আজকে শহর তোমার আমার পর্ব-১৬

0
649

#গল্পঃআজকে_শহর_তোমার_আমার
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_১৬

রুপ্সিতা আলিফের চারদিকে চরকির মতো ঘুরছে আর গান গাইছে।আলিফ পড়েছে বিপাকে।একহাতে রুপ্সিতা শক্ত করে ধরে এদিক ওদিক নজর দিয়ে তিন্নিকে খুজে চলেছে।তিন্নিকে পেলে একটা ব্যবস্থা করা যাবে।রুপ্সিতা আলিফের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ঘুরে ঘুরে নাচতে লাগলো।হাতের বিয়ারের বোতল অর্ধেক খালি দেখে আলিফের চোখ কপালে উঠে গেলো।সর্বনাশ করেছে বাকিটুকু খেতে দিলে আমার বারোটা বাজবে।এমনিতেই আজকে আমার উপর দিয়ে বহু ঝড় যাবে।

আলিফের কাছে প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে।বিরক্ততে কপাল কুচকে তিন্নিকে খুঁজে চলেছে।কোনদিকে গেলো এই মেয়ে।এখন রুপ্সিকে নিয়ে বাসায় যাওয়া ও সম্ভব না।আগে লেবু পানি খাইয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করে নিতে হবে।চারদিকে চোখ বুলিয়ে অবশেষে তিন্নির দেখা পেলো আলিফ।হাত উঁচু করে ডাক দিলো।তিন্নি দেখতে না পেয়ে অন্যদিকে চলে গেছে।আলিফ বিরক্তিতে “চ” শব্দ করে উঠে।রুপ্সিতা আলিফের গাল দুটো জোরে জোরে টানছে আর বলছে আউ কি কিউট বাবু।বাবু তোমাকে আমি আমার বাসায় নিয়ে যাবো প্রতিদিন তোমার গাল দুটো টেনে দেবো কেমন?তুমি কিন্তু আমার সাথে যাবে হ্যাঁ!

আলিফ গালে ব্যাথা পাচ্ছে কিন্তু রুপ্সিতা গাল ছাড়ছেনা।এখন আলিফের অবস্থা ছলছল নয়নে হাসিমাখা বদনে।
রুপ্সিতা আলিফের হাত টেনে বলল,চল বাবু আমরা এখন নাচবো।এই জুস খাবে?এই নাও বলেই বিয়ারের বোতল উঁচু করে আলিফের মুখে ঢুকিয়ে দিতে গেলে আলিফ মুখ সরিয়ে বোতলটা খপ করে ধরে নেয়।
রুপ্সিতা ঢুলুঢুলু চোখে চেয়ে আলিফকে বলল,কি হলো বাবু তুমি জুস খাচ্ছো না কেন?খাবে না?তাহলে আমার জুস দিয়ে দাও আমিই খাই।রুপ্সিতা বিয়ারের বোতল ধরতে গেলেই আলিফ বোতল সমেত হাত সরিয়ে নেয়।চারদিকে মানুষ ব্যস্ত আছে নাচ গান নিয়ে।এদিকে কারো তেমন একটা লক্ষ্য নেই।আলিফ বিয়ারের বোতলটা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়ে রুপ্সিতার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।রুপ্সিতা ঠোঁট ফুলিয়ে নাকি কান্না করে বলছে,এই বাবু তুমি আমার জুস ফেলেছো কেন?আমার জুস দাও নাহলে কামড়ে দেবো।

আলিফ রুপ্সিতা হাত ধরে রেখেই বলল,পরে তোমাকে অনেকগুলো জুস কিনে দেবো এখন আমার সাথে আসো।
রুপ্সিতা উচ্চস্বরে বলে উঠলো নাহহ!আমার এখনই জুস লাগবে তা নাহলে

“আউচ”আলিফ হাত ঝাঁকাচ্ছে।রুপ্সিতা নিজের দাঁত দিয়ে আলিফের হাতে কুটুস করে কামড় বসিয়ে দিয়েছে।আলিফকে হাত ঝাঁকাতে দেখে রুপ্সিতা চোরের মতো চেয়ে আছে আলিফের দিকে।
আলিফ হাত ঝাঁকানো অফ করে রুপ্সিতার হাত শক্ত করে ধরে একটা রুমে রুপ্সিতাকে রেখে বাইরে দিয়ে দরজা আটকে তিন্নিকে খুঁজতে গেছে।রুপ্সিতা দরজা ধাক্কা দিয়ে বলছে,বাবু তুমি আমাকে এখানে আটকে রেখেছো কেন?তুমি খুব পঁচা বাবু।বাইরে থেকে সাড়া না পেয়ে রুপ্সিতা ধীরে ধীরে খাটে গিয়ে বসেছে।কিছুক্ষণ মুখ গোমড়া করে রেখে আস্তে আস্তে ঠোঁটের কোনের হাসি প্রসারিত করতে লাগলো।একসময় হুহা করে হেসে খাটে গড়াগড়ি খেতে লাগলো।বেটা আলিফ আচ্ছামতো জব্দ হয়েছে।রুপ্সিতা প্রথমে ভেবেছিলো বিয়ার খাবে কিন্তু এক ঢোক মুখে নিতেই চোখমুখ কুচকে গেলো।তাই মুখের অংশ ফেলে দিয়ে বোতলের অর্ধেক পরিমান ফেলে দেয়।যাতে আলিফ মনে করে রুপ্সিতা বোতলের অর্ধেক বিয়ার খেয়ে খালি করে ফেলেছে।রুপ্সিতা শুয়ে শুয়ে হেসে যাচ্ছে।

এদিকে আলিফ তিন্নিকে খুজে পেয়ে বলল,তোমাদের এখানে কি বিয়ারের ব্যবস্থা করেছো আজকে?
তিন্নি ভ্রু কুচকে বলল,কই নাতো?কেন আপনি খাবেন নাকি?তাহলে আমি আমার কাজিনদেরকে বলছি ওরা মনে হয় আজকে এনগেজমেন্ট শেষে পার্টি করবে আর বিয়ারের ব্যবস্থা করবেনা এটা হতে পারেনা।
আলিফ কপালে দু’আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে বলল,রুপ্সি বিয়ার খেয়েছে।নিশ্চয়ই তোমার কাজিনদের কাছ থেকে নিয়েছে।তোমার কাজিনরাও কেমন একটা মেয়ে মানুষকে বিয়ার দিয়ে দিলো?
তিন্নি চোখ কপালে তুলে বলল,কিহ?রুপা ড্রিংক করেছে?দাঁড়ান আমি দেখছি।এই সোহেল এদিকে আয়।

কি হয়েছে আপু?

তোরাকি কোন মেয়েকে বিয়ার দিয়েছিলি?
সোহেল তিন্নির দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল,আমি দিতে চাইনি আপু।কিন্তু মেয়েটা আমার হাত থেকে জোর করে নিয়ে গেছে।
তিন্নি বলল,ঠিক আছে যা তুই।তারপর আলিফের দিকে তাকিয়ে বলল,রুপা কই?
আলিফ বলল,তোমাদের এখানে একটা রুমে আটকে রেখে এসেছি এখন একটু লেবুপানির ব্যবস্থা করো।
ঠিক আছে আপনি দাঁড়ান আমি লেবুপানি নিয়ে আসছি বলে তিন্নি চলে গেলো।
একটুপর লেবুপানি নিয়ে তিন্নি এগিয়ে এসে বলল,চলুন কোন রুমে রুপা।
আলিফ এগিয়ে গেলো পেছন পেছন তিন্নি ও গেলো।রুমের দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে রুপ্সিতা আবারো আগের ন্যায় অভিনয় করা শুরু করে।মনে মনে বলে বাহ রুপ্সিতা!বাহ!তুইতো অনেক ভালো অভিনয় করিস।বাংলা সিনেমার নায়িকারাও তোর কাছে হার মানবে।
তিন্নি লেবুপানি নিয়ে রুপ্সিতাকে খাইয়ে দিতে গেলেই রুপ্সিতা বলল,কি এগুলো আমি খাবোনা।

আলিফ বলল,তুমি না জুস চেয়েছিলে?এটা জুস খুব মজা খেয়ে নাও।রুপ্সিতা মনে মনে বলছে হায়রে খোদা কি বিপদে ফেললে এখন নাকি লেবুপানি খেতে হবে।সাথে একটু লবন আর চিনি দিয়ে সরবত বানিয়ে দিলেইতো ঢকঢক করে গিলে ফেলতাম।
রুপ্সিতা নাথা নেড়ে বলল,নাহ এই জুস পঁচা।আমিতো বোতলের জুস খাবো।
আলিফ গ্লাস হাতে নিয়ে রুপ্সিতার মুখ টিপে মুখের সামনে গ্লাস ধরে রাখলো।অনেকটা লেবুপানি রুপ্সিতার পেটের ভেতর চালান হয়ে গেছে বাকিটা মুখদিয়ে ফুস করে বের করে দিয়েছে।সবগুলো গিয়ে আলিফের শার্টে পড়েছে।আলিফ শার্টের দিকে তাকিয়ে করুন চোখে তাকালো রুপ্সিতার দিকে।রুপ্সিতা দৌঁড়ে ওয়াশরুমে চলে গেছে।আরো অনেকবার এই বাড়িতে এসেছে রুপ্সিতা তাই আনাচে কানাচে কিছু চিনতে অসুবিধা হয়নি।ওয়াশরুমের বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে রুপ্সিতা ওয়াক ওয়াক করছে।কিরে?আমার বমি আসেনা কেন?আমিতো ভাবছি এই লেবু পানি খেয়ে আমি বমি করে এদের ওয়াশরুম ভাসায় ফেলবো এখন দেখি বমিই আসছেনা।
চোখেমুখে পানি দিয়ে রুপ্সিতা ওয়াশরুম থেকে বের হতেই আলিফ তিন্নিকে বলল রুপ্সিতার পাশে বসতে ও ওয়াশরুম থেকে শার্ট পরিষ্কার করে আসছে।
রুপ্সিতা এতক্ষণ অভিনয় করে ক্লান্ত হয়ে গেছে তাই এখন চুপচাপ শুয়ে আছে।তিন্নি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

শার্ট পরিষ্কার করে এসে আলিফ বলল,আমাদের এখনই যেতে হবে।তিন্নি বলল,সে কি জিজু?একটু পরই আটটা বাজবে আমাদের এনগেজমেন্ট শুরু হবে আর আপনি বলছেন এখনই চলে যাবেন?
আলিফ কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,এখন থাকা সম্ভব নয়।রুপ্সির অবস্থা দেখেছো?এখানে থেকেও লাভ হবেনা।রুমেই বসে থাকা লাগবে বাইরে গেলে ও আবার পাগলামি শুরু করবে।তিন্নি মুখ ছোট করে হালকা মাথা নেড়ে বলল,ঠিক আছে।

এরপর আলিফ রুপ্সিতাকে নিয়ে তিন্নির বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গাড়ির জন্য দাঁড়ায়।সামনে একটা সিএনজি এসে দাঁড়াতেই আলিফ কথা বলে রুপ্সিতাকে উঠতে বলে।রুপ্সিতা উঠে বসতেই ওর পাশে একটা ছেলে এসে বসে পড়ে।ছেলেটি ড্রাইভারকে বলে মামা সামনে নামিয়ে দিবেন।আলিফের ভ্রু কুচকে এলো কিন্তু কিছু বলল না।এখন আরেকটা সিএনজির জন্য দাঁড়িতে হলে বাসায় যেতে দেরি হবে।রুপ্সিতাকে সরিয়ে আলিফ মাঝখানে বসে পড়ে আর রুপ্সিতা কর্নারে বসে।ছেলেটা বারবার আলিফের উপর দিয়ে চোখ নিয়ে রুপ্সিতাকে দেখার চেষ্টা করছে।কয়েকবার এরকম হওয়াতে আলিফ ক্ষেপে গেলো।

সিএনজি থামাতে বলে ছেলেটার কলার চেপে ধরলো।কি সমস্যা?ঐ দিকে কি দেখো?
ছেলেটা মাথা হালকা বেঁকিয়ে রুপ্সিতার দিকে তাকিয়ে বলল,নীলপরি দেখি।
আলিফ ছেলেটার নাক বরাবর একটা ঘুষি মারে।ছেলেটা সিএনজির সাথে বাড়ি খেয়ে হেলে যায়।সিএনজির ড্রাইভার ওদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে।ছেলেটা নাক টিপে দাঁড়িয়ে আছে নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে।আলিফ এগিয়ে গিয়ে আরেকটা মারতে গেলেই রুপ্সিতা পেছন থেকে আলিফকে জড়িয়ে ধরে রাখে।প্লিজ এখানে এখন কোনো ঝামেলা করবেন না আমার ভয় করছে।রুপ্সিতার কথায় আলিফ থেমে যায়।আরেকটা সিএনজি থামিয়ে উঠে পড়ে রুপ্সিতাকে নিয়ে।

ছেলেটা নাক চেপে ধরে এবার কেঁদে দিলো।ভেবেছে হালকা একটু গুন্ডামি করবে ওর ভিলেন হওয়ার খুব শখ।কিন্তু আলিফের এক ঘুষিতে ভিলেন হওয়ার শখ ঘুচে গেছে।
পুরো রাস্তা আলিফ আর রুপ্সিতা কেউ কথা বলেনি।বাসায় এসে আলিফ চেঞ্জ করতে চলে গেছে।রুপ্সিতা ও রুমের ভেতর শাড়িটা পাল্টে নিয়ে বারান্দায় চলে যায়।আলিফ একেবারে শাওয়ার নিয়ে নিয়েছে।
রুপ্সিতা যে ওর সাথে অভিনয় করেছে ব্যাপারটা আলিফের কাছে স্পষ্ট।তখন আলিফকে জড়িয়ে ধরে আটকে দেওয়ায় আলিফ বুঝে যায় কেননা রুপ্সিতা প্রথমে আলিফকে বাবু বলে সম্বোধন করেছে আর তুমি বলেছে।তখন রাস্তায় রুপ্সিতা সজ্ঞানেই ছিলো।

ভেজা চুল গুলো হাত দিয়ে ঝেড়ে আলিফ বারান্দায় রুপ্সিতার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আলিফই আগে কথা বলা শুরু করলো।
তুমি আমার সাথে আজকে অভিনয় করেছো তাইনা?
আচ্ছা আমার দোষটা কোথায় বলতে পারো রুপ্সি?আমি মায়াকে ভালোবেসেছি এটাই কি আমার দোষ?আমার আর মায়ার ভালোবাসা পূর্নতা পায়নি এতে আমি মায়া দুজনেই কষ্ট পেয়েছি।মায়া ধীরে ধীরে আরাফাতকে মানিয়ে নিয়েছে তাদের বিয়ের এখন প্রায় পনেরো মাস।আর আমাদের বিয়ের মাত্র দুই মাস।এই দুইমাস সময় নেওয়াটা কি খুব বেশি হয়ে গেছে?আমার মনেতো মায়া ছিলো আমি চেয়েছিলাম সময় নিয়ে তোমাকে মানিয়ে নিতে।আমি আমাদের বিয়ের প্রথম রাতেও তোমাকে বলেছিলাম দুজনেরই একে অপরকে চেনাজানা প্রয়োজন আছে।আচ্ছা তুমি কি এটা চাইবে যে আমি ভালোনাবেসে তোমাকে ছুয়ে দিই।আমি চেয়েছি তোমাকে যা দেবো মন থেকে দেবো বাধ্য হয়ে নয়।
আমার মনে যদি মায়া না থাকতো তাহলে হয়তো তোমাকে মেনে নিতে আমার এতটা সময় লাগতো না।

রুপ্সিতা এবার মুখ খুলললো,তাহলে আমার দোষটা কোথায়?আপনি প্রথম থেকে আমাকে সবকিছু বলে দিলোতো আর এত কিছু হতোনা।আমিও আপনার কাছে কিছু এক্সপেক্ট করতাম না।রুপ্সিতার গলাটা ধরে আসছে।আমরা কখনো যদি কোনোভাবে কাছাকাছি আসতাম আপনি মাঝপথে দূরে চলে যেতেন।তখন আমার কষ্ট হতো না?

আলিফ রুপ্সিতার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,আমার ভুলের জন্য তুমি কষ্ট পেয়েছো।আ’ম সরি!কিন্তু বিশ্বাস করো আমি তোমার সাথে থাকতে থাকতে কখন যে তেমাকে ভালোবেসে ফেলেছি আমি জানিনা।আমি শুধু এটা জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি।আমার বৃদ্ধ বয়সটাও তোমার সাথে কাটাতে চাই।মায়া আমার প্রথম ভালোবাসা তাকে আমি ভুলতে পারবোনা ঠিকই কিন্তু তোমাকে ভালোবাসতে কোনো কমতি রাখবোনা।আমার ভুলের জন্য আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?প্লিজ!

রুপ্সিতার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরছে।ঠোঁট চেপে কান্না সংবরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।ও তো আলিফের মুখে ভালোবাসি কথাটাই শুনতে চেয়েছিলো।হুট করে দুহাত দিয়ে আলিফকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আটকে যাওয়া কন্ঠে বলল,আমিও আপনাকে ভালোবাসি।
আলিফের ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে।নিজের বলিষ্ঠ হাতজোড়া দিয়ে আলিফও রুপ্সিতাকে আঁকড়ে ধরে।
আলিফ ঘোরলাগা কন্ঠে বলছে,রুপ্সি!
রুপ্সিতা জবাব দেয়,হুম।
আলিফ ফিসফিসিয়ে বলে,আমি কি রালিফ আর আলিফার আব্বু হওয়ার সুযোগ পাবো না?

রুপ্সিতা ধ্যাত বলে সরে আসতে নিলেই আলিফ রুপ্সিতার হাত শক্ত করে ধরে মুখটা ইনোসেন্ট করে বলল,প্লিজ!
রুপ্সিতা লজ্জায় আলিফের বুকে মুখ লুকালো।
(সবাই এখানেই থেমে যান😁)
#চলবে……….।