আমার গল্পে আমি খলনায়ক পর্ব-৩+৪

0
160

#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_3

“আমি পিছনে ফিরে দেখি আমার সামনে তিশা দাড়িয়ে আছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে আমার সব কথা শুনে ফেলেছে। এখন আমি কি করবো, আমার পঁচিশ বছরের এত সাজানো পরিকল্পনা যে এত তাড়াতাড়ি ভেস্তে যাবে তা আমি জিবনেও ভাবিনি, ও যদি এখন নিচে গিয়ে আমার মেয়ে দিশাকে এই ব্যাপারে কিছু বলে দেয় তাহলে আমার মেয়ে দিশা আমাকে ভুল বুঝবে।তা আমি হতে দিতে পারিনা, আমার মেয়ে দিশা কাল বিবাহ শেষ হলে পরের দিন আবার ইতালি ফিরে যাবে ওর স্বামীর সাথে। ওর একটা আর্জেন্ট অপারেশনের জন্য কল এসেছে ইতালি থেকে, ও আপনাদের তো বলা-ই হয় নাই, আমার মেয়ে দিশা একজন ডাক্তার। এখন যদি ও কোনোভাবে এইসব কথা শুনে তাহলে কোনো ক্রমেই ইতালি ফিরে যাবে না।ভেবেছিলাম দিশা ইতালি চলে গেলে এই মা -মেয়ের কিছু একটা করবো, কিন্তু এখন দেখছি এর আগেই ওর একটা ব্যাবস্তা করতে হবে।না হলে আমার মেয়ের চোখে আমি খারাপ হয়ে যাবো,আর যেটা আমি একদমই চাই না। আমার এই মেয়ের জন্যই আমি এইসব টাকা বাড়ি গাড়ি করছি, যেনো ভবিষ্যতে আমার মেয়েকে কষ্ট করতে না হয়। এখন এই তিশার কি করবো,,,

__আব্বু আপনি কার সাথে, মেয়ে নিয়ে কথা বলছিলেন?

__না,,,,মানে,, আমার এক বন্ধুর সাথে!

__আপনার বন্ধু কিসের জন্য মেয়ের ব্যাবস্তা করে দিতে বললো?

যাক ও প্রথমের কথাগুলো শুনে নাই, তা না হলে এতখনে ও নিচে গিয়ে সবাই কে সব কিছু বলে দিতো। এখন, ওকে কালকে আমার সাথে বের করবার জন্য কোনো একটা উপায় বের করতে হবে। তারপরে ওকে রাজিবের হাতে তুলে দিয়ে আমাকে একবার আজম -পুর যেতে হবে, ওইখানেই গেলেই আমি আমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবো। আর ওদের মা -মেয়ের আসল উদ্দেশ্য জানতে পারবো।

___আমার বন্ধুর কোম্পানিতে একটা মেয়ে লাগবে, আমার বন্ধুর পি.এ যে ছিলো তার নতুন বিয়ে হয়েছে তাই সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। এখন ওই পি.এ-র পদটি খালি, তাই আমাকে বলছে একটা মেয়ের ব্যবস্তা করে দিতে।এখন আমি মেয়ে কোথায় পাবো এই অল্প সময়ের মধ্যে! এই পি.এ-র ব্যাপার নিয়ে ওর সাথে কথা বলছিলাম, ওর জন্য দুইদিন এর ভিতরে একজন মেয়ে কোথায় পাবো।মা,তিশা তোমার কোনো ফ্রেন্ড আছে জব করতে ইচ্ছুক তাহলে তুমি যদি একটু কথা বলতে,,, ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিবে,আর মোটা অংকের স্যালারি ও দিবে।

__ আব্বু আপনি যদি অনুমতি দিতেন তাহলে আমি এই জবটা করতে চাই ।আমি তো কয়েকটা জবের ইন্টারভিউ দিয়েছি কিন্তু একটাতেও এখনো রেজাল্ট আসে নাই।

__ আচ্ছা তাহলে কালকে রেডি থেকে, দিশার বিয়ে শেষ হলে তোমাকে নিয়ে যাবো ওর অফিসে। আচ্ছা এখন তুমি নিচে যাও আমি আসছি।

___আব্বু কালকে আপুর বিয়ে আর কালকেই আমরা ওখানে যাবো, একদিন পরে গেলে হয় না!

___না, পরে যদি অন্য কাওকে নিয়ে নেই, এখন দেশের যে অবস্থা একটা ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া খুব টাফ,তাই কাল তোমাকে নিয়ে যাবো। তারপর যদি ওর তোমাকে পছন্দ হয়ে যায় তাহলেই তোমার চাকরি ফাইনাল।

__আচ্ছা আব্বু, আমি এখন নিচে যায়। (বলেই তিশা ছাঁদ থেকে নিচে নেমে যায়)

শিকার নিজে এসেই শিকারির হাতেই ধরা দিয়েছে, আমার আর কষ্ট করতে হলো না। এত যে সহজে রাজি হয়ে যাবে আমি ভাবতেই পারি নাই,এখন কাল একবার তোমাকে বের হতে পারলে তোমার আর এই বাড়িতে আসা হবে না।

__মহুয়া তুমি আবার ওপরে আসছো কেনো!আমি নিচেই তো যাচ্ছিলাম.

__রায়হান তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে,,,,

___কি কথা, বলো তাড়াতাড়ি, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে,,,,

___তুমি কার সাথে মেয়ে নিয়ে কথা বলছিলে?

___আমি আবার কার সাথে মেয়ে নিয়ে কথা বললাম!

__অবাক হওয়ার কিছু নেই রায়হান তোমার সব কথা আমি শুনেছি, আমি ছাঁদের চিলেকোঠার তুমার আগেই আসছি। আমার নিচে কোনো কিছু ভালো লাগছিলো না, তাই ছাদে আসছিলাম। মনটা রিফ্রেশ করতে, কিন্তু এখানে এসে যে তোমার আসল রূপ সম্পর্কে জানত পারবো তা আমি কখনোই ভাবি নাই। ভাগ্যিস আমি ছাদে এসেছিলাম তা না হলে তোমার জন্য তিশার জিবনটা ও নষ্ট হয়ে যেতো।এখন আর তুমি সেটা করতে পারবে না। আমি তোমাকে কিছুতেই আর কোনো মেয়ের জিবন নষ্ট করতে দিবো না।

__তুমি এসব কি বলছো মহুয়া,,,

__কি বলছি এখন তুমি বুঝতে পারছো না,,,এই পঁচিশ বছরে তুমি কত মেয়ের জীবন নষ্ট করেছো তা এক মাএ আল্লাহ জানে। তোমাকে এর শাস্তি পেতে হবে, আমি কিছুতেই আর কারো জিবন নষ্ট করতে দিবো না তোমাকে। তোমার ওপর আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিলো কিন্তু, এখন পুরোপুরি শিওর হলাম।

___এত কিছু তুমি জেনে গেছো,,,ওহ্ আমার খুব ভয় করছে,এখন আমার কি হবে,,, আমাকে কে বাঁচাবে,,,

___তোমার মাঝে একটুও অনুতপ্ততা নেই,হাজার হাজার মেয়ের জিবন নষ্ট করে, তুমি আমার সামনে অভিনয় করছো,,,,

___অভিনয় একটু বেশি হয়ে গেছে বুঝি,

___তুমি এতটা নিচ হয়ে গেছো যে, নিজের মেয়ে তিশাকে ও তুমি পাচার করে দিতে চাইছো। কিভাবে পারবে এটা করতে,,,,

___ যেভাবে আগের মেয়ে গুলোকে পাচার করে দিয়েছি, ঠিক সেইভাবে তিশাকেও পাচার করে দিবো।আর কি বার বার আমার মেয়ে আমার মেয়ে বলে আমার কানের কাছে চিল্লাচিল্লি করছো।তিশা আমার মেহে না আর ওই মহিলা মীরা না। মীরা পঁচিশ বছর আগেই মারা গেছে, আমি নিজেই মেরেছি মীরাকে, ও আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকথা করেছিলো তাই মেরে দিয়েছি।

___কি তুমি তোমার প্রথম স্ত্রী মীরাকে মেরে ফেলেছো,কিন্তু এটা কেনো করলে। তুমি শুধু নারী পাচার কারীই না একজন খুনীও। আমি এই পঁচিশ বছর ধরে একজন খুনীর সাথে সংসার করছিলাম। কেনো আমার বিশ্বাস ভাঙলে!কেনে ঠকালে আমাকে!আমি তোমাকে আর কারো কোনো হ্মতি করার সুযোগ দিবো না আজকেই তোমাকে পুলিশ এর হাতে তুলে দিবো।(কথা গুলো বলে ছাদের রেলিংএর পাশে বসে কান্না শুরু করে দিয়েছে)

___আমার কাজের মধ্যে তুমি এসো না মহুয়া, তাহলে এর ফল ভালো হবে না কিন্তু,,,

__তুমি এখন আমাকে ভয় দেখাচ্ছো, তোমার এইসব কথায় আমি ভয় পাই না রায়হান,, তুমি তোমার পাপের শাস্তি পাবে,আমি তোমাকে এর শাস্তি দিবো,,,,, ( মহুয়া বসা থেকে ওঠে দাড়িয়ে আমার কলার ধরে কথাগুলো বলে, আশে-পাশে তাকিয়ে কিছু একটা খুঁজছে)

___মহুয়া তুমি বেশি বারাবাড়ি করছো,,, আমাকে মীরার সাথে যা করেছি তোমার সাথে তা করতে বাদ্ধ করো না,,,

__মেরে ফেলবে আমাকে মারো,,,,

“বলেই মহুয়া আমার গলা চেপে ধরেছে,আমি কিছুতেই মহুয়া কে ছাড়াতে পারছি না ওর চোখগুলো রক্তের মতো লাল হয়ে আছে।যেনো ওর মধ্যে এক অলৌকিক শক্তি চলে আসছে,, আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে।একমুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছে আমার সময় হয়তো আজকেই শেষ। কোনোভাবে নিজের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে ওঁকে ধাক্কা দিয়ে আমার থেকে ছাড়াই।মহুয়া রেলিঙের সাইটে ছিলো আমার গলা চেপে ধরে অবস্থায়, আমার ধাক্কাটা এতো জুরেই ছিলো যে মহুয়া ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে ছাদ থেকে নিচে পরে যায়,,,,,

চলবে,,,,,,

#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_4

“বলেই মহুয়া আমার গলা চেপে ধরেছে,আমি কিছুতেই মহুয়া কে ছাড়াতে পারছি না ওর চোখগুলো রক্তের মতো লাল হয়ে আছে।যেনো ওর মধ্যে এক অলৌকিক শক্তি চলে আসছে,, আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে।একমুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছে আমার সময় হয়তো আজকেই শেষ। কোনোভাবে নিজের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে ওঁকে ধাক্কা দিয়ে আমার থেকে ছাড়াই।মহুয়া রেলিঙের সাইটে ছিলো আমার গলা চেপে ধরে অবস্থায়, আমার ধাক্কাটা এতো জুরেই ছিলো যে মহুয়া ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে ছাঁদ থেকে নিচে পরে যায়।

সময় কারো জন্য থেমে থাকে না, সময় আপন গতিতে চলতে থাকে। মহুয়া মারা গেছে আজকে ৫দিন হয়ে গিয়েছে। দিশা আবার ইতালি ফিরে গেছে নিজের স্বামী আর শাশুড়ীকে নিয়ে।আর এদিকে পঁচিশটা মেয়ের যে বিদেশে পাচার করবার কথা ছিলো তার ও ডেট পিছানো হয়েছে।

ওইদিন মহুয়া যখন ছাঁদ থেকে পরে যাওয়ার পরে,, সাথে সাথে আমার খুশ আসে আমি এটা কি করলাম! কেনো করলাম! কাল কে দিশার বিয়ে আর আজকেই মহুয়া কে মরতে হলো।আস্তে আস্তে আমি ছাঁদের রেলিঙের সাইটে এসে নিচে তাকায়! পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে পরেছে,সাথে সাথে স্পট ডেট। এই মানুষটা পঁচিশটা
বছর আমার সাথে থেকেছে, আমার মেয়ে দিশাকে নিজের মেয়ের মতো মানুষ করেছে! আমি কি করে পাড়লাম ওকে মারতে!আমি তো ওকে মারতে চায়নি, যদিও আমার সাথে দস্তা-দস্তি না হতো তাহলে হয়তো মহুয়া এখনো বেঁচে থাকতো। আমাকে এখন তাড়াতাড়ি এইখান থেকে নিচে নামতে হবে, না হলে কেও দেখে ফেল্লেই কেলেংকারী হয়ে যাবে। আর আমাকে সবাই দোষি সাব্যস্ত করবে। তাই আমি তাড়াতাড়ি ছাঁদ থেকে নিচে নেমে পড়লাম।

“নিচে আসতেই দেখি, মহুয়ার নিথর শরীরটা কে কোলের উপরে রেখে বাচ্চাদের মতো কান্না করছে আমার আদরের মেয়ে দিশা, ওর পাশেই দাড়িয়ে আছে মীরা আর তিশা। মহুয়ার চেখারা একদম থেঁতলে গেছে, বুঝাবার কোনো ওপায় নেই যে এটা মহুয়া, শুধু ওর গায়ের জামা কাপড় গুলোর মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে।আমার মেয়ে দিশার কান্না দেখে আমার বুকের মধ্যে যেনো চিনচিন ব্যথা অনুভব করা শুরু হয়ে। আমার মেয়েটার শরিরে এখনো গায়ে হলুদের পোশাক আছে, তার বিয়ের আনন্দ সব চলে গেছে মহুয়ার মৃত্যুর সাথে সাথে। আমি এটা কি করলাম
,আমার মেয়ের সুখ আমি নিজে বাবা হয়ে কেরে নিলাম। আমু দৌরে গিশে আমার মেয়ে মহুয়া কে ঝাপটে দরি আমার মেয়েকে বুকের মধ্যে নিয়ে বলি,,,,

__মারে,, যার হায়াত যত দিন, সে ততই দিন বাঁচবে। এর একদিন বেশি ও না আর একদিন কম ও না। তাই তুই নিজেকে সামলা, কাল তোর বিয়ে। আজকে এমনিতেই অনেক রাত হয়ে গেছে, ওকে দাফন কাফনের ব্যবস্তা করতে হবে। আশে- পাশের সকল মানুষ এখানে এসে জরো হচ্ছে। তাই তাড়াতাড়ি ওকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে হবে। ও আত্নহত্যা করেছে পুলিশ কেস হলে ওকে পোস্ট মাডাম করাবে, তুি কি চাস তোর মায়ের সাথে এরোকোম কিছু হোক! তাই তাড়াতাড়ি তুই বাড়ির ভিতরে যা আমি ওকে নিয়ে আসছি।

__বাবা,,,মা এরকম টা কেনো করলো! মা তো আমার সাথে সব কথা শেয়ার করতো! তাহলে কি কারনে আমার মা আমাকে না বলে চলে গেলো,,,,,বলেই কান্নায় ভেঙে পরে দিশা।

__তুমি ওঠো দিশা, তিশার সাথে তুমি বাড়ির ভিতরে যাও। তোমার বাবা,আর আমি মহুয়ার লাশ নিয়ে ভিতরে আসছি। আর তুমার ফুফুকে কল করে বলে দাও আসার জন্যে।

__না,,,,,আপনি আমার মায়ের লাশ স্পর্শ করবেন না!আপনার জন্য হয়েছে এইসব কিছু,আপনি এখন দরদ দেখাতে আসছেন আমার মায়ের প্রতি।কেনো এসেছেন আমাদের জীবনে আপনি! আমার আপনাকে চাই না,, চাই না,,, আপনার জন্য আমার মা আজকে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।শুধু মাএ আপনার জন্য,, আপনি এখন শান্তি হয়েছেন তো!আপনি আজকেই এই বাড়ি থেকে চলে যাবেন আপনার মেয়েকে নিয়ে, আপনার আমাদের সুখ সজ্য হয় নাই! কথা গুলো বলেই আস্তে আস্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে,, তখন তিশা গিয়ে ওকে দরে রুমের দিকে নিয়ে যায়।

আমি আর দেরি না করে দিশার লাশটা কোলে তুলে পার্কিং এরিয়াতে নিয়ে আসি। এরপর ওর গোসল থেকে ধরে জানাজা দিয়ে দাফন কাফন করতে করতে ফযরের আজান দিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে আমার সাথে দিশার খবু জামায়,, ইমরান ওর ওর কয়েকজন বন্ধু এসে দাফন কাফনের সকল ব্যবস্তা করে আমার সাথে। তার পর ওইদিন সন্ধায় দিশা আর ইমরানের বিয়েটা সম্পন্ন করি,ওদের ইতালির টিকেট কেটে আসি।আমি চাই না আমার জন্য আমার মেয়ে দিশার কোনো হ্মতি হোক, তাই যত তাড়াতাড়ি আমার মেয়েকে আমার থেকে দূরে পাঠানোর চেষ্টা করছি,ওদের ফ্লাইট পরের দিন সন্ধা সাত টায়। আমি আমার মেয়ে দিশার দিকে তাকাতে পারছিলাম না আমার মেয়ের যেই হাল হয়েছে। এরি মধ্যে খবর আসে মেয়েদের পাচারের ডেট পিছানো হয়েছে।

দিশা চলে গেছে আজকে তিন দিন হয়ে গিয়েছে, তাই আজকে একটু আজম পুরে আসলাম। তিশা আর মীরা বাড়িতে আছে, ওদের সাথে এক সাথে থাকতে ভয়ই করে কখন কি হ্মতি করে বসে। তাই আমি বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাহিরে থাকি।আজম পুরে এসে তো আমি অবাক! এখানে কোনো কিছু আগের মতো নেই। আমার এখন আগে রোশানের সাথে দেখা করতে হবে! আমি এইখানের পথ-ঘাট ও তো ভালো করে চিনতে পারছি না। ওই রাস্তায় একটা ছেলে দেখা যায় ওকে জিজ্ঞেস করি রোশানদের বাড়িটা কোন দিকে!

__এইযে,,, বাবা একটু শুনবে?ডাক দেওয়ার সাথে সাথে ছেলেটা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।

__জি আংকেল কিছু বলবেন,,,

__রোশানদের বাড়িটা কোন দিকে বলতে পারবে!

__কে আপনি? আর ওনার খুঁজ করছেন কেনো,,,

__আমি রোশানের চাচাতো ভাই,, রায়হান। কিছুদিন হলো ইতালি থেকে দেশে এসেছি। তাই আরকি ওর সাথে দেখা করতে এসেছি।কথাটা বলার সাথে সাথে ছেলেটা আমাকে জরিয়ে দরে কান্না করতে করতে বলে,,

__বাবা আর বেচে নেই কাকা।ওনাকে কে যেনো কল করে ঢাকা যাওয়ার জন্য বলে,, ওনি ঢাকা যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে মারা যায় পাঁচ দিন হয়েছে,,,,

চলবে,,,,,,,