ইচ্ছে কথন পর্ব-০১

0
1134

#ইচ্ছে_কথন
#writer_falak_moni
#সূচনা_পর্ব

১৩বছর বয়সের একটা মেয়েকে বিয়ে করতে কি তোমার বুকটা একটুও কাপলো না প্রিয়।কিভাবে পারলে তুমি এতটুকু একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করতে।

কথাগুলো বেশ উৎকর্ষ করকোষ্ঠ গলায় বলল নাতাশা।

প্রিয় চোখ থেকে দুফোটা চোখের জল গড়িয়ে পড়লো টেবিলের উপর । পার্কের এক কোনায় দুজন বসে আছে। প্রিয়ের এভাবে হুটহাট বিয়ে করাটা মেনে নিতে পারছে না নাতাশা।নাতাশা এবার একটু শান্ত হয়ে আবারো বলতে লাগলো,

প্রিয় বিয়ে করার আগে কি আমার কথা একটি বারও মনে পড়লো না তোমার। আমাদের দুই বছরের রিলেশন তুমি এভাবে শেষ করে দিলে।

প্রিয় নাতাশার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা অহেতুক কেদেই যাচ্ছে।তাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষাটাও যে নেই।কি করেই বা দিবে। সত্যিই তো দুই বছরের রিলেশন কিভাবে পারলো সে এমনটা করতে। প্রিয় চুপচাপ বসে আছে। নাতাশা তার সামনে অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে। চোখ দুটো লালা আভা ধারন করে ফুলে একাকার হয়ে আছে। বার বার চোখ মুছেই যাচ্ছে কিন্তু চোখের জল আর বাদ মানছে না গড়িয়ে গড়িয়ে পড়েই যাচ্ছে। প্রিয়কে এভাবে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে নাতাশা আবারো বলতে লাগলো,

তা তোমার বউ এর নাম কি?

প্রিয় এবার মুখ খুলে নাতাশার প্রশ্নের প্রতিউত্তর দিতে লাগলে,,

তরু

প্রিয়র মুখে তরুর নামটা শুনে নাতাশা প্রায় অভাক হয়ে রইলো।মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা। কারন তরু মেয়েটা আর কেউ না প্রিয়র বাড়ি কাজের মহিলা রহিমা খালার মেয়ে।যাকে নাতাশা অনেক আদর স্নেহ করে।আর আদর করবেই না বা কেন মেয়েটা যে বড্ড মিশুক।মেয়েটার ভেতর লুকিয়ে আছে এক অজানা মায়া যেটা সবাইকে নিমিষেই আপন করে নিতে পারে। কিন্তু তরু মেয়েটাতো প্রিয়কে অনেক ভয় পায়।আর সবচেয়ে বড় কথা তরুকে কেন বিয়ে করতে হলো।কারন প্রিয়র যে নাতাশার সাথে সম্পর্কে জরিয়ে আছে সে বিষয়ে তো প্রিয়র পরিবারের সবাই জানে। তাহলে কি এমন হলো যে প্রিয়কে এমন একটা বাচ্চা মেয়ে বিয়ে করতে হলো যে কিনা বাড়ির কাজের লোকের মেয়ে।নাতাশার মাথা এসব ভেবে ঘুরপাক খাচ্ছে। মনে হচ্ছে কোনো না কোনো রহস্য এর ভেতর রয়েছে। নাতাশার চোখের পানি এবার একটু থামলো।শান্তভাবে প্রিয়কে আবারও প্রশ্ন করতে লাগলো,

আচ্ছা প্রিয় তোমাদের বিয়ের আজ কয়দিন হলো??

প্রিয় নাতাশার চোখের দিকে একবার তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নেয়।বড্ড অপরাধী বলে মনে হচ্ছে আজ নিজেকে। ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের করে না পাওয়ার বেদনা হয়তো পৃথিবীতে আর কিছুই নেই।বড্ড ভালোবাসে যে মেয়েটাকে কি করে পারবে এই মেয়েটাকে ভুলে অন্য মেয়ের সাথে সংসার করতে। নাতাশা হয়তো ভুল বুঝবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিটা যখন জানতে পারবে সব কিছু কি আমার মতো করে মেনে নিয়ে আমাকে ক্ষমা করতে পারবে। এসব ভাবছে প্রিয়।নাতাশা বুঝতে পারছে প্রিয় হয়তো কোনো বিষয় নিয়ে খুব আপসেট আছে। তাই আবারো বলল,

প্রিয় কি হয়েছে তোমার। তোমাকে আমি প্রশ্ন করেছি তো?

প্রিয় এবার নাতাশার চোখের দিকে তাকিয়েই বলতে লাগলো,

নাতাশা রহিমা খালা আর বেঁচে নেই আজ ৫দিন হলো।আর আমাদের বিয়ের আজ ৪দিন হয়েছে। জানিনা তুমি আমাকে ঠিক কি ভাবছো তবে তোমার মনের ভেতর যে সংকোচ জমাবদ্ধতা হয়ে আছে সেটা স্বাভাবিক। তোমাকে আমি একটা কথা বলি, আমার ভালোবাসায় কোনো নিখুত ছিল না। জানিনা ভাগ্য কেন আমাদের সাথে এমন নিষ্ঠুরতা করলো।তবে আমাকে মাফ করে দিও।আমি জানিনা তরুকে আমি ঠিক কিভাবে নিজের স্ত্রী ভাববো কারন মেয়েটা এখনো অনেক ছোট এখনো তার অনেক কিছু জানার বাকি। জানিনা কখনো তাকে আমি স্ত্রীর অধিকার দিতে পারবো কিনা। ভালো তোমাকে বেসেছি বেসে যাব।ভালোবাসলেই যে পেতে হবে এমনটা তো নয়। আমার ভালোবাসাটা না হয় আমার ভেতরই সীমাবদ্ধ থাক।

কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলল প্রিয়।নাতাশা বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। প্রিয় এতক্ষণ যা বলল পুরোটা মাথার উপর দিয়েই গেল। রহিমা খালা মারা গেছে আজ ৫দিন হয়ে গেল।আর প্রিয় তাকে আজ বলল সেটা ভেবেই নাতাশার কান্নার গতি আরো বেড়ে গেল।নাতাশা এবার উঠে দাড়িয়ে প্রিয় শার্টের কলার পাকড়ে ধরে বেশ কান্না মিশ্ররিত গলায় বলতে লাগলো,

রহিমা খালা মারা গেছে আজ ৫দিন আর তুমি আমাকে আজকে শুনালে।এ কেমন বিশ্বাস তোমার৷ আমাকে কি একবার বল্লে আমি তোমার বিয়েতে বাধা দিতাম নাকি।

নাতাশার এভাবে রেগে যাওয়ার ব্যপারটা প্রিয় বুঝতে পেরেছে। কারন রহিমা খালাই একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি প্রিয়কে নতুন করে জীবন দিয়ে সুস্থ্য করে তুলেছিলেন। নয়তো আজ রহিমা খালার জায়গায় প্রিয়কেই দাফন হতে হতো। নয়তো আরো আগেই।নাতাশার রাগ দেখে প্রিয় কিছুই বলল না। নাতাশা প্রিয়র কলার ছেড়ে বলতে লাগলো,

প্রিয় আমাকে তোমার বাড়ি নিয়ে চল।

প্রিয় বুঝে উঠতে পারছেনা নাতাশার হাব ভাব। নাতাশা কি এখন তরুকে দোষারোপ করবে।নাকি অন্য কিছু। এসব মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। নাতাশা আর এক মিনিটও দাড়ালো না সোজা গিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।প্রিয় কিছুক্ষণ পর গিয়ে গাড়িতে ওঠে বসলো।তবে আজ দুজন আলাদভাবে দুদিকে তাকিয়ে আছে।নাতাশা বাহিরের দিকে আর প্রিয় গাড়ি ড্রাইভ করছে। দুই বছরে দুজনার কত স্মৃতি জরিয়ে আছে। কি করে ভুলে থাকবে ওরা।দুজন আজ দুই পথের বাসিন্দা। যেখানে নেই কোনো ভালোবাসার প্রতিক্ষা।

বাড়িতে পৌছে নাতাশা দৌড়ে রহিমা খালার রুমে গেলেন। যেখানে তরু আর তার মা থাকতেন। ছোট থেকেই তরু এই বাড়িতে বড় হয়েছে। তাই এখানকার সবকিছু তার চেনা জানা। সবাই তাকে খুব ভালোবাসে। এই পরিবারের সদস্য বলেই তাকে পরিচয় দিয়ে থাকেন মিস্টার আফজাল চৌধুরি প্রিয়র বাবা।ওনার কোনো মেয়ে নেই দুই ছেলে প্রিয়,আর কল্প। কল্প একজন মেডিকেল স্টুডেন, আর প্রিয় বাবার বিজনেস সামলায়।তবে প্রিয় বড়,বড় বল্লে ভুল হবে দুই ভাই জমজ।চেহারায় মিল না থাকলেও কন্ঠস্বর হুবহু এক। মিসেস রোজিনা বেগম প্রিয়র মা মারা যায় অনেক আগেই। পরে রহিমা খালা আসে তাদের বাড়িতে। রহিমা খালা যখন আসে তখন তরু খুব ছোট। তরুর বাবা নেই।তরুর জন্ম হবার পরপরই তার বাবা স্টুক করে মারা যায়। তাই মিস্টার আফজাল চৌধুরি তরু আর তার মাকে এ বাড়িতে থাকতে দেন। তরু এবার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আফজাল চৌধুরি তাকে ভালো একটা সরকারি স্কুলে ভর্তি করান। তরু পড়া লেখায় খুব ভালো সেজন্য বৃত্তিও পেয়ে থাকেন।

নাতাশা রহিমা খালার রুমে ডুকে তরুকে দেখতে পেল না। তাই সেএদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে লাগলো। একসময় দেখতে পেল মিস্টার আফজাল চৌধুরির রুমে তার বুকের উপর মাথা পেতে বসে আছে ।আর আফজাল চৌধুরি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটা কান্নাই করে যাচ্ছে। তবে আজ মেয়েটাকে ছোট বলে মনে হচ্ছে না। এক অন্যরকম স্নিগ্ধ সুষমায় ভরা মায়াময় চেহারায় ফুটে আছে একটা নক্ষত্র। সেটা তরুর নাকের ডগায় বেশ ঝলঝল হয়ে উঠছে।নাতাশা দৌড়ে তরুর কাছে যায়।গিয়ে তরুকে জরিয়ে ধরে।মিস্টার আফজাল চৌধুরি কিছুই বুঝতে পারছেনা। তবে তার চেহারায় খুশি ছাপ ভেসে আসছে স্পষ্ট। প্রিয়ও দূর থেকে তাদের এমনভাবে দেখে ভেতরটা একটু হালকা লাগছে। যাক নাতাশা তাকে ভুল বুঝেনি। এটা ভেবেই প্রিয় একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল।

নাতাশাকে জরিয়ে তরু কান্না করে বলতে লাগলো,

সোনা আপু জানো তোমার ঐ গোমড়ামুখো বন্ধুটা নাকি আমার বর।তুমি তো জানো আমি তাকে কতটা ভয় পাই। আমি তোমার সাথে চলে যাব আপু এখানে আর থাকবো না। এখানে থাকলেই প্রিয় ভাইকে দেখতে পাব আর ভয় পাব। তাই আমি আর কল্প ভাইয়া মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি তোমার কাছে চলে যাব। মা তো নেই যে আমাকে অভয় দিবে। আর থাকবো না আপু এখানে যাকে আমি বাঘের মতো ভয় করি সে নাকি আমার বর। বলো না আপু কিভাবে থাকবো আমি।

নাতাশা তরুকে থামিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো ,,

তরু ঠান্ডা হ তুই। এভাবে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই এখানে। কন্ট্রোল বি হেব ইউস্ সেল্ফ।

তরু এবার জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। নাতাশা তরুর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলতে লাগলো,

দেখ তরু এখন তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডের বউ।যে আমার সব চেয়ে বেশি কাছের লোক। এখন তো ভয় পেলে চলবে না। আমি জানি তুই তাকে ভয় পাস। কিন্তু জানিস প্রিয় কিন্তু খুব ভালো একটা ছেলে। তুই তো তার সামনে কখনো যাসনি তাই বুঝবি না। কয়টাদিন থাক দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।

কে শুনে কার কথা।তরুর কান্নার গতি আরো বেড়ে গেল।তরুর এমন কান্না দেখে আফজাল চৌধুরি, প্রিয়, নাতাশা একজন আরেকজনের দিকে তাকাচ্ছে। তখনই কল্প রুমে প্রবেশ করলো। কল্পকে দেখে তরু দৌড়ে ছুটে গেল কল্পের কাছে। গিয়ে কল্পের হাত ধরে বলতে লাগলো,

কল্প ভাইয়া তুমি বলনা, সোনা আপুকে আমাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে। আমি এখানে প্রিয় ভাইয়ার সাথে থাকতে পারবো না।

কল্প বুঝতে পেরেছে মেয়েটা ভীষন রকমের ভয় পায় প্রিয়কে। কারন বিয়ের পর এখনো অব্দি তরু তার কক্ষে যায় নি। প্রিয়র নাম শুনলেই বেচারি কাপতে থাকে। কিন্তু যেভাবেই হোক এই ভয়তো তাকে কাটাতে হবে। সেটা ভেবে কল্প খুব ধীর কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে বলতেংঙংং লাগলো,

বাবা, ভাইয়া,নাতাশা, তোমাদের সবার উপর আস্হা রেখে আমি বলছি, সংসার স্বামী এসব এখনো তরু বুঝার মতো বয়স হয়নি। আমি জানি তরু বয়সে আমার ছোট হলেও সম্পর্কে আমার বড়। কারন সে আমার ভাইয়ের বৌ। কিন্তু তার আগে সে আমাদের বোনের চেয়ে কম নয়।আজ যদি রহিমা খালা বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়তো এমন সিচুয়েশন আসতো না। আর আসলেও তরুকে নিয়ে ভাবতেন তিনি। যেহেতু আল্লাহ তাকে তার কাছে নিয়ে গেছেন এখন তরুকে নিয়ে আমাদেরকেই ভাবতে হবে।তাই আমি বলি কি তরু এখন যা বলে তাই করতে দাও।সে নাতাশার সাথে যেহেতু থাকতে চায় তাহলে যেতে দাও বাঁধা দিও না। কারন তরু এখন অনেক ছোট। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়াটা আমাদের কাম্য নয়।

কল্পের কথাগুলো নাতাশা, প্রিয়, আফজাল চৌধুরি সবাই খুব গভীর মনোযোগ সহকারে ভাবতে থাকে। কারন কথাগুলো একদম ঠিক। মেয়েটার বয়স সবেমাত্র ১৩এখনো তার অনেক কিছু বুঝার বাকি। আর প্রিয় তো তার তুলনায় অনেক বড় ২৫বছর বয়স তার। কিন্তু কি করার সব কিছু যে মেনে নিতে হবে। কারন পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায় এসে আটকে আছে। তাই সবাই মিলে ডিসিশান নেয় যে প্রিয়কেই দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিবে। কারন তরু বাড়ির বউ আর বউ হচ্ছে ঘরের লক্ষী। তাকে কি করে বাহির করবে। এসব ভেবে আফজাল চৌধুরি সিদ্ধান্ত নেয় প্রিয়কে আমেরিকা পাঠিয়ে দেওয়ার। আমেরিকা তাদের কিছু ব্যবসা বানিজ্য রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশ থেকে সামলানো বেশ ক্রিটিকেল হয়ে পড়ে। তাই প্রিয়কে দেশের বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে কালকের ভেতরই।
ঐদিকে নাতাশা মন মরা করে অন্যদিকে ফিরে আছে। কি করবে সে একদিকে ভালোবাসাকে বিসর্জন অন্যদিকে এতিম মেয়ের দায়িত্ব তাও আবার যে কিনা তার ভালোবাসার মানুষটার বৌ।বুকের ভেতর এক সমদ্র চাপা কান্নার ঢেউ বয়ে যাচ্ছে। তার স্রোতের গতি কেবল নাতাশাই টের পাচ্ছে। প্রিয়রও প্রায় একই অবস্থা।

ঠোঁটের কোনায় স্মিত ম্লানমুখে এক রোখা হাসির রেখা টেনে তরুর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

তরু কাল তো কল্প চলে যাবে আমেরিকা। তুইও তো আমার সাথেই থাকবি। তাই আমি বলি কি আজ রাতটা প্রিয়র সাথে থাক না। এটা তর বড় বোনের রিকোয়েস্ট তর কাছে।

নাতাশার কথা শুনে তরু চোখ দুটো ছোট করে ফেলে। প্রিয় খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নাতাশার দিকে। মেয়েটার মাথায় কি চলছে। কি করতে চাইছে মেয়েটা পাগল হয়ে গেল নাকি।
তরু কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে তারপর সম্মতি জানিয়ে চলে যায়।

নাতাশা আর কল্প দুইজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে। সাথে আফজাল চৌধুরি ওনি তো কখনো ভাবতেই পারেনি তরু নাতাশার কথায় রাজি হয়ে যাবে। প্রিয় তাদের কাছ থেকে উঠে চলে গেল,
#চলবে