#শ্রাবন_মেঘের_বর্ষন🍁
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম
#পর্ব:০১
——“তুই যদি ভেবে থাকিস শাড়ি পড়ে আমার সামনে আসলেই আমি ইমপ্রেস হয়ে তোকে আই লাভ ইউ বলবো তাহলে তুই ভুল ভাবছিস “নাফিয়া”….
“একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কথাটা বলে উঠল তিহান ভাইয়া আমাকে’!!আর ওনার কথা শুনে আমি হতাশ হয়ে বললামঃ
——–“কেনো ইমপ্রেস হবে না তুমি, লআমি তোমায় ভালোবাসি তিহান ভাই…
“আর কিছু বলার আগেই ঠাসস করে গালে থাপ্পড় দিয়ে দিলো তিহান ভাইয়া’!!আর ওনার কাজে হা হয়ে গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে রইলাম আমি’!!তিহান ভাইয়া রেগে বলে উঠলঃ
——-”তোকে যদি আর একদিন আমার ধারে কাছে দেখছি তো তোর একদিন কি আমার একদিন….
“বলেই হন হন করে হেঁটে রুম থেকে বেরিয়ে গেল তিহান ভাইয়া’!!আর আমি ইনোসেন্ট মার্কা লুক নিয়ে গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!এই নিয়ে দশবার প্রপোজ করেছি আমি তিহান ভাইয়াকে আর প্রত্যেক বারই তিহান ভাইয়া আমায় রিজেক্ট করে দিয়েছে’!!সেই প্রথম দিন দেখার পর থেকেই ভালোবাসি আমি তাকে’!!কিন্তু শালায় আমার ভালোবাসা বুঝতেই চায় না’!!গালে হাত দিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
——–“শয়তান পোলা তোর কপালে ভালো মেয়ে জুটবে না হুহ,আমার মতো ইনোসেন্ট মেয়েডারে মারলি তো….
“এমন সময় রুমে প্রবেশ করল মাই বেস্টু রাএী’!!তিহানের বোন’ ওহ এসে বললো আমায়ঃ
——–“কি রে তোকে দেখে কি বললো ভাইয়া….
———“তোর মাথা কইছে আমারে থাপ্পড় মেরে চলে গেল….
“আমার কথা শুনে রাএী হাসতে হাসতে বলে উঠলঃ
———“আবারো মারছে….
———“শয়তান মাইয়া একদম হাসবি না এই সব তোর জন্য হয়েছে….?
——–“আ, আমি কি করছি….
——–“তুই কি করছোস মানে, তুই তো বললি শাড়ি পড়ে তিহান ভাইয়ার সামনে আসলে ভাইয়া আমার প্রপোজ একসেপ্ট করে নিবে….
——–“সিনেমাই তো এমনটাই হয় তাই তো….
——-“আবার তুই সিনেমা দেখে আমায় আইডিয়া দিয়েছিস,দাঁড়া আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন……
“বলেই দৌড় লাগালাম আমি রাএীর পিছনে’!!আর রাএী আমার কাজ দেখে ভয়ে বলে উঠলঃ
——–“ওরে বাবা…
“তারপর সেও দিল দৌড়’!!
“বর্তমানে আমি ওর পিছনে আর ও আমার সামনে….
[এখন যতক্ষণ ওরা ছুটাছুটি করছে ততক্ষণ আমরা পরিচয় পর্ব শুরু করি’!!গল্পের হিরোইন নাফিয়া অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাএী’!!আর হিরো তিহান অর্নাস লাস্ট ইয়ারের ছাএ’!!তবে মজার বিষয় যেটা সেটা হলো তিহান নাফিয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড রাএীর ভাই ওরা একই ভার্সিটিতে পড়ে’!!প্রথম দিন নাফিয়া তিহানকে দেখেই ভালোবেসে ফেলে যাকে বলে প্রথম দেখায় ভালোবাসা’!!নাফিয়া বেশ কয়েকবারই প্রপোজ করেছে তিহানকে’!!কিন্তু তিহান প্রত্যেক বারই রিজেক্ট করেছে তাকে’!!তবে সেটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন খারাপ জন্মায় নি নাফিয়ার’!!বাকিটা গল্পের মাধ্যমে জানানো হবে]
||
“এদিকে নাফিয়া আর রাএী দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে থামলো একদম তিহানের সামনে’!!তিহান ওদের এইভাবে দৌড়াতে দেখে বলে উঠলঃ
——-“কি হলো তোরা বাঁদরের মতো লাফাচ্ছিস কেন?
——–“না তেমন কিছু নয় ভাইয়া(রাএী)
——–“তোর কি খেয়েদেয়ে কোনো কাজ নেই সারাদিন শুধু এই ড্রামা কুইন এর সাথে ঘোরাঘুরি করিস….
“মুহূর্তেই মেজাজ বিগড়ে গেল আমার’!!ফট করে বলে উঠলাম আমিঃ
——–“আপনি আমায় ড্রামা কুইন বললেন ভাইয়া…
——–“বেশ করেছি বলেছি সারাদিন বাংলা সিনেমার মতো ড্রামা দেখালে তো বলতেই হবে আর এমনিতেও ওদের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না আমি……
“বলেই খাবারের প্লেট হাতে নিয়েই নিজের রুমে দিকে এগিয়ে গেল সে’!!আর রাএী নাফিয়া কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল তিহানের যাওয়ার পানে’!!এদিকে আমি রেগে বলে উঠলামঃ
———“আবার অপমান করলো আমায়….
———“না বোইন অপমান কোথায় করলো…(রাএী)
———“তুই তো কথাই বলিস না প্রথমে তোর জন্য থাপ্পড় খেলাম তারপর এখন আবার কথা শুনলাম তোকে তো আমি…
“বলেই আবারো দৌড় লাগালাম আমি’!!তারপর রাএীর রুমে ঢুকে উড়াধুরা মারামারি শুরু….
“আধ ঘন্টা পর….
——–“হইছে হইছে আর মারিস না বোইন এখন থাম….
——–“না থামবো না তোর জন্য আজকে কথা শুনতে হলো আমার…
——–“আর এমনি তে যে শুনিস তার বেলা…
——–“হু তোর সাথে কথা বলে আমার এনার্জি নষ্ট করতে চাই না তুই থাক আমি বাসায় যাই, এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে আর দেরি হলে আম্মু বকবে….
——–“ঠিক আছে যা কালকে আবার অন্য কিছু ট্রাই করবো ঠিক আছে…
——–“তুই তো আর কথাই বলিস না শয়তান মাইয়া….
“বলেই ওর গায়ের উপর একটা বাতিশ মেরে’!!আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ঠিক করে বেরিয়ে আসলাম আমি রুম থেকে’!!নাফিয়া রুম থেকে বের হতেই রাএী বলে উঠলঃ
——“টাটা বোইন কাল আবার দেখা হবে….
“বিনিময়ে আর উওর দিল না নাফিয়া’!!
____________________
“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছি আমি আর তিহানের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছি’!!হর্ঠাৎ কোনো কিছুর সাথে লেগে পা পিছলে পড়ে যেতে নিলাম আমি’!!
সাথে সাথে কেউ এসে কোমড় জড়িয়ে ধরল আমার’!!ভয়ে দু-চোখ বন্ধ করে নিলাম আমি’!!
“কিছুক্ষণ পর….
——–“ড্রামা করা শেষ হয়ে গেলে চোখ খুলতে পারিস….
“হর্ঠাৎই কারো কর্কশ কন্ঠ শুনে চোখ খুলে তাকালাম আমি’!!সামনেই তিহান ভাইয়াকে দেখে অবাক হবো না খুশি হবো ভুলে গেছি আমি’!!আমার ভাবনার মাঝে আবারো বলে উঠল তিহান ভাইয়াঃ
——–“ঠিক মতো হাঁটতে পারে না আবার আসছে আমার সাথে প্রেম করতে….(নাফিয়াকে ছেড়ে দিয়ে)
“তারপর আমার মাথায় একটা চাটি মেরে বললোঃ
——–“আগে ভালো মতো হাঁটতে তো শিখ…
“বলেই চলে গেলেন উনি’!!আর আমি রেগে আগুন’!!
——–“এই ছেলেটা পেয়েছে টা কি যখন তখন শুধু অপমান করে,,আমারও একদিন সুযোগ আসবে সেদিন আমিও দেখিয়ে দিবো এই নাফিয়া কি জিনিস হুহ…
“কিন্তু বুঝলাম না শাড়ি পড়ে দৌড়ালাম তখন পড়লাম না আর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই পড়ে গেলাম’!!আশ্চর্য তো!!
”হর্ঠাৎই সিঁড়ি উপর চোখ গেল আমার’!!কেউ কলার ছোলা খেয়ে ফেলে রেখেছে সিঁড়ি উপর’!!
——–“এঁরা কেমন মানুষরে বাবা কলার ছোলা সিঁড়ি উপর রেখে গেছে তিহান ভাইয়া না থাকলে এতক্ষণে আমার কোমড়টা তো ভেঙেই যেতে মনে হয়..
“এমন হাজারো বক বক করে আবারো হাঁটতে শুরু করলাম আমি’!!
.
.
“অন্যদিকে সিঁড়ি উপর আরেকজন কিছু একটা ভেবে হাসতে হাসতে শেষ’!!হাসতে হাসতেই চলে গেল সে তার রুমে….
||
“একরাশ বিরক্ত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি রাস্তায় কারন একটাও রিকশা পাচ্ছি না’!!আজকে কি সব রিকশাওয়ালারা ঘরে বসে আলুভর্তা বানাচ্ছে নাকি’!!এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল একটা রিকশা’!!আমি তাকে দেখেই বলে উঠলামঃ
——–“মামা যাবেন….
——-“হ যামু…
——–“ঠিক আছে যান সাবধানে যাইয়েন কিন্তু…
“আমার কথা শুনে রিকশাওয়ালা হা হয়ে তাকিয়ে রইল’!!ওনাকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলে উঠলাম আমিঃ
——–“ওইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আপনারে একলা যেতে বলছি নাকি আমারে নিয়া যাইবেন….
“বলেই লাফ মেরে রিকশায় উঠে পরলাম আমি’!!তারপর ফড়ফড় করে বলে উঠলামঃ
——–“চলুন চলুন চলুন…
———“আরে কোথায় যাইবেন সেটা তো বলবেন….
——–“সামনে যামু সামনে…
“তারপর তাড়াতাড়ি রিকশা করে যেতে লাগলাম আমি নিজের বাড়িতে……
__________________________________________
______________________
“তুমুল বেগে কলিং বেল টিপছি আমি’!!রাগে পুরো আগুন হয়ে আছি আমি’!!কলিং বাজতেই আম্মাজান এসে দরজা খুলে দিল’!!দরজা খুলতেই হন হন করে রুমে ঢুকে পরলাম আমি’!!তারপর কোনো কিছু বলেই নিজের রুমে ঢুকে! দরজা বন্ধ করে দিলাম’!!
“এদিকে নাফিয়ার আম্মু নাফিয়ার কাজে অবাক’!!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!]