গল্প: ব্ল্যাকমেইলার চাচাতো বোন যখন বউ
লেখক:মেহেদি ইমরান
পর্ব:07
নিধি: ওই এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেন
আমি: না আমি ভাবছি তুই যদি আমার সাথে থাকিস তাহলে কোনো বিপদ আমার ধারে কাছে আসবে না।
নিধি: হুম এতোক্ষন কিছু বলে নাই এখন আসছে পাম দিতে।
আমি: তুই আমার মেঘলা আকাশের সূর্য হয়ে এসেছিলে।
তাইতো আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত রঙিন হতে চলেছে। ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি যা কখনো বলে বোঝানো যাবে না।
নিধি: আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি তুই শুধু আমার হাতটা ধরে থাকবি আর আমি সব বাধা মোকাবেলা করতে রাজি আছি।
আমি:আমি যদি অমর হতাম তাহলে কখনোই তির হাতটা ছাড়তাম না।কিন্ত আফসোস সকলকেই মৃত্যুর সাধ গ্রহন করতে হবে।
নিধি:প্লিজ ইমরান মৃত্যুর কথা বলিস না এইকথা ভাবলেই আমার বুকে চিন চিন ব্যাথা করে।
আমি আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম সাথে নিধিও এ যে পরম সুখের কেউ এখন আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
যেন দুজন মিশে আছি এক শরীরে তারপর আমরা দুজন ঘর থেকে বের হলাম।আর বড়দের মাঝখানে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলাম।
আব্বু: পরশুদিন তোদের বিয়ে ঠিক করেছি আমরা আবার তোদের বিয়ে দিবো।
আমরা শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।
রাতের বেলা আমি খাবার খেতে যাইনি তাই নিধি খাবার নিয়ে আসলো।
নিধি: কিরে খাবার টেবিলে যাস না কেন।
আমি:আমার কেমন যেন লজ্জা লা্গছে তাই যাইনি।
নিধি: কেন এমন হলো আজকে ।
আমি:আরে সেখানে গেলে বিবাহ নিয়ে কথা হবে তাই যাই নাই।
নিধি:আচ্ছা এতো লজ্জা পেতে হবে না এখন খাবার টা খেয়ে নে।
খাবার নিয়ে টেবিলে বসে পড়েছি। অর্ধেক খাওয়া হইছে তখন নিধি আমার কোলে এসে বসলো।
আমি: এই তুই কোলে বসলে আমি খাবো কেমনে ।
নিধি:না আর তুই খাইতে পারবি না এখন আমি খাবো তাও তোর হাতে।
আমি: কেন তোর হাতে কি হইছে।
নিধি:কিছু হই নাই কিন্ত তোকে খাইয়ে দিতে হবে।
আমি: আচ্ছা দিতাছি হা কর।
খাওয়া দাওয়ার পর আমি শুয়ে আছি আর ভাবতাছি সবকিছু কেমন তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো আর সব ক্রেডিট নিধির সত্যিই মেয়েটা অসাধারন।
নিধির কারনে আমার লাইফ টা এমন সুন্দর হয়েছে কিছুক্ষন পর নিধি আসলো।আচ্ছা নিধি এখন না আসলে হয় না কিছুদিন পর তো একেবারে আসবি।
নিধি: না তোরে ছাড়া আমার ঘুম আসে না।
আমি: ওহ তাই নাকি
নিধি: এই তুই আজকে লুঙ্গি পড়েছিস কেন।
আমি: কেন প্রায় সময় ই তো পড়ি
নিধিঃ না তুই আর লুঙ্গি পড়বি না।
আমি: কিন্ত কেন পড়বো না বল।
নিধি: তুই লুঙ্গি পড়লে নিজেকে সামলাতে কষ্ট হয়
আমি: মানে ।
নিধি:তুই লুঙ্গি পড়লে রাতে লুঙ্গি উপরে উঠে যায়
আর তোর রানের উপরের তিল টা দেখে নিজেকে অনেক কষ্টে সামলাতে হয়।
আমি: কিহ ?
চলবে…..