তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-১৬+১৭

0
3013

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১৬

..বাড়ির ড্রইং রুমে দাঁড়িয়ে সবাই হা করে সামনে চলতে থাকা দৃশ্য দেখছে। সাঁঝ সিঁড়ি থেকে নেমে বেলার পাশে এসে বসে বেলার দিকে একবার ইশারা জিজ্ঞেস করে কিন্তু কোনো সদুত্তর না পেয়ে আবারো সামনে তাকায়।
.
.ওম এখনও ধরে আছে জাকিয়া বলে মেয়েটা কে। এদিকে বেদ নিশান রুহি সারা ও ওদের চারদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ওদের দিকে একটু ঝুঁকে ওদের লক্ষ করতে থাকে। কিন্তু একি ওরা তো পুরো পুতুল হয়ে গেছে। সাঁঝ এর গলা খাকারি দিতেই ওম এর ঘোর কেটে যায়। আসে পাশে তাকাতে দেখে সব কোটা ভ্রু কুঁচকে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এদিকে ওম এর ঘোর কেটে গেলেও জাকিয়া এখনও তার দিকে ড্যাবডেবিয়ে তাকিয়ে আছে। ওম ওকে তুলে সোজা করে দাঁড় করিয়ে দেয়। আর তার পরেই শুরু হয় লাফালাফি।
.
–” ওহ মাই গড ওম আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। জাকিয়া লাফিয়ে বলে উঠে।
.
. সবাই এখন প্রশ্ন সূচক চোখে ওম এর দিকে তাকিয়ে আছে।
.
–” ইয়ার সারা আমাকে আগে কেনো বলিস নি যে ওম আমাদের বাড়িতে আছে। হায়ে। বলেই সারার গায়ে হেলান দেয় জাকিয়া।
.
–“ওম! কি রে কি চলে হুম। বেলা গম্ভীর ভাবে বলে ওঠে।
.
. আর সবাই একটাক ঘুরে যাচ্ছে ওম কে। এদিকে ওম তো পুরো ঘাবড়ে যাচ্ছে ওদের চাহনি দেখে।
.
–“ইয়ার বিশ্বাস কর কিচ্ছু চলেনা। ওম অসহায় হয়ে বলে ওঠে।
.
–“না না অনেক কিছু চলে। সত্যি বলছি। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
.আবার সবাই তাকাতে ওম এবার ধমকে ওঠে।
.
–“এই কি চলে হ্যাঁ কি চলে। আমি তো তোমাকে চিনি না। তাহলে কিছু চলবে কি করে। ওম বেচারা মুখ করে বলে ওঠে।
.
–” কিন্তু আমি তো চিনি তোমাকে। ইস আমার কত দিনের স্বপ্ন পূরণ হল। তোমাকে চোখের সামনে দেখতে পেলাম। এতদিন আমি তোমাদের ব্র্যান্ড এর সমস্ত প্রোগ্রাম দেখেছি। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
–” ওহ তাই বল। ওম বলে ওঠে।
.
–“দেখলি তো কিছু চলে না বললাম না। ওম এবার বেলার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
. সবাই এবার হু হা করে হেসে ওঠে ওম এর বেচারা টাইপ মুখ দেখে। সারা জাকিয়া কে টেনে নিয়ে যায় এবার বেলার কাছে।
.
–“মিষ্টি ভাবি এই হল জাকিয়া আমার কাজিন। আমার পিপিন এর এক মাত্র মেয়ে। ওরা কানাডার থেকে। সারা বলে ওঠে।
.
–” ওয়াও মিষ্টি। তুমি তো খুব সুন্দর দেখতে। ছবির থেকে ও তোমাকে সামনে থেকে খুব সুন্দর লাগে। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
–“কিরে জিকু এসেই শুরু হয়ে গেলি। সারিফ সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতেই বলে ওঠে ।
.
–“ভাই ।বলেই দৌড়ায়।
.
–“আমাকে তো কারোর চোখে পড়ে না। সাঁঝ বসে বসে বলে ওঠে।
.
–“তুমি ও তো আমাকে দেখতে পাওনি। জাকিয়া মুখ বেকিয়ে বলে ওঠে।
.
–“তবেরে বলেই দৌড়াতে লাগে সাঁঝ জাকিয়ার পিছন পিছন।
.
–“সাঁঝ বেবি ।
.
. হটাৎ পিছন থেকে ন্যাকা আওয়াজ আসতেই সবাই থমকে যায়। সবাই ঘুরে দেখে দিশা হেলে দুলে দশ ইঞ্চি হাই হিল পরে গটগট করে এগিয়ে আসছে। পরনে শর্ট স্কির্ট ও ক্রপ টপ। যেটা গায়ের সাথে চেপে বসে আছে। তার ওপরে একটা নেট এর লং ওভার কোট চাপানো।
.
. এসেই সাথে সাথে সাঁঝ কে জড়িয়ে ধরে। বেলা ওদের দিকে দেখে একটা তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিয়ে চোখ ঘুরিয়ে নেয়। এটা কারোর চোখে না পড়লে ও আজ ঠিক সাঁঝ এর চোখে পড়ে গেছে। দিশার প্রতি বেলার দৃষ্টি একদম অন্যরকম যেটা আজ খেয়াল করছে সাঁঝ। আসলে কাল রাতের ঘটনার পর থেকে সে খুব সতর্ক থাকছে। তার চোখ কান খোলা রেখেছে বেলার দিকে। সাঁঝ এর ও খুব একটা পছন্দ নয় এই ভাবে দিশার গায়ে পড়া টা। সে যতো টা সম্ভব এড়িয়ে যায়। কিন্তু আজ যেনো বেলার দৃষ্টি তাকে অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য করছে।
.
. বাড়ির সবাই কেমন চুপ চাপ হয়ে গেছে। জাকিয়া সারা ও চুপ হয়ে গেছে আর বেদ ওম রুহি নিশান ও কেমন একটা বিরক্ত বোধ করছে দিশা কে নিয়ে। সাঁঝ বেলার সাথে সাথে বেদ নিশান ওদের দিকে তাকাতে ও ওদের চোখ মুখে ও একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছে দিশার জন্য কিন্তু কেনো। এটাই মাথার ভিতরে ঘুরছে সাঁঝ এর।
.
–“সারা তুমি জাকিয়া কে নিয়ে রুমে যাও। আমি তোমাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে বলছি। বেলা মলিন হেসে বলে ওঠে।
.
. সারা জাকিয়া সবার দিকে একবার দেখে নিয়ে ওপরে চলে যায়।
.
–” বেবি । লেট হয়ে যাচ্ছে আমাদের। চলো এবার আমরা যাই। দিশা সাঁঝ এর হাত জড়িয়ে রেখে বলে ওঠে।
.
–“হুম । বলে সাঁঝ দিশা থেকে হাত ছুটিয়ে নিয়ে বেলার পাশে এসে বসে। বেলা দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–“একদম লাফালাফি করবে না শান্ত হয়ে থাকবে। আর ঠিক টাইমে মেডিসিন আর খাবার টা খেয়ে নিবে। বলেই সাঁঝ বেলার কপালে একটা গভীর চুমু খায় সবার সামনে।
.
. বেলা কোনো কথা বলে না। সে শুধু সাঁঝ এর কান্ড কারখানা দেখে যাচ্ছে সে কিনা তাকে দিশা সামনে চুমু খেলো।
.
–” বেদ আমাকে একটু রুমে দিয়ে আয়তো। বেলা বলে ওঠে।
.
. এদিকে সবাই সাঁঝ এর দিকে তাকিয়ে আছে । সাঁঝ কোনো কথা না বলে বেলা কে কোলে তুলে নেয়। বেলা ও কোনও কথা না বলে চুপ করে সাঁঝ এর বুকের সাথে লেগে থাকে। বেলা কে রুমে এনে বিছানায় বসিয়ে দেয়।
.
–” আপনাকে বারবার বলেছি আমার থেকে দূরে থাকুন প্লিজ আমি আপনার স্পর্শ টা নিতে পারি না। বেলা মুখ ঘুরিয়ে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে বেলার মুখ নিজের দিকে ঘুরিয়ে এনে বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট রাখে। বেলা প্রথমে ছটফট করলে সাঁঝ এর আরো শক্ত করে চেপে ধরতে বেলা চুপ হয়ে যায়। মিনিট দশেক পরে বেলার ঠোঁটের থেকে সরে এসে বেলার কপালে মাথা ঠেকিয়ে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–“তুমি চাইলে ও তুমি আমার আর তুমি না চাইলে ও তুমি আমার। আর তুমি আমার স্পর্শ না চাইলে ও তোমাকে নিতে হবে। তুমি আমার স্ত্রী। তাই তোমার শরীরে শুধু আমার স্পর্শ রাঙা থাকবে। আমার রঙে রঙিন হবে খুব তাড়াতাড়ি তুমি তৈরী থাকো। এতদিন ছাড় দিলে ও এখন এর তোমাকে কোনো ছাড় দেবো না। তুমি আমার তাই কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সাঁঝ এর তীক্ষ্ণ পুরুষালি কন্ঠে বেলা কেঁপে কেঁপে ওঠে।
.
. সাঁঝ এর চোখ রুমের বাইরে পড়ে। দরজার পাশেই কেউ একটা দাঁড়িয়ে ছিল। শুধুমাত্র তার হাত দুটোই দেখা যাচ্ছিল। যেটা সে তীব্র রাগে মুচড়াতে ছিল। সাঁঝ একটা রহস্যময় হাসি দেয়। ততক্ষণে বাকিরা রুমে চলে আসে।
.
–” ওর খেয়াল রাখবে। যেনো রুম থেকে বেরোতে না পারে। সাঁঝ সবার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে বেরিয়ে যায়।
.
. এদিকে সাঁঝ এর চলে যেতে সবাই বেলার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেলার বিরক্তিকর মুখ টা দেখে সবাই হাসতে থাকে। সবাই মিলে মেতে ওঠে হাসি ঠাট্টাতে

—————–

–” আকাশ কালকের আপডেট কি। কে ছিল ওই ইন্সিডেন্ট এর পিছনে। সাঁঝ গম্ভীর ভাবে বলে ওঠে।
.
–“স্যার ওরা ধরা পড়েছে। ওদের কে হায়ার করা হয়েছিল। নাম জানে না। তাদের কে শুধু ফোন ইন্সট্রাকশন দেয়া হয়েছিলো। আকাশ বলে ওঠে।
.
–“ওদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফাইলে মুখ গুঁজে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–“ইয়েস স্যার। আকাশ বলে ওঠে।
.
–” ওকে ।শোনো তোমাকে কিছু ইম্পোর্টেন্ট কাজ সারতে হবে। এটা খুব জরুরী। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” ওকে বলে বেরিয়ে যায় কেবিন থেকে।
.
. সাঁঝ আকাশ কে বেরিয়ে যেতেই ল্যাপটপ থেকে মুখ তোলে। টেবিলে থাকা গ্লোব টা ঘোরাতে থাকে। তার মাথায় কিছু খিচুড়ি পাকছে। মুখে আছে বাঁকা হাসি। তার মাথায় শুধু এখন একটাই কথা ঘুরছে বেলার বলা কথা গুলো। কি ছিল বেলার কথা গুলো। কিছুতো আছে বেলার কথার মধ্যে। যে মেয়ে তাকে পাগল এর মত ভালোবাসত সে তাকে ঘৃণা করে এটা তো সে মানতে পারছে না কিছুতেই। যা কিছু খিচুড়ি থাকুক না কেনো। আমাকে সব কিছু জানতে হবে।
.
.সাঁঝ ল্যাপটপ অন করে আজকে সকালের ফুটেজ অন করে। এটা পুরো রওশন ম্যানসনের দৃশ্য দেখায়। রওশন ম্যানসনের কোনায় কোনায় হিডেন ক্যামেরা লাগানো আছে। আর এর প্রোগ্রামিং সিস্টেম সাঁঝ তার ল্যাপটপে সেট করে রেখেছে। এখান থেকে সকালের ফুটেজ অন করে। সাথে সাথে চোখে মুখে ফুটে হিংস্র বাঁকা হাসি।
.
–“আমার যা বোঝার বুঝে গেছি। এবার সবাই দেখবে এই সাঁঝ রওশন এর আসল রূপ। কত টা ভয়ঙ্কর কত টা হিংস্র হতে পারে। সাঁঝ দাঁত কিড়মিড় করে বলে ওঠে।
.
–” ঘরওয়ালি এবার তুমি দেখবে তোমার এই সাঁঝ এর পাগলামি। এর আগে আমি তোমার পাগলামি দেখে ছিলাম নিজের জন্য। আর আজ থেকে তুমি দেখবে তোমার জন্য সাঁঝের পাগলামি তার বেলার জন্য।
.
–” ওহহহহো তুমি তো আবার আমাকে জিন্দেগি বল তাই না। এটা আমি জানি। তোমার করা সব পাগলামি গুলো আমি জানতাম। তোমার করা সব কৌশল ও আমি জানতাম। আমি শুধু চুপ করে তোমার পাগলামি গুলো দেখতাম আর মনে মনে হাসতাম।কিন্তু আমি তোমাকে আমার থেকে দূরে করেছিলাম তোমার ওই পাগলামির জন্যই। শুধু তোমার ভালো জন্য। একদিন তুমি সব জানতে পারবে। আমি যেদিন তোমাকে আমার ভালোবাসা আদরে তোমাকে মুড়িয়ে নেবো সেদিন আমি তোমাকে বলব। তার আগে নয়। আমি চাই কোনো পুরোনো কথা জেনে নয়। নতুন করে আমাকে ভালোবেসে আমার কাছে আসো। এর জন্য যতো পাগলামি করতে হোক না কেনো। তোমার জন্য আমার জান ও হাজির জানেমান। সাঁঝ ল্যাপটপ থাকা বেলার ছবির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।

————-

–“আরে কি করছেন ছাড়ুন আমাকে। কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। রুহি নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে ওঠে।
.
. এদিকে তার কোনো কথা না শুনে সারিফ তাকে রুমে এনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। তার কোমরে হাত রেখে এক দৃষ্টিতে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আর এদিকে রুহি এদিকে ওদিকে করছে। শেষে সারিফ বিরক্ত হয়ে রুহির গাল চেপে ধরে। এদিকে সারিফ এর এমন করাতে রুহির দম আটকে আসে সোজাসুজি সারিফ এর চোখের দিকে তাকাতে পারছে না।
.
–“এত ছটফট করো কেনো? চুপ করে দাঁড়াতে পার না। মৃদু স্বরে বলে ওঠে রুহির কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে।
.
. এদিকে রুহির অবস্থা পুরো মর মর ভাব। তার হাত পা সব হালকা হয়ে যাচ্ছে দম আটকে আসছে মনে হচ্ছে এখুনি ধূপ করে পড়ে টুপ করে মরে যাবে টুক করে ওপরে চলে যাবে।
.
. তার এই ভাবনার মধ্যে হঠাৎ করে নিজের ঠোঁটে হালকা ঠান্ডা ভেজা ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করে আর সাথে সাথে পুরো ফ্রিজ হয়ে যায়। তাকে এই অবস্থায় রেখে সারিফ হাসতে হাসতে বেরিয়ে রুম থেকে। আর এদিকে এখনও রুহি ফ্রিজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খানিক পরে ডাকা ডাকি শুনে ঘোর কেটে যায়। আসতে আসতে মিউজিক রুম থেকে গিটার নিয়ে বেলার রুমের দিকে এগিয়ে যায়। আসলে সে গিটার আনতে যাচ্ছিলো আর তার মাঝে সারিফ হামলা করে বসে।
.
. বেলার রুমে ঢুকতে সবাই রুহির এমন রোবট ভাব দেখে মুখ চাওয়া চায়ি করে। বেদ আর নিশান তাকে ধাক্কা দিতে সে স্বাভাবিক হয়। তবে পুরোপুরি নয়। তারা বেলার মন খারাপ দেখে তার মন ভালো করার জন্য বেলার পিছনে লেগে যায়। বেদ নিশান ওম রুহি ওরা সবাই জানে বেলার মন খারাপ কেনো তাই তারা আনন্দে মাতে। ওম গিটার বাজিয়ে গেয়ে ওঠে। আর এদিকে জাকিয়া ঘোরের মত ওম কে দেখতে থাকে।
.
. 🎶কাভি কাভি আদাতে
জিন্দেগি মে ইউহি কই আপনা লাগতা হে
কাভি কাভি আদাতে
বিছাড় জায়ে তো এক স্বপ্না লাগতা হে 🎶
.
. নিশান এবার পাশে থেকে বেলার সামনে বসে মুখ দুটো হাতে টেনে ধরে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶এইসে মে কই কেইসে আপনে
আসুও কো বেহনে সে রোকে
ওউর কেইসে কই সোচ দে
এভরিথিং’স গন্না বি ওকে 🎶
.
. বেলা নিশান এর হাতে থাপ্পড় লাগিয়ে সরিয়ে দিয়ে পা টেনে নিয়ে বিছানা থেকে নামতে যায়। তখনই পিছন থেকে বেদ বেলার হাত টেনে এনে মাঝে বসিয়ে দেয়। আর নিজেও সামনে বসে মুখ টা অসহায় করে বেলার কোলে মাথা রেখে ওপরে দিকে বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 কাভি কাভি তো লাগে
জিন্দেগি মে রাহি না খুশি
আউর না মাজা
কাভি কাভি তো লাগে
হার পাল মুস্কিল ওউর
হার পাল সাজা 🎶
.
. এবার পিছন থেকে সারা আর জাকিয়া এসে ও জড়িয়ে ধরে বেলা কে। রুহি বেলা কে কাতুকুতু দিতে দিতে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶এইসে মে কই কেইসে মুসকুরায়ে
কেইসে হাসদে খুস হোকে
ওউর কেইসে কই সোচ দে
এভরিথিং’স গন্না বি ওকে 🎶
.
. সবাই মিলে এমন করতে বেলা হেসে ওঠে। তার এই চার দোসর এর জ্বালায় যে একটু মুখ গোমরা রাখবে সেটার ও উপায় নেই। তার একটু মন খারাপ হতে না হতে চার জন উঠে পড়ে লাগবে তার মন ভালো করার জন্য। আর এখন তাদের সাথে জুটেছে আরো দুজন সারা আর জাকিয়া। হাসি মজা করে গান গেয়ে বেলার মন ভালো করতে লেগে যায় সবাই।

—————

–“তুমি এই ভাবে হাসতে থাকো জান। তোমার এই হাসিতে আমার জান ও কবুল। সত্যি তোমার চার দোসর তোমাকে আগলে রাখে তাই তো আমি ওদের কাছে তোমাকে ছেড়ে এলাম তোমার মন ভালো করার জন্য। সাঁঝ ল্যাপটপ এর চালু থাকা ফুটেজ এর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।যেখানে ওদের সবাই কে দেখাচ্ছে।
.
–“এবার থেকে তোমার মুখের হাসি টা আর যাবে না জান। মুখে থাকবে বিরক্তি আর মনে থাকবে হাসি। তুমি তৈরী হয়ে যাও জান আমার লাভ টর্চার সহ্য করার জন্য। এবার থেকে দেখবে সাঁঝ এর এক নতুন রূপ এক নতুন আসক্তি ভরা পাগলামি। তোমার নেশায় অতিরিক্ত মাতলামি যেটা তুমি সইতে পারবে না। আবার দূরে সরে যেতে ও পারবে না। এবার থেকে দেখতে থাকো আমি কি করি। তৈরী হও। আমার নেশা যুক্ত আসক্তি ভরা হিংস্র অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখার জন্য জান। সাঁঝ ল্যাপটপ এর মধ্যে বেলার প্রতিচ্ছবি কে দেখে মুখে বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_১৭
…রাতের কালো নিকষ অন্ধকারে মাঝে দূরে বিল্ডিং গুলো আর দূরে রাস্তার থেকে টিম টিমে আলো ভেসে আসছে। বারান্দায় রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বেলা এক দৃষ্টিতে দূরে দিকে তাকিয়ে আছে। সে ওই দূরের অন্ধকারের মধ্যে নিজেকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একসময় তার জীবন আলোয় আলোয় ভরা ছিল। আর এখন সেখানে শুধুই অন্ধকারে ঢাকা। এক ধ্যানে দূরের দিকে তাকিয়ে আছে।
.
. হঠাৎ করে কিছু চোখে পড়তে তার দৃষ্টি সরিয়ে একটু নিচে করতে দেখতে পায় । দুটো লাভ শেপ এর বলুন নিচু থেকে একদম তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেছে। আর তার পর আবার কিছু বেলুন এসে থেমে গেছে। বেলুন গুলোর মধ্যে বিভিন্ন লাইটিং ভরা। জ্বলছে নিভছে। বেলা হঠাৎ এমন হতে দেখে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আবার ও তাকাতে দেখে আবার অনেক গুলো একসাথে উড়ে আসছে। তার সমান সমান আসতে আসতে দেখতে পায়। প্রত্যেক টাই “ আই লাভ ইউ বেলা “লেখা আছে। বেলা অবাক হয়ে দেখছে। হটাৎ পিছন থেকে দুটো হাত তাকে পেচিয়ে ধরেছে। নড়ে ওঠার ও সময় পাইনি বেলা। কানের কাছে উষ্ণ নিশ্বাস পড়তে বেলা কেঁপে ওঠে। বেলা বুঝতে পেরেছে তার পিছনে কে আছে। এই স্পর্শ তার বহু দিনের চেনা।
.
–” আই লাভ ইউ জান। ফিস ফিস করে বলে ওঠে সাঁঝ ।
.
.সাঁঝ এর ফিসফিসিয়ে বলাতে বেলার শরীরে রোম রোম শীতল স্রোত বয়ে যায়। হালকা কেঁপে ওঠে চোখ বন্ধ করে নেই বেলা। এই সুযোগে সাঁঝ বেলার কাঁধের থেকে চুল সরিয়ে হালকা বাইট বসিয়ে দেয়। বেলা মুখ থেকে মৃদু আওয়াজ করে সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে তার সাথে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে। বেলার ঘাড়ে ঠোঁট ছুয়ে রেখে এক হাত দিয়ে বেলার মুখ টা সোজা করে দেয়। সাথে বেলা দেখতে পায়। সামনে আতসবাজি শুরু হয় আর তার মাঝে লেটার ভেসে ওঠে। প্রথমে “আই” তারপরে ভেসে ওঠে “লাভ” আর তারপরে ভেসে ওঠে “ইউ” আর একদম শেষে “ওয়াইফি”। সাথে সাথে আবার ও ফিস ফিস করে ওঠে।
.
–“আই লাভ ইউ বউ।
.
. বেলা এবার আগের তুলনায় আরো বেশি করে কেঁপে ওঠে। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। সাঁঝ এর মুখ থেকে এই থ্রি ম্যাজিকাল ওয়ার্ড শোনার জন্য একসময় বেলা খুব উতলা উন্মুখ হয়ে থাকতো। আর আজ সেটা সে শুনতে পাচ্ছে হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছে সাঁঝ এর মুখে থেকে। বেলার চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছে। তার মধ্যে এখন কেমন ফিলিংস কাজ করছে সেটা ও বুঝতে পারছে না। হটাৎ করে না পাওয়া কিছু যখন পেয়ে যায় তখন কার ফিলিংস টা একদম অদ্ভূত আকারে প্রকাশিত হয়। আর এখন সেটা বেলার সাথে হচ্ছে। দু হাত মুখে চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে বেলা। সাঁঝ পিছন থেকে কোনও কথা না বলে বেলার কাঁধে অনবরত চুমু বর্ষণ করতে থাকে শক্ত করে চেপে ধরে। ।
.
. বেলা চোখ বন্ধ করতে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই পিষে যাওয়া গোলাপের বুকে। সেই অপমান গুলো। সাথে সাথে তার মুখ থেকে পরিবর্তন হতে শুরু করে। চোখের সামনে বারবার স্লাইড হতে থাকে পিষে ফেলা ফুল আর ওই এসএমএস গুলো সাঁঝ এর সাথে থাকা দিশার ছবি গুলো। সাথে সাথে বেলা হাত উঠিয়ে মাথায় থাকা কাটা ক্লিপ খুলে নিয়ে সামনে ভেসে থাকা বেলুন গুলো তে মেরে ফাটিয়ে দেয়। আর বেলার হটাৎ এই পরিবর্তন এর জন্য সাঁঝ কোনো কথা বলে না। আর না আটকাচ্ছে বেলা কে ।সে জানত বেলার এমন প্রতিক্রিয়ায় হবে। তাই সে বেলা কে আলতো করে জড়িয়ে ধরে দেখছে। সে চাইছে বেলার মনে জমে থাকা অভিমান রাগ গুলো বেরিয়ে আসুক।
.
. বেলা সাঁঝ কে ধাক্কা মেরে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। সামনে ঘুরে সাঁঝ এর কলার টেনে ধরে তার সমান সমান করে নিয়ে চোখে চোখ রেখে বলে ওঠে।
.
–“আই হেট ইউ। শুনতে পেয়েছেন। আই হেট ইউ। বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–“আই লাভ ইউ টু। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ এর এই গা জ্বালা ধরানো মুচকি হাসি আর বলা কথার জন্য রেগে গিয়ে সাঁঝ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রুমে ঢুকে যায়। এদিকে সাঁঝ দু হাত পকেটে ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেলার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
–” আই লাভ ইউ। আমি জানি তোমার ওই হেট ইউ এর মধ্যে কত টা রাগ আর কতটা ভালোবাসা ছিল। ওই কথার মধ্যে রাগের থেকে বেশি আবেগ মিশ্রিত ভালোবাসার প্রকাশ ছিল। সেটা আমি জানি। তোমাকে আমি এত বছর থেকে দেখে আসছি। তুমি আমার থেকে দূরে থাকলে ও আমি প্রতিটা মুহূর্ত তোমার পাশে তোমার কাছে ছিলাম শুধু তোমাকে বুঝতে দেয় নি। আমি চাইনি তোমার ওই বয়সে ভালোবাসা নামক বেড়া জালে আটকে গিয়ে তোমার ফোকাস হারিয়ে ফেলো। আমি জানি আমার জন্য তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছ। আমি তোমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবো জান। তোমার মনে আমার ভালোবাসার ওপর জমে থাকা ইট সিমেন্ট পাথর বালি সব সরিয়ে আবার ও আমার নামের ফুল ফুটিয়ে তুলব। তোমাকে করে নেবো সাঁঝের বেলা। এখন আমি তোমাকে কোনো সত্যি বলব না। আমি দেখতে চাই আমার ভালোবাসার ক্ষমতা বেশি নাকি একটা মিথ্যের জোর বেশি। আমার ভালোবাসা দিয়ে মুড়ে নিয়ে তবেই আমি অতীতের রাজ খুলব। আর আমার কলিজায় যে হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে তাকে তো আমি জানে মারব না একটু একটু ধুকে ধুকে মারব। সেও দেখবে এবার সাঁঝ রওশন কি জিনিস। এবার তো শুরু হবে আসল গেম। সাঁঝ প্রথমে কথা গুলো আবেগ মিশ্রিত কন্ঠে বললে ও শেষের কথা গুলো দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে। চোখ মুখ হিংস্র হয়ে ওঠে।
.
.
–“আজকে আমি তোমাকে আমার নেশায় আসক্ত করে দেবো। ভাসিয়ে নিয়ে যাব আমার ভালোবাসার সাগরে। যেখানে তুমি শুধু আমার আদর আর ভালোবাসায় ভাসতে থাকবে। সেখানে চারিদিকে শুধু আমার আসক্তি ভরা অতিরিক্ত নেশা মাখা ভালোবাসা আদরে মুড়ে যাবে সুইটহার্ট। আবারও বেলার উদ্দেশে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
. এদিকে বেলা রুমে এসে পুরো থমকে দাঁড়িয়ে গেছে। পুরো রুমের ভোল বদল হয়ে গেছে। পুরো রুমে মৃদু আলোয় ভরা চারিদিকে ক্যান্ডেল দিয়ে ভরা। রুমে মাঝের ফাঁকা জায়গা টা টেবিল দিয়ে সাজানো হয়েছে। তার ওপর চার কোণে চারটে স্ট্যান্ড দিয়ে সাদা পর্দা দ্বারা ডেকরেট করেছে টেবিল এর চারিদিকে। আর তার সাথে ঝুলছে সাদা আর গোল্ডেন টুনি বাল্ব। আর ওপর থেকে সাদা সাদা চিক চিকে কাঁচ কাগজ কুচি। আর এর ওপর একটা স্পট লাইট থাকায় আরো বেশি ঝলমলে হয়ে উঠেছে। টেবিলের ওপর একটা পাত্রে পানির ওপর ভাসছে লাল হলুদ জারবেরা ফুল আর তার সাথে ক্যান্ডেল। এক পাশে আছে একটা বড় রেড রোজ এর বুকে। আর তার পাশে একটা পাত্রে শ্যাম্পেন এর বোতল। মানে সব মিলিয়ে পুরো একটা জাঁকজমক ক্যান্ডেল লাইট ডেট।
.
. বেলা রুমের চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখছে। মুখে ফুটে আছে অবাক আর বিস্ময় এর এক্সপ্রেশন। দরজার দিকে চোখ পড়তে দেখে ওখানে বড় বড় গ্রিটিংস করে আই লাভ ইউ লেখা আছে। চারিদিকে পুরো মহময়ী সুন্দর লাগছে। সাঁঝ গুটি গুটি পায়ে বেলার পাশে এসে দাঁড়ায়। বেলার মুখে এই এক্সপ্রেশন দেখে বাঁকা হাসতে থাকে। হটাৎ করে বেলা কে হ্যাচকা টান মেরে নিজের সাথে লাগিয়ে নেয়। বেলা হঠাৎ এই আক্রমণ এর জন্য হকচকিয়ে যায়। মুখের কথা মুখে রয়ে যায়। আর বাইরে বের হয় না। অবাক হয়ে শুধু সাঁঝ কে দেখতে থাকে। সাঁঝ এর মুখে থাকা ওই বাঁকা আর মুচকি মিশ্রিত হাসি দেখতে থাকে। এই মৃদু আলোয় যেনো সাঁঝ কে আরো আকর্ষণীয় লাগছে বেলার কাছে। বেলার চোখ পড়ে সাঁঝ এর ঠিক কানের পাশে থুতনির নিচে থাকা তিল এর দিকে। সাঁঝ এর ওই ফোর্সা চামড়ার ওপরে যেনো তিল টা জল জল করছে। বেলার ঘোর লেগে যাচ্ছে। সে ডুবে যাচ্ছে সাঁঝ এর ওই গভীর সমুদ্রের মতো নীল চোখের মাঝে। সাঁঝ এর ওই গোলাপি গোলাপি ঠোঁট দুটো ও যেনো আজ তাকে খুব করে টানছে। কি হচ্ছে তার সাথে। সে চেয়ে ও পারছে না সাঁঝ এর থেকে চোখ সরিয়ে নিতে।
.
. সাঁঝ বেলার দৃষ্টি অনুসরণ করে মুখের হাসি টা আরো প্রসারিত করে। এক হাত দিয়ে পকেট থেকে রিমোট বের করে মিউজিক সিস্টেম অন করে। তবে সং হচ্ছে না শুধু ইন্সট্রুমেন্ট মিউজিক গুলো বাজছে টন হিসাবে। সাঁঝ বেলা কে নিজের সাথে আরো একটু চিপকে নিয়ে এক হাত বেলার শার্ট সরিয়ে কোমরে হাত দিয়ে ধরে একটু শক্ত করে। এতেই বেলা কেঁপে ওঠে। সাঁঝ শুধু বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে পর পর নিজের কাজ করে যাচ্ছে। বেলা কে নিজের সাথে রেখেই মাঝের দিকে একটু সরে এসে। নিজের গলায় গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 দিল ইবাদত কার রাহা হে
ধাড়কানে মেরে শুন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন
জিন্দেগি কি সাকসে লু
কুছ হাসিন পাল মে চূন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর গলায় গান শুনে অবাক হয়ে গেছে। সাঁঝ যে এত সুন্দর গান গাইতে পারে সেটা বেলা কোনো দিন জানতে পারেনি। এত সুন্দর গলার আওয়াজ। যে শুনতে ঘোর লেগে যাচ্ছে বেলার। সাঁঝ বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে বেলার মাথা তার বুকের বাম পাশে চেপে ধরে। আর তার পর আবার ও গেয়ে ওঠে।
.
.🎶 দিল ইবাদত কার রাহা হে
ধাড়কানে মেরে শুন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন
জিন্দেগি কি সাকসে লু
কুছ হাসিন পাল মে চূন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন 🎶

. বেলা শুধু অবাক এর ওপর হচ্ছে সে যেনো আজকে অবাক এর নদীর মধ্যে ডুবে যাবে। সাঁঝ যেনো আজকে তাকে চমক এর ওপর চমক দিয়ে যাবে। সাঁঝ এর বুকে মাথা রাখতে বেলার কানে আসে সাঁঝ অতিরিক্ত মাত্রায় ধুকপুক করা হার্ট এর শব্দ। এটাও যেনো বেলার কাছে নেশার কাজ করছে। এক অন্য রকম মাদকতার সৃষ্টি করছে। সাঁঝ বাঁকা হেসে বেলা কে ঘুরিয়ে নিজের বুকের সাথে বেলার পিট লাগিয়ে বেলার কাঁধে নিজের মুখ লাগিয়ে দেয়। এক হাত বেলার কোমরে রেখে আসতে আসতে ঘুরতে থাকে।
.
. 🎶জো ভি জিতনে পাল জিও
উনহে তেরে সাঙ্গ জিও
জো ভি কাল হো আব মেরা
উসে তেরে সাঙ্গ জিও
জো ভি সাসে মে ভারু
উনহে তেরে সাঙ্গ ভারু
চাহে জো হো রাস্তা
উসে তেরে সাঙ্গ চালু

দিল ইবাদত কার রাহা হে
ধাড়কানে মেরে শুন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন🎶
.
. বেলা নিজেকে সাঁঝ এর থেকে সরিয়ে নিতে গেলে সাঁঝ বেলা কে টেনে এনে বেলার দু হাতে নিজের হাত শক্ত করে মুঠো মেরে ধরে রেখে নিজের সাথে লাগিয়ে বেলা কে উচু করে তুলে ধরে ঘুরে যায়। বেলা ঘাড় ঘুরিয়ে সাঁঝ এর বাঁকা হাসি দেখতে থাকে। সাঁঝ বেলা কে নামিয়ে রাউন্ড রাউন্ড করে ঘোরাতে থাকে। শেষে বেলা কে টেনে এনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বেলার কাঁধে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করাতে বেলা কেঁপে ওঠে। নিজের কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে গায়ের জোর দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সাঁঝ কে সরিয়ে দেয়। বেলা সাঁঝ এর দিকে আগুনে চোখে তাকিয়ে আঙুল তুলে দুরে থাকার ইশারা করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
.
. আর এদিকে সাঁঝ বুকে হাত দিয়ে বিছানায় পড়ে যায়। বেলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে বলে ওঠে।
.
–“হায়ে মেরি জান তোমার ওই রাগী চোখের চাহনিতে আমি আরো মাতাল হয়ে যাচ্ছি। সবে তো শুরু। এর পরে আরো বাকি আছে আমার আসক্তি ভরা ভালোবাসার সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া। তোমাকে আমার নেশায় পাগল করে দেবো। শুধু দেখতে থাকো সাঁঝের বেলা।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.
.ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন । সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊