আসক্তিময়_ভালবাসা পর্ব-০৫

0
3637

#আসক্তিময়_ভালবাসা
#Part_05
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

অতঃপর দরজার সামনে যেতেই আমার হাতে টান অনুভব করি। আমি কিছু বুঝার আগেই কেউ আমায় পিছে ঘুরে দরজার সাথে চেপে ধরে। আমি সাথে সাথে চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলি। বেশ কিছুক্ষণ পর মুখের উপর কাউরো উষ্ণ নিঃশ্বাস পড়তেই হাল্কা কেঁপে উঠি। নাকে অতিমিষ্ট একটি সুগন্ধ বারি খেতেই বুঝে যাই সামনের মানুষটি কে। সে বরং কেউ না রিয়ান। রিয়ানের উপস্থিতি বুঝার পরও আমি চোখ বন্ধ করেই আছি। শরীর মৃদু মৃদু কাঁপছে। কেন কাঁপছে জানি না। হয়তো সারারুম জুড়ে হিম বায়ু বইছে বলে। রিয়ান আমার বাহু দুইটি শক্ত করে দরজার সাথে চেপে ধরেছেন। যার ফলে বাহু দুইটিতে সামান্য পরিমাণ ব্যথাও অনুভব করছি কিন্তু খুব ফুটে কিছু বলতে পারছি না। গলা দিয়ে কোন আওয়াজই বের হচ্ছে না। হুট করে রিয়ান আমার ফু দেন। রিয়ানের এমন কান্ডে আমি একদম জমে যাই। নড়াচড়া একদম বন্ধ করে দেই। এর বেশ কিছুক্ষণ পর রিয়ান আমার দিকে একটু ঝুঁকে কানের সামনে মুখ এনে মৃদুস্বরে জিজ্ঞেস করে,

— আমাকে দহনে পোড়াতে তোমার বেশ মজা লাগে তাই না? খুব তৃপ্তি হয় তাই না?

এইভাবেই আমি মৃদু পরিমানে কাঁপছিলাম। তার উপর রিয়ানের এমন মৃদু কন্ঠে বলা শক্ত কথা গুলো যেন আমার কাঁপুনি আরও শত গুন বাড়িয়ে দেয়। কন্ঠস্বর একদম স্তব্ধ আকার ধারণ করে। চেয়েও আমি মুখ ফুটে কথা বের করতে পারচ্ছিলাম না। রিয়ান আমার উত্তর না পেয়ে সেই মৃদু কন্ঠ বজিয়ে রেখে বলে,

— সব কি বুঝে শুনে করো নাকি নিজের অজান্তে? যতটা অবুঝ তুমি নিজেকে দেখাও তা কিন্তু তুমি নও আমি জানি। সব বুঝে শুনেও না বুঝার ভ্যান করো। ঠিক তাই তো?
তাহলে কান খুলে শুনে রেখ, যেই দহনে আমি পুড়ছি সেই দহনে তোমাকেও পুড়তে হবে। অনন্তকালের জন্য পুড়তে হবে।

রিয়ানের শেষ কথায় গায়ে কেমন এক শিহরণ তৈরি করে দেয়। কিছু যে বলবো তারও উপায় নেই। গলা দিয়ে কোন কথাই বের হচ্ছে না। রিয়ান আমার দিকে আরেকটু ঝুঁকে আসতেই আপনা-আপনি আমার দুই হাত রিয়ানের বুকে চলে যায় আর বাধাপ্রাপ্ত সৃষ্টি হয়ে দাঁড়ায় দুইজনের মাঝে। আমি এইবার সাহস জুগিয়ে ধীরগতিতে চোখ দুটো খুলে ফেলি। অন্ধকার আচ্ছন্ন চারদিক। জানালায় কালো পর্দা দেওয়া, বারান্দার দরজা লাগানো। যার ফলে কোন ফাঁক-ফোঁকড়া দিয়েও আলোর কনা-বিন্দু রুমের ভিতর প্রবেশ করতে পারছে না। আমি শত চেষ্টা করেও রিয়ানের ভাবভঙ্গিটা বুঝতে পারলাম না। এমন ঘুটঘুটে এইটা কি আদৌ সম্ভব?
হুট করে রিয়ান আমার কাছ থেকে দূরে সরে দ্বারায়। আমি কিছু বুঝার আগেই আমার হাত ধরে টেনে রুম থেকে বের করে দেয় আর সাথে সাথে মুখের উপর ধাম করে দরজা আটকিয়ে দেয়। আমি হতভম্বের মত দরজার দিকেই তাকিয়ে রইলাম। কি থেকে কি হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অতঃপর আমি “ডাঃ রিয়ান” বলে কয়েকবার ডেকে উঠি। এবারও কোন সারাশব্দ নেই। বেশ কিছুক্ষণ দরজার দিকে চেয়ে থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস নেই। উল্টো ঘুরে যেই না হাটা দিব তখন দরজার খোলার আওয়াজে থমকে যাই। দরজায় তাকিয়ে দেখি রিয়ান পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে নেভি ব্লু টি-শার্ট আর ব্ল্যাক টাউজার। এলোমেলো চুলগুলো কপালে এসে পড়েছে। ভ্রু দুটো আড়া-আড়িভাবে কুঞ্চিত করা। মানে এক ভ্রু উঁচা আরেকটা একটু ঢেউ খেলানো। আমি তার চোখের দিকে তাকাতেই চমকে যাই। সম্ভব লাল তার চোখ দুটি। কেন? তার রহস্য অজানা। আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই তিনি রুদ্ধদ্বার গলায় বলে উঠেন,

— কোন দরকার?

তার এমন প্রশ্ন আমি স্থির হয়ে যাই। সুক্ষ্ম নজরে তাকিয়ে তার ভাবভঙ্গি বুঝার চেষ্টা করি। তার ভাবভঙ্গি একদম স্বাভাবিক। যেন একটু আগে কিছুই হয় নি। আমি যেন তার রুমে যাই নি আর তিনিও আমায় সেই কথাগুলো বলেন এই নেই। বরং আমি এতক্ষণ ধরে বাইরেই ছিলাম আর তিনি রুমের ভিতরে। অদ্ভুত!
আমি যখন এইসব কল্পনা-জল্পনা করছি তখন তিনি গলা খেকিয়ে বলে,

— এতক্ষণ তো ষাঁড়ের মত গলা ফাটিয়ে আমাকে ডাকলে আর যেই না আমি আসলাম এখন একদম বেলুনের মত ফুস? বলবে কেন ডেকিছিলে?

রিয়ানের কথাগুলো শুনে আমার মুখ অটোমেটিকলি হা হয়ে যায়। মানে এতক্ষণ ধরে করা আমার সকল কল্পনা-জল্পনা তিনি সত্যে প্রমানিত করে দিলেন। কিন্তু কথাটা তো সেটা না। কথা হলো আমি এখন রিয়েকশন দিব তাই বুঝতেছি না? আমার কল্পনা সত্যি হয়ে গেল বলে খুশি হবো নাকি রিয়ানের এমন “কিছু না হওয়া” আচরণে দুঃখী হবো নাকি আমার গলার স্বরকে অপমান করার অপরাধে তার উপর রাগ ঝাড়বো? অতঃপর আমি সব রিয়েকশনের সংমিশ্রণ করে কর্কশ কন্ঠে বলি,

— আমি না হয় ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছিলাম তা আপনি কি কানে তুলো দিয়ে ধর্মঘট করছিলেন? এমন যদি চলতে থাকে তাহলে তো দেখছি বিপদে পড়লে ষাঁড়ের মত কেন হাতি, গন্ডারের মত ডাকলেও আপনার দর্শন মেলবে না।
সপ্তম কি অষ্টম শ্রেণীতে Tense পড়াকালীন সময়ে একটা উদাহরণ পড়াছিলাম, ” ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেল।” কিন্তু আপনার বেলায় কি হবে জানেন? “ডাক্তার শুনিবার পূর্বেই রোগী মারা গেল।”

রিয়ান এইবার দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
— বেশি কথা বলা কি তোমার স্বভাব নাকি অভ্যাস?

আমি একটু ভাব নিয়ে বলি,
— সুযোগ বুঝে ব্যবস্থা। সে যাই হোক! যে জন্য এসেছিলাম। খেতে আসুন। দুপুরে তো কিছু খান নি।

রিয়ান আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পাশ দিয়ে হেটে চলে যায়। আর আমি তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। আর বিরবির করি,

— বেটার ভাব দেখলে বাঁচি না। হুহ!

অতঃপর আমি তার পিছে পিছে যাই। গিয়ে দেখে জনাব ইতিমধ্যে প্লেট নিয়ে বসে পড়েছে। খাবার টেবিল সাজিয়েই আমি রিয়ানকে ডাকতে গিয়েছিলাম। কেন না তার কথা হচ্ছে সব টেবিলে সাজিয়ে ফেলার পর তাকে ডাকতে হবে। খাবারের জন্য সে বসে থাকতে পারবে না। সে আসবে,বসবে,খাবে আর চলে যাবে। আমি ধীর গতিতে তার কাছে যাই। অতঃপর তাকে খাবার পরিবেশন করে দেওয়ার সময় তার বা হাতে থাকা সাদা বেন্ডেজটি চোখে পড়ে। সাথে সাথে বুকটা মুচড়ে উঠে। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলি না। কেন না এইটা যে হওয়ার ছিল তা আমি সামান্য হলেও অনুমান করতে পেড়েছিলাম। আমি এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে খাবার পরিবেশন করতে মনোযোগ দেই। খাবার পরিবেশন শেষে যেই না যেতে নিব হাতে টান অনুভব করি। আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলি,

— কি?

রিয়ান আমার দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে বলে,
— তুমি খেয়েছ?

আমি কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলি,
— হ্যাঁ আমি খেয়েছি ডাঃ রিয়ান। আপনি খান।

এই বলে হাত ছাড়িয়ে যেতে নিলে পুনরায় হাতে আবার টান অনুভব করি। এইবার কিছু বলার আগেই রিয়ান টান দিয়ে আমায় তাকে তার পাশের চেয়ারে বসিয়ে দেন। তারপর ভাত মাখতে মাখতে বলে,

— আগে খেয়েছ ভালো কথা এখন আবার খাবে তুমি। আমাকে রেখে একা একা কেন খেয়েছ এর শাস্তি এইটা।

এই বলে আমার মুখের সামনে ভাতের দোলাটা তুলে ধরেন। আমি কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু বলবো বলে মুখ খুলতেই তিনি আমার মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিলেন। পুনরায় ভাত মাখতে মাখতে বলেন,

— একদিন একবেলার খাবার দুইবার খেলে মোটা হয়ে যাবে না। গোট ইট? সো নো মোর ওয়ার্ডস।

আমি কিছু না বলে চুপচাপ বসে রইলাম। আমি বুঝে যাই যে রিয়ানের সামনে আমার মিথ্যে ধরা পরে গিয়েছে। এখন সে আর আমায় খালি পেটে থাকতে দিবে না। একদম না!

____________________________________________

মেডিক্যালের ক্লাস শেষে ক্লাসরুমেই বসে আমি, পায়েল আর আনিশা মিলে গল্প করছি। আনিশা এবং আমি গল্প করার মাঝে মাঝেই পায়েলের দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছি আর প্রতিবারই অবাক হচ্ছি। পায়েলের ব্যবহার একদম স্বাভাবিক। ওর মধ্যে যেন আদিব ভাইকে নিয়ে কোন ভাবান্তরই নেই। এমন একটা ভাব করছে যেন কিছুই হয় নি। অথচ এর আগে ভাইয়া যখন কাজের চাপে সামান্য ফোন না ধরতো তখন পায়েল একদম গলা কাটা মুরগির মত ছটফট করতো। অস্থির হয়ে যেত। কিন্তু আজ সে কত স্বাভাবিক। সেই পায়েল আর আজকের পায়েলের মধ্যে কত তফাৎ ভাবা যায়? কিন্তু চেয়েও কিছু বলতে পারছেনা। বন্ধুত্বের দায়ে বাধাগ্রস্ত তারা।

গল্প শেষে সকলে উঠেই দাঁড়াই। পুরো ক্লাস ইতিমধ্যে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। আমি আগেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে যাই। ডাঃ রিয়ান বলেছিল আজকে সে বাসায় নামিয়ে দিবে। দেরি হলে আমায় আস্ত রাখবে না। সেই ভয়ে আমি আগেই দৌঁড়। পায়েল আনিশাকে বলে ওয়াশরুম চলে যায় আর সাথে এইটাও বলে যে, সে সেখান থেকেই বাসায় চলে যাবে। আনিশাও যাতে চলে যায়। তাই আনিশাও ব্যাগ গুছিয়ে নেই। আনিশা যেই বের হতে যাবে তখনই কাউরো সাথে বড়সড় ধাক্কা খায়। ধাক্কাটা খেয়ে সে একটু পিছিয়ে জেতে নিলে কেউ ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে। আনিশা ভ্রু কুচকে মুখ উপরে তাকায়। উপরে মুখ তুলে সে রেগে মেগে ফায়ার হয়ে যায়। আনিশা রাগান্বিত কন্ঠে বলে,

— এইসব কোন ধরনের সভ্যতা ডাঃ মারুফ?

ডাঃ মারুফ বাঁকা হেসে বলে,
— প্রেমসভ্যতা মিস শ্যামলতা।

আনিশা ডাঃ মারুফের কথা শুনে তেতে উঠে বলে,
— ফাজলামো করছে? প্রেম নামক কোন সভ্যতা নেই বুঝলেন? এন্ড ডোন্ট কল মি শ্যামলতা গোট ইট। শুনতে ভালো লাগে না আমার।

ডাঃ মারুফ বাঁকা হেসে বলে,
— আছে আছে। তা না হলে আমি প্রেমসভ্যতা শিখলাম কিভাবে বল? তুমি কি এই সভ্যতা শিখতে চাও? তাহলে কিন্তু তোমায় আগে প্রেমে পড়তে হবে। আমার প্রেমে! একবার যখন প্রেমে পড়ে যাবে তখন আপনা আপনি এই সভ্যতা শিখে যাবে বুঝলে।
এন্ড বাই দ্যা ওয়ে, আমি তোমাকে মরার আগ শ্যামলতাই ডাকবো। কেন না এই নামটিতে আমার অফুরন্ত ভালবাসা মিশে আছে বুঝলে। সো তোমার পছন্দ হোক আর নাই হোক। আই ডোন্ট কেয়ার।

আনিশা ডাঃ মারুফকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলে,
— আপনাকে ডাক্তার কে বানিয়েছে আল্লাহ মাবুদ জানে। এইখানে ডাক্তারি করতে আসেন নাকি প্রেম করতে।

ডাঃ মারুফ নিজের চোখের চশমাটা ঠিক করে নিয়ে আনিশার দিকে অসহায় কন্ঠে বলে,
— এসেছিলাম তো ডাক্তারি করতেই। বছর খানিক চললোও বেশ। কিন্তু এরপর মাঝ দিয়ে এক শ্যামলতা এসে বাঁধা সাজলো। আমায় তার প্রেমের সাগরে ডুবিয়ে দিল। এখন যে চেয়ে ভেসে উঠতে পারছি না। তুমিই এই বলো এতে কি আমার দোষ? সব দোষ তো তোমার থুরি ওই শ্যামলতার। ও কেন আসলো আমার জীবনে বলো তো? ও আসার পর আমার সব শান্তি যে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমনি স্বপ্নেও আমায় একটু শান্তি দেয় না।

আনিশা দাঁত কিড়মিড় করে বলে,
— আপনাকে চেহেরা দিয়ে মাশুল,ভদ্র টাইপ ছেলে দেখালেও, আপনি এক নাম্বারের একজন অসভ্য, নির্লজ্জ মানুষ।

ডাঃ মারুফ আনিশার দিকে একটু ঝুঁকে বলে,
— ভারুস ধাওয়ানের ওই ফ্যামাস ডাইলোগটা নিশ্চয়ই শুনেছ, ” ম্যায় দিকতা হু সুইট, ইনোসেন্ট, শোয়ামি টাইপ ক্যা না? লেকিন ম্যায় হু বহুত বারা হারামি টাইপ ক্যা।”

এই বলে ঠোঁট দুটো উঁচু করে আনিশার দিকে ফ্লায়িং কিস দেয় সে। আনিশা ভেংচি দিয়ে বিরবির করে বলে,
— বিলাইত হনুমান!

____________________________________________

ঘুটঘুটে অন্ধকার একটি রুমে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে সেই মাস্ক পরিধানকারী ব্যক্তিটি। পুরো মুখটি মাস্কের আড়ালে লুকায়িত থাকলেও নয়ন দুইটি তার স্পষ্ট। রক্তিম বর্ণ চাহনিতে তার হিংস্রতায় পরিপূর্ণ। কাউকে ভস্ম করার শক্তি বহন করে এই নয়ন দুইটি। গায়ে কালো শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়া। তার উপর বড় একটি কালো কোর্ট। বা হাতে পেপার ওয়েটটি ঘুরাচ্ছে যে। পেপার ওয়েটটির এক কিনারে শুকনো রক্ত লেগে আছে। ডান হাত ভরে করে গভীর চিন্তায় মগ্ন সে।
এমন সময় রহিম নামক ছেলেটি রুমে বলে,

— বস যারে ধইরা আনতে কইসিলেন তারে ধইরা লইয়া আইসি। বেটা এখন আমগো কব্জায়।

কথাটি শুনার সাথে সাথে মাস্ক পরিধানকারী ব্যক্তিটি ঠোঁটের কোনে পৈঁচাশিক হাসি ফুটে উঠে।

#চলবে
গল্পটা নিজ গতিতে চলতে দিন। একটু ধৈর্য্য নিয়ে গল্পটা পড়ুন। যখন যেই বিষয় সামনে আনার দরকার পড়বে আমি নিজেই থেকেই আনবো। তাই এত বলছি অধৈর্য্য হবেন না।

গল্পটা কেমন হচ্ছে প্লিজ জানাবেন। ভুল-ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিলে খুশি হবো।❤️