#তুমি_আমার_জিবন
#লেখিকা_তৃষা_খাতুন
পর্ব ৮
তোমরা থাকবে কি শুরু করছো। আর আহি তুই আমার সাথে আয় বলেই আব্রাহাম আরুকে সবার সামনে কোলে তুলে রুমে নিয়ে চলে আসি।
সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে কেউ ভাবতে পারেনি সবার সামনে এভাবে আরু কে আমি তুলে নিয়ে চলে আসব।
ছোট ফুফু তো বলেই বসে ,
ছি এখন আমাদের সামনে এভাবে করে তুলে নিয়ে যেতে লজ্জা লাগে না।
আব্রাহামের মা বলে ওঠে,
সকাল থেকে দেখে যাচ্ছি তুমি আমার ছেলে আর ছেলের বউয়ের ভুল ধরে যাচ্ছে। কিছু বলছে না বলে এই ভেবোনা যে আমি সবকিছু সহ্য করব। আমার ছেলের ব্যাপারে আর ছেলের বউয়ের ব্যাপারে আমি সহ্য করব না। আমার ছেলে কি এমন লজ্জার কাজ করেছে যে তুমি ওভাবে বলছ। তার বউ সে কোলে নিয়েছে তাতে তোমার কি।
বড় বউমা মুখ সামলে কথা বল, রাগে গজগজ করে কথা টা বলে। ওঠে দাদি।
আব্রাহামের মা বলে উঠে,
আমি কেন চুপ করব না আর কি মুখ সামলে কথা বলব আমি তো কোন ভুল কথা বলছি না আমি তো ঠিক কথাই বলেছি। আরু আব্রাহামের স্ত্রী। তাকেই তো কোলে নিয়েছে অন্য কাউকে তো আর কোলে নেয়নি। সামান্য একটা ব্যাপার কি এভাবে সবাই বড় করছেন কেন।
আব্রাহাম এর বাবা বলে ওঠে,
আচ্ছা মা বলো তো তোমাদের সমস্যা কি সকাল থেকে দেখে আসছি, তোমরা কেমন করছ। আচ্ছা আমরা বাবা মা কি সন্তানের খারাপ চাইবো। আমাদের সবার পছন্দ হয়েছে বিধায় আরুকে আব্রাহাম এর বউ করে নিয়ে আসছি। যেখানে আব্রাহাম সংসার করবে। তার আরুকে পছন্দ হয়েছে। সেখানে তোমাদের তো কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।
আর মা কোথায় কোথায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু কইরো না। দেখো একটা মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে শশুড় বাড়িতে আসে, সেখানে আজ সকাল থেকে কখন পর্যন্ত তা কিছু ঘটলো তাতে আরুর ওপর বাজে একটা প্রভাব পড়বে।
আব্রাহাম এর বাবার কথার সাথে আব্রাহামের চাচা ফুফু তাল মিলিয়ে বলে,
ঠিক বলেছ ভাইয়া। আর মিমি, আগে মা কিছু হয়েছে ভুলে যা। তুই যেটা চাইছিলি সেটা আর সম্ভব না। তাই সে জের ধরে আমাদের সম্পর্ক খারাপ করার কোনো মানেই হয় না।
__________________
আব্রাহাম আরুর হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে,
আমি সরি খুব সরি, আমি ভাবতে পারি নি আমার বাড়িতে এভাবে তোমাকে অপমান করবে। আমি সবার হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। তুমি রাগ করো না প্লিজ।
তুমি তো জানোই তোমার আমার বিয়ে হয়েছে তাই দাদি ফুফু রাইমা রেগে আছে।তাই এমন বিহেভ করছে।
আব্রাহাম এর কথা শুনে আহি বলে উঠে,
আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন। আল্লাহ তোমার ভালো চাই তাই রাইমার সাথে বিয়ে না হয়ে আরু ভাবির সাথে হয়েছে।
আহির কথা শুনে, আরু ফিক করে হেসে উঠল। আরুকে হাসতে দেখে আব্রাহাম আর আহি ও হাসতে লাগল। এতক্ষণ মুখ ভার করে ছিল। আহির কথা শুনে তার মন কিছুটা ভালো হয়।
আব্রাহাম বলে ওঠে,
আরু,
হুম বলেন।
তুমি কি ওখানে মানে তুমি এখন বর্তমান মে কলেজ এ পড়ো , ওখানে পড়বা নাকি, আসি যে কলেজে পড়ছে কলেজে পড়বা।
আব্রাহামের কথা শুনে বলে ওঠে আহি,
ভাবী প্লিজ তুমি আমার সাথে এখানে ভর্তি হও। একসঙ্গে কলেজ যেতে পারবো।
আরু বলে ওঠে,
আচ্ছা ঠিক আছে তাই হলো তোমার কথায় রাখলাম।
আরুর কথা শুনে আহি ইয়াহু বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
আরুর কথা শুনে আব্রাহাম বলে ওঠে,
আচ্ছা তাহলে কাল তো তোমাদের বাসায় যাব। তাহলে কালকে সব নিয়ে আসবো কাগজপত্র।
আরু বলে ওঠে আচ্ছা ঠিক আছে।
_____________________
রাতে খাবার খাওয়ার সময় আরুর খাবার রুমে নিয়ে আসে আব্রাহাম। তখন বিছানায় শুয়ে থেকে আরু টিভি দেখছিলো। আব্রাহাম, রুমে এসে আরুর উদ্দেশ্য বলে,
তুমি নিজের হাতে খাবা নাকি আমি খাইয়ে দিব।
খাইয়ে দিলে তো ভালোই হয়। কথাটা বলেই সেই না শুয়া থেকে উঠে বসতে যাবে, রিমোট এর সাথে পা বেঁধে আবার শুয়ে পরে।
আরুর এ অবস্থা দেখে আব্রাহাম বলে ওঠে,
সাবধানে, এতো চঞ্চল কেন তুমি। আসতে আসতে উঠলে তো আর এখন পায়ে ব্যাথা পাইতা না।
কথা টা বলে আরুর পাশে বসে আরুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম। তখন রিমোট এর সাথে পা বেঁধে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। বুঝতে পারছি ভালোই পায়ে লেগেছে।
চলবে