#গল্পঃ_ভিলেন
লেখিকাঃ আদিবা ইসলাম আঁখি
পর্বঃ ১০
——————–★★————————
শুভ: তুই চাইলে বিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হবে ,,,,,
তুষার: শুভ তুই কখন আসছিস,,,,
শুভ: এই তো,,,, নার্স কল দিয়ে বললো একটা মেয়ে আসছে তোর সাথে দেখা করতে কিন্তুু বুঝতে পারিনি কে আসতে পারে ( আমার দিকে তাকিয়ে)
তুষার: ভালো করেছিস…ভিতরে আয়,,,,
শুভ: হুমমম,,,,
তুষার: এই তো মন-জোনাকি কে আমাদের বিয়ের কথা বলছিলাম,,,,
শুভ: তুই এসব নিয়ে একদম টেনশন করিস না আমি আর নদী আছি তো সব সামলে নিবো কেমন,,,,,
তুষার: হুমমম থ্যাংকস বন্ধু,,,,
শুভ: আবার থ্যাংকস,,,,
তুষার: ওকে ওকে সরি,,,,
শুভ: আচ্ছা তুই এখন রেস্ট নি কেমন আদিবা এসো,,,
শুভ আমার হাতটা ধরে বাইরে নিয়ে আসতেই হাতটা ঝ্যাংটা দিয়ে ছাড়িয়ে নিলাম,,,,,
আমি: আমি আপনার কোন সম্পতি নয় যে যখন যে ভাবে খুশি চালিয়ে নিবেন,,,,আপনার কি একটুও কমন সেন্স নেই আমি আপনার বিয়ে করা বউ,,,,
শুভ: বউ ছিলেন বাট বেশি দিন থাকবেন না,,,,
আমি: মানে,,,,( কপাল ভাঁজ করে)
শুভ: অত বুঝতে হবে না,,,, ভেবে ছিলাম এত কিছুর পর তুষার আপনাকে ঘৃনা করবে বাট সেম ভাবে এখন ভালোবাসে আপনায় এতে আপনার ভাগ্য ভালো শাস্তি পাওয়া থেকে বেঁচে গেলেন কিন্তুু আপনি তুষারকে বিয়ে করবেন এটাই শাস্তি…..
আমি: বাহহহ বাহহ ( হাতে তুরি মেরে)
শুভ আমার দিকে ক্রুচকে তাকালো,,,,
আমি: যখন ইচ্ছে হবে বিয়ে করবেন আবার যখন ইচ্ছে হবে অন্য কারো হাতে তুলে দিবেন হবেন!!.না আমি আপনার সম্পতি নয়,,,,,
শুভ: এইইইই ,,,,,,,
শুভ আমার উপর চর তুলতেই হঠাৎ কেউ একজন হাতটা ধরলো,,,
শুভ: নদী তুই,,,,
নদী: হুমম,,,কি করছিস,,, এটা পাবলিক প্লাস
শুভ: কিন্তুু এই মেয়ে,,,
নদী: শান্ত হহ আমি দেখছি,,,
আমি: কি দেখবেন,,,,,আমি উনার বউ আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না,,,,
শুভ: কিছের বউ নদী ওরে সামলা,,,,( রেগে)
নদী: শান্ত হহ,,,আদিবা শুনো আমার কথা,,,
আমি: কি শুনবো বলবেন একটু,,,,
নদী: দেখো শুভ তোমায় দুটো কারনে বিয়ে করেছে,,,,ফাস্ট তোমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আর সেকেন্ড যখন তোমার সাথে ওর বিয়ে হবে তখন তোমার সম্পূর্ন ভার শুভর হবে আর তখনি তুষার সাথে তোমায় বিয়ে দিবে,,,,,,কারন তোমার বাবা তুষারকে কখন পছন্দ করতেন না।
আমি নদী কথা শুনে পাশের সিটে বসে পড়লাম,,,,,
আমি: হে আল্লাহ কেনো এমন পরিস্থিতে আমায় ফেললে!! সোহম হাত থেকে রক্ষা করে তুমি আমায় এ কোন বিপদের দিকে ঝুঁকে দিলে ( মনে মনে)
নদী: আদিবা শুনছো প্লিজ একটু বোঝার চেস্টা করো তুষার তোমাকে ছাড়া বাঁচবে না,,,,
আমি: আর আমি উনাকে ( শুভর দিকে তাকিয়ে থেমে গেলাম),,,,,
নদী: কিহহ,,,,
শুভ: নদী তুই তুষার কাছে যা আমি কি করে একে সামলাতে হয় জানা আছে,,,,
নদী: শুভ প্লিজজ,,,
শুভ: তুই চুপপ থাকবি একদম,,,
___শুভ আমার হাত ধরে সোঁজা বাইরে এনে গাড়িতে বসিয়ে দিলো,,,
একটু পর আমাদের বাসার সামনে এনে দাঁড় করালো,,,
আমি: আমরা এখানে কেনো,,,
শুভ: আয়,,,
আমি: প্লিজজ শুভ,,,,,
বাসায় ভিতরে ডুকতেই আমাদের দেখে সবাই আবাক,,,,
আব্বু: তোমরা এখন শুভ কোন সমস্যা,,,,
শুভ: হ্যাঁ আপনার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে আসছি,,,,
শুভর মুখে এমন কথা শুনে সবার মুখ কালো হয়ে গেলো বিষেশ্য করে আব্বুর,,,,,তাড়াতাড়ি করে শুভর হাতটা চেপে ধরে অসহায় ভাবে তাকালাম,,,,,
আমি: প্লিজজজ,,,,, ( দুচোখে পানি টল মল করছে)
হঠাৎ শুভ হেসে উঠলো,,,,,আমি শুভর দিকে আবাক হয়ে তাকালাম
শুভ: সরি সরি একটু মজা করলাম,,,,আপনাদের মেয়ে আপনাদের খুব মিস করছিলো তাই চলে আসলাম কি বলেন,,
আমি: হ্যাঁ আব্বু,,
আব্বু: ওহহহ তাই বলো,,,,( বুকে হাত দিয়ে)
আম্মু: একটুর জন্য দেহ থেকে প্রানটা বের হলো না,,,
আহিরা: জিজু এমন মজা করা ঠিক না আব্বুর হার্টের প্রবলেম,,,,,
শুভ: সরি শালিকা,,,,
আহিরা: ওকে,,,,এসো না ভিতরে,,,
আব্বু: এসো বাবা,,,,
শুভ: চলেন,,,
আমি: হুমমম,,,,,
সবাই মিলে আড্ডা দিতে বসলো শুভ সবার সাথে হাসি মুখে গল্প করতো লাগলো আমি মাথাটা দেওয়ালে ঠেকে চোখ বন্ধ করে নিতেই চোখ দিয়ে অঝড় পানি ঝড়তে লাগলো,,,,,
আমি: কি করবো আমি এখন,,,,এ কোন দোটানায় পড়লাম,,,এদিকে ভালোবাসা অন্য দিকে মা কে দেওয়া প্রমিজ এই দিকে পরিবারের হাসি কি করবো আমি তুমি বলে দাও খুদা ( হাত জোর করে)
একটু পর সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম,,,,বাসায় ডুকতেই বাবা ডাক দিলো,,,,
বাবা: বউমা কোথায় গেছিলা,,,
আমি: বাবা আসলে
শুভ: আদিবা কে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়ছিলাম,,,
মা: বাহহ খুব ভালো করেছিলি!! মেয়েটার মুখটা শুকনো ছিলো… একটু বাইরে দিয়ে ঘুরে আসলো মনটা ভালো হয়ে গেলো,,,
আমি: হ্যাঁ মা ( মুচকি হেসে)
বাবা: ভালো করেছো….
আমি: হুমমম,,,,
রাতে রুমের বেলকুনিতে বসে বাইর দিকে তাকিয়ে আছি হঠাৎ শুভ রুমে আসলো,,,,,
শুভ: তো কি ডিসিশন নেওয়া হলো,,,,
আমি: নিশ্চপপ,,,,
শুভ: ও হ্যালো,,,,
আমি: ওহহ হ্যাঁ কি বললেন,,,,( তাড়াহুরু করে দাড়িয়ে)
শুভ: বলছি কি ভাবলেন,,,,
হঠাৎ শুভকে আষ্টে পৃষ্টে জোরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম শুভ বেশ চমকে উঠলো,,,,
আমি: শুভ প্লিজ এভাবে আমায় দুরে সরিয়ে দিবেন না আমি আপনাকে বড্ড ভালোবাসি আমি আপনাকে ছাড়া অন্য কাউকে স্মামী হিসেবে মানতে পারবো না প্লিজজজ শুভ আমি শুধু আপনাকে চাই,,,,,( কাঁদতে কাঁদতে)
শুভ আমায় সরিয়ে দিয়ে ঠাসস করে গালে চর বনিয়ে দিলো,,,
শুভ: কিহহ পাগলের মতো বকছিস!! দুদিনে তোর আমার প্রতি ভালোবাসা জন্মে গেলো বাহহ আর ওই ছেলেটা যে তোর জন্য ৪/৫ বছর নিজের অনেক কিছু হারালো সেটা তোর কাছে কোন মূল্য নেই,,,,,
আমি: আমি এটা একবারও বলিনি কিন্তুু আমি আপনাকে ভালোবাসি
শুভ: আমি বাসি না,,,, আমি তোকে ঘৃনা করি,,,আর হ্যাঁ তোর এখন দুটো পথ খোলা এক তুষারকে বিয়ে করা” তুই যদি তুষারকে বিয়ে করিস আমি সব মেনেচ করে নিবো” বাট যদি না করিস তাহলে তোর আব্বু আম্মু কি হবে তুই সেটা আন্দাজ করতে পারছিস নিশ্চয়,,,
আমি: আমি সব বুঝতে পারছি কিন্তুু শুভ আমায় একবার বোঝার চেষ্টা করেন
শুভ: সময় কম এতো কাহিনী আমি শুনবো তুষার সুস্থ হলেই বিয়ে ব্যবস্থা করবো আর হ্যাঁ কাল আমরা উকিলের কাছে যাবো ডিবোর্স পেপার রেডি করতে,,,,,কথাটা যেনো মাথায় থাকে,,,,,
আমি: শুভ প্লিজজ একবার শুনে,,,,
শুভর হাত ধরে অকুতি মিনতি করে বলতে লাগলাম শুভ আমার সরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো আমি ফ্লোরে বসে হাউ-মাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলাম,,,,
আমি: শুভ আমি আপনায় বড্ড ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি !!! আমি আপনাকে ছাড়া অন্য কাউে স্বামী হিসেবে মানতে পারবো না তার থেকে যেনো আমার মৃত্যুই হয়….!
কাঁদতো কাঁদতে ফ্লোরে সুয়ে পড়লাম,,,,
আমি: না ( নাক টেনে ) আমি আপনাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না আর আমার পরিবারে কিছু হক আমি সেটাও চাই না তার থেকে বরন আমি নিজে,,,,,
ফ্লোর থেকে উঠে চোখের পানি মুছতে মুছতে দৌড়ে আলমারি থেকে ওরনা বের করে সেলিংফ্যান সাথে বেঁধে নিলাম,,,,,,,
( চলবে)