প্রিয়তমা পর্ব-১৮

0
414

#গল্পঃপ্রিয়তমা
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_১৮

বসার রুমে একেবারে পিনপতন নিরবতা।সোফাই মাথা নিচু করে দুহাতে মুখের আংশিক ঢেকে বসে আছে ফারুখ।সামনের সোফাতেই প্রীতি প্রশ্নের ঝুড়ি খুলে বসেছে।তাদের মাও উপস্থিত আছেন এখানে।রাজিব শেখ কয়েকদিন যাবত পলাতক।এখন বাড়িতে আসাটা যুক্তিযুক্ত মনে করছেননা তিনি।পরিবেশ ঠান্ডা হোক তখন নাহয় বাড়ি ফিরে ফারুখকে নয়ছয় বলে বুঝিয়ে দেবেন।ফারুখ প্রতিনিয়ত তার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সাথে রকিও উধাও।স্বপ্নার কবর দেওয়ার পর সেদিনই প্রীতির শশুর শাশুড়ী চলে গেলেন।প্রীতিকে রেখে গেলেন কিছুদিন থাকার জন্য।এতদিনে প্রীতিও ফারুখকে প্রশ্ন করার সুযোগ পায়নি।সে তো সারাদিন রাজিব শেখ আর রকিকে খুঁজতেই ব্যস্ত।এখন আর আগের মতো সেই স্নিগ্ধতা নেই ফারুখের মাঝে।উষ্কখুষ্ক চুল,চোখ দুটো সব সময় লাল টকেটকে রক্তবর্ণ হয়ে থাকে।শেইভ না করায় মুখ ভর্তি দাঁড়ি বড় হয়ে আছে।
আজ প্রীতি মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে ফারুখকে ধরার।সকালে বেরিয়ে যাওয়া ধরতেই প্রীতি তার পথ আগলে দাঁড়ায়।
ফারুখ যতবারই যাওয়ার চেষ্টা করেছে ততবারই প্রীতি আটকে দিয়েছে।তাই বাধ্য হয়ে ফারুখ সোফায় বসে পড়লো।

প্রীতি তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে শিথিল কন্ঠে বলল,এত অভিনয়ের মানে কি?
ফারুখ চকিতে তাকলো প্রীতির দিকে।
প্রীতির অভিব্যক্তির কোনোরূপ পরিবর্তন হলোনা।
শক্ত গলায় বলল,এমন একটা অভিনয় করছো।তুমি রাজিব শেখকে শাস্তি দেওয়ার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছো কিন্তু পাচ্ছোনা।মুহুর্তে অগ্নিশর্মা হয়ে বলল,তোমার শাস্তি কে দেবে?ভালোবাসো তুমি স্বপ্না আপাকে?নাকি টাকাকে?কিভাবে পারলে টাকার জন্য একটা মেয়ের সম্মান এভাবে নষ্ট করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে?

ফারুখ কাঠকাঠ গলায় বলল,এখানে আমার কোনো হাত নেই।যা করেছে সব রাজিব শেখ করেছে।আমাকে কেনাকাটার কথা বলে ঢাকায় পাঠিয়ে আর বলতে পারলেনা।গলা ধরে আসলো ফারুখের।চোখে পানি চিকচিক করছে।

প্রীতির মা কিছুই বুঝতে পারছেননা।স্বপ্নার ব্যাপারে কিছুটা জানলেও পুরো ঘটনা তার অজানা।
তাই তিনি প্রীতিকে ধমকে বললেন,ভাইয়ের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় আজো শিখিস নি?
প্রীতি চোখ বন্ধ করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।মায়ের সাথে উঁচু গলায় কথা বলতে চায়না।নিজেকে ধাতস্থ করে শান্ত চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,আমার কোনো বাবা,ভাই নেই।শুধু একটা মা আছে।
প্রীতির মা স্তব্ধ হয়ে গেলেন।কি বলছিস তুই এসব?পাগল হয়ে গেলি নাকি?

প্রীতি মাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,নাহ আমি পাগল হইনি।ফারুখের দিকে আঙ্গুল তাক করে বলল,তুমি জানো?এরা বাপ ছেলে দুজনে কিসের ব্যবসা করে?নারী ব্যবসা করে।গ্রামে মেয়েরা উধাও হয়ে যাচ্ছে এর পেছনে কার হাত জানো?এদের বাপ ছেলের হাত।মাস কয়েক আগে আমি কোথায় ছিলাম জানো?হাসপাতালে না আমাকেও তুলে নিয়ে গিয়েছিলো।তারপর কি বুঝে আমার শশুর বাড়িতে দিয়ে যায় রাতে।স্বপ্না আপাকেও সেখানেই নিয়ে যায়।না জানি কি কি করেছে মেয়েটার সাথে যার জন্য মৃত্যুকে বেছে নিলো।

প্রীতির মা বিস্ফোরিত চোখে তাকালেন।ফারুখের দিকে উত্তরের আশায় তাকিয়ে দেখেন ফারুখ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।রাগে,ক্ষোভে জর্জরিত হয়ে মা ফারুখের গালে সজরে থাপ্পড় মারেন।
নিজেকে ধাতস্থ করে ফারুখ বলল,তোমরা সম্পুর্ণ না জেনেই রিয়েক্ট করছো।
প্রীতি চেঁচিয়ে উঠে বলল,আর কি জানার বাঁকি আছে?শুধু কি ব্যবসাই করো নাকি নিরীহ মেয়েদের সাথে রাতও কাটাও।

ফারুখ হুঙ্কার ছেড়ে বলল,প্রীতি!
প্রীতি তারচেয়ে দ্বিগুণ চেঁচিয়ে বলল,একদম চুপ।গলা নামিয়ে কথা বলো।আমি আর আগের সেই প্রীতি নেই।তোমরা উঠতে বললে উঠেছি,বসতে বললে বসেছি,বয়স লুকিয়ে বিয়ে করতে বলেছো বিয়েটাও করে ফেলেছি।
পরিস্থিতি আমাকে পাল্টে দিয়েছে।তা আর এত লুকোচুরি কিসের?তোমাদের অপকর্মতো সব জানাই আছে আমাদের।
প্রীতির মা ধপ করে সোফায় ঢলে পড়লেন।কি শুনছেন তিনি এসব কিছুই বিশ্বাস করতে পারছেননা।প্রীতি মাকে একহাতে আগলে নিলো।ফারুখ ধরতে আসলে মা হাত উঁচিয়ে তাকে থামিয়ে দিলো।
আর সহ্য হচ্ছে না ফারুখের।চোখের পানি ছেড়ে দিলো।

হাঁটু ভেঙে ফ্লোরে ধপ করে বসে পড়লো।দুহাতে মুখ মুছে করুন গলায় বলল,আমাকে একবার সবটা বলতে দাও।প্রীতি মুখ ঝামটা মেরে বলল,তোমার মুখ থেকে আর কিছুই শুনতে চাইনা।ফারুখ ওভাবেই বসে রইলো।প্রীতি মাকে ধরে রুমে নিয়ে আসলো।দাদি অসুস্থ মানুষ চেঁচামেচি শুনেও নিচে নামতে পারছেননা।
ফারুখের রাগ আরো তিরতির করে বেড়ে গেলো।বসা থেকে উঠে গটগট পায়ে বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে।মাঝরাস্তায় যেতেই রূপকের ফোন পেয়ে রিসিভ করে।ফারুখ একটু আগের কথা জানাতেই রূপক চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল,প্রীতিকে এবার সবকিছু জানানো উচিত।নয়তো ভুলবশত এমন কিছু করে ফেলবে যাতে আমাদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।আর কিছুদিনের মধ্যেই আমি দেশে ফিরছি।এবার সব চ্যাপ্টার ক্লোজ হবে।
ফারুখ বিষন্ন গলায় বলল,কিন্তু না প্রীতি না মা কেউই আমার কথা শুনতে চায়না।রূপক ফারুখকে আশ্বস্ত করে বলল,আচ্ছা প্রীতিকে আমি বুঝিয়ে বলবো।তুমি শক্ত থাকো।ভেঙে পড়লে চলবেনা।
ফারুখের ফোন কেটে রূপক প্রীতিকে কল দিলো।

কল রিসিভ করে প্রীতির মলিন চেহারা দেখে রূপক জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে?যদিও সে সবই জানে।
প্রীতি বিরক্ত হয়ে বলল,কি বললে বুঝবেন?আপনি শুনতে চেয়েছেন আমার কথা?আমি যে কতবার আপনাকে কিছু বলার চেষ্টা করেছি শুনেছেন আপনি?
রূপক বলল,আচ্ছা এখন বলো।আমি সব শুনতে চাই।

প্রীতি চেঁচিয়ে উঠে বলল,কি শুনতে চান?আপনি আসছেন না কেনো?বছর কি হয়নি এখনো?আমি এখানে পড়ে মরে যাই আর আপনি বিদেশেই বসে থাকুন।
রূপক প্রীতিকে শান্ত করার জন্য বলল,রিল্যাক্স!শান্ত হয়ে বলো মুড অফ কেনো?
প্রীতি কিছুটা শান্ত হয়ে চুপ করে রইলো।খানিক্ষণ বাদে লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,নারী পাচারের সাথে বাবা আর ভাইয়া জড়িত।আমি সেদিন রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়িনি আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।স্বপ্না আপার মৃত্যুতেও তাদের হাত।কথাগুলো বলে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো রূপকের কোনো ভাবাবেগ হলোনা।সে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে দেখে ভ্রু কুচকে তাকালো প্রীতি।
রূপক শান্ত কন্ঠে প্রীতিকে বলল,আমি এখন যা বলবো তা মন দিয়ে শুনবে।মাঝে একটা প্রশ্ন ও করবেনা।প্রীতি মাথা দুলিয়ে সায় জানালো।
রূপক আস্তে আস্তে ফারুখের সম্পর্কে সব বললো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
প্রীতি সব শুনে স্তব্ধ হয়ে রইলো।যেনো কিছুই তার বিশ্বাস হচ্ছে না।সে বলল,কিন্তু আমিতো নিজ চোখে..

রূপক প্রীতিকে থামিয়ে বলল,তোমার ভাইয়ের কোনো দোষ নেই।সে যা করেছে সব তোমার বাবার সামনে ভালো থাকার চেষ্টার জন্য করেছে।
প্রীতি প্রশ্ন করলো,তবে ভাইয়া পুলিশকে আগে কেনো জানায়নি বাবার অপকর্মের কথা?সেতো আমাদের বিয়ের দুমাস আগ থেকেই রাজিব শেখের ব্যবসায় নেমেছে।এর ভেতর যতগুলো মেয়ের জীবন নষ্ট হয়েছে সে পেরেছে কিছু করতে?

রূপক বলল,এর মাঝে একটা মেয়েকেও বাইরের দেশে চালান করতে পারেনি।তোমার ভাই সেবার পুলিশকে সাহায্য করেছে।এরপর আমি বিদেশে আসার পর আবারও শুরু হয়েছে মেয়েদের ধরে নিয়ে যাওয়া।আমি আসার পর সব ফারুখ ভাইয়া আর তরুণ সামলিয়েছে।
প্রীতি অস্ফুট স্বরে বলল,তরুণ?উনিতো কোমায়।

রূপক প্রীতিকে বলল,তরুণ সুস্থ আছে।আড়ালে থেকে সব সামলাচ্ছে।এখন জনসম্মুখে আসা তার জন্য সেইফ না।আর কোনো প্রশ্ন আছে তোমার?করে ফেলো আমার তাড়া আছে।প্রীতি মাথা দুলিয়ে না জানালো।
আচ্ছা ঠিক আছে বলে কল কেটে দিলো রূপক।

এলোমেলো পায়ে মায়ের রুমে গেলো প্রীতি।মা ঘুমাচ্ছেে তাই ফেরত আসলো।
—————————————————★

রাত বারোটা কি একটা জানা নেই।প্রীতি মায়ের পাশে ঘুমিয়ে আছে।ফারুখ চুপিচুপি মাকে দেখতে আসলো।মাকে ঘুমাতে দেখে মায়ের পায়ের কাছে বসে পড়লো।পা ধরে বলল,মা তুমিও আমাকে ভুল বুঝলে?ছোটবেলা থেকেতো তুমিই আমার সব।বাবাকেতো দেখিইনি।দেখলেও মনে নেই।সব সময় তোমাকে পাশে পেয়েছি,তুমি আমায় সাপোর্ট করেছো।আর আজ তুমিও সবার মতো অবিশ্বাস করলে?পায়ে মাথা ঠেকিয়ে কেঁদে ওঠে ফারুখ।
মাথায় হাতের ছোঁয়া পেয়ে ফারুখ চমকে মাথা তুলে তাকায়।ফারুখের মা চোখের পানি আড়াল করে বললেন,আমার ছেলে কোনোদিন খারাপ কাজ করতেই পারেনা।
রূপক কান্না আটকানোর চেষ্টা করে বলল,মা বিশ্বাস করো আমি…

ফারুখের মা ফারুখকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,আমি জানি আর বলতে হবেনা।প্রীতি আমাকে বলেছে সবটা।কেনো এতদিন লুকোচুরি করলি?মাকে অন্তত বলতে পারতি।
ফারুখ মাথানিচু করে বলে,তোমাদেরকে টেনশন দিতে চাইনি।ভেবেছি আমি সবটা সামলে নিতে পারবো।
মা ভাইয়ের কথা শুনে ততক্ষণে প্রীতিও জেগে গেছে।
খাট থেকে নেমে ভাইয়ের কাছে হাত জোড় করে অনুতপ্ত হয়ে বলল,আমাকে ক্ষমা করে দিও ভাইয়া।আমি না জেনেই তোমাকে দোষ দিয়েছি।রূপক না বললে কিছুই জানতে পারতামনা।
ফারুখ প্রীতির জোড় করা হাত ধরে বলল,ক্ষমা চাইছিস কেনো?তোরতো কোনো দোষ নেই,আসলে পরিস্থিতিটাই এমন ছিলো।তুই তো কিছুই জানতিনা।

প্রীতি মাথানিচু করে রইলো।হঠাৎ প্রীতি প্রশ্ন করে উঠলো আচ্ছা আমাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার কারণ কি ছিলো?
ফারুখ নির্মল চাহনি দিয়ে বলল,তোর প্রতি চিন্তা থেকেই রাজিব শেখ এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিলো।রূপক পুলিশ জেনেও বিয়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে,উনি ভাবতেন তুই ভবিষ্যতে সেইফ থাকবি।আর রূপকের অতো ক্ষমতা হবেনা তাদেরকে খুঁজে বের করার।বহুবছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছে।যেখানে কেউই তাদেরকে ধরতে পারলোনা সেখানে রূপকের পক্ষে ও সম্ভব হবেনা তাদেরকে ধরার।
রাজিব শেখ যেই ব্যবসায় আছেন সেখানে তার নিজের স্ত্রী কন্যারও কোনো সিকিউরিটি নেই।তাইতো সেদিন তোকে বাসায় আনতে টাকা ডিমান্ড করে বসেছে।দেখলিনা সেদিন তোকে ছাড়িয়ে আনার জন্য ত্রিশ পারসেন্ট টাকা ছেড়ে দিলো?
তুই তার নিজের মেয়েতো তাই বড্ড বেশিই ভালোবাসে তোকে।আবার তারচেয়েও বহুগুণ তার ব্যবসাকে ভালোবাসে।তাইতো সৎপথে আসতে পারছেনা।

প্রীতি তাচ্ছিল্য করে বলল,শুধু কি আমিই তার মেয়ে?তুমি ও তো তার ছেলে।
ফারুখ হেসে উঠে বলল,উঁহু!আমি না শুধু তুই উনার মেয়ে।
প্রীতি কথাটার আগামাথা কিছু না বুঝেই বলল,মানে?
ফারুখ মুখ খুলতে গেলেই ফারুখকে থামিয়ে তার মা বলা শুরু করলেন।
আমার প্রথম স্বামী মানে ফারুখের বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ফারুখকে নিয়েই পড়ে থাকি।বাবা মা আমাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও আমি তাতে সম্মত হইনি।কিন্তু বছরখানেক না যেতেই শুরু হলো কানাঘুষা।একজন বিধবা মেয়ে একা একটা বাড়িতে তার শাশুড়ী আর দেবর নিয়ে থাকে।তোর দাদী দুদিনের জন্য বাপের বাড়ি বেড়াতে গেলেন।তখন আমি ফারুখকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম।আমার দেবর মানে তোর বাবা রাতেই বাড়িতে আসতেন।সারাদিন নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন।সেদিন সবাই মিলে রটিয়ে দিলো আমার আর তোর বাবার সম্পর্ক আছে।সব কিছু থেকে বাঁচতে তোর বাবা আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়।
কয়েক বছর পর আমার কোল জুড়ে তুই এসেছিলি।তোরা দুজনই একই মায়ের পেটের ভাই বোন কিন্তু বাবা ভিন্ন।
প্রীতি সব কিছু শুনে তব্দা খেয়ে রইলো।জীবন থেকে সতেরো বছর পার হয়ে যাচ্ছে অথচ সে কিছুই জানতোনা।
#চলবে……..

(ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।হ্যাপি রিডিং।)