গল্পঃ#ব্ল্যাকমেইলার চাচাতো বোন যখন বউ
লেখকঃমেহেদি ইমরান
পর্বঃ০৮
নিধি: সমস্যা নাই এখন তো তুই আমার স্বামী আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো।
বলেই আমার কাছে আসতে লাগলো।
আমি: আমি একলাফ দিয়ে উঠে প্যান্ট পড়ে নিলাম । আর নিধিকে বললাম কিছু দেখছোস নাতো..
নিধি: হি হি হি ??
আর আমি বুঝে গেলাম কাম সারছে কিছু না বলে শুয়ে রইলাম আর নিধি আমার বুকে মাথা রাখলো।
নিধি:ইমরান চুমু দিয়ে জরিয়ে ধর।
আমি: পারবো না
নিধি:তোর লুঙ্গি উঠানোর কয়েকটা পিক আছে
আমি নিধির মুখে হাত দিয়ে বললাম আদর দরকার আদর নিবি এতে ব্ল্যাকমেইল করার কি আছে।
নিধি: আমি একটা হাসি দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছি আর আমাকে ও জরিয়ে ধরলো তারপর শুয়ে রইলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চাচা চাচি মানুষদের আপ্যায়ন করছে।আর আব্বু আম্মু গেছে বিয়ের জব্য যা যা দরকার তা আনতে দিনের বেলা মানুষদের সাথে কথা বলতে বলতে শেষ।
রাতে আমাদের দুজনের গায়ে হলুদ।আমাদের পাশা পাশি বসিয়ে হলুদ দেওয়া হল।সেই সময়ের নিধির দুষ্টুমির কথা নাই বললাম।তবে হলুদ শাড়িতে নিধিকে জোস লাগতাছিল।
আমি: সব জামেলা শেষ হলে হলুদ শাড়ি পড়া অবস্থায় আমার রুমে আসিস।
নিধি: কেন?
আমি:তোকে অনেক আদর করবো।
নিধি: আচ্ছা দেখা যাবে।
আমি সাথে সাথে মুখটা অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলাম।
রাতে ১ টায় জামেলা শেষ করে শুয়ে শুয়ে নিধির জন্য অপেক্ষা করতাছি।করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে উঠে দেখি নিধি আমার বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে ।
আমি: কিরে তুই কখন এলি।
নিধি:রাতে
আমি: আমারে জাগালি না কেন।
নিধি: তুই সুন্দর করে ঘুমাইতাছোস তাই জাগাই নাই।তবে তোকে আদর দিছি কিন্ত।
আমি: আমি নিধিকে জরিয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম।
আজ আমার বিয়ের দিন ।নিধিকে যখন সাজাতে নিয়ে যাবে তখন আমি নিধির কানে কানে বললাম।আজ রাতে আদর ভালো ভাবে না পাইলে কিন্ত তোর সামনে সিগারেট ধরাবো।
ওমা সে কি রাগি লুক দিছে আমি তো ভয়ে শেষ ।তাড়াতাড়ি সেখান থেকে কেটে পড়লাম।আমি জানি আজকে রাতে আমি শেষ কারন যেভাবে ক্ষেপেছে।
যখন দুজনকে একসাথে বসিয়ে কবুল বলতে বলছে তখন আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখি এখনো রেগে আছে । বিয়ে টা সম্পূর্ণ হলো।রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সবাই বসে আছে তখন আব্বু বলতাছে..
আব্বু:তোরা দুজন আলাদা থাকবি।ততদিন পর্যন্ত যতদিন ইমরান চাকরি না পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
চাচা: একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
আব্বু: যা এখন সবাই সবার রুমে যা।
আমি আইসা শুয়ে আছি আমি জানি সবাই ঘুমিয়ে গেলে নিধি আমার কাছে আসবেই।
নিধি: কিরে তোর না আদর লাগবে।
আমি:না লাগবো না।
নিধি: আর সিগারেট না খাবি বলছিলি।দাড়া তোকে আমি সিগারেট খাওয়াইতাছি
এই বলে আমার উপরে উঠে এসে শুরু করলো রোমান্টিক অত্যাচার।
নিধির ভালোবাসা যেন প্রতিদিন আমাকে নতুন এক দিন উপহার দেয়।ভেবে পায়না সে আমাকে এতো ভালোবাসে কেন।
তবে যদি আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি তাহলে তো হয়েই গেল সেদিন আমার হাল বেহাল করে দিবে।আমিও তাকে মন প্রাণ উজার করে ভালোবাসার চেস্টা করি।
চেস্টা করি বললে ভুল হবে আমিও তাকে অনেক ভালোবাসি ।এর মাঝে আমার অনার্স কমপ্লিট আর নিধি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে ।
এরি মাঝে আমি চাকরির জন্য অনেক আবেদন করছি কিন্ত কিছুই হই নাই।প্রতিদিনের মতো নিধি আজকে এসে আমার বুকে শুয়ে রইলো।
নিধি: ইমরান একটা চাকরি জোগার করনা তাড়াতাড়ি তোরে ছাড়া থাকতে ভালো লাগে না।
আমি:কেন তুই তো সব সময়ই আমার সাথেই থাকিস।
নিধি:থাকি তো পরাধীনভাবে।
আমি:মানে।.
নিধি:আরে বোকা এখন তো তোর কাছে চুরি করে আসতে হয়।যখন তুই চাকরি পাবি তখন তো একেবারে থাকতে পারবো
আমি:হয়নি তো তবে ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
নিধি:আমি না প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছি।
আমি: ও ভালো তো এখন ঘুমা।
নিধি:তাহলে আমার আদর কে আদায় করবে।
আমি:আচ্ছা দিতাছি তুই ঘুমা..
সকালে এসে আব্বু বলতাছে..
আব্বু: ইমরান চাকরি জোগাড় করার ব্যাবস্থা করবি নাকি আমার ব্যবসা সামলাবি।
আমি: না আরো কয়টা দিন যাক।
আব্বু:আচ্ছা .
তারপরে অনেকদিন কেটে গেল এরচ মাঝে নিধি ইন্টারভিউ দিয়েছে আজকে তার ফলাফল জানাবে।সকাল থেকে নিধি টেনশনে আছে পাইচারি করছে এদিক থেকে সেদিক..আমি বুঝি না এতো টেনশনের কি আছে আমাকেও তার সাথে বসিয়ে রাখছে ..
আমি: নিধি যা হবার হবে টেনশন করা বন্ধ কর।
নিধি:তুই বুঝবি না কেন এমন করি।
আমি:তাহলে আমি যাই।
নিধি:একদম নাক ফাটিয়ে দিবো আর তুই এখন আমাকে আদর করবি তাহলে টেনশন কম হবে এর আগে না
আমি:কিহ আমি পারবো না।
নিধি:তোকে পারতে হবে নাহলে আমি আগের রুপে ফিরে যাবো । তোকে কাবু করার জন্য আমার কাছে যথেস্ট প্রমান আছে।
আমি:আচ্ছা তুই এতো আদর আদর করিস কেন।
নিধি:তুই আমার কাছে থাকলে আমার এমনিতেই আদর পেতে ইচ্ছা করে কথা কম বলযা বলছি তা কর।
আমি আর কি করবো নিধিকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘাড়ের চুলগুলো সরিয়ে হালকা করে চুমু দিলাম ব্যাস হয়ে গেল তারপর নিধি মুখ ঘুরিয়ে আমার সামনে এনে যে ঠোটে কিস করতে যাবে আমি তখন পিছনে মাথা নিয়ে যায় এটা নে কিছুক্ষন করার পর আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে বুকের উপরে উঠে।
নিধি: আমার সাথে মজা করছো কেন আজকে তো একটা কামর দিবো তোর ঠোটে।
আমি:না নিধি না তুই এটা করতে পারিস না ।কে শুনে কার কথা কামর দিয়ে ধরছে আমি চিৎকার দিচ্ছি কিন্ত আওয়াজ বের হচ্ছে না নিধি আমার মুখের সাথে ওর মুখ লাগিয়ে রাখছে আমার চোখ দিয়ে আপনা আপনি পানি বেয়ে পড়ছে নিধি তারপর ছেড়ে দেয় দেখে আমার চোখে পানি।
নিধি: কিরে তোরকি বেশি লাগছে
আমি নিধিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে আস্তে করে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়েছি।
নিধি: ধুর আমি সবসময় বেশি করে ফেলি ইমরান আমার সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে।এরি মাঝে আমি জানতে পারি মি সিলেক্ট হয়ে গেছি।সেইদিকে আমার খেয়াল নাই আমার এখন চিন্তা কিভাবে ইমরানের রাগ ভাঙাবো।
আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফার্মেসিতে ঠোটের ঔষধ লাগিয়ে চলে গেলাম এক বন্ধুর বাড়িতে।সেখানে তারে নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।মোবাইল সাথে নাই হয়তো সবাই চিন্তা করতাছে তাই বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে।নিধি আমাকে ফোন দিতে না পাড়ায় আমার রুমে এসে মন খারাপ করে শুয়ে রইছে। আমি বাড়ির বেল বাজানোর পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো।
ম্মু: কিরে এতোক্ষন কই ছিলি সারাক্ষন তোকে দেখলাম না যে…
আমি:এই বন্ধুদের সাথে ছিলাম।
আম্মুঃ বন্ধুদের সাথে না থেকে চাকরি বাকরি খোজ এতোগুলো ইন্টারভিউ দিলি একটাটেউ টিকতে পারিস নাই।
আমি: মা আবার শুরু করে দিলে.
আম্মু:তো কি করবো নিধি একটাই আবেদন দিছে আর সেটাতেই টিকে গেছে ওরে দেখে কিছু শিখ।
আমি: কি নিধির চাকরি হয়ে গেছে
আম্মু: হুম।আর তোর সাথে কি নিধির কিছু হয়েছে নাকি।
আমি: কই নাতো কিছু হয়নি
আম্মু : তাহলে তোর রুমে মন মরা হয়ে শুয়ে আছে কেন।
জানি না আচ্ছা আমি যাই আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম রুমে।দেখি নিধি এখনো ঘুমিয়ে ।আমি আস্তে করে নিধির কপালে চুমু দিয়ে নিধির মাথাটা আমার বুকে রেখে আমিও শুয়ে রইলাম দেখি নিধি কি করে ।নিধি ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মাথা আমার বুকে তারপর আস্তে করে পুরো শরীর আমার উপর দিয়ে কপালে গালে চুমু দিতে থাকে তারপর শক্ত করে জরিয়ে ধরে কিরে তুই আমাকে এতো জুরে জরিয়ে ধরলি কেন ছাড় আমাকে।
নিধি: আগে বল সকালের ঘটনার জন্য আমাকে মাফ করে দিয়েছিস তা না হলে
আমি: না হলে কি
নিধি:এমন জায়গায় মারবো জিবনেও বাবা ডাক শুনতে পারবি না ।
আমি:কিহ..তাহলে তুইও মা ডাক শুনতে পারবি না
নিধি:বেশি কথা না বলে বল মাফকরে দিয়েছি।
আমি:তুই কি আসলেই মাফ চাইতেছিস নাকি থ্রেট দিয়ে মাফ চাইয়ে নিতেছিস কোনটা।
নিধি: তোর যেটা মন চায় সেটাই বল
আমি: করছি করছি তোরে মাফ করছি।
নিধি:এভাবে হবে না বাবু।
আমি: তাহলে
নিধি:একটা লং কিস দিতে হবে।
আমি:আচ্ছা তুই নাকি চাকরি পেয়েছিস(কথা ঘোরানোর জন্য বললাম)
নিধি:হুম। আর তুই কিন্ত কথা ঘোরানোর চেস্টা করতাছিস
আমি: অভিনন্দন চাচাতো বউ ??…….কোন কথা.
নিধি:এইযে লং কিসের কথা ।
আমি:না আমি পারবো না তুই যদি আবার কামর দিস।
চলবে…….