বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ১১
তখনি যা একটা কান্ড ঘটে গেলো সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসি করতে পারতাম…….
আমার চোখের সামনে একটা ছোট্ট মেয়ে তার মায়ের পায়ে একটা ধারালো ছুরি ডুকিয়ে দিলো এটা দেখার পর নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না..
।
।
আদ্রিতাঃ আমি তো দেখে অনেকটাই ভয় পেয়েগেছিলাম মেয়েটা কেনো এমন করলো..
।
সাঈদঃ গাড়ি থেকে নিচে নেমে যখনি ওই মহিলটার কাছে যাচ্ছিলাম তখনি ছোট্ট মেয়েটা যা বললো তা শুনে আরো বেশি অবাক হয়ে গেছি..
।
।
মেয়েটাঃ এখানে আপনারা যারা আছেন নিশ্চয়ই তারা ভাবছেন আমি আমার মায়ের সাথে কেনো এমন করলাম সত্যি কথা বলতে এনি মা হওয়ার যোগ্যই নয় এই মহিলাটি আমাকে আর ভাইয়ের দ্বারা সারা দিন মানুষের কাছে ভিক্ষা করিয়ে সে টাকাটা নিজে আত্মস্বাদ করে…
।
আমার ভাইয়টা খুব ভালো ফুটবল খেলতে পারতো তাই আমার ভাইটা এ কাজ করতে চাইছিলো না বলে এক রাতে তার হাত গুলো বেধে তার চোখ গুলোকে নষ্ট করে দেয়…
এর পর থেকে সারা জীবনের মতো অন্ধ হয়ে যায় আমার ভাইটা…
সেদিন আমি সেখানে থেকেও কিছু করতে পারি নি আজ যখন সুযোগ এসেছে তখন আমি নিজের হাতেই এই মহিলটাকে খুন করবো..
।
।
কিন্ত
তার আগেই পুলিশ গুলো তাকে ধরে ফেলেছে..
।
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা মানুষ এতটা নিচে কীভাবে নামতে পারে যে একটা মানুষের সাথে এমন করতে পারে .
।
।
সাঈদঃ মানুষ টাকার জন্য নিজের সন্তান কেউ মেরে ফেলতে পারে…
।
আদ্রিতাঃ এমন মানুষের বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই..
।
সাঈদঃ হুম
এবার ভিতরে চলো..
ভিতরে যেতেই..
।
পুলিশঃ মিস আদ্রিতা আপনার উপর অভিযোগ রয়েছে যে আপনি আগে যে বাসায় থাকতেন সে বাসার মালিক আপনার কাছে ২৯ লাখ টাকা পাবে এই কথাটা কী সত্যি..
।
।
আদ্রিতাঃ হুম সত্যি কিন্তু আমার পক্ষে ওত গুলো টাকা দেওয়া সম্ভব না..
।
।
পুলিশঃ তাহলে আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে..
।
।
আদ্রিতাঃ ওরা কী আমায় জেল খানায় ডুকিয়ে দিবে আমি জেলে যেতে চাই না আমি আপনার সাথে থাকতে চাই.. বলেই ওনাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম..
।
।
সাঈদঃ দেখুন যেহেতু অভিযোগ আসছে.. আর আদ্রিতার কাছে ওত গুলো টাকা পাবে
।
সেহেতু এই টাকার মালিক কে কাল থানায় আসতে বলবেন আমি সমস্ত টাকা কালি দিয়ে দিবো…
।
।
এখন আমরা আসি…
।
।
পুলিশ গুলোঃ বা বা বড় লোক মানুষ এত গুলো টাকা একদিন পরেই দিয়ে দিবে মেয়েটার কপালটাই পুরো সোনার মতো এমন ছেলে খুজে পাওয়া ভাগ্যর বেপার লাখে এমন..একটা ছেলে খুজে পাওয়া যায়..
।
।
সাঈদঃ আচ্ছা তুমি এত ভয় পাও কীসের আমি তো আছি তোমার সাথে তাই না.
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা একটা কথা বলবো আপনি আমার জন্য এত কিছু কেনো করতেছেন এত গুলো টাকা আমি কোন দিন চোখেও দেখিনি আর আপনি কী এক কথায় টাকা গুলো দিতে রাজি হয়ে গেলেন..
।
।
সাঈদঃ টাকা গুলো দিয়ে কী হবে যদি বিপদে কাজে না লাগে আর হ্যা টাকা থাকলে যে প্রকৃত শান্তি পাওয়া যায় তা না এর জন্য দরকার হয় মনের শান্তির আর তুমি এসব বিষয়ে না ভাবলেও চলবে
।
।
তার পর সেখান থেকে বাড়ি চলে আসলাম পরে দিন সব টাকা দিয়ে দিলাম বাড়ির মালিক কে..
আজ থেকে আদ্রিতা পুরো মুক্ত
।
আজ খুব গরম করতেছে আকাশ কালো হয়ে আসছে মনে হয় বৃষ্টি হবে..
।
তারাতাড়ি বাসায় চলে এসেছি বাসায় ডুকতে অবাক হয়ে গেলাম আদ্রিতা এত সুন্দর করে সেজে বসে আছে কেনো..
।
।
সাঈদঃ কী বেপার এত সুন্দর করে সেজে বসে আছো যে..
।
আদ্রিতাঃ হুম তার একটা কারণ আছে
।
সাঈদঃ কী কারণ হুম..
।
আদ্রিতাঃ বিয়ে করবেন না আমায় আজকের এই দিনটা খুব সুন্দর দিন তাই আজি আমরা বিয়ে করবো..
।
।
সাঈদঃ সত্যি বলছো
।
আদ্রিতাঃ হুম
।
সাঈদঃ যাক অবশেষে তাহলে সেই দিন চলে এলো আমি এই গেলাম আর এই এই এলাম..
।
।
তাড়াতাড়ি রুমে এসেছে সেজে গুজে রেডি হয়ে নিলাম কী যে আনন্দ লাগতেছে বলে বুঝাতে পারবো না…
।
।
তাড়াতারি নিচে এসে..
।
সাঈদঃ তাহলে যাওয়া যাক..
।
আদ্রিতাঃ কোথায়..
।
সাঈদঃ কাজি অফিসে তার পর কাজি অফিসের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লাম সেখানেই যেতেই আমার কিছু বন্ধুকে ডেকে নিলাম সাক্ষী দেওয়ার জন্য.
।
।
যথা নিয়মে বিয়েটা হয়ে গেলো যাক আমার সব স্বপ্ন সত্যি হলো আদ্রিতা আজ থেকে আমার কেউ আমাদের মাঝে আসতে পারবে না ..
।
।
আদ্রিতাঃ সত্যি আজকের মতো আনন্দ কখনো পাই নি যখন কেউ নিজের মনের মানুষকে নিজের করে পায় তারাই বুঝতে পারে নিজের আপন মানুষকে পাওয়ার আনন্দ টা…
।
।
সাঈদঃ বন্ধুদের ট্রিট দিয়ে বাসায় ফিরতে অনেকটা রাতে হয়ে গেছে আমাদের রুমটা লাল গোলাপ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে…
।
বাইরে ঝড় উঠেছে…
।
আদ্রিতাঃ আমি বাসর ঘরে বসে আছি জানি না এই রাতটাকে কেনো এত গুরুত্ব দেওয়া হয়…
।
।
সাঈদঃ রুমের দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আদ্রিতা তোমাকে কিন্তু খুব সুন্দর লাগতেছে..
।
।
আদ্রিতাঃ যা.. আমি ওতটাও সুন্দর না.
.
।
সাঈদঃ ছাদে চলো না যাই বৃষ্টিতে ভিজতে…
আমার খুব ভালো লাগে বৃষ্টিতে ভিজতে..
।
।
আদ্রিতাঃ আমার খুব ভয় করে..
।
।
সাঈদঃ আরে আমি আছি তো..
চলো..
।
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা আপনি যখন এত করে বলছে তখন তো যেতেই হয়..
।
।
আদ্রিতাকে সাথে নিয়ে ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম…
।
এক সময় হালকা ঠান্ডায় আদ্রিতার শরীরটা কাপছিলো সাথে তার লাল টুক টুকে ঠোঁট গুলো ঠোঁট গুলো দিকে তাকালে এক অচেনা নেশায় যেনো ডুবে যাচ্ছিলাম.
।
।
তখন নিজেকে আর কন্ট্রোল এ করতে পারছিলাম না বার বার ওই মায়াবী ঠোঁট গুলোর মায়ায় ডুবে যাচ্ছিলাম আদ্রিতাকে কাছে টেনে দুজনের ঠোঁট এক সাথে করে দিলাম ডুবে গেলাম এক অজানা মায়াই,…
।
এভাবে প্রায় কয়েক মিনিট পেরিয়ে গেলো নিচে এসে কাপড় গুলো চেনজ করেই বিছানায় শুতে এসে আদ্রিতাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম..
।
।
আদ্রিতাঃ কী করছেন..
।
সাঈদঃ একটু আদর করতেছি বলেই আবার তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে একে অপরের ঠোঁটের স্বাদ নিতে থাকলাম ..
।
শুধু এটাই নয় তার পর যা হলো..
।
( এর পর যা হলো তা বলবো না ওদের বাসর ঘর যদি জানতে চান পরে কী হয়েছিলো তাহলে নিজের বাসর ঘরে গেলেই বুঝতে পারবেন কী হয়েছিলো৷..)
।
।
চলবে..