আসমানী পর্ব-০৫

0
138

#আসমানী
#পর্ব_৫
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

আসমানী এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়বে ভাবতে পারেনি।দুনিয়ার মানুষের কত ধরনের দুঃখ।তবু তারা বেঁচে আছে।আর আসমানী তার পরিবারের মৃত্যুর পর কতবার সুইসাইড করতে চেয়েছে তার হিসেব নেই।

আসমানীর শ্বশুর ওর ঘরে এসে রোজিনার পাশে বসে।রোজিনার দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ দুটো পানিতে ভরে আছে।সে বেশ ধীরে ধীরেই বলে,”কেমন আছিস মা?”
“ভালোই আছি মেজো বাবা।”
“কালকে আসিস নি কেন?”
“আসতে দেয় নি সকালে।রাতে এসেছি।”
“জামাই কই আমাদের?”
“কালকেই চলে গেছে।”
বেশ কিছুক্ষণ দুজনেই নিরব থাকার পর নাসিরুদ্দিন সাহেব বলেন,”তুমি কি চাও মা?”
“জানিনা মেজো বাবা।”
“তুমিও কি তোমার বাবার মতো তোমার স্বামীকে খারাপ ভাবো?”
“আমার ভাবনায় আর কিছুই যায় বা আসে না।”
“সে কি কখনো তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে?”
“নাহ।”
“কখনো মেরেছে?”
“নাহ।”
“কোনো মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে?”
“নাহ,সে এমন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে নেই।”
“তোমাদের মধ্যে মহব্বত আছে?”
“হুমম।”
“সে কি চায়?”
রোজিনা কান্না আঁটকে রাখার চেষ্টা করে বললো,”সেও বাবা হতে চায়।”
“তোমার কাছে অনুমতি চেয়েছিল?”
“হ্যাঁ।”
“তুমি কি বলেছে?”
“বলেছি করে নিন।”
“তোমার ব্যাপারে কি বলেছে?”
“ওনার বাড়ির লোক চায় ডিভোর্স করাতে।কিন্তু উনি রাজি নন।আর উনি কোনো বিধবা মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছেন।”
“তুমি কি তোমার স্বামীকে খারাপ ভাবো মা?”
“নাহ।কিন্তু….কিন্তু আমি…”
“কি মা?”
“উনার ভাগ কাউকে কিভাবে দিব?একই বাড়িতে থাকবো আমরা।মেজো বাবা আমি মানতে পারবো না।”
“মানার কথাও না।”
“আমার কি করা উচিত মেজো বাবা?”
“শোনো মা,প্রথমত তোমার স্বামীকে খারাপ ভাবা বন্ধ করো।সে মোটেও খারাপ মানুষ নন।না হলে ৭ টা বছর কিন্তু কম সময় নয়।সে কোনো বাজে সম্পর্কেও জড়িয়ে নেই।আবার বিয়েও করতে চেয়েছে কোনো বিধবা মহিলাকে।তুমি কি মা হতে চাও না মা?”
“চাই, মেজো বাবা।আমিও মা হতে চাই।”
“আল্লাহর কাছে নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে কি চাও বলোতো?”
“সন্তান।যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমি একটা সন্তান চাই মেজো বাবা।
“স্বাভাবিক ভাবেই কি তোমার মনে হয় না তোমার স্বামীও বাবা হতে চায়?”
“হ্যাঁ, সেও চায়।”
“দেখো মা,পৃথিবীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মেয়ে মারা যাচ্ছে বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে।তবুও কি কোনো মেয়ের মুখে শুনেছো,আমি মা হতে চাই না?সব মেয়েই মা হতে চায় মা।আমি আমার এক ছাত্রীকে দেখেছি বাচ্চা জন্মের সময় ডাক্তার বলেছিল যেকোনো একজন কে বাঁচানো যাবে।সবাই ওকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।কিন্তু অপারেশন থিয়েটারে মেয়েটা ডাক্তারের হাত ধরে বলেছিল তার সন্তান যেন পৃথিবীর আলো দেখতে পায়।নিজের জীবনের বিনিময়ে সে তার সন্তানকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে।আমাদের বাংলাদেশে কত বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।সবাই আতঙ্কে থাকে হয়তোবা তাদের সন্তান বড় হয়ে তাদের সেখানে রেখে আসবে।কিন্তু কোনো পুরুষ তো বাবা হওয়ার আনন্দ থেকে বিরত থাকে না মা।মানুষ জানে এক মিনিট পরেও তার মৃত্যু হতে পারে কিন্তু তারপরও তার নিজের জীবনকে সাজাতে তার কত আয়োজন।মানুষ একটা সন্তান জন্ম দেয় যাতে তার একটা অংশ পৃথিবীতে থেকে যায়।সে যখন মারা যাবে,শত বছর পরে হলেও তার নাতী কিংবা তার নাতীর নাতী তাদের কথা মনে করে।কারো কবর জিয়ারত করতে গিয়ে যেন বলে,আল্লাহ আমার পূর্বপুরুষদের সবার গুনাহ ক্ষমা করে তাদের জান্নাত নসিব করো।যেন জায়নামাযে বসে তাদের জন্য দোয়া করতে পারে।তোমার স্বামীর চাওয়া কিন্তু খারাপ না।এমন তো না মেয়ে বাচ্চা হয়েছে বলে সে বিয়ে করতে চায় ছেলে বাচ্চার জন্য। সে শুধু বাবা হতে চায়।”
রোজিনা এবার হাউমাউ করে কেঁদে বলে,”আমার কি হবে বাবা?আমি তো মেনে নিতে পারবো না।উনাকে ছেড়ে থাকতেও পারবো না।”
“আমি জানি ডিভোর্স ভালো বুদ্ধি না।কিন্তু ঐ বাড়িতে তোমার কোনো মূল্য থাকবে না মা।তোমার স্বামী ছাড়া বাকি সবার কাছে তুমি বোঝা হবে।অবহেলার পাত্রী হবে।আমরা সেটা কিভাবে মানবো মা?”
“আমি চলে এলেই আমার জীবনের কি হবে মেজো বাবা? আমি বাবার বাড়িতে সারাজীবন থাকতে চাই না।”
“তোমায় থাকতে হবেও না।দুনিয়ায় অনেক মা হারা বাচ্চা আছে।তারা একটা মায়ের আশায় বসে থাকে।মা হারা সন্তানদের বাবারাও তাদের সময় দিতে পারেনা।তুমি তাদের মা হতে পারবে না?তুমিও মা ডাক শুনতে পাবে যদি ওদেরকে ভালোবাসো।ওরাও তোমাকে ভালোবাসবে।”
রোজিনা আর কিছু বলার আগেই রোজিনার বাবা ক্ষীপ্র গতিতে রুমে এসে বলে,”মাথা খারাপ তোর?আমার মেয়েকে বাজে বুদ্ধি দিচ্ছিস।আমার মেয়ে বাচ্চাওয়ালা লোকের ঘরে যাবে কোন আক্কেলে?আমার কি কিছু কম আছে নাকি?দরকার পড়লে আমি গরিব ছেলে ধরে এনে ঘরজামাই করে রাখবো সারাজীবন।”
এতোক্ষণে রোজিনার মা মুখ খুলে নিজের স্বামীকে বলে,”অনেক বলেছেন আপনি জীবনে।নিজের হারাম টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।আমাদেরও পাপের ভাগীদার বানিয়েছেন।আপনি জানতেন না,আমাদের মেয়ের জরায়ুতে সমস্যা ছিল?ও যে মা হতে পারবেনা আপনি জানতেন না?আপনি তো লোভে পড়ে ঐ বড় ঘরে মেয়ে বিয়ে দিলেন।ওদের থেকে এতো বড় কথাও লুকালেন।ওদের পুরো বংশে যে মাত্র একটাই ছেলে ছিল সেটা আপনি জানতেন না?আমাদের মেয়েকে যে ছেলেই বিয়ে করুক না কেন,সে কখনোই বাবা হতে পারবে না।সব পরিবারই একটা বাচ্চা চায়।ঐ বাড়িতে অন্য কোনো ছেলেও নেই যে তার বাচ্চা হবে।ওদের কি দোষ? আপনার মা ও তো আমার বিয়ের তিন বছর হওয়ার পরও বাচ্চা না হওয়ার জন্য আপনাকে বিয়ে করতে বলেছিল।মেয়েটার জন্ম হলো বলে সে যাত্রায় আমার সংসার টিকে রইলো।তারপর ও একটা একটা ছেলের জন্য আবার আপনার মা আর আপনিও ক্ষেপলেন।কেন?কারণ ততোদিনে আপনার ভাইয়ের বউয়ের ছেলে হয়েছে।নাহিদের জন্মের পর আপনি একটা ছেলের জন্য পাগল হয়ে গেলেন।ভাইয়ের কাছে ছোট হয়ে যাবেন যদি ছেলে না হয়।আপনাদের বংশ রক্ষার জন্য আপনার আরো দুই ভাই ছিল।আপনার ভাইপো ছিল।তাও আপনার ছেলে লাগবেই লাগবে।ভুলে গেছেন সবকিছু? কত মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সব ভুলে গেছেন?আর ওদের বাড়িতে তো কোনো বাচ্চাই নেই।একটা মেয়ে বাচ্চা থাকলেও আমরা কিছু একটা বলতে পারতাম।নিজের বেলায় ষোলো আনা আর অন্যের বেলায় কিছুই না?তাইনা? এখন আবার জামাই কিনে এনে সুখী বানাতে চাইছেন মেয়েকে?আপনার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এখন আমার মেয়ে ডিভোর্সির তকমা নিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াবে।ভালো লাগবে,ভালো লাগবে তো আপনার?খুশী হবেন আপনি?আপনার টাকার পাহাড়ের নিচে আপনি থাকেন।আমি আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো।”
এতো বছর আগের করা ভুল আর পাপের কথা সবার সামনে বেরিয়ে আসায় নাসিম সাহেব লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলেন।সবচেয়ে বেশি অবাক হয় রোজিনা।সে থমথমে গলায় জিজ্ঞেস করে,”মা,তোমরা জানতে আমি কখনো মা হতে পারবো না?”
রোজিনার মা কোনো কিছু না বলে শুধু কাঁদতে থাকে।রোজিনা হঠাৎ কেমন অপ্রকৃতস্থর মতো করে বিরবির করে কিছু বলে দৌড়ে বের হয়ে যায় সেখান থেকে।রোজিনার মা ওর পিছনে ছুটতে ছুটতে চলে যায়।শাহেদা বেগম আসমানী কে বলে,”তুমিও ওদের বাড়িতে যাও মা।ওকে একটু বুঝাও।”
আসমানী কি করবে ভেবে পায় না।শাহেদা বেগম বুঝে নতুন বউয়ের এভাবে চাচা শ্বশুর বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না।তাই সে আসমানীকে বলে,”চলো,আমিও যাই তোমার সাথে।”
★★★
“একটা মেয়ের জীবনে একটা সন্তান ছাড়া আর কি ই বা আশা থাকে বলো তো?আমি মা হতে পারবো না তাও বাবা আমায় ঐ বড় ঘরে বউ করে পাঠালো।আল্লাহ যদি আমাকে একটা মেয়েও দিত।” বিলাপ করতে করতে বলতে থাকে রোজিনা।
“এমন করবেন না আপু।আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার জন্য সামনে ভালো কিছু রেখেছে। ”
“আমার আর কি ভালো হবে বলো তো?আমি নিজের সাথে সাথে ঐ মানুষ টার জীবনও নষ্ট করলাম।আমি যদি জানতাম আমি মা হতে পারবোনা,তবে আমি ঐ লোক কে কোনোদিনও বিয়ে করতাম না।”
“উনি কি আপনাকে ভালোবাসে না?ভালোবাসলে কি সে আপনাকে নিয়ে আলাদা থাকতে পারেনা?”
রোজিনা হাসে।হাসতে হাসতেই বলে,”ভালোবাসা? হ্যাঁ, অবশ্যই সে আমাকে ভালোবাসে।অনেক ভালোবাসে।না হলে সে এতো বছর আমাকে তার ঘরে রাখতো না।বিয়ের দুই বছর পর সে জানতে পেরেছে আমি মা হতে পারবো না।৫ টা বছর সে আমাকে তার পরিবারের হাত থেকে আগলে রেখেছে।আল্লাহর কাছে শুধু চেয়েছে একটা সন্তান। কিন্তু প্রয়োজনীয়তা ভালোবাসার চেয়ে অনেক বেশি।আমি এতোদিন তার প্রতি কত অভিমান আর অভিযোগ পুষে রেখেছিলাম।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সব ভিত্তিহীন।মানুষ টা আসলেই ভালো।আমিই তো আল্লাহর কাছে চাই যেন যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমাকে আল্লাহ একটা সন্তান দেন।সেও নিশ্চয়ই চায়।হয়তো আল্লাহ তাই করবেন।আমার বিনিময়ে সে একটা সন্তান পাবে।”

আসমানী উঠে আসে রোজিনার কাছে থেকে।বের হয়ে আসার সময় বলে,”খাবারটা খেয়ে নিন আপু।”
“কি হবে এতো খাবার খেয়ে?আমার তো আর কিছুই রইলো না।না স্বামীর মুখোমুখি হতে পারবো আর না বাবার।আমার দুনিয়ার সবকিছু থেকেই মায়া উঠে গেছে।”
আসমানীর কেন যেন এই মুহুর্তে ভীষণ হাসি পেল।কিন্তু নিজেকে সংযত করে বললো,”আমার চাইতে বেশি দুঃখ কি আপনার আপু?আপনার এই দুঃখের সময়ে আপনার পাশে আপনার পরিবারের সবাই আছে। কিন্তু আমার মা,ভাই,বোন চলে গেল তখন তো প্রথমে শুধু বাবা আর তারপর বাবা চলে যাওয়ার পরে এক চাচা ছিল।কিন্তু সেও বেঈমানী করলো।আমার বাবার সবকিছু নিজের ছেলেদের নামে করে নিলো।শুধুমাত্র আমি মেয়ে বলে।আপনি আপনার কাছের মানুষদের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে পারবেন।কিন্তু আমি কারো বুকে মাথা রেখে কাঁদতেও পারিনি।আমার জীবন থেকে সবই হারিয়ে গিয়েছিল।ভেবেছিলাম আমিও মারা যাবো।জীবনের কোনো অর্থই ছিল না।কিন্তু আমার পেট সচল ছিল।২৪ ঘন্টা পুরো হওয়ার আগেই বুঝেছিলাম পেটের ক্ষিধে। ”
আসমানী মুচকি হেসে চলে গেল সেখানে থেকে।আর রোজিনা শুধু তার চলে যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
★★★
“এভাবে জড়িয়ে ধরে আছো যে?আমায় ভালোবেসে ফেলেছো নাকি?”
“শুনুন।”
“কি?”
“আমার বাচ্চা না হলে কি আপনি আবার বিয়ে করবেন?”
নাহিদ একটু সময় চুপ থেকে বলে,”তুমি কি রোজিনা?নাকি আমি ওর হাজব্যান্ড?আমরা কি এক?”
“একটা বাচ্চা তো সবাই চায়।”
“আমার ভাই আছে।বোন আছে।আমার চাচাতো ভাই-বোনও আছে।ওদের বাচ্চা হবে।আমরা ওদের কে ভালোবাসবো।”
“তাহলে আমাদের বেবি না হলে আপনি আবার অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না তো?”
“আমি ডাইনোসরের শেষ বংশধর না যে আমার বাচ্চা লাগবেই।”
“হুমম। ”
“দুপুরের খাবার খেয়েছো?”
“নাহ।আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
“নাতাশা আর নাবিল কোথায়?”
“বললো তো কোচিং-এ গেছে।”
“ঠিক আছে।তুমি খাবার রেডি করো।আমি চেঞ্জ করে আসছি।”
আসমানী রুম থেকে বের হলে নাহিদ চেঞ্জ করে রুম থেকে বের হওয়ার সময় আসমানীর ফোনে একটা মেসেজ আসে।কোনো গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ হবে ভেবে নাহিদ মোবাইল হাতে নিয়ে আসমানীকে ডেকে ফোনের স্ক্রিনের উপর নজর দিতেই দেখে সেখানে লেখা,”সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো ম্যাম?কোনো সমস্যা হয়নি তো?”
আসমানী রুমে আসলে নাহিদ ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে, “তুমি আবার কারো ম্যাম নাকি?”
আসমানী কেমন যেন ভড়কে যায়।কিন্তু যথাসম্ভব নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,”আমার স্টুডেন্ট। আমি কয়েকজনকে টিউশন পড়াই তাদেরই একজন।বিয়ের কথা জানানো হয়নি ওদের।দুদিন যাচ্ছিনা বলেই হয়তো খোঁজ নিচ্ছে।”
“অহহ।আচ্ছা,তাই বলো।আচ্ছা,চলো খেতে যাই।ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছে।”
নাহিদ বের হয়ে গেলে আসমানী দ্রুত হাতে টাইপ করে,”সবকিছু ঠিকঠাক আছে।যদিও অনেক কিছুই প্ল্যান মাফিক হয়নি।তবুও এখনও পর্যন্ত কোনো গন্ডগোল হয়নি।শুধু আমি এদের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি।আমি আশাবাদী এদের কোনো ক্ষতি আমরা হতে দিবো না।কিন্তু ভুলেও মিশন ক্যান্সেল করবে না কেউ।দু একটা কাজ এদিক সেদিক হলেও আমার কোনো ক্ষতি হয়নি।আমি এখানে সেফ আছি আর ভীষণ ভালোই আছি।কাজটাও সহজেই করতে পারবো।”

চলবে…..