#আমার_শুধু_তোমাকেই_চাই🍁🍁
#লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী
#পর্ব;৭
২০,,,
রাতে,,
সেই কখন থেকে মাহির ফোনটা বাজছে কিন্তু ধরার নামই নেই। আরে সে তো এখন দুভাই এর সাথে গল্পে ব্যাস্ত।আর ফোনের উপারে থাকা লোকটা যেনো থামছেই না একের পর এক ফোন দিয়েই যাচ্ছে।অবশেষে মাহি রুমে এসে ফোনটা ধরলো।
হ্যালো কে বলছেন(নাম্বারটা না দেখেই ফোনটা ধরে বলল)
ফোন ধরতে এতো দেরি হয় কেনো কোন নাগরের সাথে ছিলি এতোক্ষণ (রেগে বলল মেহরাব)
দেখুন মুখ সামলে কথা বলুন কে আপনি হ্যাঁ আর আমাকেই বা এতো বাজে কথা বলছেন কেনো (মাহি)
বাজে আমি না তুই। একটা তে হয় না?? কতগুলো লাগে তোর?? একেক সময় এক একটা কখনো ভার্সিটীতে তো আবার কখনো পার্কে (মেহরাব)
মাহি পুরাই রেগে বোম হয়ে বলল।এই কে আপনি আর আমায় এই সব খারাপ কথা বলছেন কেনো আর আমি যার সাথেই থাকি না কে তাতে আপনার কি আপনি কে হন আমায় এসব কথা বলার(মাহি)
আমি কে হই না আমারই তো সবকিছু?? কাল ভার্সিটীতে আসিস তারপর বোঝাবো আমি কে (এই বলে মেহরাব ফোন কেটে দিলো)
রাগে দুঃখে মাহির এখন কান্না পাচ্ছে চেনা নাই জানা নাই কে না কে ফোন দিয়ে এতোগুলো খারাপ কথা বলল। ভীষন কান্না পাচ্চে মাহীর।
কান্না করতে করতে ওভাবেই ঘুমিয়ে পড়ল।
২১,,,,
সকালে,,,,
তারাতারি আয় না এতো আস্তে হাটছিস কেনো জলদি পা চালা (মেঘলা মুনিরা কে কথা গুলো বলল। কেননা মেঘলার ভার্সিটীর একটু দূরেই মুনিরার কলেজ তাই দুবোন মেহরাবদের বাড়ি থেকে বার হয়েছে খানিক পথ রিকসায় এসে বাকিটা হেটে যাচ্ছে মাহীকে নিয়ে তারপর একেবারে রিকসায় উঠে সোজা ভার্সীটি যাবে)
কি আপু এতো জোরে হাটা যাই নাকি একটা রিকসা নিলেই তো হয়৷ আর তুমি না হাঁটতে পারো না একটু হাটলেই পা বেথ্যা করে তাহলে আজকে এমন হাটছো কীভাবে(মুনিরা)
তোকে কীভাবে বলল হেঁটে গেলে আমি আমার মেঘকে অনুভব করতে করতে যেতে পারবো কেননা হেটে গেলে মনে হয় আর একটু হাটলেই আমার ভালোবাসা।আর রিকসায় গেলো তো এক মত্তোরেই চলে যাই তাতে তো আর মেঘকে অনুভব করা যাই না?? এভাবে গেলে তো মনে হয় মেঘ যেনো আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর আমায় জলদি যেতে হবে একেবারে লাইলা মজনুর মতো আহা(মনে মনে)
আরে কিরে কি এতো ভাবছিস (মুনিরা)
নাহ কিছু না শোন,,,,(মেঘলা আর বলতে পারলো না ওখানেই থমকে দাড়ালো কেননা ও সামনে দেখলো মেঘ একটা মেয়েকে তার বাইক থেকে সুন্দর করে হাত ধরে নামাচ্ছে আর মেয়েটা মেঘের গায়ে একেবারে লেপ্টে আছে। মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছে না শুধু পিছন দেখা যাচ্চে। তারমানে ওর মেঘ অন্য কাউকে না আর ভাবতে পারছি না)
কিরে আপু চল দেরি হয়ে যাচ্ছে তো(মুনিরা)
এ্যা,হ্যাঁ,শ,,শোন না আ,,আমি আজ যাবো না ত,তুই মাহীর সাথে চলে যা,(অনেক কষ্টে কান্না আটকে)
কেনো যাবি না কেনো আর হঠাৎ করে তোর কি হলো শরীল খারাপ করছে নাকী??(মুনিরা)
না আ,,আমি ঠিক আছি শুধু একটু মাথাটা বেথ্যা করছে তুই যা(মেঘলা)
কি বেশি বেথ্যা করছে নাকি (মুনিরা)
না আমি ঠিক আছি ওই একটুখানি আর কি তুই যা(মেঘলা)
কিন্তু আমি তো মাহী আপুদের বাসা চিনি না(মুনিরা)
ও,,ওই যে সামনে নীল আর সাদা কালার করা যে দোতালা বাড়ি দেখবে পাবি ওইটাই মাহিদের তুই যা (এই বলে মেঘলা চলে গেলো)
আরে,,,যা চলে গেলো এখন আমি কি করবো যাই দেখি সাদা আর নীল খুজি ধুত ভালো লাগে না কত করে বললাম যে মেহরাব ভাইয়ের সাথে ওর বাইক এ করে যাই,, না ওনি তো তা যাবেন না ওনি হেটেই যাবে আর এখন আমায় এখানে ফাঁসিয়ে চলে গেলো যত্তসব।
এসব কথা ভাবতে ভাবতে আপুর বলা বাড়ির সামনে চলো আসলাম আল্লাহ আল্লাহ করে কলিং বেলটা বাজালাম দু তিনবার বাজানোর পর কেউ এসে দরজাটা খুলে দিলো আর যে খুললো তাকে দেখেতো আমি অবাক।
আপনি??(মুনিরা)
আরে আইসক্রিম চুন্নি যে (শান্ত)
ওনার কথা শুনে আমার রাগে নাক লাল হয়ে গেলো আমি চুন্নি?? মোটেও না।
এই যে শোনেন আমি মোটেও চুন্নি না আর আমি আপনার আইসক্রিম চুরি করেনি উল্টে আপনি আমার আইসক্রিম ফেলে দিছিলেন(,মুনিরা)
ওদের ঝগড়া শুনে ভিতর থেকে মেঘ চলে আসলো ও ভাবলো যে মেঘলা এসেছে, কিন্তু না দরজার সামনে অন্য একটা মেয়েকে দেখে নিরাশ হলো।
২২,,,,
এই তুমি কে?? আর কাকে খুজছো??(মেঘ)
ইয়ে না মানে আমি মুনিরা ওই যে মেঘলা আছে না ওর বোন। আমি মাহী আপুর কাছে এসেছি(,মুনিরা)
ও তুমি মেঘলার বোন?? আসো আসো ভিতরে আসো। শান্ত ওকে ভিতরে আসতে দে(মেঘ)
হ্যাঁ ভাইয়া এই যে আসুন (শান্ত)
আমি শান্ত না ফান্ত ওনাকে একটা ভেংচি কেটে ভিতরে ঢুকলাম (মুনিরা)
তা তোমার বোন আসলো না কেনো(মেঘ)
আর বলবেন না আসছিলো তো মাঝ রাস্তায় এসে বাড়ি চলে গেছে বললো নাকি ওর মাথা বেথ্যা করছে (মুনিরা)
কি?? সিরিয়াস কিছু নাকি তুমি ওকে ডাক্টার এর কাছে নিয়ে যাও নি??(অস্থির হয়ে বলল মেঘ)
আরে না ভাইয়া আপু একদম ঠিক আছে। (মুনিরা)
আচ্ছা।
ওদের কথার মাঝেই উপর থেকে মাহি আসলো আর এসে মুনিরা কে দেখে বলল।
আরে তুমি মুনিরা না?? মেঘলার ছোট বোন?(মাহী)
জি কিন্তু আপনি চিনলেন কীভাবে।(মুনিরা)
মেঘলার ফোনে তোমার ছবি দেখে। আর তুমি আমায় আপনি বলছো কেনো তুমি করেই বলতে পারো(মাহী)
জি আপু।
আচ্ছা মাহি তোরা তো ভার্সীটি যাবি আর শান্ত তুইও তো বাড়ি যাবি তাহলে তুই ওদের ড্রপ করে দে আমার বের হতে এখনো অনেক দেরি তাই তুই৷ যা(মেঘ)
অবশ্যই ভাইয়া তুমি যখন বলছো তখন তো নিয়ে যেতেই হয় আসুন মেডামরা (মুনিরার দিকে তাকিয়ে)
তারপর ওরা গাড়িতে ওঠল আর শান্তু মাহিকে ভার্সিটীর সামনে নামিয়ে দিয়ে মুনিরাকে নিয়ে ওর কলেজের সামনে গেলো। মুনিরা গাড়ি থেকে নামতে যাবে তখনি শান্ত বলল।
তা আইসক্রিম চুন্নি বুঝি এই কলেজে পড়ে??
এই আপনি আমায় আবার আইসক্রিম চুন্নি বলছেন। আর দেখতেই তো পাচ্ছেন আমি এখানে পড়ি তাহলে জিগাস করার কি আছে (মুনিরা)
না এমনিতেই তা আবার কবে দেখা হবে??
সেটা না হয় সময়ই বলে দেবে। এই বলে মুনিরা চলে গেলো।
ভার্সিটীতে,,
মেঘলা আসিনী বলে মাহি কোথাও দেরি না করে সোজা ক্লাসরুমের দিকে যাচ্ছিলো আর তখনি কেউ ওর হাত টান দিয়ে একটা ফাঁকা ক্লাস রুমে চলে গেলো।
চলবে,,,৷
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গঠনমূলক কমেন্ট আশা করছি)