অন্যরকম প্রেমানুভূতী পর্ব-০৪

0
766

#গল্পঃ_অন্যরকম_প্রেমানুভূতী
#Maisha_jannat_nura(লেখিকা)
#পর্ব_৪

এভাবেই দিন কাটছিলো, বারছিলো ওদের অত্যাচার খোঁটা দিয়ে বলা কথা,একটু ভুল হলেই কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি পেতে হতো আমাকে। মুখ বুঝে সব সহ্য করছিলাম, আঙ্কেলকে বলবো ভেবেও বলি নি, যে মানুষটি আমাকে আশ্রয় দিয়েছে, তার কাছে কি করে তারই পরিবারের মানুষেদের নামে অভিযোগ জানাবো, আর আঙ্কেল আমার মুখের কথায় কেনোই বা বিশ্বাস করবেন! কয়দিনের পরিচয় আমার সাথে তার!

আঙ্কেলের সামনে তো কখনও আমার সাথে তারা খারাপ আচারণ করেন না আড়ালে করলেও তার কোনো প্রমাণ আমি দিতে পারবো না,শরীরের কিছু ক্ষত এসব দেখিয়ে কি আর অভিযোগ জানানো যায় এর থেকে সব মুখ বুঝে সহ্য করে নেওয়াই ভালো (তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)।
.
.
রাবেয়া বেগম এর চিৎকারে বাস্তবে ফিরে আসে তৃপ্তি, কাজ করার মাঝেই আনমনে নিজের অতীতের দিনগুলোর কথা ভাবতে গিয়ে অনেক দেড়ি করে ফেলেছে সে। হনহনিয়ে রান্নাঘরের দিকে আসছেন রাবেয়া বেগম, ভিতরে প্রবেশ করেই রাগি কন্ঠে তৃপ্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেন..

-মুখপুড়ি সেই কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি তোকে, শরীরের চামড়া মোটা হয়ে গেছে তোর এক ডাকে জবাব দিস না, কোন নাগরের চিন্তায় মজে ছিলি এতোসময়, এখন কি চরিত্রে ও কালী লাগানোর জন্য প্রস্তুত করছিস নিজেকে।

চোখ দিয়ে বাধাহীন ভাবে পানি ঝরছে তৃপ্তির, নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলে..

-এইতো রান্না হয়েই এসেছে প্রায় আন্টি, আসলে কাজে একটু বেশি মনোযোগ দিয়েছিলাম তাই আপনার ডাক শুনতে পারি নি।

-এসব মিথ্যে বাহানা আমাকে শোনাতে আসিস না, জামাই চলে এসেছে, ওর জন্য নাস্তা পানি নিয়ে ওপরে দিয়ে আয়।

কথাগুলো বলে রাবেয়া বেগম রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। রেজিয়া আপুর স্বামীকে বরাবরই আমার অপছন্দ, বাজে দৃষ্টিতে দেখেন নানা বাহানায় ছোঁয়ার চেষ্টা ও করেন,উনি এ বাড়িতে আসলেই যতোটা পারি ওনার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। নাস্তা নিয়ে উপরে আসলাম, রুমের দরজা খোলাই ছিলো ভিতরে কাওকে দেখতে না পেয়ে খাবার গুলো টেবিলে রাখতে নিতেই পিছন থেকে খট করে শব্দ হলো।

খালি রুমে হঠাৎ এমন শব্দ হওয়ায় আমি পিছন ফিরে দেখি রেজিয়া আপুর স্বামী দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন ভিতর থেকে, তাকে ভিতরে এভাবে দরজা বন্ধ করতে দেখে আমি ভয়ে কেপে উঠি কি করতে চাইছেন উনি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই তো ওনার। আমি বেশ চেঁচিয়ে বলে উঠি..

-ভাইয়া, আপনি দরজা বন্ধ করলেন কেন? সরে দাঁড়ান দরজার সামনে থেকে আমি বাহিরে যাবো।

আমার কথায় উনি উচ্চস্বরে হেসে উঠেন আর বলেন..
-এতো তাড়াতাড়ি তোকে ছেড়ে দেই কি করে বলতো, রেজিয়া গর্ভবতী হয়েছে ৫ মাস এখন আমি কি করবো বলে দিবি?

উনার এসব বিশ্রি ভাষায় বলা কথাগুলো শুনে যেন ওনার প্রতি ঘৃণা আমার চরম থেকে চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে ওনার দিকে একনজর তাকিয়েও দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেই আমি। কোনো কথা না বলে রুম থেকে বেরোতে দরজা খুলতে নিলেই উনি আমার হাত ধরে নেয়। আর বলে..

-কই যাচ্ছিস? আজ যা খুশি হয়ে যাক তোকে আমি ছাড়ছি না।

-আমার হাত ছাড়ুন এসব কি অসভ্যতামো শুরু করেছেন, ছাড়ুন বলছি নয়তো আমি কিন্তু চিৎকার করবো। (রাগে বিরক্তি আর ঘৃণা ভাব নিয়ে বলে তৃপ্তি)

-হা হা হা (পৈশাচিক হাসি হেসে) তোর কথা কেও শুনবে না, চিৎকার করেও লাভ হবে না।

বলেই উনি আমাকে বাজেভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করছিলেন, বেশ জোরের সাথে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলাম তার হাতের বাঁধন থেকে।তারপর শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ওনাকে থাপ্পড় দিয়ে নিজের থেকে কিছুটা দূরে সড়িয়ে দ্রুততার সাথে দরজা খুলে সেখান দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসি।

এদিকে রেজিয়ার স্বামীর মুখ রাগে লাল বর্ন ধারণ করেছেন, রাগে উচ্চস্বরে বলেন..
-আহহহহহ, ২টাকার ছোটোলোক ঘরের মেয়ের এতো সাহস হয় কি করে আবির চৌধুরীকে থাপ্পড় দেওয়ার, তোকে আমি ছাড়বো না তৃপ্তি আজই তোকে এই বাড়ি ছাড়া করবো আমি, তারপর…. (বলেই উচ্চস্বরে হেসে দরজার পাশে রাখা টেবিলের উপর হাত দিয়ে জোরে বারি দেন)

তৃপ্তি নিজের রুমে এসে বিছানায় বালিশে মুখ গুজে কান্না করছে, আজ তো অল্পের জন্য ঐ নড়পশুর কবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে পেরেছে এরপর যে আরো খারাপ কিছু করবে না তার তো ঠিক নেই, আজই আমাকে সবাইকে জানাতে হবে রেজিয়া আপুর স্বামী একদমই ভালো মানুষ নন আর সহ্য করলে চলবে না।

এসব ভেবে উঠতে নিলেই হঠাৎ কমোড়ের পাশে লাথির আঘাতে বিছানা থেকে পড়ে যায় তৃপ্তি। ব্যথায় চিৎকার দিয়ে উঠে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে রাবেয়া বেগম, রেজিনা সুলতানা দাড়িয়ে আছেন, লাথিটা এবার রেজিয়াই দিয়েছিলো তৃপ্তিকে। কি হয়েছে কিছু বুঝে উঠার আগেই রাবেয়া বেগম তৃপ্তির কাছে এগিয়ে এসে চুলের মুঠি খুব শক্ত করে হাতে পেঁচিয়ে টানতে টানতে ঘরের বাহিরে আনলেন, তৃপ্তি কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবির রেজিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন…

-রেজিয়া যে বাড়িতে আমাকে একজন কাজের মেয়ে সম্মান দেয় না সে বাড়িতে আমি আর থাকবো না তুমি জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও আমরা আজই বাড়ি ফিরে যাবো।
রেজিয়া রাগে চেঁচিয়ে বলেন..
-আমরা কোথাও যাবো না, বাড়ি থেকে বের হওয়ার হলে এই চরিত্রহীন বেহায়া ছোটলোক মেয়েটা বের হবে।

তৃপ্তির চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ছে, চরিত্রহীন কথাটি যেন ওর হৃদয় ভেঙেচুড়ে দিয়েছে, ছলছল চোখে সবার দিকে তাকিয়ে আছে তৃপ্তি। তখনি রাবেয়া বেগম তৃপ্তির কাছে এসে চুলের মুঠি ধরে ওকে বসা অবস্থা থেকে দাড় করায় আর বলে..

-কি রে মুখপুড়ি তুই তাহলে নিজের চরিত্র ও ঠিক রাখতে পারলি না, তোর যখন শরীর বিলিয়ে দেওয়ার এতোটাই নেশা যা না পতিতালয়ে যা, আমার এতো ভালো জামাইয়ের চরিত্রে দাগ লাগানোর ইচ্ছে হলো কি করে তোর? আর একমূহূর্ত এ বাড়িতে তোর জায়গা হবে না এখনি বেড়িয়ে যাবি এই বাড়ি থেকে।

ওদের বলা সব কথা শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমাকে কিছু বলার বা জিঙ্গাসা করার সুযোগ ও দিলেন না, হাত ধরে টানতে টানতে বাড়ির মূল দরজার সামনে এনে ধাক্কা দিয়ে বাহিরে ফেলে দিলেন,পরে গিয়ে হয়তো ব্যথা পেয়েছি কিন্তু এখন তা অনুভব করার শক্তি ও যেন আমি হারিয়ে ফেলেছি।

মাথা উঠিয়ে পিছনে ফিরে একনজর লক্ষ্য করলাম আবির চৌধুরী এর দিকে, পৈশাচিক আনন্দ লেগে আছে তার মুখ জুড়ে যা তার বিশ্রি হাসির মাঝেই বুঝা যাচ্ছে। রাবেয়া বেগম দাড়োয়ান কে ডেকে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে বললেন, দারোয়ান ও সেই অনুযায়ী কাজ করলেন।
.
.
একটু আগে..
আবির চৌধুরী তৃপ্তির থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই নিজের শার্টের বেশকিছু অংশ কুঁচকিয়ে নিজেকে এলোমেলো করে রেজিয়ার কাছে আসতে রাবেয়া বেগমের রুমের উদ্দেশ্য হাটা ধরলেন। মা মেয়ে বিছানায় পা ছড়িয়ে বেশ আড্ডা দিচ্ছিলেন সেই সময় আবির রুমে প্রবেশ করে, আবিরের এলোমেলো অবস্থা দেখে রেজিয়া হকচকিয়ে উঠে বলে…

-এই কি হয়েছে, তোমার এমন অবস্থা কি করে হলো?
-নিশ্চুপ (আবির)
-কি হলো কিছু বলছো না কেন? নিজের এমন এলোমেলো অবস্থা শার্ট কুঁচকানো, কি হয়েছে বলো?
-তৃপ্তি….
-তৃপ্তি! (অবাক হয়ে) কি করেছে ও?
-আমার সাথে নোংরামি করার চেষ্টা করেছিলো (ন্যাকা কান্না ভাব করে)
-মানে! (অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রেজিয়া আবিরের দিকে)

-কিছুক্ষণ আগে শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখি তৃপ্তি বিছানায় বসে আছে, কি কারণে রুমে এসেছে জানতে চাইলে বললো নাস্তা দিতে এসেছিলো, আমি বললাম দেওয়া শেষ হয়েছে এবার যেন রুম থেকে চলে যায়। বিছানা থেকে নেমে আমার দিকে এগিয়ে আসছিলো আমি কিছু বলতে যাওয়ার আগেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কিস করার চেষ্টা করছিলো, অনেক কষ্টে নিজের থেকে ওকে ছাড়িয়ে একটা থাপ্পড় দেই তখন ও রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। ওর থেকে নিজেকে ছাড়াতে গিয়েই আমার এমন এলো-মেলো অবস্থা হয়েছে। রেজিয়া আমি এখানে আর একমুহূর্ত থাকবো না যে বাড়িতে এমন চরিত্রহীন কাজের মেয়ে থাকে সেখানে আমি থাকবো না।

আবিরের কথা শুনেই রেজিয়া রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় আর হনহনিয়ে তৃপ্তির রুমে আসে সাথে রাবেয়া বেগম ও ছিলেন, বাকিটা তো জানলেন কি হয়েছিলো।
.
.
রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছে তৃপ্তি, কি থেকে কি হয়ে গেলো এই অল্প সময়ে। ১বছর আগেও সব হারিয়ে সে নিশ্বঃ হয়ে গিয়েছিলো একটা আশ্রয় পেয়েও সেখানে তার জায়গা স্থায়ী হলো না নিজের শেষ সম্মান টুকু ও হারিয়েছে সেখানে সে। যদিও ওর কোনো দোষ ছিলো না কিন্তু আশেপাশের মানুষ তো ভিতরটা দেখতে যায় না উপরে যা ঘটে তা দিয়েই সবটা বিবেচনা করে। নিজের চরিত্রে মিথ্যে কলঙ্কের দাগ নিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়তে হলো এসব ভাবতেই যেন তৃপ্তির ভেঙে যাওয়া ভিতরটা আবার যত্ন নিয়ে ভেঙেচুড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে।

রাতের কালো আধার পুরো আকাশ ছেয়ে গেছে, নির্জন এই অচেনা শহরে রাতেরবেলা একলা মেয়ে যার একূল ওকূল জুড়ে কেও নেই, কোথায় গেলে একটু ঠাই পাবে সে! এসব ভাবছে আর নিজের চোখের পানি ফেলছে তৃপ্তি। এমন সময় হঠাৎ সামনে লক্ষ্য করলে চোখ আটকে যায় তৃপ্তির, কিছুলোক মিলে মিলে খুব বাজে ভাবে মারছে অন্যএকজন লোককে।

কি করবে এখন তা সে বুঝে উঠতে পারছে না, এমন পরিস্থিতিতে ওর একা সেখানে যাওয়া ও উচিত হবে না লোকগুলোকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে এরা ভালো লোক নয়। তৃপ্তি রাস্তার পাশে গাছের আড়ালে চলে যায় অপেক্ষা করতে থাকে কখন বাকি লোকগুলো সেখান থেকে চলে যাবে। বেশকিছু সময় পর লোকগুলো একটা কালো গাড়িতে করে সেখান থেকে চলে যায়।

তৃপ্তি গাছের আড়াল থেকে বেড়িয়ে সামনে দেখে অন্য লোকটি যাকে এতো সময় ধরে মারা হয়েছিলো তিনি রাস্তার মাঝেই পড়ে রয়েছেন। তৃপ্তি ছুটে লোকটির কাছে যায় রক্ত দিয়ে পুরো শরীর ভিজে গেছে তার, স্যান্সলেস হয়ে গেছেন। এতো রাতে একা এই নির্জন জায়গায় লোকটিকে নিয়ে কি করবে সে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। তখনি মোবাইল এ রিংটোন এর আওয়াজ কানে পড়ে তৃপ্তির, কোথায় থেকে আওয়াজ আসছে সেটা খুজতে থাকে সে,একটু পর লোকটির কোর্টের পকেট থেকে মোবাইলটি বের করে কল রিসিভ করে তৃপ্তি। ওপাশ থেকে একজন বৃদ্ধ পুরুষের উত্তেজিত কন্ঠ ভেসে আসছে..

-তীব্র, দাদুভাই কোথায় তুই? এতো রাত হয়ে গেলো এখনও বাড়িতে ফিরলি না, তুই ঠিক আছিস তো? কি হলো কথা বলছিস না যে!

তৃপ্তি নিজেকে সামলে নিয়ে বলে..
-দাদু আপনি যার কথা বলছেন তার অবস্থা খুব একটা ভালো না, কিছু লোক মিলে খুব মেরেছে তাকে এখনি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে নয়তো খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে তাড়াতাড়ি কিছু ব্যবস্থা করুন।

-কিহহহহ, কি হয়েছে আমার দাদুভাইয়ের? কে তুমি? কোথায় থেকে বলছো?
-আপনি তাড়াতাড়ি (……..) এই ঠিকানায় চলে আসুন ওনাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

-আমি আসছি, আসছি আমি কিছু হবে না আমার দাদু ভাইয়ের।

বলেই ফোনটা কেটে দিলেন, তৃপ্তি তীব্রের মাথা নিজের কোলের উপর নিয়ে ওড়না দিয়ে মুখে লেগে থাকা রক্তগুলো আস্তে আস্তে পরিষ্কার করছে। বেশকিছুক্ষণ পরে একটা বড় গাড়ি তৃপ্তির সামনে এসে ব্রেক করে, গাড়ির দিকে লক্ষ্য করলেই দেখে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ও ২-৩ জন মধ্যবয়স্ক লোক এগিয়ে আসছেন ওদের দিকে। বয়স্ক লোকটি এসে রাস্তায় তীব্রের মাথার কাছে বসে পড়ে কেঁদে দেয় আর বলেন..

-আমার দাদু ভাইয়ের এমন অবস্থা কারা করলো?
আমি (তৃপ্তি) পাশ থেকে বলে উঠি..
-দাদু ভেঙে পড়বেন না উনার শরীরে আঘাতের পরিমাণ বেশি রয়েছে ওনাকে উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ওনাকে ওঠানোর ব্যবস্থা করুন।

পাশে থাকা বাকি ৩ জন মধ্যবয়স্ক লোক তীব্র কে ধরে গাড়িতে উঠায় দাদু উঠেন আমাকে সাথে নেন। দ্রুততার সাথে হাসপাতালে এনে তীব্রকে সেখানে ভর্তি করানো হয়।
.
অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলছে, থিয়েটার এর বাহিরে চেয়ারে আমি আর বাকিরা বসে আছি দাদু পায়চারি করছেন চিন্তিত ভাব নিয়ে। হঠাৎ ইই লক্ষ্য করি দাদু বুকের বা পাশে হাত দিয়ে চেপে ধরেছেন, পরে যেতে নিলেই আমি তাকে ধরে নেই। দাদু সেন্সলেস হয়ে গেছেন মধ্যবয়স্ক লোকদের মাঝে একজন অন্য ডাক্তারকে ডেকে আনেন দাদুকে আইসিইউ এর একটা বেডে ভর্তি করাতে হয়। নাতীর এমন অবস্থা দেখে এতোটা মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেন নি তাই তিনি ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

চলবে……