অদ্ভুদ ভালোবাসা পর্ব-২০

0
460

#অদ্ভুদ_ভালোবাসা
#সুমাইয়া_সুমু
পার্টঃ২০
,
সবাই অবাক চোখে গেটের দিকে তাকিয়ে আছে কারণ গেট থেকে পুলিশ অফিসার ভিতরে ঢুকছে। বাড়ির সবাই অবাক শুধু মুরাদ বাদে। ওর যেনো কোনো ভাবান্তর নেই। হঠাৎ করে পুলিশ গুলো কাছে এসে বললো-
পুলিশঃ এই খানে মিস: মাইশা কে?
মাইশার বাবা রবিন বলে উঠলো-
রবিনঃ মাইশা আমার মেয়ে কেনো?
পুলিশঃ মিস: মাইশাকে আমার এরেস্ট করতে এসেছি।
রবিনঃ কিন্তু কেনো?
পুলিশঃ মুরাদ খান উনার নামে কেস করেছে।
এই কথা শুনে সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। কিন্তু সবার মনে একই প্রশ্ন কেনো কেস টা করেছে মুরাদ নিজের হবু স্ত্রী’র নামে। হঠাৎ করে মি: রবিন রেগে মুরাদ এী কাছে এসে বললো-
রবিনঃ তুমি আমার মেয়ের নামে মিথ্যা মামলা কোনো করলে।
মুরাদঃ কারণ মাইশা আমার স্ত্রী কে মারতে চেয়েছে আমার পরিবারকে মারতে চেয়েছে আর আামাকেও বিয়ে করছে শুধু মাত্র সম্পত্তির লোভে।
রুহনা বেগম বলে উঠলো-
রুহানা বেগমঃ এসব কি বলছো মুরাদ বাবা আমার মেয়ে তোমাকে ভালোবাসে ও কেনো সম্পত্তির লোভে এসব এসব করবে। (থমথমে মুখ নিয়ে কথাটা বলো রুহানা বেগম)
উনার এই থমথমে মুখ দেখে মুরাদ আরেক দফা বাঁকা হাসলো। অতঃপর বলে উঠলো-
মুরাদঃ উফ্ তোমাদের এত তর সইছে ন কোনো সব জানতে পারবে আসতে আসতে সব জানতে পরবে। কথা বলে একটা ভিডিও ক্লিপ বের করলো মুরাদ আর ওটা চালিয়ে দিলো। এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মাইশা তার মাকে বলছেঃ উফ্ মা তুমিও কি যে বলো আমি কেনো ওই মুরাদ কে ভালোবাসতে যাবো আমি ভালোবাসি ওর সম্পত্তি কে এজন্য কত কিছু না করলাম হায়াত কে ওী জীবন থেকে দূরে সরালাম। অবশ্য ওকে মারতেও চেয়েছি কিন্তু পারিনি অতঃপর মামা মামি কেও মারার হুমকি দিলাম ড
তারপর না মুরাদ আমাকে বিয়ে করতে রাজি হলো।
রুহানা বেগম হেসে বলে উঠলো-
রুহানা বেগমঃ এই তা নাহলে আমার মেয়ে। অনেক আগে থেকে ভাইজান এর সম্পত্তির উপর আমার লোভ কিন্তু কখনো দখল করতে পারিনি কিন্তু এবার পাবো।
অতঃপর মাইশার মাথায় হাত বুলিয়ে রুহানা বেগম চলে যায়। এসব দেখে সবাই রিতীমত অবাক মুরাদ এর বাবা তো ঘৃন্নায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
হঠাৎ করে মাইশা পুলিশ অফিসার এর গান ছিনিয়ে নিয়ে সেটা হায়াত এর দিকে তাক করে বলে উঠলো-
মাইশাঃ সব কিছু যখন জেনে গেছো তো এখন একে বাঁচিয়ে লাভ কি ওকে মেরে ফেললে মুরাদ পাগল হয়ে রাস্তায় ঘুরবে আর আমি সেটা দেখে শান্তি পাবো। কথাটা বলে গুলি চালিয়ে দেয় গুলিটা গিয়ে লাগে হায়াত এর পেটে হায়াত নিজের পেট ট চেপে ধরে। মুরাদ চিল্লিয়ে বলে উঠে-
মুরাদঃ নাহহহহহহহহহহ্
হায়াত পরে যেতে নিলেই মুরাদ গিয়ে ওকে ধরে। আর পুলিশ মাইশার পায়ে একটা গুলি মারে যার ফলে মাইশার হাতের গান টা নিচে পরে যায়।মুরাদ পাগল এর মতো হায়াত কে ডাকছে –
মুরাদঃ বাবু’ইপাখি উঠো না এই বাবু’ইপাখি উঠো না দেখো তোমার মুরাদ তোমারি আছে।
হায়াত হালকা হালকা চোখ খুলে মুরাদ কে স্পর্শ করতে যাবে কিন্তু তার আগেই চোখ দুটু বুঝে নেয়। এটা দেখে মুরাদ আরো পাগল হয়ে যায়। মুরাদ আরো পাগলের মতো ডাকতে থাকে। ওর পাগলামি দেখে মাহিম বলে উঠে –
মাহিমঃ মুরাদ হায়াত কে নিয়ে তারাতারি হসপিটালে চল।
এই কথা শুনে মুরাদ পাগলের মতো দৌড়াতে থাকে হায়াত কে কোলে নিয়ে।
,
,
চলবে,,,,,,,