অবেলায় ভালোবাসি পর্ব-০৬

0
310

#অবেলায়_ভালোবাসি
#লেখনিতে_সাবরিন_জাহান
#পর্ব_০৬

আয়ানদের ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে আয়ুশী!ওদের বাড়িটা ওর বেশ লেগেছে!মূলত বেলাল আহমেদকে দেখবে বলেই স্বপরিবারে এখানে আসা।নাহার বেগম নাস্তা বানাচ্ছেন আর মরিয়ম সাহায্য করছে!আর বেলাল আহমেদ নিজের রুমে। মোশাররফও সেখানেই।মাঝখানে বাদ পড়লো আয়ুশী!সে যেখানেই যাচ্ছে হয় বসে থাকা লাগছে নয় তাদের গল্প শুনা লাগছে।বাবা আর আঙ্কেল নিজেদের আড্ডায় ব্যাস্ত।মা আর আন্টিও সাংসারিক আলাপে।এখানে ওর কোনো অস্তিত্ব যে আছে সেটাই মনে হয় কেউ টের পাচ্ছে না।এর আগেও এখানে একবার এসেছিল।কিন্তু তখন আয়ান ছিল না।দেশের বাইরে ছিল ও।আগেরবারের অভিজ্ঞতা থেকে এরপর যতবারই ওর মা বাবা এসেছে ,ও আসেনি!কারণ ওর গিয়ে কোনো লাভই নেই।এবার আসার কারণ এক মাত্র আয়ান!সামনে পরীক্ষা!তাই ভার্সিটি অফ।তিনদিন পর এক্সাম! আয়ানকে দেখার লোভে চলে আসলো ও।নিজের কর্মকাণ্ডে নিজেই বিরক্ত ও।আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখছে।যদি পেয়ে যায় আয়ানকে।কিন্তু ফলাফল শূন্য।হয়তো বাসায় নেই।এভাবে আর কতক্ষন বসে থাকা যায়?উঠে রান্নাঘরে গেলো। মা আর অন্টি এখনও নিজেদের আলাপ নিয়ে ব্যাস্ত।ওর উপস্থিতি যেনো টেরই পাচ্ছে না।গলা ঝেড়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেও ব্যর্থ হলো।রাগ উঠলো ওর।আরে মেয়েকে যে এনেছে সেই খেয়াল কি নেই?

“আম্মু,আমি বাসায় গেলাম!”

আয়ুশীর কথায় দুইজনার দৃষ্টি ওর উপর পড়লো।

“কেনো?”

“সামনে পরীক্ষা!অন্তত পড়তে হবে…”

“তো আসলি কেনো আমাদের সাথে?”

ভ্রু কুঁচকে নিলো আয়ুশী।মাঝে মাঝে ভেবে পায় না,এই আম্মু কি বুঝে না একা একা ওদের আড্ডা দেখার চেয়ে বাসায় বসে ওর বিছানায় গড়াগড়ি খাওয়া বেশ ভালো। নিহাত একটু আজগুবি ভাবনার জন্য চলে এসেছে।তাই বলে এভাবে বলবে?

“তো কি করবো?এমনিতে বাসাতেও কাজ নেই। এখানে এসে ভাবলাম মজা হবে।কিন্তু তোমরা তোমাদের নিয়েই ব্যাস্ত। এর চেয়ে ভালো বাসায় গিয়ে পড়ি!”

নাহার হাসলেন।আয়ুশীর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,”ইস,মেয়েটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম!আচ্ছা কিছু খাবে তুমি?”

আয়ুশী অসহায় চোখে তাকালো। ও কি খাওয়ার জন্য পাত্তা খুঁজতেছে?
“দাড়াও আমি এই কফিটা দিয়ে আসি,তারপর তোমাকে কিছু দিচ্ছি!”

“আণ্টি!আমার কিছু লাগবে না।এমনেই বোর হচ্ছিলাম!”

মরিয়ম ফট করে বলে উঠলেন।

“তো কাজ কর,এই কফি দিয়ে আয়।”

“আরে না ও কেন যাবে?”(নাহার)

“আরে ভাবি বোর হচ্ছে তো , একটু কাজ করলে কেঁটে যাবে!তাই না আয়ু!”

আয়ুশী হতভম্ভ, এখানেও কিভাবে কাজে লাগানো যায় ভেবে নিলো ওর মা!এখন তেজও দেখাতে পারবে না!যতই হোক,এভাবে বে’য়া’দ’বে’র মতো না করতে পারবে না।

“হ্যাঁ আণ্টি,আমি পারবো।আমায় দেও।”

অপেক্ষা না করেই কফির ট্রে হাতে নিলো ও।

“আঙ্কেল কফি খায়,জানতাম না তো!”

“এটা তো তোমার আঙ্কেলের জন্য না!”

“বাবাও তো খায় না!”

মাঝে মরিয়ম বলে উঠলেন,”আরে বাবা এটা আয়ান এর জন্য,ওকে দিয়ে আয় যা!”

চোখ বড় বড় করে তাকালো ও।নাহার ওকে আয়ান এর রুম দেখিয়ে দিলো। ঘোরের মাঝেই ট্রে হাতে বের হলো ও।দোতলা বাড়ি।নিচে কর্নারে একটা ঘর,আর একটা স্টোর রুম! ডাইনিং, ড্রয়িং একসাথে!
উপরে তিনটা রুম ,তার মাঝে দ্বিতীয় রুমটা আয়ানের।সব শেষে উপরে ছাদ।আয়ুশীর ছোট থেকেই স্বপ্ন এমন একটা বাড়ি হবে ওদেরও।কিন্তু অনেক সময় স্বপ্ন থাকলেও,সেটা পূরণ হয় না।বাবা বেসরকারি অফিসে কাজ করে।কখনো অভাব বুঝতে না দিলেও,এত সামর্থ্য ওদের হবে না। সিড়ির কাছে এসে ঘোর ভাঙলো ওর।হৃদ স্পন্দন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলছে।কিছুটা ভয়,কিছুটা কোনো কিছু পাওয়ার আকাঙ্খায়!ধীরে ধীরে উপরে গেলো ও।আয়ানের রুমের সামনে দাড়াতেই দেখলো দরজা আবজানো।তাও বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে ঢুকা ঠিক হবে না।বেশ কয়েকবার নক করেও রেসপন্স পেলো না ও।কি করবে ভেবে না পেয়ে আবার নিচে চলে এলো।

“রুমে তো কেউ নেই মনে হয়!”

“সেকি! আয়ান আছে তো!”(নাহার)

“দরজা আবাজানো ছিল।নক করেছি! নো রেসপন্স!”

“ও মনে হয় গোসলে! তুমি রেখে আসো!দাড়াও!”

বলেই একটা মিনি পিরিচ দিয়ে কফি ঢেকে দিল।

“ওর রুমে ঢুকে বেড সাইড টেবিলে রেখে দিও!”

“বিনা অনুমতিতে ঢোকা ঠিক হবে?”

“আমি তো দিলাম ই অনুমতি!”

আয়ুশী মাথা নেড়ে চলে গেলো।নাহার হেসে বললো,”আপনার মেয়ের স্বভাব তো দারুন!”

মরিয়ম হাসলো।এই নিয়ে আরেক গল্প শুরু হলো ওদের।

আয়ুশী আবারও দরজায় টোকা দিল।যদি বের হয়…কিন্তু নো রেসপন্স!তাই ভিতরে ঢুকে গেলো ও।বেড সাইড টেবিলে কফি রেখে বেরিয়ে যেতে নিলেও একটু রুম ঘুরে দেখার শখ জাগলো ওর।বেশ সুন্দর করেই সাজানো রুম! ব্যালকনিতে চলে গেলো ও। গ্রীল বিহীন ব্যালকনি ওর অনেক ভাল্লাগে। কিন্তু ওদের ভাড়া বাসায় এমন ব্যালকনি নেই।কিন্তু অতটাও খারাপ না! এখান থেকে নিচে ওদের করা ছোট বাগান দেখা যায়।ইস কি দারুন দেখতে সব!লম্বা শ্বাস নিলো ও।ডান পাশেই আরেক রুমের ব্যালকনি দেখা যায়!আয়ুশী খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখতে লাগলো।আগে এখানে একবার এসেছিল।এভাবে ঘুরে দেখা হয়নি!না,এবার যাওয়া উচিত ভেবেই ব্যালকনির দরজার কাছে এসেই চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। আয়ান সবে মাত্র বেরিয়েছে।পরনে শুধু টাওয়াল। হাত দিয়ে মাথা ঝারছিল,কিন্তু আয়ুশীকে দেখে থমকে গেলো।একবার নিজের দিকে তো একবার ওর দিকে তাকালো।দুইজনার কেউই এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না!আয়ুশী কুল কিনারা না পেয়ে চিৎকার দিতে যাবে তার আগেই আয়ান ফট করে এসে ওর মুখ চেপে ধরলো!

“মিস ঝা’মে’লা!ঝা’মে’লা না লাগালে কি তোমার শান্তি হয় না?”

আয়ুশী ভ্রু কুঁচকালো।ওকে ঝা’মেলা বললো? ও ঝা’মেলা লাগায় নাকি?

“চিৎকার করতে যাচ্ছিলে কেনো?বুঝতে পারছো এভাবে চিৎকার করলে সবাই কি ভাববে?দেখো মুখ ছাড়ছি তোমার,ডোন্ট শাউট!”

আয়ুশী চোখ দিয়ে আশ্বস্ত করলো। আয়ান ওর মুখ ছেড়ে দিতেই ও উল্টো ঘুরে তাকালো!

“তুমি এখানে কি করছো?”

“আণ্টি বললো আপনাকে কফি দিয়ে আসতে!”

“আণ্টি কে?”

“আপনার মা!”

“তো তুমি এই বাড়িতে কি করছো?”

“বেড়াতে…”

বলতে বলতে ঘুরে তাকালেও আবারও উল্টো ঘুরে চোখে হাত দিল।

“আঙ্কেলকে দেখতে এসেছিলাম!আমি বাইরে যাবো!আপনি সরুন সামনে থেকে!”

“তো যাও ,আমি কি তোমার পথ আটকে রেখেছি নাকি!”

আয়ুশী আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে একটু দেখে বললো,”আপনি আবার ওয়াশরুমে যান!লজ্জা করে না?একটা মেয়ের সামনে এভাবে দাড়িয়ে আছেন?”

এতক্ষণে বুঝলো আয়ুশীর সমস্যা , সরে যেতে নিয়েও ভাবলো আরেকটু মজা নেয়া যাক।এই ভেবে আয়ুশীর দিকে এগিয়ে গেলো।এদিকে আঙ্গুলের ফাঁকে আয়ান কে এভাবে আসতে দেখে লাফ দিয়ে দুই কদম পিছিয়ে গেলো ও।কান্না কান্না ভাব করে বললো,”আমি নিচে যাবো!”

আয়ান হাসি চেপে রেখে বললো,”যাও মানা কে করেছে?”

বলেই আরেকটু এগিয়ে আসলো।আয়ুশী এবার আর কুল কিনারা পেলো না।মুখে হাত দিয়ে চোখ মুখ ঢেকে রাখলো। আয়ান ওর কাজে মুচকি হেসে রশিতে শুকাতে দেয়া টিশার্ট নিয়ে পড়ে নিল।

“তো মিস ঝা’মে’লা!এখানেই থাকার প্ল্যান করছো নাকি!”

আস্তে আস্তে হাত সরিয়ে দেখলো আয়ান সামনে নেই। কোথায় আছে এত দেখার ইচ্ছা জাগলেও পাত্তা না দিয়ে এক দৌড়ে বেরিয়ে এলো।ওর কাণ্ডে আয়ান শব্দ করে হাসলো!

এদিকে এক দৌড়ে সোফায় এসে বসলো আয়ুশী।ভয় ,লজ্জা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হাতের বাইরে।আরেকটু থাকলেই হার্ট অ্যাটাক করতো।উঠে গিয়ে আবার টেবিল থেকে পানি নিলো।এক নিঃশ্বাসে পুরো এক গ্লাস পানি শেষ করলো।এখন কিছুটা শান্ত।একটু আগের কথা মনে পড়তেই বেশ লজ্জা লাগলো ওর।মনে মনে আয়ানকে নি’র্ল’জ্জ খেতাব দিতে ভুল হলো না ওর।উঠে আবার রান্নাঘরে গেলো।মরিয়ম নাহার কে হাতে হাতে সাহায্য করছে আর গল্প তো আছেই।মরিয়ম আয়ুশীকে দেখে বললো,

“এতক্ষণ লাগে কফি দিতে?”

“আসলে ঐ বারান্দা দিয়ে নিচের বাগান দেখতে ভালো লাগছিলো। তাই একটু দেখছিলাম!”

“তোমার গাছ ভালো লাগে?”(নাহার)

আয়ুশী উপর নিচ মাথা নাড়লো।

“তাহলে ছাদে যাও,দেখবে আরো ভালো লাগবে!”(নাহার)

“দরকার কি ভাবি,আয়ু তুই বস গিয়ে ।”

“আহ ভাবি,থাক না।একা একা আর কি করবে!তুমি যাও!”

আয়ুশী হাসি মুখে আবার উপরে গেলো। আয়ানের রুমের কাছে আসতেই বুঝতে পারলো কারো সাথে কথা বলছে।মনে মনে বির বির করলো,”আমাকে ঝা’মে’লা বলা?নিজে কি?মিস্টার খা’রু’শ!”

বলেই ভেং’চি কেঁটে ছাদে গেলো।ছাদে যেতেই ওর চোখ ছানাবড়া।পুরো একটা মিনি বাগানের মত করে সাজানো। ছাদের চারপাশের ভিন্ন ভিন্ন ফুলের গাছ।ঠিক মধ্যখান বরাবর ভিন্ন ভিন্ন গোলাপ গাছ।বেশ সুন্দর করেই সাজানো।আয়ুশীর ভীষণ মনে ধরলো।কবে যে সেও নিজের বাড়িতে এরকম একটা রূপ দিবে…..

আয়ান নিচে নামলো।খালি কফির মগ রান্নাঘরে রাখতে গেলো।মরিয়ম কে দেখে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করলো।কিছুক্ষণ কথা বলার মাঝেই নাহার বলে উঠলেন,”আয়ান,আয়ুশীকে আমাদের বাগানটা দেখিয়ে নিয়ে এসো তো।”

“আয়ুশী?”

“হ্যাঁ,তোমার মরিয়ম আন্টির মেয়ে ও!”

এতক্ষণে ওর খেয়াল হলো। ও তো ভুলেই যাচ্ছিলো আয়ুশী কেনো এ বাড়িতে।

“কোথায় ও?”

“ছাদে!”

আয়ান ছাদে গেলো।যদিও ইচ্ছে নেই,তবে মায়ের কথা ফেলার সাধ্য ওর নেই।ছাদের দরজায় দাড়িয়ে আয়ুশীর কাণ্ড দেখছে ও।আয়ুশী শত চেষ্টা করছে ফুল গুলো নিয়ে সুন্দর পোজে ছবি তোলার কিন্তু পারছে না।কেউ তুলে দিলে হয়তো সুন্দর হতো।এদিকে আয়ুশীর মুখভঙ্গি দেখে আয়ান ঠোঁট চেপে হাসলো।অতঃপর নিজেকে সামলে ভিতরে গেলো। আয়ানকে দেখে আয়ুশী ছবি তুলা বাদ দিয়ে শটান হয় দাড়ালো।

“দেও আমি হেল্প করে দিচ্ছি!”

“না লাগব না!”

“ওকে!”

আয়ুশী অবাক হলো।ভাবলো যদি আরো দুই তিনবার বলে তাহলে হ্যাঁ বলবে।কিন্তু এ দেখি একবার বলেই মুখ ঘুরিয়ে নিল।

“কিছু বলবে?”

“মানুষ ভদ্রতার খাতিরে না বলে,তাই বলে একটু জোর করবেন না?”

“সরি,আমার মাঝে এত ফর্মালিটি নেই।”

বলেই ফোন ঘাটতে লাগলো।আয়ুশী মুখ ভার করে রইলো।আরো কয়েকবার চেষ্টা করেও পারলো না।উপায় না পেয়ে আয়ানের কাছে গেলো।

“স্যার!”

আয়ান ভ্রু কুঁচকে তাকালো।আয়ুশী ইনোসেন্ট ফেস করে বললো,”তুলে দিন না!”

“তুমি ই তো বললে লাগবে না!”

“এখন তো বলছি লাগবে!”

“বাট আমি পারবো না।”

আয়ুশীর মন খারাপ হলো।ফোন হাতে চলে নিবে তখন আয়ান ওর ফোন নিয়ে নিল।

“যাও দাড়াও!”

হাসি ফুটলো ওর মুখে। চট জলদি পোজ নিয়ে দাড়িয়ে গেলো ।ওর খুশি দেখে আয়ান হালকা হাসলো।অতঃপর বেশ কিছু ছবি তুলে দিলো। হটাৎ ই আয়ান ছবি তুলা বাদ দিয়ে একটা কাঠগোলাপ গাছ থেকে সাদা কাঠগোলাপ ছিঁড়ে আয়ুশীর কানে গুঁজে দিলো।মুহূর্তেই আয়ুশীর শরীরে কারেন্ট বয়ে গেলো মনে হয়।

“নাও ইউ লুক পারফেক্ট!”

আয়ান আয়ুশীকে পোজ দিতে বললেও আয়ুশীর হেলদোল নেই।কানে গুঁজে থাকা ফুলে হাত দিয়ে,লজ্জা মাখা চেহারায় নিচে তাকিয়ে রইলো ও।এদিকে আয়ান এটাকেই পোজ ভেবে ছবি তুলে নিলো।আয়ানের চোখ আটকে গেলো ছবিটির দিকে,কালো গোল কামিজ পরিহিত ,খোলা চুলে কাঠগোলাপ গুঁজে রাখা রমণীর লজ্জামাখা মুখশ্রী ওর মনে কিসের যেনো ঝড় তুললো।তখনই নিচে ডাক পড়ে আয়ুশীর।ফোনের কথা বেমালুম ভুলে ছুট লাগালো নিচে।এদিকে আয়ান তখনও দাড়িয়ে ।কি ভেবে যেনো ছবিটা নিজের ফোনে নিয়ে নিলো।কারণটা ওর অজানা!একদমই অজানা….

#চলবে