অন্তরালে তুমি পর্ব-১২

0
2372

#অন্তরালে_তুমি
#Part_12
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
?
আরিহা কিছু না বলে শান্ত ভঙ্গিতে বসে থাকে। এরিনা এইবার এক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বলে,

–আমাদের বাবা- মা আলাদা থাকে। দে আর ডিভোর্সড।
ছোট থেকেই দেখে এসেছি বাবা-মা দুইজনই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতেন। মা পার্টি করতে আর বাবা বিজনেসের কাজে। ভাইয়াকে তো একজন মেইডের হাতে বড় হয়েছে। ছোট থেকেই ভাইয়া শান্তশিষ্ট ছিল। কোন প্রকার রাগ, বদমেজাজি, চঞ্চল ভাব তার মধ্যে ছিলই না। সারাদিনে ঘরের এক কোনে চুপচাপ বসে থাকতেন। অতঃপর আমি মায়ের পেটে আসি। দাদুর মুখে শুনে মা নাকি আমাকে জন্মের আগেই মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু ভাইয়ার জন্য পারেন নি। ভাইয়া নাকি আমার আশার কথা শুনে অনেক খুশি ছিলেন। হয়তো একাকিত্ব দূরের জন্য এক সঙ্গী পাবেন বলে। দাদা-দাদী আর বাবা ভাইয়ার কথা ভেবে মাকে এমন করতে মানা পড়ে। অতঃপর মা সকলের চাপে পড়েই আমাকে এই পৃথিবীতে আনে।

এই বলে এরিনা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে। কিছুক্ষণ নিরব থেকে বলে,
— আমি আশার পর ভাইয়া যেন খুশির ত্রিসীমানা ছিল না। সবসময় আমায় আগলে রাখতেন। আমার কান্নাটুকু তিনি সহ্য করতে পারতেন না। আর আমার জন্মের ঠিক ১ মাস পরেই আমার জন্য আরেকটা মেইড রেখে মা আবার পার্টি করতে শুরু করে। আমার আর ভাইয়ার প্রতি তার কখনই কোন টান ছিল না। বাবাও তেমন গুরুত্ব দিতেন না। আগে এইসবে ভাইয়া খুব কষ্ট পেত কিন্তু অতঃপর খাপ খায়িয়ে নিয়েছিল এইসবের সাথে। কিন্তু আমায় ভাইয়া সবসময়ে নিজের ভালবাসার চাদরে মুড়িয়ে রাখতো। যাতে আমি ভাইয়ার মতো ভালবাসার কাঙ্গাল না থাকি। ছোট থেকেই আমার ছোট থেকে ছোট কাজ ভাইয়া করে দিতেন। বাবা-মার মত খেয়াল রাখতেন আমার। এইভাবেই আমি বেরে উঠি।
আমার যখন ৭ বছর আর ভাইয়ার ১২ তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা আলাদা হয়ে যাবে। তারা নাকি এখন দুইজন দুইজনকে সহ্য করতে পারে না। অসহ্য লাগে একে অপরকে। ভাইয়া তখন অনেক কেঁদেছিল এমন না করতে। এইটাও বলেছি, আমার আর ভাইয়ার কথা একবার ভাবতে। আমরা বাবা-মা বিহীন কিভাবে থাকবো?
তাদের পায়ে পর্যন্ত ধরেছিল সে কিন্তু তারা মানে নি। আমি দরজার ফাঁকে দাড়িয়ে সবই দেখছিলাম আর শুনছিলাম সাথে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলাম। কিন্তু তাদের মায়া দয়া হয় নি। নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে তারা আলাদা হয়ে যায়। সাথে আমাদের আলাদা করার চেষ্টা করেও। কোর্টে মা আমার কাস্টাডি নেওয়ার এপলাই করে। তখন ভাইয়া অনেক চেঁচামেচি করে আর কোর্টে গিয়ে জার্জকে রিকুয়েষ্টও করে আমায় যাতে তার থেকে দূর না করে। জার্জ আঙ্কেলের হয়তো ভাইয়ার প্রতি মায়া হয়েছিল তাই সে আমাদের আলাদা করে নি। তখন কোর্টের থেকে রায় আসে যে আমরা দুই ভাইবোন অন্তত ১ সপ্তাহ করে দুইজনের কাছে থাকবো। মানে এই সপ্তাহ বাবার কাছে তো আরেক সপ্তাহ মার কাছে।
কিন্তু ভাইয়ার তখন দুইজনের প্রতি প্রচন্ড ক্ষোভ হয়েছিল। প্রচন্ড ঘৃণা জন্মাতে শুরু করেছিল তার মনে। তিনি কিছুইতেই দুইজনের কাছে থাকবে না। এমন সময় আমাদের দাদা-দাদি এসে আমাদের নিয়ে যায় আর আমাদের মানুষ করতে শুরু করে। আমি মাঝে মধ্যে বাবা-মার কাছে থাকতে গেলেও ভাইয়া কখনোই যায় নি। মনের মধ্যে পুষে থাকা ক্ষোভ, রাগ, ঘৃণা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছিল। এর ফলে ভাইয়া হয়ে উঠে রাগী, বদমেজাজি। দুইজন প্রায়ই ভাইয়ার সাথে দেখা করতে চাইতো কিন্তু ভাইয়া করতো না। আস্তে আস্তে আমিও তাদের সাথে দেখা করা বন্ধ করে দেই। এখন মাঝে মধ্যে আমার সাথে হাল্কা পাতলা কথা হয়। এখন তাদের কথা শুনলেও প্রচন্ড রাগ কাজ করে মনের মধ্যে।

এই বলে এরিনা দম নেই। হুট করেই ওর চোখের কোনে জল এসে যায়। সে কিছুটা ধরা গলায় বলে,
— নিজের জীবন সুখময় করতে দুইজন মানুষ ঠিকই আলাদা হয়ে যায় কিন্তু মাঝে দিয়ে নষ্ট হয়ে যায় নিষ্পাপ শিশুদের জীবন। ভেঙ্গে যায় হাজারো বন্ধন ও গ্লানি। তখন আপনও পর হয়ে যায়।
এক মাত্র তাদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের শৈশব একদম তিক্ততায় পুরিপূর্ণ ছিল। জানো ভাবি, যখন সকলের বাবা-মাকে এক সাথে দেখতাম না খুব কান্না পেত। যখন সকলের বাবা-মা ওদের বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে যেত, আদর করতো বা তাদের খায়িয়ে দিত সত্যি অনেক কষ্ট হতো। আমার জন্য নয় ভাইয়ার জন্য। আমি তো ভাইয়ারর ভালবাসা, আদর পেতাম। কিন্তু ভাইয়া তো তাও পেত না। দাদা-দাদি যতটুকু পারতেন করতেন। অবশেষে তারাও ৯ বছর আগে আমার ছেড়ে চলে যায়। তখন থেকে ভাইয়া আর আমি একাই বড় হয়েছি।

আরিহা সব শুনে চুপচাপ বসে থাকে। গলাটা যেন তারও ধরে আসছে। সে জানে বাবা-মা ছাড়া থাকতে ঠিক কেমনটা লাগে। কতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। আগের কথা মনে করতেই আরিহার মাথা ব্যথায় ফেটে যেতে শুরু করে। কিছু তিক্ত স্মৃতি হানা দিতে থাকে মস্তিষ্কে।আরিহা এইবার তার বা পাশে থাকা গ্লাসটি উঠিয়ে তার মধ্যে থাকা পানিটা খেয়ে ফেলে। তারপর জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে নেয়। অতঃপর এরিনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে শান্ত কণ্ঠে বলে,

— সকলের জীববেই কিছু না কিছু অপূর্ণতা রয়েই যায়। যা হয়তো চেয়েও পূর্ণতা পায় না আর হয়তো কখনো পাবেও না। কিন্তু আমাদের সেই অপূর্ণতা নিয়ে বাঁচতে শিখতে হয়। সেই অপূর্ণতা একসময় আমাদের কষ্টে পরিনত হয়। কষ্টের একটা ডেফিনেশন আছে। জানো কি?

এরিনা এইবার বাচ্চাদের মত মাথা নাড়ায়। আরিহা মুচকি হেসে বলে,
— কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে। — [হুমায়ুন আহমেদ]
সকলের ভাগ্যে সব থাকে না। তাই যেটা তোমার ভাগ্যে নেই তা নিয়ে ভাবতেও নেই । আমার থাকি বর্তমানে। আর আমাদের বর্তমানটাই আসল সত্যিই। এই বর্তমানকে তুমি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে গড়তে পারো। অতীত থাকবেই কষ্ট দিতে। তাই সেটা নিয়ে যত কম ভাববে ততো কষ্ট কম হবে। বুঝলে নন্দিনী?

এরিনা মাথা দুলায়। আরিহা মুচকি হেসে ওকে নিজ হাতে খায়িয়ে দেয়। অতঃপর নিজে না খেয়ে সব কিছু গুছিয়ে উঠে যায়। রুমে এসে দেখে ইহান বিছানায় বা হাত কপালে দিয়ে শুয়ে আছে। চারদিকে কেমন এক ভ্যপ্সা গন্ধ। আরিহার বুঝতে দেরি নেই ইহান স্মোক করেছে। আরিহা কিছু না বলে লাইট অফ করে চুপচাপ গিয়ে ইহানের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। ইহান প্রথমে আরিহাকে সরিয়ে দিতে চাইলেও চুপ হয়ে যায়। কেন না হুট করেই নিজের বুকের ভিতরের কষ্টটা হাল্কা কমে আসে। কেন বুঝতে পারলো না সে। হয়তো এই প্রথম তার কষ্টের সময়ে কেউ ওকে আগলে রেখেছে। ওর বুকে মাথা রেখে কষ্টটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছে। কথায় আছে, “কষ্ট ভাগ করলে কষ্ট কমে।”
তাহলে কি আজ আরিহা নিরবে ওর কষ্টে ভাগ বসাতে চেয়েছে? কিন্তু কেন?

?

প্রতিদিনের মত আজও এরিনা সোহেলের সাথে বেড়িয়ে পড়লো। আজ এরিনা আবদার করেছে সে রিক্সায় উঠবে। অনেক বছর ধরে সে রিক্সায় উঠে না৷ সোহেলও এরিনার এক কথায় রাজি হয়ে যায়। দুইজন পাশাপাশি বসে আছে একই রিক্সায়।
আকাশটা আজ হাল্কা মেঘলা। ঘন কালো মেঘ এসে হানা দিয়েছে আকাশের বুকে। বর্ষার আগমন হয়েছে আজ প্রায় ৩ দিন হতে চললো। বর্ষার প্রথম বর্ষণ হয়তো আজই হবে। শো শো বাতাস বইছে। তার সাথে তাল মিলিয়ে এরিনার চুল গুলো দোল খাচ্ছে। কয়েকটা অবাদ্ধ চুল উঁড়ে যাচ্ছে বাতাসের সাথে। ওরনা গলায় ঝুলে থাকায় বাতাসের সাথে দোল খাওয়ার ইচ্ছেটাকে মনে হয় সে দমিয়ে দিল।
এরিনা প্রাণ খুলে এইসব অনুভব করছে। কানাডায় এমন মনোরম পরিবেশ পাওয়া যায় নাকি? বাংলাদেশের হাওয়া বাতাসের কথাই আলাদা। সোহেল ঘোর দৃষ্টিতে এরিনার দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত অনুভূতিগুলো যেন তার মস্তিষ্ক বেয়ে বিচরণ করেই চলেছে। এরিনার মুখে শুভ্রতাময় হাসি যেন সোহেলের ভালো থাকার কারণ হয়ে উঠছে।
দুইজনই বেশ উপভোগ করছে পরিবেশটা। তখনই এরিনা বলে,

— সোহেল ভাইয়া ফুচকা খাব।

“ভাইয়া” নামটা শুনতেই সোহেলের মনের মধ্যে বুনা হাজারো স্বপ্ন, অনুভূতি যেন চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। মুখে এক মলিন হাসি ফুটিয়ে বলে,
— তুমি ফুচকা চিনো?

এরিনা খুশি হয়ে বলে,
— দিস নিড টু বি আস্ক এগেইন? বাঙালি মেয়ে হয়ে ফুচকা চিনবো না? খাওয়াবেন আজ আমায়?

সোহেল এইবার মুচকি হেসে বলে,
— খাওয়াবো কিন্তু এক শর্তে।

এরিনা কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
— হোয়াট কান্ডিশেনস?

সোহেল মুচকি হেসে বলে,
— আমাকে আর ভাইয়া বলবে না। কল মি ওনলি সোহেল ওকে?

এরিনা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে,
— দ্যাটস ইট! নো প্রবলেম। আই উইল কল ইউ ওনলি সোহেল।

সোহেল এইবার বিশ্বজয়ের হাসি হাসে।

?

রাহুল অর্পির পিছে পিছে ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে। আর অর্পি একেক দোকানে গিয়ে এইটা ওটা দেখেই চলেছে। পছন্দ হলে তো এইদিক ওইদিক না তাকিয়ে সাথে সাথে তা কিনে নিচ্ছে। এইদিকে অর্পির পুরো শপিং এর খরচ যাচ্ছে রাহুলের পকেট থেকে। যার জন্য রাহুলের অবস্থা বেশ খারাপ। রাহুল এইবার আহত কণ্ঠে বলে,

— বেবি আর কত শপিং করবে গো? আ’ম টায়ার্ড নাও।

অর্পি একবার রাহুলের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে বলে,
— এখনো তো অর্ধেক শপিংও হয় নি বেবি। আর তুমি এখনই টায়ার্ড হয়ে গেলে। এইটা কোন কথা?

রাহুল তো এই কথা শুনে এখন যেন হার্ট এট্যাক করবে। মেয়ে বলে কি? রাহুল দুই হাতে প্রায় ১৫ টা শপিং ব্যাগ। তাও বলে অর্ধেক শপিংও হয়নি। রাহুল এইবার কাঁদো কাঁদো হয়ে মনে মনে বলে,
— আল্লাহ তুমি ধরি ফালাও আমি উপরে উঠি। কোন দুঃখে যে এর প্রেমে পড়সিলাম। জীবনটা আমার তেজপাতা করে ফেললো। এই অবিচার দেখে তুমি এখনো চুপ কিভাবে? হাও! হাও!

রাহুল কিছু না বলায় অর্পি রাহুলের কাধে হাত রেখে বলে,
— বেবি কি ভাবছো? আমার জন্য কি এতটুকু কষ্ট করতে পারবা না? আমি তোমার একটা মাত্র গার্লফ্রেন্ড তাই না? আমার জন্য একটু কষ্ট না করলে কার জন্য করবা?

রাহুল এইবার বিরবির করে বলে,
— একটা দিয়েই মন,পেট,প্রেম সবকিছুর শখ মিটে গেছে।

অর্পি এইবার বলে,
— কিছু বললা বেবি?

রাহুল এইবার অপ্রস্তুত হয়ে বলে,
— আরেহ না না। আমি আমার একটা মাত্র বেবি এর জন্য একটু তো কষ্ট করতেই পারি তাই না।

অর্পি এইবার খুশি হয়ে বলে,
— আই লাভ ইউ বেবি।

রাহুল এইবার স্মিত হেসে বলে,
— আই লাভ টু জানপাখি।

?

পুষ্পিতার পা এখন বেশ ভালো। তাই সে আজ কিছু কিনা কাটা করতে যমুনা ফিউচার পার্ক চলে যায়। সেখানে গিয়ে সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছেই তখন পিছন থেকে কেউ বলে উঠে,

— পুষ্পরানী আমায় ফেলে একা একা কই যাও গো?

পুষ্পিতা এইবার পিছে ঘুরে একজন মাস্ক আর ক্যাপ পড়া একজন লোককে দেখে। পুষ্পিতা তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়। তীব্র কিছুটা অনুমান করতে পেরে মাস্কটা খুলে। পুষ্পিতা চিনার সাথে সাথে আবার মাস্ক পড়ে নেয়। সেলেব্রিটি মানুষ। কখন কে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে কে জানে। এইভাবেও গ্রুপের মধ্যে সকল মেয়েরাই ইহান আর তীব্রর জন্য পাগল।
পুষ্পিতা তীব্রকে দেখে রেগে যায়। আর তীক্ষ্ণ গলায় বলে,
— আমার পিছু পিছু করতে করতে এইখানেও চলে আসছেন? রাতের ঘুম হারাম করে কি মন ভরে নি? যখন তখন ফোন দিয়ে জ্বালিয়ে মারেন আবার এখন পিছুও নেওয়া শুরু করেছেন।

তীব্র দাঁত কেলিয়ে বলে,
— মধু যেখানে মৌমাছি তো সেখানেই যাবে পুষ্পরানি।

পুষ্পিতা এইবার বিরক্তিকর একটা ভাব নিয়ে তাকায়। আর বলে,
— লেম মার্কা ডাইলোগ।

তীব্র পুষ্পিতার অমন চাহনি দেখে নিজের বুকের বা পাশে হাত রেখে বলে,
— হায় ম্যায় মারজাওয়ান! তোমার এই চাহনি বুকে ঝড় তুলে গো পুষ্পরানী। মনটা চায় যে,

এই বলে ঠোঁট দুটো উঁচু করে ফ্লায়িং কিস দিয়ে বলে,
— আম গাছে আম ফলে,
কুমড়ো ফলে চালে ।
দূর থেকে কিস দিলাম,
তুলে নাও গালে ।

তীব্রের এমন কথায় পুষ্পিতা রেগে মেগে বোম হয়ে যায়। তারপর কটকট করতে করতে বলে,
— আমার জুতা আপনার গাল। জোস কম্বিনেশন!

#চলবে