#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_15
.
.
.
২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে আবিরকে বেডে সিপ্ট করা হয়েছে কিন্তু আবিরের এখনও জ্ঞান ফিরে নি….. কিন্তু আবিরের শ্বাস চলছে আর ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে যদি ৪৮ ঘন্টার পরেও যদি জ্ঞান না পারে তাহলে আবির হয়তো কোমায় চলে যাবে…..
তিশা আবিরের পাশে বসে আবিরের দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে….. তিশার চোখের পানি ফুটাফুটা হয়ে আবিরের হাতের উপর পড়ছে…..
তিশা : আইএম সরি….. প্লিজ আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন….. আমি জানি আপনাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি প্রত্যেকবার আপনাকে আমি আপমান করেছি যখনেই আপনি ভালোবাসার কথা বলতে আমাকে…….. প্লিজ আপনি ফিরে আসুন প্লিজ ফিরে আসুন আপনাকে এভাবে শুয়ে থাকতে একদম বানায় না একদম না……
এমন সময় নার্স আসে…..
নার্স : আপনি এবার বাইরে আসুন রোগীর কাছে এতক্ষন আপনি থাকতে পারবেন না তাতে রোগীর প্রবলেম হতে পারে….
তিশা : হুম আসছি……
তিশা চলে যাবে এমন সময় আবির তিশার হাতের আঙ্গুল ধরে ফেলে তিশা সাথে সাথে আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে……
তিশা : আপনি আপনি ঠিক আছেন তো….
আবির মাথায় নাড়ায়…
তিশা : আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া যে আপনি ঠিক হয়ে গেছেন…..
আবির আস্তে আস্তে কথা বলে….
আবির : তোমার চোখ মুখের এমন অবস্থা কেন??? সারারাত কি ঘুমাও নি আমার টেনশনে ভেবেছিলে আমি মারা যাবো তাই না…. আরে এত সহজে আমি মরবো না বুঝলে যতক্ষন না তুমি আমাকে ভালোবাসার কথা বলছো ততদিন আমি বেচে থাকবোই…..আর তোমাকে ভালোবার কথা বলে জ্বালিয়ে যাবো বুঝলে…. আচ্ছা বাই দ্যা ওয়ে তুমি কি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছো নাকি…..
তিশা : কি??? আপনাকে আমি কেন আমি আপনাকে ভালোবাসবো শুনি???
আবির : ভালোবাসার তো অনেক কারন থাকতে পারে এই যেমন ধরো…..
তিশা : শুনুন আপনি এখনও অসুস্থ তাই প্লিজ বেশি কথা বলবেন না প্লিজ আমি ডাক্টরকে ডেকে দিছি…..
আবির : পালিয়ে যাচ্ছো….
তিশা : আমি আমি কেন পালাবো???
আবির : সেটা তুমি খুব ভালো করেই জানো……
তিশা আর কিছু না বলে কেবিন থেকে বেরিয়ে গিয়ে সবাইকে জানায় আবিরের জ্ঞান ফিরেছে….
আর এদিকে…..
রবিন দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল কিন্তু তখনেই গার্ডরা ওকে এর আগেই ধরে ফেলে….. রবিনকে চেয়ারের সাথে হাত পা বেধে রাখা হয়েছে….. নিরব একটা লাঠি নিয়েই মারতে শুরু করে রবিনকে….. নিরবের রাগে সারা শরীর কাপছে রবিনকে ইচ্ছে করছে এখনেই মেরে ফেলতে রাগে হাত পায়ের রগগুলো ফুলে গেছে চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে…….
নিরব রবিনের সামনে অন্য একটা চেয়ারে বসে আছে…… নিরব একজনকে ইশারা করতেই রবিনের গায়ে পানি টালে রবিন মিটিমিটি করে তাকিয়ে দেখে ওর হাত পা বাধা…… রবিন ছুটার খুব চেষ্টা করে……
নিরব : কিরে ঘুম তাহলে ভাঙ্গল তর……
রবিন : আমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে…… আমি তো এয়ারপোর্টে ছিলাম আর তখন কেউ আমার মাথায় আঘাত করে…..
নিরব : তুই কি ভেবেছিলি তুই এই দেশ থেকে পালিয়ে যাবি এত সহজে তো তুই পালাতে পারবি না আর তর সাহস কি করে হলো আমার ভাইকে গুলি করার বল??? ( দাতে দাত চেপে)
রবিন : দেখ নিরব আমি তর ভাইকে গুলি করতে বলেনি…… তিশার বাবাকে আমি গুলি করতে বলেছি যখন গুলি করার আদেশ করি তখনেই আবির কোথা থেকে চলে আসে ইকবাল ইসলামের সামনে আর ওর গায়ে গুলিটা গিয়ে লেগে পড়ে….. আর যখন আমি জানতে পারি গুলিটা আবিরের গায়ে লাগে তখন আমি আবার গুলি করার আর্ডার করি যাতে আবির মারা যায়…..
নিরব : এখন যদি আমি তকে গুলি করি তাহলে……
রবিন : দেখ নিরব আমি তো শুধু নিজেে আপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমনটা করেছি…….
নিরব : শালা কু*র বাচ্চা তর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তুই একজনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবি….. ( মারতে মারতে) এবার আমি তকেই পৃথিবী থেকেই সারাজীবনের জন্য সরিয়ে দিবো…… সোহেল আমার পিস্তল দাও
সোহেল : কিহ???কিন্তু স্যার যদি জানে তাহলে…..
নিরব : ভাইয়া জানবে না এই কথাটা আমি জানি আমি আমার ভাইকে আর জীবিত দেখতে পাবো না আমার ভাইয়া যদি এই সুন্দর পৃথিবীতে না থাকে তাহলে এই হারামিটাও থাকবে না……
রবিন : নিরব তুই এমন করবি না তাহলে কিন্তু এর ফল ভালো হবে না বলে দিলাম…….
নিরব : আমার পিস্তল দাও সোহেল….. আর তুই এবাত বুঝবি যে গুলি খাওয়ার পর কেমন অনুভতি হয়….
সোহেল : হুম……
সোহেল নিরবের হাতে পিস্তলটা এগিয়ে দেয়….. নিরব পিস্তলটা নিয়ে রবিনের মাথার উপর তাক করে……..
রবিনের তো ভয়ে মাথা থেকে ঘাম ভেয়ে পড়ছে…… রবিন ভয়ে দু চোখ বন্ধ করে ফেলে…..
নিরব গুলি করতে যাবে এমন সময় নিরবের ফোনটা বেজে ওঠে….. নিরব গানটা রবিনের মাথা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে…. রবিন হাফ ছেড়ে বাচে নিরব ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে তিশা ফোন করেছে.
নিরব ফোনটা পিক করে…….
নিরব : হ্যালো…….
তিশা :_____
নিরব : কি??? ভাইয়ার জ্ঞান ফিরেছে আমি এখনেই আসছি……
নিরব রবিনের দিকে ঝুকে বলে……
নিরব : এবারের মতো তুই বেচে গেলি তর ভ্যাগ্য খুব ভালো…. কিন্তু পরের বার তুই বাচবি না হারামির বাচা……. ওকে ঘরে আটকে রাখো ঘর থেকে যেন ও কোনো ভাবেই বের হতে না পারে যদি বের হয় তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে তোমাদের সকলের সাথে……..
নিরব আর সোহেল তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে যায় নিরব হাপাতালে গিয়ে সোজা আবিরের কাছে যায়…..
নিরব : ভাইয়া তুমি কেমন আছো এখন???
আবির এতক্ষন চোখ বন্ধ করে ছিলো নিরবের কথা শুনে চোখ খুলে তাকায়……
আবির : কোথায় ছিলি এতক্ষন???
নিরব : একটু কাজ ছিলো…..
আবির : কি কাজ????
নিরব : তেমন কিছু না……
আবির : নিরব আমি তকে খুব ভালো করেই চিনি তাই এত ক্ষন কোথায় ছিলি সেটা বল???
নিরব আবিরকে সবটা খুলে বলে রবিন কি কি করেছে????
আবির : তার মানে আমার সন্দেহটাই ঠিক ওই সবকিছু করিয়েছে…..
নিরব : হে ভাইয়া ওই সব কিছু করিয়েছে……
আবির : ঠিক ওকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো…..
নিরব : ভাইয়া তুমি এখন ঠিক আছো তো কোন কষ্ট হচ্ছে না তো তোমার…..
আবির : আমি একদম ঠিক আছি……. আমাকে নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না তদের……. তুই বাইরে গিয়ে সবাইকে নিয়ে কিছু খাবার খেয়ে নে জানি এই দুই দিনে একটু পানি পর্যন্ত খাস নি……
নিরব : ঠিক আছে ভাইয়া তুমি সাবধানে থেকো…….
নিরব বাইরে গিয়ে সবাইকে নিয়ে কিছু খেয়ে নেয়……
#চলবে