অতিরিক্ত চেয়েছি পূর্ণতায় পর্ব-০১

0
832

#অতিরিক্ত_চেয়েছি_পূর্ণতায়
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০১

বান্ধবীর সঙ্গে বরের সাজে প্রিয় মানুষটিকে খুশিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাফিয়া অসহনীয় কণ্ঠে বলে, ‘বউ বানানোর স্বপ্ন দেখালে আমাকে। অথচ বিয়ে করে বউ বানাচ্ছো আমারই বান্ধবীকে। বাহ্ ইফতিয়াস বিবেকে কি একটুও বাধঁল না তোমার? আমাকে ছুঁ’ড়ে ফেলার কারণটা কি একটু বলবে?’

বিয়ের মঞ্চে সকলে চমকিত দৃষ্টিতে বর অর্থাৎ ইফতিয়াস আহমেদের দিকে তাকায়। দৃষ্টি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে সে। আমতা ভাব নিয়ে রাফিয়াকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের কণ্ঠে বলে,

‘কি বলছিস তুই রাফু? আমি কবে তোর সঙ্গে অসভ্যের মত কাজ করেছি। এসবের ধারপ্রান্তেও আমি নেই।’

রাফিয়ার মেজাজ তুঙ্গে উঠল। পকেট থেকে ছু’ড়ি বের করে ইফতিয়াসের গলায় আচড় লাগায়। ‘আহ’ করে শব্দ বের হলো তার মুখ থেকে। রাফিয়াকে ধরতেও অক্ষম সে। কেননা যদি ধস্তাধস্তির পর্যায়ে নেমে পড়ে। নিশ্চিত তার মৃত্যু হবে! বিধেয় ধীরস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বাণী আওড়ানোর বুদ্ধি এটেঁ। নিজের পাশে বধূর সাজে সজ্জিত হবু বউ ইশিতা অথাৎ রাফিয়া বান্ধবীকে দেখে ইফতিয়াস কুবুদ্ধির জোড়ে বলে,

‘ইশু তুমি না হয় বিশ্বাস করো এ মেয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এর সাথে আমার কোনো সম্পর্কই নেই। না জানি কোন পাপের কর্ম নিয়ে আমার ঘাড়ে চড়ার চেষ্টা করছে। কোথার না কোথার রাস্তার মে…।’

‘মেয়ে’ শব্দটা বের করতে দেয়নি রাফিয়া। জোরালো চ’ড় লাগায় ইফতিয়াসের গালে। ছু’ড়িটা সে ফেলে দিয়েছে। বাঁকা হেসে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের শেরওয়ানির কলার চেপে ধরে ঘনিষ্ঠ হলো। এতে যেন জান বেরিয়ে পড়ার উপক্রম ইফতিয়াসের। শরীরে শারীরিক আবেদন ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে তার মাঝে। ঢোক গিলে চর্তুপাশ্ব দৃষ্টি বুলিয়ে ব্যঙ্গ কণ্ঠে বলে,

‘দেখ রাফু অসভ্যের মত গায়ের সঙ্গে লেগে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো? একে তো বিয়ের স্টেজে দাঁড়িয়ে নিজের চরিত্রকে নষ্টের মূল হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিস। সেই সঙ্গে আমার বিয়েটা নিয়ে ছেলেখেলা করছিস। সোজাসুজি বিদায় নেয়।’

রাফিয়ার ভ্রুক্ষেপ নেই। ইফতিয়াসের গালে তর্জনী আঙুল বসিয়ে স্লাইড করতে থেকে বলে,

‘এত জলদি রুমডেটের কথা ভুলে গেলেন ইফতিয়াস ভাইয়া? কুমারিয়া আবাসিক হোটেল, রুম নং পনেরো,রেডিওতে স্লো মিউজিক,টিভিতে হ’ট সিন, বিছানায় ফুলের সমারোহে একে অপরের জড়িয়ে ধরে….।’

বাকি কথা চোখ টিপ দিয়ে ইশারায় বুঝিয়ে দেয় রাফিয়া। ইফতিয়াসের কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছে। তার হবু বউ ইশিতা স্তদ্ধ নয়নে চেয়ে আছে তার বান্ধবী ও হবু বরের দিকে। রাফিয়াকে মোটেও সহ্য হচ্ছে না তার। তবুও সে বাধ্য নিরব থাকতে। কারণ ইফতিয়াসের মৌনতা স্বীকার করছে রাফিয়ার বলা কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। আড়চোখে ইশিতার দিকে একপলক তাকায় রাফিয়া। মেয়েটি তার বান্ধবী হয়েও ধোঁকা দিল। ফলে মন থেকে সে ব্যথিত। কিন্তু অপরাধীকে সায় দিলে সে পুনরায় অপরাধ করতে দ্বিধা করে না। এই পদক্ষেপ নিতে সে পরিপূর্ণ বাধ্য। ইফতিয়াসের কান বরাবর ঠোঁট এনে রাফিয়া তার হুঁশ উড়িয়ে দেওয়ার মত কিছু কথা বলল।

‘মিস্টার প্লেবয় ইউর গেম ইজ ওভার। কোজ আইম গুডগার্ল বাট নট লাইক ইউ।’

কথাটি যেন হজম হলো না ইফতিয়াসের। প্রশ্নাতীত দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। পরক্ষণেই ইশিতার কথা ভেবে রাফিয়াকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়। ইশিতার হাত ধরে বিনতির কণ্ঠে বলে,

‘ইশু তুমি চিনো আমাকে। কখনো তুমি ছাড়া কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলিনী। দিনরাত খালি তোমার সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত থাকতাম। ক্লাব,নেশা সব থেকে দূরে থেকেছি। তোমাকে নিজের করে পাওয়ার আশায় সব বাজে কাজ থেকে সেই কবে দূরে সরে গিয়েছি। এখন এই মেয়ের মাথায় কি সমস্যা হলো কে জানে? আমার বিয়ের মধ্যে নাটক শুরু করেছে।’

‘মিথ্যে বললে কালো কাক পিছু ছাড়ে না, তাই কালো কাককে ভয় পেও।’

ব্যঙ্গ করে কথাটি বলে ইফতিয়াসের গলার মালা খুলে নিজের গলায় পরে নেয় রাফিয়া। তার খালা ও খালু অগ্নিদৃষ্টিতে চেয়ে আছে ভাগ্নীর দিকে। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)খালা মিসেস রহমানা এসে রাফিয়ার চুলের মুঠি আকড়ে ধরে চেঁচিয়ে উঠে।

‘ওই ন’ষ্টা মেয়ে! নিজের ভাইরুপী ইফতিয়াসের নামে বদ’নামী করছিস। বল কি কমতি রেখে ছিলাম তোর আবদারের? যে এমন নাটক রচিয়ে ছেলের নাম খারাপ করতে উঠে পড়ে লেগেছিস? নিজের মা-বোনের দিকেও তোর নজর নেই দেখে আমার ছেলেকে নর্দমায় ফেলার জন্য ফন্দি করছিস কি হলো বল সত্য কি?’

খালার অগ্নিরুপে আর্তনাদে ফেটে পড়ল রাফিয়া। তিনি চুল শক্তপোক্ত করে ধরায় মাথায় যন্ত্রণা আরম্ভ করছে সে। ইফতিয়াস আড়ালে রহস্যময় হাসি দেয়। সে তার দৃষ্টি প্রধান গেইটের এককোণায় রেখে ইশারা করে কাজ আরম্ভ করতে। অপরপাশ্বের ব্যক্তি সেখান থেকে অদৃশ্যে চলে যায়। ইফতিয়াসের হবু বউ ইশিতা দিগ্বিদিক না ভেবে তার হাত আঁকড়ে ধরে। আকস্মিক কাজে খালা ও খালু খুশি হলো। জনাব নাহিরউদ্দীন আহমেদ উৎকণ্ঠার ন্যায় হবু বউমা ইশিতাকে জিজ্ঞেস করে।

‘মা তুমি কি এই বিয়ে করতে চাও? দেখো আমি জানি আমার ছেলে কিছু করেনি। বরং এই আমার ভাগ্নীই সব ন’ষ্টের গোড়া। তার কথা বিশ্বাস করো না। আমার আর্দশে বড় করেছি ছেলেকে। সে কখনো কোনো মেয়ের সম্মান নিয়ে খেলা করেনি। আমি বাবা বলে সন্তানের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি এমনটা ভেবো না মামুনি। আমার নিজের রক্তের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা থাকায় বললাম।’

ইশিতা আশ্বস্ত কণ্ঠে বলে,

‘আঙ্কেল আমার এ বিয়েতে কোনো ধরনের অমত নেই। বাইরের মেয়ে এসে কি না কি বলছে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’

বান্ধবীর কথাগুলো যেন তীরের মত বিঁধল রাফিয়ার বুকে। ভেবেছিল তার করা কাজে বিয়েটা ভেঙ্গে যাবে। নতুন বউ সেজে তৎক্ষণাৎ ইফতিয়াসকে রাজি করাবে তার সঙ্গে বিয়ে পড়ার জন্য। রাফিয়া যতই ঘৃণা,অভিমান করুক না কেনো মন থেকে তবুও এক সুযোগ সবাই দেওয়ার আশা রেখে ছিল। ফলে প্রিয় মানুষটার জীবনে জড়ে যাবার সুযোগ পাওয়ার লোভে সে নিজেকে নিকৃষ্ট প্রমাণ করতেও পিছু হাঁটেনি। নাহিরউদ্দীন সাহেব ও মিসেস রহমানা রাফিয়াকে বিয়ের স্টেজ থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। কান্নারত দৃষ্টিতে ইফতিয়াসের দিকে চেয়ে বলে,

‘ইফতি প্লিজ বিয়েটা করো না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি ইফতি। আমার জীবন নরক হয়ে যাবে তুমি ছাড়া। একবার বলে ছিলে কখনো ছাড়বে না তুমি। তাহলে আজ কেনো তুমি অন্য কাউকে নিজের করছো ইফতি। প্লিজ ইফতিই বিয়েটা করো না প্লিজ!’

ভরা মজলিশে কেউ পাত্তা দেয়নি এক মেয়ের বুকভরা বেদনার বাক্যে। ইফতিয়াস পরম তৃপ্তিতে ইশিতার হাত আঁকড়ে ধরে বসে গেল সোফায়। তাদের সামনে কাজি সাহেব বিয়ের কাবিন পড়ায় ব্যস্ত হলো। সুখের হাত পেতে সে যে, সর্বনাশের গোড়াকে আগলে নিচ্ছে তার আভাস ঘুণাক্ষরে পেল না ইফতিয়াস।
নাহিরউদ্দীন সাহেব ও মিসেস রহমানা ছেলের বিয়ের কাবিন পড়ায় উপস্থিত হতে মরিয়া হয়ে উঠল। গেইটের বাহিরে ছুঁ’ড়ে ফেলল রাফিয়াকে। নাহিরউদ্দীন সাহেব তার মানিব্যাগ থেকে পাঁচহাজার টাকা নিয়ে রাফিয়ার মুখ বরাবর ছুঁ’ড়ে দেয়। ঘৃণ্য কণ্ঠে তিনি বলে,

‘নিজের মেয়ে ভেবে ছিলাম তোকে। সেই তুই ছু’ড়ি ঢুকিয়ে আমাদের ক্ষতি করতে চেয়েছিলি। মাফ করব না তোকে কখনো। চলে যাহ্ এখান থেকে। তোর কোনো মা-বোনের দরকার নেই। তাদের আমরা সামলে যত্নে রাখব। তোর যেখানে খুশি যাহ। যদি কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকে মরে যাস।’

নিজের স্নেহময়ী খালুর কাছ থেকে কাঠিন্যভরা বাক্য শুনে এলোমেলো দৃষ্টিতে চেয়ে রইল রাফিয়া। যিনি কৈশোরকালে বাবার পূর্বেই হাঁটতে শিখিয়েছে আজ তার কাছ থেকে ঘৃণা পেয়ে মরে যেতে ইচ্ছে করছে তার। তবে মরলে যে সব সমস্যার সমাধান হবে না। খালুর কথার পর খালা এসে পরপর দুটি চ’ড় লাগায় রাফিয়ার গালে। ঠোঁট ফেটে রক্ত গড়ালো তার। তবুও অটিস্টিক শিশুর মত হা করে চেয়ে রইল। মায়াবতী মুখশ্রীতে পাঁচ আঙুলের রক্তাক্ত ছাপ ফুটে উঠেছে। খালা সেসবে খেয়াল না করে রাফিয়ার চুল টেনে পিঠে হাত চালিয়ে মা’ই’র দিতে থেকে বলে,

‘কেন করলি বল তুই? তোকে নিজের হাতে খাওয়াছি,ভুল হলে মাফ করেছি, তোর সবকিছুর নজরবদ্ধ করেও তুই পিঠ পিছে ছু’ড়ি ঢুকিয়ে দিলি। তুই ন’ষ্টা আসলেই তুই অ’পয়া! পাড়াপড়শি এত বলে তবুও আমার মাথায় বোনের মেয়ে ভালো,বোনের মেয়ে চরিত্র অমায়িক এসব অন্ধ বিশ্বাস করতাম বলেই তুই ছাড় পেয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসালি। নিশ্চয় নিজের বিছানায় নিয়ে যেতে চেয়েছিস বল, বল না?’

রাফিয়াকে ছেড়ে কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে হাঁপাতে লাগে তিনি। কটু দৃষ্টিতে চেয়ে শাঁসাল।

‘চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যাবি। এ বাসার ত্রিসীমানাও যেনো তোকে না দেখি।’

কথাটুকু বলে তিনি আর দাঁড়িয়ে রইল না। ফোঁস করে ক্ষিপ্ত শ্বাস ছেড়ে গেইটের ভেতর প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর্তনাদের সুরে একটি বাক্যই রাফিয়ার মুখ থেকে বের হলো।

‘বেঈমান।’

পরিণয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। তখনি কেউ একজন নির্মলচিত্ত মুখশ্রী নিয়ে হাজির হলো রাফিয়ার সম্মুখে। তাকে উঠিয়ে মেডিক্যালের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। কেননা তার শরীরের কিছু স্থানে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ফলস্বরুপ জ্ঞান হারিয়েছে সে। রাফিয়াকে কোলে উঠিয়ে তার কোমল মুখের দিকে তাকিয়ে একপলক বিয়ের মঞ্চের দিকে তাকায়। বাকাঁ হেসে বলে,

‘থ্যাংকস ডুড আমার কাজটা তুই নিজেই সহজ করে দিলি।’

______

তিন কবুল বলে দুই নরনারী বিবাহ নামক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেল। তবুও কোথাও এক শূন্যতা অনুভব করতে লাগল ইফতিয়াস।

লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
রাত প্রায় একটা বাজছে।
ইফতিয়াস সংকোচ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাসর ঘরের দরজার সামনে। কাজিনরা তাকে দরজার সামনে এনে কিছুক্ষণ ঢপ মে’রে টাকা উসুল করে ছেড়ে দেয়। তবে ভেতরে প্রবেশ করার সাহস পাচ্ছে না সে। কারণ তার মনপাজঁড়ে রাফিয়ার চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। কবুল বলার পূর্বে ও পরে মেয়েটার আর দেখা পায়নি । ভেবে ছিল বিয়ে হয়ে গেলে ক্ষমা চেয়ে নেবে তার কাজের জন্য। কিন্তু হলো না পরিকল্পনা বাস্তবে।
না জানে তার মা কোথায় নিয়ে গেল মেয়েটাকে। এমন সব ভাবনার মাঝে সে চমকে গেল। আকস্মিক ভাবে বলে উঠে।

‘ভালোবাসিনী তাকে তাহলে কেনো হৃদয় পুড়ছে তার জন্যে? সে গেল তাতে খুশি হওয়া দরকার আমার। না, এতদিনের রিলেশনশিপ,রুমডেটের কারণে রাফিয়ার প্রতি মায়া জম্মে গেছে। মন্দ লাগা স্বাভাবিক। আজ আমার বাসররাত! নতুন বউ অপেক্ষায় আছে। যাই তাকে গিয়ে আদর-সোহাগ করি।’

উদ্ভূত চিন্তার দ্বারা নিজের অবুঝ মনকে কোনোমতে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে সে।
ঠোঁট কামড়ে বাসর রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বন্ধ করল দরজা। ইশিতা লাজুক হেসে পায়ে ধরে সালাম করে ইফতিয়াসকে। স্বাচ্ছন্দ্যে বউয়ের কপালে চুমু খেয়ে দেখে সামনে রাফিয়া। ভয়ে দূরে সরে গেল। ইশিতা স্বামীর আবেগীয় পরশ পেয়ে হঠাৎ সরে যাওয়ায় অবাক কণ্ঠে বলে,

‘কি হলো সরে গেলেন কেনো?’

ইশিতার প্রশ্নে চোখ পিটপিটিয়ে তাকায় ইফতিয়াস। বুঝল সে কল্পনায় রাফিয়াকে ভেবে ছিল বলে সামনে তাকে দেখতে পেল! তপ্ত শ্বাস ছেড়ে জড়িয়ে ধরে সুখের সন্ধানে ব্যস্ত হলো তারা।

চলবে…….