আমি গোপনে ভালোবেসেছি পর্ব-০৬

0
247

#আমি_গোপনে_ভালোবেসেছি
#পর্বঃ৬
#writer: Mishmi_muntaha_moon

কেমন যেনো ভয় ভয় করছে তারউপর ভুতুরে ভাবে ফোনের রিং বেজে উঠলো।আর বারান্দায় দারালাম না রুমে গিয়ে ফোন খুজতে লাগলাম।খাটের উপর পরে থাকতে দেখে ফোন হাতে নিতেই আবারও বাজতে লাগলো। নাম্বারটা সেভ করা না কিন্তু চেনা চেনা লাগছে।ধরতেই ওইপাশ থেকে কঠিন গলায় বলে উঠলো

” মিস ফিয়ানা, নিচে আসো”

মিস ফিয়ানা সম্বোধন শুনেই বুঝে গেলাম কে।

” মানে আপনি কি নিচে?কেনো?”

আমার প্রতিউত্তরে তারাতারি নিচে আসার তাড়া দিয়ে কল কাটলো।
কিন্তু আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরছে উনার কি ভয় নেই নাকি উনি জানতো আমার আম্মু আব্বু বা কেউ বাড়িতে নেই।
আর কিছু ভাবলাম না।ওরনা দিয়ে মাথা ঢেকে মোবাইল রেখেই দরজা তালা দিয়ে সিরিতে বেয়ে নিচে নামতে লাগলাম।

নিচে নেমে মেইন গেটের বাহিরে যেতেই ল্যাম্পপোস্টের হলদে ঘোলাটে আলোয় উনার মুখ দেখতে পেলাম।
কালো শার্ট গায়ে।আমাকে দেখে আমার দিকে এগিয়ে এলো।উনাকে দেখে আমি চাপা কন্ঠে বললাম

” আপনি এইখানে কেনো এতো রাত্র?কেউ দেখলে কি ভাববে!”

উনি আমাকে এভাবে চাপা স্বরে কথা বলতে দেখে চোখ বাকা করে গম্ভীর কন্ঠে বলল

” এমন চোরের মতো করে কথা বলছো কেনো?আর আমি তো তোমার বয়ফ্রেন্ড না মিস ফিয়ানা যে তোমার বাড়ির প্রাচীর পাড় হতে ভয় পাবো”

উনার উত্তরে অবাক হলাম।মাথায় কি করে আসে এমন উত্তর।উত্তরে কিছু বলার মতো না।আমি প্রষঙ্গ পালটে বললাম

” বাড়িতে কেউ নেই জানতেন আপনে?”

আমার কথা শুনে উনি চোখ কিঞ্চিৎ ছোট করে অবাক হয়ে বললেন

” বাড়িতে তুমি একা ওয়েট সিরিয়াসলি তুমি কি বলতে চাইছো।”

উনার কথায় আমি দ্রুত মাথা দুই পাশে হেলালাম।কি মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলো উফফ!উনি কি বুঝলেন আমি কি বললাম সবই অস্বাভাবিক। নিজেই বোকা বনে গেলাম।
আমি চুপ থাকার মাঝেই উনি কিছু ভাবলেন তারপর একটা রিকশা থামিয়ে আমাকে উঠতে বললে আমি তারাহুরো করে বললাম

” কেনো?নাহ আমি আপনার সাথে যাবো না সোজা কথা”

আমার কথা শুনে ঠোঁট কামড়ে ধরে আমার দিকে পা বারাতে নিতেই আমি বড় একটা ঘোমটা টেনে ভালো করে মাথার পাশাপাশি মুখটাও একটু ঢাকলাম।আমাকে এভাবে ঢাকাঢাকি করতে দেখে উনি পকেট থেকে একটা মাস্ক বের করে হাতে ধরিয়ে দিতেই পরে নিলাম।আমি উঠতেই উনিও পাশে বসলেন।

চলতে লাগলো সব দোকান,মানুষ আলো পেরিয়ে অন্ধকারের বুকে।প্রচন্ড বাতাসে ঘোমটা পরে গিয়ে সামনের গুড়া চুল আপনগতিতে উড়তে লাগলো।আমি নিজের যথাসাধ্য চেষ্টায় ওড়না মাথায় আটকে রাখলাম।

_
রাত তখন ৮ঃ২৩। খালি ব্রিজে রিকশা থামলে আমি আশেপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে রিকশা থেকে নামি।বুক ধুকপুক করছে।এভাবে রাত্রে বের হওয়া হয় নি কখনো তাও আম্মুকে না বলে।

উনি রিকশা ওয়ালা কে বিদায় করে ব্রিজের রেলিং এ ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকায়।আমিও ধীর পায়ে উনার সামনে গিয়ে দাড়াই।বেশি মানুষ নেই বলতে দুই একজন লোক হেটে যাচ্ছে।আর মাঝেমধ্যে দু এক রিকশা আর অটো।
নিচে একটা নদী বয়ে যাচ্ছে। নামটা বলতে পারলাম না।

” আজকে পরতে আসলে না কেনো?”

উনার কথায় উনার দিকে তাকালাম। বাতাসে চুল গুলো দোল খাচ্ছে উনার।গলার স্বর শূন্যে নামিয়ে বললাম

” আম্মু আব্বু ফুপ্পির বাড়িতে গেছে আমি একা ছিলাম বাড়িতে তাই,,,, আর যাই নি।”

আমার কথায় উনি ভ্রু কুচকালেন কিনা বোঝা গেলো না কারণ অন্ধকার ছিলো সারা ব্রিজ জুরে।

” তো!কলেজেও তো যাওনি।”

উনার কথায় কিচ্ছু বললাম না। জিয়া যায়নি বলে আমিও যাইনি শুনলে প্রতিক্রিয়া কি হবে জানি না তাই আর রিস্ক নিলাম না।

কিছুসময় নিঃস্তব্ধতায় কাটার পর উনি পকেট থেকে কিছু একটা বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিতেই আমি অবাক চাহনিতে তাকাই একবার উনার দিকে তো একবার উনার বাড়িয়ে দেওয়া চকলেট এর দিকে।
আমাকে ওমনভাবে তাকাতে দেখে উনি থমথমে কন্ঠে বললেন

” একজন দিয়েছে আমি খাই না তাই তোমায় দিচ্ছি”

উনার কথা শুনে ভাবলাম কে দিয়েছে কোনো মেয়ে হবে। মেয়েই হবে ছেলে কোন দুঃখে উনাকে চকলেট দিতে যাবে।
ভেবেই বিরক্ত নিয়ে চোখের দৃষ্টি নিচের বহমান নদীতে আটকালাম।

” আমি চকলেট খাই না,,,।”

আমার কথা শুনে আমার ডান হাত টেনে হাতে ধরিয়ে দিলো তারপর নিজের দুই হাত পকেটে গুজে স্ট্রেইট হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
কিছুক্ষন পাড় হতেই উনি মৃদু কন্ঠে বলল

” প্রতিদিন অনিয়ম করে দেখা করা যায় না”

কি বললে বুঝতে না পেরে আবার জিজ্ঞেস করলাম।

“কি বললেন?”

উনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে অন্যমনস্ক হয়ে বললেন

” কিছুনা।সময়ের অপেক্ষা তারপর নাহয় তুমিও জানলে মনের কথা”

কেমন যেনো আলাদা লাগলো উনার কথাবার্তা সাথে উনাকেও। আমি আর কিছু শুনার অপেক্ষা করলাম না হুট করে বললাম

” আম্মু আব্বু ফিরে আসবে।বাড়িতে ফিরবো।”

আমার কথায় উনি রাস্তার কিছুদূর হেটে রিকশা থামিয়ে আমাকে বসতে বলে উনিও উঠে পড়লেন।

_
বাড়িতে ফিরলাম ৯ টার দিকে। মনে মনে একটাই দোয়া করছি আম্মু আব্বুরা যেনো এখনো না আসে।আর যদি এসে পরে কি বলবো কোনো রেহাই নেই।
দোয়া পরে বুকে ফু দিয়ে গেটের ভিতরে পা রাখতে নিবো তখনই পিছ থেকে উনার ডাক শুনে থেমে পিছে তাকাই।
উনি রিকশা থেকে নেমে আমার দিকে একটা ব্যাগ এগিয়ে দিলে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাই ব্যাগ টা না নিয়ে।

” নোটস, বাকি পরীক্ষার আগে আর কোচিং যাওয়ার দরকার পড়বে না।”

উনার কথা শুনে চকিতে উনার দিকে তাকাই। যাক কিছু তো সুবিধা হলো।
উনার হাত থেকে নোটস এর ব্যাগ টা নিয়ে মুচকি হাসি উপহার হিসেবে দিয়ে সিড়ির দিকে পা বারাই।

চোখ বন্ধ করে আমাদের ফ্ল্যাট এর দরজার সামনে এসে চোখ বন্ধ করে আরও একবার দোয়া দুরুদ আওরালাম।
চোখ খুলতেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো। নাহ বাবা বাচা গেলো আম্মু আব্বু এখনো আসে নি।
আচলের কিনারার গিট থেকে চাবি নিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে রুমে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।আম্মুকে কল করতে হবে উনারা আসবে কিনা আজকে জানতে হবে তো।

কল করে জেনে নিলাম উনারা আজকে আসবে না কাল সকালেই এসে পড়বে।আমি যেনো ভালো করে দরজায় তালা দিয়ে ঘুমাই এই ব্যাপারে স্ট্রিক্টলি বলে দিলো আর যেনো ভয় না পাই কোনো কিছু ঘাপলা লাগলে যেনো কল দেই উনাদের।
আমিও উনাদের কথায় মত প্রকাশ করলে কল কাটল

রাত ১১ টা বাজে।কোনোরকম নুডুলস রেধে খেয়ে নিলাম।ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার আগে উনার দেওয়া নোটস খুলে বসলাম।একবার দেখা যাক কি আছে ভিতরে।
খুলতে নজরে এলো প্রথম কয়েকটা পাতা কলেজের থেকে কালেক্টেড, কোনো একটা স্যার থেকে হয়তো কালেক্ট করেছে।কিন্তু পরের কয়েকটা পাতা উনি নিজের মতো করে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় নোট করে দিয়েছে।
কিছুক্ষণ পাতা উল্টিয়ে দেখে রেখে দিলাম।দরজা জানালা আরও একবার চেক দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

~~~~~~~

কেয়ার জিনিসটা উপলব্ধি করা যায়।কেউ যদি আপনার কেয়ার করে আপনার ভেতরের সত্তা সেইটা নিশ্চিত হয়ে আপনার কাছে ধরা দেওয়াবে।
ভেতরের খবর হয়তো জানা মুশকিল একটা ব্যাপার কিন্তু এই কেয়ারিং ব্যাপার টা হয়তো ভেতরের থেকে আসলেও প্রকাশ্য।
ভালো লাগার একটা স্রোত বহমান হয় যখন নিজের জন্য কেয়ার দেখতে পাওয়া যায় অন্যের চোখে মুখে এবং প্রাত্যহিক আচরণে। এই একটা সামান্য জিনিসই অন্যের প্রতি উইক ফিল করায়।

কাল আমার পরীক্ষা। এতোদিন নিয়মিত উনার কাছে পড়তে গিয়েছি।অকল্পনীয় ভাবে এখন উনার আচরনে আমার জন্য কেয়ারটা প্রকাশ পায়।আমি ভীষণ ভাবে তা অনুভব করি।কিন্তু তার থেকে বেশি কিছু আছে কিনা উনার মনে তার ব্যাপারে শিউর হয়ে বলা যাচ্ছে না কিন্তু আমার মনে যে উনার জন্য অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোনো ডাউট নেই।

আমার জন্য এইকয়েক দিন যতবার পড়তে গিয়েছি উনি আমার দিকে একটা করে চকলেট বাড়িয়ে দিতো আমিও কোনো বাক্য প্রকাশ ছাড়া নিতাম। এ যেনো এক অপ্রকাশ্য কল্পনা।

আমার প্রিপারেশন এখন খুবই ভালো আমার মতে।সিলেবাস কভার হয়ে গেছে অলরেডি।সবই রুদ্ধ সাহেবের সহায়তায়।
কাল তো সামনে বসিয়ে ৩০ মিনিট পড়িয়ে ৩০ মিনিট একটানা উনার লেকচার।

“ভয় জিনিসটা কি!একদমই কিচ্ছু না।যা হবে ভালো হবে ট্রাস্ট ইউরসেল্ফ।ইউ কেন ডু ইট।ওকে?”

উনার এই হাইলাইটেড কথাটা আমার মাথার ভেতর একদম ভালো করে চেপে বসেছে।অনেকটা রিলিভ ফিল হচ্ছে।

রাতে কাল যেই পরীক্ষা সেই সাবজেক্ট নিয়ে রিভাইস করতে লাগলাম।তখনই আব্বুর আগমন সুন্দর করে আমাকে বুঝালেন যেনো ভালো করে পরীক্ষা দেই অন্য কিছু না ভাবি।
কিছুক্ষন কথা বলার মধ্যেই আম্মু রুমে প্রবেশ করলো।কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে আব্বুর কথা শুনলো উনার কথায় মত প্রকাশ করলো কিন্তু মাঝেই এক অপ্রয়োজনীয় কথা বলে দিলো যা আমার একদমই পছন্দ হলো না বলতে হবে।

” হুম তোমার আব্বু একদম ঠিক বলছে। আর ভালো রেজাল্ট না করলে কি এমনে এমনেই কোনো ইঞ্জিনিয়ার তোমাকে তো নিবে না তাই না!”

আম্মুর কথায় অবাক হয়ে তাকাই।

“আম্মু তুমি কিন্তু তোমার কথা থেকে একদমই পিছু হটবে না বলে দিলাম।মনে আছে তো?”

“ওইটা দেখা যাবে আগে তোমার রেজাল্ট দেখি।কি করো! ”

বলে আম্মু চলে যায়।আব্বুও কথা না বাড়িয়ে রুম ত্যাগ করে।

আমিও আম্মুর কথা আর ভাবলাম না।ভালাও রেজাল্ট করলে তখন জোর খাটিয়ে কিছু একটা বলতে পারবো না হলে আর মুখ ফুটে কিছু বলা যাবে না।

~~~~~~~~~

আজ এক্সাম শুরু হবে ১১ টায়।তাই রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে ১০ টায় বেরিয়ে পড়ি।সাধারণত আমাদের বিল্ডিংয়ের মোড়ে কোনোমতে রিকশা পাওয়া যায় না সহজে তাই কিছু না ভেবে হাটতে লাগলাম। কিছুক্ষন হাটলেই মেইন রাস্তা।সেখানে অনায়াসে রিকশা,সিএনজি, বাস সব পাওয়া যায়।কিন্তু আমার আপাতত রিকশা প্রয়োজন।

অসহ্য গরমের পর বর্ষার আগমন একটু একটু করে দেখা দিচ্ছে।রোদ একটু কম লাগছে।মেইন রাস্তায় দারাতেই একটা রিকশায় চোখ আটকে যায়।
ব্লাক শার্ট-প্যান্ট সাথে গলায় টাই ঝুলানো রুদ্ধ সাহেবকে চোখে পড়তে আপনা আপনি মুখ থেকে বেড়িয়ে গেলো

” মিস্টার রুদ্ধ সাহেব ”

আমার কন্ঠ এতোটাও জোরে ছিলো সামান্য জোরে ছিলো।তা কি করে কানে ঢুকলো উনার আল্লাহ মালুম।রিকশা বেক করে আমার সামনে এসে থামতেই উনি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে টাই ঠিক করে পকেটে হাত গুজে বললেন

” মিস ফিয়ানা,,,,। তুমি এখানে কি করছো। তোমাকে পিক করতেই তো যাচ্ছিলাম।উঠো রিকশায়।”

উনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রিকশায় উঠে পড়লাম।উনিও আমার পাশে বসতেই রিকশা ছুট লাগালো রাস্তার ভাজে।
উনাকে আড়চোখে দেখছি। চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা আবার গলায়ও টাই, উনিকি কাজে যাচ্ছিলো?আহা কি সুন্দর লাগে উনাকে ফর্মাল গেটাপ এ।অবশ্য উনাকে তো সব কিছুতেই কিউট লাগে।

চোখ চলন্ত রিকশা থেকে পরিবেশে নিবদ্ধ করলাম।প্রত্যেক টা গাছ যেনো দৌড়ে পালাচ্ছে।
আশেপাশে দেখতে দেখতেই আমি মৃদু কন্ঠে উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম

” আচ্ছা আপনি কি কাজে যাচ্ছিলেন নাকি?কি কাজ করেন আপনি?”

আমার কথায় উনি চোখ ছোট করে আমার দিকে একনজর তাকিয়ে সামনে তাকায়।

” উম,,,, তুমি জেনে কি করবে আমি কি করি?”

“প্লিজ বলুন না এমন করেন কেনো আজব তো আমি জানলে কি আপনাকে কাজ থেকে বের দিবে নাকি আপনার হেড”

আমার কথা শুনে ঠোঁট কামড়ে কিছু ভেবে বললেন

” আমার কোচিং সেন্টার আছে।সেইটার কাজ সামলাই আপাতত। ”

উনার কথা শুনে আমি অবিশ্বাস্য হয়ে বললাম

” আপনার নাকি আংকেলের দেওয়া?”

আমার কথা শুনে উনি রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আমার দিকে তারপর দৃষ্টি ফিরিয়ে বলে

” আমার নিজের যোগ্যতায় গড়ে তোলা কোচিং। সো বাবার না সেইটা একমাত্রই আমার।আর বাবা দিলে আমায় উনার বিজনেস দিতো কোচিং সেন্টার দিতো না।”

উনার কথায় অবাক হলাম আমার কথাটা উনি সিরিয়াসলি নিয়ে নিলো আমি তো এভাবেই বললাম আরকি।
এক্সামের নির্দিষ্ট হলে পৌছাতেই হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।সবাই ব্যস্ত পায়ে হেটে কলেজের ভিতরে ঢুকছে।
আমিও নেমে উনাকে কিছু না বলেই ভিতরে ঢুকতে নিতেই উনি পিছন থেকে ডাক দিলেন।

” মিস ফিয়ানা,,।”

উনার কথায় ঘাড় পিছে বাকিয়ে তাকালাম।উনি হাতের আঙুল তুলে কাছে আসতে বলতেই আমি ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম।
উনি কোনো কথা না বলে আবারও একটা বড় ডেইরি মিল্ক চকলেট এগিয়ে দিয়ে বলল

” গুড লাক।কোনো ভয় নেই।”

আমি একনজর রিকশাচালক মামার দিকে তাকালাম তারপর আবার উনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চকলেট হাতে নিয়ে বললাম

” হুম,থেংক ইউ।চললাম।”

বলেই এক্সাম হলের ভিতর ঢুকে গেলাম।পিছে ফিরলাম না একটি বারের মতও।

চলবে,,,,

( ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ❤️❤️)