সম্পর্কের অধিকার পর্ব-২৭ এবং শেষ পর্ব

0
1000

#সম্পর্কের_অধিকার
#Hridita_Hridi
#পর্ব২৭(শেষ পর্ব)

রিয়নের কথা শুনে ইন্দু আরও কান্নায় ভেঙে পরে। রিয়নও ইন্দুকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়। রিয়ন জানে এখন ইন্দুকে জিজ্ঞেস করেও কোনো লাভ হবে না। ও কিছুই বলবেনা এই মুহুর্তে। রিয়ন ইন্দুকে বুকে জরিয়ে বসে আছে কিছু বলছেনা। আর ইন্দু একাধারে কেঁদেই চলেছে। অনেকটা সময় পরে ইন্দু কান্না থামায়। এখন অনেক হালকা লাগছে নিজেকে।
ইন্দু দেখলো সে রিয়নের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ। মনে মনে ভাবছে,
“যার জন্য বুকে এতোটা যন্ত্রণা, জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছি প্রতিটা মুহুর্তে, অবশেষে কিনা দুঃখটাকে নিবারণ করার জন্য, তার বুকটাই বেছে নিতে হলো! তার বুকেই মুখ গুজে দুঃখটাকে দুর করতে হলো!”

রিয়ন বুঝতে পারছে ইন্দু এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই ইন্দুকে বুক থেকে তুলে ইন্দুর দুই গালে হাত রাখে। রিয়ন ইন্দুর দিকে ঝুঁকে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে বিন্দু সোনা আমায় একটা সত্য কথা বলোতো!
রিয়ন ইন্দুর এতোটাই কাছে চলে এসেছে যে রিয়নের গরম নিশ্বাস পরছে ইন্দুর চোখমুখে। গরম নিশ্বাসে ইন্দু কেঁপে কেঁপে উঠছে। এক দৃষ্টিতে রিয়নের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কন্ঠে ইন্দু পাল্টা প্রশ্ন করলো, কি বলবো?

রিয়নঃ আস্তে আস্তে ইন্দুকে বলে কিসের এতো ভয় তোমার? কাকে ভয় পাচ্ছো তুমি? আমি যে বিন্দুকে চিনি সেটা তো তুমি নও? তাহলে বলো তোমার এই রুপ কেনো। তোমাকে এভাবে দেখতে আমার মেটেও ভালো লাগেনা। তুমি আজ কয়েকটা দিন আমায় এভয়েড করো কিছু জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দাওনা। এমন কি আজ তুমি আমার সামনে পর্যন্ত আসোনি। তুমি কি জানো! তোমায় না দেখলে আমার কতোটা কষ্ট হয়? তুমি কি জানো! তোমায় না দেখে কোথাও বেরুলে আমার মন বসেনা সেখানে। কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারিনা আমি। পাগল পাগল লাগে আমার। তুমি কি সত্যি এগুলো বুঝতে পারোনা? নাকি বোঝার প্রয়োজন ই মনে করোনা। আমি আমার সেই বিন্দুকে চাই যে সবসময় আমাকে জ্বালিয়ে মারবে। সবসময় হাসিখুশি, ছুটোছুটি করবে।আমি তো সেই বিন্দুকেই চাই সবসময়ের জন্য। কথাগুলো বলে ইন্দুর কপালে নিজের কপালটা এক করে অঝোরে কাঁদতে থাকে রিয়ন। কান্না করতে করতে ইন্দুকে শক্ত করে বুকে জরিয়ে ধরে বলে, আমায় একটা কথা বলোতো বিন্দু, আমি কি এতোটাই খারাপ! যে একজন ভালো লাইফ পার্টনার তো হতে পারলাম ই না, একটা ভালো বন্ধু ও হতে পারলামনা।
একটা ভালো বন্ধু হলে অন্তত তোমার আনন্দ- দুঃখের ভাগ পেতাম।

ইন্দুঃ বুঝতে পেরেছে রিয়ন কেনো কথাগুলো বলছে।ইন্দু তাকে কিছু বলেনি বলে খুব কষ্ট পেয়েছে বেচারা রিয়ন। তবে ইন্দুর মাথায় কিছুতেই একটা বিষয় আসছে না, যে ছেলে এভাবে কষ্ট পেয়ে কাঁদতে পারে আমার জন্য , সে কি আমায় সত্যি ঠকাতে পারে? সেটা কি আদৌ সম্ভব! নাকি সৃজা ভুল দিকে ইঙ্গিত করে আমায় ভুল বোঝাচ্ছে! সবটা কি রিয়ন বাবুকে বলে দিবো? রিয়ন বাবু কি আমায় বিশ্বাস করবে?
সে যাই হোক আগে রিয়ন বাবুকে শান্ত করতে হবে।
ইন্দু হাসি মুখে বলে, আরে আরে! ছেলে মানুষ এতো কান্না করলে কি করে হবে বলুনতো! এতো কান্নাকাটি করলে আমার কথাগুলো শুনবেন কখন? ইন্দু রিয়নের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে রিয়নের চোখের জল মুছে দিয়ে বলে আচ্ছা সৃজাকে ভালোবাসেন? বিয়ে করতে চান দুজন?

ইন্দুর কথা শুনে রিয়ন ভ্রু কুঁচকে বলে কি যা তা কথা বলছো! তোমার কি মাথা ঠিক আছে? আমি সৃজাকে বিয়ে করবো? আমি তোমায় আগেই বলেছি ওর সাথে আমার সম্পর্কটা কেমন, তারপর ও তুমি এসব বলছো?

ইন্দু তখন রিয়নের দিকে তাকিয়ে বলে এসব আমি নয়, আপনার সৃজাই বলেছে আমায়।
ইন্দুর কথা শুনে রিয়ন ভ্রু কুঁচকে বলে কি বলছো তুমি? সৃজা এসব বলেছে তোমায়?

ইন্দুঃ হুম, এটা শুনলেই বুঝতে পারবেন। রিয়নের দিকে ফোনটা এগিয়ে দিয়ে কথাটা বলে ইন্দু। সেদিন যখন সৃজা ফোন করেছিল, তখন ইন্দু সৃজার কথাগুলো রেকর্ড করে রেখেছিলো। তাই ইন্দুকে আর কষ্ট করে সব কিছু বলতে হলোনা।

রিয়ন অডিও রেকর্ড টা শুনে রেগে গেলো। সৃজা এতোটা নিচ মনের মানুষ! ছিঃ! আমি বিন্দুকে এতোটা ভালোবাসি জেনেও আমার ভালোবাসার ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিতে দুবার ভাবলো না? মুহুর্তেই রিয়নের চোখমুখ লাল হয়ে গেলো রাগে। রিয়ন পারে তো সৃজাকে এই মুহুর্তে শেষ করে দেয় এমন অবস্থা। তারপর ভাবে রেগে কোনো কাজ করা যাবেনা তবে শাস্তি তো ওকে পেতেই হবে। আমার সাথে ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমি ওকে এতোটা বিশ্বাস করতাম বাট বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছে ও।
পকেট থেকে ফোনটা বের করে সৃজাকে ফোন করে।সৃজা ফোন রিসিভ করতেই রিয়ন বলে এক্ষুনি আমাদের বাসায় চলে আয়।

সৃজাঃ কোথাও ঘুরতে যাবি নাকি। আগে বলিসনি
তো।
রিয়নঃ আরে এটা সারপ্রাইজ, আগে থেকে জানালা তো এতোটা খুশি হতিনা তাইনা?.
সৃজাঃ রিয়নের বাসায় এসে সোজা রিয়নের রুমে চলে যায়।গিয়ে দেখে ইন্দু আর রিয়ন রুমে বসে আছে। সৃজাকে দেখে রিয়ন বলে আরে সৃজা আয় আয় বোস। সৃজা কিছু বুঝতে পারলোনা হঠাৎ রিয়ন তাকে কেনো ডেকে পাঠালো।

রিয়ন সৃজাকে বেডে বসিয়ে দুইহাত বুকে গুঁজে সিরিয়াস ভাব নিয়ে বললো। সৃজা, আমি তোকে কখনো বলেছি যে আমি তোকে ভালোবাসি? আমি তোকে বিয়ে করতে চাই?

সৃজা একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলে কি বলছিস এসব! আমি কখন এসব বলেছি যে তুই আমায় ভালোবাসিস? আর আমি তো জানি তুই ইন্দুকে ভালোবাসিস তাহলে।আমি কে কেনো, এ এসোব বলতে যাবো।

রিয়নঃ ওহ্! রিয়েলি! তুই এসব কিছু বলিসনি? তাহলে এটা কি বলে অডিও রেকর্ড টা চালিয়ে দেয়।

সৃজাঃ মাথা নিচু করে বসে আছে চোখ থেকে টুপ টুপ করে জল গড়িয়ে পরছে।

রিয়নের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই রেকর্ডটি শুনে তো অবাক হয়ে যায়। সৃজা কিনা এই কান্ড করেছে! কিন্তু কেউ মুখে কিছু বললোনা কারণ আজ যা বলার রিয়নকেই বলতে হবে। আজ প্রমান হয়ে যাবে রিয়ন তার বিন্দুকে ভালোবাসে কিনা!

রিয়নঃ এখনো বলবি তুই কিচ্ছু করিসনি? নাকি নিজের কৃত এই জঘন্য পাপ স্বীকার করবি। তুই খুব ভালো করে জানিস আমি বিন্দুকে কতোটা ভালোবাসি, তারপরও তুই কি করে ভাবতে পারলি বিন্দুকে আমার লাইফ থেকে সরিয়ে দিলেই আমি তোকে মেনে নিবো?

রিয়নের কথা শুনে সৃজা রেগে গিয়ে চিল্লিয়ে বলে কেনো মেনে নিবিনা আমাকে? ওই গেঁয়ো অশিক্ষিত মেয়েটাকে যদি আমার জায়গায় এনে বসাতে পারিস। তাহলে ওকে সরিয়ে ওর জায়গাটা আমি কেনো নিতে পারবোনা বল? তুই তো আমায় ভালোবাসতিস । তাহলে এই মেয়েটা তোকে কিসের হুমকি দিয়েছে যে আমায় ভুলে গিয়ে তুই এই মেয়েটার প্রেমে পরলি। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই অশিক্ষিত মেয়েটা তোকে ফাঁসিয়েছে। তা না হলে তুই এই রকম একটা অশিক্ষিত মেয়ের প্রেমে কখনোই পরতি না। এই মেয়ের কি যোগ্যতা আছে বল আমায়? কি যোগ্যতা আছে? যে সেই যোগ্যতায় তোর বউ হতে পারে ও। ওর না স্ট্যাটাস না আছে রুচি জ্ঞান, এই মেয়ে তো ওর স্ট্যান্ডার্ডের কাউকে ডিজার্ভ করে, তোকে নয়। মেয়েটা এভাবে কতো ছেলেকে এভাবে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছে তা এই লো মাইন্ডেড মেয়েটাই জানে।

সৃজা….
বলে জোরে চিল্লিয়ে সৃজার গালে একটা কোষে থাপ্পড় মারে রিয়ন। রাগে চোখমুখ শক্ত করে করে বলে ব্যাস –
অনেক বলে ফেলেছিস তুই বিন্দুর নামে। তোর মুখ থেকে বিন্দুর নামে আর একটা কথাও আমি শুনতে চাইনা। কাকে লো মাইন্ডেড বলছিস? এই বিন্দুকে! তাহলে বলবো তুই আজও ভালো মনের মানুষই চিনতে পারিসনা।
তুই যাকে গেঁয়ো অশিক্ষিত বলছিস সে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ভার্সিটি টপার স্টুডেন্ট। আর হ্যা তোর জায়গায় ও বসেনি বরং ওর জায়গাটা ও নিজে তৈরি করছে। তোকে আমি কখনো ভালোইবাসিনি। ভালোবাসার মানেটা আমি বিন্দুর থোকেই জেনেছি। বিন্দু আমার প্রথম ভালোবাসা আর ও ই আমার শেষ ভালোবাসা।

রাই এগিয়ে গিয়ে কিছু ছবি সৃজাকে দিয়ে বলে এটা দেখো আপু। তাহলে বুঝতে পারবে মিষ্টি ভাবি আমার ভাইয়াকে ভালোবাসেনি বরং ভাইয়াই মিষ্টিভাবির পিছু পিছু ঘুরেছে একটু ভালোবাসা পাওয়ার আশায়।
সৃজা ছবিগুলো বের করে দেখে আরও ক্ষেপে যায়। কারণ এমন হ্যাঙলা রিয়নকে সে আগে কখনো দেখেনি। একটা ছবিতে রিয়ন ইন্দুর আঁচল টেনে ধরে আছে। একটাতে রিয়ন ইন্দুর দিকে ক্যাবলাকান্তের মতো তাকিয়ে আছে আর ইন্দু রাগী ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে রিয়নের দিকে। প্রায় সব ছবিতে রিয়ন ইন্দুর দিকে হাবলুর মতো চেয়ে আছে। সর্বশেষ ছবিটি দেখে সৃজা সবথেকে বেশি চটে যায়। রিয়ন কাঁদায় মাখামাখি জমিতে পরে আছে আর বুকের উপর ইন্দু। রিয়ন ইন্দুর দিকে তাকিয়ে হাসছে।

সৃজা ছবিগুলো ছুড়ে ফেলে রিয়নকে বলে তুই তো বলেছিলি তোদের বিয়ে একবছরের কন্টাক্ট করা আছে? আর তুই তো ওকে বিন্দু বলে ডাকিস যার অবস্থান নিতান্তই তুচ্ছ। তাহলে আজ সবকিছু কিভাবে ভুলে যেতে পারিস তুই? আর কিসের অধিকারে দাবি করছিস তুই? যেটা আর মাত্র কয়েকটা দিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে সেই অধিকারে?

রিয়নঃ আমি কিচ্ছু ভুলিনি সব কিছু মনে আছে বরং তুই সব ভুলে গেছিস। বিন্দুর আর আমি যে এগ্রিমেন্টে সাইন করেছি সেটা শুধু কয়েকটা শর্ত মাত্র। সেখানে ডিভোর্স সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই। আর সেটা ডিভোর্স পেপার নয়।
আর বিন্দুর ব্যাপারটা বলছিস তো? আমরা লাইফটাকে সবসময় পড়াশোনার আওতায় আনি বলেই ভুলটা করি জানিস তো! আমরা সহজ জিনিটাকে সহজ ভাবে নিতে পারিনা। আমি ওর নাম বিন্দু বলি কোন অর্থের দিক থেকে নয়। বিন্তীর প্রথম অক্ষর আর ইন্দুর শেষ অক্ষর দিয়ে আমি ওকে নাম দিয়েছিলাম বিন্দু। তবে এই বিন্দু যে এতোটা মিনিংফুল হবে তা ভাবতে পারিনি। বিন্দুতে সবকিছু শুরু হয় আবার বিন্দুতেই সবকিছু শেষ। আমার লাইফের সকল আনন্দ এই বিন্দুতে শুরু হয়েছে আর এই বিন্দুতেই শেষ হবে।আমি শুধু বিন্দুকেই ভালোবাসি আর ওকেই ভালোবেসে যাবো। আর যদি অধিকারের কথাই ওঠে তবে বলবো #সম্পর্কের_অধিকারের দাবি করছি।
রিয়ন ইন্দুর সামনে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে এক হাত বাড়িয়ে ইন্দুর উদ্দেশ্যে বলে, তোমার পাগলামির পাগল হওয়ার কি একটা সুযোগ আমায় দেওয়া যায়না? একবার বিশ্বাস করে দেখতে পারো বিশ্বাসের অমর্যাদা কোনোদিন হবেনা। বড্ড বেশি ভালোবসি বিন্দু পাখি। একটু ভালোবাসবে আমায়?

রিয়নের এমন কথা শুনে সৃজার মাথা চক্কর দিয়ে উঠে ওখানেই পরে যায়। রিয়ন সৃজার দিকে তাকাতেই দাদু বলে ওঠে, দাদুভাই তোমায় এদিক দেখতে হবেনা। তুমি তোমার কাজ করো আর এই সৃজাকে আমি সামলে নিবো। রুপক,দাদু আর রিয়নের মম মিলে সৃজাকে ধরে বাইরে নিয়ে যায়।

রিয়নঃ ইন্দুর দিকে তাকিয়ে বলে আমার জবাবটা এখনো পেলাম না। বলো ভালোবাসো কি আমায়?

ইন্দু রিয়নের দুই হাত ধরে টেনে তুলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলে কখনো মাঝপথে একা ফেলে চলে যাবেন না তো?

রিয়নঃ একবার ভালো তো বেসে দেখো সারাটাজীবন এই বুকের খাঁচায় বন্দী করে রাখবো কোথাও যেতে দিবোনা সোনা। বিকজ, আই লাভ ইউ।
ইন্দুঃ I love you too. তা আপনি রেডি তো আমার উৎপাত সহ্য করার জন্য ?
রিয়নঃ ইন্দুকে কোলে তুলে কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বলে হুম আমি প্রস্তুত। সব সময়ের জন্য আমার বাচ্চা আর বাচ্চার মায়ের সকল পাগলামি আর বায়না মেটাতে আমি প্রস্তুত।
রিয়নের এই লাগাম ছাড়া কথা শুনে ইন্দু লজ্জায় রিয়নের বুকে মুখ লুকোয়।

পূর্ণতা পায় ইশিকা রিয়নের ভালোবাসা।

———————-সমাপ্ত ——————–

(পুরো গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ যারা পুরোটা গল্পেই আমার পাশে থেকে আমায় উৎসাহ দিয়েছেন।)

আগামীকাল নতুন গল্প পাবেন আরও একজোড়া রোমান্টিক জুটিকে নিয়ে হাজির হবো।🥰 ভালো থাকবেন সবাই।