অন্তরালে কুয়াশার ধোঁয়া পর্ব-০৯

0
607

#অন্তরালে_কুয়াশার_ধোঁয়া
#পর্ব_9
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


আত্মহত্যা?আমি কেনো আত্মহত্যা করতে যাবো?(আমি অবাক হয়ে)

তোর বাবার কারণে আমার একমাত্র ছোটো বোন আত্মহত্যা করেছে।এখন তুইও করবি!(জহির)

আমার বাবার কারণে?কি বলতে চাইছেন?আমার বাবা কোনো দিন কারো কারো খারাপ চায়নি!আমার বাবা কোনো দিন আপনার মত নরপশু না।
এই কথাটা বলতেই জহির এসে আমার গালে কষে একটা থাপ্পর মারলো।আর আমি তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলাম।উনি আমার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে আমাকে টেনে তুললো,,
থাপ্পড় দেয়াতে আমার ঠোঁটের কোণে কেটে গেছে।শরীর দূর্বল হওয়াতে উনাকে যে দূরে ঠেলে দিবো তার শক্তিও আমার নেই।

শরীরে চলার মত বিন্দু মাত্র শক্তি নেই আর উনি এসে বড়ো বড়ো কথা বলছে!
বলেই উনি আরো একটা থাপ্পড় মারলো।এইবার আমার মাথা ঘুরাতে শুরু করলো।চোখে সব কিছু ঝাপসা হয়ে গেছে।চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছিল।কিন্তু চোখ দুটো বন্ধ হলে তো আমি বাঁচার শেষ উপায় টুকু হারিয়ে ফেলবো।
যথা সম্ভব চোখ গুলো খোলা রাখার চেষ্টা করছি।ফ্লোরে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে ঝিমাচ্ছি।

উনি আমাকে ছেড়ে বলতে শুরু করলো,,
জানিস তোর বাবা কি করেছে?তোর বাবা কতো খারাপ মানুষ।
বলেই উনি আমাকে সব ঘটনা খুলে বললো।


আমি নিচে দিকে তাকিয়ে কাদছি।আমার শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেলো।ঠোঁটের দুপাশ থেকে রক্ত পড়ছে মাথা ব্যাথা করছে।শরীরে এক ফোঁটা শক্তি নেই যে দৌড় দিয়ে পালাবো।মুখ দিয়ে কথা বলার শক্তিটুকু পাচ্ছি না।তবুও কষ্ট করে বললাম,,
আ,,,আমার বাবা কোনো ভুল কাজ করেনি।আমার বা,,বাবা যাকে ভালোবেসে তাকেই বিয়ে করেছে।এতে উনি কোনো পাপ কাজ করে নি।আপনি নিজেই নিজেকে নিয়ে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছেন।আর আমার,, আমার বাবাকে অযথা মেরে ফেললেন!
বলেই আমি কাদতে লাগলাম।

উনি আমার কথা যেনো কানেই তুললেন না।আরো জোড়ে জোড়ে হাসতে হাসতে বললেন,,,
আমি নিজে নয় প্রতিশোধের আগুনে তোদের নিয়েও জ্বলছি।জানিস শুধু তোর বাবাকে না তোর মাকেও আমিই মেরেছি।

আমি উনার কথা শুনে অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম।

এইভাবে তাকিয়ে লাভ নেই।আমিই তোর জন্ম যেদিন হয়েছে সেদিন হসপিটালে গিয়ে তোর মাকে নিজের হাতে খুন করেছি।আর ডক্টরদের টাকা খাইয়ে বলেছি তোর জন্মের সময় তোর মা মারা গেছে।তুই তো ভেবেছিলি তোর বাবা তোর সুরক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।কিন্তু না তোর বাবা ঘৃণায় তোকে নিজের কাছে রাখেনি।কারণ তোকে দেখলেই তোর বাবার তার ভালোবাসার মানুষের মৃত্যু চোখে ভাবতো।তোর বাবা সব সময় উনার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তোকে দায়ী করতো।(জহির)

আমি আপনার মত একটা জনোয়ারের কথা বিশ্বাস করবো?আমার বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতো।(আমি কাদতে কাদতে)

তাই নাকি?তাহলে উপরে গিয়ে বাবাকেই জিজ্ঞেস কর না?
বলেই আমাকে টেনে একটা ফাঁসির দড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে বললো,,
যদি নিজের ছেলেকে বাঁচাতে চাস তবে এই দড়ি গলায় পেঁচিয়ে নিজেকে শেষ করে দে।

আমি মারা গেলে আমার ছেলেকে ছাড়বেন এই কথা আমি কি করে মানবো?(আমি দাড়িয়ে)

বাহ!এখন তেজ বাকি আছে।তুই বাধ্য আমার কথা মানতে।কারণ না মেনে তোর উপায় নেই।নে গলায় রশি দে,,
বলেই আমার গলায় রশি পরিয়ে দিতে লাগলো।আমি উনার সাথে ধস্তধস্তিতে শুরু করলাম।

আমি আগে আমার ছেলেকে দেখতে চাই।আগে আমার ছেলেকে আমার সামনে রাখো তারপর।
এই কথা বলতেই উনি আমাকে আরেকটা চড় মারলেন।
আমি গিয়ে ছিটকে পড়লাম।এইবার মাথা গেয়ে একটা পিলালে লাগলো।মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করলো।আমার কান্না আরো বেড়ে গেলো।আমি কখনও ব্যাথা সহ্য করতে পারি না। একটু ব্যাথা পেলেই আমার কান্না চলে আসে।

আমি নিজের মাথা চেপে ধরে বসে পড়লাম ঠিকই তখনই কোথা থেকে যেনো ঝুম মম বলে আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

আমি ঝুমকে দেখে অবাক হবো না খুশি হবো!কিছুই বুঝতে পারছি না।শুধু আমার ছেলে আমার কাছে এসে পড়েছে এতেই আমি অনেক খুশি।আমি ওকে জড়িয়ে ধরে ওর গালে চোখে মুখে চুমু খেতে লাগলাম। ঝুমও আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগলো।

ঝুম আমার কপালের কাটা জায়গায় হাত দিয়ে বললো
Mom?does it give you so much pain?

না সোনা!তুমি এসে পড়েছো।তোমাকে দেখে ফেলেছি এখন আমার আর কোনো পেইন নেই।কিন্তু তুমি এখানে এলে?কোথাও কোনো ব্যাথা লাগেনি তো?ওরা তোমাকে কিছু করেনি তো?তোমাকে ঠিক মত খেতে দিয়েছে।তোমার তো অ্যাসিডিটির সমস্যা।সময় মত খাবার না দিলে তো তোমার পেটে ব্যাথা শুরু হয়।(আমি ঝুমকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম)

Mom,mom I’m alright,,উনারা আমাকে ঠিক মত খেতে দিয়েছে।আমাকে মারে নি।তাই কোথাও ব্যাথাও নেই।আর গুড আঙ্কেল গিয়ে Ironman এর মত আমাকে বাঁচিয়েছে।ওই দুষ্টু লোকদের ঢিসুম ঢিসুম করে মেরেছেন।
বলেই ঝুমের কথা শেষ হতে না হতেই।

জহির খান গর্জন করে উঠলো,,
অনেক হয়েছে কথা।ভালো হয়েছে মা ছেলেকে আজ একসাথেই কবর দেয়া হবে,,
বলেই জহির যেই আমাদের দিকে এগুতে লাগবে তখনই পুলিশ এসে উনাকে ধরে ফেললো।

চাম্প।এতো জোরে দৌড়ে কেউ সিড়ি দিয়ে উঠে!(অভ্র সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে)

তুমি সিড়ি দিয়ে দৌড়ে উঠেছো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আরে যখনই শুনেছে তুমি এই বিল্ডিং এ আছো।তখনই গাড়ি থেকে নেমে সোজা দৌড়ে উপরে চলে এসেছে।আমাদের জন্য অপেক্ষাও করলো।একদম তুমি যেমন তোমার ছেলেও তেমন।তুমিও এসএমএস পেয়ে কোনো কিছু না ভেবে,কাউকে কিছু না বলেই চলে এসেছো।তোমার ছেলেও তেমন কাউকে কিছু না বলে দৌড়ে চলে এসেছে।(অভ্র আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি অভ্রর কথা শুনে মাথা নিচু করে রইলাম।

আর এমন করবে না।
বলেই আমি ঝুমকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।

আর আপনি মিস্টার জহির খান।আপনার সব কার্যকলাপ ধরা পড়ে গেছে।ড্রাগস বিক্রি করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তার খবরও পুলিশ পেয়ে গেছে।আপনি যে ষড়যন্ত্র করে পিয়াস চৌধুরীকে মেরেছেন আর তাকে মারার সব প্রমাণ নষ্ট করেছেন আপনি আর তৎকালীন পুলিশ অফিসার মিলে তাও উনারা বের করেছে।আর সেই পুলিশ অফিসারও সব কিছু কবুল করেছেন।এখন আপনি জেলে যাবেন।আর আপনি সর্বোচ্চ শাস্তি কি করে পান তা আমি দেখবো।
বলেই অভ্র আমাকে কাছে এসে আমাকে পাজা কোলে তুলে নিলো।

ইডিয়ট মেয়ে।কোনোদিন বুদ্ধি হবে না তোমার!(অভ্র আমাকে কোলে নিয়ে)

এই গুড আঙ্কেল আমার আম্মু কিছু বলবে না।(ঝুম)

হয়েছে mamma’s boy,,(অভ্র)

আমরা নিজেদের মধ্যে হাসিখুশি হয়ে কথা বলছি তখনই জহির খান পুলিশ এর বন্দুক নিয়ে আমার দিকে তাক করলো,,
জহির খান কখনও হার মানে না।
বলেই যখন সে আমাকে গুলি করতে যাবে তখনই একজন পুলিশ তাকে গুলি করলো লুটিয়ে পড়লো তার নিথর দেহ ফ্লোরে।মনে হয় সেখানেই সে তার শেষ নিশ্বাস তেগ করলো।
আমারও চোখ দুটো নেতিয়ে পরলো আমার আর কিছুই মনে নেই।


চোখ খুলতেই দেখি আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি।মাথায় হাত দিয়ে দেখি মাথায় বেন্ডিজ করা। প্রচন্ড ব্যাথা করছে মাথা। আস্তে আস্তে উঠে তাকাতেই দেখি পাশের সোফায় অভ্র বসে গালে হাত দিয়ে ঘুমাচ্ছে আর ওর কোলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে আমার ঝুম।
জানালা দিয়ে আলো আসতেই খেয়াল করলাম,এখন সকাল হয়ে গেছে।পরেই মনে পড়লো রাতের সেই ভয়ানক ঘটনা গুলো আর একটুর জন্য আমি আমার ছেলে থেকে আলাদা হতে হতে বাঁচলাম।
জহির খানের কি হয়েছে?উনি কি সেখানেই মারা গেছে?উনার কাছে আমার এখনও অনেক প্রশ্ন রয়েছে।উনি যদিও আমার বাবার খুনি তবুও আমার অনেক ডাউট রয়েছে।আর জয় না আরিফ কোথায়?জয় আর আরিফ এতো সহজে বাবাকে মারতে দেবে?এই সব কি এতই সোজা?জয় আর আরিফকে ডেঙ্গিয়ে গিয়ে আমার বাবাকে মারা পাঁচটি খানি কথা না।তাহলে কি এখানে আরও অনেক রহস্য আছে?না আমি শুধু শুধু একটু বেশিই চিন্তা করছি।(আমি মনে মনে)

ও।আপনি উঠে পড়েছেন।
বলেই অভ্র আস্তে করে ঝুমের মাথা নিচে রেখে উঠে ঝুমুরের কাছে আসলো।

ঝুমুর গভীর চিন্তায় মগ্ন।

মিস ঝুমুর?(অভ্র আমার কাছে এসে)

আমি তখনও গভীর চিন্তায় মগ্ন।

অভ্র আমার কাছে এসে আমায় ধাক্কা দিয়ে বললো
আপনি ঠিক আছেন?ডক্টর ডাকব?

আমার হুশ ফিরল
হুহঃ?

বলছি,আপনার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?ডক্টর ডাকব?(অভ্র আমার পাশে বেডে বসে)

না আমি ঠিক আছি।জহির খান উনি?(আমি)

উনি সেখানেই মারা গেছে।(অভ্র)

ওহহ!(আমি মাথা নিচু করে)

অভ্র আমার গাল ধরে আমার মাথা উচুঁ করে বললো
আপনার বাবা আপনাকে অনেক ভালোবাসতো।উনি আপনাকে ঘৃণায় না,আপনাকে রক্ষা করতে বিদেশ পাঠিয়েছেন।

আমি মুচকি হেসে,মাথা নেড়ে হ্যা বললাম।

অভ্র অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমিও কেনো যেনো মোহনীয় দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে আমাদের ঠোঁট জোড়া মিলে গেলো খেয়ালই করিনি।একটু পরেই ঝুম চোখ কচলাতে কচলাতে বলে উঠলো
আম্মু,,mom?

আমরা তাড়াতাড়ি নিজেদের থেকে দূরে সরে গেলাম।

ঝুম! এইতো আম্মু এখানে?(আমি বেডে বসে ওর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম)

ও দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো,,,

খুব ভয় পেয়েছ?(আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম)

ও আমার কথা শুনে আরো ঝাপটে ধরলো আমাকে।আমি তো মা,আমি বুঝতে পারলাম।যতই আমার ছেলে স্ট্রং হোক না কেনো? ও অনেক ভয় পেয়েছে।

আম্মু,মিতালী আন্টি!(বলেই ঝুম ঠোঁট উল্টে কাদতে লাগলো)

আমি ওকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম।আমি জানি ও মিতালীর কথা শুনে খুব কষ্ট পেয়েছে।


দুপুরে সব গুজগাজ করছি এখন বাসায় যাবো।অভ্র আর ঝুম গেছে বিল গুলো দিতে।

কিছুক্ষণ পর অভ্র আর ঝুম ভিতরে ঢুকে বললো

সব গুঁজগাজ শেষ?(অভ্র)

হুম!(আমি)

এখন তো সব কিছু শেষ।তাহলে কি দেশে থাকবেন নাকি বিদেশে চলে যাবেন?(অভ্র)

বিদেশে চলে যাওয়ার কথা শুনে ঝুম অবাক হয়ে গেলো।

হুম।আমি ভাবছি বিদেশ চলে যাবো। ঝুমের জন্যও ভালো হবে। ও এই পরিবেশ থেকে বের হবে!(আমি ঝুমের দিকে তাকিয়ে)

না।আমি কোথাও যাবো না।আমি এই দেশেই থাকবো।আমি গুড আঙ্কেলকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।mom আমি আর তুমি এখানেই থাকি না?(ঝুম আমার হাত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললো)

কিন্তু তুমি তো বলেছো তোমার এই দেশ পছন্দ না!(আমি)

Now I like this country,,Mom, please Stay (ঝুম চোখ ছলছল করে)

আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বললাম
ওকে।কিন্তু তোমায় তাড়াতাড়ি বাংলা উচ্চারণ শিখতে হবে।

Okey done(ঝুম)

হুহ?(আমি চোখ বাকা করে)

আচ্ছা ঠিক আছে।(ঝুম নেকামি করে)

আমি ওর গাল টেনে বললাম
এখন আমার ছেলেকে বাচ্চা মনে হচ্ছে।

Mom আমি তো বাচ্চাই।(ঝুম)

তাই নাকি?(আমি ওকে কাতুকুতু দিয়ে)

আপনাদের কথা শেষ হয়ে থাকলে এখন যাওয়ার যাক।(অভ্র)

ওকে স্যার।
বলেই আমি আর ঝুম হেসে দেই।


বাসায়
আমি অসুস্থ রুগী।কিন্তু না যেহেতু রান্নার ডিপার্মেন্ট আমার তাই আমারই রান্না করতে হচ্ছে। তবে অভ্র আমাকে হেল্প করছে।হেল্প করছে বললে ভুল হবে।উনি আরো আমার মাথা খারাপ করছে।আর অন্যদিকে ঝুম বসে বসে টিভি দেখছে।

আচ্ছা পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসে কেনো?(অভ্র পেঁয়াজ কাটতে কাটতে)

গুগলে সার্চ দিন।(আমি রান্না বসিয়ে)

আলু গুলোকে এই সাইজে কেনো কাটা হয়? আই মিন তরকারির আলু আর মাংসের আলু আলাদা সাইজ করে কেনো কাটা হয়?(অভ্র আলু ছিলতে ছিলতে)

আপনি যেই সাইজের আলু কাটছেন সেই আলু কোথাও দেয়া যাবে না।কারণ ছিলকার সাথে সাথে আপনি আলুও কেটে ফেলছেন!(আমি রাগে উনার কাছ থেকে আলু আর ছুরি নিয়ে)

আরে আপনি রাগ দেখাচ্ছেন কেনো?(অভ্র)

আপনি গিয়ে ঝুমের সাথে মতুপাতলু দেখুন।ঐটাই আপনার জন্য ভালো।এখানে এসে আমার মাথা ধরাবেন না।(আমি ছুরি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে)

ওকে ইজি ইজি।আপনার মাথায় প্রেসার দিবেন না।(অভ্র)

মিস্টার অভ্র!(আমি দাত চেপে)

অভ্র চুপ করে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।
আমিও শান্তি মতো রান্না করতে লাগলাম।


চলবে,,,,