আসক্তিময়_ভালবাসা পর্ব-৪

0
3597

#আসক্তিময়_ভালবাসা
#Part_04
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

গাড়ি চলছে আপনগতিতে। আমি চুপচাপ বসে আছি। পাশেই ডাঃ রিয়ান মুখে গাম্ভীর্য ভাব এনে বসে আছে। চোখ তার হাল্কা লাল। বেশ দ্রুত গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছে সে। বুঝাই যাচ্ছে কোন কারণে বেশ রেগে আছে। কিন্তু তা কি আমি জানি না। আমি আগের ঘটনা মনের করার চেষ্টা করছি যে আমি কোন ভুল করেছি কিনা। বিশেষ করে কেবিনে থাকা কালিন সময়টার কথা ভাবছি।

____________________

রিয়ান যখন আমায় কিছু বলতে নিবে তখনই আমার ফোন বেজে উঠে। আমি ফোন বের করতেই স্ক্রিনে “বেবি” নামটা ভেসে আসে। সাথে সাথে আমার ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠে। আমি ফোন উঠাতে যাবো ঠিক তখনই ডাঃ রিয়ানের কথা মনে পড়ে। আমি তার দিকে তাকাতেই দেখি সে আমার দিকে সেই বিখ্যাত স্টাইলে ভ্রু দুটো কুঞ্চিত করে তাকিয়ে আছে। মানে আড়া-আড়িভাবে। চোখে মুখে রুদ্ধদ্বার ভাব। তার এমন চাহনি বরাবরই আমার মধ্যে কেমন অদ্ভুত শিহরণ তৈরি করে। কিন্তু এখন এই চাহনি মানে কি তা বুঝার চেষ্টা করতেই মনে পড়ে যে তার কথার মাঝে ডিস্টার্বনেস একদম পছন্দ নয়। একদম বলতে একদম নয়। কথা মনে পড়তেই আমি জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে স্মিত হাসি। দেখতে দেখতে ফোনটা রিং হতে হতে বন্ধ করে যায়। পরক্ষণেই আবার বাজতে শুরু করে। আমি স্মিত হেসেই বলি,

— এক্সকিউজ মি!

বলে তারাতারি ফোনটা পিক করে বলি,
— হ্যাঁ বেবি! আমি এখন একটু ব্যস্ত আমি। তোমাকে আমি ফ্রি হয়ে ফোন দিব নে কেমন।

এই বলে কট করে ফোনটা রেখে দিলাম। তারপর ডাঃ রিয়ানের দিকে তাকিয়ে দেখি সে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমার দিকে নিক্ষেপ করছেন। আমি তা দেখে শুকনো হাসি হেসে বলি,

— জ্বী কি যেন বলতে নিয়েছিলেন আমায়।

রিয়ান এইবার রুদ্ধদ্বার কন্ঠে বলে,
— এই বেবিটা কে?

তার কথায় আমি কিছুক্ষণ তার দিকে ভ্রু কুটি কুঞ্চিত করে তাকিয়ে বলি,
— আপনি কি আমায় এইটা জিজ্ঞেস ডেকেছিলেন?

ডাঃ রিয়ান কিছুক্ষণ আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে,
— গাড়িতে গিয়ে বসো।

আমি কথাটা বুঝতে না পেরে বলি,
— কি?

ডাঃ রিয়ান এইবার টেবিলে বারি দিয়ে হাল্কা চেঁচিয়ে বলে,
— আই সেইড গেট ইনটু দ্যা কার ইমেডিয়েটলি। নো মোর ওয়ার্ডস!

তার এহেম কান্ডে আমি ভয়ে কুঁকড়ে উঠি। কিছু না বলে ব্যাগ নিয়ে এক দৌঁড়ে তার কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে সোজা পার্কিং এরিয়াতে এসে দম নেই। অতঃপর চুপচাপ গাড়িতে এসে বসে পড়ি। গাড়ির লক খুলা ছিল বিধায় কোন ঝামেলা পোহাতে হয় নি। একটু পর রিয়ান এসে গাড়ি স্টার্ট দেয়। মুখে তার গম্ভীর্যভাব স্পষ্ট।

________________

হঠাৎ হার্ড ব্রেক পড়ায় আমি সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ি। আর ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসি৷ সিটবেল বাঁধার কারণ মাথায় কোন ব্যথা পাই নি। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি বাসায় এসে পড়েছি। আমি ডাঃ রিয়ানকে কিছু বলতে যাব তার আগেই সে গাড়ি থেকে নেমে যায় আর সজোরে দরজাটা লাগিয়ে দেয়। বড় বড় পা ফেলে দ্রুত গতিতে ভিতরে চলে যায়। আমি হ্যাবলাক্যান্তের মত তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকি। এই প্রথম তিনি আমার জন্য দরজা না খুলে একা একা হেটেই চলে যাচ্ছেন। আমি এইবার দ্রুত সিটবেল খুলে তার পিছে পিছে ছুটে যায়। তিনি লিফটের দরজা বন্ধ করতেই নিচ্ছিল তার আগেই আমি টুস করে লিফটে ঢুকে পড়ি। তিনি একবার ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে দেখে নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। অতঃপর লিফটের দরজা বন্ধ হতেই সে দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আমি বার বার তাকে আড় চোখে দেখতে থাকি। লিফট নয় নাম্বার ফ্লোরে এসে খুলে যায় আর ডাঃ রিয়ান দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে যায়। আমিও তার পিছে পিছে ছুটি। তিনি অনাবরত কলিং বেল বাজিয়েই চলেছে। দম নেওয়ারও সময় দিচ্ছেন না। এতক্ষণ তার মুখে গাম্ভীর্য ভাব ফুটে উঠলেও এখন রাগান্বিত ভাবটি ফুটে উঠেছে। রেনু আন্টি দরজা খুলতেই ডাঃ রিয়ান জুতা খুলে হনহনিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে আর হাল্কা চেঁচিয়ে বলে,
— দরজা খুলতে এতক্ষণ লাগে?

রেনু আন্টি নিজের আঁচলে হাত মুচতে মুচতে বলে,
— রান্নাঘরে ছিলাম। আসতে সময় লাগে না বুঝি?

ডাঃ রিয়ান এক রাশ বিরক্তি নিয়ে গলা খেকিয়ে বলে,
— মা আমি এখন নিজের রুমে যাচ্ছি। ফ্রেশ হয়ে এখন ঘুমামো। ৩ ঘন্টার আগে যাতে আমায় কেউ ডিস্টার্ব না করে। মাইন্ড ইট!

কাউকে আর কিছু বলতে না দিতে যে দ্রুত পায়ে নিজের রুমে চলে যায় আর খুব বিকট শব্দ করে দরজা লাগিয়ে দেয়। আমি আর রেনু আন্টি দুইজন দুইজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকি। অতঃপর দুইজনই দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে যার যার মত চলে যাই।

_____________________________________________

বালিশে মুখ গুজে শুয়ে আছে পায়েল। ডান পাশে পাশে পড়ে থাকা একটা ফাইলের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে সে। চোখের কোনে দিয়ে অবাধ্য অশ্রুগুলো গড়িয়ে পড়ছে। বুকের ভিতরটায় কেমন চিনচিন ব্যথা অনুভব করছে সে। বাসায় আসার পথে আজ আবার আদিবের সাথে দেখা হয়েছিল। কিন্তু পায়েল আদিবকে দেখেও না দেখার ভ্যান করে পাশ কাটিয়ে চলে আসে। আদিব ওর সাথে কথা বলার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও সে কথা বলে নি। বরং দুই-একটা তিক্ত মাখা কথা শুনিয়ে দিয়েছে সে। আদিব বার বার পায়েলের এমন করার কারণ জানতে চেয়েছে কিন্তু পায়েল উত্তর দেয় নি। আদিবকে এগনোর করে সে রিকশায় চড়ে এসে পড়েছে।

কিন্তু এখন তার যে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। বাইরে দিয়ে পায়েল যতই শক্ত দেখাক না কেন। ভিতর দিয়ে সে একদম ভেঙ্গে পড়েছে। এমন সময় পায়েল তার মাথায় কাউরো কোমল স্পর্শ অনুভব করে। পায়েল মাথা তুলে তাকিয়ে ওর মাকে দেখতে পায়। মাকে দেখার সাথে সাথে পায়েল উঠে বসে মাকে জড়িয়ে ধরে। আর ফুঁপিয়ে কান্না করে উঠে। অস্পষ্ট সুরে বলতে থাকে,

— মা আমি আর পারছি না। বড্ড কষ্ট হচ্ছে আমার মা। বড্ড! মরে যাব আমি মা। মরে যাব!

পায়েলের মা সাহেলা বেগম পায়েলের পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
— তুই সব বলে দে না মা। তুই এমন কেন করছিস তা আদিবকে জানিয়ে দিলেই তো পারিস।

পায়েল মাথা তুলে সাহেলা বেগমের দিকে কিছুটা চেঁচিয়ে বলে,
— কি বলবো আমি তাকে মা? কি বলবো? যে আমি কখনো মা হতে পারবো না। তাকে কখনো বাবা ডাকটি শুনার সুখটি দিতে পারবো না। তোমার কি মনে হয় এইটা শুনার পর আদিব আমায় ছেড়ে দিবে? একদম না! সে বরং আমাকে এইভাবেই এক্সেপ্ট করে নিবে। আমাকে সে খুশি খুশি আপন করে নিবে। এতটুকু আমি তাকে চিনি। বড্ড ভালবাসে যে সে আমায়। কিন্তু আমি তো চাই না। কেন না তিনি আমায় মেনে নিলেও তার মনে আমার জন্য কোথাও না কোথাও করুণা কাজ করবে। আর আমি সেই করুণা চাই না। করুণার পাত্রী হতে চাই না আমি মা।
আর তার চেয়েও বড় কথা তিনি আমায় নিয়ে কখনো সুখী হতে পারবে না। তাকে আমার জন্য লাঞ্চিত হতে হবে তার পরিবারের কাছে, তার আত্মীয়স্বজনদের কাছে, সমাজের কাছে। এই সমাজ যতই উন্নতির চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাক না কেন, এদের চিন্তাভাবনা সেই আগের ন্যায় থেকে যাবে। এই সমাজে একজন বন্ধ্যা, বিধবা, ডিভোর্সি, স্বামী অথবা বাবার পরিচয়হীন কোন নারীর কোন জায়গায় নেই। সমাজ এখনো মেয়েদের সেই নিম্ন শ্রেণির জীবই মনে করে। এর মূখ্য কারণ কি জানো? আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। এই সমাজে একজন পুরুষ একজন নারীকে ছাড়া অলচ না বরং একজন নারী একজন পুরুষকে ছাড়া অচল।
এই সমাজের কথা না হয় বাদই দিলাম মা। আমি নিজেই বা কিভাবে নিজের ভালবাসার মানুষকে কষ্টে দেখতে পারি? জেনে শুনে তার সকল সুখ কেড়ে নিতে পারি বলো?

এতটুকু বলেই পায়েল আবার কেঁদে দেয়। সাহেলা বেগম তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নেয়। মেয়েটা যে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে তা তিনি জানেন। কিন্তু সে যে চেয়েও কিছু করতে পারছেন না। সান্ত্বনা দেওয়ার মতও ভাষা নেই তার। সবকিছু জেনে শুনেও সে কিছু করতে পারছে না। নিজের মেয়ের কষ্ট লাঘব করতে আজ সে ব্যর্থ। তিনি তো আদিব আর পায়েলের সম্পর্কে জানতেন এবং মেয়ের খুশির কথা ভেবে তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু এক তিক্ত সত্য যে সব তচনচ করে দিল। যার ফলস্বরুপ হাস্যজ্জ্বল থাকা মেয়েটা আজ পুরো ভেঙ্গে দিল।

পায়েলের বাবা মারা যাওয়ার পর ছেলে আর মেয়েকে একা হাতে বড় করে সে। কখনো ছেলে আর মেয়েকে কষ্ট পেতে দেন নি তিনি। চাওয়ার আগেই সব জিনিস এনে হাজির করেছেন। এই নিষ্ঠুর সমাজের বাস্তবতার সাথে কখনো তাদের সাক্ষাৎ হতে দেন নি তিনি। কিন্তু আজ! নিজের মেয়েই এর সাথে লড়াই করছে। একজন মা হয়ে এইসব কিভাবে মেনে নিবেন তিনি? মন যে তার মেয়ের জন্য প্রতিবারই কাঁদে। সব ভেবে তিনি এক দীর্ঘ শ্বাস নেন। অতঃপর পায়েলের মাথা নিজের কোলে নিয়ে বিলি কেটে দিতে থাকে। এই আশায় পায়েলকে একটু ঘুম পাড়াতে পারলে ও একটু শান্তি পাবে।

______________________________________________

রুমে বসে বই পড়ছি। এমন সময় আন্টি রুমে এসে বলে,

— মামনি কি করছো? তুমি কি একটু ব্যস্ত?

আমি বইয়ের দিক থেকে চোখ সরিয়ে আন্টির দিকে তাকিয়ে ছোট একটা হাসি উপহার দিয়ে বলি,
— না আন্টি আমি ব্যস্ত নই। সময় কাটছিল না বিধায় বই পড়ছিলাম।

আন্টি হয়তো আমার উত্তরে কিছুটা খুশি হয়েছে তা তার চেহেরা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আন্টি একটু আহ্লাদী সুরে বলে,
— আমার একটা কাজ করে দিতে পারবা?

আমি হাল্কা হেসে বলি,
— হুম বলো কি কাজ?

আন্টি বলে,
— আমরা এখন একটু ব্যাংকের কাজে বাইরে যেতে হবে। তাই বলছিলাম কি তুমি একটু গিয়ে দেখবে রিয়ান কি করছে? ৪ ঘন্টা তো হলে হসপিটাল থেকে এসেছে। এখনো কিছু খায় নি। খাবারগুলো একটু গরম ওকে একটু ডেকে এনে খায়িয়ে দিও তো।

আমি শুকনো গলায় বলি,
— আমি?

আন্টি ছোট ছোট চোখ করে বলে,
— হুম। প্লিজ কাজটা করে দিও। আমার তাড়া আছে বিধায় আমি তোমায় বলছি। কি পারবে তো?

আমি কিছু না বলে স্মিত হেসে মাথায় দুলায়। আন্টি কিছুটা নিশ্চিত হয়ে আমার কপালে ছোট একটা চুমু দিয়ে বেড়িয়ে যায়। আর আমি অসহায়ের মত কিছুক্ষণ গালে হাত দিয়ে বসে থাকি।

ডাঃ রিয়ানের রুমে সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দরজার মধ্যে একটা বোর্ড ঝুলানো। যার মধ্যে বড় বড় অক্ষরে লিখা ” No one is allowed to go inside.”। এইটা নতুন না সবসময়ই তার দরজার মধ্যে এইটা ঝুলতে থাকে। আমি বার বার শুকনো গলায় ঢোক গিলছি। শুকনো ঠোঁট দুটো কে জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছি। ভিতরে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না। কেন না এই বাসায় আসার পর আমি কখনো ডাঃ রিয়ানের রুমে যাই নি। তার রুমে নাকি আন্টি বাদে কাউরো আশার অনুমতি নেই। কেউ তার রুমে আসুক তা তার এখন পছন্দ নয়। যার ফলে আমারও কখনো তার রুমে যাওয়া হয় নি প্লাস দরকারও পরে নি। কৌতূহল বসত কয়েকবার বাইরে দিয়ে উঁকি ঝুঁকি ঠিকই মেরেছিলাম কিন্তু তাতে প্রতিবারই ডাঃ রিয়ানের কাছে ধরা খেয়ে গিয়েছিলাম। অতঃপর তার ধমকও আমায় হজম করতে হয়েছিল। এরপর আর তার রুমের সামনে ভুলেও আসি নি।

আমি এখন দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছি ভিতরে যাব কি না? প্রথমে ভাবলাম যাব না। তাই বাইরে থেকেই বেশ কয়েকবার ডাক দিলাম। কিন্তু অপর পাশ থেকে কোন রেসপন্স নেই। অতঃপর সাহস জুগিয়ে দরজায় হাল্কা টোকা দিলাম। টোকা দেওয়ার সাথে সাথে দরজাটা একটু খুলে আসে। হয়তো দরজাটা লক করা ছিল না। আমি এইবার দরজাটা আরেকটু খুলে ভিতরে উঁকি মারি। পুরোটা রুম জুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার। যার জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে। আমি কিছুটা সাহস নিয়ে “ডাঃ রিয়ান” বলে বেশ কয়েকবার ডাকি। কিন্তু না কোন সারাশব্দ নাই। এইবার আমি রুমের ভিতরে যাই৷ রুমে ভিতরে যেতেই গায়ে কাটা গিয়ে উঠে। পুরো রুম জুড়ে হিম শীতল বায়ু বইছে। বুঝায় যাচ্ছে এসি ফুল পাওয়ারে অন করে রাখা হয়েছে। কেমন গা ছমছম করা পরিবেশ। আমি আরও বেশ কয়েকবার “ডাঃ রিয়ান” বলে ডেকে উঠি। অতঃপর কোন সারাশব্দ না পেয়ে যেই না রুম থেকে বের হতে যাব তখনই দরজাটা বিকট করে বন্ধ হয়ে যায়। আমি কিছুক্ষণ সেইদিকে তাকিয়ে বড়সড় একটা ঢোক গিলি। অতঃপর দরজার সামনে যেতেই আমার হাতে টান অনুভব করি। আমি কিছু বুঝার আগেই কেউ আমায় পিছে ঘুরে দরজার সাথে চেপে ধরে। আমি সাথে সাথে চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলি।

#চলবে