ভুলে যেতে ভালোবাসিনি পর্ব-০৬

0
3699

ভুলে যেতে ভালোবাসিনি
পর্ব-০৬
রোকসানা আক্তার

রাত কেটে সকাল হয়।পুরো বাড়িজুড়ে ঈদ ঈদ একটা ধুম পড়ে যায়। নিজেদের রাঙ্গানোর আয়োজনে ব্যস্ত এ বাড়ির প্রতিটি লোকজন।বাসার পূর্বকোণের একটা কাঠের চেয়ারে বসে ফাহাদ কিছুক্ষণ পর পর হাঁক ছেড়ে কান্না করে উঠে।তার বায়না আজ সে পান্জাবী পড়বে।শিরিন শাহ তা মানছেন না।ফাহাদ আজ শার্ট পড়ুক এটাই উনার কড়া আদেশ।

নাতাশা সেদিকে একপলক চেয়ে দরজা ঠেলে আবার নিজ রুমে ঢুকে।বিছানার উপর নীরকে দেখতে পায়নি।বোধহয় বাথরুমে হবে।তারপর সামনে এগিয়ে পর্দা সম্মেত জানলাগুলো খুলে দেয়।জানলা খোলার সাথে সাথেই মৃদু বাতাসের আভা নাতাশার চোখ-মুখ চেয়ে যায়।নাকে আসে মৃদু একটা সুভাস।সুভাসটা নাতাশাকে চুম্বকের আকর্ষণ প্রয়োগ করে।তাই সে বেলকনিতে দৌড়ে চলে আসে।বেলকনির রেলিং-এ হাত রেখে দু’চোখবুঁজে সুভার ঘ্রাণ শুকতে তৎপর হয়ে উঠে।
গাড়ির হর্ণ কানে বাজতে মাথা নুইয়ে নিচের দিকে তাকায়।নিচে একটি সাদা কার দাড়িয়ে আছে,তাও নীরদের গেইট বরাবর।নাতাশা কপালের ভাঁজ কুঁচকে আনে কোনো মেহমান-টেহমান আসলো নাতো।
পরক্ষনে ধবধবে সাদা একটা মেয়েলি হাত গ্লাস ভেদ করে কাউকে হায় সম্বোধন করতে হাতটি বাড়িয়ে দেয়।আর তাকে ভেতরে ঢোকার জন্যে গাড়ির দরজা খুলে দেয়।
নীর মুঁচকি হেসে ওই গাড়িটিতে ঢোকে।দরজা বন্ধ করার পর গাড়ি রান হয়।জড়ের বেগে একমুহূর্তে গাড়িটি শূন্যে চলে যায়।
নাতাশার ছোঁয়াল শক্ত হয়ে আসে।বুকটা ভারী হয়ে যায়।ধীরগতিতেশ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে।নাতাশার মস্তিষ্কে হোঁচট লাগে এ কি সত্যিই নীর ছিল নাকি অন্যকেউ।আর যদি নীরই হয়ে থাকে তাহলে সে ওই মেয়ের সাথে কোথায় যেতে পারে!তাছাড়া মেয়েটিই ও বা ওর কী হয়!

নাতাশার মনে এমন নানানও অজানা প্রশ্নের ভীড় জমে।বেলকনিতে বেশিক্ষণ না দাড়িয়ে বাথরুমের দরজার কাছে আসে।দরজা ঠেলে ভেতরে তাকায়।নীর এখানে নেই।নাতাশা সন্দেহকে দূর করার জন্যে এক এক সব জায়গায় নীরকে খোঁজে কিন্তু কোথাও দেখতে পায়নি।
তারমানে সাদা শার্ট পরিহিত ছেলেটি নীর ছাড়া আর কেউ নয়।নাতাশার মাথাটা ফাটিয়ে ভীষণ কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে।
দরজায় করাঘাত পড়ে কোহিনুর বেগমের।নাতাশা চোখের গাঢ় পানিমুছে দরজা খুলে দেয়।
কোহিনুর বেগম চারদিকে তাকিয়ে আলতো নাতাশার কাঁধে হাত রেখে বলেন,
—নীর কোথায় মা?
নাতাশা কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে পড়ে।কি ভেবে কি উওর করবে নিজেই বুঝে উঠতে পারছে না।তোতলে তোতলে মিথ্যে বলে ফেলে।
—মা উনি বাথরুমে আছেন।
—ওকে।আর তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাওও।প্রিয়া এসে তোমায় সাজিয়ে দিবে।ওকে?

নাতাশা মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।উনি নাতাশার গাল টিপে আবার চলে যান।নাতাশার একটা জিনিস এখনো মাথায় আসছে না।এই মহিলার মুখটা যেমন সুকোমল,তেমনি উনার মায়মমতা মিশ্রিত একটা মন!আর উনার ছেলে নীর সম্পূর্ণ উনার বিপরীত!নীর কার অভ্যেস পেয়েছে?নিহান ভাইকে ও দেখতে এরকম মনে হয়না।
পেছন থেকে প্রিয়া এসে নাতাশার বাহু স্পর্শ করে।
–সে-কি ভাবী,তুমি এখনো রেডি হচ্ছ না?সবাই সাজগোছ সেই ভোর থেকে আরম্ভ করে দিয়েছে আর তুমি?তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও।বাসা থেকে সেন্টারে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আবার লেট হয়ে যাবে।
–আচ্ছা,হচ্ছি।
নাতাশা গিয়ে বিছানার উপর বসে।আর হাই তুলতে তুলতে বলে,
–ভাইয়া কোথায় ভাবী?ভাইয়াকে যে দেখতে পাচ্ছিনা?
–এই হবে কোথায়।হয়তো বাচ্চাকাচ্চাদের সাথে মজা করছে।
–হিহিহিহি,তুমি না ভাবী?

নাতাশা ওয়ারড্রব থেকে পেছনে ঘাড় ঘুরে তাকায়।প্রিয়াকে বলে,
–কী?
–কিছু না।আচ্ছা আগে তুমি রেডি হও।

নাতাশা মেরুন রঙ্গের একটা শাড়ি পড়ে।চুলগুলো পেছনের দিকে ছড়িয়ে নেয়।ঠোঁটে হালকা গোলাপী লিপিস্টিক, চোখের উপরে-নিচে গাঢ় কাজল।আর কানে,গলায়,নাকে,হাতে সোনার গয়না পড়া।
যদিও মনের অনিচ্ছায় সাজটা কমই করা হলো,তবে এই স্বাভাবিক সাজে নাতাশাকে ডানাকাটা পরীর মতো লাগছে।
কোহিনুর বেগম সোফার উপর বসে বসে নীরকে কল করে যাচ্ছেন।দশবার কল বাজার পর নীর কল রিসিভ করে।
–নীর তুই কোথায় এখন?
–ওহ মা তোমায় বলতে ভুলে গেছি!আজ হঠাৎ করে আমার কোম্পানিতে বিদেশী ক্লাইন্ট এসছে।তাই তাড়াহুড়ো ভাব নিয়ে চলে আসছি এখানে।ভাবলাম কাজ শেষ করে আবার বাসায় ফিরে আসবো।এখন উনাদের সংলাপে বোধহয় না আজ আর ছাড়া পাবো।তাছাড়া এটাই আমাদের কোম্পানির সবথেকে বড় ডিল।এরকম ডিল যদি প্রথমেই হাতছাড়া করি তাহলে কোম্পানি লাটে উঠবে।বুঝলে?
–সব মানলাম।এখানে যে এখন বৌ-ভাত এরেন্জ হয়েছে,সেটা?
–মা আমিতো তা জানি।এখন কি করার আছে বলো।আমিতো কম চেষ্টা করছি না।আর তোমরা এরেন্জ শুরু করে দাও।আমি এখন নাহয় সন্ধে বাসায় গিয়ে পৌঁছাবো।এখন রাখি মা।ক্লাইন্টরা সামনে।

এ বলে নীর কলটা কেটে দেয়।কোহিনুর বেগমের চোখ থেকে একফোটা পানি বের হয়।নাতাশা এসে পাশে বসে কোহিনুর বেগমের। তড়িঘড়ি পানির ফুটো মুছে নেন।আর নাতাশার দিকে অধীর আগ্রহে তাকান।
মেয়েটিকে আজ এত এত সুন্দর দেখাচ্ছে যেন আকাশচুম্বী কোনো অপ্সরী। যার ডাগর ডাগর দু’চোখের মাঝে কল্পনার জগৎ-এ অবাধ বিচরণ, যার নরম দু’বাহুর মাঝে স্বপ্নডানায় চলাচল,যার নরম দু’ঠোঁটের মাঝে গোলাপের পাপড়ি আবরণ।

কোহিনুর বেগম নাতাশার রূপে মুগ্ধ! মন ভরে নাতাশাকে দেখে নেন।আর আক্ষেপ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখে চশমা এঁটে নেন।নাতাশার দিকে তাকিয়ে বলেন,
–মা নীর চলে আসবে।ওর আজ আর্জেন্ট একটা কাজ পড়ে গেছে তাই আর কি লেট হচ্ছে।তুমি চিন্তা করোনা ও ঠিক সময়ে চলে আসবে।

এ বলে নাতাশাকে আশ্বাসের সহিত সান্ত্বনা দেন।নাতাশা তাই ভেবে সবার সাথে গাড়ির দিকে রওনা করে।দুপুর বারোটা নাগাদ কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে সবাই পৌঁছায় ।
নাতাশাকে নিয়ে সবাই সোফায় বসে।তার কিছুক্ষণ পর নাতাশার বাড়ির লোকজন এসে উপস্থিত হয়।নাতাশা উনাদের দূর থেকে দেখে আনন্দে নেচে উঠে। আর নিদ,নিতুর দিকে অধীর আকুলে তাকিয়ে নাতাশার হৃদয় নড়ে উঠে।দু দুটা দিন নিদ,নিতুকে দেখেনি।শূন্যহৃদয়টা পরক্ষণে পূর্ণ হয়ে আসে নাতাশার।
নাতাশার মা-বাবা নাতাশার কাছে এসে নাতাশাকে জড়িয়ে ধরে।তাদের মেয়েটিকে কতটা বছর যেন দেখেননি,তাই আজ মনভরে বুকের দিকে মিশিয়ে নেন।
নাতাশার মা নাতাশার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলেন,
—নাতাশা,নীরবাবা কোথায়?তাকে যে দেখছি না?
নাতাশার চোখদুটো অনড় হয়ে আসে।মাকে ছাড়িয়ে মুখে মৃদু হাসির রেখা টেনে স্বাভাবিকভাবে বলে,
–মা আপনার জামাইয়ের আর্জেন্ট একটা কাজ পড়ে গেছেতো তাই আর কি..।আর এসে পড়বে মা টেনশন নিবেন না।
–আচ্ছা আচ্ছা, বুঝলাম।সমস্যা নেই মা,সমস্যা নেই।
তারপর নাতাশা ঘাড় উবু করে নিদ এবং নিতুকেও হৃদয়কাতর মনে জোরে চাপড়ে ধরে।
–কেমন আছিস তোরা?খুব মনে পড়েছে তোদের কথা।
–আপু আমরা ভালো আছি।তোমার কথাও আমাদের খুব মনে পড়েছে।আজ কিন্তু তোমাকে এবং ভাইয়াকে আমাদের সাথে যেতে হবে।
–আচ্ছা যাবো নিদ,নিতু।

পরে কোহিনুর বেগম এক এক করে নাতাশাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।সবাই নাতাশার সৌন্দর্য্যে পঞ্চমুখ।কেউ কেউ নাতাশাকে বাড়ির লক্ষী,বাড়ির রাণী ইত্যাদি বলে সম্বোধন করেন।তার গুণগানে ঢাক বাজিয়ে সমুদ্রের গান তুলেন।
কেউবা আবার কপালের চামড়া ভাঁজ করে বলেন,
–মেয়ে তো গ্রামের!নীরের মতো এরকম ছেলের ঘরে এই মেয়ে যে বউ হয়ে এসছে,এটাই তো তার কপালে আটখান।
–হু, আপা!নীর কিভাবে এই মেয়েকে বিয়ে করলো আমার মাথাই আসছে না।
–ছেলে বোধহয় রাজি ছিলনা।দেখো না ছেলেকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না।
–সেটাই ভাবি।
মানুষের এধরনের ফিসফিসানি সমালোচনাও নাতাশা সহ্য করে নেয়।আর দিকে দিকে গেইটের দিকে তাকায় নীর আসছে কি না।কোহিনুর বেগমও ফোন হাতে নিয়ে একবার সদরে যান,আবার সবার সাথে সখ্য করতে ফিরে আসেন।উনার অস্থির মতি মন ছেলের অপেক্ষায়।

তারপর দুপুর গড়িয়ে যায়।সবাই লাঞ্চ শেষ করে নীরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।এভাবে বিকেলেরও বিদেয় হওয়ার পালা।কোহিনুর বেগমের এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। জড়োসড়ো কল লাগায় নীরকে!অনেকবার কল বাজার পর নীর ক্রদ্ধ কন্ঠে বলে উঠে,
–আমি বিজি! কেন বার বার কল দিচ্ছ?তুমি বুঝতেছ না আমি কতবড় ডিলে আছি এখন।একটুতো বোঝার কথা তোমার।নাকি গ্রামের মানুষদের সাথে তুমি বেহুতাশ হয়ে গেছ!

কোহিনুর বেগমের দু’ঠোঁটে কাঁপুনি ধরে যায়।সবার সামনে হাসিমুখ করে ছেলেকে বলে,
–আচ্ছা বাবা তুমি তোমার গুরুত্বপূর্ণ কাজটা শেষ করো।আমরা তোমাকে বিরক্ত করবো না।আর তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এসো বাজান।আমরা সবাই তোমার জন্যে বসে আছি।।
–রাখো!!
কোহিনুর বেগম মলীন মুখ করে কলটা কেটে দেন।সবার দিকে তাকিয়ে আবার মৃদু হাসির রেখা টানেন।নাতাশা তা লক্ষ্য করে দু’চোখ বুঁজে নেয়।কারণ নাতাশার মনে নীরের এধরনের উদ্ভট কাজকারবার ভালো ঠেকছে না।।কোহিনুর বেগম কিছু লুকচ্ছে।অপেক্ষার প্রহরটা বেশি হওয়াতে চারদিক থেকে ঘনঘটা অন্ধকারও নেমে আসে।অনেকে মনে অত্যুক্তি নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার থেকে বের হয়ে যায়।ঢের মেহমানের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকে।হতাশার চাপ কোহিনুর বেগমের চোখে-মুখে।নাতাশার মা-বাবাও বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্যে মনস্থির করেন।নাতাশা তা আর মেনে নিতে পারে নি।উপরের দিকে তাকিয়ে খোদাকে মনে মনে বলে,
–হে খোদা,আমার মা-বাবাও যেন মনে কিছুটি না নেন।খোদা আমার মা-বাবার এক পরিমাণ কষ্ট আমার হৃদয়টা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।তুমি একরম কার্পণ্যতা করোনা।অন্তত আমার মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে নীরকে শীঘ্রই ফিরিয়ে আনো।

এশার আযান পড়ে যায়।
নাতাশার বাবা কোহিনুর বেগমের কাছে গিয়ে বলেন,
–আপা,আপনাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি।কিছু মনে নিবেন না।তাছাড়া অনেক রাত হয়ে গেছে।তাই এখন আর থাকা সম্ভব না।নীর বাবার জন্যে রাখা এই আংটি এবং গলার চেইন আপনার কাছে রেখে গেলাম।আর নীরবাবা বাসায় ফিরলে বলবেন কিছুদিন অফিসে ছুটি নিয়ে নাতাশাকে আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে।
–সে-কি বেহায় সাহেব!কেমন কথা বলছেন।এখনই চলে যাবেন?
–হ্যাঁ আপা।আমি হার্টঅ্যাটাকের রোগী বেশিক্ষণ কোথাও গেলে থাকতে পারিনা।আর ইনসাল্লাহ এমন নাতো কোথায় একেবারে চলে যাচ্ছি,ইনসাল্লাহ আমি আবার আসবো।ভালো থাকবেন।

এ বলেই নাতাশার বাবা নিদ,নিতুর হাতে ধরে সদরের দিকে চলে যান।নাতাশা পেছন থেকে বলে উঠে,
–বাবা??!
নাতাশার বাবা পেছন ফিরে তাকান।মেয়ের দিকে একটা রাঙ্গা হাসি দিয়ে বলেন,
–এখন যাচ্ছিরে মা।আবার আসবো।আর তুইও যাস।ভালো থাকিস মা।
নাতাশা চোখদুটো দিয়ে বাবার কথা অনর্গল শুনে যায়।বাবাকে কিছু বলতে যেয়েও পারছে না।এরইমধ্যে চোখের সামনে উধাও হয়ে যায় নাতাশার বাবা-মা,আর ছোট সেই আদুরের দু’ভাই-বোন।
কষ্টেভরা বুকটা চিনচিন ব্যথা করে উঠে।বুকটা ভীষণ পাষাণ হয়ে যায়,বাকটা রুদ্ধ হয়ে যায়,চোখের দৃষ্টি স্থবির থেকে যায় তার এি-সীমানায়।
নাতাশা বাসায় ফিরে ক্লান্তিঘোরে রুমে ফিরে আসে। নিথর দেহটা ফ্লোরের উপর ফেলে সরু হয়ে শুয়ে পড়ে।

এদিক দিয়ে,
নীরের ব্যস্ত সময় শেষ হলে শার্টটা পড়ে নেয়।শার্টের বুতাম লাগানোর সময় পেছন থেকে ডলি জড়িয়ে ধরে বলে,
–নীর এখনই চলে যাবি?আর একটু থাক না প্লিজজ?
–আজ আর থাকা হবে নারে।আমার এখনই বাসায় ফিরতে হবে।নাহলে মা মাইন্ড করবেন।জানিসই তো আমার মা কেমন!
ডলি ঘুরে নীরের সামনে এসে দাড়ায়।দু’কাঁধে হাত রেখে বলে,
–আমাকে মিস করবি না তুই?
নীর মুঁচকি হেসে বলে,
–অবশ্যই!
–তাহলে একটা কিস দে?
–উম্মাহ!
–উহু,এই কিসে হবে না।
–তাহলে,?
–লিপ কিস!
–এখন সময় নেই।আমার আবার বাসায় ফিরতে হবে।বায়য়।

এ বলেই পাস কেটে আসে নীর।আর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে।

চলবে…