#তুমি_আমার_জিবন
#লেখিকা_তৃষা_খাতুন
পর্ব ৩
এই মেয়ে কে তুমি।
কথাটা কানে আসতেই পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি, একটা মেয়ে আমাকে প্রশ্ন টি করে । কিন্তু মেয়েটা কে আমি চিনি না। তাই আমি বললাম,
আমি আরু
আমার কথা শুনে মেয়েটা বলে,
তুমি এ রুমে কেন। আর কার কে হোও
মেয়েটার কথা শুনে বললাম,
“আপনি কে
“”আমি কে মানে,
আব্রাহাম রুমে প্রবেশ করে দেখতে পায় আরু আর রাইমা কথা বলছে। রাইমা কে উদ্দেশ্য করে বলে
“” রাইমা এটা তোমার ভাবি হয়।আর আরু এ টা রাইমা আমার ফুফাতো বোন।
আব্রাহাম এর কথা শুনে রাইমা অবাক হয়ে যায়। তার মাথা ঘুরছে এ কি শুনছে সে , আব্রাহাম বিয়ে করে নিয়েছে। চোখে পানি টলটল করছে।
আব্রাহাম বলে উঠে, আরু আর রাইমা চলো নাস্তা করতে । অনেক দেরি হয়ে গেছে।
আব্রাহাম এর কথা শুনে আমি বললাম , চলেন বলেই দুজন রুম থেকে বেরিয়ে যায় যাওয়ার আগে আরেকবার রাইমাকে ডেকে যায়।
________________________________
আমার অনেক লজ্জা লাগছে এতো গুলো মানুষের সামনে বসে আছি। কাল হুট করে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তেমন কোনো মানুষ ছিল না বাসায় । শুধু আব্রাহাম এর বাবা মা আর বোন। আর আজ তার চাচা চাচি ফুফা ফুপির সামনে বসে আছি মামা মামী সবাই ইতিমধ্যে এখানে আসার জন্য রওনা দিয়েছেন।
(লেখিকা_তৃষা_খাতুন)
(কিছু ক্ষন আগে)
নাস্তা করার শেষে আব্রাহাম তার রুমে যাওয়ার পর আমার শাশুড়ি আম্মা আমার পাশে বসে আমার হাত টা তার হাতের মুঠোয় বলে উঠে,
শোন মা তোকে আমি আমার ছেলের বউ নয় আমার মেয়ে করে এনেছি। এ বাড়ির সবাই কিন্তু এখনো যানে না তোর আর আব্রাহাম এর বিয়ে হয়েছে। আমি আজ সবাইকে জানিয়ে দিবো তাদের এ বাড়ি তে আসতে বলেছি । কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। তোকে কেউ কিছু বললে সোজা আমাকে এসে বলবি । আর যে যাই বলুক তাদের কথা কানে নিবি না । বিশেষ করে তোর দাদির শাশুড়ি আর ফুফু শাশুড়ির। তোর দাদি শাশুড়ি তাঁর বড় মেয়ের বাসায় আছে । সে এখনো বিয়ের খবর জানে না। তাই সে একটু বেশি কথা বলতেই পারেন তার কথায় মন খারাপ করিস না।
______________________________
আব্রাহাম এর ফুফু উপর তলায় তার ছোট ভাইয়ের ফ্লাটে গিয়ছেন দেখা করতে কিন্তু যেয়ে যে কথা টা শুনলেন তাতে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো,
আব্রাহাম এর ফুফুকে দেখে আব্রাহাম এর চাচি বলেন,
কি আপা আব্রাহাম এর বউ দেখতে এসেছেন। রাইমা কে সাথে আনেন নি।
আব্রাহাম এর চাচির কথা শুনে আব্রাহাম এর ফুফু বলে
আব্রাহাম এর বউ দেখতে এসেছি মানে,
কেন জানেন না আপনাকে কোন কিছু বলেনি , আব্রাহাম কাল রাতে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসছে।
আব্রাহাম এর চাচির কথা শুনে আব্রাহাম এর ফুফুর মাথা ঘুরছে। সে যে পরিকল্পনা করে এসেছিল সব টাই ভেস্তে গেল। রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে। ছোট ভাইয়ের ফ্লাট থেকে বের হয়ে আব্রাহামের বাড়িতে এসে দেখেন তার মা বড় বোন তার ছেলে মেয়ে । তার ছোট ভাই সবাই আরু কে ঘিরে বসে আছে। তিনি হনহন করে বাড়িতে প্রবেশ করে।
______________________________________
হঠাৎ রাশভারী গম্ভীর গলায় কেউ বলে উঠে, এই যে মেয়ে নাম কি তোমার
কথাটা কানে আসতেই আমি চমকে উঠি , মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না কন্ঠনালি কাপছে, কোনো রকম কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
জি আমার নাম আরহা জাহান আরু
আরুর কথা শুনে আব্রাহাম এর দাদি আব্রাহাম এর মায়ের উদ্দেশ্যে বলে,
তা কি দিন কাল আইলো রে বাবা, নিজের বড় নাতির বিয়ে হয়ে গেছে তাও জানি না। কি আর বলবো নিজের ছেলেই যখন জানালো না তখন তার বউ এর থেকে আশা করি বা কি করে।
আপনি কি বলছেন মা । আর আপনাকে তো জানালে আপনি বিয়েতে কি উপস্থিত থাকতে পারতেন না । আর ওতো রাতে আপনাকে জানিয়ে টেনশনে ফেলতে চাইনি।(আব্রাহাম এর বাবা)
তাই বলে আমাকে রেখে এভাবে বিয়ে করাবি
চলবে