। ভাগ্য ক্রমে সেদিন তিলকপুর স্টেশনে ট্রেন কিছুক্ষণের জন্য থামে ক্রোচিং দিবে জন্য। হাসনাহেনা সবার নজর এড়িয়ে সেই ট্রেনে করে ঢাকায় চলে আসে।
– তাহলে আমরা সেদিন যা দেখেছিলাম ও সত্যিই হাসনাহেনা ছিলো!
– হ্যাঁ স্যার । শুধু তাই নয় আপনার বাসায় রুহীকে ভয় দেখানো এবং আপনার মনে ভুতের বিশ্বাস জাগানো এগুলোতে ভাবী আমায় সাহায্য করছে। আপনি হয়তো জানেন না আপনি আমি যখন রুমে ঘুমাই তখন ঐ রুমের আলমারির পিছনে একটা বিছানা করা আছে যেখানে হাসনাহেনা ঘুমাতো।
– তার মানে ও আমার বাসাতেই ছিলো!
– হ্যাঁ। একদিন ভাবি জানতে পারে। তারপর উনাকে সবটাই বলি। এরপর থেকে উনি আমাকে সাহায্য করে।
– গতকালের হ*ত্যা টা কিভাবে করলে!
– আপনার চায়ে ঘুমের ঔষধ দেওয়া ছিলো। আর বাসার এক্সট্রা একটা চাবি ভাবি আমায় দিয়েছিলো। যাতে বাইরে যেতে হলে উনার কাছে যেতে না হয়।
– তারপর ।
– ঐ দিন আমায় যখন ওদের বাসায় নিয়ে গেলো তখন আমি খুব মনোযোগ দিয়ে রাস্তা চিনে রেখেছিলাম। আমি আগে থেকেই জানতাম সেখানে আজ দুজন কে একসাথে পাবো।
– কিভাবে মা*রলে তুমি!
– আমি মা*রি নি তো। ভুত মে*রেছে। সবার কাছে হাসনাহেনা একটা কাল্পনিক চরিত্র এখন। বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। একজন মানুষ যতোই সাহসী হয় না কেন। নিজের হাতে খু*ন৷ হওয়া ব্যাক্তি কে চোখের সামনে হাঁটতে দেখলে গলা শুকিয়ে কাঠ হবেই। সেখানেও এর বিপরীত কিছুই হয় নি। হাসনাহেনা কে দেখে দুজনেই নিজেকে বাঁচানোর জন্য পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু আমি আগে থেকেই সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এরপর দুজন কেই বেঁধে ফেলি।
– তুমি একাই দু’জন কে বাধলে!
– ঐ যে বললাম ভূত। ভূত কে স্পর্শ করার মতো সাহস ক’জন মানুষের আছে। সেই সুযোগ নিয়ে তাদের বেঁধে প্রথমে রাইয়ানের বন্ধুর শরীরে কলম পুড়িয়ে সেটার শিখা গুলো ফোটায় ফোঁটায় সারা শরীরের ফেলি। মৃ*ত্যুর থেকেও অন্যের মৃ*ত্যু দেখার অনুভূতি অনেক ভয়ংকর যখন আপনি জানবেন এরপর মৃত্যু টা আপনার হবে। আমি রাইয়ান কে মা*রার আগেই ওর মনে মৃ*ত্যু যন্ত্রণার ভয়াবহতা ঢুকিয়ে দেই। যখন ওর বন্ধু ছটফট করছিলো বিশ্বাস করবেন না আমার এতোটা আনন্দ হচ্ছিল যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কিন্তু বেচারা বেশিক্ষণ আমাদের আনন্দ দেখার আগেই ম*রে গেলো।
– এরপর তুমি রাইয়ান কে আগুনে পুড়িয়েছ তাই না!
– আমি ওকে জীবন্ত সিদ্ধ করেছি। বারবিকিউ করেছি। ( এই কথাটা বলেই উদ্ভট একটা হাসি দিলাম। স্যার অবাক চোখে তাকিয়ে আছে) আমার বোনের পুরো শরীর পুড়িয়ে দেওয়া মানুষকে এতটা সহজ মৃ*ত্যু কিভাবে দেই স্যার! আমি প্রথমে ওর চোখে কলম পুড়িয়ে সেই শিখা ফেলি যাতে করে দেখতে না পায়। এরপর জলন্ত কয়লা চারদিকে বিছিয়ে দিয়ে মাঝে ওকে রাখি। যখনই কয়লার উপর পড়তো তখনই আমার আনন্দ হতো। ও যখন চিৎকার করে আমার মনে হতো আমার বোন হাসছে। ওকে এরপর টগবগ করা গরম পানিতে গোসল করাই যেভাবে মৃ*ত ব্যাক্তিকে গোসল দেয়। যখন শরীর পবিত্র হয়ে যায় তখন আমি সুচ দিয়ে খুব যত্নে পুরো শরীরে ছিদ্র করি। তারপর লবণ আর মরিচ গুঁড়া খুব আদরে পুরো শরীরের মাখিয়ে দিয়ে হাত পা বেঁধে জলন্ত আগুনে ফেলে দেই। জঙ্গলের মাঝে হওয়ায় কেউ বুঝতেও পারেনি সেখানে ভুলতে খাবার রান্না হচ্ছে । হা হা হা।
– এতটা নিকৃষ্টতর মৃ*ত্যু তো পশুর ও হয় না।
– আমার বোনের ধ*র্ষক এর মৃ*ত্যু এভাবেই হয় স্যার।
– হাসনাহেনা কোথায়!
– আপনার পিছনে অনেক্ক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এখন আপনি চাইলে আমায় ধরতে পারেন। তবে হাসনাহেনার কোনো দোষ ছিলো না।
– সবাই বিশ্বাস করে নিয়েছে এগুলো ভুতেই করেছে। সবার বিশ্বাস ভাঙ্গা ঠিক হবে না। হাসনাহেনা, তুমি ওকে ভালো কোনো সাইক্রেটিস দেখাবা বাসায় গিয়ে। দোয়া রইলো তোমাদের আগামী জীবন সুন্দর হোক এবং পরবর্তীতে এই কালো অধ্যায় কোনো প্রভাব না ফেলে যেন।
এর মাঝেই ট্রেন চলে আসে। আমি আর হাসনাহেনা দুজনেই চলে আসি। স্যার কে আসার সময় চিৎকার করে বলেছিলাম – সেদিন এক্সি*ডেন্ট করানোর জন্য সরি। আমি এতোদিন অসুস্থতার অভিনয় করেছিলাম। যাতে আপনি আমায় পাঠিয়ে না দেন।

স্যার মুচকি হাসছে। হাত নাড়িয়ে আমাদের বিদায় জানালো। সেখানে থেকে তিলকপুর স্টেশনে আসতেই আমি বললাম – আলবিদা তিলকপুর, এই মিঞা বাড়ির গল্প তোমার অজানাই থেকে গেলো।

#সমাপ্ত