আমার অনুভুতি তুমি পর্ব-০৮

0
462

#আমার_অনুভুতি_তুমি
#পর্বঃ৮
#নুসাইবা_ইসলাম

আজ প্রায় দুইদিন হয়ে গেছে ইশা কে পাওয়া যাচ্ছে না। ইশা এর বাবা এর মধ্যে হার্টঅ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি। ইশা এর মা এর অবস্থা ও অনেক খারাপ। এরমধ্যেই ইশার মা কে ও ইফরাত দের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইশা এর টেনশন এ সবার অবস্থাই এখন করুন, কোনো খাওয়া-দাওয়া কিছু নাই। ইফরাত কে দেখে বুঝা যায় দায় ওর মনে কি চলছে। এই দুই-দিনের মধ্যে ইফরাত কিছু খায় নাই হন্যে হয়ে খুজছে কিন্ত পায় নাই। কেউ ভেবে পাচ্ছে না ইশা কে কিডন্যাপ করলো,যদি টাকার জন্য কিডন্যাপ করা হয় তাহলে এখোনো কেউ ফোন ই করলো না কেউ? চিন্তায় মাথা ফেটে যাচ্ছে ইফরাতের কোথায় তার ইশু।

ইশু কই তুই আমি যে পাগল হয়ে যাচ্ছি। কোথায় গেলে পাবো তোকে? (ইফরাত)

লামিয়া নিজের রুমের দরজা আটকে পায়চারি করছে, এদিক থেকে ওদিক হাটছে। আবার মাথায় হাত দিয়ে বসে কি জেনো ভাবছে?

আমি কি কাজ টা ঠিক করলাম? আল্লাহ আমাকে মাফ কইরো ইশু এখন কোথায় সূর্য এর কথা শুনা আমার মোটেও উচিত হয় না। কল দিয়ে দেখি। (লামিয়া)

লামিয়া সূর্যকে কলের পড় কল দিয়ে যাচ্ছে সূর্য রিসিভ করছে না। লামিয়া তবুও থামছে না আবার কল দিলো সূর্য বিরক্ত হয়ে লামিয়ার কল রিসিভ করলো।

কি হইছে এতো কল কেনো দিচ্ছো? তোমাকে না বলছি আমাকে এখন বেশি কল দিবে না? (সূর্য)

কি বলছো এসব তুমি সূর্য ইশু কই? হ্যাঁ অনেই হইছে মেয়েটা কে তুমি ছেড়ে দাও। আর চলো আমরা অনেক দূরে পালিয়ে যাবো আমাদের কেউ খুঁজে পাবে না.। (লামিয়া)

কি ইশু কই মানে আমার আছে ইশু আসবে কোথা থেকে পাগল হইছো? আর আমি পালাবো কেন তোমার সাথে আজিব? ( সূর্য)

সূর্য কি বলছো তুমি না আমাকে ভালোবাসো? আমি খুব ভালোবাসি সূর্য তোমাকে এইভাবে বইলো প্লিজ। (লামিয়া)

আরে রাখ আর একবার আমাকে কল দিবি না আমি শুধু ইশুকে ভালোবাসি আর কাউকে না। আর আজ আমি ইশুকে বিয়ে করটু পড়৷ ( সূর্য)

এইটুকু বলে সূর্য ফোন কেটে দিলো,লামিয়া স্তব্দ হয়ে গেলো এগুলা শুনে। নিজের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে সে কিভাবে পারলো ইশুর ক্ষতি করতে। তার ভাই যে ইশুকে খুব ভালোবাসে। ইফরাতে রুমে গিয়ে বললো,

ভাইয়া আমার তোমাকে কিছু বলার আছে। (লামিয়া)

আমার এখন কথা শুনতে ভালো লাগছে না লামিয়া তুই পড়ে আসিস পড়ে শুনবো এখন আমাকে একা ছেড়ে দে। ( ইফরাত)

ভাইয়া আমি জানি ইশু কোথায় আছে আমার কথা একটি শুন? ( লামিয়া)

কি তুই জানোস তাহলে এতোদিন বলোস নাই কেন? আজকে ২ দিন ধরে আমাদের অবস্থা তুই দেখিস নি? (ইফরাত)

ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করে দে প্লিজ আমি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে সূর্য বলছে ইশুকে তার সাথে দেখা করাতে যাতে সে ইশুকে আমার আর তার ব্যাপারে রাজি করাতে পারে। আমিও অন্ধের মতো বিশ্বাস করে নেই যে সত্যি ই সে এই কাজ করবে। অইদিন আমি ইশুকে নিয়ে ওর সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাই মিথ্যে বলে। ওখানে যাওয়ার পড় ইশু সূর্যকে দেখে অনেক রেগে যায় আমি কানভেন্স করি।সূর্য ও অনেক ভালো ভালো কথা বলে ইশুকে রাজি করিয়ে নেয় যাতে সে তোমাদের বলে সূর্যর সাথে আমার বিয়ের কথা। সূর্য আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে বলে ইশুকে সে বাসায় পৌছে দিবে আমিও ওর কথা মতো বাসায় চলে আসি। বিশ্বাস করো ভাইয়া আমি জানলে কখোনোই এমন করতাম না। এখন সূর্য আমাকে বলছে সে আমাকে ভালোবাসে না সে ইশুকে ভালোবাসে আর আজকে বিয়ে করবে। (লামিয়া)

লামিয়ার কথা শুনে ইফরাত অবাক হয়ে যায় এতোকিছু হলো সে জানলো না। রাগ হচ্ছে বনের উপর তার কি করবে সে এখন।

আমাদের ইশু আগেই সাবধান করে দিয়েছিলো লামিয়া তারপরেও এই ভুল কিভাবে করলি তুই? (ইফরাত)

আমার ভুল হয়ে গেছে ভাইয়া তুমি ইশুকে বাচাও। (লামিয়া)

যেই নাম্বার থেকে কল আসছে অইটা দে থানায় দিলে তারা ট্র‍্যাক করে নিবে কুইক।

এক পুরানো বাসায় বেধে রাখা হয়েছে ইশুকে, ইশুর অবস্থা খুব খারাপ। দেখেই বুঝা যাচ্ছে ইশুকে খুব মেরেছে। গাল কেটে রক্ত শুখিয়ে গেছে, গালে থাপ্পর এর দাগ স্পষ্ট ফুটে আছে। চুল গুলো এলোমেলো চেয়ারের সাথে লেপ্টে আছে মেয়েটা। তখন ওইখানে সূর্য আসলো এসে পাগোলের মতো বিহেভ শুরু করলো।

আম সরি ইশুপাখি আমি তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি? কি করবো বল তুই তো আমার কথা শুনতেই চাস না,আমি তোকে খুব ভালোবাসি পাখি। তুই কেন আমার সাথে এমন করলি? (সূর্য)

তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে ভাইয়া আমি কিছু করি নাই তোমার সাথে, আমাকে ছেড়ে দেও প্লিজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। (ইশা)

অনেক কষ্ট হচ্ছে আচ্ছা আমি ছেড়ে দিবো আগে বল আমাকে বিয়ে করবি এক্ষুনি তাহলে? ( সূর্য)

ভাইয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি না কিভাবে বিয়ে করবো বলো আমি ইফরাত কে ভালোবাসি। ( ইশা)

ইফরাতের নাম শুনতেও রেগে গেলো সূর্য , ইফরাত ইফরাত ছাড়া আর কোনো নাম নাই হ্যাঁ? ইশাকে আবারো থা/প্প/ড় দিলো। থা/প্প/র টা অনেক জোরে দেওয়ার কারণে ইশা ওখানেই জ্ঞান হারালো। দুইদিন ধরে ইশাকে খাবার দেওয়া হয় নাই। তার উপর এতো অ/ত্যা/চা/র মেয়েটা সহ্য ই বা করবে কিভাবে?

তুই কেনো আমার ভালোবাসা বুঝোস না পাখি আমি কতোটা ভালোবাসি তোকে। ইফরাতের মধ্যে এমন কি আছে যা আমার মধ্যে নাই? ইশার হাতের উপর হাত রেখে বলে যাচ্ছে। আমি তোকে মারতে চাই না কিন্তু ইশু তুই আমাকে এতো রাগিয়ে দেস কেন পাখি? একবার রাজি হয়ে গেলে তো আমি তোকে আর মারবো না খুব ভালোবাসবো। তোকে মা/র/লে তো আমার বেশি কষ্ট হচ্ছে পাখি। (সূর্য)

পানির বোতল নিয়ে ইশার মুখে পানির ছিটা মারলো জ্ঞান ফিরানোর জন্য। ইশা চোখ পিট পিট করে খুললো। তাকাতেই সূর্য কে দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেলো,ভয় পাবেই বা না কেন কাল থেকে মেয়েটার সাথে যেই ব্যাবহার ই না করলো।

আমি শেষ বারের মতো জিজ্ঞেস করছি ইশু আমাকে বিয়ে করবি কি না? (সূর্য)

না আমি তোমাকে ভালোবাসি না তাহলে বিয়ে করার প্রশ্নই উঠে না৷ আমি মরে গেলেও করবো না বিয়ে তোমাকে। ( ইশা)

হ্যালো স্যার নাম্বার কি ট্র‍্যাক করতে পেরেছেন আপনারা? (ইফরাত)

হ্যাঁ মিস্টার ইফরার আমরা লোকেশন পেয়েছি আপ্নাকেও সেন্ড করেছি, আমরা রওনা দিচ্ছি আপনিও আসুন। ( ও,সি)

হ্যাঁ অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার আপনাকে আমিও আসছিম ( ইফরাত)

ইফরাত সবাইকে সব জানালে সবাই অবাক হয়ে যায়। লামিয়ার মা তো লামিয়া কে থা/প্প/ড় দিছে এগুলা শুনে।

অন্যদিকে….

তাহলে তুই আমাকে বিয়ে করবি না ওকে ফাইন ইশু তুই যদি এই সূর্যের না হোস তাহলে আর কারো হতে পারবি না আমি হতে দিবো না। পকেট থেকে ব্লে/ট বের করলো সে, আর ইশুর সামনে হাটু গেরে বসলো।

কি কি কর‍তে চাইছো তুমি ভাইয়া প্লিজ এমন টা কইরো না। আমাকে ছেড়ে দেও। (ইশা)

তোকে তো মুক্তি দিবো আমি এই জগৎ থেকে চিরতোরে, ওপারে ভালো থাকিস আর আমার জন্য অপেক্ষা করিস জান। (সূর্য)

হাতের ব্লে/ট দিয়ে ইশার ডান হাতের রগ এর উপর জোরে টান মারলো। ব্যাথায় ইশা চিৎকার দিয়ে উঠলো,হাত থেকে অনরগল র/ক্ত ঝড়া শুরু করলো। সূর্য চিৎকার করে কান্না করা শুরু করলো আর বলতে লাগলো আমাকে কেন ভালোবাসলি না তুই আজকে আমার কথা শুনলে আমাদের গল্প টা ভিন্ন হতে পারতো।

চলবে.?? #আমার_অনুভুতি_তুমি
#পর্বঃ৮
#নুসাইবা_ইসলাম

আজ প্রায় দুইদিন হয়ে গেছে ইশা কে পাওয়া যাচ্ছে না। ইশা এর বাবা এর মধ্যে হার্টঅ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি। ইশা এর মা এর অবস্থা ও অনেক খারাপ। এরমধ্যেই ইশার মা কে ও ইফরাত দের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইশা এর টেনশন এ সবার অবস্থাই এখন করুন, কোনো খাওয়া-দাওয়া কিছু নাই। ইফরাত কে দেখে বুঝা যায় দায় ওর মনে কি চলছে। এই দুই-দিনের মধ্যে ইফরাত কিছু খায় নাই হন্যে হয়ে খুজছে কিন্ত পায় নাই। কেউ ভেবে পাচ্ছে না ইশা কে কিডন্যাপ করলো,যদি টাকার জন্য কিডন্যাপ করা হয় তাহলে এখোনো কেউ ফোন ই করলো না কেউ? চিন্তায় মাথা ফেটে যাচ্ছে ইফরাতের কোথায় তার ইশু।

ইশু কই তুই আমি যে পাগল হয়ে যাচ্ছি। কোথায় গেলে পাবো তোকে? (ইফরাত)

লামিয়া নিজের রুমের দরজা আটকে পায়চারি করছে, এদিক থেকে ওদিক হাটছে। আবার মাথায় হাত দিয়ে বসে কি জেনো ভাবছে?

আমি কি কাজ টা ঠিক করলাম? আল্লাহ আমাকে মাফ কইরো ইশু এখন কোথায় সূর্য এর কথা শুনা আমার মোটেও উচিত হয় না। কল দিয়ে দেখি। (লামিয়া)

লামিয়া সূর্যকে কলের পড় কল দিয়ে যাচ্ছে সূর্য রিসিভ করছে না। লামিয়া তবুও থামছে না আবার কল দিলো সূর্য বিরক্ত হয়ে লামিয়ার কল রিসিভ করলো।

কি হইছে এতো কল কেনো দিচ্ছো? তোমাকে না বলছি আমাকে এখন বেশি কল দিবে না? (সূর্য)

কি বলছো এসব তুমি সূর্য ইশু কই? হ্যাঁ অনেই হইছে মেয়েটা কে তুমি ছেড়ে দাও। আর চলো আমরা অনেক দূরে পালিয়ে যাবো আমাদের কেউ খুঁজে পাবে না.। (লামিয়া)

কি ইশু কই মানে আমার আছে ইশু আসবে কোথা থেকে পাগল হইছো? আর আমি পালাবো কেন তোমার সাথে আজিব? ( সূর্য)

সূর্য কি বলছো তুমি না আমাকে ভালোবাসো? আমি খুব ভালোবাসি সূর্য তোমাকে এইভাবে বইলো প্লিজ। (লামিয়া)

আরে রাখ আর একবার আমাকে কল দিবি না আমি শুধু ইশুকে ভালোবাসি আর কাউকে না। আর আজ আমি ইশুকে বিয়ে করটু পড়৷ ( সূর্য)

এইটুকু বলে সূর্য ফোন কেটে দিলো,লামিয়া স্তব্দ হয়ে গেলো এগুলা শুনে। নিজের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে সে কিভাবে পারলো ইশুর ক্ষতি করতে। তার ভাই যে ইশুকে খুব ভালোবাসে। ইফরাতে রুমে গিয়ে বললো,

ভাইয়া আমার তোমাকে কিছু বলার আছে। (লামিয়া)

আমার এখন কথা শুনতে ভালো লাগছে না লামিয়া তুই পড়ে আসিস পড়ে শুনবো এখন আমাকে একা ছেড়ে দে। ( ইফরাত)

ভাইয়া আমি জানি ইশু কোথায় আছে আমার কথা একটি শুন? ( লামিয়া)

কি তুই জানোস তাহলে এতোদিন বলোস নাই কেন? আজকে ২ দিন ধরে আমাদের অবস্থা তুই দেখিস নি? (ইফরাত)

ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করে দে প্লিজ আমি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে সূর্য বলছে ইশুকে তার সাথে দেখা করাতে যাতে সে ইশুকে আমার আর তার ব্যাপারে রাজি করাতে পারে। আমিও অন্ধের মতো বিশ্বাস করে নেই যে সত্যি ই সে এই কাজ করবে। অইদিন আমি ইশুকে নিয়ে ওর সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাই মিথ্যে বলে। ওখানে যাওয়ার পড় ইশু সূর্যকে দেখে অনেক রেগে যায় আমি কানভেন্স করি।সূর্য ও অনেক ভালো ভালো কথা বলে ইশুকে রাজি করিয়ে নেয় যাতে সে তোমাদের বলে সূর্যর সাথে আমার বিয়ের কথা। সূর্য আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে বলে ইশুকে সে বাসায় পৌছে দিবে আমিও ওর কথা মতো বাসায় চলে আসি। বিশ্বাস করো ভাইয়া আমি জানলে কখোনোই এমন করতাম না। এখন সূর্য আমাকে বলছে সে আমাকে ভালোবাসে না সে ইশুকে ভালোবাসে আর আজকে বিয়ে করবে। (লামিয়া)

লামিয়ার কথা শুনে ইফরাত অবাক হয়ে যায় এতোকিছু হলো সে জানলো না। রাগ হচ্ছে বনের উপর তার কি করবে সে এখন।

আমাদের ইশু আগেই সাবধান করে দিয়েছিলো লামিয়া তারপরেও এই ভুল কিভাবে করলি তুই? (ইফরাত)

আমার ভুল হয়ে গেছে ভাইয়া তুমি ইশুকে বাচাও। (লামিয়া)

যেই নাম্বার থেকে কল আসছে অইটা দে থানায় দিলে তারা ট্র‍্যাক করে নিবে কুইক।

এক পুরানো বাসায় বেধে রাখা হয়েছে ইশুকে, ইশুর অবস্থা খুব খারাপ। দেখেই বুঝা যাচ্ছে ইশুকে খুব মেরেছে। গাল কেটে রক্ত শুখিয়ে গেছে, গালে থাপ্পর এর দাগ স্পষ্ট ফুটে আছে। চুল গুলো এলোমেলো চেয়ারের সাথে লেপ্টে আছে মেয়েটা। তখন ওইখানে সূর্য আসলো এসে পাগোলের মতো বিহেভ শুরু করলো।

আম সরি ইশুপাখি আমি তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি? কি করবো বল তুই তো আমার কথা শুনতেই চাস না,আমি তোকে খুব ভালোবাসি পাখি। তুই কেন আমার সাথে এমন করলি? (সূর্য)

তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে ভাইয়া আমি কিছু করি নাই তোমার সাথে, আমাকে ছেড়ে দেও প্লিজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। (ইশা)

অনেক কষ্ট হচ্ছে আচ্ছা আমি ছেড়ে দিবো আগে বল আমাকে বিয়ে করবি এক্ষুনি তাহলে? ( সূর্য)

ভাইয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি না কিভাবে বিয়ে করবো বলো আমি ইফরাত কে ভালোবাসি। ( ইশা)

ইফরাতের নাম শুনতেও রেগে গেলো সূর্য , ইফরাত ইফরাত ছাড়া আর কোনো নাম নাই হ্যাঁ? ইশাকে আবারো থা/প্প/ড় দিলো। থা/প্প/র টা অনেক জোরে দেওয়ার কারণে ইশা ওখানেই জ্ঞান হারালো। দুইদিন ধরে ইশাকে খাবার দেওয়া হয় নাই। তার উপর এতো অ/ত্যা/চা/র মেয়েটা সহ্য ই বা করবে কিভাবে?

তুই কেনো আমার ভালোবাসা বুঝোস না পাখি আমি কতোটা ভালোবাসি তোকে। ইফরাতের মধ্যে এমন কি আছে যা আমার মধ্যে নাই? ইশার হাতের উপর হাত রেখে বলে যাচ্ছে। আমি তোকে মারতে চাই না কিন্তু ইশু তুই আমাকে এতো রাগিয়ে দেস কেন পাখি? একবার রাজি হয়ে গেলে তো আমি তোকে আর মারবো না খুব ভালোবাসবো। তোকে মা/র/লে তো আমার বেশি কষ্ট হচ্ছে পাখি। (সূর্য)

পানির বোতল নিয়ে ইশার মুখে পানির ছিটা মারলো জ্ঞান ফিরানোর জন্য। ইশা চোখ পিট পিট করে খুললো। তাকাতেই সূর্য কে দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেলো,ভয় পাবেই বা না কেন কাল থেকে মেয়েটার সাথে যেই ব্যাবহার ই না করলো।

আমি শেষ বারের মতো জিজ্ঞেস করছি ইশু আমাকে বিয়ে করবি কি না? (সূর্য)

না আমি তোমাকে ভালোবাসি না তাহলে বিয়ে করার প্রশ্নই উঠে না৷ আমি মরে গেলেও করবো না বিয়ে তোমাকে। ( ইশা)

হ্যালো স্যার নাম্বার কি ট্র‍্যাক করতে পেরেছেন আপনারা? (ইফরাত)

হ্যাঁ মিস্টার ইফরার আমরা লোকেশন পেয়েছি আপ্নাকেও সেন্ড করেছি, আমরা রওনা দিচ্ছি আপনিও আসুন। ( ও,সি)

হ্যাঁ অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার আপনাকে আমিও আসছিম ( ইফরাত)

ইফরাত সবাইকে সব জানালে সবাই অবাক হয়ে যায়। লামিয়ার মা তো লামিয়া কে থা/প্প/ড় দিছে এগুলা শুনে।

অন্যদিকে….

তাহলে তুই আমাকে বিয়ে করবি না ওকে ফাইন ইশু তুই যদি এই সূর্যের না হোস তাহলে আর কারো হতে পারবি না আমি হতে দিবো না। পকেট থেকে ব্লে/ট বের করলো সে, আর ইশুর সামনে হাটু গেরে বসলো।

কি কি কর‍তে চাইছো তুমি ভাইয়া প্লিজ এমন টা কইরো না। আমাকে ছেড়ে দেও। (ইশা)

তোকে তো মুক্তি দিবো আমি এই জগৎ থেকে চিরতোরে, ওপারে ভালো থাকিস আর আমার জন্য অপেক্ষা করিস জান। (সূর্য)

হাতের ব্লে/ট দিয়ে ইশার ডান হাতের রগ এর উপর জোরে টান মারলো। ব্যাথায় ইশা চিৎকার দিয়ে উঠলো,হাত থেকে অনরগল র/ক্ত ঝড়া শুরু করলো। সূর্য চিৎকার করে কান্না করা শুরু করলো আর বলতে লাগলো আমাকে কেন ভালোবাসলি না তুই আজকে আমার কথা শুনলে আমাদের গল্প টা ভিন্ন হতে পারতো। #আমার_অনুভুতি_তুই ইশু শুধুই তুই।

চলবে.??