আমার গল্পে আমি খলনায়ক পর্ব-১+২

0
308

#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_1

“মৃৃত্যুর ২৫ বছর পর আমার প্রথম স্ত্রীকে শপিং মলে দেখে আমি যেনো হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!

দুই দিন হলো আমরা ইতালি থেকে দেশে ফিরেছি। আমার মেয়ে দিশাকে বিয়ে দেবো বলে। আমার বোনের ছেলের সাথে। পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হবে, তাই আর্জেন্ট আমাদের দেশে আসতে হয়েছে এই বিয়েটার জন্য। না হলে এই ২৫ বছরে আমি একবার ও বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখিনি, আমার প্রথম স্ত্রী মীরার মৃত্যুর পর। আজ আমার মেয়ে দিশার গায়ে হলুদ তাই শপিং করতে মলে আসছিলাম আমার দ্বিতীয় স্ত্রী মহুয়াকে নিয়ে। আমারা শপিং শেষ করে বেড়িয়ে আসার সময় এক মেয়েকে দেখে আমি থমকে দাড়াই ,মেয়েটাকে দেখতে অনেকটা আমার প্রথম স্ত্রী মীরার মতো।দেখে মনে হচ্ছে এ যেনো একদম মীরার প্রতিচ্ছবি। গল্পে শুনেছি এক চেখারার মতো দেখতে পুরো পৃথিবীতে সাত জন আছে।কিন্তু এতটা মিল কি করে থাকতে পারে! এটা কি আদৌও সম্ভব? নাকি আমার মনের ভুল, এসব ভাবনা থেকেই বের হওয়ার আগেই আমি আরো একবার চমকে উঠি, মীরার মতো মেয়েটার পাশে সয়ং মীরাকে দেখে।

এটা কি করে সম্ভব ২৫ বছর আগে মরে যাওয়া মীরা কিভাবে জীবিত থাকতে পারে!আমার কোথাও ভুল হচ্ছে এটা কিছুতেই মীরা হতে পারে না। এই মহিলা অন্য কেও। মীরা যখন মারা যায় তখন আমার মেয়ে দিশার এক বছর। আমার এসব চিন্তা ভাবনার মাঝে কে যেনো আমাকে পিছন থেকে ডাক দেয়,,,

____কি হলো রায়হান এখানে দারিয়ে আছো কেনো,শপিং তো শেষ বাসায় যেতে হবে না? আজকে দিশার গায়ে হলুদ তুমি কি তা ভুলে গেছ? (রাগি লোক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলে দাড়িয়ে আছে মহুয়া)

মহুয়ার কথা যেনো আমার কান অবদি পৌছায়নি, আমার কোনো হেল দোল নেই আমি তখনো মীরার মতোই দেখতে মহিলার দিকে তাকিয়ে আছি, উনি আমার দিকেই এগিয়ে আসছে, আর সাথে মেয়েটা। আমার সামনে এসেই মীরার মতো দেখতে মহিলা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়, কান্না করতে করতে বলে,,,,

___তুমি ২৫ বছর পর দেশে এসেছো,অথছো একবার ও আমার খুঁজ করোনি, আমি কেমন আছি আদোও বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি, এই তোমার ভালো বাসা ছিলো রায়হান? আমি তোমার জন্য নিজের পরিবারের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে এসেছিলাম । আর তুমি আমাকে কিছু না জানিয়ে কিভাবে পাড়লে ইতালি চলে যেতে। আর সাথে আমার বুক খালি করে আমার মেয়ে দিশাকে নিয়ে যেতে। একটু ও তোমার বুক কাঁপলো না ওই দুধের শিশুটা কে মা হারা করতে। আমি কতো খুশি ছিলাম তোমাকে আবার বাবা হওয়ার কাথা জানাবো বলে, আর তুমি আমার কথা না শুনে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেলে। কেনো,,,কেনো করলে আমার সাথে এরকম ছলনা। কি ভুল করেছিলাম আমি? আমাকে বলতে পাড়তে, আমি শুধরে ফেলতাম। এত বড় শাস্তি আমাকে কেনো দিলে বলো,,, আমার জিবন থেকে পঁচিশটা বছর কেনো কেরে নিলে, আমার মেয়েকে মায়ের আদর থেকে কেনো বঞ্চিত করলে, আর আমার ছোটো মেয়েকে বাবার স্নেহ থেকে,,,,,,,, (মীরা,,কথাগুলো বলে আমার বুকে মাথা রেখে কান্না করছে,আমি আস্তে করে মীরাকে হাত দিয়ে সরিয়ে বলে ওঠি)

__ কি বলছেন এসব আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে, আমার স্ত্রী মীরা তো পঁচিশ বছর আগেই মারা গেছে । আপনি কিভাবে মীরা হবেন? আর আমার মেয়ে দিশাতো আমাদের সাথাই আছে । আজকে আমার মেয়ে দিশার গায়ে হলুদ তাই শপিং করতে এসেছি আমি আর আমার স্ত্রী মহুয়া।

___দিশার আব্বু উনি এইসব কি বলছেন, আপনি তো বলেছিলেন মীরা আপু পঁচিশ বছর আগেই মারা গেছে। তাহলে উনি কে? ( মহুয়া)

___মহুয়া উনার হয়তো কথাও ভুল হচ্ছে, চলো এখানে আর এক মূহুর্ত ও নয়। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, আজকে দিশার গায়ে হলুদ তুমি কি ভুলে যাচ্ছো,আমরা না গেলে গায়ে হলুদ হবে কি করে। ( কথাগুলো বলে মহুয়া কে নিয়ে বের হয়ে আসতে নিলেই,মীরার সাথে থাকা মেয়েটির মুখে বাবা ডাক শুনে আমি পিছনে ফিরি)

মেয়েটি এক দৌড়ে এসে আমার বুকে ঝাপিয়ে পরে কান্না করতে করতে বলে__ বাবা আমাদের সাথে নিয়ে জাবেন না, এই চব্বিশ বছর বাবার আদর ছাড়া বড়ো হয়েছি, এখন আপনাকে চোখের সামনে পেয়ে হারাতে চাই না,,,, আমি আস্তে করে হাত দিয়ে মেয়েটিকে আমার থেকে ছাড়িয়ে বলি ___ তোমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে, আমার স্ত্রী তো পঁচিশ বছর আগেই মারা গেছে, তাহলে আমার স্ত্রী আর তার মেয়ে আসবে কোথা থেকে?

তখনি মীরা আমার সামনে এসে তার হাতের একটি আংটি আর এক জোরা বালা দেখিয়ে বলে,,, __এইগুলো তুমি ফুলসজ্জা রাতে আমাকে দিয়েছিলে রায়হান, আর আমার কাছে এখনো আমাদের বিয়ের কাবিন নামা আছে। সেটা চাইলে তুমি দেখতে পারো। আর তোমার চাচাতো ভাই রোশান কে জিজ্ঞেস করো আমি মিথ্যা বলছি নাকি সত্যি। রোশান না থাকলে আমরা হয়তো বেঁচেই থাকতাম না। তোমার না বলে চলে যাওয়ার পর থেকে রোশান আমাদের পাশে আছে। ( একদমে কথাগুলো বলে থামে মীরা)

আমি কিছু বলতে নিবো তার আগেই আমার হাত ধরে টেনে সাইডে নিয়ে আসে মহুয়া।

__ কি হলো এভাবে টেনে সাইডে নিয়ে আসলে কেনো মহুয়া?

__এখনো তুৃমি বলবে, এটা তোমার প্রথম স্ত্রী মীরা না।উনার কাছে তোমাদের বিয়ের কাবিন নামা আছে, তোমার দেওয়া বালা আর আংটি আছে । তাও তুমি বলবে উনি মীরা নন।

__ না, এটা অসম্ভব। উনি কিছুতেই মীরা হতে পারে না।

__কেনো অসম্ভব তুমি বলেছিলে যে, তোমার প্রথম স্ত্রী পানিতে ডুবে মারা গেছে, তোমরা নাকি লাশ পাওনি। হয়তো উনি তখন কোনো ভাবে বেঁচে গিয়েছিলো। ( আমার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলছে মহুয়া, মনে মনে আমি করছি অন্য চিন্তা, এই মীরার মতো দেখতে মহিলা নিশ্চয় মিথ্যা কথা বলতাছে। না হলে মীরা কিভাবে বেঁচে থাকবে,)

“মীরাকে তো আমি নিজের হাতে মেরে আমাদের গ্রামের বাড়িতে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছি, আজ থেকে পঁচিশ বছর আগেই,,,,,

চলবে।

#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_2

“মীরাকে তো আমি নিজের হাতে মেরে আমাদের গ্রামের বাড়িতে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছি, আজ থেকে পঁচিশ বছর আগেই,,, তাহলে মীরা বেঁচে গেলো কিভাবে!কে বাঁচিয়েছে মীরাকে, যদিও কোনো ক্রমে বেঁচে গিয়ে থাকে তাহলে এতদিন আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা কেনো করেনি !এতদিন ওরা কার কাছে ছিলো, আর ওর সাথের মেয়েটি কি সত্যি আমার মেয়ে ,নাকি এরা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে,, কিন্তু মৃত মানুষ বেঁচে থাকবে কি করে! আমি আর কিছু চিন্তা করতে পারছি না। ওদের আমাদের সাথে নিয়ে যেতে হবে,তা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।এখন আমাদের সাথে নিয়ে গেলে ওদের আসল উদ্দেশ্য জানতে পারবো ,কি কারনে আমার পিছু নিয়েছ, এবং আমার আর মীরার ব্যাপারে এত কিছু জানলো কিভাবে!আর ও যদি মীরাই হয়ে থাকে তাহলে ওই দিন রাতে কাকে মেরে মাটি চাপা দিয়েছিলাম।দিশার বিয়ে শেষ হলে আমাকে একবার আজম-পুর গ্রামে যেতে হবে, আর ওইখানে গেলেই আমি আমার সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবো।

__ কি ভাবছো দিশার আব্বু ? আমাদের তোমার সাথে নিয়ে চলো কতদিন হলো আমার মেয়ে দিশাকে দেখি না,,,, আমার মেয়েটা এত বড় হয়ে গেছে যে ওর বিয়ে দিয়ে দিচ্ছো, আমি ওর মা হয়েও আমাকে ছাড়া কিভাবে পারবে বিয়ে দিতে। পঁচিশটা বছর আমার মেয়ে দিশা মায়ের আদর থেকে ,আর আমি মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিলাম। শুধু তোমার একটা ভুলর জন্য, এখন আমি আমার মেয়েকে এত কাছে পেয়ে হারাতে চাই না।(মীরা)

__ আপনি কি সত্যি আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী মীরা,,,? (মহুয়া)

__ হুম আমিই মীরা, কিন্তু আপনাকে তো চিনলাম না আপনি কে,,,,,

__ আমি হচ্ছি ওনার স্ত্রী মহুয়া, আপনি বেঁচে আছেন কি করে!আপনি নাকি পঁচিশ বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন পানিতে ডুবে।

__ কি বলছেন এসব,,, আমি আবার কবে পানিতে ডুবে মারা গেছি! আপনাকে এইসব মিথ্যা কথা কে বলেছেন?

__আমাদের বিয়ের সময়ে রায়হান আমার হাতে দিশাকে তুলে দিয়ে বললো,, আমার প্রথম স্ত্রী মীরা পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে, এখন আমার মা মরা মেয়েকে দেখার জন্য এই দুনিয়ায়তে আমি ছাড়া আর কেও নেই। আমি সবসময় আমার বিজনেস নিয়ে বিজি থাকি তাই আমার মা মরা মেয়েটার আদর যত্ন করতে পারি না । তাই আমি তোমাকে বিয়ে করছি আর আমার মেয়ের সব দায়িত্ব তোমাকে দিয়েছি।

__ রায়হান তুৃমি এত বড় একটা মিথ্যা কথা বলতে পাড়লে। আমি কবে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলাম,আমার সাথে যদি তোমার সংসার করার ইচ্ছা না থাকতো তুমি আমাকে ডিবর্স দিয়ে দিতে। তবুও আমার মেয়েকে আমার থেকে আলাদা করার কি দরকার ছিল। এখন আমার মেয়ে আমাকে নিজের মা বলে জানবে না, ও এখন অন্য কাওকে নিজের মা ভাবে। সব কিছু হয়েছে শুধু তোমার জন্য… শুধু তোমার জন্য,,,,, (মীরা কথাগুলো বলে আবার কান্না শুরু করে দিয়েছে, আর তাকে জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে আছে তিশা)

শুরু হয়ে গিয়েছে ন্যাকামো, আমার এইসব কান্না- কাটি একদম ভালো লাগে না। এখন সবার সামনে বলতে ও পাড়ছি না যে ন্যাকামো বন্ধ করো। ওদের এখন আর কথা বলতে দেওয়া যাবে না,
ওদের এসব কথাবার্তা আর কিছুখন চললে আমার আসল রুপ সবার সামনে চলে আসবে। তাই এখন একটা কিছু করে এই কথাবার্থা এখানেই থামাতে হবে। তাই আমি মীরার উদ্দেশ্যে বললাম,,,

—মীরা ও মহুয়া দেখো যায়ই ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে তা পরে ও ক্লিয়ার করে নেওয়া যাবে। আগে আমার মেয়ে দিশার বিয়েটা হয়ে যাক তার পরে না হয় আমরা সবাই একসাথে বসে এই ব্যাপারে কথা বলবো, এখন এইসব ফালতু ব্যাপারে কথা বলার সময় নেই। আজকে আমাদের মেয়ে দিশার গায়ে হলুদ তাই তারাতরি সবাই বাড়িতে চলো,এমনি অনেকটা লেট হয়ে গিয়েছে। আমরা না গেলে কিছুতেই গায়ে হলুদের উনুষ্ঠান টা হবে না তাই সবাই তারা তারি চলো। (রায়হান)

__ কিন্তু, রায়হান,,,

__ কোনো কিন্ত না মহুয়া, এইসব ব্যাপারে পরে কথা বলা যাবে আগে দিশার বিয়েটা হয়ে যাক।

__ আচ্ছা ঠিক আছে চলো রায়হান,, (মীরা)

__ মীরা তোমরা থাকো কোথায়? তোমাদের সব জিনিস পএ তো আমাদের বাষায় নিয়ে যেতে হবে। ( পরে আসার সময় মীরার থেকে ঠিকানা নিয়ে জিনিস পএ গুলো নিয়ে বাসায় আসলাম)

বাসায় আাসার সাথে সাথে, আগে দিশার গায়ে হলুদটা শেষ করেছি। পরে ওকে সব কিছু বুঝিয়ে বলেছি যে মীরা ওর মা, কোনো একটা ভুল বুঝাবুঝির কারনে ওকে ছেড়ে দিয়ে ইতালি চলে গিয়েছিলাম।আগে তোমার বিয়েটা হোক তারপরে তোমাকে সব কিছু বলবো তুমি তোমার আব্বু কে বিশ্বাস করো না দিশা, বলেই কান্নার অভিনয় শুরু করে দিলাম। আর আমার মেয়ে দিশা এসে আমাকে জরিয়ে দরে বলে আমি তোমাকে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি আব্বু, আমি জানি তুমি আমার বিশ্বাস ভাঙতে পারো না।

ওইখানের সব ন্যাকামো সামাল দিয়ে আমি ছাদে আসলাম, যাক এইবারের মতো বেঁচে গেলাম। আমার কথায় কাজ হয়েছে, হবেই-বা না, কেনো আমি যেই সুন্দর অভিনয় করি, নিজের প্রশংশা আর নিজে কতো করবো। এখন কোনোভাবেই মীরা আর মহুয়াকে একা কথা বলতে দেওয় যাবে না। যদি একবার একা কথা বলতে পারে তাহলে আমি শেষ, আর আমার পঁচিশ বছরের সব স্বপ্ন ও শেষ।তাই সবসময় ওদের ওপর করা নজর রাখতে হবে যেনো কোনো ক্রমে কথা বলতে না পারে। এবং মীরা আর ওর মেয়ে তিশার ওপর নজর রাখতে হবে ওদের উদ্দেশ্য কি? যদি কোনো ক্রমে আমার হ্মতি করার চেষ্টা করে,,
তাহলে,, আবার মরতে হবে মীরাকে। এইবার আর মেরে বোকামী করবো না আগের বারের মতো। আগের বার তো মেরে মাটি চাপা দিছিলাম, এই বার আর এই ভুল করবো না।এইবার একদম মেরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলবো,,(এসব চিন্তার মাঝে আমার মুঠোফোনটি বেজে উঠল,,)

__ হ্যালো স্যার এখনো একটা মেয়ে কম।দুই দিন পরে মেয়ে ডেলিভারি দিতে হবে, এখন শিকার করবো কিভাবে। আর ওরা তো পঁচিশটা মেয়ের অর্ডার দিয়েছে এখন একটা কম দিলে ওদের সাথে ঝামেলা হবে। ওরা টাকা এড্যাবান্স দিয়ে দিয়েছে এখন মেয়ে কম দেওয়া মানেই ওদের রুশানলে পরা। আর আমাদের গ্যাং গুলো এখন রাস্তায় নামতে পারছে না শিকার করার জন্য। রাসেলদের গ্যাংদের দরবার পর থেকে পুলিশ বাহিনী একদম এলার্ট হয়ে গিয়েছে যদি কোনো ক্রমে আমাদের গ্যাং এর কাওকে দরতে পারে তাহলে আমরা সবাই ফেঁসে যাবো। আমাদের এই পঁচিশ বছরের সকল স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে। আর আমাদের জেলের ভাত ও খেতে হবে। স্যার আপনি কিছু একটা করেন, আমাদের ব্যাবসা বাঁচাতে হলে, আমাদের যেই করে হোক একটা মেয়ে লাগবে।

___আচ্ছা এখন রাখো, মেয়ের ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। এতো চিন্তা করবার কোনো কারন নেই। মেয়ে খুঝার জন্য তোমাদের আর কষ্ট করতে হবে না, মেয়ে আমার ঘরেই আছে। আজ শপিং মল থেকে আসার সময় সাথে করে নিয়ে এসেছি, বয়স চব্বিশ এর মতো হবে,,,,

__কি বলেন স্যার আপনার ঘরে আবার মেয়ে আসবে কি করে?

__তোমার এতো কিছু জানতে হবে না, ঠিক টাইম মতো মেয়ে পেয়ে যাবে। আমি এখন রাখছি আবার ছাদে কেও এসে পরবে।

বলেই আমি মুঠোফোনটা রেখে দিলাম। আমার মনে হলো ছাঁদে কেও এসেছে তাই তাড়াতাড়ি পিছনে ফিরে যাকে দেখি তাকে দেখার জন্যা আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না,,,,,,

চলবে,,,,,
না)