আজ তার বিয়ে পর্ব-০৯

0
2325

# আজ_তার_বিয়ে
# লেখিকা -নাইমা জাহান রিতু
# পর্ব -৯
প্রায় এক ঘন্টা হলো গুলশান রেস্টুরেন্ট এ
চুপচাপ বসে আছে ইমতি। সাথে আছে তার
একসময়ের ভার্সিটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিলয়। যার
মাধ্যমে তার আর অদ্রির প্রেমের সূচনা
হয়েছিল। ইমতিকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে
নিলয় বলে উঠলো
-“আমাকে ময়মনসিংহ থেকে জোর করে
আনিয়ে এভাবে বোবা হয়ে বসে আছিস কেন?”
ইমতি তার নিরবতা ভেঙে বললো
-“তোর আরো দু দিন আগে আসার কথা ছিল।”
-“আমি কখনওই তোর এই বিয়েতে আসতাম না।”
ইমতি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো
-“আর বিয়ে!”
-“তুই বিয়েতে মত দিলি কিভাবে এটা আমার
মাথায় আসছে না। অদ্রিকে আমি যতোটুকু
চিনি ও কখনো এমন কাজ করতেই পারবে না।”
-“আমিও মনে প্রাণে সেইটাই বিশ্বাস করতাম।
কিন্তু মাঝে এমন রাগ উঠে গিয়েছিল ওর উপর
যা আর কন্ট্রোল করতে পারি নি। আর তখনি মা
বিয়ের কথা বলাতেই রাজি হয়ে গেছি। তখন
শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল ‘ও আমাকে ঠকিয়ে
নতুন রিলেশন এ জড়াতে পারলে আমি কেন
অন্য কাওকে বিয়ে করতে পারবো না।’ আর এর
রেশ ধরেই আখির সাথের বিয়েটায় রাজি
হয়েছি।”
নিলয় ভ্রু কুঁচকে বললো
-“আখিটা কি তোর হবু বৌ?”
ইমতি বিরক্তি নিয়ে বললো
-“জানি না। ভাইয়া একের পর এক কল করেই
যাচ্ছে। একটু পর আমার বিয়ে। অথচ আমি
এখানে বসে সুখ দুক্ষের আলাপ করছি তোর
সাথে।”
-“তো যা, গিয়ে বিয়েটা সেরে ফেল।”
-“অসম্ভব।”
-“তোর কথার আগা মাথা কিছুই আমি বুঝতে
পারছি না।”
ইমতি হতাশ ভঙ্গি তে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে
বললো
-“আমি নিজেও আমার কথা বুঝতে পারছি না।
নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। আখির সাথে
কথা বলে, দেখা করে এক মুহূর্তের জন্য হলেও
আমার মনে হয়েছিল আমি সব ভুলে আখির
সাথে মানিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু…”
-“মেয়েটা কি খুব রূপবতী নাকি?”
ইমতি নিলয়ের কথার জবাব না দিয়ে চুপ করে
রইলো। নিলয় মুখে হালকা হাসি এনে বললো
-“আরে বন্ধু, আমরা সবাই সুন্দরের পূজারী।”
-“কিন্তু আমি এই ভূল টা কিভাবে করলাম?
যাকে এত বেশি ভালোবাসি, যাকে ছাড়া
নিশ্বাস নেয়া দায় তাকেই ভুলে যেতে
চেয়েছিলাম সুন্দরের মোহে পড়ে!”
নিলয় চিন্তিত ভঙ্গিতে বললো
-“সত্যি বলবো? এই বিষয় টা নিয়ে আমিও তোর
উপর কিছুটা হলেও আপসেট। কিন্তু আমরা যে
পুরুষ, আমরা পারি না এমন কিছু কি আছে? যাই
হোক পরে তোর মাথায় সুবুদ্ধি এল কবে?”
-“যেদিন জানলাম সাজিদ অদ্রিকে বিয়ে
করতে চায়। অদ্রিকে আমি জাস্ট আর কারো
সাথে কল্পনা করতে পারবো না। ও কারো
বুকে মাথা রেখে, কাওকে জড়িয়ে ধরে
ঘুমাবে এটা আমি কল্পনাতেও ভাবতে পারবো
না। বুকটা কেপে ওঠে এসব ভাবলেই। আমার
অদ্রিকে আমি কারো সাথে শেয়ার করতে
পারবো না।”
-“তাইলে আজ সাজিদ যদি অদ্রিকে বিয়ে
করতে না চাইতো তাহলে কি তোর এগুলো মনে
হতো? হতো না। ঢং ঢ্যাং করে আজ ঠিকই
আখি কে বিয়ে করতে যাইতি। আল্লাহ জানে
অদ্রি মেয়েটা নিজের চোখের সামনে এগুলো
কিভাবে সহ্য করে এখনো টিকে আছে বিয়ে
বাড়িতে!”
ইমতি খানিকক্ষণ নিরব হয়ে রইলো তারপর হঠাৎ
নিলয়ের দিকে উজ্জ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে
বললো
-“আমি ভুল করার আগেই আল্লাহ আমাকে সঠিক
পথ দেখিয়ে দিয়েছে। চল।”
নিলয় অবাক হয়ে বললো
-“মানে?”
-“দেরি হয়ে যাচ্ছে। কমিউনিটি সেন্টারে
যেতে হবে না?”
-“আমি যাব না। তোর বিয়ে তুই যা।”
ইমতি বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে
বললো
-“তুই যাবি না তোর বাপ যাবে। উঠ বলছি।”
৩১২ নাম্বার কেবিনের করিডোরে দাঁড়িয়ে
বেশ খানিকক্ষণ হলো অপেক্ষা করছে শাহানা
বেগম তার মেয়ে অদ্রির জন্য। কেবিনের
ভেতরেই ডাক্তার তাকে দেখছে। মেয়েটা
এভাবে মেঝেতে পড়ে আছে কিভাবে এটা
তার মাথায় এখনো আসছে না। মাথা ঘুরে পড়ে
গেল নাকি মেয়েটা! কদিন হলোই মেয়েটা
বলছিল সে অসুস্থ। কিন্তু কখনওই তার কথায়
জোর দেয় নি সে। অথচ আজ মেয়েটা এতোটাই
অসুস্থ যে মেঝেতে পড়ে রয়েছিল। ভাবতেই
শরীর টা কেপে উঠছে তার। তার সাথেই
হাসপাতালে এসেছে আয়েশা বেগম আর ইতি।
শাহানা বেগমের চিৎকার শুনেই অদ্রির ঘরে
উপস্থিত হয়েছিল সবাই। সবার মুখে ছিল এক
রাশ বিস্ময়। কি হলো অদ্রির? এভাবে
মেঝেতে পড়ে আছে কেন? কেউ ব্যাপার টা
বুঝতে না পারলেও আয়েশা বেগম আর ইতির
ব্যাপার টা বুঝতে সময় লাগলো না। সবাইকে
কোনো রকমের বুঝ দিয়ে কমিউনিটি
সেন্টারে পাঠিয়ে দিয়েই ইতি অদ্রির
নিশ্বাস আর পালস টা চেক করে নিল। দু টোই
স্বাভাবিক দেখে আয়েশা বেগমের দিকে
তাকিয়ে তাকে আশ্বাস দিল এখনো তেমন
কিছু হয় নি। নিশ্বাস নিচ্ছে অদ্রি। তারপরই
এম্বুলেন্স ফোন করে অদ্রিকে হাসপাতালে
নিয়ে এল তারা। সকাল সকাল আফজাল
সাহেবের সাথে অদ্রির বাবা আজিজ সাহেব
ও বেড়িয়ে গিয়েছিলো জন্য বাচা। তারা
থাকলে এই ব্যাপার টা ধামাচাপা দেওয়া
যেত না কোনোভাবেই। আর এটা নিয়ে বড়
কোনো ঝামেলা বাধতোই। নিজের চোখের
সামনে ভাইয়ের পরিবারকে কখনোই ছোট হতে
দেখতে পারবে না কোনো বোন। ভেবেই
স্বস্তির নিশ্বাস নিল আয়েশা বেগম। ইতি তার
মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বললো
-“মা, তুমি টেনশন করো না। তুমি এভাবে
ঘাবড়ে গেলে মামি কিন্তু সন্দেহ করবে।”
আয়েশা বেগম ইতির দিকে তাকিয়ে বললো
-“আমি কেমন মা বল তো?”
মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে ইতি বললো
-“নিঃসন্দেহে তুমি একজন ভালো মা। আমার
মা পৃথিবীর সেরা মা।”
আয়েশা বেগম তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো
-“আমি যদি ভালো মা হতাম তাহলে আমার
আরেক মেয়েকে নিজের হাতে মরার জন্য
পাঠাতাম না।”
ইতি তার মা কে ছেড়ে দিয়ে অবাক হয়ে
বললো
-“মানে?”
কথা ঘুড়িয়ে আয়েশা বেগম বললো
-“কিছু না। অদ্রি আত্মহত্যার চেষ্টা কিভাবে
করলো বলে তোর মনে হচ্ছে?”
-“আমার মনে হচ্ছে ও ঘুমের মেডিসিন
টেডিসিন কিছু খেয়েছিল।”
বলতে বলতেই ইতির ফোন বেজে উঠলো। ফোন
করেছে শিমা। ইতি ফোন রিসিভ করে বললো
-“তোমরা পৌছেছো?”
-“হ্যাঁ। অদ্রির কি অবস্থা?”
-“ডাক্তার দেখছে। আচ্ছা শোনো, ইমতি
এসেছে?”
-“না। ইফতেখার বললো কাছাকাছি আছে।”
-“আচ্ছা, আসুক তাহলে। আর ইমতিকে অদ্রির
ব্যাপারে কিছু যেন বলো না।”
শিমা ভ্রু কুঁচকে বললো
-“কেন?”
-“আরে, আজ ওর বিয়ে না! এসব নিয়ে স্ট্রেস
দেয়া টা কি দরকার? আচ্ছা, রাখি কেমন?”
-“হুম, বাই।”
সাজিদ ইমতির বিয়েতে উপস্থিত হবে কিনা
এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছে।
সাজিদের বাবা মা অনেক আগেই চলে গেছে
কমিউনিটি সেন্টারে। তাকে সাথে নিয়ে
যেতে চাইলেও সে কোনো রকম কাটিয়ে
দিয়েছে কথা টা। কাল রাতের ঘটনার জন্য
তার একবার মনে হচ্ছে বিয়েতে যাওয়া টা
ঠিক হবে না কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার মন বলছে
চলে যা বিয়েতে। হাজার হলেও তার বন্ধুর
বিয়ে। কিন্তু কাল রাতের ঘটনা টাও মন থেকে
মুছে ফেলতে পারছেনা সাজিদ। তার কাছে
পুরো ব্যাপার টাই অস্পষ্ট। ইমতির ফোনে
ওভাবে রিয়াক্ট করার কারণ টা তার মাথায়
একদম আসছে না। কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা
করার পর সাজিদ সিদ্ধান্ত নিল সে যাবে
ইমতির বিয়েতে। হয়তো কোনো মিস
আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে কাল রাতে। আর
সেটা ক্লিয়ার করার জন্য হলেও তার ইমতির
সাথে দেখা করাটা প্রয়োজন। তাই আর দেরি
না করে হালকা একটা শাওয়ার নিয়ে তৈরি
হয়ে বেরিয়ে পড়লো সে ইমতির বিয়ের
উদ্দেশ্যে।
ডাক্তার হাসি মুখে বেরিয়ে আসতে আসতে
বললো
-“আপনারা এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে না থেকে
ওয়েটিং রুমে বসলেই পাড়তেন।”
ডাক্তারকে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসতে
দেখে শাহানা বেগম এগিয়ে এসে বললো
-“আমার মেয়ের কি অবস্থা?”
-“আপনি রোগীর মা?”
আর কিছু বলার সুযোগ শাহানা বেগমকে না
দিয়ে ইতি বললো
-“আপনি প্লিজ আমার সাথে একটু এদিকে
আসুন।”
বলেই মায়ের দিকে তাকিয়ে ইশারা করলো
ইতি। তারপর ডাক্তার কে নিয়ে এগুলো সে।
মেয়ের ইশারা পেয়ে আয়েশা বেগম শাহানা
বেগম কে বললো
-“ইতি কথা বলুক। ও সমস্যাটা বুঝতে পারবে।
চলো আমরা বরং অদ্রির পাশে গিয়ে বসি।”
ডাক্তার কে এভাবে শাহানা বেগমের সামনে
থেকে সরিয়ে আনতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস
ফেললো ইতি। মামির সামনে ইতির আত্মহত্যার
ব্যাপার নিয়ে ডাক্তার যেন কিছু বলতে না
পারে তাই কাজ টা করতে হলো তার। ইতি
ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বললো
-“অদ্রির এখন কি অবস্থা?
-“জ্বি, এখন সে সুস্থ আছে। কিন্তু এই সময় টায়
আরো কেয়ারফুল থাকতে হবে তার। ওনার
স্বামী আসে নি? সে আসলে আমার চেম্বারে
একবার পাঠিয়ে দেবেন। তার সাথে কিছু
জরুরী কথা বলা দরকার। এই সময়টায় বাচ্চার
অবস্থা অনেক নাজুক থাকে। খাওয়া দাওয়া,
চলাফেরা, সহবাস সব ঠিক ঠাক ভাবে করা
উচিৎ এই সময় টায়।”
ডাক্তারের এই সমস্ত কথা শুনে হতভম্ব হয়ে
দাঁড়িয়ে রইলো ইতি। তার মাথা টা ভন ভন করে
ঘুড়তে শুরু করেছে। কি বলছে ডাক্তার এগুলো?
অদ্রি কি প্রেগন্যান্ট?
ইতিকে অবাক হয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে
দেখে ডাক্তার বললো
-“আপনি কি রোগীর বোন হন? খেয়াল রাখবেন
ওর দিকে। এই সময় টায় মাথা ঘোড়াটা
স্বাভাবিক। কিন্তু ঠিকঠাক ভাবে চলা ফেরা
করলে আজ মাথা ঘুরে এভাবে পড়ে থাকতে
হতো না। এভাবে পড়ে যাওয়াটা প্রেগন্যান্ট
অবস্থায় অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। ”
ইতির বিস্ময় যেন কাটছেই না। তার মানে
অদ্রি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেনি।
প্রেগন্যান্ট থাকার কারণে মাথা ঘুড়ে
মেঝেতে পড়ে গিয়েছিল অদ্রি। ভাবতেই
বুকটা কেপে উঠলো ইতির। নিজেকে কোনো
রকম সামলিয়ে নিয়ে আমতা আমতা করে
বললো
-“হ্যা, মানে না। আ..আচ্ছা অদ্রি কি
প্রেগন্যান্ট?”
ডাক্তারের এবার অবাক হবার পালা। সে ইতির
দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো
-“মানে? রোগীর ৪ মাস চলছে। অথচ আপনারা
জানেনই না সে প্রেগন্যান্ট?”
-“না। মানে… আচ্ছা আমি একটু আসি।”
বলেই আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে সে পা
আগালো তার মা আয়েশা বেগমের দিকে।
অদ্রির কেবিনে যেতেই শাহানা বেগম
ইতিকে জিজ্ঞাস করলো
-“কি বললো ডাক্তার?”
অদ্রির প্রেগনেন্সির খবর টা এখনো হজম করতে
পারছে না ইতি। বারবার গলা শুকিয়ে কাঠ
হয়ে যাচ্ছে। মামির দিকে না তাকিয়েই ঢোক
গিলতে গিলতে ইতি বললো
-“অদ্রি সুস্থ আছে। হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে
গিয়েছিল দুর্বলতার কারণে। কিছু মেডিসিন
লিখে দিল। আমি আনিয়ে দিচ্ছি।”
তারপর আয়েশা বেগমের উদ্দেশ্যে বললো
-“মা, একটু বাইরে এসো। শিমা ভাবি কথা
বলবে তোমার সাথে।”
আয়েশা বেগম মেয়ের কথায় উঠে পড়লো
অদ্রির পাশ থেকে। এতক্ষণ অদ্রির পাশে
বসেই মাথাটা হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল সে।
অদ্রির মুখ টা শুকিয়ে যে কাহিল অবস্থা
হয়েছে সেটা ভাবতেই চোখ টা লেগে
আসছিল তার।
বাইরে করিডোরে দাড়াতেই ইতি আয়েশা
বেগমের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বললো
-“মা, অদ্রি প্রেগন্যান্ট।”
কষ্টে হতাশ হওয়া মুখটি নিমিষেই বিস্ময়ে
ভরে গেল আয়েশা বেগমের। মেয়ের দিকে
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো
-“কী আবল তাবল কথা বলছিস এগুলো?”
-“মা, আমি সত্যি বলছি।”
ইতি তার মা আয়েশা বেগম কে সব খুলে বলতেই
আয়েশা বেগম কঠিন স্বরে বললো
-“ইমতিকে ফোন লাগা। আজ এই বিয়েটা হলে
অদ্রির পেটের অনাগত সন্তান আমাকে মাফ
করতে পারবে না কোনোদিন।”
ইতি আর কথা না বাড়িয়ে তার ভাই ইমতির
নাম্বার ডায়েল করতে শুরু করলো। একের পর এক
রিং বাজতে থাকলেও ওপাশ থেকে ইমতির
সাড়া না পেয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় ইতি
বললো
-“মা, ও ফোনটা রিসিভ করছে না। বিয়েটা
হয়ে গেল না তো আবার?”
কমিউনিটি সেন্টারে এখন জমজমাট অবস্থা
বিরাজ করছে। বিয়ে পড়ানো মাত্রই শেষ
হয়েছে। অনেক বাধা বিপত্তির পরও যে এই
বিয়েটা সম্পূর্ণ হলো এটা ভেবেই আনন্দে মুখ
ঝলমল করছে আখির বাবা স্বাস্থ্যমন্ত্র
ী হাফিজ সাহেবের।
(চলবে)