অবশেষে তুমি পর্ব-৫+৬

0
612

#অবশেষে তুমি
#লেখিকা–Nazia Shifa
#পর্ব -০৫

———————–
বেডের এককোণে গুটিশুটি মেরে বসে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি কাব্যের দিকে।কিন্তু মহাশয় তার ল্যাপ্টপ নিয়ে ব্যস্ত।এমন একটা ভাব যেন ল্যাপ্টপে দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলতেসে।হুহ,,,বুঝলামনা কাজই যখন করবে তাহলে শুধু শুধু আমাকে বসিয়ে রাখার মানে কি?আজিব পাবলিক।বিরক্ততিতে চোখমুখ কুচকে জিজ্ঞেস করলাম —

-‘আপনি কিছু বলবেন নাকি চলে যাব?

এতক্ষণ পরে তার যেন খেয়াল হলো পাশে আর একটা মানুষও আছে।আমার দিকে তাকিয়ে বললো-

-‘ওহ হ্যা ভুলে গিয়েছিলাম যে তোমাকে ডেকেছি।

-‘😒

-‘পড়ালেখা কি আর করবে না?

-‘করবো না কেন?অবশ্যই পড়বো।

-‘আচ্ছা তাই?কিন্তু এই ছয় দিনে তো তোমার মুখ থেকে পড়ালেখার ‘প’ টাও শুনিনি।আর গত আট দিন ধরে যে ভার্সিটিতে যাওনা সে খেয়াল আছে?বাসায়তো পড়ালেখা করোইনা।সারাদিন দুইটা মিলে খালি আড্ডা দিতে পারো।আর কোনো কাজতো নেই তোমাদের।

তার কথা শুনে মাথা নিচু করে নিলাম কারণ এই মুহূর্তে তাকে কিছু বলা মানেই আরও এক বস্তা ভাষণ শোনা।এই ছেলে লেখাপড়ায় যে সিরিয়াস দেখা যাবে রাত পার হয়ে গেছে অথচ তার ভাষণ শেষ হয় নি। তাই চুপ থাকাই ভালো।

-‘এইযে ভাবনা কুমারী আবার কোন ভাবনায় ডুবেছেন?

-‘হ্য,,হ্যা।

-‘বুঝলাম না।আমি বাঘ না ভাল্লুক? আমার সাথে কথা বলতে নিলে তোতলাও কেনো তুমি?

-‘ক,,কই তোতলাই।ঠিকভাবেই তো বলছি।

-‘হ্যা দেখছি আমি কেমন ভাবে বলছো।

-‘হুম।পানি নেই রুমে আমি নিয়ে আসছি।

-‘ঠিক আছে যাও।

রুম থেকে বেড়িয়ে কিচেনে যেতেই দেখলাম মামনি এখনো কিচেনে কি যেনো করছে।কণ্ঠে রাগী ভাব এনে বললাম-

-‘তুমি এখনো কিচেনে কি করছো মামনি?কয়টা বাজে সে খেয়াল আছে?তোমাকে রাত জাগতে নিষেধ করেছে না ডক্টর।

‘শাসন করছিস?

-‘সে তো আগে থেকেই করি কারণ তুমি সবসময় নিজের হেল্থ নিয়ে অবহেলা করো।

-‘হুম।তবে এতদিন মেয়ে হিসেবে করতি এখন ছেলের বউ হিসেবে করছিস।কিন্তু এখন থেকে সব তোর দায়িত্ব।আমি আর কতদিন থাকবো।সব বুঝিয়ে দিব তোকে বুঝেছিস।

-‘উফফ মামনি তোমাকে কতবার বলেছি এসব কথা বলবেনা তারপরও কেনো বলো এসব।

-‘আচ্ছা ঠিক আছে আর বলবোনা।কিন্তু এই সংসারটা কিন্তু এখন তোরই।আমিতো আজ শাশুড়ী হয়েছি দুইদিন পর দাদী হবো।নাতি-নাতনি সামলাবো আর আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবো।বাকি কিন্তু তোকেই করতে হবে।

মামনির কথা শুনে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম।মামনি আমার অবস্থা দেখে আর কথা বাড়ালেন না।আমাকে তাড়াতাড়ি রুমে যেতে বলে চলে গেলেন।
আমিও পানি নিয়ে রুমে চলে আসলাম।রুমে আসতেই দেখলাম,, জামাই আমার সেই ল্যাপ্টপ কোলে নিয়েই বসে আছে।হুহ….নতুন বিয়ে করেছে কই বউকে নিয়ে চন্দ্রবিলাস,সন্ধ্যা বিলাস করবে তা না সারাক্ষণ এই ল্যাপ্টপের সাথে চিপকায় থাকে।যত্তসব।কিন্তু পরক্ষ-
ণেই আবার মনে হলো তার আর আমার সম্পর্কটা তো স্বাভাবিক না।আর পাঁচটা বিয়ের মতো তো আর আমাদের বিয়েটা হয়নি।তাই তার কাছ থেকে এসব আশা করা বোকামিই হবে।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বেডের দিকে অগ্রসর হলাম।বালিশ ঠিক করে বিছানায় বসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম –

-‘আপনি ঘুমাবেন না?

-‘হ্যা।দেরি হবে একটু।তুমি ঘুমাও।

-‘জ্বী আচ্ছা। বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম আমি।কিন্তু ঘুম আসছেনা বারবার এপাশ ওপাশ করছি আমি।তা দেখে উনি বললেন-

-‘ নূর তোমার কি খারাপ লাগছে?এমন কেন করছো?

-‘ না না কিছু হয় নি।এমনেই ঘুম আসছেনা।

-‘ওওও আচ্ছা।একটা কথা বলি?

-‘হুম বলেন।

-‘তোমার ঘুম না আসলে আমার সাথে ব্যালকনিতে যেয়ে বসবে একটু?

এমন নরম কণ্ঠে করা ছোট্ট অনুরোধটা ফেলতে ইচ্ছে হলো না।তাই শোয়া থেকে উঠে বললাম –

-‘আমার একদমই ঘুম আসছেনা।

মুখে হাসি টেনে বললেন -তাহলে চলো।

-‘জ্বি।
.
.
ব্যালকনির ফ্লোরে পাশাপাশি বসে আছি দুজন।বাতাসের শো শো আওয়াজ হচ্ছে চারিদিকে।আকাশটাও একদম মেঘলা আর সেই মেঘের সাথেই লুকোচুরি খেলছে চাঁদ।কখনো মেঘে ঢাকা পড়ছে তো আবার মেঘের ফাকে উকি দিচ্ছে।সেটাই মনোযোগ সহকারে দেখছি দুজন। কারো মুখে কোনো রা নেই।কিছুক্ষণ পর নীরবতা ভেঙে কাব্য বললেন-

-‘নূর আমাদের সম্পর্কটাকে সূযোগ দিতে চাই আমি। আমাদের সম্পর্কটাও আর পাঁচটা সম্পর্কের মতোই করতে চাই আমি। তোমার কি কোনো আপত্তি আছে?

তার এমন সোজাসাপটা কথা বলার ধরন দেখে অবাক হলাম।এত সহজে বলে দিলো কিন্তু আমার লজ্জা লাগছে বলতে।আমার উত্তরের আশায় আমার মুখপানে তাকিয়ে আছেন উনি।আমাকে চুপ থাকতে দেখে বললেন-

-‘তুমি না চাইলে সমস্যা নেই। আমি মুক্ত করে দিব তোমায়।জোড় করে তো সম্পর্ক টেকানো যায়না।

তার কথা শুনে তড়িৎ গতিতে বলে দিলাম-

-‘না না আমার কোনো সমস্যা নেই। আমিও আমাদের সম্পর্কটাকে সূযোগ দিতে চাই।

আমার কথা শুনে হাসলেন উনি।তারপর বললেন-

-‘ঠিক আছে।তারপর আবার সেই নীরবতা।কিছুক্ষণ পর আবার বললেন–

-‘নূর কখনো যদি আমার ব্যাপারে এমন কিছু শোনো যা তুমি জানোনা তখন রাগ করে বসে থাকবে না।আমাকে জিজ্ঞেস করবে তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিব আমি।কিন্তু ভুল বোঝা যাবে না আর নিজে নিজেই সব ভেবে নিবে না। বুঝেছো?

-‘জ্বি কিন্তু কি এমন আছে যা শোনার পর আপনাকে ভুল বুঝবো?

-‘কিছুনা এমনেই বললাম।

ওনার কথাটা কেমন যেনো রহস্যময় লাগলো আমার কাছে। কিসের কথা বললেন উনি?কি জানি না আর জানলে ভুল বুঝবোই বা কেন?আর ভাবতে পারলামনা।কিছুই বুঝতে পারছিনা।তাই চুপ করে বসে রইলাম।

————————
রোদের আলো চোখেমুখে পরতেই ঘুম ভেঙে গেল আমার। চোখ পিটপিট করে তাকালাম।পেটের ওপর কিছু অনুভব করতেই আপনা আপনি চোখ চলে গেলো সেখানে।কাব্য ভাইয়ার এক হাত আমার পেটের ওপর আর এক হাত আমার ঘাড়ের নিচে।চোখ বড় বড় করে তাকালাম ওনার দিকে।উনিতো নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন। এখন যদি জেগে থাকতো কি লজ্জাটাই না পেতাম। নিজেকে ওনার এত কাছে দেখে চোখ থেকে অলরেডি ঘুম উবে গেছে।হঠাৎ খেয়াল হলো আমরাতো ব্যালকনিতে ছিলাম এখানে আসলাম কিভাবে?তাহলে কি কাব্য ভাইয়া?সর্বনাশ নূর ইজ্জত এর ফালুদা হয়ে গেছে।এত বড় মেয়ে তুই আর তুই কিনা শেষমেষ যেয়ে তার কোলে উঠলি।হায়রে।আস্তে করে ওনার হাতটা সরিয়ে নিঃশব্দে বিছানা থেকে নামলাম।আলমারি থেকে বেগুনি রঙের শাড়ী নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।শাওয়ার নিয়ে বের হতেই দেখলাম কাব্য ভাইয়াও উঠে গেছেন।আমাকে দেখে ভ্রু-কুুচকে জিজ্ঞেস করলেন –

-‘রাত্রে তো আমি কিছুই করি নি।তাহলে সকাল সকাল শাওয়ার নিয়েছো কেন?

তার কথা শুনে লজ্জায় মাথা নত করে ফেললাম আমি।

আবার বললেন-‘আমারতো ভালোভাবেই মনে আছে যে আমি ভুলভাল কিছু করিনি।মুখে হাত দিয়ে অবাক হওয়ার ভান করে বললেন-‘তাহলে কি তুমি?ঘুমের ঘোরে এই বাচ্চা,ভোলাভালা ছেলেটার সুযোগ নিয়েছো নূর?

তার কথা শুনে আমার চক্ষু চড়কগাছ। বলে কি এই ছেলে।

-‘ছি’ছি কিসব বলছেন আপনি। আর আপনি বাচ্চা?হুহ,,আংকেল একটা।

-‘কিহ?আমি আংকেল?তুমি জানো এখনো রাস্তায় বের হলে মেয়েরা হা করে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে।কত মেয়ে প্রপোজ করেছে হিসাবও রাখতে পারিনি।আর আসছে আংকেল।

-‘হ্যা৷তাকিয়ে থাকে কারণ হ্যান্ডসাম ছেলেটা অকালে বুড়ো হয়ে গেছে তাই তারা আফসোস করে। আর একটা দুইটা প্রপোজাল পেলে সেটার হিসাব কি রাখতে হয় নাকি।তাই আপনিও পারেননি।সিম্পল।বড় কথা হচ্ছে আপনি আংকেল সেটা।এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে দিলাম ভো দৌড়।আর পায় কে।হিহিহিহি।

চলবে………

#অবশেষে তুমি
#লেখিকা–Nazia Shifa
#পর্ব -০৬

———————
আজ শুক্রবার তাই বাবা বা কাব্য ভাইয়া কেউই অফিসে যাননি।এদিকে সকাল থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি কাব্য ভাইয়ার থেকে।তখন কথাগুলো বলতে ভয় না করলেও এখন ভয় করছে।রুমেও যায়নি তারপর।এখন কিচেনে বসে মামনির বকা শুনছি।তন্নী আর আমি মিলে ঠিক করেছি যে আজকে ভুনা খিচুড়ি আর গরুর মাংস রান্না করবো।কিন্তু মামনি কোনোভাবেই দিবে না।কিন্তু আমরাও জোড়াজুড়ি করেই যাচ্ছি বিধায় এখন বকা শুনতে হচ্ছে। একটুপর কাব্য ভাইয়া সেখানে উপস্থিত হলেন।তাকে দেখে ভয় ভয় লাগছে।কিন্তু ভয়টাকে সাইডে ফেলে দিয়ে মামনিকে কিছু বলতে নিব তার আগেই কাব্য ভাইয়া বললেন –

-‘মামনি রাঁধতে চাইছে রাধুক না পরে বুঝবে ঠেলা।তুমি টেনশন করো না তো।রুমে যাও।

-‘রান্না নিয়ে টেনশন নেই।নূর ভালোমতোই রান্না জানে সেটা আমি জানি।কিন্তু এই যে (তন্নীকে উদ্দেশ্য করে) অকর্মার ঢেকিটাকে যে সাথে নিচ্ছিস তোর কাজ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই করতে জানে না।সেবার কি করেছিলো মনে নেই?
.
সে বার বিরিয়ানি রান্না করার জন্য তন্নীকে কড়াইয়ে পেয়াজ ভাজতে দিয়ে পাশ ঘুরে বেসিং এ মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করছিলাম।পাশ ফিরে দেখি পেঁয়াজ পুড়ে কালো হয়ে গেছে আর তন্মী মেডাম নিজের মতোই ফোন টিপায় ব্যস্ত।

-‘কিরে মনে আছে?

-‘আব,,ব,হ্যা।

-‘এজন্যই বলছি।

-‘আচ্ছা আমি থাকি তাহলে।
কাব্য ভাইয়ার কথা শুনে তিনজনই তাকালাম তার দিকে। সে থতমত খেয়ে বললো-

-‘মানে বলছিলাম যে আমি হেল্প করি ওদের।

বলতে না বলতেই মামনি রাজি হয়ে গেলো।মামনি চলে গেলো রুমে।তারপর কাব্য ভাইয়া তন্নীকে বললেন-

-‘তুই রুমে যা কিছু করতে হবে না।আমি আছি।

কাঁদো কাঁদো ফেস করে মনে মনে ভাবছি-তন্নী তো নাচতে নাচতে চলে গেলো। এবার তোর কি হবে নূর?তোকে কে বাঁচাবে এই আংকেল থুক্কু কাব্য ভাইয়ার কাছ থেকে?
ভাবনার সুতো কাটলো কাব্য ভাইয়ার ডাকে-

-‘কি হয়েছে বউ?তুমি এত ভয় পাচ্ছো কেন?

তার মুখে বউ সম্বোধনটা শুনে শরীরে অন্যরকম শিহরণ বয়ে গেলো।ভয় ভুলে এখন লজ্জা লাগছে। গাল দুটোতে লাল আভা ফুটে উঠেছে।

এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আবার বললেন-

-‘কি হলো বউ আজকে কি না খায়িয়ে রাখবে?তোমার লজ্জামিশ্রিত মুখ দেখে না হয় আমি থাকলাম বাকিরা কি করবে?তাড়াতাড়ি আসো দেরি হয়ে যাবে পরে।
.
.
.
বিছানায় বসে ফোন স্ক্রোল করছে কাব্য।আর অপেক্ষা করছে নূরের জন্য। নূর আসলে শাওয়ার নিতে যাবে সে।রান্না শেষ করে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকেছে সে শাওয়ার নিতে।কিছুক্ষণ পর ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে মাথা তুলে তাকালো কাব্য। তাকাতেই সতব্ধ হয়ে গেলো সে।মেরুন রঙের শাড়ী পড়েছে নূর।ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে,চোখেমুখে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে,ছোট ছোট চুল গুলো লেপ্টে আছে কপোলে(গাল)।সবমিলিয়ে অদ্ভুত রকমের সুন্দর লাগছে তাকে।ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নূরের দিকে। কাব্যের এমন দৃষ্টিতে কিছুটা ঘাবড়ে গেল নূর।ভ্রু-কুচকে তাকালো তার দিকে। গলা ঝেড়ে জিজ্ঞেস করলো-

-‘কি হয়েছে? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

নূরের কথায় হুঁশ এলো কাব্যের। তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাড়ালো।টাওয়াল নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো।ওয়াশরুমে যেয়ে নিজেই নিজেকে বললো-

-‘ছিঃ কিভাবে তাকিয়ে ছিলি কাব্য।এখনই তো ভুলভাল কিছু একটা হয়ে যেত।কিন্তু তোরই তো বউ।সমস্যা কই?আজিব।নিজের বউয়ের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পাচ্ছি আমি।নাহ লজ্জা ভাঙাতে হবে।
.
.
.
বাবা আর কাব্য ভাইয়া নামাজ পড়ে আসার পর একসাথে দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর সবকিছু গুছিয়ে রাখছে নূর।তার রান্নার প্রশংসা তো সে আগেও পেয়েছে এই মানুষ গুলোর কাছ থেকে তবে আজকে একটু বেশিই ভালো লেগেছে শুনতে।হয়তো সম্পর্কগুলোর সাথে মানুষগুলোর করা প্রশংসাও তার কাছে নতুন আর অন্যরকম লাগছে।তবে প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে সে এবার একটু বিশ্রাম না নিলেই নয়।গরম একে বারেই সহ্য হয় না তার।

রুমে এসে এক পলক কাব্যের দিকে তাকিয়ে দেখল সে কি যেন করছে ফোনে।কিছু না বলে বিছানায় গা এলিয়ে দিল নূর।সকালের ঘটনার জন্য তাকে একটু জ্বালাতে চেয়েছিল কাব্য কিন্তু সে ক্লান্ত ভেবে কিছু বললো না।এদিকে বিছানায় শুতেই রাজ্যের ঘুম এসে ধরা দিল নূরের চোখে।

বিকেলের দিকে কারো কথার স্বরে ঘুম ভাঙলো নূরের।বেড থেকে নেমে ব্যালকনির উদ্দেশ্য পা বাড়ালো সে।আওয়াজটা সেখান থেকেই আসছে।সেখানে যেতেই দেখলো কাব্য ফোনে বলছে-

-‘যেভাবেই হোক রিদ খুজে বের করো তাকে।And I want him alive.Got it?
ওপাশ থেকে –Ok sir.

ফোন রেখে পেছনে ঘুরতেই…….

চলবে……..ইনশাআল্লাহ।