আমায় একটু ভালবেসো পর্ব-৫+৬

0
289

#আমায়_একটু_ভালবেসো
#জান্নাতুল_ফেরদৌস_কেয়া

(৫)

আয়নায় নিজেকে খুঁটিয়ে,খুঁটিয়ে দেখছে অর্ণা। মারিয়া বেগম এসে দরজায় টোকা দিল,
,কি করিস অর্ণা?
হাতে থাকা কাজলটা রেখে। ঘুরে তার দিকে তাকালো। মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
,আমাকে কেমন লাগছে, বলো তো ফুপি!
মারিয়া বেগম ভাইজি কে দেখে অবাক হলেন। কিছু প্রশ্ন করতে গিয়ে ও থেকে গেলেন। দুহাতে অর্ণার মুখে রেখে বলল,
,মাশা-আল্লাহ! কি সুন্দর লাগছে আমার মা টা কে।কারো নজর যেন না লাগে।
,ধন্যবাদ ফুপি।
,চল মা নিচে চল।ওরা সবাই খেতে বসেছে। তোর বাবা ডাকছে তোকে!
,হ্যাঁ চলো।
মারিয়া বেগম কাচুমাচু করে বলল,
,একটা কথা জিজ্ঞেস করি অর্ণা?
,হ্যা ফুপি বল না’
,না মানে! আজ তোকে অন্যরকম লাগছে।
,কি রকম?
,সুন্দর লাগছে। তুই কি আবার আগের মতো হয়ে গেছিস মা?
অর্ণা মুচকি হাসলো। মারিয়া বেগম খুশিতে অর্ণাকে জরিয়ে ধরল।আনন্দিত সুরে বলল,
,আজ যে আমি কি খুশি হয়েছি তা বলার বাইরে। উফ্ আমার অর্ণা আবার সেই আগের মতো হাসিখুশি থাকবে ভাবতেই খুশি, খুশি লাগছে আমার।
ফুফুর ভালবাসা দেখে চোখ ভিজে গেল অর্ণার। মানুষ গুলো নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসে তাকে। এদের দিকে তাকিয়ে হলেও তাকে শক্ত হতে হবে।

লম্বা এক সারি করে দস্তরখানা বিছানো হয়েছে। তার মধ্যে সবাইকে খেতে দেয়া হবে। যদিও ডাইনিং টেবিল আছে। তবে দাদুর আমল থেকেই এই নিয়ম।সকলে তা পালন করে।
পর্ণার শশুরবাড়ির লোকেদের ডাইনিং এ বসানো হয়েছিল। কিন্তু তারাও নিচে বসে খাবে বলেছে। অর্ণা সিড়ি দিয়ে দোতলা থেকে নেমে। সোজা রান্নাঘরে চলে গেল। সেখানে বাড়ির সব বউয়েরা খাবার তৈরি করছে।
অর্ণা গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
,মা আর কি,কি কাজ আছে আমাকে বল।আমি করে দিচ্ছি।
সকলেই হাতের কাজ ফেলে অর্ণার দিকে নজর দিলো। বাড়ির প্রত্যেকটা লোকই অবাক হলো। অর্ণা উপস্থিতিতে। যে মেয়ে দু’দিন আগে ও ঘরের ভিতর গুমরে ম র ছি ল। তার এতো স্বাভাবিক আচারণ। ব্যাপারটা মারিয়া বেগম বুঝতে পেরে সবাই কে ইশারায় চুপ থাকতে বললেন। অর্ণার বাবার ভাই চারজন। আর বোন দুইজন। সবাই একসাথেই আছে। মেঝো কাকার বউ রাবেয়া বলে উঠলো,
,এই না,না। তোকে কিছু করতে হবে না। তুই যা ওখানে গিয়ে বস।আমরাই সব করতে পারব। যা ”
অর্ণা আর কথা বাড়ালো না। হল রুমে গিয়ে বাবার পাশে বসলো। এরশাদ সাহেব মেয়ের মাথায় হাত রাখলো। আদুরে সুরে বলল,
,খানা খাবে না আম্মাজান?
,হুম খাব বাবা।
,তাহলে চলো। ওরা তো সবাই বসে পড়েছে।
অতঃপর বাবা,মেয়ে খাবার খেতে গেল। দূর থেকে এসব দেখে জ্ব লে পু ড়ে ছারখার হচ্ছে পর্ণা। অর্ণা যে নিজেকে এতো তারাতাড়ি গুছিয়ে নেবে।তা ভাবতে পারেনি পর্ণা। অর্ণা কাছে আসতেই তার দিকে অ গ্নিচ ক্ষু নিয়ে তাকালো। তা দেখে মুচকি হাসলো অর্ণা।
,কি অর্ণা “কেমন আছো?আজকাল তো তোমার দেখা পাওয়া যায় না।
আদনানের কথা শুনে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো অর্ণার। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
,আমি ভালো আছি! আপনি কেমন আছেন স্যার?
,হুম ভালো। তা পড়ালেখার কি খবর চলছে তো সব ঠিকঠাক?
,জ্বি স্যার।
,আহ্ তোরা কি শুরু করলি বলতো। এখানেও কি তোরা ছাত্রী আর স্যার নাকি যে, জ্বি স্যার,জ্বি স্যার করছিস।
,তাহলে কি বলে ডাকবো ছোট বাবা?
,কেন” দুলাভাই ডাকবি!এমনিতে ও তো তোরা দু’মিনিটের ছোট বড়।আজকাল কি তা ধরে নাকি। যেহেতু পর্ণার আগে বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তুই ছোট। আর তাই আজকে থেকে দুলাভাই ডাকবি আদনানকে।
,না আংকেল। অর্ণা আমাকে স্যারই বলুক। আমার কোনো সমস্যা নেই ।
,আচ্ছা ‘তোমরা কথা বন্ধ করে খাওয়া শুরু করো তো।
সবাই খেতে আরম্ভ করলো। কেউ আর কোনো কথা বললো না। রা গে পর্ণা কিছুই খেল না। প্লেট ভর্তি ভাতের মধ্যে পানি ঢেলে উঠে পড়লো । এরশাদ সাহেব অনেক বার সাধলেন মেয়েকে। কিন্তু সে আর খেল না। খাবার খাওয়ার সময় এসব কিছুই দেখেছে অর্ণা। কিন্তু সে কিছু বলেনি।নিজের খাওয়া শে ষ করে উঠে চলে গেল নিজের রুমে।

অর্ণা রুমে ঢুকতেই পর্ণা এসে হাজির। সা পে র মতো ফোঁস ফোঁস করতে, করতে বলল,
,ড্রামা,!ড্রামা করছিস তাই না। আমার সুখ দেখে তো তোর স হ্য হচ্ছে না। তাই এসব করে বাবা মায়ের কাছে ভালো হবার জন্য ডং করছিস!
,হাসালি পর্ণা। তোর সুখ দেখে আমার সহ্য হচ্ছে না। নাকি আমাকে স্বাভাবিক দেখে তুই মেনে নিতে পারছিস না।কোনটা সত্য বলতো।
,হ্যা,হ্যা।তোকে স্বাভাবিক দেখেই আমি অবাক হচ্ছি। আচ্ছা আদনানকে তো এতো ভালবাসতি।তা সেই ভালবাসা কি দুদিনের মাথায়ই শেষ। এ কেমন ভালবাসা রে। অন্য কেউ হলে তো গলায় দড়ি দিতো। অথচ তুই তা না করে। আমার সুখে ভাগ বসাচ্ছিস
অর্ণা হাসলো। দাঁড়িয়ে আয়নার সামনে গিয়ে। আয়নায় পর্ণার প্রতিবিম্বর উপর হাত রেখে বলল,
,ভালবাসা কখনো শেষ হবার জিনিস নয় পর্ণা। তবে হ্যা! আদনান স্যার ততদিন পর্যন্ত আমার ছিল। যতদিন তুই তার জীবন না এসেছিল। কিন্তু এখন আর নেই। কারণ সে এখন তোর। আর আমি নিজেকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে এসেছি।তার যথেষ্ট কারণ আছে। তুই তো জানিস, ব্যবহার করা জিনিসের প্রতি। আমি অর্ণা কখনো নজর দেই না।
রা গে, অপ মানে মুখ থমথমে হয়ে গেল পর্ণা। পারছে না সামনে থাকা মানুষ টাকে চি বি য়ে খেয়ে ফেলতে।
,কি করা হচ্ছে দু বোন মিলে?
,ও স্যার। আসুন না ভেতরে আসুন। নিন বসুন
,হুম বসলাম । কিন্তু পর্ণা চেহারা এমন হয়ে আছে কেন। কিছু কি হয়েছে?
,আসলে স্যার পর্ণা তার এক্সের কথা মনে করে কান্না করছিল তাই চেহারা এমন হয়ে আছে।
অর্ণার কথা শুনে আদনান বেশ অবাক হলো। আর পর্ণা হাসার চেষ্টা করল।
,পর্ণার এক্স আছে? কই আমাকে তো কিছু বলেনি।
,হুম ছিল তো!
,এই অর্ণা। তুই চুপ করবি । আসলে অর্ণা আপনার সাথে মজা করছে । আমি তো প্রথমে আপনাকে বলেছি যে আপনি আমার প্রথম এবং শে ষ ভালবাসা।
এই বলে পর্ণা আদনানকে জরিয়ে ধরল,,,

চলবে,,,

#আমায়_একটু_ভালবেসো
#জান্নাতুল_ফেরদৌস কেয়া

(৬)

,পর্ণা যে এভাবে হুট করেই জরিয়ে ধরবে। তা আদনান ভাবতে পারেনি। অর্ণা হতবিহ্বল হয়ে গেছে। পর্ণা যে এমন একটা লজ্জাজনক ঘটনা করে বসবে। তা কল্পনায় ও ভাবেনি। সে দ্রুত পায়ে জায়গা প্রস্থান করল।
অর্ণা চলে যেতেই, হেঁচকা টানে পর্ণাকে নিজের কাছ থেকে সরালো আদনান। ক্রু র কন্ঠে বলল,
,আর ইউ ম্যা ড পর্ণা। এখানে অর্ণা ছিল। সে কি ভাববে বলো তো।
,ওহ্ সরি। আমি আসলে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছি। তাই এমন বিহেভিয়ার করেছি। আপনি কিছু মনে করবেন না প্লিজ!

আদনান বিরক্তিকর চোখে তাকিয়ে উঠে চলে গেল। আদনান চলে যেতেই পর্ণা শ য় তা নি হাসি দিল। মনে,মনে বলল,এই তো কেবল শুরু অর্ণা।আমি এমন, এমন কাজ করবো। যে তুই পা গ ল হয়ে ঘুরবি। তোর স্বাভাবিক হওয়া বের করছি আমি।
অর্ণা একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশ টা আজ মেঘলা। মেঘেরা গর্জন করছে। দূরে কোথাও হয়তো বৃষ্টি হয়েছে। চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস বয়ছে। অর্ণা খোলা চুল এলোমেলো হয়ে উড়ছে।আকাশের দিকে তাকিয়ে অর্ণা মনে, মনে বলল,
,আচ্ছা আকাশ! তোমার ও কি আজ মন খা রা প? আমার মতো।জানো আমার আর ভালো লাগে না এসব। কতদিন হলো ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না আমি। চোখ দুটো ঘুমের জন্য কাতর হয়ে আছে। অথচ আমি ঘুমাতে পারি না। কষ্টে রা আমাকে ঘুমাতে দেয় না।
অর্ণা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল।হঠাৎই পেছন থেকে কে যেন চিৎকার দিয়ে ওঠে,
,ভাউউউউ”
অর্ণা চমকে ওঠে। ভ য়ে তার কলিজার পানি শুকিয়ে যায়। আয়ান হাসতে, হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে। তার পিছনে দাঁড়িয়ে,ইরা,মিতু, ইশান,আর পর্ণার শশুরবাড়ির লোকজন মিটিমিটি হাসছে।
অর্ণা রা গে কাঁপতে থাকে। তেড়ে মা র তে গেল আয়ান কে। তাকে আর পায় কে পুরো ছাদ জুড়ে দৌড়াদৌড়ি করছে দু’জনে।
,এই আয়ান দাঁড়া বলছি, দাঁড়া। আজ তোকে ছাড়বো না। সবসময় ইয়ার্কি তাই না!
,হা,হা,হা,তুই আমাকে ধরতে পারবি। তা আর এ জীবনে সম্ভব নয় রে অর্ণা।
দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে গেল অর্ণা। দু-হাতে হাঁটুতে ভর দিয়ে জোরে, জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। আয়ান কাছে এসে বলল,
,কি রে হাঁপিয়ে গেছিস!আচ্ছা নে ধর । তোকে আর দৌড়াতে হবে না। আমি হার মেনে নিলাম।

আয়ান কাছেই আসতেই তার চুলের মধ্যে খপ করে ধরে ফেলল অর্ণা। বেচারা আয়ান চুলের য ন্ত্র ণায় চেঁচিয়ে উঠলো।
,আহহহহহহ!কি করছিস অর্ণা। ছাড় বলছি। ব্যা থা পাচ্ছি তো।
,বেশ করছি। বুঝ এবার কেমন লাগে! সবসময় আমার পিছে লেগে থাকিস না। এবার দেখ আমি তো কি হাল করি।
ছাঁদে এসে উপস্থিত হয় পর্ণা আর আদনান। অর্ণা আয়ানের চুলের মধ্যে ধরে রেখেছে দেখে। পর্ণা ব্যঙ্গসুরে বলে,
,কি রে অর্ণা। তোর বয়ফ্রেন্ড ছেঁকা দিয়েছে বলে কি এখন আয়ানকে ধরেছিস নাকি। পটাবার জন্য। তা আর কাউকে পাচ্ছিস না বুঝি। আহারে বেচারি কি কষ্ট।
পর্ণার কথা শুনে সকলের মুখের হাসি মিলিয়ে যায়। অর্ণা মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে থাকে। তারপর হাসতে,হাসতে বলল,
,কি আর করবো বল পর্ণা। বাহিরের ছেলেদের আর বিশ্বাস হয়না। তাই বাড়ির ছেলেদের দিকে নজর দিয়েছি। দেখি কাকে প্রেমের জালে ফাসাতে পারি।
তুই তো আমাদের আদনান স্যার কে নিয়ে নিয়েছিস। নয়তো তার দিকে নজর দিতাম। (চোখ টিপ দিয়ে)
পর্ণার মুখ টা ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেল। সে চেয়েছিল অর্ণাকে ছোট করতে। কিন্তু অর্ণা যে এমন ভাবে উত্তর দিবে তা ভাবতে পারেনি

সকলে একসাথে গোল হয়ে বসেছে। ইশানের গানের গলা দারুণ। তাই সবাই বায়না ধরেছে, তাকে গান গায়তে হবে। হাতে গিটার নিয়ে টুংটাং শব্দ করে গান ধরলো ইশান,
যারে পাখি উইড়া যা। খাইলি বুকের কলিজা, বোকা পাখি আপন চিনলি না। না,,,রে,বোকা পাখি আপন চিনলি না।

সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গান শুনছে। আকাশের মেঘলা ভাব কে টে গেছে। মস্ত বড় চাঁদ উঠেছে। ছাঁদে পূর্ণিমার আলোয় চারিদিক চকচক করছে। অর্ণা চোখের কোন ঘেঁষে জলেরা এসে ভিড় করলো। সে দু’হাতে চোখ মুছে যাচ্ছে। মিতু আড়ালে একহাতে অর্ণার কাধ চেপে
ধরলো। সে বুঝে বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা!
অনেক রাত পর্যন্ত সবাই আড্ডা দিল। তারপর যে যার রুমে ঘুমাতে গেল। মিতু আর অর্ণা একসাথে থাকবে আজ। মিতু অর্ণা জিজ্ঞাসা করলো,
,আচ্ছা আপু। ঐ মানুষটার নাম কি?
,কোন মানুষ টা?
,যার কথা মনে করে তুমি আজও কাঁদো?
অর্ণা মুচকি হেসে বলল,
,সে আমার অতীত মিতু। আমি চাই না তার পরিচয় কেউ জানুক।
মিতু দমে গেল।কি দরকার কারো বিষাদময় অতীতকে সামনে আনার।

,দেখতে,দেখতে কিছুদিন পার হয়ে গেল। পর্ণা চলে গেছে তার শশুর বাড়িতে। অর্ণা আস্তে, আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যায়।এখন সবার সাথে বেশ হাসি খুশি থাকে। আজ রবিবার , অর্ণা কলেজে যাবে। সকালের ব্রেকফাস্ট করতে নিচে নামলো।
অর্ণার বাবা মেয়েকে নিজের পাশে বসালো। প্লেটে খাবার তুলে দিতে,দিতে বলল,
,কলেজে যাবে আম্মু?
,হুম বাবা। আজ কতদিন হলো কলেজে যায় না। পড়াশোনা সব লাটে ওঠেছে। তাই ঠিক করেছি এখন থেকে আবার আগের মতো পড়ালেখায় মনোযোগী হবো।
,ঠিক আছে মা। তোমার যা ভালো মনে হয়। তুমিই তো এখন আমাদের সব কিছু। এতদিন পর্ণা ও ছিল। কিন্তু তার তো এখন বিয়ে হয়ে গেছে। আর আমার কোনো ছেলে ও নেই। তাই তুমি আমাদের শে ষ সম্বল।
,অর্ণা কলেজে যাবি নাকি?(বড় চাচি লুৎফা)
,হ্যাঁ জেঠিমা।
,ও আচ্ছা সাবধানে যাস।

সকালের রোদ যে কতটা কড়া। তা একজন পথচারী ভালো জানে । অর্ণা কোনো রকমে কলেজের ঝাউ গাছের তলায় এসে বসলো। সেখানে তার কিছু ক্লাস মিট বসে রয়েছে । তাকে আসতে দেখেই। তারা প্রশ্ন করতে লাগলো,
,এই অর্ণা। তোমার ছোট বোন পর্ণার সাথে নাকি আমাদের কলেজের আদনান স্যারের বিয়ে হয়েছে?
,হ্যা গো তুমি না পর্ণার বড়। তাহলে তোমার আগে পর্ণার বিয়ে হলো কেন?,
,আরে বুঝিস না। অর্ণাকে হয়তো ওদের পছন্দ হয়নি। তাই পর্ণাকে বিয়ে করিয়েছে।
,আবার এটাও তো হতো পারে। পর্ণা আদনান স্যারের সাথে প্রেম করেছে!
, কি জানি বাবা। এদের মর্জির কোনো শেষ নেই। শেষে কি না স্যার।

চলবে,,